বৃষ্টিপাত
রাজধানীতে ১২ ঘণ্টায় ১০৭ মি.মি. বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি
রাজধানী ঢাকায় গত ১২ ঘণ্টায় ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে শুরু করে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ ও মৌচাকসহ বেশিরভাগ এলাকার রাস্তায় হাঁটু-সমান পানি জমেছে।
সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কলাবাগান, কারওয়ান বাজার, গ্রিনরোড, মনিপুরী পাড়া, নিউমার্কেট, আসাদগেট ও জিগাতলাসহ বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমতে দেখা গেছে। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও আবার কোমর সমান।
আজ রাজধানীর বংশালের নাজিরাবাজার এলাকায় রাস্তার বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে আমিন (৩০) নামের এক বাইসাইকেল আরোহী যুবক মারা গেছেন।
আমিনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথচারী জিসান জানান, পুরান ঢাকায় অল্প বৃষ্টি হলেই নাজিরা বাজার এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। গতকাল সারারাত বৃষ্টিতে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বংশালে বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, আমিন নামের ওই ব্যক্তি সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে আমরা একটি বাঁশ দিয়ে তাকে টেনে দূর থেকে কাছে এনে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক জানান, ওই যুবকের বেঁচে নেই।
একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা কেয়া সরকার বলেন, ‘আমার প্রতিদিন অফিসে যেতে সময় লাগে ২০-২৫ মিনিট। সেখানে আজ এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। কাকরাইল থেকে মৌচাক অবধি বাসে যাওয়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন আমি কোনো নদীর উপর দিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর মধ্যে শান্তিনগর মোড় এলাকায় পৌঁছালে দেখি মালামালসহ একটি ভ্যানগাড়ি পানির মধ্যে পড়ে গেছে। পানির কারণে রাস্তার গর্ত বুঝতে পারেনি ভ্যানচালক। এতে আবার বেঁধে যায় জ্যাম।’
রাজধানীর এই জলাবদ্ধতা সমস্যাকে অনেক রসিকতার সুরে ফুটিয়ে তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তুলি নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘সাড়ে ৮টায় ক্লাস। ঘুম থেকে উঠে দেখি দ্বীপের মধ্যে ভাসছি, হল ভর্তি পানি। কোনোমতে সাঁতরে বের হলাম। নিউমার্কেটের সামনে গিয়ে দেখি সাঁতরেও পার হওয়া সম্ভব না। রিকশাওয়ালাদের পায়ে ধরা বাকি ছিল শুধু, তবুও আসবে না। একজন রাজি হলো, সরাসরি না করতে কষ্ট হচ্ছিল বিধায় ভাড়া চাইলেন ৮৫০ টাকা।’
নানা ভোগান্তি পোহানোর পর সাড়ে ৮টার ক্লাসে পৌঁছাতে তার বেজে যায় সকাল ৯টা ১৮ মিনিট।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবেই আজ বৃষ্টি হচ্ছে। শুধু ঢাকা নয়, উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের সর্বত্রই বৃষ্টি হচ্ছে। তবে উপকূলে বৃষ্টি বেশি হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল নাগাদ বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
৭৩ দিন আগে
টানা বর্ষণে ডুবেছে ফেনী শহর, ভেঙেছে মুহুরীর বাঁধ
ফেনীতে গতকাল সোমবার (৭ ই জুলাই ) দুপুর ১২টা হতে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটি মৌসুমের সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
টানা বর্ষণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে গেছে। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শহরবাসী। বৃষ্টির এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দুর্যোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানান, আগামী ২-৩ দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৪৯ দিন আগে
পাঁচ বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
ভারতের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে ভারতের আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত থাকা মৌসুমি বায়ু অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের পাঁচ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
এ ছাড়া, আজ (সোমবার) সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও আগামী দুদিন তা কমতে পারে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: নামল ৩ নম্বর সংকেত, সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
ঢাকার আবহাওয়া
এদিকে, আজ সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে ঢাকার আকাশ। সকালে দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টিও হয়েছে।
ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলের আকাশ আংশিক থেকে অস্থায়ী মেঘলা থাকতে পারে। দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এই সময়ে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে গতকালের তুলনায় দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৬৪ দিন আগে
