কাপ্তাই হ্রদ
কাপ্তাই হ্রদে ট্যুরিস্ট বোটে সন্ত্রাসীদের আগুন, ছিনতাই
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ট্যুরিস্ট বোটে আগুন দিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এসময় পর্যটকদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল সেটও ছিনিয়ে নেয় তারা।
তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বর্গছেড়ার কাছাকাছি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
পর্যটকবাহী ওই বোটের মালিক আলাউদ্দিন টুটুল জানান, শুক্রবার সকালে চাঁদপুর থেকে আসা একটি দল আমার বোট নিয়ে তবলছড়ি ঘাট থেকে সুভলংয়ে রওনা হয়। স্বর্গছেড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে সশন্ত্র সন্ত্রাসীরা বোটের গতিরোধ করে বালুখালীর বসন্তমোন এলাকায় নিয়ে যায়।
সেখানে আরও কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বোটের চালক গিয়াসসহ পর্যটকদের বোট থেকে নামিয়ে দেয়। পরে বোটে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সন্ত্রাসী পর্যটকদের ৬টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম জানায়, খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করে শহরে নিয়ে আসে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত
কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর পার থেকে রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার
দীর্ঘ ৪৬ দিন পর ভেসে উঠল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে যাওয়া ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ খ্যাত পর্যটন ঝুলন্ত সেতু দীর্ঘ ১ মাস ১৬ দিন পর ভেসে উঠেছে।
এতে পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেতুতে আগের দেওয়া পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এরই মধ্যে পর্যটকরা ঝুলন্ত সেতুতে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি
রাঙ্গামাটিতে আগত পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় থাকে পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতু। পাহাড়ের দুই দ্বীপ ও প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে ৮০- এর দশকে তৈরি করা হয়েছে ঝুলন্ত সেতু। এদিকে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ঝুলন্ত সেতু বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পর্যটন বোট ঘাটের ইজারাদার রমজান আলী জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বছরই সেতুটি হ্রদের পানিতে ডুবে যায়। এতে পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যাওয়া ঝুলন্ত সেতু পারাপারের টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, এতে করে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে। আর পর্যটক না আসায় দেড় মাসেরও বেশি সময় পর্যটকবাহী বোটগুলোর চালকরা ঘাটে বসে দিন পার করতে হয়েছে। এতে অতি কষ্টে দিন পার করেছে। তবে সেতুটি ডুবে থাকার কারণে ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে তা এবার শীত মৌসুমে পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে গাছবোঝাই ট্রাক থামিয়ে চালককে গুলি
কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি, খুলে দেওয়া হলো স্পিলওয়ের ১৬ গেট
গত কয়েকদিনের অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
হ্রদের পানির ধারণক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (কপাবিকে) ১৬ গেইটে ৬ ইঞ্চি করে পানি নিষ্কাশন শুরু হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে।
কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেট একযোগে খুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, একসঙ্গে চালু হলো ৫ ইউনিট
তিনি বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি দিন দিন বাড়ছে। বৃহস্পতিবার কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা ছিল ১০৭ দশমিক ৫৪ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল)। যা রুলকার্ভ থেকে ছয় ফুট ওপরে।
তিনি আরও বলেন, ফলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে শুক্রবার পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট ৬ ইঞ্চি খুলে পানি ছেড়ে দিয়েছি। প্রতি সেকেন্ডে এই গেট দিয়ে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হয়ে পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে। তবে কাপ্তাই হ্রদের সর্বোচ্চ পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল।
তিনি বলেন, কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতি সেকেন্ড আরও ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫টি ইউনিট থেকে সর্বমোট ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হয়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ
মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু, জেলেদের মাঝে ফিরছে স্বস্তি
কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু। এতে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দেখা যায়, কাপ্তাই হ্রদের পাটাতনের ৬ ইঞ্চি পরিমাণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে সেতুটি। এ সময় বেড়াতে আসা পর্যটকদের পারাপার বন্ধ করে দেয় পর্যটন কর্তৃপক্ষ। আর রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা ডুবন্ত সেতু দেখে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হলো রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স
