নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে: ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেছেন, আসন্ন রমজান উপলক্ষে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা নিশ্চিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপের রূপরেখা দিয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত শ্যাডো পার্লামেন্ট অনুষ্ঠানে আলীম এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চাহিদা বাড়ায় ঈদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে
তিনি আরও ঘোষণা দেন, শনিবার থেকে ঢাকার ১৩টি স্থানে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম বিক্রি শুরু হবে। রমজান মাসে ভোক্তাদের উপর থেকে বোঝা কমানোর উদ্দেশ্যে একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
দাম বাড়ানো ঠেকাতে সরকার ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল, খেজুরসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া রমজান মাসে সহজলভ্যতা ও মূল্য নির্ধারণ করে এসব পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন (অর্থের সংরক্ষিত পরিমাণ) তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য হলো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো, বিশেষত উপবাস এবং খাবার প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই পদক্ষেপগুলো কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক প্রভাব দেখার আশা করছি।’
ভোক্তাদের সহজলভ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার সরাসরি ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রির জন্য ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনে ছয়টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাতটিসহ মোট ১৩টি নির্ধারিত উপকেন্দ্র স্থাপন করবে।
মহাপরিচালক আরও আশ্বাস দেন যে, মূল্য কারসাজির জন্য দায়ী যেকোনো সিন্ডিকেট মোকাবিলায় সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। ‘জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে কাজ করার ক্ষমতা ও দায়িত্ব সরকারের রয়েছে, বিশেষ করে এ ধরনের সময়ে। জনসাধারণের ক্ষতি করে প্রয়োজনে এমন একচেটিয়া প্রথা ভেঙে ফেলা হবে, উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
১ মাস আগে
চাহিদা কমলেও মাংস, মুরগি, কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম এখনো চড়া
ঈদের ছুটি শেষে নগরবাসী এখনো ঢাকায় না ফেরেনি। সেই কারণে চাহিদা কম থাকলেও কমেনি নিত্যপণ্যের দাম। রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগি, ডিম, কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম চড়া।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় রাজধানীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সবজির দাম বেড়েছে।
এছাড়া ঈদের ছুটিতে বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো সক্রিয় না থাকায় একদল ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট ঈদের পর মাংস, ডিম ও সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: উত্তরার কাঁচাবাজারের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে
শুক্রবার কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা রমিজ উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, কারওয়ান বাজারে অল্প সংখ্যক সবজির ট্রাক এসেছে, যেখানে সাধারণত শাকসবজি ও অন্যান্য পণ্য নিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি ট্রাক এখানে আসে।
মগবাজার এলাকার সবজির খুচরা বিক্রেতা আলী হোসেন জানান, শুক্রবার কারওয়ান বাজার থেকে তিনি প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) হিসাবে শসা ৬০০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১২০০ টাকায় কিনেছেন। তাই তাকে বেশি দামে এসব জিনিস বিক্রি করতে হচ্ছে।
কারওয়ান বাজার, মহাখালী, মালিবাগ, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেটগুলোতে ক্রেতা কম। কিন্তু সবজি, মাংস, ডিম ও মুরগির মাংস বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীতে ফার্মের ডিমের দাম প্রতি ডজন (১২ পিস) ১৫ টাকা বেড়ে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি হালি (৪ পিস) ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম আগের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ২২৫ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগি আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ৩৪৫ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০ থেকে ৭৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের সময় সরবরাহ কম ও অধিক বিক্রি হওয়ায় মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দাম, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
অন্যদিকে বাজারে গরুর মাংস কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এছাড়া খাসির মাংস ১০৫০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে ও ছাগলের মাংস ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
৬ মাস আগে
চাহিদা বাড়ায় ঈদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় মসলাজাতীয় পণ্য আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৭০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা। কিন্তু মাংস রান্নায় বেশি পরিমাণে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ব্যবহার হয় বলে এসব পণ্য কিনতে হয় তাদের।
আরও পড়ুন: সবজির দাম স্থিতিশীল হলেও এখনো চড়া, বাড়ছে ডিম, মুরগি ও মাছের দামও
তাই ঈদকে সামনে রেখে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। আর এই চাহিদাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি জোরদার না করায় ব্যবসায়ীরা শাস্তি না পেয়েই পার পেয়ে যায়।
কারওয়ান বাজারে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকার নিউ ইস্কাটনের বাসিন্দা আম্বিয়া আক্তার বলেন, ইতোমধ্যে বাজারের সব জিনিসের দাম বেড়েছে। তার ওপর আদা, রসুন ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাবি করছে, পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে দাম বাড়াতে হয়েছে তাদের।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মহাখালী, মগবাজারসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আদার দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ৭০ টাকার পরিবর্তে ৯০ টাকা এবং রসুন ২৪০ টাকার পরিবর্তে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দাম, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। চলতি মাসের শুরুতে প্রতি কেজি আদা ছিল ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। তবে মানভেদে বিভিন্ন বাজারে রসুনের দামে কিছুটা তারতম্য রয়েছে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ছাড়াও বিভিন্ন মসলার চাহিদা বেশি থাকে। এ কারণে চলতি মাসের শুরু থেকে এসব পণ্যের দাম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। গড়ে এই ৩টি পণ্যের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে।
কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে শুক্রবার প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন বেশি দামে কিনি, তখন ৫-১০ টাকা লাভে বিক্রি করতে হয়। কারণ বাজার থেকে এসব পণ্য কেনার পর একটি অংশ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ১০ টাকা কেজি মুনাফা না করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে।’
ঢাকার কাঁচাবাজারে সবজির দাম কমেছে, কারণ রাজধানীর একটি বড় অংশ তাদের গ্রামের বাড়িতে ঈদুল আজহার আনন্দ উপভোগ করতে নগরী ছেড়েছে।
ঢাকার কাঁচাবাজারে শুক্রবার থেকে অন্যান্য পণ্য ও মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাও
৬ মাস আগে
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বৈশ্বিক নান সংকটের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, “ইরান ও ইসরায়েলের সংকটের কারণে দেশে পণ্যের দামে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে এজন্য কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে মিয়ানমার, ব্রাজিল, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। বিগত কয়েক মাসে দেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে। রপ্তানির পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে 'একটি গ্রাম একটি পণ্য' বাস্তবায়ন করছে সরকার।”
আরও পড়ুন: রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'মিট দ্য রিপোর্টার্স' অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'টিসিবির পণ্য স্থায়ী দোকানের মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। টিসিবি কার্ড সুবিধাভোগীদের তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। টিসিবির সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার।'
সয়াবিন তেলের প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, সয়াবিন তেলের দাম সমন্বয় করে যৌক্তিক করা হবে। এটা নিয়ে কাজ করছে ট্যারিফ কমিশন।
তিনি আরও জানান, ব্যবসাকে সহজ করে সরকার যাতে ভোক্তা পর্যায়ে সুবিধা পায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সবসময় স্থিতিশীল করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
জাতভিত্তিক চালের দাম ও মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
রমজানের আগে ৪টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আসন্ন রমজান উপলক্ষে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর- এই চার পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় যেতে 'অন্য শক্তির' উপর নির্ভর করে: ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলকে প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আসন্ন রমজান উপলক্ষে ভোজ্যতেল, চিনি, চাল ও খেজুর এই চারটি পণ্যের শুল্ক কমানোর স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।
এখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্ক কতটুকু কমানো যায় তা মূল্যায়ন করবে।
তিনি বলেন, বাজারে চাহিদার বিপরীতে পণ্যের সরবরাহে যাতে কোনো ঘাটতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ এবং বাজার মনিটরিং করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমদানিকারকদের এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে সমস্যা হয় না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ চীনের
বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ স্থান: ব্রিটিশ এমপিদের প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মতিঝিলের এফবিসিসিআই আইকন টাওয়ারে আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ ও স্থিতিশীল মূল্যের বিষয়ে আলোচনায় ব্যবসায়ীদের প্রতি এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
২০২৪ সালের ১০ মার্চ বিশ্বজুড়ে রমজান শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের প্রাণ, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। আর সে কারণেই দেশ এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘একটি শিল্প স্থাপনের জন্য ৪৩টি সংস্থার কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তবুও ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এত কষ্টের পরেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে পুরো ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বদনাম হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার: এফবিসিসিআই সভাপতি
তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত করতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের তাতে আপত্তি রয়েছে, তাই এফবিসিসিআই সবসময় সুষ্ঠু ব্যবসার পক্ষে।
মাহবুবুল আরও বলেন, ‘যারা অনৈতিকভাবে বাজারে সংকট তৈরি করবে আমরা তাদের সঙ্গে নেই। আমরা ব্যবসায়ীদের অসৎ বা সিন্ডিকেট করার কোনো কথা শুনতে চাই না। আমরা চাই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করুক। সমস্যা থাকলে সমাধান হোক। তবে আমরা কোনো বদনাম চাই না।’
