ডলফিন
তিস্তায় জেলের জালে ৪ মণ ওজনের ডলফিন!
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে তিস্তা নদীতে চার মণ ওজনের একটি ডলফিন ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার ভোটমারি ইউনিয়নের শৈইলমারী তিস্তার চরে এক জেলের জালে ধরা পড়ে ডলফিনটি।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের শৈইলমারীর চরে জেলে শাহজাহান মিয়ার জালে ধরা পড়েছে ৪ মণ ওজনের একটি ডলফিন। এরপর কয়েকজন জেলে মিলে ডলফিনকে উঁচু স্থানে ওঠার কিছুক্ষণ পর সেটি মারা যায়। ডলফিন দেখতে উৎসুক মানুষ তিস্তা চরে ভিড় করেন।
স্থানীয় রিফাত হোসেন বলেন, সকাল থেকে তিস্তার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা নদীতে বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরা পড়ছে। সেই সঙ্গে জেলের জালে ডলফিনও ধরা পড়েছে।
শৈলমারী চরের জেলে শাহজাহান মিয়া বলেন, জালে আটকের পর প্রথমে বড় মাছ মনে করেছি পরের ডাঙ্গায় ওঠার পর দেখি একটি ডলফিন। কিছুক্ষণ পরেই ডলফিনটি মারা যায়।
এ বিষয়ে ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরাদ হোসেন বলেন, তিস্তা নদীতে ডলফিন আটকের বিষয়টি স্থানীয় একজনের কাছে শুনেছি।
এর আগে তিস্তা নদীতে জেলের জালে ৭২ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ আটক হয়। পরে জেলেরা ৮০ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেন।
১ বছর আগে
ব্রাজিলের আমাজনে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শতাধিক ডলফিনের মৃত্যু
পানির তাপমাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় ব্রাজিলের আমাজন রেইন ফরেস্টে গত সপ্তাহে ১০০ টিরও বেশি ডলফিন মারা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, পানির তাপমাত্রা এই পর্যায়ে থাকলে শিগগিরই আরও অনেক ডলফিন মারা যেতে পারে।
ব্রাজিলের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা দল মামিরুয়া ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, তেফে হ্রদের আশেপাশের অঞ্চলে সোমবার আরও দুটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের স্পিনার ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটা নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
ইনস্টিটিউটের দেওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শকুনেরা সৈকতে ডলফিনের মৃতদেহ তুলে নিচ্ছে। হাজার হাজার মাছও মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হ্রদগুলোর পানির উচ্চ তাপমাত্রা এই অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি প্রাণির মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ।
গত সপ্তাহ থেকে টেফে লেক অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) অতিক্রম করেছে।
ব্রাজিল সরকারের চিকো মেন্ডেস ইনস্টিটিউট ফর বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন গত সপ্তাহে জানিয়েছে, তারা পশুচিকিত্সক ও জলজ স্তন্যপায়ী বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠিয়েছে।
মামিরাউয়া ইন্সটিটিউটের গবেষক মরিয়ম মারমন্টেল বলেন, টেফে লেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ ডলফিন ছিল।
মারমন্টেল বলেন, ইতোমধ্যে এক সপ্তাহে আমরা ১২০টি প্রাণী হারিয়েছি, যা মোট সংখ্যার ৫-১০ শতাংশ।
খরার কারণে শুক্রবার আমাজোনাসের গভর্নর উইলসন লিমা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
নিকসন মারেইরা ৬০ হাজার বাসিন্দার শহর টেফের মেয়র।
তিনি বলেন, নদীশুষ্ক হওয়ায় তার সরকার কিছু বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে সরাসরি খাদ্য সরবরাহ করতে পারছে না।
মামিরুয়া ইনস্টিটিউটের জিওস্প্যাটিয়াল কোঅর্ডিনেটর আয়ান ফ্লিশম্যান বলেন, আমাজন অঞ্চলের নদীতীরবর্তী জনগোষ্ঠীর ওপর খরার বড় প্রভাব পড়েছে।