হতাশা দেখা দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝেও।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ঝুলন্ত সেতু ডুবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের জন্য রবিবার সকাল থেকে সেতুর পারাপারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। হ্রদের পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ঝুলন্ত সেতুটি চলাচলের উপযোগী হলে আবার চলাচলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
পর্যটন করপোরেশনের বোট ইজারাদা রমজান আলী ও টিকেট কাউন্টারম্যান মো. সোহেল জানান, ঝুলন্ত সেতুটি হ্রদে ডুবে যাওয়া ঝুলন্ত সেতু পারাপারের বন্ধ থাকায় পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। পর্যটকবাহী বোটগুলো ঘাটে বসে আছে। যতদিন কাপ্তাই হ্রদের পানি স্বাভাবিক না হয় ততদিন আমাদের ব্যবসা বন্ধ রাখা ছাড়া কোনো গতি নেই।
আরও পড়ুন: ওয়াই সেতু নির্মাণে রাঙ্গামাটির বিচ্ছিন্ন দুই দ্বীপবাসীর স্বপ্নপূরণ
মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু, জেলেদের মাঝে ফিরছে স্বস্তি
চার মাস ১২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বৃহস্পতিবার ( ৩১আগস্ট ) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা।
গত ১৯ জুলাই কাপ্তাই হ্রদে প্রথম দফার তিন মাসের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। তবে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় দ্বিতীয় মেয়াদে আরও এক মাস ১২ দিন নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত জারি রাখা হয়।
কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করা এবং অবমুক্ত করা পোনা বেড়ে ওঠার জন্য প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়। এবছর কম বৃষ্টি হওয়ায় এবং ভারতের মিজোরাম থেকে পানি না আসায় হ্রদের পানি প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) তথ্য অনুযায়ী, হ্রদে ১০৫ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) পানি থাকলেই অবমুক্ত করা পোনা বেড়ে ওঠার এবং মা মাছ প্রাকৃতিক প্রজননের পর্যাপ্ত সুযোগ পায়। তবে বর্ষার শুরুতে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পোনা মাছ বেড়ে উঠতে পারেনি। একারণে জেলা প্রশাসন কাপ্তাই হ্রদে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি রাখে।
অন্য বছরের থেকে প্রায় এক মাস বেশি মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে জেলেদের। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ায় স্বস্তি ফিরছে তাদের মাঝে।
পুরান জেলে পাড়ার বাসিন্দা সজল দাশ বলেন, তিন মাস ভিজিএফ-এর ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র দুই মাস চাল পেয়েছি। আমাদের চলতে কষ্ট হচ্ছে। এখন মাছ ধরার অনুমতি দেওয়ার খবরে আমরা খুবই খুশি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মাস মাছ ধরা নিষেধ
কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, একসঙ্গে চালু হলো ৫ ইউনিট
৪ দিন ধরে টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ছে। এতে পানির উপর নির্ভরশীল কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কিছুটা বেড়েছে।
একসঙ্গে চালু হয়েছে ৫টি ইউনিট। এই ৫ ইউনিট থেকে সর্বমোট ১৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আর উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে পানির বাড়ছে।
রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে এই মুহূর্তে রবিবার (৬ আগস্ট) ৯০ দশমিক ৬০ ফুট মিনস সি লেভেল (এমএসএল) পানি থাকার কথা। কিন্তু হ্রদে এখন পানি রয়েছে ৮২ দশমিক ৯০ ফুট এম এস এল।
কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। তবে পানি বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে এই কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে ৫টি ইউনিট সচল রয়েছে।
এই ৫টির ইউনিট থেকে বর্তমানে ১৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফের কালেক্টর নিহত
ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড়ের ঢালে ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকজনকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়ে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
এছাড়া, শনিবার (১৩ মে) বিকাল ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
শনিবার জারি করা এক জরুরি গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ৩ পার্বত্য জেলায় ভূমিধসের আশঙ্কা
বিজ্ঞপ্তিতে অতিপ্রবল এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মানুষের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি সর্বসাধারণকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া আসন্ন মোখার আঘাত থেকে সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে কর্মরত সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটিসহ সকল ছুটি বাতিল করা বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় রাঙ্গামাটিতে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটিতে দুর্যোগমোকাবেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘনিয়ে আসায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
