কাপ্তাই হ্রদ
প্রায় ৩ মাস পর ভেসে উঠল রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ার ফলে ডুবে যাওয়া রাঙ্গামাটির পর্যটন ঝুলন্ত সেতু ২ মাস ২৩ দিন পর ভেসে উঠেছে।
সে কারণে সেতুতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটকদের দেখায় যায়নি। স্থানীয় কিছু লোকজনকে সেতুটিতে ঘুরতে দেখা গেছে।
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় গত ২৪ জুলাই কাপ্তাই হ্রদে সেতুর পাটাতন প্রায় ১ ফুট পরিমাণ পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ২ মাস ২৩ দিন পর কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে থাকার পর আবারও ভেসে উঠে। আর সেতুটির উপরে পযটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সেতু।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু পানির নিচে, হতাশ পর্যটকরা
পর্যটন বোট ঘাটের ইজারাদার রমজান আলী জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বছরই সেতুটি হ্রদের পানিতে ডুবে যায়। এতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ। আর পর্যটক না আসায় প্রায় ২ মাসের বেশি সময় ধরে পর্যটকবাহী বোটগুলোর চালকদের ঘাটে বসে দিন পার করতে হয়েছে। তবে সেতুটি ডুবে থাকার কারণে ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে তা এবার শীত মৌসুমে পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা জানান, এ বছরও হ্রদে পানি বাড়ায় চলতি বছরের ২৪ জুলাই সেতুটি ডুবে যায়। হ্রদের পানি কমায় ২ মাস ২৩ দিন ডুবে থাকার পর আবারও ভেসে উঠেছে ঝুলন্ত সেতুটি। আর সেতুটি আবারও ভেসে উঠায় সেতুটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, রং করাসহ প্রাথমিক মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেতুতে পর্যটক প্রবেশে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটক ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে এবং পানি কমে যাওয়ায় ঝুলন্ত সেতুটি আবারও ভেসে ওঠায় নতুন করে ব্যবসার পসার করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দিনে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি
১ মাস আগে
৪ মাস ৭ দিন পর রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু
৪ মাস ৭ দিন পর রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হচ্ছে। সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক শনিবার (৩১ আগস্ট)দিবাগত রাত ১২টা থেকে হ্রদের জাল ফেলা শুরু করা হবে।
এদিকে ৪ মাস পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু হওয়ায় রাঙ্গামাটির ব্যবসায়ীদের মাঝে কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাবে।
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণসহ কাপ্তাই হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশকে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের আদেশে দীর্ঘ ৪ মাস বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের মাছ শিকার শুরু হচ্ছে। সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলার ব্যবসায়ীরা শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে হ্রদের জাল ফেলা শুরু করবে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় রাঙ্গামাটির বিএফডিসির ৪টি অবতরণ ঘাটে মাছ অবতরণ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ ধরা শুরু
আর মাছ শিকার শুরু হওয়ায় সকাল থেকে রাঙ্গামাটির বিএফডিসির অবতরণ ঘাটে মৎস্য ব্যসায়ী ও কর্মচারীদের মাঝে কর্ম তৎপরতা ও প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরবে। খুলে দেওয়া হবে শহরের সকল বরফ কল। জেলে ও মাছ ব্যসায়ীদের কর্ম তৎপরতা শুরু হওয়ায় রাঙ্গামাটি শহরের মাছের বাজারগুলোতেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। অবতরণ ঘাটে মাছের শুল্কহারসহ প্রয়োজনীয় কাজ শেষে দেশের বিভিন্নস্থানে বাজারজাতকরণ করা হবে।
এ বিষয়ে কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি নবী হোসেন বলেন, কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু হতে যাচ্ছে। এতে করে দীর্ঘ চার মাসের বেশির সময় পর কাজে ফিরছেন আমাদের জেলে-ব্যবসায়ীরা।
আমরা প্রত্যাশা করছি, এ বছর কাপ্তাই হ্রদের মাছের গুনগত মান ভালো হবে। গত কয়েক বছর ধরে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি না পাওয়ায় হ্রদে সকল ধরনের মাছের আকার ছোট ছিল ও প্রথম এক মাসের মধ্যে সব মাছ আহরণ শেষ হয়ে যেত। এবার হ্রদের পানি বৃদ্ধি হওয়ায় পুরো বছর জুরে মাছ আহরণ করতে সক্ষম হবেন। এতে লাভবান হবেন ব্যবসায়ীরা।
রাঙ্গামাটি বিএফডিসির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূইয়া বলেন, ইতোমধ্যেই বিএফডিসির পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি শহরের প্রধান বিপণনকেন্দ্রসহ অন্যান্য বিপণনকেন্দ্রগুলোর অবতরণ ঘাটগুলো আগেই প্রস্তুত করা হয়েছে। রবিবার ভোর থেকে অবতরণ ঘাটে মাছ নিয়ে আসবেন জেলেরা। এরপর এই মাছের শুল্কহার আদায় শেষে বাজারজাত করবেন ব্যবসায়ীরা।
এবার রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বিস্তারের কারণে মাছের উৎপাদন আগামী দিনের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলেও জানান রাঙ্গামাটি বিএফডিসির ব্যবস্থাপক।
এশিয়ার বৃহত্তম এই কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদে ৬৬টি দেশিও প্রজাতির ও ৬টি বহিরাগত প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। আর হ্রদের মিঠা পানির মাছ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই রাঙ্গামাটি এই কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রকৃতিক প্রজনন ধরে রাখতে কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য সম্পদ রক্ষাসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে দ্রুত কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে জল বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষে কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে সৃষ্টি করা হয় ২৫৬ বর্গমাইল আয়তনের কৃত্রিম এই কাপ্তাই হ্রদ। পরবর্তীতে এই হ্রদ হয়ে উঠে মিঠাপানির মাছের সবচেয়ে বড় ভান্ডার। দেশের বৃহৎ এই কৃত্রিম হ্রদে দেশীয় রুই প্রজাতির মাছের বড় একটি অংশ দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগান দেওয়া হয় এখান থেকে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু, জেলেদের মাঝে ফিরছে স্বস্তি
মাছ ধরা শুরু, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেয়ে খুশি বরগুনার জেলেরা
২ মাস আগে
আবারও বেড়েছে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি, ২ ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে ১৬টি জলকপাট
কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও বেড়েছে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি। এতে হ্রদের পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছালে বাঁধের ১৬টি জলকপাট দুই ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতি সেকেন্ডে ৩৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে নির্গত হচ্ছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) থেকে দুই ফুট করে জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে পানির স্তর ১০৮ দশমিক ৮২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। এর আগে শুক্রবার জলকপাট এক ফুট খোলা থাকলেও রাতেই পানি বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেট খুলবে আজ রাতেই
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের বলেন, পানি বেড়ে যাওয়ায় দুই ফুট করে গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ৩৯ হাজার কিউসেক। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু রেখে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে ছাড়া হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি। তবে পানি ছাড়লেও ভাটি অঞ্চলের কোনো ক্ষতি হবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছেন, হ্রদের পানির স্তর আবারও বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে হ্রদের নিম্নাঞ্চলের মানুষ। প্রায় ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট বিকাল ৩টায় কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি জরুরি নোটিশের মাধ্যমে পানি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। ওইদিন রাত ১০টায় পানি ছাড়ার কথা থাকলেও পর্যবেক্ষণ করার পর সময় পরিবর্তন করে ২৫ আগস্ট সকাল ৮টা ১০মিনিট থেকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট ৪ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। এজন্য ভাটি অঞ্চলকে আগে জরুরি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট
কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেট খুলবে আজ রাতেই
২ মাস আগে
কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেট খুলবে আজ রাতেই
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি গেইট খুলে পানি ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
তিনি বলেন, ‘হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ এমএসএলে পৌঁছানোর কারণে আজ রাত ১০টায় প্রতিটি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হবে।’
শনিবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ কথা জানান কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন ২১৩ মেগাওয়াট
তিনি বলেন, ‘গত দুই দিন কাপ্তাই হ্রদ ও হ্রদের আশেপাশের উপজেলাগুলোতে বৃষ্টি না হলেও এর আগে টানা চার দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফলে হ্রদের পানির উচ্চতা বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে আসায় স্পিলওয়ের গেইটগুলো খুলে দেওয়া হবে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করবে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় গেট খোলার পরিমাণ বাড়ানো হতে পারে।’
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, কাপ্তাই হ্রদের ১০৮ ফুট এমএসএল পর্যন্ত বিপৎসীমার অবস্থা সৃষ্টি হয়। এই পরিমাপে পৌঁছালে যেকোনো সময় হ্রদের পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্পিলওয়ে দিয়ে ছাড়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু
তারা আরও জানান, বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে ৩২ হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাষিত হচ্ছে। এই পানি কর্ণফুলীতে গিয়ে পড়ে। এতে কর্ণফুলীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে হ্রদে রুলকার্ভ অনুযায়ী প্রয়োজনের চেয়ে পানি বেশি আছে। ফলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২১৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। তবে ৫টি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২৩০ থেকে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
৩ মাস আগে
কাপ্তাই হ্রদে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু। এতে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে কাপ্তাই হ্রদে সেতুর পাটাতনে প্রায় ১ ফুট পরিমাণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে সেতুটি। এ সময় বেড়াতে আসা পর্যটকদের পারাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন্ধ করে দিয়েছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু, ১১ জেলায় ৪৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনের ওপর পানি উঠেছে প্রায় ১ ফুটের কাছাকাছি। পানির চাপে অনেক স্থানেই খুলে গেছে সেতুর পাটাতনের কাঠ। ফলে সেতুতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের। তবে অনেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচল করছেন সেতুতে। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ঝুলন্ত সেতু ডুবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ কারণে পর্যটকদের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে ঝুলন্ত সেতু পারাপারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হ্রদের পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঝুলন্ত সেতুটি চলাচলের উপযোগী হলে আবার চলাচলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল
‘৫০ বছরে ফটিকছড়িতে এমন বন্যা দেখিনি’
৩ মাস আগে
কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২টি ইউনিট চালু
গত কয়েকদিন ধরে কাপ্তাই হ্রদের আশেপাশে বৃষ্টি হওয়ায় হ্রদের কিছুটা পানি বেড়েছে। এর ফলে কাপ্তাই কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের (কপাবিকে) ২টি ইউনিট একসঙ্গে চালু করা হয়েছে।
বেশ কয়েকমাস ধরে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর সর্বনিন্ম পর্যায়ে নেমে আসায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের শুধু ১টি ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছিল বলে জানান কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
আরও পড়ুন: এক মাস পর চাঁদপুরের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে আংশিক উৎপাদন শুরু
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে তিনি ইউএনবিকে জানান, গত তিন দিন থেকে এই কেন্দ্রে ২টি ইউনিট চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১ নম্বর ইউনিট থেকে ৩০ মেগাওয়াট এবং ২ নম্বর ইউনিট থেকে ২৫ মেগাওয়াটসহ সর্বমোট ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এতদিন শুধু একটি ইউনিট থেকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো।
ব্যবস্থাপক আরও জানান, রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদের বর্তমানে পানি থাকার কথা ৭৬.৪০ মিনস সি লেভেল, কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের পানি আছে ৭৮.৫৫ মিনস সি লেভেল। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মিনস সি লেভেল।
উল্লেখ্য, পানির উপর নির্ভরশীল কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। উৎপাদিত সবটুকু বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সর্বনিম্ন দামে বিদ্যুৎ পেলেও হরিপুর ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ছে না: সূত্র
৫ মাস আগে
কাপ্তাই হ্রদে ট্যুরিস্ট বোটে সন্ত্রাসীদের আগুন, ছিনতাই
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ট্যুরিস্ট বোটে আগুন দিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এসময় পর্যটকদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল সেটও ছিনিয়ে নেয় তারা।
তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বর্গছেড়ার কাছাকাছি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
পর্যটকবাহী ওই বোটের মালিক আলাউদ্দিন টুটুল জানান, শুক্রবার সকালে চাঁদপুর থেকে আসা একটি দল আমার বোট নিয়ে তবলছড়ি ঘাট থেকে সুভলংয়ে রওনা হয়। স্বর্গছেড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে সশন্ত্র সন্ত্রাসীরা বোটের গতিরোধ করে বালুখালীর বসন্তমোন এলাকায় নিয়ে যায়।
সেখানে আরও কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বোটের চালক গিয়াসসহ পর্যটকদের বোট থেকে নামিয়ে দেয়। পরে বোটে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সন্ত্রাসী পর্যটকদের ৬টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম জানায়, খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করে শহরে নিয়ে আসে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত
কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর পার থেকে রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার
১ বছর আগে
দীর্ঘ ৪৬ দিন পর ভেসে উঠল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে যাওয়া ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ খ্যাত পর্যটন ঝুলন্ত সেতু দীর্ঘ ১ মাস ১৬ দিন পর ভেসে উঠেছে।
এতে পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেতুতে আগের দেওয়া পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এরই মধ্যে পর্যটকরা ঝুলন্ত সেতুতে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি
রাঙ্গামাটিতে আগত পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় থাকে পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতু। পাহাড়ের দুই দ্বীপ ও প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে ৮০- এর দশকে তৈরি করা হয়েছে ঝুলন্ত সেতু। এদিকে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ঝুলন্ত সেতু বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পর্যটন বোট ঘাটের ইজারাদার রমজান আলী জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বছরই সেতুটি হ্রদের পানিতে ডুবে যায়। এতে পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যাওয়া ঝুলন্ত সেতু পারাপারের টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, এতে করে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে। আর পর্যটক না আসায় দেড় মাসেরও বেশি সময় পর্যটকবাহী বোটগুলোর চালকরা ঘাটে বসে দিন পার করতে হয়েছে। এতে অতি কষ্টে দিন পার করেছে। তবে সেতুটি ডুবে থাকার কারণে ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে তা এবার শীত মৌসুমে পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে গাছবোঝাই ট্রাক থামিয়ে চালককে গুলি
১ বছর আগে
কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি, খুলে দেওয়া হলো স্পিলওয়ের ১৬ গেট
গত কয়েকদিনের অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
হ্রদের পানির ধারণক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (কপাবিকে) ১৬ গেইটে ৬ ইঞ্চি করে পানি নিষ্কাশন শুরু হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে।
কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেট একযোগে খুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, একসঙ্গে চালু হলো ৫ ইউনিট
তিনি বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি দিন দিন বাড়ছে। বৃহস্পতিবার কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা ছিল ১০৭ দশমিক ৫৪ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল)। যা রুলকার্ভ থেকে ছয় ফুট ওপরে।
তিনি আরও বলেন, ফলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে শুক্রবার পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি গেইট ৬ ইঞ্চি খুলে পানি ছেড়ে দিয়েছি। প্রতি সেকেন্ডে এই গেট দিয়ে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হয়ে পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে। তবে কাপ্তাই হ্রদের সর্বোচ্চ পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল।
তিনি বলেন, কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতি সেকেন্ড আরও ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫টি ইউনিট থেকে সর্বমোট ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হয়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ
মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু, জেলেদের মাঝে ফিরছে স্বস্তি
১ বছর আগে
কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু। এতে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দেখা যায়, কাপ্তাই হ্রদের পাটাতনের ৬ ইঞ্চি পরিমাণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে সেতুটি। এ সময় বেড়াতে আসা পর্যটকদের পারাপার বন্ধ করে দেয় পর্যটন কর্তৃপক্ষ। আর রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা ডুবন্ত সেতু দেখে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হলো রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স
হতাশা দেখা দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝেও।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ঝুলন্ত সেতু ডুবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের জন্য রবিবার সকাল থেকে সেতুর পারাপারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। হ্রদের পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ঝুলন্ত সেতুটি চলাচলের উপযোগী হলে আবার চলাচলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
পর্যটন করপোরেশনের বোট ইজারাদা রমজান আলী ও টিকেট কাউন্টারম্যান মো. সোহেল জানান, ঝুলন্ত সেতুটি হ্রদে ডুবে যাওয়া ঝুলন্ত সেতু পারাপারের বন্ধ থাকায় পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। পর্যটকবাহী বোটগুলো ঘাটে বসে আছে। যতদিন কাপ্তাই হ্রদের পানি স্বাভাবিক না হয় ততদিন আমাদের ব্যবসা বন্ধ রাখা ছাড়া কোনো গতি নেই।
আরও পড়ুন: ওয়াই সেতু নির্মাণে রাঙ্গামাটির বিচ্ছিন্ন দুই দ্বীপবাসীর স্বপ্নপূরণ
১ বছর আগে