তিনি বলেন, অনেক সম্প্রদায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, ভালো মানের পানি পাচ্ছে না, নদীতে নৌকা চালাতে পারছে না। অথচ তাদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নদী।
ফ্লিশম্যান বলেন, পানির তাপমাত্রা শুক্রবার ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৮৯ ফারেনহাইট) থেকে বেড়ে রবিবার প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০০ ফারেনহাইট) হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা এখনও ডলফিনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করছেন। তবে পানির উচ্চ তাপমাত্রা প্রধান কারণ বলেই তাদের সন্দেহ।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে দুইদিনে আরও ২টি ডলফিনের মৃত্যু
বরগুনায় সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
১ বছর আগে
মানুষের পরে পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান ১০ প্রাণী
বিস্ময়কর সৃষ্টি জগতের স্পন্দনে মুখর প্রকৃতি অকপটে জানান দেয় জ্ঞানীয় ক্ষমতার দিক থেকে মানুষের সমকক্ষতার কথা। প্রাণের আশ্রয় এই নীল গ্রহের কিছু প্রাণীকুলের অদ্ভূত বুদ্ধিদ্বীপ্ততা পাল্লা দিয়ে চলে তাদের সহজাত প্রবৃত্তির সঙ্গে। সেখানে বিজ্ঞানের প্রখর বিশ্লেষণ অবাক বনে যায় তাদের জ্ঞানীয় ক্ষমতার কাছে প্রকৃতগত পাশবিকতাকে হার মেনে যেতে দেখে। আজকের নিবন্ধটি হাজির করতে চলেছে- মানুষের ব্যাতিত পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান ১০ প্রাণীকে। আপনার চিরচেনা প্রাণীটিকেও হয়ত এদের মধ্যে পেয়ে যেতে পারেন। চলুন, বুদ্ধিমত্তা প্রকাশের এক ভিন্ন দিগন্তে প্রবেশ করা যাক।
মানুষ বাদে বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান ১০টি প্রাণী
ডলফিন
অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা এবং উচ্চতর জ্ঞানীয় ক্ষমতার জন্য মানুষের পরেই সর্বাধিক পরিচিত প্রাণীটি হলো ডলফিন। বিশেষ করে বোটলনোজ ডলফিন সামাজিক কাঠামো গঠন, পারস্পরিক যোগাযোগ এবং সমস্যা সমাধান করতে পারে। এদের মস্তিষ্ক শরীরের তুলনায় বড় এবং এদের মস্তিষ্কের বিকশিত নিওকর্টেক্স অঞ্চলটি উচু স্তরের জ্ঞানীয় কার্য সম্পাদনে এদের সাহায্য করে।
ডলফিনের বুদ্ধিমত্তার একটি আকর্ষণীয় দিক হলো তাদের হাতিয়ার ব্যবহার। এই দক্ষতাটি যে তারা শুধু আত্মরক্ষায় ব্যবহার করে তা নয়; শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তারা এটি ছড়িয়ে দিতে পারে তাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
ডলফিনরা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাদের নানা ধরনের কণ্ঠস্বর এবং শারীরিক অঙ্গ-ভঙ্গি ব্যবহার করে যোগাযোগের দক্ষতা দিয়ে। প্রতিটি ডলফিনের স্বতন্ত্র স্বাক্ষর হুইসেল রয়েছে, যা অনেকটা নাম বা সম্বোধনের মতো কাজ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
বনমানুষ
শিম্পাঞ্জি, বোনোবোস, গরিলা এবং ওরাঙওটানের মত গ্রেট এপরা মানুষের নিকটতম আত্মীয়। এরা মানুষের মতোই সহানুভূতি, মনস্তত্ত্ব, হাতিয়ার ব্যবহার, যোগাযোগ এবং সুক্ষ্ম সমস্যা সমাধান করতে পারে। তাদেরকে যে বিষয়টি বিশেষত্ব দিয়েছে সেটি হচ্ছে- তাদের হাতিয়ার ব্যবহার করা এবং তা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা।
এই বনমানুষেরা পরস্পরের আবেগ চিনতে ও বুঝতে পারে এবং সে অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক সাড়াও দিতে পারে। নিজেদের গোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন তথ্য জানাতে তারা কণ্ঠস্বর, মুখের অভিব্যক্তি এবং শরীরের ভঙ্গিমা ব্যবহার করে। তারা অন্যান্য প্রাণী বিশেষ করে মানুষের সঙ্গে এই যোগাযোগটি রক্ষা করতে পারে।
বনমানুষের যুগান্তকারী বিকাশ হলো, তারা নতুন প্রতীক বা সাংকেতিক ভাষা শিখে নিতে পারে।
হাতি
স্থলজ প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মস্তিষ্ক হলো হাতির। তাদের প্রায় ২৫৭ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে, যা মানুষের মস্তিষ্কের প্রায় তিনগুণ।