কাপ্তাই হ্রদে ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মাস মাছ ধরা নিষেধ
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনের মাধ্যমে মাছের বংশ বৃদ্ধি, অবমুক্ত পোনার মাছের বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন এবং যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আগামী ২০ এপ্রিল দিবাগত রাত থেকে কার্যকর হবে এই নিষেধাজ্ঞা। এই সময় থেকে কাপ্তাই হ্রদের মাছ পরিবহন ও বাজারজাতকরণও নিষিদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও বালুভর্তি ট্রলারের সংর্ঘষে আহত ৭, নিখোঁজ ২
সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ‘কাপ্তাই হ্রদের মাছ আহরণ প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণ’- বিষয়ক সভায় জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
বৈঠকে রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সাইফুল ইসলাম, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র দাস, নৌপুলিশ প্রতিনিধি, বিজিবি প্রতিনিধিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মূলত, কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়।
এছাড়া হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞাকালীন মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২০ হাজার জেলেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে ভাসমান অবস্থায় শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
কাপ্তাই হ্রদে পানির স্বল্পতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিন্মে
কাপ্তাই হ্রদে ভাসমান অবস্থায় শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিরার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি পুলিশ তার লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত শ্রমিকের নাম গিয়াস উদ্দিন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, সকালে একটি লাশ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশকে খবর দেয়। রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি পুলিশ সকাল সাড়ে ৯ টায় এসে লাশটি উদ্ধার করে। এর মধ্যে গত ছয় দিন ধরে নিখোঁজ গিয়াস উদ্দিনের পরিবারের লোকজনও হ্রদ এলাকায় উপস্থিত হয়। পরে লাশ তুললে পরিবারের লোকজন গিয়াস উদ্দিনকে শনাক্ত করে।
রাঙ্গামাটি পৌরসভার কাউন্সিলার হেলাল উদ্দিন বলেন, সকাল বেলা খবর পেয়ে আমরা হ্রদের পাড়ে গিয়ে লাশ দেখতে পাই। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ক্যা হ্লা চিং জানান, আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। লাশ উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। দীর্ঘ কয়েকদিন হয়ে গেছে তাই বোঝা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের পর বলা যাবে।
রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল আমিন আরিফ বলেন, রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকায় হ্রদে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তার পরিবার গত চার দিন আগে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর মেঘনা নদী থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহে মেহগনি বাগান থেকে পুলিশ কনস্টেবলের লাশ উদ্ধার
কাপ্তাই হ্রদে পানির স্বল্পতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিন্মে
কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর নিচে নেমে যাওযায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিন্ম পর্যায়ে এসেছে।
রবিবার সকাল ১০টায় এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী প্রকৌশলী জালাল উদ্দিন জানান, কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার ফলে কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে শুধুমাত্র দুই নম্বর ইউনিট হতে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও নৌকার সংঘর্ষ: নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, এ কেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিটের মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে এবং যে কোন সময়ে এটি চালু করা হবে। তবে কাপ্তাই হ্রদের পানি স্বল্পতায় এক নম্বর ইউনিটসহ ৩,৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ ছিল ৯০ দশমিক ০৯ ফুট মিন সি লেভেল (এম,এস,এল)।
হ্রদের রুল কার্ভ অনুযায়ী বর্তমানে পানি থাকার কথা ১০৬ দশমিক চার (এম,এস,এল) এবং কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ (এস,এস,এল)।
উল্লেখ্য, পানির ওপর নির্ভরশীল কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রর পাঁচটি ইউনিট দিয়ে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
তবে বছরের এই মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে তীব্র পানির সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হবার পাশাপাশি নৌ চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে।
এতে করে নৌ পথে চলাচলরত যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানায় নৌ চলাচল ব্যাহত: সীমাহীন দুর্ভোগে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা
কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও বালুভর্তি ট্রলারের সংর্ঘষে আহত ৭, নিখোঁজ ২