বেনাপোল বন্দরে হাঁটুপানিতে পণ্য খালাস, দুর্ভেগে পরিবহন কার্যক্রম
টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতের কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ বন্দরটিতে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে বৃষ্টির পানিতে বন্দরজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটু ভারী বৃষ্টিপাত হলেই বন্দর এলাকার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, একই সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের চলাফেরাও দুরূহ হয়ে পড়ে। এমনকি কোথাও কোথাও কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি জমে থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে চর্মরোগসহ স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
বন্দর শ্রমিকরা জানান, বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও গুদামে হাঁটুপানি জমে থাকায় পণ্য খালাস ও পরিবহন কার্যক্রমে বিপর্যয় নেমে এসেছে। ফলে কয়েকটি প্রবেশগেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দরের ইয়ার্ডগুলো জলাশয় মনে হলেও যেখানে ট্রাক পার্কিং ও আমদানি পণ্য খালাস হয়।
তারা আরও জানান, প্রতিদিন হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে কাজ করতে গিয়ে চুলকানিসহ নানা অসুস্থতায় পড়তে হচ্ছে। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে গুদামগুলো নিচু হওয়ায় পানির স্বাভাবিক নিষ্কাশন সম্ভব হয় না। ফলে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে এবং চলাফেরায় ভোগান্তি বাড়ছে। বন্দরে আগে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কেমিক্যাল সামগ্রী এখনো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, যা বৃষ্টির পানিতে মিশে শ্রমিকদের চর্মরোগে আক্রান্ত করছে।
এ নিয়ে পণ্যবোঝাই ট্রাকের চালকরাও একই অভিযোগ করেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।’
আরও পড়ুন: ফের লঘুচাপ: আসছে টানা বৃষ্টি, ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস
১৬৮ দিন আগে
বৃষ্টির পরেও ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’
বর্ষাকালে ঢাকার বাতাসের মানে বরাবরই উন্নতি দেখা যায়। গত কয়েকদিনে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে ঝড়েছে অনবরত বৃষ্টি। এতে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে। তবে এখনও ভালো হয়ে উঠতে পারেনি বাতাস। আজ সকালে বৃষ্টিপাতের পরও ঢাকার বাতাসের ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে।
সোমবার (২ জুন) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯৫, যেখানে এই স্কোর ১০১ এ পৌঁছালেই তা সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে। এই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৪তম স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা।
তবে আজ ইরাকের রাজধানী বাগদাদ যে শুধু দূষিত বাতাসের শীর্ষে অবস্থান করছে তা-নয়। শহরটির বাতাস হয়ে উঠেছে বাসিন্দাদের জন্য ‘বিপজ্জনক’, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে। কারণ বাগদাদদের একিউআই স্কোর দাঁড়িয়েছে ৮৮৮ তে। অন্যদিকে, একই সময়ে সব থেকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর হলো থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর, যেটির একিউআই স্কোর মাত্র ১১।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে ‘মাঝারি’, আর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
একিউআই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি কমতেই ঢাকার বাতাসে দূষণের হানা
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৮৬ দিন আগে
জলাবদ্ধতা নিরসনে রাজধানীতে কন্ট্রোল রুম চালু
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকায় গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার তাৎক্ষণিক প্রতিকারে দ্রুত সাড়া নিশ্চিত করতে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
রাজধানীল কাকরাইল এলাকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে (দ্বিতীয় তলা) নিয়ন্ত্রণ কক্ষটি স্থাপন করা হয়েছে। এটি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের সেবা দেবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বস্তির বৃষ্টিতে অস্বস্তিতে নগরবাসী
জরুরি যোগাযোগের সুবিধা প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যেকোনো প্রয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফারুক হাসান আল মাসুদের (মোবাইল: ০১৭৩৯৮২৪৮৬) সঙ্গে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ শফিউল্লাহ সিদ্দিক ভূঁইয়ার (মোবাইল: ০১৯৬৮৪৬৮৩৬৭) সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
১৮৮ দিন আগে
স্বস্তির বৃষ্টিতে অস্বস্তিতে নগরবাসী
