জয়পুরহাট
জয়পুরহাটে কামাল হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে আধিপত্য বিস্তারের জেরে কামাল নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার তেঘর রেলগেটের সুজাউল ওরফে সেজাউল, পার্শ্ববর্তী মুজিব নগরের রুবেল, পলি কাদোয়া গ্রামের লম্বা বাবু, জয়পুরহাট পৌর এলাকার পূর্ব দেবীপুর মহল্লার জিয়া, নতুন হাট-সংলগ্ন দেওয়ান পাড়ার মিজানুর রহমান ওরফে পিচ্চি জুয়েল, গৌরীপাড়ার ফরিদুল ইসলাম ওরফে কানা সবুজ, রানা আহম্মেদ ও ইসলাম নগরের মিঠুন।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলার ৮ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন
এদের মধ্যে সেজাউল, জিয়া, মিজানুর ও কানা সবুজ পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পূর্ব দেবীপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে কামালের সঙ্গে সেজাউলের বিরোধ চলছিল। এর জেরে আসামিরা কামালকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তেঘর রেললাইন-সংলগ্ন এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরের দিন ৪ অক্টোবর সকালে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
সেদিনই নিহতের মা মোছা. বেগম বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ দুপুরে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় নারীসহ দুজনের যাবজ্জীবন
৩ সপ্তাহ আগে
জয়পুরহাটে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাট ডাকাতি মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আরেকটি ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া মামলায় তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দিকে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন- জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের দাসরা খাঁপাড়ার ফজলু, তাজেল, উপজেলার পুরানাপৈল এলাকার মুকুল হোসেন পাংকু, কোচনাপুরের আনোয়ার হোসেন ও আমসাহাপুর- পালি গ্রামের মিঠুন হোসেন।
এদের মধ্যে ফজুল, মুকুল ও মিঠুন পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে সদরের ভাদসা এলাকার গোলাম মাহমুদ মন্ডলের বাড়িতে ডাকাতি হয়।
এসময় তার পরিবারের লোকজনকে ডাকাতরা মারধর করে হাত-পা বেঁধে রেখে স্বর্ণালংকার, টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
এরপর পুলিশ ও স্থানীয়রা পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ঘটনায় ২১ ফেব্রুয়ারি সদর থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
১ মাস আগে
জয়পুরহাটে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সদর থানা থেকে লুট হওয়া একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও ৩৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে জয়পুরহাট চুনা পাথর খনি ও সিমেন্ট প্রকল্প মাঠের পাশের একটি ঝোপ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব জানান, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ওইদিন সন্ধ্যায় জয়পুরহাট সদর থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। থানার অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সরকারি সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের জয়পুরহাট চুনা পাথর খনি ও সিমেন্ট প্রকল্প মাঠের পাশের ঝোপ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এ পিস্তল, গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জয়পুরহাট থানা থেকে মোট ৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি লুট হয়েছিল। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
৩ মাস আগে
জয়পুরহাটে শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ২১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জয়পুরহাটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদসহ ২১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে মেহেদী হাসান (২৫) নিহতের ঘটনায় জয়পুরহাটের আদালতে এই মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ৩৭ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নামে মামলা
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নিহত মেহেদী হাসানের স্ত্রী জেসমিন আকতার জয়পুরহাটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করতে জয়পুরহাট সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদি আইনজীবী আব্দুল মোমিন ফকির এ তথ্য জানিয়েছেন।
অন্যান্য আসামির মধ্যে সাবেক হুইপ সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও সামছুল আলম দুদু রয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে জয়পুরহাট থানায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মেহেদী হাসান নিহত হয়। সে জয়পুরহাট সদরের নতুনহাট শেখপাড়া মহল্লার আলতাফ হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ডাক বিভাগের সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
মুন্সীগঞ্জে সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৫০৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা
৩ মাস আগে
জয়পুরহাটে শিক্ষার্থী হত্যা: শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে কলেজছাত্রের নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে নিহত নজিবুল সরকার ওরফে বিশালের বাবা মজিদুল সরকার বাদী হয়ে জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরসহ আওয়ামী লীগের ১০১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
মামলার বাদীর পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মোমিন ফকির জানান, মামলার আসামির তালিকায় রয়েছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক হুইপসহ জয়পুরহাটের দুই সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা।
মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করতে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে পাঁচবিবি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নজিবুল সরকার ওরফে বিশাল (১৮) নিহত হন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিক্ষার্থী হত্যা: শেখ হাসিনা, সাবেক এমপি শিমুলসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৪ মাস আগে
জয়পুরহাটে হুইপের বাসা থানাসহ মেয়রের অফিসে হামলায় নিহত ১, আহত ৪০
জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের বাসভবন, জয়পুরহাট থানা ও পৌরসভার মেয়রের অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় শেখ মেহেদী নামে একজন নিহত ও অন্তত ৪০ আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ২ জনসহ ৩৪ জনকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ২ এমপি ও শতাধিক আ. লীগ নেতার বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, ৬ জনের লাশ উদ্ধার