হাতির বুদ্ধিমত্তার একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল তাদের মৃত সঙ্গীদের জন্য শোক করার ক্ষমতা। তারা মৃত পালের সদস্যের দেহ আলতো করে স্পর্শ করে বা আদর করে তাদের শান্তনা দেয়।
তারা হাতিয়ার ব্যবহার করে দূরের কোনো জিনিস তাদের নাগালের মধ্যে নিয়ে আনতে পারে। প্রতিকূল পরিবেশে নতুন কিছু শিখে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
হাতিরা বয়স্ক সদস্যের নেতৃত্বে একক পরিবার গঠন করে নির্দিষ্ট জায়গায় জটলা হয়ে বসবাস করে। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য অনেক দূর থেকে কম-ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের করণীয়
তিমি
অরকাস তিমি সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে সব থেকে বুদ্ধিমান এবং ভয়ঙ্কর শিকারী। ঘাতক তিমি নামে পরিচিত এই দৈত্যাকার প্রাণী সামাজিক কাঠামো গঠন করতে পারে। প্রতিটি একক পরিবার আলাদা ভাবে আঁটসাঁট হয়ে একত্রে থাকে।
অরকাসের আছে সমস্যা সমাধান, উন্নত যোগাযোগ এবং বৈচিত্র্যময় শিকারের কৌশল প্রদর্শনের ক্ষমতা। তাদের বৃহৎ মস্তিষ্ক এবং বিভিন্ন কণ্ঠস্বর তাদের উচ্চ স্তরের জ্ঞানীয় ক্ষমতার পরিচয় দেয়। তাদের স্বতন্ত্র আওয়াজ বা ডাকের জন্য তাদের রয়েছে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা। তারা দলবদ্ধ হয়ে শিকার করে এবং বিভিন্ন সময়ে জায়গা বদলের জন্য তারা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়।
এই অতিকায় প্রাণীগুলো সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অক্টোপাস
বহু উপাঙ্গবিশিষ্ট অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে অধিক বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করে অক্টোপাস। অক্টোপাসের একটি সুক্ষ্ম স্নায়ুতন্ত্র রয়েছে এবং প্রতি উপাঙ্গতে রয়েছে নিউরনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, যেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মস্তিষ্কের জটিল কাজগুলো সম্পাদন করে।
অক্টোপাস বুদ্ধিমত্তার একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো- তাদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা। অক্টোপাস সুনিপুণভাবে হাতিয়ার ব্যবহার দেখে অনুকরণ করে শিখে নিতে পারে। এই ক্ষমতাটি তাদের বিভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা যায় যে, অক্টোপাস যে কোনো বন্দি দশা থেকে মুক্তি লাভের জন্য অদ্ভূত সব কৌশল অবলম্বন করে থাকে। মূলত তাদের অভূতপূর্ব অভিযোজন ক্ষমতাই এরকম নৈপুণ্য প্রকাশের জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
১ বছর আগে
বরগুনায় সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
বরগুনার তালতলীর শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতে একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে সৈকতের লঞ্চঘাট থেকে মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়।
আসাদুল নামে স্থানীয় এক জেলে জানান, প্রায় ৬ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২ ফুট চওড়া মৃত ডলফিনটির লেজ ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সাগরে জেলেদের জালে আটকে এটির মৃত্যু হয়েছে।
তালতলী উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টিম পাঠিয়েছি। ডলফিনটিকে নিরাপদ স্থানে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হালিমা সর্দার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মৃত ডলফিনটি ইরাবতী প্রজাতির। এটি জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত জোড়া ডলফিন
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত ডলফিন
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো ২টি মৃত ইরাবতী ডলফিন
১ বছর আগে
