হালদা নদী
হালদা নদীতে অভিযান: ৪ হাজার মিটার ঘেরা জাল জব্দ
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর হালদা নদীতে অভিযান চালিয়ে চার হাজার মিটার ঘেরা জাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে গড়দুয়ারা ইউনিয়নের নয়াহাট থেকে শুরু করে ছিপাতলি ইউনিয়ন পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ৫ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান।
তিনি জানান, অভিযানে ৪ হাজার মিটারের ৮টি ঘেরা জাল এবং জাল বসানোর বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হালদা নদীর মা মাছ রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সহযোগিতা করেন আইডিএফ এভিসিএফ (মৎস্য) মো. ফয়েজ রাব্বানী ও হাটহাজারী থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে যাত্রীবাহী ট্রলার থেকে ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ৯ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
১ বছর আগে
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ
দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল থেকে হালদা নদীর নয়াহাট এলাকার কয়েকটি পয়েন্টে নমুনা ডিম সংগ্রহ করেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
উল্লেখ্য, বুধবার নদীর কিছু কিছু অংশেও এ নমুনা ডিম পাওয়া যায় বলে ডিম সংগ্রহকারী জেলেরা জানায়।
এই প্রজনন মৌসুমে মেঘের গর্জন ও বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল হালদা নদীতে প্রবেশ করলে মা মাছ পুরোদমে ডিম দেবে বলে আশা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
জেলেরা বলেন, রাতে ডিম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, অনেক ডিম সংগ্রহকারী নদীতে জাল নিয়ে নামলেও ডিম পাননি।
কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারী দুই থেকে তিন গ্রাম ডিম সংগ্রহ করেছেন।
হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারী রফিক বলেন, মা মাছ এখনও ডিম পুরোদমে ছাড়েনি।
আরও দুই-একদিন মেঘের গর্জন ও বৃষ্টিসহ পাহাড়ি ঢল হালদায় প্রবেশ করলে ডিম দেবে মা মাছ।
স্থানীয় জেলেরা জানান,হালদা থেকে সংগৃহীত মাছের ডিম থেকে উৎপাদিত রেণু, পোনার দেশজুড়ে চাহিদা রয়েছে। দামও ভালো পাওয়া যায়। সাধারণ হ্যাচারিতে কৃত্রিম পদ্ধতিতে উৎপাদিত পোনার চেয়ে হালদার পোনা দ্রুত বড় হয়। এতে মৎস্য চাষিরা লাভবান হয়।
হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আশারবাণী হচ্ছে বৃষ্টি হলে লবণাক্ততাসহ অন্যান্য প্যারামিটার সমূহের মান আদর্শ মানের মধ্যে চলে আসবে। অনুকূল পরিবেশ না পেলে অর্থাৎ বজ্রপাতসহ পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি না হলে পাহাড়ি ঢল নেমে না আসলে চলতি পূর্ণিমার জো'তে (২ থেকে ৭ মে) মা মাছের ডিম ছাড়েনি।
সেক্ষেত্রে পরবর্তী চতুর্থ জো অর্থাৎ অমাবস্যার জো (১৬-২১) মে ডিম ছাড়ার সম্ভবনা আছে।
তা নাহলে পরবর্তী জুন মাসের পূর্ণিমার জো (১-৬) জুন অথবা সর্বশেষ (১৫-২০) জুন অমাবস্যার জো'তে কার্পজাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়বে।
আরও পড়ুন: হালদায় আশানুরূপ মাছের ডিম মিলছে না
১ বছর আগে
হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র চট্টগ্রামের হালদা নদী। বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ নামেও পরিচিত প্রকৃতির বিস্ময়কর সৃষ্টি ‘হালদা নদী’ বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী, যেখান থেকে সরাসরি রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়।
এই হালদায় বসবাসকারী গাঙ্গেয় ডলফিন (প্লাটানিস্টা গাঙ্গেটিকা) বাংলাদেশের একটি বিপন্ন প্রজাতির স্বাদু পানির স্তন্যপায়ী প্রাণি। হালদা নদীকে ডলফিনের ‘অভয়াশ্রম’ হিসেবেই ধরা হয়। অথচ এই অভয়াশ্রমই অনিরাপদ হয়ে উঠেছে ডলফিনের জন্য। পাঁচ বছর ধরে এই নদীতে প্রাণ হারাচ্ছে মিঠাপানির অতি বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীটি।
স্থানীয় ভাষায় উতোম কিংবা শুশুক নামে পরিচিত মিঠাপানির এই প্রাণী হচ্ছে গাঙ্গেস বা গাঙ্গেয় ডলফিন। সাধারণত দূষণমুক্ত পরিষ্কার পানিতে গাঙ্গেয় ডলফিনের বিচরণ। কিন্তু মানবসৃষ্ঠ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রভাবে হালদার জলজ পরিবেশ ডলফিনের জন্য ক্রমশ অনিরাপদ হয়ে উঠছে যা পরিবেশ ও হালদা জন্য সামগ্রিক অশনিসংকেত বলে মনে করছেন হালদা বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট সাত প্রজাতির ডলফিন পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রধান গাঙ্গেয় ডলফিন। তবে দেশে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে আইইউসিএনের লাল তালিকাভুক্ত এটি। স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি সাধারণত দেশীয় মিঠা পানির নদীতে পাওয়া যায়।
হালদা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভূক্ত (অতি বিপন্ন প্রজাতি) জলজ প্রাণী হলো ডলফিন। বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে বিপন্ন প্রজাতির ডলফিন আছে মাত্র এক হাজার ১০০টি। এর মধ্যে শুধু হালদাতেই ছিল ১৭০টি। গত চার বছরে হালদায় ৩৯টি ডলফিন মারা গেছে। এর মধ্যে চলতি বছরে প্রাপ্ত মৃত ডলফিনের সংখ্যা ৬ টি। এরমধ্যে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত তিনটি উদ্বার করা হয়েছিল গত জুলাই মাসে।
আরও পড়ুন: ফেনীর অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বছরের পর বছর ধরে বাক্সবন্দী
সর্বশেষ মৃত ডলফিনটি (৩৯ তম) উদ্ধার করা হয়েছে গত ৩রা নভেম্বর-২০২২। হাটহাজারীর পুরাতন হালদা নদীর দক্ষিণ বাড়িঘোনা উত্তর মসজিদের পাশে খালের ধারে আটকে ছিল। উদ্ধার করা ডলফিনটির শরীরের বিভিন্ন অংশ পচে যাওয়ায় মৃত্যুর কারণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। একের পর এক এ জলজ প্রাণীর মৃত্যু হলেও যেন দেখার কেউ নেই।
হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলামের মতে প্রতিনিয়ত হালদা নদী ও এর শাখাখালের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরনের জাল,বঁড়শি ও বিষ ব্যবহার করে অবৈধভাবে মাছ ধরা হচ্ছে। এসব অবৈধজাল হালদায় ডলফিন মৃত্যুর অন্যতম কারণ। পাশাপাশি ডলফিনের বয়সবৃদ্ধি, খাদ্যের অভাব, দুষণ, পানির গুণাবলি পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পৃক্ত। হালদার বাস্ততন্তুকে ডলফিনের নিরাপদ আবাসস্থল করতে প্রশাসনের পাশাপাশি হালদা সম্পৃক্ত সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি সূত্র জানা গেছে, নৌযানের প্রপেলার, বালু–পাথর পরিবহনের ইঞ্জিনচালিত নৌকা–বাল্কহেড ও বালু তোলার যন্ত্র ড্রেজারের আঘাত, দূষণ, লবণাক্ততা এবং জালে আটকে ডলফিন মারা যাচ্ছে।
তারা জানায়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯টি ডলফিন মারা গেছে।
২ বছর আগে
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে নেমে নিখোঁজ কিশোর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। শনিবার সকালে হাটহাজারীর গড়দুয়ারা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের হালদা নদীর স্লুইস গেট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোহাম্মদ আনাস (১৪) গড়দুয়ারা এলাকার মোহাম্মদ আবু তাহেরের ছেলে। সে হাটহাজারীর একটি মাদরাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. শাহাজাহান বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে হালদা নদীর পাড়ে কয়েকজন কিশোর ফুটবল খেলার সময় ফুটবলটি নদীতে পড়ে যায়। তখন তিনজন বলটি আনতে হালদা নদীতে ঝাঁপ দেয়। দুইজন ফিরে আসতে পারলেও আনাস তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একদল কর্মী হালদা নদীর ঘটনাস্থলে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উদ্ধার অভিযান চালায়।
স্থানীয়রা জানায়,শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে লাশ ভেসে ওঠে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে নৌকা থেকে নদীতে পড়ে শিশু নিখোঁজ
বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে নদীতে পড়ে দুই শিশু নিখোঁজ
ধনু নদীতে ট্রলারডুবি: নারীর লাশ উদ্ধার, শিশু নিখোঁজ
২ বছর আগে
হালদা নদীতে দুইদিনে আরও ২টি ডলফিনের মৃত্যু
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে একদিনের ব্যবধানে আরও একটি মৃত ডলফিন ভেসে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকায় মৃত ডলফিনটি ভেসে আসে।এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে একই উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকায় একটি মৃত ডলফিন ভাসতে দেখা যায়। পরে উদ্ধার করে দেখা যায় মৃত ডলফিনের দাঁতসহ মুখের একাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে হালদায় বড় আকারের তিনটি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। কেন, কিভাবে এসব ডলফিনের মৃত্যু হচ্ছে তার কারণ জানা যায়নি।বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হওয়া মৃত ডলফিনটি প্রায় ৭ ফুট লম্বা এবং ওজন ৬০ কেজি। পচে যাওয়ায় মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।