জবি
গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে জবি
সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। আগামী ৩১ জানুয়ারি জবির নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।
১০০ নম্বরের পরীক্ষায় এবার ৪৮ নম্বরের লিখিত, ২৪ নম্বরের বহুনির্বাচনি প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর বাকি ২৮ নম্বর নির্ধারণ করা হবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আগামী ৩১ জানুয়ারি ‘ই’ ইউনিটে চারুকলা অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।”
আরও পড়ুন: একনেক সভায় জবি ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি পাস হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিটে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ ইউনিটে কলা অনুষদ, ২১ ফেব্রুয়ারি ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান অনুষদ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘সি’ ইউনিটে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা শেষ হবে বলে জানান তিনি।
ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন জানান, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষার জন্য এইচএসসিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সিলেবাস ও কলা অনুষদের জন্য বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান থেকে লিখিত ও বহুনির্বাচনি আকারে প্রশ্ন হবে।
আরও পড়ুন: জবির শিক্ষার্থীদের দাবি ৩ দিনের মধ্যে পূরণের আশ্বাস উপদেষ্টার
১ মাস আগে
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে ভিক্টর ক্লাসিকের ১২ বাস আটক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে ভিক্টর ক্লাসিকের বাস আটক করেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিক্টর ক্লাসিকের ১২টি বাস আটক করে রাখে।
হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী ইশা বলেন, ১৪ অক্টোবর নতুনবাজার থেকে সদরঘাট যাওয়ার জন্য আমি ও আমার বোন ভিক্টর ক্লাসিক বাসে উঠি। আমি সম্পূর্ণ ভাড়া দিলেও গুলিস্তান এসে বলে বাস সদরঘাট যাবে না।
আরও পড়ুন: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পরে গুলিস্তান থেকে সদরঘাট আসার ভাড়া চাইলে সহকারী আমাকে হেনস্তা করা শুরু করে এবং জবির শিক্ষার্থী পরিচয় দিলেও, সহকারী বলে ভাড়া ফেরত দেব না। বিভিন্ন হেনস্তামূলক কথা বলে আমাকে।
শুক্রবার বাসে যৌন হয়রানির একটি পোস্ট দেখে আমরা সঙ্গে ঘটে যাওয়ার ঘটনা শেয়ার করি এবং ১৯ অক্টোবর এসে অভিযোগ করেছি।
প্রক্টর বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসনাইন জান্নাত হয়রানির বিচার চেয়ে অভিযোগ করেন, যার ভিত্তিতে ভিক্টর ক্লাসিকের বাস মালিকদের সঙ্গে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশন।
এ ঘটনায় ভিক্টর ক্লাসিকের মালিক পক্ষ মোহাম্মদ দুলাল, শাহ আলমসহ অনেকেই আসেন। তাদের ঘটনার বিষয়ে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন এবং প্রক্টর বরাবর তিন দিনের সময় নিয়ে মুচলেকা দেন।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজ্জামুল হক বলেন, মালিক পক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং তাদের তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এর ভেতরের তারা ওই অভিযুক্ত সহকারীকে হাজির না করলে ভেক্টর ক্লাসিকের সব বাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। হেল্পারকে প্রশাসনিক ভাবে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
আরও পড়ুন: জবির নতুন উপাচার্য ড. রেজাউল করিম
২ মাস আগে
খালেদা জিয়ার ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্তে জবিতে অস্থিরতা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্তের সরাসরি বিরোধিতা করছে ছাত্র সংসদের একাংশ।
শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরণের ‘ব্যক্তি পূজা’র বিরোধিতা করেছে। তারা বিশ্বাস করে যে ম্যুরালটি ব্যক্তি পূজার নামান্তর।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এটি কোনো ম্যুরাল নয়, এটি তার ছবি সম্বলিত একটি ফলক।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফলক বা ম্যুরাল স্থাপনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন একদল শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে তারা ঘোষণা দেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে বুধবার তারা ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে একটি আবেদনে গণ সাক্ষর সংগ্রহ শুরু করবেন। রবিবার শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগসহ এই আবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। পাশাপাশি দাবি মানা না হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, 'আমরা সম্প্রতি জেনেছি যে, ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ১১ ফুট লম্বা ম্যুরাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আত্মপ্রচারের জন্য ম্যুরাল স্থাপনের রীতিকে জনপ্রিয় করে তোলার যে পথ হাসিনা দেখিয়েছিলেন প্রশাসন সেই পথেই হাঁটছে। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এই ধরনের ব্যক্তি পূজাকে ব্যবহার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ফরহাদ হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬তম ব্যাচের সূর্ণা আক্তার রিয়া ও ইংরেজি বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সিফাত হাসান সাকিব।
জবাবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজামুল হক বলেন, 'প্রশাসনিক ভবনের সামনে শুধু একটি ছোট ফলক থাকবে, তাতে ম্যুরাল থাকবে না। যার জন্য ফলকটি লাগানো হচ্ছে, তিনি যদি এই বিতর্ক সম্পর্কে জানতেন, তাহলে তিনি নিজেও কষ্ট পেতেন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র বিষয়ক কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. রইচ উদ্দিন বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ম্যুরাল সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে, এটি কোনও ম্যুরাল হবে না, তবে কেবল একটি ছবি সম্বলিত একটি ফলক হবে।’