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত ডলফিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে গভীর রাতে ভেসে এসেছে অর্ধগলিত শুশুক প্রজাতির ডলফিন। ৯ ফুট ২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যর ডলফিনটির শরীরের অধিকাংশ চামড়া উঠে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকতে ডলফিনটি ভেসে এসেছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ব্যবসায়ী হোসাইন আমির বলেন, ‘রাত ১২ টার দিকে মৃত ডলফিনটি জোয়ারের স্রোতে ভেসে এসে ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকতে আটকে পড়ে। এটির মাথায় ও লেজে জালে আটকানোর চিহ্ন রয়েছে।’
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিশ-এর ইকোফিশ-২ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা বলেন, ‘কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসা ডলফিনটি শুশুক প্রজাতির। এটি জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যেতে পারে।’
বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন,‘আমি রাতে খবর পেয়ে ওখানকার বিট কর্মকর্তাকে মৃত ডলফিনটি বালুচাপা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো ২টি মৃত ইরাবতী ডলফিন
জেলের জালে বিরল প্রজাতির ডলফিন!
হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
১ বছর আগে
জেলের জালে বিরল প্রজাতির ডলফিন!
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির ডলফিন (গাঙ্গেয় শুশুক)। রবিবার সকালে যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার উমারপুর এলাকায় জেলেদের জালে ডলফিনটি ধরা পড়ে।
ডলফিনটির ওজন প্রায় ২১ কেজি। এ ডলফিন দেখতে এলাকার নারী পুরুষেরা ভিড় জমায়।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে দুইদিনে আরও ২টি ডলফিনের মৃত্যু
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকায় জেলেদের জালে ওই ডলফিন ধরা পরার পর স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী তিন হাজার টাকায় ডলফিনটি কিনে নেয় এবং একই এলাকার নৌকা ঘাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসে।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, এ প্রাণীটি এখন প্রায় বিপন্ন। এরা দেখতে ধূসর-বাদামি রঙের এবং এদের প্রধান খাদ্য ছোট মাছ। বিপন্ন প্রায় প্রাণীর শিকার বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
মৎস্যজীবী ও সাধারণ মানুষের অজ্ঞতায় নির্বিচারে প্রতিদিন অসংখ্য বিরল ও উপকারী প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
ডলফিন অত্যন্ত উপকারী ও নিরীহ একটা প্রাণী। জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর গুরুত্ব অনেক।
এছাড়া ডলফিনকে বলা হয় উপকূলীয় প্রতিবেশের প্রহরী।
তবে স্থানীয় মৎস্যবিদ বলছেন, নদীর মিলনস্থল, নদীর মোড় এবং নদীর গভীর অংশে এ প্রাণী বেশি দেখা যায়।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীতে জেলেদের জালে বিরল প্রজাতির এ ডলফিন ধরা পড়েছে বলে জানতে পেরেছি।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং প্রাণী বৈচিত্র্য রক্ষায় সকলকে সচেতন হতে হবে। যমুনায় নির্বিচারে প্রাণীহত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠি দেয়া হবে এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো হবে বলে।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো জীবিত ডলফিন
১ বছর আগে
হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র চট্টগ্রামের হালদা নদী। বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ নামেও পরিচিত প্রকৃতির বিস্ময়কর সৃষ্টি ‘হালদা নদী’ বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী, যেখান থেকে সরাসরি রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়।
