ঈদের কেনাকাটা
কলকাতায় কেনাকাটার জনপ্রিয় স্থান
ঈদের আগের দিনগুলো মানেই পোশাক, উপহার এবং সুস্বাদু খাবারের কেনাকাটা। রঙিন ব্যানার ও আলোক-সজ্জার রাস্তাগুলো যেন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষিতে। এ দোকান সে দোকান ঘুরে প্রিয় জিনিসটি খুঁজে বের করার উন্মাদনা ঈদের আনন্দের সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। আর এই কেনাকাটা বাংলার ঐতিহ্যবাহী শহর কলকাতায় হলে সেই উৎসব মুখরতার সঙ্গে যেন যোগ হয় ভ্রমণের আনন্দ।
শত বছরের সংস্কৃতি মিশে থাকা এই শহরের কোলাহলপূর্ণ বাজারগুলো যেন রঙ এবং স্বাদের চির অর্বাচীন ফেরিওয়ালা। শপিং উৎসাহী বাঙালিদের প্রত্যাশিত এই গন্তব্যকে নিয়েই আজকের নিবন্ধ। চলুন, কলকাতায় গিয়ে কোথায় কী কিনবেন তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কলকাতার সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি শপিংমল
কলকাতা নিউ মার্কেট
ঔপনিবেশিক যুগের প্রাচীনতম বিপণীগুলোর মধ্যে অন্যতম এই শপিংমল যে কোনো উৎসবে কলকাতার ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ। জুতা, শাড়ি, বিদেশি ফুল ও স্থানীয় প্রসিদ্ধ খাবারের দোকানগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। কেননা সুনামের পাশাপাশি এদের রয়েছে বিশদ সংগ্রহ। তাছাড়া একটি নির্দিষ্ট আইটেমের সব দোকান আলাদা আলাদা ব্লকে সুবিন্যস্তভাবে সাজানো। তাই ২ হাজারেরও বেশি দোকান থাকলেও পছন্দের জিনিসটি খুঁজে পেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না ক্রেতাদের। লিন্ডসে স্ট্রিটে অবস্থিত এই সুপরিচিত জায়গাটি নিমেষেই খুঁজে পান বাইরে থেকে আগত পর্যটকরা।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের ক্রাবি ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
গড়িয়াহাট বাজার
বালিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন বাজারটি গড়িয়াহাটের অন্যতম বিখ্যাত মল। দীর্ঘ প্রসারিত জায়গা জুড়ে বিস্তৃত রাস্তার দুপাশে দোকানগুলো জামাকাপড়, গহনা এবং ইলেকট্রনিক আইটেমের বিশাল সংগ্রহশালা। বড় দোকান ছাড়াও ছোট ছোট অস্থায়ী তাঁবুগুলোতে বসে স্বল্প দামের বিপণী। দোকানের বাইরে ঝুলে থাকা নানা আইটেমের সঙ্গে চকচকে আলোগুলো মাঝের দীর্ঘ রাস্তাকে আলোকিত করে রাখে। এখানকার রেস্তোরাঁ এবং খাবারের দোকানগুলোর অবস্থান এমন জায়গাতে যেন কেনাকাটার ফাঁকেই হুট করে যে কেউ খেতে বসে যেতে পারে।
অবনী রিভারসাইড মল
হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এই ৫ তলা শপিংমলটি যেন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছে। এর ভেতরে ২০০টিরও বেশি ব্র্যান্ডেড স্টোর সারা দিন ধরে আটকে রাখে ক্রেতাদের। শুধু কি তাই! সুপারশপের মুদি থেকে শুরু করে প্যান্টালুনের পোশাক এবং আর্চিসের অনন্য উপহার সবকিছু পাওয়া যায় এখানে। এছাড়া সিনেমা উপভোগ করার জন্য আছে একটি পিভিআর থিয়েটার। কেনাকাটা করতে যেয়ে খিদে পেয়ে গেলে তার জন্যও রয়েছে জনপ্রিয় সব রেস্তোরাঁ এবং ফুড ক্যাফে।
আরও পড়ুন: আইসল্যান্ড ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
সাউথ সিটি মল
কলকাতা শহরের দক্ষিণ প্রান্তে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে প্রায় ১০ লাখ বর্গফুটের জায়গা নিয়ে এই মলটির অবস্থান। এই অত্যাধুনিক মলে একচেটিয়াভাবে ব্যবসা করে চলেছে দেশ-বিদেশের নামকড়া সব ব্র্যান্ডগুলো। সম্প্রতি চালু হওয়া নতুন বিশাল ফুড কোর্টে জায়গা পেয়েছে মেইনল্যান্ড চায়না, চিলিস, স্টারবাক্স সহ স্বনামধন্য অনেক খাবারের ব্র্যান্ড। সারা বিপণী ঘুরতে যেয়ে স্বাদ বদলের জন্য রয়েছে মাল্টিপ্লেক্স। এখানে শপিং উৎসাহী ও সিনেমাপ্রেমি দু’শ্রেণীর মানুষেরই ভিড় হয়।
কোয়েস্ট মল
পার্ক সার্কাসের সৈয়দ আমির আলী এভিনিউয়ের এই অভিজাত মলটি তরুণ এবং ব্যবসায়ী উভয়কেই আকর্ষণ করে। ২০১৩ সালে উদ্বোধন করা এই মল শহরের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মলগুলোর একটি। মান সম্পন্ন পোশাকের দোকানের পাশাপাশি খাবার, গেমিং, ও মাল্টিপ্লেক্স সুবিধা খুব কম সময়েই কোয়েস্ট মলের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। এখানে আইনক্স মাল্টিপ্লেক্সে রয়েছে ছয়টি স্ক্রিন। এছাড়া রয়েছে চিলিস, বোম্বে ব্রাসেরি, স্মোক হাউস ডেলি, ও সেরাফিনার মতো কলকাতার সেরা সব রেস্তোরাঁ।
সিটি সেন্টার ১ শপিং মল
সল্টলেকের এই টুইন মলটিতে শহরের সব ধরণের লোকেরই সমাগম ঘটে। স্বভাবতই মলের প্রতিটি আউটলেটেই থাকে উপচে পড়া ভিড়। বিশাল এই মলের অন্যতম আকর্ষণ হল এর কেন্দ্রে জলাশয় সমৃদ্ধ কয়েকটি ধাপযুক্ত প্লাজা, যাকে কুণ্ড বলা হয়। এই বিরাট স্থাপনাকে ঘিরে দর্শনার্থীরা বসে সময় কাটাতে পারেন। মনোরম অভ্যন্তরীণ সজ্জার অ্যাম্ফিথিয়েটারে চলে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। আর হাল ফ্যাশনের পোশাকের দোকানগুলো স্বতন্ত্র শৈলী নিয়ে আকৃষ্ট করে ক্রেতাদের।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতের ডাবল এন্ট্রি ভিসা পাওয়ার উপায়
৬ মাস আগে
গাইবান্ধায় ঈদের কেনাকাটা শেষে সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও ছেলের মৃত্যু
গাইবান্ধার সাঘাটায় ঈদের কেনাকাটা শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। ওই দুর্ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হতাহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
শনিবার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সাঘাটা-গাইবান্ধা সড়কের বিলবস্তায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
নিহতরা হলেন- সাঘাটা উপজেলার উত্তর উল্যা গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী শান্তা (৩৫)ও ছেলে রবি (১৪)।
আহতরা হলেন- আশরাফুল ইসলামের মেয়ে রূম্পা (১৪), নিহত শান্তার বাবা আব্দুল আজিজ দুদু (৬০) ও তার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি সাঘাটা-গাইবান্ধা আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার বিলবস্তায় পৌঁছালে রাস্তার পাশে রাখা ঢালাই কাজের মিক্সার মেশিনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অটোরিকশাটি পাঁচজন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। পরে বগুড়ায় যাওয়ার পথে মা ও ছেলে মারা যান।
সাঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমতাজুল হক বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কামরাঙ্গীর চরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
৭ মাস আগে
ঈদের কেনাকাটা ও ভ্রমণে কার্ড পেমেন্টে মোটা অঙ্কের ছাড় দিচ্ছে ব্যাংকগুলো
ঈদের কেনাকাটা, ভ্রমণ, ইফতার ও সেহরিতে খাওয়ার আনন্দ বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্যাশলেস পেমেন্ট। ব্যাংকগুলোর মোটা অঙ্কের ছাড় ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) কারণে ক্রেডিট কার্ড হোল্ডাররা এ সুবিধার সর্বোত্তম ব্যবহার করছেন।
বিভিন্ন ধরনের গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে এবারের ঈদ উপলক্ষে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে পণ্য ও সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, ক্যাশব্যাক ও বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার দিচ্ছে ব্যাংকগুলো।
ঈদের পোশাক, জুতা, গয়নাসহ বিভিন্ন পণ্য কেনায় ছাড় দিচ্ছে কিছু ব্যাংক। এ ছাড়া পুরো রমজান মাস জুড়ে ইফতারের মূল্যে ছাড় দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এছাড়াও রয়েছে বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফারসহ নানা 'ঈদ উপহার'।
সংশ্লিষ্টদের মতে, উৎসব ঘিরে পণ্য ও সেবার দাম বাড়ানোর প্রবণতা বাংলাদেশে অনেক দিন ধরেই চলছে। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে, এ ধরনের প্রবণতা ধীরে ধীরে কমছে; বদলে যাচ্ছে চিত্র। এখন বাংলাদেশেও উৎসবের সময় পণ্যের দামে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের জন্য ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল খোলা থাকবে ব্যাংক
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন ইউএনবিকে বলেন, 'ডিসকাউন্টের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তারা নগদ এড়াতে অনেক সুবিধা দেয়, যা নগদ অর্থ বহন করার ঝুঁকিকে নিরুৎসাহিত করে এবং কার্ডে ক্রয়কে উৎসাহ দেয়।’
তিনি আরও জানান, ব্যাংকগুলো তাদের কার্ড হোল্ডারদের জন্য বিশেষ অফারের ব্যবস্থা করেছে।
তিনি বলেন, প্রায় ৩০০ লাইফস্টাইল স্টোর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত অফার দিচ্ছে এবং ৫০টিরও বেশি গয়না প্রতিষ্ঠান তাদের কার্ডহোল্ডারদের জন্য ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে।
এছাড়া অনলাইনে কেনাকাটায় কার্ড পেমেন্টে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাবেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি ১৩০টিরও বেশি রেস্টুরেন্টে ইফতার ও ডিনারে 'বাই ওয়ান গেট ওয়ান' অফার বা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় রয়েছে।
এরই সঙ্গে ঈদে বাড়ি ফেরা ও বিদেশ ভ্রমণে বিমান ভাড়ার ওপর বিভিন্ন অফার ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৩১ মার্চ থেকে নতুন নোট বিনিময় শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
স্ট্যানচার্টের হেড অব কনজ্যুমার ব্যাংকিং সাব্বির আহমেদ জানান, ক্যাশলেস কেনাটাকায় উৎসাহিত করতে স্ট্যানচার্ট বর্তমানে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দিচ্ছে। গ্রাহকদের ঈদ আরও আনন্দময় করতে ৭ ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে এ সুবিধা দে্ওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, গ্রাহকরা আমাদের কার্ড অফারের সুবিধা ও সুযোগ-সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে ক্যাশলেস কেনাকাটা করবেন।’
ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সৌম্য বসু ইউএনবিকে বলেন, ‘নন-ক্যাশ ফর্ম পেমেন্টের বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা সত্যিকারের ক্যাশলেস বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে আমরা দেখছি, অনলাইন ও অফলাইনে কেনাকাটা ও অন্যান্য ব্যয়ের ক্ষেত্রে অন্তর্নিহিত নিরাপত্তা ও গতিসহ ডিজিটাল পেমেন্টের বিভিন্ন সুবিধা পেতে কার্ড ব্যবহার করছেন ভিসা কার্ডধারীরা।’
সৌম্য আরও বলেন, 'আমরা আশা করি ঈদের আগের দিনগুলোতে ডিজিটাল লেনদেনের এই ধারা আরও বেগবান হবে। ভিসা নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা, ব্যবহার সহজীকরণ ও সক্ষমতার মাধ্যমে আমাদের কার্ডহোল্ডারদের আরও সক্রিয় করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: ঈদ অবকাশ: ভিসা-মুক্ত এশিয়ায় সেরা ভ্রমণ গন্তব্য
ইউসিবির 'ইউপে'র স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড প্রোডাক্ট বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মৌলুদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘ইউপের ব্যবহারকারীরা যাতে পবিত্র রমজান মাসে কোনো অতিরিক্ত চাপ ছাড়াই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে এবং নির্বিঘ্নে ঈদ উৎসব উপভোগ করতে পারে সেজন্য দেশজুড়ে ইউপের হাজার হাজার মার্চেন্ট পয়েন্ট রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের গ্রাহকদের জীবনযাত্রার আরও সুবিধার্থে আমরা সম্প্রতি চালু করেছি ইউসিবি-ইউপে কো-ব্র্যান্ডেড প্রিপেইড কার্ড। এটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও ব্যবহার করতে পারবেন।’
ঈদ উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ করতে রমজানে ব্যবহারকারীদের জন্য ইউপে আকর্ষণীয় অফারও নিয়ে এসেছে বলে জানান তিনি।
ঈদ উপলক্ষে ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, এনবিআরসি ব্যাংক, এবি ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশসহ বেশকিছু ব্যাংক কেনাকাটা ও ভ্রমণে এমএফএস- বিকাশ ও নগদ পেমেন্টে মূল্যছাড় দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
৭ মাস আগে
ঈদ ও বৈশাখকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে জমে উঠেছে কেনাকাটা
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতরের সঙ্গে এবার যোগ হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি-বিতানগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। একসঙ্গে দুই উৎসবের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়ছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করতে আসছেন অনেকেই।
শুক্রবার ছুটির দিনে মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
হলিডে হকার্স মার্কেটের ফুটপাতের দোকানেও কেনাবেচা জমে উঠেছে। ছুটির দিন হওয়ায় এদিন চাকরিজীবীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের সমবায় মার্কেট, প্যানোরমা প্লাজা, মার্ক টাওয়ার, টপটেন মার্ট, হক প্লাজা, আলমাছ পয়েন্ট, বেইলি টাওয়ার, স্বান্ত্বনা মার্কেট, আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার, জিরো বাজার, লুৎফা টাওয়ার, ইজি ফ্যাশন, সায়াম প্লাজা, হাসনাত স্কয়ার, লুৎফা টাওয়ার, সায়াম প্লাজা, বর্ষণ সুপার মাকেট, এফ রহমান সুপার মার্কেট, ফ্রেন্ডস মার্কেটে, সোলস্তা, আড়ৎসহ ছোট-বড় এসব মার্কেটগুলোতে অল্প সময়ের মধ্যেই ঈদের কেনাকাটা শেষ করতে ব্যস্ত ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
রোজার শুরুতে মানুষের আনাগোনা থাকলেও বিক্রি ছিল কম। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে পুরোদমে কেনাবেচা শুরু হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের ঈদের চেয়ে দেড়গুণ-দ্বিগুণ দাম বেশি রাখছেন দোকানিরা। তৈরি পোশাক ও জুতার দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।
মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোজার শুরুর দিকে কেনাকাটা করতে পারিনি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আজ এসেছি ঈদের নতুন জামা কাপড় কিনতে। তবে এবার জামা কাপড়ের দাম অন্য বছরের তুলনায় দেড়-দুই গুণ বেশি।’
পুরুষদের তুলনায় নারী ক্রেতার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। হাতে সময় কম থাকায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় তৈরি পোশাকের দোকানগুলোতে।
আরও পড়ুন: ফোসার উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘ঈদ চ্যারিটি বাজার’ অনুষ্ঠিত
পাশাপাশি কসমেটিকস, শাড়ি, জুতার দোকানগুলোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দর-কষাকষি করে পছন্দের জিনিসগুলো কিনছেন ক্রেতারা।
সমবায় মার্কেটের নন্দন ফ্যাশন হাউসের মালিক মোহাম্মদ ওমর বলেন, ‘এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ দুই উৎসবে ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক উঠিয়েছি। রোজার শুরুতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এবার বিক্রি ভালো হবে।’
বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, অনেকে আগে পোশাক সেলাই করে ব্যবহার করতেন। এবার তৈরি পোশাকের চাহিদা বেশি।
ঈদ ও পহেলা বৈশাখের জন্য বাহারি ডিজাইনের পোশাকই বেশি পছন্দ করছেন নারী ক্রেতারা। আর ছেলেদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবি, জিনস প্যান্ট ও টি-শার্ট। পাশাপাশি দেশীয় কাপড়ের কদরও রয়েছে বেশ।
বাবা-মায়ের সঙ্গে কেনাকাটা করতে এসেছেন সামির। তিনি বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করেছি। পছন্দমতো প্যান্ট, শার্ট ও পাঞ্জাবি কিনেছি।’
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকায় কোনো সমস্যা হলে কল করুন ৯৯৯ নম্বরে: আইজিপি
ঈদকে সামনে রেখে চাষাড়া হলিডে মার্কেট ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। স্বল্প দামে পছন্দসই পোশাক কিনতে পারছেন বলে এসব দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। ফুটপাতের এসব দোকানগুলো থেকে নিম্ন, মধ্য ও উচ্চবিত্ত- সব শ্রেণিরই নারী-পুরুষদের পোশাক কিনতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদ আয়োজনে বড় পর্দার ১০টি চলচ্চিত্র
৭ মাস আগে
ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
পোশাক বিপণনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ঈদের মৌসুম। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরকে উদ্দেশ্য করে রোজা শুরু হতে না হতেই সরব হতে শুরু করে পোশাকের বাজার। নতুন কাপড়ের উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে নিজেদের প্রিয় ব্র্যান্ডের শরণাপন্ন হন ফ্যাশন সচেতন ক্রেতারা। এই শৌখিন শ্রেণিটিকে উদ্দেশ্য করে নিজেদের নতুন শৈলী নিয়ে হাজির হয় দেশ সেরা ব্র্যান্ডগুলো। এই উপলক্ষে চলুন, দেশের জনসমাদৃত ১০টি পোশাক ব্র্যান্ডের ঈদ সংগ্রহ দেখে নেওয়া যাক।
ঈদের বাজারে লোকপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
আড়ং
বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের সামাজিক উদ্যোগ হিসেবে আড়ংয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর। প্রতিষ্ঠাতা আয়েশা আবেদ এবং আমেরিকান শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী মার্থা চ্যান।
প্রতিবারের মতো এবারও দেশীয় সিল্ক ও মসলিনের মতো দামি ফেব্রিকের সংমিশ্রণ ঘটাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। স্বভাবতই এক্সক্লুসিভ কালেকশনের অন্যতম আকর্ষণ হ্যান্ড এম্ব্রয়ডারি। কাট, প্যাটার্ন ও নকশার সমন্বয়ে করা প্রতিটি পোশাকেই ফ্যাব্রিক নির্বাচনে গুরুত্ব পেয়েছে উৎসবমুখরতা ও স্বস্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
মেয়েদের সালোয়ার কামিজে প্রাধান্য পেয়েছে লেয়ারিং ডিজাইন। পরিচিত রঙের সঙ্গে রয়েছে সাগর নীল, ল্যাভেন্ডার, টিল, প্লাম, মিন্ট গ্রিন, আইভরি, ময়ুর নীল, ও প্যাস্টালের মতো ভিন্নধর্মী রঙের ব্যবহার।
পুরুষদের পাঞ্জাবিতে থাকছে বয়সভিত্তিক বিচিত্র ডিজাইন। গরমকে কেন্দ্র করে তরুণদের পাঞ্জাবিগুলো প্রায় সবই খুব হালকা নকশার।
কে-ক্র্যাফট
১৯৯৩ সালে দেশের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও শৈলীকে উপজীব্য করে খালিদ মাহমুদ খান এবং শাহনাজ খান প্রতিষ্ঠা করেন কে-ক্র্যাফট।
প্রতি উৎসবের মতো এবারও পুরুষদের জন্য নিজস্ব স্টাইলের রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবির সংগ্রহ রেখেছে কে-ক্র্যাফট। পাশাপাশি রয়েছে কাট নির্ভর একরঙা পাঞ্জাবিও।
আরও পড়ুন: এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
নারীদের জন্য নির্ধারিত পোশাক সারিতে দেখা গেছে ঐতিহ্য, ক্ল্যাসিক, রেট্রো, ফিউশন, ও লং প্যাটার্ন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ডাবল লেয়ার্ড সালোয়ার কামিজ, ডাবল লেয়ার্ড কুর্তি, টিউনিক, কাফতান, এবং টপ্স-পালাজো সেট। এ ছাড়া শাড়ির ক্যাটাগরিকে সমৃদ্ধ করেছে কটন, মসলিন, সিল্ক, খাদি মসলিনের বৈচিত্র্যগুলো।
প্যাটার্ন, ফ্যাব্রিক এবং রঙের দিক দিয়ে বড়দের মতো বাচ্চাদের পোশাকেও মিলছে একই বৈশিষ্ট্যের দেখা।
রঙ বাংলাদেশ
বিপ্লব সাহা, সৌমিক দাস, মামুন আল কবির এবং জাকিরুল হায়দার। ১৯৯৪ সালে সদ্য স্নাতক পাশ করা এই চার বন্ধু মিলিত প্রচেষ্টায় জন্ম নেয় রঙ। কবির এবং হায়দার কয়েক বছরের মধ্যে তাদের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেন। কিন্তু বিপ্লব এবং সৌমিক টানা ২১ বছর ধরে চালিয়ে যান কাপড়ের ব্যবসা। অতঃপর ২০১৬ সালে, রঙ ‘বিশ্ব রঙ’ এবং ‘রঙ বাংলাদেশ’- এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এখানে ‘বিশ্ব রঙ’-এর কর্ণধার বিপ্লব সাহা, আর ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর একমাত্র মালিক সৌমিক দাস। প্যারেন্ট কোম্পানি ‘রঙ’-এর দৌলতে বর্তমানে দুটোই বেশ স্বনামধন্য ব্র্যান্ড।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
ঈদুল ফিতর ২০২৪ কে উপলক্ষ করে ‘রঙ বাংলাদেশ’ নিয়ে এসেছে ৪ উপাদান বিশিষ্ট ক্লাসিক্যাল থিম।
এগুলো হচ্ছে বাতাস, আগুন, পানি ও মাটি। এই থিমের সঙ্গে সব ধরনের পোশাকের নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেশীয় সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় আবহকে।
গ্রীষ্মের উষ্ণতার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন হালকা ওজনের ফেব্রিক। এগুলোর মধ্যে আছে স্লাব কটন, লিনেন, জ্যাকার্ড কটন, হাফসিল্ক, বারফি, জর্জেট ও ভিসকস। আর রঙের ভিত্তিতে প্রাধান্য পেয়েছে মেরুন, ফিরোজা, নীল, আকাশী, লাল, খয়েরি, হালকা কমলা, গাঢ় সবুজ ও কফি রঙগুলো।
অঞ্জন্স
১৯৯৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহীন আহমেদের হাত ধরে শুরু হয় অঞ্জন্সের পথ চলা। এবারের ঈদে অঞ্জন্সের নকশা শৈলী, রঙ ও ফেব্রিকে থাকছে বসন্ত থেকে গ্রীষ্মে রূপান্তরের আবহ।
সালোয়ার কামিজ ও ওড়নার মুল উপাদান লিনেন, জ্যাকার্ড কটন, রেয়ন, ডুপিয়ান, ও হাল্কা সিল্ক।
আরও পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
শাড়ি বিভাগে ঠায় পেয়েছে মসলিন, রাজশাহী বলাকা সিল্ক, টাঙ্গাইল কটন, লিনেন কটন, ও ভয়েল কাপড়। কামিজের পাশাপাশি শাড়ির নকশারও বিশেষ বিষয় ব্লকপ্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, কারচুপি ও ডিজিটাল প্রিন্ট।
কাপড় ও নকশার একই রকম হাল্কা কাজ দেখা যাচ্ছে পুরুষদের সেরা পোশাক পাঞ্জাবিতেও। স্লিম ফিট, কলিদার কাট, ও রেগুলার ফিট সব ধরনের আকারই মিলবে এবারের ঈদ আয়োজনে।
এক্স্ট্যাসি
১৯৯৭ সাল থেকে শুরু হওয়া দেশের স্বনামধন্য রেডিমেড পোশাক ব্র্যান্ড এক্স্ট্যাসির প্রতিষ্ঠাতা তানজিম আশরাফুল হক। এক্স্ট্যাসির অধীনে পুরুষদের জন্য স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড ‘তানজিম’ এবং নারীদের জন্য ‘জারজাইন’। শুধুমাত্র তরুণদেরকে উদ্দেশ্য করে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন মনোনিবেশ থাকে হাল ফ্যাশনের প্রতি।
সাধারণত পার্টি পরিধান, বোতাম-সমেত লম্বা হাতা, পিনস্ট্রিপ্ড শার্ট, ক্যাজুয়াল টি-শার্ট, ডেনিম জিন্স, এবং স্পোর্টস জ্যাকেট পুরুষদের মুল আকর্ষণ। এর সঙ্গে উৎসবগুলোতে যুক্ত হয় তানজিম স্কোয়াডের টি-শার্ট ও তানজিম পাঞ্জাবিগুলো। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে জারজাইনের কাফতান, শ্রাগ, টপস, শার্ট, এবং টপ-বটম সেট সর্বাধিক বিক্রয়ের তালিকায়। বিশেষ করে যারা এক রঙের পোশাক পরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই এক্স্ট্যাসি সেরা।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
৭ মাস আগে
সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
সাতক্ষীরার তালায় ঈদের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার পথে আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহোদরসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কের নোয়াপাড়া ও খলিশখালীর হাজরাপাড়া এলাকায় এ দুটি ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের আসাদ মোড়লের দুই ছেলে ইমরান হোসেন (১৯) ও রিফাত হোসেন (১৬) এবং একই উপজেলার ধলবাড়িয়া এলাকার আব্দুল বারিক শেখের ছেলে শেখ শাহিন (২৫)।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
হাজরাপাড়ার ঘটনায় আহত সুজন গাজী (২৫) জানায়, ঈদের কেনাকাটা করে শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা তিনজন মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ওই এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে।
এতে সুজন গাজী, ইমরান হোসেন ও রিফাত হোসেন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ইমরান হোসেনের মৃত্যু হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে অপর ভাই রিফাত হোসেন মারা যান।
এদিকে একইদিন রাতে অপর এক দুর্ঘটনায় শেখ শাহীন (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, শেখ শাহিন ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। মাস চারেক আগে বিয়ে করা শাহিন ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসেন।
শুক্রবার রাতে মির্জাপুর বাজারের কেনাকাটা শেষে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে নোয়াপাড়া বাজারে একটি মোটরসাইকেল পেছন থেকে ভ্যানটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এতে শাহিন ভ্যান থেকে ছিঁটকে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় তরুণ ব্যবসায়ী নিহত
৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯
১ বছর আগে
ঢাকায় খোলা থাকবে যেসব দোকান ও শপিংমল
ঈদ সামনে রেখে সরকার ব্যবসায়ীদেরকে দোকান ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে অনেকেই জনস্বার্থে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এর মধ্যেও ঢাকায় খোলা থাকছে বেশকিছু মার্কেট।
৪ বছর আগে