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকালে বিক্ষুব্ধ জনতা এ হামলা চালায়।
হামলায় জয়পুরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সদর উপজেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতার বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে দিল জনতা
পালানোর সময় সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আটক
৪ মাস আগে
জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কলেজ শিক্ষক আলী হাসান বাবু হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আসাদুল, মজিবর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল হান্নান, আনিছুর, কালাম, খায়রুল, বাবু, সোহেল, মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও আজিজুল।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও আজিজুল ছাড়া বাকিরা পলাতক।
আরও পড়ুন: নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কাঁকড়া গ্রামের আবুল কাশেম মণ্ডলের ছেলে আলী হাসান বাবু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শহরগাছি আদর্শ মহাবিদ্যালের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি পাইকরদরিয়া গ্রামে বিভিন্ন স্টক ব্যবসাও করতেন।
২০০৯ সালের ১৭ জুন রাতে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাঁকড়া সেতুর কাছে হামলার শিকার হন। ব্যবসার টাকা ছিনতাই করতে গলায় রশি পেঁচিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তাকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ নদীতে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পরের দিন এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই আবু বক্কর পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
৫ মাস আগে
জয়পুরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল নারী এনজিও কর্মীর
জয়পুরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় যূথী নামে এক এনজিও কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মরিয়ম।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে সদর উপজেলার জয়পুরহাট-ধামুইরহাট সড়কের মঙ্গলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যূথী সদর উপজেলার ইছুয়া গ্রামের এমদাদুল হকের মেয়ে। সে ডিএমএসএস নামে স্থানীয় একটি এনজিও’র (বেসরকারি সংস্থা) মঙ্গলবাড়ী শাখার হিসাব রক্ষক ছিলেন। আহত জয়পুরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মরিয়ম ইছুয়া খারডা গ্রামের আব্দুস সোবহানের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে যূথী নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল করে মরিয়মকে নিয়ে জয়পুরহাট শহরের দিকে যাওয়ার সময় মঙ্গলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সামনে পৌঁছালে সামনের দিক থেকে আসা পাথরবাহী একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই যূথী মারা যান।
এ ঘটনায় মরিয়ম গুরুতর আহত হলে তাকে দ্রুত জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পর চালক ট্রাকটি ফেলে পালিয়ে গেছে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।
৫ মাস আগে
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষক সামছুল ইসলাম হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরের দিকে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত হাফেজের ছেলে ছাবদুল, ছাবদুলের চার ছেলে হেলাল ওরফে হেলু, আলম, ইদ্রিস ও রেজাউল, ছাবদুলের স্ত্রী ফাতেমা, আলমের স্ত্রী ফারজানা, হেলালের স্ত্রী লিলিফা, আমেজ উদ্দীনের ছেলে হেলাল উদ্দীন ও রুকিন্দীপুরের জিয়াউল হকের স্ত্রী ফুত্তি বেগম। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন দুই জন।
জয়পুরহাট জজ কোর্টের সহকারী কৌশলী (এপিপি) আইনজীবী গোকুল চন্দ্র মন্ডল এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের ছাবদুলের কাছ থেকে প্রায় ৪০শতক জমি কবলা করে প্রায় ২১ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন একই গ্রামের কৃষক সামছুল ইসলাম। পরে সেই জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আসামিরা সামছুল ও বাবাকে মারপিট করে আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল নেয়। অবস্থার অবনতি হলে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (সজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। পরে কিছুটা সুস্থ হলে তাকে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নিজ বাড়িতে আনা হয়। ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মেরিনা বেগম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত সোমবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্কুলছাত্র হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন
৬ মাস আগে
জয়পুরহাটে ভেজাল বিরোধী অভিযান: ৩ বেকারিকে জরিমানা
অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরির অভিযোগে জয়পুরহাট শহরের তিনটি বেকারিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও র্যাব।
এছাড়া বেকারির কারখানায় পাওয়া বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকারক বিভিন্ন কেমিক্যাল ধ্বংস করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল পর্যন্ত জয়পুরহাট শহরের কাজল বিস্কুট ফ্যাক্টরি, জনতা বেকারি ও মানিক বেকারিতে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সহযোগিতায় এ অভিযান চালায় জয়পুরহাটের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডিমের বাজারে অভিযান, ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
তিনি সাংবাদিকদের জানান, এ অভিযানে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন বেকারির পণ্য তৈরি, ক্ষতিকর পোড়া তেল, রং, ইত্যাদি কেমিক্যাল ও কৃত্রিম ফ্লেভার ব্যবহার করা হচ্ছে। সে কারণে শহরের জামালগঞ্জ সড়কের কিনাপাড়া এলাকার কাজল বিস্কুট ফ্যাক্টরিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে কারখানায় পাওয়া ক্ষতিকারক কেমিক্যাল পাশের ড্রেনে ফেলে ধ্বংস করা হয়। পৌর এলাকার বৈরাগির মোড়ে জনতা বেকারিকে ২০ হাজার ও মানিক বেকারিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে বেকারির খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা বিভিন্ন ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ধ্বংস করা হয়।
এ ধরনের ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও র্যাব কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে র্যাবের অভিযানে ‘এ্যাম্পল’ জব্দ, আটক ২
৬ মাস আগে