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে আজ সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। তীব্র গরমের পর এই বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি আনলেও দৈনন্দিন কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকায় তেমন ভারী না হলেও সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এতে কর্মব্যস্ত মানুষ ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। স্বস্তির বৃষ্টি মুহূর্তেই এসব মানুষের দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে।
সকালে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় যাত্রীদের।
সকাল ১০টার দিকে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া ও বিজয়নগর মোড়ে টানা বৃষ্টির মধ্যে গণপরিবহন পেতে হিমশিম খেতে দেখা যায় যাত্রীদের। যেকোনো বাস থামতেই ভিড় ঠেলে কার আগে কে উঠে বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচাবেন তা নিয়ে দেখা যায় প্রতিযোগিতা।
আগামীকালও এমন মাথার উপরে জল আর পায়ের তলায় প্যাঁচপ্যাচে কাদা নিয়ে দিন কাটাতে হতে পারে রাজধানীবাসীর। তবে শনিবার (৩১ মে) থেকে এই বৃষ্টি কমে আসতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: অতি ভারী বর্ষণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা: বিএমডি
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, এ বছর স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আগেই শুরু হয়েছে বর্ষা মৌসুম। এতে রংপুর বিভাগ বাদে প্রায় সব অঞ্চলেই বেশ বারবার বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে, তবে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা কম।
১৮৯ দিন আগে
সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
সারা দেশেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এছাড়া দেশের আট বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
শনিবার (৩ মে) সারাদেশের সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রংপুর, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: তিন বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
এছাড়া, রাজধানী ঢাকাসহ পাশ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে গতকাল (শুক্রবার) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া যশোর ও সাতক্ষীরায় ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
২১৬ দিন আগে
ঈদের দিন কেমন থাকবে দেশের আবহাওয়া?
ঈদুল ফিতরের দিন দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় খুব সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা উল্লেখ করার মতো না।
শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক ইউএনবিকে এমন তথ্য দিয়েছেন।
এ বছর বাংলাদেশে রোজা শুরু হয়েছে ২ মার্চ। সে হিসাবে রবিবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে রোজা হবে ২৯টি, আর ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সোমবার। সোমবার চাঁদ দেখা গেলে ৩০ রোজাই পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
ঈদের দিনে বৃষ্টি হবে কিনা; জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় খুব সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’
‘সেটা খুবই সামান্য। আর দেশের অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে মনে রাখবেন, অনেক সময় স্থানীয়ভাবে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। তবে এ নিয়ে আগে কিছু বলা যায় না। বজ্রমেঘ তৈরি হয়ে স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাত তৈরি হতে পারে,’ বলেন এই আবহাওয়াবিদ।
তিনি বলেন, ‘এ জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের দৈনিক পূর্বাভাস দেখতে হবে। চাঁদ না দেখা বলা যাচ্ছে না, ঈদ সোম, নাকি মঙ্গলবার হবে। সে কারণে সবাইকে দৈনিক পূর্বাভাসের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত যে অবস্থা, তাতে বৃষ্টিপাতের খুব একটা সম্ভাবনা নেই।’
তার ভাষ্য, ‘ঈদের দিন আশি শতাংশই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই, ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সম্ভাবনা আছে।’
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সোমবারের (৩১ মার্চ) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এদিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এরপর বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২৫০ দিন আগে
দেশের দুই বিভাগে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় দানা স্থল নিম্নচাপে পরিণত
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়া পূর্বাভাসে।
উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা স্থল নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শনিবার ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি'
৪০৩ দিন আগে