২ মাস আগে
জবির নতুন উপাচার্য ড. রেজাউল করিম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব শাহিনুর ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে ৪ বছর পর্যন্ত হবে। তিনি অবসর গ্রহণের আগের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি প্রাপ্য হবেন। একই সঙ্গে তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।
আরও পড়ুন: জবির সমন্বয়ক পদ থেকে সরে গেলেন নূর নবী
রেজাউল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক কল্যাণ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। জাপানের সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন ড. মো. রেজাউল করিম।
ড. রেজাউল করিম ১৯৮৬ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রুলস রেগুলেশন তৈরিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ২০২২ সালের অক্টোবরে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। দেশি ও বিদেশি জার্নালে তার ৫০ টিরও বেশি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হলেন মোহম্মদ জাহিদ
৩ মাস আগে
জবির সমন্বয়ক পদ থেকে সরে গেলেন নূর নবী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার নেতৃত্ব দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নূর নবী সমন্বয়ক পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (১৭ আগস্ট) তার নিজ ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন নূর নবী।
আরও পড়ুন: জবিতে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ, রবিবার থেকে ক্লাস শুরুর আশ্বাস
সমন্বয়ক থেকে সরে গেলেও যেকোনো আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অংশ নেবেন জানিয়ে নূর নবী বলেন, ‘আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক হিসেবে শুরু থেকেই সব আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। এক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক চাওয়াগুলো পূরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমাদের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে শহীদরা যে রক্ত দিয়েছেন তা এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। শহীদদের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে যেকোনো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অংশ নেব।’
তিনি বলেন, ‘আজ শনিবার থেকে আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম। ব্যক্তি স্বার্থবিহীন এই আন্দোলনে শুরু থেকেই মাঠে থেকেছি। ময়দানে ছাত্রলীগের বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছি, ময়দান থেকেই গুম হয়েছি ও পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি, কারাগারে গিয়েছি। এসব কিছুর ঊর্ধ্বে আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি। সে ভালোবাসার মর্যাদা রক্ষা করার জন্য আমি সর্বদা আপনাদের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।’
কোটা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৯ জুলাই ক্যাম্পাস গেট থেকে গ্রেপ্তার হন এই শিক্ষার্থী। পরে ডিবি অফিসে নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৬ আগস্ট মুক্তি পান। নির্যাতনকালে পানিতে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খেতে দেওয়া হতো। গোপনাঙ্গে আঘাতসহ ব্যাপক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে গত ৯ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে এই চিত্র তুলে ধরেন। এমনকি ডিবির হারুন ক্রসফায়ার দেওয়ারও কথা বলেছিলেন বলে জানান তিনি।
এরআগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বেগবান করতে গত ২৯ জুলাই ২৭ সদস্যের অফিসিয়াল সমন্বয়ক প্যানেল ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ইউনিট। সেখানে প্রথমে নাম ছিল নূর নবীর।
আরও পড়ুন: জবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হলেন মোহম্মদ জাহিদ
গুলিবিদ্ধ জবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু, বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
৪ মাস আগে
জবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হলেন মোহম্মদ জাহিদ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে মোহাম্মদ জাহিদ আলমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল হালিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জবিতে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ, রবিবার থেকে ক্লাস শুরুর আশ্বাস
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে কর্মরত মোহাম্মদ জাহিদ আলমকে উপাচার্য যোগদান করা পর্যন্ত রেজিস্ট্রারের শূন্য পদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
নতুন দায়িত্ব পেয়ে মোহাম্মদ জাহিদ আলম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই মিলে আমরা একটা পরিবার। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের জন্য কাজ করতে চাই না।’
আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ জবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু, বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
৪ মাস আগে
জবিতে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ, রবিবার থেকে ক্লাস শুরুর আশ্বাস
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে রবিবার (১৮ আগস্ট) থেকে সশরীরে ক্লাস চালুর আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে করা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জবির ছাত্রকল্যাণ-পরিবহন পরিচালকসহ একাধিক দপ্তরপ্রধানের পদত্যাগ
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মডেল রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে পূর্বঘোষিত ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে পাঁচটি দাবি বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকাল ৩টার মধ্যে বাস্তবায়নে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
