অধ্যক্ষ
রমেকে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, কক্ষে তালা
রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজুর রহমানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এসময় অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: শেয়ারবাজারে দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
আন্দোলনকারী চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল হক সরকার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনে অংশ নেওয়া মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন সেই সময়ের অধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে মিলে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার ফরেনসিক প্রতিবেদন বদলানোর জন্য চিকিৎসককে চাপ দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি।
আন্দোলনকারীরা জানান, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন মাহফুজুর রহমান। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া কোনো শিক্ষক রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ কোনো প্রশাসনিক পদে থাকতে পারবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ বলেন, আবু সাঈদের হত্যার সঠিক ফরেনসিক প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে নির্দেশনা দিয়েছিলাম।
উল্লেখ্য, গতকাল (২৯ অক্টোবর) ডা. মাহফুজুর রহমানকে রংপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ থেকে পদোন্নতি দিয়ে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
৩ সপ্তাহ আগে
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদ ছেড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদ ছেড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ (নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ) মসিউর রহমান।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিষপানে নার্সিং কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু
এর আগে নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা মসিউর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করে।
ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘নার্সিং ইনস্টিটিউট নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
তবে যতদিন পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ (নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ) না আসবে, ততদিন আতিয়া বানু দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের পেছনে অবস্থিত নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ মসিউর রহমান এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর থেকে শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে খাবারে অনিয়ম, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ ও বিল-ভাউচার বাণিজ্যসহ প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ করছেন।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
৩ মাস আগে
ফেনীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অধ্যক্ষের পদত্যাগ
নানা অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
সোমবার (১২ আগস্ট) কলেজের উপাধ্যক্ষ সুভদ্রা চৌধুরীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বদলি হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অসদুপায়ের সুযোগ করে দিতেন। পর্দা করার কারণে নারী শিক্ষার্থীদের কটাক্ষ, হোস্টেল-মাঠ সংস্কার না করেও সংস্কারের নামে টাকা আত্মসাৎ এবং আইসিটি নির্ভর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলেও ল্যাবগুলোতে শিক্ষার্থীদের অনুশীলন করতে না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
সাদিয়া আক্তার নামে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট একজন শিক্ষক ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন পাবিপ্রবির উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ রাজনীতি করার কারণে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের হাতে নির্যাতিত হলেও তিনি কখনোই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেননি। সব সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে পরিচয় দিতেন। আমরা মেয়েরা পর্দা করার কারণে বিভিন্ন সময় হেনস্থার শিকার হয়েছি।
আবদুর রহমান নামে প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীরা স্যারের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ এনে পদত্যাগ দাবি করেছে। প্রথমে তিনি পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানালেও পরে বাধ্য হয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।
ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ সুভদ্রা চৌধুরী বলেন, রবিবার শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করে। পরে সোমবার বিকালে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী আমার কাছে অধ্যক্ষের দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন। কলেজের সার্বিক পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাজাহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাবেক ও বর্তমান কিছু শিক্ষার্থী সোমবার বিকালে ক্যাম্পাসে হট্টগোল শুরু করেন। তারা আমার পদত্যাগ দাবি করে একটি কাগজে সই করতে বলেন। সম্মানের কথা ভেবে সেই কাগজে সই করে দিয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আমাকে অন্যত্র বদলির বিষয়ে অনুরোধ করেছি।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ মিছিল, দাবি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ
৩ মাস আগে
নাটোরে অধ্যক্ষের নামে আসা পার্সেলে বোমা, নিষ্ক্রিয় করেছে ডিসপোজাল ইউনিট
নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকারি বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল ও আইসিটি ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের ঘরের দরজায় রাখা বোমাটি নিষ্ক্রিয় করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
পরিদর্শক শফিউদ্দিন শেখের নেতৃত্বে ১১ সদস্যদের টিম শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে বোমাসহ পার্সেলটি অধ্যক্ষের দরজার সামনে থেকে ক্যাম্পাসের ফাঁকা স্থানে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।
