জয়পুরহাট
জয়পুরহাটে স্কুলের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রধান শিক্ষক কারাগারে
জয়পুরহাটে বিদ্যালয়ের (স্কুল) গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় শহরের কাশিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জয়পুরহাট আমলী-১ আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
জয়পুরহাটের আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ জুন জয়পুরহাট শহরের কাশিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় চত্তরের ৮টি বড় গাছ প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় কাঠ ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র হাওলাদারের কাছে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। পরে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পূবালী ব্যাংকে জয়পুরহাট শাখায় জমা দেন। আর বাকি ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে একই বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোস্তাকিম হোসেন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় সোমবার প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতির মামলায় সীতাকুণ্ডের ইউপি সদস্য বাবলু কারাগারে
শেরপুরে বিস্ফোরক মামলায় কারাগারে বিএনপির ২২ নেতা-কর্মী
জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যা: স্ত্রীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
সোমবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন- জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর-দূর্গাপুর গ্রামের মোখলেছার রহমানের মেয়ে জোৎস্না বেগম ও দাশরা খানপাড়ার বুলু মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া বাবু।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জোৎস্না বেগম বিয়ের পর ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর-দূর্গাপুর গ্রামে ঘর জামাই থাকতেন। তার স্ত্রী পার্শ্ববর্তী গ্রামের শাহিন মিয়া বাবুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তার জেরে ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর বিকালে আসামিরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের চাচা ছানাউল ইসলাম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত সোমবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নারী হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে মাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে ট্রাক্টরের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
জয়পুরহাটে দ্রুতগামী ট্রাক্টরের ধাক্কায় এক আইনজীবীর স্ত্রী ঘটনাস্থলে প্রাণ হারিয়েছেন।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাড়ে ১২ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শেফালী বেগম জয়পুরহাট সদর উপজেলার দিওর গ্রামের আইনজীবী আলাউদ্দিনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: শেরপুর আগুনে পুড়ে দাদি-নাতির মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে সাড়ে ১২ টার দিকে শেফালী বেগম নিজ বাড়ি সংলগ্ন সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে (লগি দিয়ে) ছাগলের খাবারের জন্য কাঁঠাল গাছের পাতা পাড়ছিলেন। এ সময় দ্রুতগামী একটি ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনার পর ওই ট্রাক্টরের চালক ট্রাক্টর ফেলে পালিয়ে যায়। ট্রাক্টরটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড: চমেকে আরও ১ শিশুর মৃত্যু
শরবত পান করে শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি পরিবারের ৪ জন
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আবু হোসাইন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
আসামিরা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কোকতারা গ্রামের মৃত রুস্তম আলী টুরার স্ত্রী মোসা. সহিদা বেগম ও ছেলে রব্বানী, একই গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন এবং দরগাপাড়া গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী আমিনা বেগম ও ছেলে রাফিউল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ সকালে পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়ির সামনে খড়ের গাদা থেকে খড় খোলার সময় ওই গ্রামের আবু তাহেরের উপর আসামিরা হামলা চালায়। এ সময় তার ছেলে আবু হোসাইন সেখানে ছুটে যান। আসামিরা তাকেও আক্রমণ করে। তিনি গুরুতর আহত হলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে মারা যান আবু হোসাইন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
পরে এ ঘটনায় তার বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে ৪ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা আবু হোসাইনকে উদ্ধার করে প্রথমে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে আবু হোসাইনকে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
এ ঘটনায় তার বাবা আবু তাহের ওই বছরের ৪ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুজনকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ৫ ও র্যাব-১০।
র্যাব -৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদসা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. বাইতুল হোসেন সুজন (৩৮) জয়পুরহাট পৌর এলাকার দেবীপুর- মন্ডলপুর মহল্লার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালে ২৮ জুন জয়পুরহাট পৌর এলাকার প্রামাণিক পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেনকে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মৃত মোয়াজ্জেমের বাবা বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৩ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জের হত্যা মামলার ২ আসামি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ৩১ জানুয়ারি জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন অভিযুক্ত ১১ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সুজনসহ ৬ জন আসামি পলাতক ছিলেন।
মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজর বৃদ্ধি করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদসা এলাকা থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের যৌথ দল।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার রাতে সুজনকে জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে নৌকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় ২ কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার ১৬, অস্ত্র-ককটেল জব্দ
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন হত্যা মামলায় ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
তবে রায় ঘোষণার সময় ৬ আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট পৌর এলাকার দেওয়ানপাড়া মহল্লার মৃত ইউনুছ আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদীন; শান্তিনগর মহল্লার মৃত শাজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার রওশন সুমন; আরাফাতনগর মহল্লার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ; দক্ষিণ দেওয়ানপাড়া মহল্লার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন মনছুর; তেঘরবিশা গ্রামের মৃত কাবেজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম; দেওয়ানপাড়া মহল্লার আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা; দেবীপুর কাজিপাড়া মহল্লার মৃত মকবুল হেসেনের ছেলে শাহী; দক্ষিণ দেওয়ানপাড়া মহল্লার ওয়ারেছ আলীর ছেলে টুটুল; দেবীপুর মন্ডলপাড়া মহল্লার রফিকের ছেলে সুজন; দেবীপুর কাজিপাড়া মহল্লার নুর হোসেন নমুর ছেলে রহিম ও নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলার ধুরইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু।
আরও পড়ুন: নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকালে জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিক পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে পৌর এলাকার পাঁচুরচক মাধ্যমিক বিদ্যালয় নবম শ্রেণীর ছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেনকে তুলে নিয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে জয়পুরহাট শহরের জামালগঞ্জ সড়কের একটি আম গাছের নিচে তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
ঘটনার পরদিন রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে পরের দিন জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত বুধবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে ট্রেনে নাশকতার পৃথক মামলায় ৩ আসামি গ্রেপ্তার
জয়পুরহাটে পৃথক দুটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে সান্তাহার রেলওয়ে থানার পুলিশ।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর)ভোরে জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- জয়পুরহাটের নিশিপাড়া মহল্লার অপু ও তাইজুল ইসলাম এবং আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর গ্রামের মমিন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে লবণবোঝাই ট্রাকে ১৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ, আটক ২
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তার হোসেন জানান, 'গত ৪ ডিসেম্বর ভোরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশনে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে ও ১৫ ডিসেম্বর রাতে জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে উত্তরা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
ওই দু’টি নাশকতার ঘটনার সন্দেহভাজন মূল হোতা অপু,তাইজুল ও মমিন।
তিনি বলেন, আজ আকস্মিক অভিযান চালিয়ে তাদের জয়পুরহাটের নিশিপাড়া ও জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা সকলেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সান্তাহার রেলওয়ে থানায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ২ ভাই আটক
জয়পুরহাটে ৪ বছর ধরে জব্দ হওয়া ১৯ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস
জয়পুরহাট সীমান্তে গত চার বছর ধরে জব্দ হওয়া আনুমানিক ১৯ কোটি টাকা মূল্যের মাদ্রকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট-২০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদরের প্রশিক্ষণ মাঠে রোলার দিয়ে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ৫ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস
এ মাদকদ্রব্য ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিজিবি'র রংপুর রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার শফিকুজ্জামান।
এ সময় বিজিবি’র দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল রাশেদ আজগর, জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজীসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে ছিল-
এক লাখ ২৩ হাজার ২১৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৯ হাজার ৫১০ বোতল বিদেশি মদ, ১৫৬ লিটার দেশি মদ, ৩৮৬ কেজি গাজা, ৪৩ হাজার ৬৪৯টি ইয়াবা, ২০ হাজার ৮৮ বোতল নেশা জাতীয় সিরাপ ও সাত লাখ ৬৫ হাজার ৮৬৭টি নেশা জাতীয় ইনজেকশন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মাদক ধ্বংস
কক্সবাজারে ৩৯৫ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করল বিজিবি
জয়পুরহাটে গলাকেটে বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ, ২ ছেলে ও তাদের স্ত্রী আটক
জয়পুরহাটের কালাইয়ে এক ব্যক্তিকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের দুই ছেলে ও দুই পুত্রবধূকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) উপজেলার শিকটা গ্রামে নিজের ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বাবুগঞ্জে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা!
নিহত সৈয়দ আলী আকন্দ (৭১) কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত মোতারাজ আলীর ছেলে৷
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন সৈয়দ আলী। শুক্রবার সকালে ছেলের বউ শ্বশুরকে ডাকতে গিয়ে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতলের মর্গে পাঠায়।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারি জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ছেলে তৈয়ব আলী, নাজমুল ও তাদের স্ত্রী এজিনা ও রাহিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় মেহমান হয়ে এসে কবিরাজকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ
নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালককে গলাকেটে হত্যা
জয়পুরহাটে ছেলের কুড়ালের আঘাতে বাবার মৃত্যু !
পারিবারিক কলহের জের ধরে জয়পুরহাটের কালাইয়ে ছেলের কুড়ালের আঘাতে বাবার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে গুরুতর আহত আব্দুল আলিম (৪১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
অভিযুক্ত ছেলের নাম রিজভি আহম্মেদ (২১)।
নিহতের পরিবার ও কালাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে জয়পুরহাটের কালাইয়ের আনিপুকুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলে রিজভি আহম্মেদ বাবা আব্দুল আলিমকে কুড়াল দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তার (আব্দুল আলিমের) মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে ছেলে রিজভি পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাবলু ফকির বাদি হয়ে রিজভি ও তার স্ত্রী জান্নাতি বেগমকে আসামি করে কালাই থানায় হত্যা মামলা করেছে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে আহত আব্দুল আলীমের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন