রেলপথ
অবশেষে শুরু হতে চলেছে সিলেট-ছাতক রেলপথ সংস্কার কাজ
চার বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই সিলেট-ছাতক রেলপথের সংস্কার কাজ শুরু হচ্ছে। গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন ছাতক বাজার স্টেশন পরিদর্শন শেষে এই তথ্য জানান।
এই রেলপথের সংস্কার কাজ শুরুর খবরে স্থানীয়দের মাঝে আশার আলো জেগেছে।
বিগত সরকারের সময় একনেকে সিলেট-ছাতক রেলপথ সংস্কার কাজের প্রস্তাবনা পাস হলেও তা শুরু করা যায়নি। এবার সেই কাজে গতি দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে চলতি সপ্তাহে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সেই সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, সিলেট থেকে ছাতক হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের বিষয়ে সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও এরপর অজ্ঞাত কারণে সেই কাজে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আরও পড়ুন: সংকটে জর্জরিত আলমডাঙ্গার রেলস্টেশন, নেই সংস্কারের উদ্যোগ
১৯৫৪ সালে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে পশ্চিম-উত্তরে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক বাজার রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ওই সময় জেলার রেলপথের সর্বশেষ স্টেশন হিসেবে ছাতক বাজার রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ করা হয়। তার আগে এটি আখাউড়া-কুলাউড়া-সিলেট পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাথর, বালু, চুনাপাথর, কমলালেবু, তেজপাতাসহ বিভিন্ন মালপত্র আনা-নেওয়ার জন্যই মূলত ছাতক-সিলেট রেলপথটি নির্মিত হয়। পরবর্তী সময়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল পরিবহনে ছাতক-দোয়ারাবাজার অঞ্চলসহ সুনামগঞ্জ জেলার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রতিদিন এই রুটে সকাল-বিকাল যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করত। সিলেট যাতায়াতে ট্রেনই ছিল এই অঞ্চলের মানুষের একমাত্র ভরসা।
১৯৭৯ সালে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের রাজস্ব আয়ে ছাতক বাজার স্টেশন শ্রেষ্ঠ স্থান দখল করে নেয়। এরপর নানা অজুহাতে কমিয়ে দেওয়া হয় এই রেলপথে ট্রেন ও বগির সংখ্যা।
ছাতক থেকে ট্রেনে যাতায়াতে প্রায় ৪৫ মিনিটে সিলেট পৌঁছানো যায়। পথিমধ্যে খাজাঞ্চীগাঁও, সৎপুর ও আফজালাবাদ স্টেশনে ট্রেনগুলো যাত্রা বিরতি করে। শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত ছাতক থেকে চুনাপাথর, সিমেন্ট, স্লিপার, বালু, বোল্ডার পাথরসহ বিভিন্ন মালপত্র দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতে রেলপথে সড়ক পথের চেয়ে পরিবহন খরচ কয়েক গুণ কম হতো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২২ সালে ভয়াবহ বন্যায় ছাতক বাজার স্টেশন থেকে সিলেট পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ১২ কিলোমিটার রেল রোড এমব্যাংকমেন্ট ও রেলপথ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপরই রেলপথটি পুনর্বাসন করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করার জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট থেকে ছাতক বাজার সেকশন (মিটার গেজ ট্র্যাক) পুনর্বাসন প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে সম্প্রতি অনুমোদনও দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্পের কাজে ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মীর আখতার হোসেন লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৩৬৯ টাকা।
প্রকল্পটি একনেক থেকে ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল অনুমোদিত হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। প্রকল্প-ব্যয়ের ৮০ শতাংশ ডলার এবং ২০ শতাংশ বাংলাদেশি টাকায় পরিশোধ করা হবে।
শুরুর দিকে সিলেট থেকে ছাতক হয়ে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনে দুটি পথের বিষয়ে সমীক্ষা চালানো হয়।
সমীক্ষায় বলা হয়, ৪৫ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার অ্যালাইনমেন্টে টপোগ্রাফিক (ভূমি) জরিপের কাজ করা হয়েছে। এই রুটে আছে ৬৬টি ছোটবড় জলাভূমি। দক্ষিণ খুরমা ও শান্তিগঞ্জে দুটি স্টেশন নির্মাণ করতে হবে। রেলপথ নির্মাণের জন্য সরাতে হবে ১২৮টি বসতবাড়ি ও অবকাঠামো। এজন্য কাটতে হবে সাড়ে ১৩ হাজার গাছ। পাঁচটি স্টেশনের জন্য ৫০ একরসহ মোট ৬১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।
এমন জটিল হিসাব-নিকাশের মুখে প্রকল্পটির কাজ আর সামনে এগোয়নি।
ছাতক বাজার ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আফসার উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ছাতক-সিলেট রেলপথ বন্ধ থাকায় প্রতিদিন এই অঞ্চলের শত শত মানুষকে ভোগান্তি নিয়ে সিলেটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সুনামগঞ্জ রেলপথ স্থাপিত হলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বড় পরিসরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশন
গুরুত্ব বিবেচনায় অতিদ্রুত রেলপথের কাজ শুরু করার দাবি জানান তিনি।
এদিকে, ছাতক-সিলেট রেলপথ সংস্কারের অনুমোদনের পর শুক্রবার বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন ছাতক বাজার স্টেশন পরিদর্শন করেন।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি নাগাদ সংস্কার কাজ শুরু হবে। তবে সুনামগঞ্জে রেলপথ স্থাপনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান এ কর্মকর্তা।