তিনি বলেন, ‘এলসি খোলা নিয়ে জটিলতা রয়েছে, এই নিয়েই আমরা কথা বলছি। প্রয়োজনে আরও কথা বলব। তবে আমি মনে করি, বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, খেজুরসহ ফলমূলের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে এফবিসিসিআই আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য জেলা চেম্বারদেরও আহ্বান জানান মাহবুবুল।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী, সহসভাপতি খায়রুল হুদা চপল, পরিচালক ও বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
১ বছর আগে
পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোয় কিছু ব্যবসায়ীদের কঠোর সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র রমজান মাসে অসাধুভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের একাংশের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মসজিদগুলোর উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাস আসছে। আমরা জানি, রমজানের সময় কিছু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।’
শেখ হাসিনা বলেন, রমজান এমন একটি মাস যা সংযম ও কৃচ্ছতাকে উৎসাহিত করে এবং প্রত্যেককে অবশ্যই ধর্মীয় কার্যক্রম ও আধ্যাত্মিকতা নিশ্চিত ও সহজতর করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মাসে এই মুনাফালোভীরা দাম বাড়ায় এবং জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য বিশেষ কার্ড বিতরণ করেছে। পবিত্র রমজানের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত এক কোটি মানুষকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেবে সরকার। যারা কাজের যোগ্য নন তারা সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে ২০ কেজি করে চাল পাবেন। আমরা প্রাইস কার্ডের মাধ্যমে জনগণকে ন্যায্যমূল্যে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা সমাজের বিত্তবানদের রমজানে অভাবগ্রস্তদের প্রতি আরও উদার হওয়ার আহ্বান জানান।
কেউ যাতে খাদ্যে ভেজাল, মজুদ, কালোবাজারি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে ইনসুলিন পাবেন ডায়াবেটিস রোগীরা: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
১ কোটি পরিবারের কাছে পণ্য বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছে টিসিবি
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) রবিবার থেকে এক কোটি মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে বহুল আলোচিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ শুরু করবে।
সরকার ইতোমধ্যে ৮৭ লাখ কার্ডধারীর একটি তালিকা তৈরি করেছে যারা দুই লিটার ভোজ্য তেল, দুই কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল পাবেন। সরকারের পক্ষ থেকে টিসিবি সারাদেশে প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৬৫ টাকা ও পেঁয়াজ ৩০ টাকায় ‘ট্রাক সেল’ এর মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
টিসিবি জানায়, সরকার সারাদেশে ৮৭ লাখ পরিবারের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। যার মধ্যে ৩০ লাখ পরিবার একটি করে পরিবার কার্ড পেয়েছে। ৫৮ লাখ ১০ হাজার সুবিধাভোগী পরিবার সারাদেশে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি এবং জেলা প্রশাসনের সহায়তায় পারিবারিক কার্ডের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে এক কোটি পরিবারের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রয় শুরু: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিসিবি মোবাইল ট্রাকের মাধ্যমে এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের কাছে পণ্য বিক্রি করা হবে।
টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান ইউএনবিকে জানান, প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি সুবিধাভোগী পরিবার ২০ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দুই লিটার ভোজ্য তেল, দুই কেজি চিনি ও দুই কেজি মসুর ডাল পাবেন।
তিনি আরও বলেন,ঢাকা শহরের এলাকায় প্রচুর ভাসমান লোক রয়েছে, তারা এ ব্যবস্থায় একটি প্যাকেজ পাবে, তবে টিসিবি পণ্য সরবরাহের নকল এড়াতে বিশেষ মার্কিং পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টিসিবির ট্রাকের সামনে লম্বা সারি বাস্তবতা প্রকাশ করে: বিএনপি
২ বছর আগে
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বিশেষ কার্ড পাবেন ১ কোটি মানুষ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার এক কোটি মানুষকে বিশেষ কার্ড দেবে যাতে তারা কম দামে কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে।
মঙ্গলবার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের এক সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এই ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে ১০ টাকা কেজি টাকা দরে চাল কেনার কার্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজে গতি আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেই ৫০ লাখ মানুষ এবং আরও এক কোটি মানুষকে বিশেষ কার্ড দিয়ে সহায়তা করব যাতে তারা ন্যায্য মূল্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি চলাকালীন সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়া ৩৮ লাখ লোককে এ্ই এক কোটির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সরকারের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এখনও ১৮ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে এবং এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
ফসল উৎপাদন বাড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য এক টুকরো জমিও অনাবাদি রাখা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে চলার স্লোগান ‘জয় বাংলা’: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
ভারতকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাধামুক্ত রাখার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
ভারত থেকে বাংলাদেশ অনেক জরুরি প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে। কোভিড-১৯ এর কারণে যাতে এসব জরুরি পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয় সে জন্য ভারতকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
৪ বছর আগে