রেলপথ
দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ঢাকা-ভাঙা রেলপথের কাজ
ফরিদপুরের ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ের পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে পদ্মা সেতু লিংক রেলপথের (ফরিদপুরের ভাঙ্গা প্রান্ত রেলপথ) জংশন ও রেললাইনের কাজ। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী সার্বক্ষণিক এ কাজে তদারকি করছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে এখন রেল চলাচলের অপেক্ষায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষেরা। আর সেই লক্ষেই দ্রুত গতিতে এই রেল সংযোগের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের আশা পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল এ অঞ্চলের যোগযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। পরিবর্তন হবে আর্থসামাজিক উন্নয়নের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রড সেট করে বসানো হচ্ছে বিশেষভাবে তৈরি কংক্রিট স্লিপার। আর দুই পাশে থাকছে স্টিলের রেলপাত। রড, স্লিপার ও পাত স্থাপনের পর দেয়া হচ্ছে ঢালাই।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেললাইনে ৯টি আন্ডারপাস নির্মাণ হচ্ছে
এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৪৩: আরএসএফ
সারাদেশে গত এপ্রিলে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৩ জন নিহত এবং ৬১২ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে নারী ৬৭ এবং শিশু ৮১ জন রয়েছে।
শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (আরএসএফ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংগঠনটি ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
সবচেয়ে বেশি ১৮৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২০৬ জন, যা মোট নিহতের ৩৭.৯৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪.২৬ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১৬ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২১.৩৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৮৭ জন, অর্থাৎ ১৬ শতাংশ।
এ সময়ে ৬টি নৌদুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছে এবং ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। ২১টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছে।
পড়ুন: নাটোরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৭
যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২০৬ জন (৩৭.৯৩ শতাংশ), বাস যাত্রী ১৩ জন (২.৩৯ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৬৩ জন (১১.৬০ শতাংশ), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-পুলিশ জীপ যাত্রী ১৪ জন (২.৫৭ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক) ১০০ জন (১৮.৪১ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-টমটম)১৯ জন (৩.৪৯ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ১২ জন (২.২০ শতাংশ) নিহত হয়েছে।
পড়ুন: মার্চে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫১৩: আরএসএফ
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় রেলমন্ত্রীর অসন্তোষ
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন পরিদর্শন করে এটির নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় রেলমন্ত্রী এবং ভারতীয় হাইকমিশনার অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই তিনবার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঠিকাদারেরা বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে যদি কাজ করতে ব্যর্থ হয়। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বহিষ্কার করে বিকল্প ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নির্মাণাধীন আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত নতুন রেলপথের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্প নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন। এটি আমাদের দুই দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আটটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে পাঁচটি ইতোমধ্যে চালু হয়েছে, এটি ৬ নাম্বার হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও উভয় দেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: স্টেশন পরিদর্শনে এসে দুই কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করলেন রেলমন্ত্রী
এসময় ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিশ্চয়তা প্রদান করেন যে আগামী জুনের মধ্যে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করবেন এবং এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই রেলপথ চালু করার আশ্বাস দেন।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য দেন।
এই রেলপথটি ভারতের অনুদানে নির্মিত হচ্ছে। রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ১৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে মাত্র ৫ কিলোমিটার ভারতের অংশ এবং বাকী বাংলাদেশ প্রান্তে। নির্মাণ এবং পরামর্শক কাজে যুক্ত রয়েছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমাকো রেল এন্ড অব ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি: রেলমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসাথে উদ্বোধনে ‘সংশয়’ রেলমন্ত্রীর
রাশিয়া সম্পর্কে বিস্ময়কর কিছু তথ্য
সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ নিয়ে সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন নিবদ্ধ এই দুটি দেশের দিকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে স্পর্শকাতর অধ্যায়, যার প্রভাব পড়তে পারে সারা বিশ্বে। ১৯৯১ সালে বিশাল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবার পর ও বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতি সহ বিভিন্ন অঙ্গনে স্বতন্ত্র অবস্থানে বহাল আছে রাশিয়া। এছাড়া দেশটির সভ্যতা ও সংস্কৃতির উত্তরোত্তর ক্রমবিকাশে সমগ্র ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশের উপর এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে। সেই সূত্রে এই নিবন্ধটিতে রাশিয়ার বিস্ময়কর কিছু তথ্যের দিকে আলোকপাত করা হয়েছে।
রাশিয়ার ১০টি বিস্ময়কর তথ্য
পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলপথ
ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ে মস্কো ও সুদূর পূর্ব রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সরাসরি পাড়ি দিয়েছে ৯,২৫৯ কিলোমিটার রেলপথ। উরাল পর্বতমালা, সাইবেরিয়ার বার্চ বনও বৈকাল হ্রদ অতিক্রম করতে এই যাত্রাটি সময় নেয় ছয় দিন।
পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ
ভূমির আয়তনের দিক থেকে রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। রাশিয়ার মোট ভূমির ক্ষেত্রফল ৬৬ লাখ এক হাজার ৬৭০ বর্গ মাইল, যা পৃথিবীর মোট ভূমির শতকরা ১১ ভাগের সমান। এত বড় দেশ হওয়াতে এখানে বৃক্ষের আধিক্য দেখা যায়। পৃথিবীর শতকরা ২০ ভাগ গাছ আছে শুধু এই রাশিয়াতেই। সংখ্যার দিক থেকে তা প্রায় ৬৪০ বিলিয়নের সমান।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সম্পর্কে বিস্ময়কর কিছু তথ্য
পৃথিবীর গভীরতম হ্রদ
সাইবেরিয়ায় অবস্থিত বৈকাল হ্রদ বিশ্বের বৃহত্তম মিঠা পানির হ্রদ। শুধু এই একটি হ্রদ গোটা বিশ্বের মিঠা পানির শতকরা ২৩ ভাগ ধারণ করে।
পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসাথে উদ্বোধনে ‘সংশয়’ রেলমন্ত্রীর
পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসাথে উদ্বোধনের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেছেন , ‘মূল সেতুতে কাজ করার অনুমতি সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে। তারা যদি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুমতি না দেয় তাহলে আগামী বছর সরকার নির্ধারিত সময়ে পদ্মা সেতু চালুর দিনেই ট্রেন চালানো সম্ভব হবে না। কারণ আমাদের সেতুতে রেল লাইন স্থাপন করতে ছয় মাস সময় লাগবে।’
এর পাশাপাশি মন্ত্রী আরও বলেন, ‘উদ্বোধনের দিন পদ্মা সেতুতে ট্রেন চালানো সম্ভব না হলে ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে।’
মঙ্গলবার পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে কেরানীগঞ্জ উপজেলার পানগাঁও এলাকায় বুড়িগঙ্গা রেল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনের সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘সেতুর উভয় প্রান্তের সংযোগের কাজ এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। মূল সেতুতে কাজ করার অনুমতি সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে। যদি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের অনুমতি দেয় তাহলে আগামী বছর সরকার নির্ধারিত সময়ে পদ্মা সেতু চালুর দিনে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। কিন্তু যদি আরও দেরি করে এবং সেটা মার্চের দিকে দিলে তখন আর আমরা একই দিনে চালাতে পারবো না। কারণ আমাদের সেতুতে রেল লাইন স্থাপন করতে ছয় মাস সময় লাগবে।’ ডিসেম্বরের মধ্যেই পাওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রী সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা অব্যাহত আছে বলেও জানান।
আরও পড়ুন: দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী সকালে পরিদর্শনের শুরুতে পানগাঁও এ উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি চিত্র তুলে ধরে বলেন, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি আগস্ট পর্যন্ত ৭০শতাংশ, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশে অগ্রগতি ৪০শতাংশ এবং সার্বিক অগ্রগতি ৪৩ শতাংশ। রেলপথমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে প্রায় দুই কিলোমিটার নির্মিত রেললাইন পরিদর্শন কারে পরিদর্শন করেন। পরে তিনি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা প্রান্তে গিয়ে মূল সেতুতে ওঠেন এবং সেতুর যে অংশে রেললাইন বসানো হবে সেটি পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে মন্ত্রী জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্ট ৩ অংশে ব্যালাস্টলেস ট্র্যাক কাজের উদ্বোধন করেন।
পরিদর্শনের সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারসহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক এবং প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর পিলারে আবারও ধাক্কা, ফেরিতে ফাটল
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণের উদ্বোধন রবিবার
পঞ্চগড় থেকে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে রেলপথ স্থাপিত হবে: মন্ত্রী
বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন সোমবার বলেছেন, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন করা হচ্ছে। এটি পরে ভারতের শিলিগুড়ি, দার্জিলিং এবং নেপাল, ভুটানের সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
ভারত থেকে রেলপথে প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন শুরু
ভারতীয় রেলপথ কর্তৃপক্ষ শনিবার গেদে (ভারত) ও দর্শনা (বাংলাদেশ) ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টে পেঁয়াজ বোঝাই প্রথম মালবাহী ট্রেনটি বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে।