সংবর্ধনা
সেনাপ্রধান শফিউদ্দিনকে বিদায়ী সংবর্ধনা
সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মার্ড কোর, কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট।
বুধবার বগুড়া সেনানিবাসের আর্মার্ড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের প্যারেড গ্রাউন্ডে তাকে বিদায়ী কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার উদ্দেশে কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে তার বিদায়ী বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমার আরও সচেষ্ট হবে বলে আশ্বাস বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের
শফিউদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি আধুনিক ও চৌকস বাহিনী হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
এসময় জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে তার গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ এর আলোকে একটি আধুনিক ও যুগোপযুগী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জামাদি।
বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুগোপযুগী প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারসহ প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করেন।
পাশাপাশি তিনি কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
বিদায়ী সেনাপ্রধান আশা করেন, আর্মার্ড কোর, ইঞ্জিনিয়ার্স কোর এবং ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে উন্নতি ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে।
এর আগে সেনাপ্রধান বগুড়া সেনানিবাসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া।
উল্লেখ্য, তিনি গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ আর্মার্ড কোর, ২৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখ কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এবং ৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের 'কর্নেল কমান্ড্যান্ট' হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এর আগে তিনি ঘাটাইল সেনানিবাসে পৌঁছালে জিওসি ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও ঘাটাইলের এরিয়া কমান্ডার তাকে স্বাগত জানান।
পরে সেনাবাহিনী প্রধান ঘাটাইল এরিয়ার সব পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশে বিদায়ী দরবার গ্রহণ করেন এবং সবার সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিদায়ী বিমান বাহিনী প্রধান আব্দুল হানান
এয়ারবাসের উড়োজাহাজ যুক্ত হচ্ছে বিমানের বহরে, জানালেন বিদায়ী এমডি
৫ মাস আগে
প্রথম সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কলকাতা মিশনের সংবর্ধনা
ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে সংবর্ধনা দিয়েছে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন।
শুক্রবার(৯ ফেব্রুয়ারি) মিশন প্রাঙ্গণে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কূটনৈতিক কোরের সদস্য, পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অংশগ্রহণ
অতিথিদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সময়ের পরীক্ষিত বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা ও উন্নয়নের নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে এই বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করছেন।
শুক্রবার রাতে ঢাকায় ফেরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সীমান্তে নিরাপত্তার অবনতি 'উদ্বেগজনক': এমএসএফ
৯ মাস আগে
৬৯ দেশের অনারারি কনসাল ও কনসাল জেনারেলদের পররাষ্ট্র সচিবের সংবর্ধনা
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকায় ৬৯টি দেশের অনারারি কনসালদের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি ও জাপানের অনারারি কনসাল মাহবুবুল আলম, গ্রিসের অনারারি কনসাল জেনারেল ফারুক হাসান, ইন্দোনেশিয়ার অনারারি কনসাল সুফি মিজানুর রহমান, কনস্যুলার কর্পস বাংলাদেশের (সিসিবি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসিফ চৌধুরী, সিসিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মাল্টার অনারারি কনসাল শোয়েব চৌধুরী, জিবুতির অনারারি কনসাল আবদুল হক এবং মঙ্গোলিয়ার অনারারি কনসাল নাসরিন ফাতেমা আউয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেন।
আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল মাসুদ জামিল খান অন্যান্যদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসে পালিত হয়েছে জাতীয় প্রবাসী দিবস
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন বলেন- অনারারি কনসাল ও কনসাল জেনারেলরা তাদের প্রতিনিধিত্বকারী দেশ এবং আয়োজক দেশের মধ্যে সুদৃঢ় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
মাসুদ মোমেন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মতো অনারারি কনসালদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবেন।
আসিফ চৌধুরী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন- সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় থাকবে।
শোয়েব চৌধুরী বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পৃক্ততা জোরদারে অবদান রাখে। তিনি অনারারি কনসাল ও কনসাল জেনারেলদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি আমলে নেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র সচিবকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রণালয়ের চিফ অব প্রটোকল নাঈম উদ্দিন আহমেদ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এ অঞ্চলে যেকোনো দ্বন্দ্ব-যুদ্ধ বাংলাদেশকে উন্নয়ন লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারে: পররাষ্ট্র সচিব
১০ মাস আগে
১১৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা
১১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা ও সম্মানির টাকা তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস: বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি তাদের অনেকেই আর বেঁচে নেই। আমিসহ আমার সহযোদ্ধারা জীবনের শেষপ্রান্তে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের শপথ হওয়া উচিত আমৃত্যু তরুণদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য, চেতনা, আদর্শকে তুলে ধরতে কাজ করা।
মেয়র বলেন, মানুষের মুক্তির যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছি তা বাস্তবায়নে তরুণদের প্রস্তুত করতে হবে। সোনার বাংলা গড়ার অভিযাত্রায় পাড়ি দিতে হবে আরও বহুদূরের পথ।
তিনি বলেন, এ দায়িত্বটা তরুণদেরই নিতে হবে। কারণ তরুণরা যা পারে অন্যরা তা পারেনা। মুক্তিযুদ্ধেও সম্মুখ সারির লড়াইয়ে ছিলেন মূলত তরুণরাই।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা ইউএলএফ’র
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করা ভারতের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। চিকিৎসাসহ যেকোনো প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের ভিসা ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বে মডেলে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ়তর হবে বলে আমার বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার কামাল।
আরও বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, কাউন্সিলর নুরুল আমিন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনা সভার আয়োজন
১১ মাস আগে
একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
২০২৩ সালের একুশে পদক বিজয়ী ও বিশিষ্ট শিল্পী কনক চাঁপা চাকমাকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে বাংলাদেশের শিল্প ও শিল্পীদের সমর্থনকারী প্ল্যাটফর্ম গ্যালারি কসমস।
ঢাকার বারিধারার গার্ডেন গ্যালারিতে গ্যালারি কসমস আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গ্যালারি কসমসের পরিচালক তেহমিনা এনায়েতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পপতি ও শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক অঞ্জন চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী-শিক্ষাবিদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, কসমস ফাউন্ডেশনের পরিচালক দিলশাদ রহমানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটির দুর্গম পার্বত্য এলাকা তবলছড়িতে জন্ম নেওয়া কনক চাঁপা ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মাস্টার্স অব ফাইন আর্টস ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন, যেখানে তিনি মিড-আমেরিকা আর্টস অ্যালায়েন্স ফেলোশিপ লাভ করেন।
আরও পড়ুন: এসএম সুলতানের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলায় আয়োজন
ডিগ্রী শেষ করে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন, তার শৈল্পিক যাত্রা অব্যাহত রাখেন এবং দেশের সমসাময়িক শিল্পপটের অন্যতম সফল শিল্পী হয়ে ওঠেন।
অনুষ্ঠানে গ্যালারি কসমসের পরিচালক তেহমিনা এনায়েত বলেন, ‘শিল্প আমাদের আবেগ, চিন্তাভাবনা, অনুপ্রেরণা ও আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ। শিল্পের এই দর্শনগুলো কনক চাঁপা চাকমার কাজের মাধ্যমে আরও জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে ওঠে, যিনি আমার বোনের মতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘কনক চাঁপাকে আজ বাংলাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট শিল্পী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তার শিল্প বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তার অনেক চিত্রকর্ম চাকমা সম্প্রদায়ের প্রাণবন্ত জীবনকে প্রতিফলিত করে।’
তেহমিনা বলেন, ‘আধা-বাস্তববাদী এবং বিমূর্ত শৈল্পিক শৈলীর সংমিশ্রণে, কনক তার সম্প্রদায়ের জীবনকে চিত্রিত করেছেন, বিশেষত নারীদের; এবং অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার জয়ের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন- একজন শিল্পী এখনো একই সময়ে সামাজিকভাবে সচেতন ও ব্যাপকভাবে সফল হতে পারেন।’
আরও পড়ুন: শরৎ নাচে শুভ্র কাশে
১ বছর আগে
প্রধান বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা ইউএলএফ’র
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপিপন্থী ও সরকারবিরোধী আইনজীবীদের মোর্চা ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলএফ)।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সম্মেলনটির আয়োজন করে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলএফ)।
লিখিত বক্তব্যে ফ্রন্টের কনভেনর ও বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, লুণ্ঠিত ভোটাধিকার, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির এডহক কমিটি ইতোমধ্যেই বারের সদস্যদের পক্ষ থেকে আগামী ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য আপিল বিভাগের ১নং কোর্ট রুমে প্রধান বিচারপতির কথিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং পরে বারের সদস্যদের সঙ্গে শ্রদ্ধেয় বিচারকদের সৌজন্য সাক্ষাতের কর্মসূচি বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন নাকচ আইন মন্ত্রণালয়ের
ইউএলএফ অত্যন্ত ব্যথিত চিত্তে বিচার বিভাগের মর্যাদা, সম্মান, প্রধান বিচারপতি পদের ভাবগাম্ভীর্য এবং বিচার বিভাগের ওপরে বাংলাদেশের জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আগামী ৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট বারের তথাকথিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে।
আগামী ৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট বার চত্বরে বর্জনের সিদ্ধান্তের সমর্থনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল এবং আইনজীবী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি শপথ গ্রহণ করেন ২৬ সেপ্টেম্বর।
সুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবীসহ দেশের সব শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ প্রত্যাশা করেছিল প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিচারালয়ের সর্বোচ্চ চেয়ারের মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য এবং দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা বিচারিক প্রথা বজায় রাখবেন। যদিও তার রাজনৈতিক অতীত এবং বারে আইনজীবী থাকাবস্থায় বর্তমান সরকার ও সরকারি দলের সব প্রকার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রশ্নাতীতভাবে তার নিয়মিত অংশগ্রহণ আইনজীবী সমাজের জানা আছে।
তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত বেদনাহত মন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর থেকে ফুলের শুভেচ্ছা নিতে নিতে, এক পর্যায়ে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন, যার সচিত্র প্রতিবেদন গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ৫২ বছরের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা এবং প্রবীণ আইনজীবীদের ভাষায় বিচার বিভাগের জন্য চরম বেদনার মুহূর্ত। শুধু তাই নয় শপথ গ্রহণের দুই দিনের মাথায় একটি জেলা সমিতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিতর্কিত পুলিশ অফিসার, আইনজীবী নিপীড়নকারী এবং নিয়মিত মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ডিবি হারুনের কাছ থেকে একটি বৃহদাকার ‘তলোয়ার’ উপহার হিসেবে প্রধান বিচারপতির গ্রহণ করার ছবি গণমাধ্যমে প্রচারের পর বাংলাদেশের আইনজীবী সমাজ হতাশ-বিস্মিত হয়েছে।
আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন শুরু করতে না করতেই সংবর্ধনার মেলা এবং নানাবিধ বক্তব্য প্রধান বিচারপতির মতো সর্বোচ্চ সাংবিধানিক বিচারিক পদকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশেষ করে গত ১ অক্টোবর নেত্রকোণা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঞ্চালনায় প্রধান বিচারপতির সম্মানে সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন- সরকারের প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা, বিচারপতি, স্থানীয় আমলা ও পুলিশের কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ আ.লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আওয়ামী লীগের দলীয় সংবর্ধনা গ্রহণ করার মধ্যদিয়ে প্রধান বিচারপতির মতো নিরপেক্ষ পদের মর্যাদা ও সম্মানহানি ঘটিয়েছেন।
এতে বিচার বিভাগের ওপর সাধারণ মানুষের অনাস্থা আরও গভীরতর হচ্ছে। বিচার বিভাগ নিপতিত হবে গভীর সংকটে।
এরপরেও আমরা মনে করি, এই সংগঠনকে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর লক্ষ্যে কোনো দলের পক্ষে বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে আপনার দায়িত্ব থাকবে, নিরপেক্ষ থাকবেন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখবেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ইউএলএফ-এর কো-কনভেনর সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুনের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
সাভারে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
পাবনা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনায় একযোগে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে পাবনা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
পাবনা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে স্মারক প্রদান করা হয়।
বক্তব্যে পাবনার উন্নয়নে রাষ্ট্রপতি তার বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রম তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সফরে বুধবার নিজ জেলা পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ পাবনার সার্বিক উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, সকলের প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পাবনাও উন্নত হবে।
আরও পড়ুন: শিশুদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে সুযোগ তৈরির আহ্বান রাষ্ট্রপতির
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা।
পাবনা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, মো. বেবী ইসলাম, অধ্যাপক শিবজিত কুমার নাগ এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং নৈশভোজের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির মতবিনিময়
১ বছর আগে
বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখুন: শেষ কার্যদিবসে প্রধান বিচারপতির আহ্বান
বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার মেয়াদের শেষ কার্যদিবসে আয়োজিত এক বিদায়ী সংবর্ধনায় তিনি এ আহ্বান জানান।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ জনগণের মৌলিক অধিকারের রক্ষক। এটি সংবিধানের রক্ষকও বটে।
তিনি বলেন, তাই বিচারকদের সাহসী ও ন্যায়পরায়ণ হতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে বা আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ থেকে বিচ্যুত হলে রাষ্ট্র ও নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য।
তিনি বলেন, প্রকৃত অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের বিকাশ, আইনের শাসন সংরক্ষণ, সমাজের দুর্বল জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অপরিহার্য।
বিচার বিভাগ যাতে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব থেকে বিচার বিভাগকে রক্ষা করা বিচারক, আইনজীবী ও রাষ্ট্রের প্রত্যেক দায়িত্বশীল নাগরিকের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক: প্রধান বিচারপতি
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা, আপনারা সবাই সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হই, প্রত্যেক নাগরিক কঠিন সময়ের মুখোমুখি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক বিভাজন রাস্তা পেরিয়ে আদালতের দিকে এলে তা বিচার বিভাগের জন্য মঙ্গলজনক নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে আইনজীবীদের মধ্যে বিভক্তি ও মতবিরোধ এবং তাদের প্রতিক্রিয়া বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যে মহান চেতনায় আমাদের সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল, তার প্রতি আমাদের সবার একটি মহান জাতীয় দায়িত্ব রয়েছে। দেশের সব আইন ও সব আইনি কার্যক্রম সাংবিধানিক চেতনার প্রতিফলন করবে, আমাদের অবশ্যই তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ শান্তি চায়, কিন্তু সম্পূর্ণ শান্তির জন্য আমাদের এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।’
২৫ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি অবসরে যাচ্ছেন। তবে আজই ছিল তার শেষ কার্যদিবস। প্রথা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কোর্টরুম-১ এ বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির ও সচিব আবদুন নূর দুলাল এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবর্ধনা দেন।
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি ও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ দুর্বল হলে সে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী বলা যাবে না: প্রধান বিচারপতি
বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
১ বছর আগে
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনা সভার আয়োজন
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাস ১৬ মে (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় ক্রেমলিনের সন্নিকটে স্থানীয় ফোর সিজনস হোটেলে এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুদেনকো।
এতে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন মস্কো সিটি গভর্নমেন্টের মন্ত্রী এবং মস্কোর বৈদেশিক অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক দপ্তরের প্রধান সের্গেই চেরেমিন ও রাশিয়ান পার্লামেন্ট স্টেট ডুমার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান সভেৎলানা ঝুরোভা।
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মস্কোতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সৌদি আরব, ভারতসহ ষাটের অধিক দেশের রাষ্ট্রদূত, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যোগদান করেন।
সংবর্ধনা সভায় রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান তার বক্তব্যের প্রথমেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে সংঘটিত তার নির্মম হত্যাকাণ্ডে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রগতির পথ রুদ্ধ হয়ে যায় বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আবারও উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারায় ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন: মস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছে ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর ‘ভিশন ২০৪১’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যাবে। তিনি এ সময় বিভিন্ন বাস্তবায়িত ও নির্মীয়মান মেগা প্রকল্প কীভাবে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা বদলে দিচ্ছে সে সম্পর্কে অতিথিবৃন্দকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে তা উল্লেখ করে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-রাশিয়ার ঐতিহাসিক ও দৃঢ় বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
১৯৭২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রথম সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্কের যে ভিত রচিত হয়েছিল তা প্রধানমন্ত্রীর ২০১৩ সালের সফরের মাধ্যমে আরও সুদৃঢ় হয় বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
তিনি তার বক্তব্যে শিক্ষা, শিল্প, বাণিজ্য ও জ্বালানি ইত্যাদি নানা খাতে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন।
এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই ইউরিয়েভিচ রুদেনকো বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা রাশিয়ার বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন যে রাশিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দরের মাইন ও ডুবে থাকা জাহাজ উত্তোলন করে বন্দরটিকে আবার সচল করে তোলে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ভোট দানে বিরত থাকায় ঢাকাকে মস্কোর ধন্যবাদ
তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া তথা আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও বাংলাদশের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
রুদেনকো দুই দেশের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমতাভিত্তিক বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশ অধিকাংশ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অভিন্ন ধারণা পোষণ করে।
তিনি দুই দেশের মধ্যে চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি নির্মীয়মান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের কথা উল্লেখ করে দুই দেশের জ্বালানি সহযোগিতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার ব্যাপারে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সবশেষে তিনি ‘জয় বাংলা’ বলে তার শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষ করেন।
এছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সেইন্ট পিটার্সবার্গের গভর্নর আলেকসান্দর বেগলভও বিশেষ বার্তা প্রেরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন, মেগা প্রকল্প, বিনিয়োগ, পর্যটন ইত্যাদি বিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে স্থানীয় ও বাংলাদেশি বিভিন্ন খাবার দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল তারিখ সন্ধ্যায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাশিয়ান ফেডারেশনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের অংশগ্রহণে আরও একটি সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াবে মস্কো: উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৮০ শিক্ষার্থীকে হেলিকপ্টারে ঘুরিয়ে সংবর্ধনা!
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রাথমিকে বৃত্তিপ্রাপ্ত রংধনু মডেল স্কুলের ৮০ জন শিক্ষার্থীকে হেলিকপ্টারে ঘুরিয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
রংধনু মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, চার লাখ টাকা দিয়ে হেলিকপ্টারটি ভাড়া করা হয়। প্রতিবারে চারজন করে শিক্ষার্থীকে ১০ মিনিট করে হেলিকপ্টারটি শাহজাদপুর উপজেলার আকাশে ঘুরিয়ে আনা হয়। এমন আয়োজনে শিক্ষার্থীরা খুব খুশি।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত এমপি বাদশাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. শাহ আজম।
তিনি বলেন, এ আয়োজন শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় আরও উৎসাহী করে তুলবে। আমি শিক্ষার্থীদের মঙ্গল কামনা করেছি।
এ সময় শিক্ষার্থীরা নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করে।
ওই স্কুলের অধ্যক্ষের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আজাদ রহমান, পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মা-বাবার স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে কনের বাড়িতে বর!
মালয়েশিয়ান স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরলেন প্রবাসী ব্যবসায়ী
১ বছর আগে