এর আগে গত ১৪ জুলাই রাউজান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গহিরা এলাকায় হালদার সংযোগ খাল বুড়িসর্তায় প্রায় সাড়ে ৮ ফুট দৈর্ঘ্যের ১২০ কেজি ওজনের একটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়।এটিসহ হালদা নদীতে এ পর্যন্ত ৩৮টি এবং কর্ণফুলি নদীতে ২টিসহ মোট ৪০টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেলে। ২০২০ সালে সর্বশেষ জরিপ চালিয়ে হালদায় ১২৭টির মতো ডলফিনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল।এবিষয়ে জানতে চাইলে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিসার্চ কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হালদায় ৩৮টি এবং কর্ণফুলীতে ২টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। এভাবে চলতে থাকলে হালদা ডলফিন শূন্য হয়ে যাবে। এখনই আমাদের হালদার ডলফিন রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সাগর তীরে ভেসে এসেছে মৃত ডলফিন ও বিপুল পরিমাণ মাছ
তুরাগে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ২টি মৃত ডলফিন উদ্ধার
২ বছর আগে
হালদা নদী থেকে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদী থেকে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৩ ফুট, ওজন প্রায় ১৫ কেজি।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আকবরিয়া এলাকার হালদা নদী থেকে মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করে নৌ পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
নৌ-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার করা ডলফিনের দেহটি পচে যাওয়ায় মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। ডলফিনটিকে রাম দাস মুন্সির হাট এলাকায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল আলমমের উপস্থিতিতে স্থানীয়ভাবে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।
এর আগে সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের রামদাস মুন্সিরহাট এলাকায় নদীর মাঝখানে ভাসমান একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করেছিল স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ডলফিন
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৩টি ডলফিন মরে ভেসে ওঠে হালদা ও এর শাখা খালে। এগুলোতে দু-একটি বাদ দিলে প্রায় সব মরা ডলফিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত করেছিল উদ্ধারকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একাধিক ডলফিন কেটে হত্যাও করা হয়েছিল।
২ বছর আগে
হালদা নদীতে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে আরও একটি মৃত্যু ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে তিন দিনের ব্যবধানে দু’টি মৃত ডলফিন উদ্ধার হলো।
নৌপুলিশ জানায়, সোমবার সকালে হাটহাজারী উপজেলার রামদাস মুন্সীরহাট এলাকায় থেকে ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়।
হালদা গবেষক অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া জানান, সকালে নদীতে ডলফিন ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে জানায়। পরে নৌপুলিশ নদী থেকে মৃত ডলফিনটিকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: হালদা নদী থেকে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
তিনি বলেন, মাছ ধরার জালের কারণে ডলফিনটির মৃত্যু হতে পারে। পরে নৌপুলিশের সহযোগিতায় সেটিকে মাটিচাপা দেয়া হয়।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর নৌপুলিশ একই এলাকা থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করেছিল।
পরিবেশবিদদের জরিপে দেখা গেছে, হালদায় লাল ডলফিন ছিল ১৭০টি। পরিবেশবাদি ও হালদা তীরবর্তী মানুষের অভিযোগ, যান্ত্রিক নৌযান ও বালুবাহী ড্রেজারের ডুবন্ত যান্ত্রিক পাখার আঘাতে ডলফিনগুলো মারা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ডলফিন
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত হালদা নদী থেকে ৩১ মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মৃত ডলফিনের বেশির ভাগের গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভুক্ত অতি বিপন্ন প্রজাতির মিঠাপানির ডলফিন। সংস্থাটির মতে বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে এ জাতীয় ডলফিন আছে মাত্র ১ হাজার ১০০।
আরও পড়ুন: সীতকুণ্ড উপকূলে ভেসে এলো আরও ৩টি মৃত ডলফিন
৩ বছর আগে