এই পাঁচ দাবির মধ্যে ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সব ধরনের রাজনীতি বাতিলের ঘোষণা দেন কোষাধ্যক্ষ। এ ঘোষণার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষদের ডিন চেয়ারম্যান ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা শিক্ষকরা সম্মতি জানান।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের দেওয়া নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাত্রসংসদ নির্বাচন করার ব্যাপারে একটি কমিটি গঠনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রবিবার থেকে সশরীরে ক্লাস শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোষাধ্যক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, উপদেষ্টা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: হল উদ্ধারে মঙ্গলবার আন্দোলনে নামবে জবি শিক্ষার্থীরা, কোষাধ্যক্ষ-শিক্ষকদের পাশে থাকার আহ্বান
আল্টিমেটামের ৪ ঘণ্টার মধ্যেই জবি উপাচার্যের পদত্যাগ
৪ মাস আগে
জবির ছাত্রকল্যাণ-পরিবহন পরিচালকসহ একাধিক দপ্তরপ্রধানের পদত্যাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রকল্যাণ পরিচালক জিএম আল আমিন ও পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিকসহ একাধিক দপ্তরপ্রধান পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশি নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন জবি সমন্বয়ক
পদত্যাগকারীদের হলেন- জনসংযোগ তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন। এছাড়া অডিট সেলের উপদেষ্টা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পের তদারকি কমিটির আহ্বায়ক, ডি নথি বাস্তবায়নের আহ্বায়ক ও বিদ্যমান অর্গানোগ্রাম সময়োপযোগীকরণের লক্ষ্যে সুপারিশ উপকমিটির পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক ড. শওকত জাহাঙ্গীর।
এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, রেজিস্ট্রারসহ পুরো প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করেন। এরমধ্যে হল প্রভোস্টসহ দুজন হাউজ টিউটরও পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: আল্টিমেটামের ৪ ঘণ্টার মধ্যেই জবি উপাচার্যের পদত্যাগ
জবি উপাচার্যকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, শিক্ষার্থীদের ১৩ দফা দাবি
৪ মাস আগে
আল্টিমেটামের ৪ ঘণ্টার মধ্যেই জবি উপাচার্যের পদত্যাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরিয়াল বডি, হল প্রভোস্ট ও দুই হাউজ টিউটরসহ ১৮ জন পদত্যাগ করেছেন।
রবিবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে গোলাগুলি, আহত ৫
ড. আইনুল বলেন, ‘উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমসহ সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমিও পদত্যাগ করেছি। শুধু ট্রেজারার পদত্যাগ করেননি।’
উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করেছি। রাষ্ট্রপতি বরাবর আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকারসহ দুজন হাউজ টিউটর পদত্যাগ করে নিজেরাই পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমসহ সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি, রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে ২৪ ঘণ্টার ভেতরে পদত্যাগের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। পদত্যাগ না করলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণাও দেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
আরও পড়ুন: জবি উপাচার্যকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, শিক্ষার্থীদের ১৩ দফা দাবি
৪ মাস আগে
‘বাংলা ব্লকেডে’ শিক্ষার্থীদের ওপর 'পুলিশের বর্বরতার' বিচারের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার ‘বাংলা ব্লকেড’ চলাকালে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী তাদের ওপর 'পুলিশি বর্বরতার' প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবিতে ছুটির দিনেও শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই সমাবেশে যোগ দেন।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে মিছিল করে ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে এবং তারপরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে জড়ো হয়। বিক্ষোভের কারণে সদরঘাট এলাকায় ব্যাপক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা 'কোটা নাকি মেধা, মেধা, মেধা', 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন বর্বরতা? আমরা জবাব চাই!’ এবং ‘বাংলায় খবর ছড়িয়ে দাও, কোটা পদ্ধতিকে কবর দাও!’বলে স্লোগান দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া ইসলাম বলেন, 'দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাব। যতক্ষণ না সরকার সব ধরনের অন্যায্য কোটা বাতিল করে সংসদে আইন প্রণয়ন না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাব না, যতক্ষণ না সংবিধানে উল্লেখিত কোটা শুধুমাত্র সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যবহৃত হবে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি: শুক্রবার দেশব্যাপী সমাবেশ
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, 'আমরা সরকারি চাকরিতে সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। তবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সহপাঠীদের ওপর সহিংসতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা এই হামলার জন্য দায়ীদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও শুক্রবার বিকালে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং শাহবাগ মোড় অবরোধ করে।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আবু বক্কর মজুমদার জানান, শনিবার আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে বাকৃবিতে বিক্ষোভ
৫ মাস আগে