প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭ এপ্রিল পর্যন্ত খোলা থাকবে
দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী ৭ এপ্রিল (১৫ রমজান) পর্যন্ত খোলা থাকবে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে মহানগর, ডবল সিফট ও সিঙ্গেল সিফট সকল স্কুলের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থাৎ, রমজান মাসে মোট ৯ কার্যদিবস স্কুল খোলা থাকবে।
সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় এ সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত ঘোষণা
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বই ছাপানোর পরিকল্পনা
১ বছর আগে
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার স্থগিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে প্রকাশিত ফলাফলে যে অসঙ্গতি ছিল নতুন ফলাফলে সেটা সংশোধন করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ফল প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয় আশা করে যে নতুন প্রকাশিত ফলাফল সব বিভ্রান্তি দূর করবে।
২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার ও সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি পাবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত ঘোষণা
ফল যেভাবে জানা যাবে
বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.mopme.gov.bd), এছাড়া স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে।
ঘরে বসেও মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে জানা যাবে ফল
এজন্য মোবাইলে DPE Thana/Upazila Code No. Roll Number Year লিখে 16222 এ সেন্ড করলে ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ২৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল হতে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা সারা দেশে এক যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট নম্বর ছিল ১০০ এবং সময় ছিল দুই ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী
১ বছর আগে
জানুয়ারি থেকে সব প্রাথমিকে এক শিফটের স্কুল
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক শিফটে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রায় ৯০ ভাগ কাজই শেষ হয়েছে। আর শিক্ষকদের ক্লাস নেয়ার সময়ও বাড়ানো হবে।’
গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) প্রশাসনের বড় রদবদলের অংশ হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। রবিবার (৩০ অক্টোবর) ছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার শেষ কর্মদিবস।
সচিবালয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা রাতারাতি স্কুলভবনও নির্মাণ করতে পারছি না। যে কারণে ছাত্র ও শিক্ষক সংখ্যা সবকিছু বিবেচনা করে আমরা দেশের সব স্কুলকে এক শিফটে আনার পরিকল্পনা করেছি। সে ব্যাপারে কাজ প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, এতে কোনো স্কুলই বন্ধ হচ্ছে না। কোনো শিক্ষকই চাকরি হারাচ্ছেন না। সবই ঠিক থাকছে। কিন্তু আমরা কাজটিকে ভাগ করছি। যেখানে দুই কক্ষ আছে, সেখানে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক থাকছে। আবার যেখানে ভবন করার সুযোগ আছে, সেখানে ভবন করবো। সবমিলিয়ে আমরা আশা করছি, দেশের সব প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক শিফটে নিয়ে আসব।
পড়ুন: জানুয়ারির ১ তারিখেই নতুন বই পাবে শিক্ষার্থীরা: দীপু মনি
এক কক্ষের স্কুলগুলোকে দ্বিকক্ষের স্কুলের সঙ্গে সংযুক্তি করে ফেললে এক কক্ষের জায়গাগুলো কী হবে জানতে চাইলে এই সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা কোনো স্কুলের জায়গাই নষ্ট করছি না। সেখানে আমদের সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার (এটিও), মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন, এককক্ষের স্কুলগুলোকে তাদের অফিস করে দেয়া হবে।
তবে সব জায়গায় একই কৌশল ব্যবহার হবে না বলেও জানান তিনি।
সচিব বলেন, একেক জায়গার জন্য আমরা একেক ধরনের কর্মকৌশল নির্ধারণ করবো। যে কারণে বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে একটু সময় লাগছে। আমরা পর্যায়ক্রমে কাজটি করবো। কিন্তু কোথাও স্কুল সংখ্যা কম, এমনও গ্রাম আছে, যেখানে তিন কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র একটি স্কুল, তাতে দুটি কক্ষ আছে। সেখানে কক্ষ বাড়ানো ছাড়া কিছু করার সুযোগ নেই। যে কারণে আমরা বিভাগ অনুসারে, জেলা অনুসারে, উপজেলা অনুযায়ী, যেমন চরাঞ্চলে, হয়তো সেখানে ছাত্রসংখ্যা ৫০ জন, কিন্তু স্কুলটি রাখতে হচ্ছে। কারণ চরে পড়াবার আর কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে বিষয়গুলো ঘটনা অনুসারে পর্যালোচনা করছি এবং নির্ভুলভাবে করার চেষ্টা করছি। আগামী জানুয়ারি থেকেই আমরা এটি করতে পারবো। পুরোটা করতে না পারলেও অনেকটা শেষ করবো।
সেক্ষেত্রে ক্লাসের সময়টা কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা কিংবা মহানগর এলাকার একটি সময় আছে। কিন্তু গ্রামের স্কুলগুলোতে একটু দেরি করে ক্লাস শুরু হয়। আবার স্কুলগুলো গ্রামে হলেও শিক্ষকরা শহরে থাকেন। যে কারণে যাতায়াতের ব্যাপারটিও আমরা বিবেচনায় রাখছি। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হলো, শিক্ষকরা ক্লাসে থাকছেন কি না, সেটির ওপর। কারণ আমরা চাই, শিক্ষকরা যাতে নিয়মিত পাঠদান করেন। আর টিচিং লার্নিং সময়টাও আমরা বাড়াতে চাই। যে কারণে আমরা এক শিফটে নিয়ে আসতে চাচ্ছি। তিন ঘণ্টার জায়গায় আমরা সাড়ে চার ঘণ্টা পাঁচ ঘণ্টা করতে চাই।
ঢাকার অনেক স্কুলে অনেক বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে, সেখানে তাদের এক শিফটে নিয়ে আসলে বাচ্চাদের অন্য স্কুলে পাঠানো যাবে না। সেক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত কী জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের কোথাও কোথাও পরিস্থিতি অনুসারে ভাবতে হবে। এই সংকটটা মহানগরীগুলোতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে রয়েছে। আবার আইডিয়াল স্কুলের পাশে সুন্দর অবকাঠামোসহ স্কুল আছে, সেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না, এতে সেখানে শিক্ষার মান বাড়ছে না। অথচ সেখানে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষকরা আছেন। শিক্ষার্থীরা গেলে তো স্কুলটা কার্যকর হবে। যে কারণে আমরা চাই, আমাদের দেশের সব স্কুল সমমান সম্পন্ন হোক।
পড়ুন: শিক্ষাকে প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ল
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সকল ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিও বাড়ল ২৯ মে পর্যন্ত
বিজ্ঞতিতে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় এবং দেশের কোন কোন অঞ্চলে আংশিকভাবে কঠোর লকডাউন কার্যকর থাকায়, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় নিজেদের ও অন্যদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে। পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল
বিজ্ঞতিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে জারীকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসনগুলো শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের ছুটি বাড়ল ২৯ মে পর্যন্ত
এতে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন।
৩ বছর আগে
ত্রাণ তহবিলে ২৩.৩৯ কোটি টাকা দিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কর্মহীন, অসহায়, দরিদ্র মানুষকে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ২৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
৪ বছর আগে