৭০ দিন আগে
কোটা আন্দোলন: ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
কোটা সংস্কার ও সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও রেলপথ অবরোধ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৫ টার দিকে বাকৃবি প্লাটফর্ম সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেন। এতে জামালপুর কমিউটার ট্রেনটি আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
এর আগে বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জব্বারের মোড়ে এসে শেষ হয়। মিছিলটি শেষ করেই শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের- ‘আমি নই তুমি নই, রাজাকার রাজাকার। আমার ভাই আহত কেন প্রশাসন জবাব চাই। ক্যাম্পাসে হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই।’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে নির্মমভাবে হামলা চালানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়েছে। সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। সামনের দিনে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর হবে।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: বাকৃবিতে গণ পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান
শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে বাকৃবিতে বিক্ষোভ
২৪৬ দিন আগে
কোটা সংস্কার দাবিতে সীতাকুণ্ডে সড়ক-রেলপথ অবরোধ, ৬০ কিলোমিটার যানজট
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার(১৬ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন আইআইইউসির শত শত শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ
এসময় মহাসড়কের উভয়দিকে ৬০ কিলোমিটার যানজট লেগে দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের বৈঠকের পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
২৪৬ দিন আগে
বাকৃবিতে বাংলা ব্লকেড: তৃতীয় দিনের মতো রেলপথ অবরোধ
তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর দেড়টায় বাকৃবির জব্বারের মোড় সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষার্থীরা ঢাকা থেকে জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবরোধ করেন।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের কর্মবিরতি
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বাকৃবির কে. আর মার্কেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ভবন ঘুরে জব্বারের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এক দফা কর্মসূচি সম্পর্কে তারা বলেন, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ দেশের ছাত্র সমাজ দেশব্যাপী ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
তারা আরও বলেন, কোটা সংস্কার করে মেধাবীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন
কোটা বাতিলের দাবিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
২৫৪ দিন আগে
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ: ভাঙ্গা-রুপদিয়া রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোরের রূপদিয়া পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা ৪১ মিনিটের দিকে ভাঙ্গার রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
মো. সাখাওয়াত হোসেন এ ট্রায়াল ট্রেনে চালকের দায়িত্ব পালন করছেন এবং ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতিতে চলানো হবে।
ভাঙ্গার রেলস্টেশন মাস্টার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, শনিবার সকাল ৮ টা ৪১ মিনিটে উচ্চগতি সম্পন্ন এই পরীক্ষামূলক ট্রেনটি যশোরের রুপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিতে যশোর পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে রেললাইনে পড়ল ক্রেন, ব্যাহত ট্রেন চলাচল
তিনি আরও বলেন, রবিবার আবারও (৩১ মার্চ) সকালে রুপদিয়া রেল স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ট্রেনটি। আবার যশোর থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। এভাবে ট্রেনটি কয়েকবার ফরিদপুরের ভাংগা থেকে যশোরের রুপদিয়া স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করবে।
এদিকে আগে ঢাকা-যশোর রেলপথের ভাঙ্গা পর্যন্ত ইতোমধ্যে ট্রেন চলাচল করছে। ভাঙ্গা থেকে নড়াইল হয়ে যশোর অংশের রেলপথ নির্মাণের কাজও প্রায় শেষের দিকে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-যশোর রেলপথের ভাঙ্গা পর্যন্ত ইতোমধ্যে ট্রেন চলাচল করছে। প্রকল্পের শেষ অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর। এই অংশের দৈর্ঘ্য ৮৭ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে।
এর আগে ২০১৬ সালের ৩ মে ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’ নামে এটি একনেকে অনুমোদন পেয়েছিল।
২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের' আওতায় ঢাকার সঙ্গে যশোরের রেল সংযোগের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
তিনটি পর্যায়ে (ঢাকা ও গেন্ডারিয়ার মধ্যে তিন কিলোমিটার সংযোগ স্থাপন) ৩৭ কিলোমিটার গেন্ডারিয়া-মাওয়া সেকশন, ৪২ কিলোমিটার মাওয়া-ভাঙ্গা অংশ এবং ৮৭ কিলোমিটার ভাঙ্গা জংশন-যশোর অংশের রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৩ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-দক্ষিণের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
প্রায় ৪৩ দশমিক ২ কিলোমিটার লুপ, সাইডিং এবং ওয়াই-সংযোগগুলো মোট লাইনের দৈর্ঘ্য ২১৫ দশমিক ২ কিলোমিটারে নিয়ে আসে।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ২০টি স্টেশন থাকবে, যার মধ্যে ১৪টি নতুন এবং ৬টি ইতোমধ্যে রয়েছে। আগের স্টেশনগুলোও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে ট্রেনগুলো ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য নির্মিতব্য ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার পথে রয়েছে।
পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নতুন রেললাইন চালু হওয়ার সংবাদে রেল লাইনের আশে-পাশের মানুষের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ।
আরও পড়ুন: বিজয় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত: ১৪ ঘণ্টা পর ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
৩৫৪ দিন আগে
পুরো দেশ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে: রেলপথমন্ত্রী
নতুন রেলপথ নির্মাণ করে পুরো দেশ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘নতুন রেলপথ নির্মাণ করে সারা বাংলাদেশ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। ট্রেনের যাত্রীদের সেবার মান বাড়িয়ে রেলকে একটি নিরাপদ পরিবহনে পরিণত করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ীর পাংশা-বালিয়াকান্দি ও কালুখালী মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের আয়োজনে পাংশা জর্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে রেলপথ মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থানে যাবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, কালোবাজারি চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আসন্ন ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিট প্রাপ্তিতে সমস্যা হবে না। সবাই স্বস্তিতে টিকিট পাবে। ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির চক্রের সঙ্গে ‘সহজ’ ডটকম ও রেলের কর্মচারীসহ অসাধু কিছু কর্মকর্তারা জড়িত।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথ মন্ত্রী আরও বলেন, ট্রেনে যাত্রীদের জন্য খাবারের মান উন্নত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানুষ টাকা দিয়ে খাবার কিনে খায়।
জিল্লুল হাকিম বলেন, বিএনপির সময় রেলপথ ধ্বংস করা হয়েছিল। এখন আবার রেলে আগুন দিয়ে রেলপথকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল মোরশেদ আরুজ, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের আবুল কালাম আজাদ, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: রেলের উন্নয়নে আরব আমিরাতের সহযোগিতা চান রেলপথমন্ত্রী
৪০৫ দিন আগে
রেলপথে নাশকতা: নাটোরের ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার
রেলপথে নাশকতা রোধে নাটোর জেলার ৫৭ কিলোমিটার রেলপথের ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে নাটোর রেল স্টেশনসহ রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন রেলওয়ে পাকশির বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সুফি নুর মোহম্মদ।
এসময় নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভূঁঞা ও পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামসহ প্রশাসন ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেলওয়ের ডিআরএম জানান, নাশকতা রোধে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার জানান ইতোমধ্যেই নাটোরে রেলপথে নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছে।এসব কারণে ঝুকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরের নলডাঙ্গায় ভেঙে গেছে রেললাইনের কিছু অংশ
দিনাজপুরে রেললাইনে স্লিপার রেখে নাশকতাচেষ্টার অভিযোগ, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
৪৪৯ দিন আগে
১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন
আগামী ১১ নভেম্বর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে ১ ডিসেম্বর থেকে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সিরাজ-উদ-দৌলা খান ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২ নভেম্বর করার একটা সম্ভাব্য সময় থাকলেও একদিন এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ উদ্বোধন করলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে ১ ডিসেম্বর।
এর আগে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে ১২ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। তবে তার একদিন আগেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এ রেলপথ।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।
শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ১৫ অক্টোবর
৫০৩ দিন আগে
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন ৯ নভেম্বর: রেলপথমন্ত্রী
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন আগামী ৯ নভেম্বর হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন আগামী ৯ নভেম্বর। এ ছাড়া রেলপথ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। যোগাযোগের অন্যতম সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম হলো রেলপথ।
তিনি বলেন, সারাদেশকে রেলের আওতায় নিয়ে আসার জন্য রেলপথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। এই রেলপথ চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে খুলনার ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনা-মোংলা রেলওয়ে প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট (সেতু নম্বর-১০) পর্যন্ত এবং মোহাম্মদ নগর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ফুলতলা-মোংলা পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে কম খরচে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করার সুযোগ হবে।
তিনি বলেন, এতে করে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বিকাশ ঘটবে পর্যটন শিল্পের। রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘে্যর রেলসেতুর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ফুলতলা-মোংলা রেলপথ এর ৯৮ দশমিক ০৫ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে এবং আগামী ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।
এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান, খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মুকুল কুমার মৈত্র, উপপ্রকল্প পরিচালক (চিফ ইঞ্জিনিয়ার) আহমেদ হোসেন মাসুম, খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা: রেলপথমন্ত্রী
আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
৫২২ দিন আগে
মোংলা-খুলনা রেলপথের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ, অক্টোবরে চলবে ট্রেন
আগামী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবন্দর মোংলার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ। ইতোমধ্যে এই রেলপথের কাজ ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে খুঁটিনাটি কাজ; যা চলতি মাসেই শেষ হওয়ার আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তারা জানিয়েছেন- মোংলা-খুলনা রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে মোংলা বন্দরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। কারণ শুধু সারাদেশের সঙ্গে নয়, রেলপথটি আন্তর্জাতিক রেল রুট হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে।
আরও পড়ুন: দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ঢাকা-ভাঙা রেলপথের কাজ
মোংলা-খুলনা রেলপথের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘চলতি মাসে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সেইসঙ্গে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এই পথ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে আশা করছি। সেভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি আমরা।’
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ট্রানজিট সুবিধার আওতায় ভারত, নেপাল ও ভুটানে পণ্য পরিবহন সহজ করতে খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথম দফায় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে রয়েছে রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু নির্মাণ, মূল রেললাইন স্থাপন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং স্থাপন।
২০১১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ করতে পারেননি ঠিকাদার। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, তা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দফায় সংশোধনের পর ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
সেইসঙ্গে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর উপর রেলসেতুর নির্মাণকাজ করেছে। বাকি কাজ করেছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক আরিফুজ্জামান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও নানা কারণে কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে। দুই দফায় প্রকল্প সংশোধনের কারণে ব্যয় বেড়েছে ২ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা। তবে তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। আশা করছি, এবার নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে।’
মোংলা-খুলনা রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে জানিয়ে মোংলা বন্দরের ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ মিঠু বলেন, ‘বর্তমান সরকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগের জন্য যেমন পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে, তেমনি নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছে। এতে গার্মেন্টস পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য কম খরচে মোংলা বন্দর থেকে পরিবহন করা যাবে, তেমনি রপ্তানিও করা যাবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বেড়ে যাবে।’
একই কথা বলেছেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
তিনি বলেন, ‘রেললাইনটি ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে চিংড়ি ও গার্মেন্টস পণ্য পরিবহন সহজ হবে।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে চলল পরীক্ষামূলক পণ্যবাহী ট্রেন
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল
৫৪৮ দিন আগে