পরে এক ব্রিফিংয়ে দলনেতা শফিউদ্দিন বলেন, পার্সেলের ভেতরে হাতে তৈরি ছোট আকারের বোমা ছিল। বোমাটির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনের ধাক্কায় দম্পতির মৃত্যু
এর আগে শনিবার সকালে কলেজে গিয়ে নিজ দপ্তরের দরজায় তার নামে পাঠানো একটি বড় আকারের আমের পার্সেল দেখতে পান ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।
খবর পেয়ে রাজশাহী থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বোমা বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরকের আলামতের কথা জানান।
এরপর দিনভর প্রতিষ্ঠানটি ঘিরে রাখে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত সোয়া ১টার দিকে তা নিষ্ক্রিয় করে।
ইউএনবি’র নাটোর প্রতিনিধি জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি এবং কোনো মামলাও হয়নি।
আরও পড়ুন: নাটোরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার
নাটোরে সদর হাসপাতাল থেকে অভিনব কায়দায় নবজাতক চুরি
১ বছর আগে
বরিশালে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণসহ ৬ দফা দাবিতে বরিশালের বাবুগঞ্জের রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) শিক্ষার্থীরা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কক্ষ তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করার পর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শেষে বরিশাল-ঢাকা মহাড়কে এসে অবস্থান নেয়। এসময় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে ২০ মিনিটের মতো অবস্থান করার পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জের রহমতপুর ব্রিজ এলাকার দুই পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
ইনস্টিটিউটের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সিয়াম সরদার জানান, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ শ্রেণিকক্ষে বিনা কারণে শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করা, ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ, কল্যাণ তহবিলের নামে অর্থ নিলেও তা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার কাজে ব্যবহার করেন না ও শিক্ষার্থীদের বিনা কারণে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। এই কারণে তার অপসারণসহ ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থী শচীন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলী জিন্নাহকে বদলি, নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া, কলেজের ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করা, অতিরিক্ত ভর্তি নেয়া বন্ধ, ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও শিক্ষার্থীদের বদলি করাসহ নানা হুমকি দেয়ার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা না এলে তারা পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করবেন।
আরও পড়ুন: মতিঝিলে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তিনিসহ ৮/১০ জন অবরুদ্ধ রয়েছেন। ইউএনও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন। শিক্ষার্থীরা আগে কিছু না জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, সামনাসামনি আলোচনা না হলে তো বলতে পারবো না, তারা কি অভিযোগ এনেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসছেন। তাদের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলালউদ্দিন জানান, মহাসড়ক ক্লিয়ার রয়েছে। যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মহাসড়ক ও ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত: নোয়াখালীতে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ
চবি ছাত্রলীগের অবরোধ স্থগিত
২ বছর আগে
অধ্যক্ষ মারেফা খাতুন আর নেই
লালমাটিয়া মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মারেফা খাতুন আর নেই। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাত ৭টা ৫৭ মিনিটে বার্ধক্যজনিত রোগে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি….রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি চার মেয়ে, নাতি-নাতনী এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শনিবার বাদ জোহর উত্তরা, ৪ নম্বর সেক্টর জামে মসজিদে মরহুমার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষকতার পাশাপাশি অধ্যক্ষ মারেফা খাতুন নিয়মিত লেখালেখি করতেন।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি কৃষ্ণ ধর আর নেই
অভিনেতা মাসুম আজিজ আর নেই
২ বছর আগে
রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী কর্তৃক কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি তাকে অনেক বিব্রত করেছে।
রবিবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণার পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজন হলে আমরা সংসদ স্পিকারের কাছে যেতে পারি।
গত ৭ জুলাই সংসদ সদস্য ওমর ফারুক রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
পরদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
আরও পড়ুন: দেশবিরোধী অপশক্তি পাঠ্যবই নিয়ে গুজব ছড়িয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই মাটিকাটা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল রাজুসহ অন্যদের উপস্থিতিতে সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওমর ফারুক চৌধুরী ও অধ্যক্ষ সেলিম রেজা দুজনেই গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অস্বীকার করেন।
সেলিম রেজা বলেন, আবদুল আউয়াল তাকে সংসদ সদস্য ফারুকের কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য ফোন করেছিলেন, সেখানে পৌঁছে তিনি বিভিন্ন কলেজের আরও সাতজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে দেখতে পান। ‘পরবর্তীতে প্রধান ফোরাম কমিটি গঠন এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের থামাতে সংসদ সদস্য ওমর ফারুককে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে, সেদিন আর কিছুই হয়নি।’