এই হালদায় বসবাসকারী গাঙ্গেয় ডলফিন (প্লাটানিস্টা গাঙ্গেটিকা) বাংলাদেশের একটি বিপন্ন প্রজাতির স্বাদু পানির স্তন্যপায়ী প্রাণি। হালদা নদীকে ডলফিনের ‘অভয়াশ্রম’ হিসেবেই ধরা হয়। অথচ এই অভয়াশ্রমই অনিরাপদ হয়ে উঠেছে ডলফিনের জন্য। পাঁচ বছর ধরে এই নদীতে প্রাণ হারাচ্ছে মিঠাপানির অতি বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীটি।
স্থানীয় ভাষায় উতোম কিংবা শুশুক নামে পরিচিত মিঠাপানির এই প্রাণী হচ্ছে গাঙ্গেস বা গাঙ্গেয় ডলফিন। সাধারণত দূষণমুক্ত পরিষ্কার পানিতে গাঙ্গেয় ডলফিনের বিচরণ। কিন্তু মানবসৃষ্ঠ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রভাবে হালদার জলজ পরিবেশ ডলফিনের জন্য ক্রমশ অনিরাপদ হয়ে উঠছে যা পরিবেশ ও হালদা জন্য সামগ্রিক অশনিসংকেত বলে মনে করছেন হালদা বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট সাত প্রজাতির ডলফিন পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রধান গাঙ্গেয় ডলফিন। তবে দেশে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে আইইউসিএনের লাল তালিকাভুক্ত এটি। স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি সাধারণত দেশীয় মিঠা পানির নদীতে পাওয়া যায়।
হালদা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভূক্ত (অতি বিপন্ন প্রজাতি) জলজ প্রাণী হলো ডলফিন। বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে বিপন্ন প্রজাতির ডলফিন আছে মাত্র এক হাজার ১০০টি। এর মধ্যে শুধু হালদাতেই ছিল ১৭০টি। গত চার বছরে হালদায় ৩৯টি ডলফিন মারা গেছে। এর মধ্যে চলতি বছরে প্রাপ্ত মৃত ডলফিনের সংখ্যা ৬ টি। এরমধ্যে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত তিনটি উদ্বার করা হয়েছিল গত জুলাই মাসে।
আরও পড়ুন: ফেনীর অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বছরের পর বছর ধরে বাক্সবন্দী
সর্বশেষ মৃত ডলফিনটি (৩৯ তম) উদ্ধার করা হয়েছে গত ৩রা নভেম্বর-২০২২। হাটহাজারীর পুরাতন হালদা নদীর দক্ষিণ বাড়িঘোনা উত্তর মসজিদের পাশে খালের ধারে আটকে ছিল। উদ্ধার করা ডলফিনটির শরীরের বিভিন্ন অংশ পচে যাওয়ায় মৃত্যুর কারণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। একের পর এক এ জলজ প্রাণীর মৃত্যু হলেও যেন দেখার কেউ নেই।
হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলামের মতে প্রতিনিয়ত হালদা নদী ও এর শাখাখালের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরনের জাল,বঁড়শি ও বিষ ব্যবহার করে অবৈধভাবে মাছ ধরা হচ্ছে। এসব অবৈধজাল হালদায় ডলফিন মৃত্যুর অন্যতম কারণ। পাশাপাশি ডলফিনের বয়সবৃদ্ধি, খাদ্যের অভাব, দুষণ, পানির গুণাবলি পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পৃক্ত। হালদার বাস্ততন্তুকে ডলফিনের নিরাপদ আবাসস্থল করতে প্রশাসনের পাশাপাশি হালদা সম্পৃক্ত সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি সূত্র জানা গেছে, নৌযানের প্রপেলার, বালু–পাথর পরিবহনের ইঞ্জিনচালিত নৌকা–বাল্কহেড ও বালু তোলার যন্ত্র ড্রেজারের আঘাত, দূষণ, লবণাক্ততা এবং জালে আটকে ডলফিন মারা যাচ্ছে।
তারা জানায়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯টি ডলফিন মারা গেছে।
১ বছর আগে
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো জীবিত ডলফিন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জীবিত একটি ডলফিন ভেসে এসেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ইনানী পাটুয়ারটেক থেকে কিছু দূরে সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে।
জানা যায়, পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতে একটি ডলফিন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ডলফিনটি জীবিত দেখতে পেয়ে সাগরে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন বিচ কর্মীরা। কিন্তু ডলফিনটি আবারও তীরে ফিরে আসে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে ট্রলারডুবি: ২ জেলের লাশ উদ্ধার
পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, ডলফিনের পেট ও শরীরের কয়েকটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। যার কারণে ডলফিনটি দুর্বল হয়ে যায়। পরে ডলফিনটি মারা যায়।
সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট , বনবিভাগ ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ডলফিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই করেন। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:আসামিদের স্বীকারোক্তি: কক্সবাজারে নারী ও মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয় পর্যটকদের
কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো জেসিআইয়ের সাধারণ সদস্য সভা
২ বছর আগে
হালদা নদীতে দুইদিনে আরও ২টি ডলফিনের মৃত্যু
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে একদিনের ব্যবধানে আরও একটি মৃত ডলফিন ভেসে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকায় মৃত ডলফিনটি ভেসে আসে।এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে একই উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকায় একটি মৃত ডলফিন ভাসতে দেখা যায়। পরে উদ্ধার করে দেখা যায় মৃত ডলফিনের দাঁতসহ মুখের একাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে হালদায় বড় আকারের তিনটি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। কেন, কিভাবে এসব ডলফিনের মৃত্যু হচ্ছে তার কারণ জানা যায়নি।বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হওয়া মৃত ডলফিনটি প্রায় ৭ ফুট লম্বা এবং ওজন ৬০ কেজি। পচে যাওয়ায় মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।এর আগে গত ১৪ জুলাই রাউজান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গহিরা এলাকায় হালদার সংযোগ খাল বুড়িসর্তায় প্রায় সাড়ে ৮ ফুট দৈর্ঘ্যের ১২০ কেজি ওজনের একটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়।এটিসহ হালদা নদীতে এ পর্যন্ত ৩৮টি এবং কর্ণফুলি নদীতে ২টিসহ মোট ৪০টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেলে। ২০২০ সালে সর্বশেষ জরিপ চালিয়ে হালদায় ১২৭টির মতো ডলফিনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল।এবিষয়ে জানতে চাইলে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিসার্চ কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হালদায় ৩৮টি এবং কর্ণফুলীতে ২টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। এভাবে চলতে থাকলে হালদা ডলফিন শূন্য হয়ে যাবে। এখনই আমাদের হালদার ডলফিন রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সাগর তীরে ভেসে এসেছে মৃত ডলফিন ও বিপুল পরিমাণ মাছ
তুরাগে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ২টি মৃত ডলফিন উদ্ধার
২ বছর আগে
কক্সবাজার সাগর তীরে ভেসে এসেছে মৃত ডলফিন ও বিপুল পরিমাণ মাছ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উখিয়ার পাটোয়ারটেকে একটি ডলফিনের মরদেহ ও দরিয়ানগর পয়েন্টে বিপুল পরিমাণ মৃত মাছ ভেসে এসেছে।
মেরিনড্রাইভ সড়কের উখিয়ার পাটোয়ারটেক সৈকতে ডলফিনের মরদেহটি ভেসে এসেছে রবিবার সকাল ১০ টার দিকে। জোয়ারের পানিতে মৃত এ ডলফিনটি ভেসে এসে বালিয়াড়িতে আটকে যায় বলে জানান স্থানীয় জেলেরা।
অপরদিকে শনিবার সন্ধ্যায় ভাটার সময় দরিয়ানগর পয়েন্টে বিপুল পরিমাণ মৃত ছোট মাছ ভেসে আসে।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দরিয়ানগর সৈকতের বেশকিছু এলাকাজুড়ে ভেসে আসে ছোট আকৃতির চামিলা মাছ। মূলত মাছ ধরার একটি ফিশিং ট্রলার উপকূলের কাছাকাছি মাছ ধরার সময় জালে বেশি পরিমাণের ছোট মাছ আটকা পড়ে। জেলেরা তাদের ট্রলারে মাছ সংকোলন করতে না পেরে জালের গিট খোলে দেয়। এতে জোয়ারের পানিতে মাছগুলো সৈকতের বালিয়াড়িতে আটকে পড়ে। স্থানীয়রা বেশ কিছু মাছ কুড়িয়ে নিলেও জোয়ারের পানিতে কিছু ভেসে যায়।
২ বছর আগে