হালদা নদী থেকে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে আরও একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে নদীর মদুনাঘাট বড়ুয়া পাড়া এলাকা থেকে নৌ-পুলিশ সদস্যরা এই মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করেছে।৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ডলফিনটির ওজন প্রায় ৪০ কেজি। এসময় হালদা নদী থেকে ৫ হাজার মিটার ঘেরা জালও জব্দ করা হয়েছে বলে জানায় নৌ পুলিশ।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের স্পিনার ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটা নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্রনগরীর সদরঘাট নৌ-পুলিশের (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, নৌ-পুলিশ নিয়মিত টহল দেয়ার সময় মৃত ডলফিনের বাচ্চাটি উদ্ধার করে। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া স্যারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডলফিনটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৯ফুট, ওজন ৩৫-৪০ কেজি।হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির পরিচালক অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, হালদা থেকে উদ্ধার হওয়া ডলফিনটি ল্যাবরেটরিতে নিয়ে আসা হয়েছে। ডলফিনটি পচে যাওয়ায় দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ডলফিন
৩ বছর আগে
হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ, রেকর্ডের সম্ভাবনা
দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ।
মঙ্গলবার রাত ১২ টার পর হালদা নদীর কাগতিয়ার মুখ থেকে গড়দুয়ারা নয়াহাট পর্যন্ত বিভিন্ন নৌকার ডিম সংগ্রহকারীরা ‘নমুনা ডিম’ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, মঙ্গলবার কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। এরপরও এদিন মা মাছগুলো পুরোদমে ডিম ছাড়েনি।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে অনলাইনে বিচার শুরু, হালদা নদীর ডলফিন রক্ষার নির্দেশ
তবে এবার মা মাছ রক্ষায় হালদা নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করায় ডিম সংগ্রহে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন রাত ১ টার দিকে হালদায় নমুনা ডিম ছাড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হালদা নদীর নয়াহাট এলাকায় বিভিন্ন নৌকার ডিম সংগ্রহকারীরা জানিয়েছে তারা প্রতি জালে ১০০-১৫০ গ্রাম পর্যন্ত ডিম পেয়েছেন। তারা মা-মাছের আনাগোনা দেখছেন।
আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত হালদা নদী রক্ষায় ১১ সুপারিশ
তিনি আরও বলেন, যেহেতু নমুনা ডিম ছেড়েছে মা-মাছ, সেহেতু এসব মাছের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে মা-মাছ শিকার করতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে।
ডিম থেকে রেণু ও পোনা তৈরির জন্য হ্যাচারিগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জীব বৈচিত্র রক্ষায় হালদা নদীর ৮ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা
উল্লেখ্য, সাধারণত চৈত্র থেকে বৈশাখ মাসে অমাবস্যা, পূর্ণিমা ও অষ্টমী তিথিতে প্রবল পাহাড়ি ঢল ও শীতল আবহাওয়ায় হালদা নদীতে কার্প জাতীয় মাছ ডিম ছাড়ে। নমুনা ডিম মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের জন্য প্রস্তুতির আভাস। অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলেই মা মাছ ডিম ছাড়বে।
হালদা নদী থেকে ২০১৮ সালে ২২ হাজার কেজি এবং ২০১৯ সালে ১০ হাজার কেজি ডিম আহরণ করা হয়। আর ২০২০ সালে ২৫ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করে রেকর্ড করেছে ডিম আহরণকারীরা।
উপজেলার উত্তর মাদার্শা এলাকার মাছুয়াঘোনা বাসিন্দা মাহবুবুল আলম বলেন, বজ্রসহ প্রবল বৃষ্টিতে হালদায় মা মাছের ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমরা রাত ৯টা থেকে ডিম সংগ্রহ করার জন্য হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করেছিলাম। কিন্তু এদিন মা মাছগুলো পুরোদমে ডিম ছাড়েনি। কিছু নমুনা ডিম ছেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বজ্রসহ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সাধারণত মা মাছগুলো ডিম ছাড়ে। অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে শিগগির মা মাছগুলো পুরোদমে ডিম ছাড়বে।’
৩ বছর আগে
জীব বৈচিত্র রক্ষায় হালদা নদীর ৮ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা
দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদী। তাই এই নদীর জীব বৈচিত্র রক্ষায় আটটি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
৩ বছর আগে