সংসদ সদস্য ওমর ফারুক বলেন, একটি সিন্ডিকেট ইস্যু তৈরির জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়েছে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম কলেজ শিক্ষকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে বিকৃত রূপ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মূলত ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য তাদের ডেকেছিলাম। কিন্তু তারা তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে এবং অধ্যক্ষ সেলিম ও আব্দুল আউয়াল একে অপরকে আক্রমণ করে যা আমাকে থামাতে হয়।’
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা: শিক্ষামন্ত্রী
স্কুল থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
নড়াইলে অধ্যক্ষ হেনস্তা: ১ শিক্ষক ও কলেজ পরিচালনা পরিষদকে শোকজ
নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হেনস্তার ঘটনায় কলেজের এক শিক্ষক এবং কলেজ পরিচালনা পরিষদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মো. রহমাতুল্লাহ রনির ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (জনসংযোগ দপ্তর) পরিচালক মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঘটনার দিন নেতিবাচক ভূমিকা রাখায় মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক আক্তার হোসেন টিংকু এবং এ ঘটনায় নির্লিপ্ততার জন্য কলেজ পরিচালনা পরিষদকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিক্ষককে হেনস্তা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-সে মর্মে দ্রুত সময়ের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া অধ্যক্ষ হেনস্তার ঘটনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৮ জুন তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তদন্ত কমিটি সিন্ডিকেট সভায় ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বিএল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শরীফ আতিকুজ্জমান।
এ প্রসঙ্গে মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আক্তার হোসেন টিংকু বলেন, শোকজের বিষয়টি শুনেছি। এখনও কোন চিঠি পাইনি।
তিনি আরও বলেন, চিঠি পেলে অবশ্যই দ্রুত সময়ের মধ্যে জবাব দেব।
মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্তী বলেন, শোকজের বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনও কোনো কাগজপত্র পাইনি। চিঠি পেলে জবাব দেয়া হবে।
অধ্যক্ষ হেনস্তার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুর রহমান বলেন, শাওন, মনিরুল, রিমন ও রনির তিনদিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়েছে। পরে তাদের হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া নূর নবীর তিন দিনের রিমান্ড শুরু হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এ রিমান্ড চলবে।
জানা গেছে, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে কলেজছাত্র রাহুল দেব রায়ের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলে। ওইদিন বিকালে পুলিশের পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। ওইসময় কতিপয় ব্যক্তি এসে অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। গুজব ছড়ায়, নূপুর শর্মার ছবি পোস্ট করা ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত রাহুলকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। সে এখন হাজতে। এছাড়া অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের মামলায় ১৭০-১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক লাঞ্ছিত: নড়াইল থানার ওসি প্রত্যাহার
নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: আ’লীগ নেতাকে অব্যাহতি
২ বছর আগে
অ্যালুমিনিয়ামের পাইপ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষ আটক
নরসিংদীর পলাশ সেন্ট্রাল কলেজের ১৬ শিক্ষার্থীকে পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার পণ্ডিতপাড়ার বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে ছয়টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। রবিবার ষষ্ঠতম বিষয়ের শিক্ষক ক্লাস নিতে আসবেন না এমন খবরে অধিকাংশ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে ওই শিক্ষক ক্লাসে এলে কয়েকজন ক্লাসে আসে।
পরদিন সোমবার সব শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে আসেন। বেলা ১১টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজী অ্যালুমিনিয়ামের পাইপ নিয়ে শ্রেণিকক্ষে এসে গতদিন ষষ্ঠতম বিষয়ের ক্লাস না করা ১৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। অনেক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মারধরে জখমের ছবি পোস্ট করে অধ্যক্ষের বিচার দাবি করেন। মুহূর্তেই এসব পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ঠিকাদারকে কুপিয়ে হত্যা
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম মিত্র বলেন, ছাত্র পেটানো কেন, কোনো শিক্ষক ছাত্রকে তিরস্কার করে কথা বলার বিধানও আইনে নেই।
তিনি জানান, ঘটনাটি তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিলন কৃষ্ণ হালদারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগের সম্পর্কে জানতে চাইলে নরসিংদীর পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের শাসন করেছি। এখন কেউ কেউ এটাকে ইস্যু বানিয়ে পরিবেশ ঘোলা করার চেষ্টা করছে।’
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস মিয়া বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজীকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে স্ত্রী ও ২ মেয়েকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
কুড়িগ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ১
২ বছর আগে
দুর্নীতির অভিযোগে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে দুদকের তলব
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহানারা বেগমকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১৫ নভেম্বর সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে তাকে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য রেকর্ড করাতে বলা হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রদত্ত সময়ে তিনি (শাহানারা বেগম) উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে অভিযোগের বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: তদন্তকালে ঘুষ দাবি, দুদকের সহকারী পরিচালককে হাইকোর্টে তলব
কুষ্টিয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৩ বছর আগে