জবি
জবি শিক্ষার্থী খুন: বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কার্যক্রম স্থগিত ও দুই দিনের শোক ঘোষণা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আগামী ২২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই দিনের শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক, ছাত্রনেতা ও সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ ও ২২ অক্টোবর দুই দিন শোক পালন করা হবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে, তবে নিয়মিত ক্লাস চলবে।
প্রথম দিন শোক সভা এবং দ্বিতীয় দিন বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোকর্যালি করা হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সব আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত থাকবে।
৪৫ দিন আগে
জবির রেজিস্ট্রার দপ্তরে ব্যাপক রদবদল, জানেন না উপাচার্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রেজিস্ট্রার দপ্তরে ২৪ জন কর্মকর্তার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে, যা উপাচার্য বা রুটিন দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়াই করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ পরিবর্তন কার্যকর করা হয়।
জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিদেশ সফরে ছুটিতে যান। এর কিছুদিন পরেই রেজিস্ট্রার এ আদেশ জারি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, উপাচার্য ছুটিতে যেতেই রেজিস্ট্রার তড়িঘড়ি করে বদলির আদেশ দেন। তার এ ধরনের ক্ষমতা নেই এবং এটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারিতা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন কিংবা সংবিধিতে রেজিস্ট্রারের এমন ক্ষমতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫-এর ১৩(ছ) ধারায় বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী কিংবা একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট বা উপাচার্যের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তপ্ত রাবি, উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর অবরুদ্ধ
অভিযোগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘এটি বদলি নয়, অভ্যন্তরীণ দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। এর জন্য উপাচার্যের অনুমতি প্রয়োজন হয় না।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, আইন বা সংবিধিতে এর সুস্পষ্ট উল্লেখ নেই।
রুটিন দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি, তবে এতে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। উপাচার্য আদেশ দিয়েছেন কি না, সে সম্পর্কেও আমি কিছু জানি না।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে এবং আলোচনা চলছে। যৌক্তিক সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ। কেন রেজিস্ট্রার এ কাজ করেছেন, তা আমি জানি না।’
৭১ দিন আগে
নারীর পর্দা নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, সমালোচনার মুখে জবি ছাত্রদল সদস্য সচিব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্যদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে তার এক মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ঢাবি শাখার সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাতের ছবি যুক্ত করে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের এক মন্তব্যের উত্তরে তিনি অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরেকটি মন্তব্যের উত্তরে তিনি লেখেন, ‘লুঙ্গির তলেও দারুণ পর্দা হয়। আমাদের পর্দায় সমস্যা না, সার্কাসে সমস্যা। বুজিপার পারিচো গেদা।’
আরেফিনের এসব মন্তব্যকে ঘিরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টে তার মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত হাসান সাকিব নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এই হলো রাজনীতি, ছিঃ মুখে থু!’
আরও পড়ুন: জবির আইইআর ইনস্টিটিউটে র্যাগিং, ১০ দিন পেরোলেও গুরুত্বে নেয়নি পরিচালক
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা লিখেছেন, ‘তথাকথিত প্রগতিশীল নারীবাদীরা এখন কই গেছে? এসব নিয়ে তো তাদের কোনো আওয়াজ দেখছি না। নাকি দাড়িওয়ালা পুরুষ আর হিজাব পরিহিত নারীকে নিয়ে যা খুশি বলা বৈধ? এই কমেন্টের মাধ্যমে পুরো নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জবি ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব নিয়ে এমন কটূক্তিমূলক কথা বলা জাহেলিয়াতের চরমতম বহির্প্রকাশ। পর্দা করা মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো মুসলিম পরিবারের মানুষ এমন মন্তব্য করতে পারে না। নৈতিকতাবিবর্জিত মানুষের মতো আচরণ একজন গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতার মুখে বেমানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘বামদের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে যারা নিজেকে নব্য ইসলামবিদ্বেষী প্রমাণ করতে চান, তাদের জানা উচিত, এদেশে ইসলামের শিকড় অনেক গভীরে।’
এদিকে, শামসুল আরেফিন এক মন্তব্যে সমালোচনার জবাব দিয়ে লিখেছেন, ‘পর্দার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আমার বক্তব্য ভিসি মহোদয়ের হিপোক্রেসির উপর— একদিকে রাজনীতি প্রমোট করেন, অন্যদিকে নিষিদ্ধ। নারী ও তাঁর ধর্মীয় স্বাধীনতায় আমার আজন্ম শ্রদ্ধা।’
১১৭ দিন আগে
শিক্ষকদের ওপর হামলা: এবার ভবনে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি জবি শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দুই শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখানো হলে শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত এবং ভবন তালাবদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৪ জুলাই) জবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভাগের দুই শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীকে হামলার ঘটনায় গত ১০ জুলাই থেকেই ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবন তালাবদ্ধ করার পূর্বঘোষিত কর্মসূচির ঠিক আগমুহূর্তে শিক্ষক সমিতির আহ্বানে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। এতে উপস্থিত ছিলেন জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিভাগীয় শিক্ষক ড. কে এ এম রিফাত হাসান ও সহকারী প্রক্টর মো. শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জবিতে ছাত্রদলের হামলা, ৩ দবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
আলোচনায় শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত তিনটি দাবির সঙ্গে আরও দুটি দাবি সংযুক্ত করে মোট ৫ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো— আগামীকাল ১৫ জুলাই সকাল ১০টার মধ্যে প্রশাসনের উদ্যোগে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত বহিষ্কার করতে হবে। যেসব অছাত্র জড়িত, তাদের ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতে এমন সহিংসতা প্রতিরোধে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে। রাজনৈতিক ট্যাগ ও অপপ্রচার বন্ধে প্রশাসনিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক সমিতি শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনে দুঃখ প্রকাশ করে এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে রাতের মধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আশ্বাস দেয়। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা দিনের কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখেন।
তবে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) সকাল ১০টার মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখানো হলে শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হবে এবং ভবন তালাবদ্ধ করা হবে। তবে ভবনে অবস্থিত বিভিন্ন বিভাগের চলমান ফাইনাল ও মিডটার্ম পরীক্ষা এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত নয় বলেও জানান তারা।
আরও পড়ুন: জবির সহকারী প্রক্টর, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকসহ ৩ বাগছাস নেতার ওপর ছাত্রদলের হামলার অভিযোগ
এদিকে, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ব্যাচভিত্তিক আলোচনা সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসানকে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ও সমগ্র ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষার্থীদের ‘রাজনৈতিক ট্যাগ’ দিয়ে মানসিক হয়রানি করেছেন। বিশেষ করে বিভাগের দীর্ঘদিনের শ্রেণি প্রতিনিধি নন্দিনী ঘোষকে ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে অপপ্রচার চালানোয় শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং এই মিথ্যাচারের দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকে নিতে হবে বলেও দাবি করেন।
১৪৩ দিন আগে
জবিতে ছাত্রদলের হামলা, ৩ দবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দুই শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীর উপর শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে তিন দাবিতে বিভাগ বন্ধ করে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৩ জুলাই) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বাঁধন আহমেদ মারুফ বলেন, বিভাগে গিয়ে ছাত্রদল কর্তৃক হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিরব। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও কোনো বিবৃতি দেয়নি। শিক্ষকদের উপর হামলা ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা হয়তো ছাত্রলীগের আমলেও হয়নি। তাহলে ৫ আগস্টের পর তারা এই সাহস কোথায় পায়? এখন এসব কথা বললে আমাকেই আবার ছাত্রলীগ ট্যাগ দিবেন? দেন। ছাত্রলীগের সময়ও শিবিরের ট্যাগ খেয়েছি।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো তুলে ধরেন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইরফান হোসেন। তিনি বলেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।তাদের তিন দাবি হলো— আজ ১৩ জুলাই রবিবারের মধ্যেই তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; যেসব রানিং স্টুডেন্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর এরকম বর্বর হামলায় সরাসরি জড়িত তাদের অবিলম্বে বহিষ্কার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে; একই সাথে সাবেকদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে ও উল্লেখ্য ঘটনায় জড়িত সাবেকদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এর আগে, আজ রোববার সকাল ১১টায় বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: চকবাজারে ব্যবসায়ী হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এসময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদেরকে গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। একই সাথে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস হাসান এবং ফারুককে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে তাদের উপরও হামলা ও মারধর শুরু করে তারা।
১৪৪ দিন আগে
জবি ছাত্রদলের আরেক নেতার পদত্যাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য পারভেজ রানা প্রান্তের পদত্যাগের পর এবার পদত্যাগ করেছেন সংগঠনটির আরও একজন আহ্বায়ক সদস্য রাকিবুল হাসান রানা।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি নিজে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি ব্যক্তিগত কারণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির ‘আহ্বায়ক সদস্য’ পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেছিলাম, তা এখনো চোখে পড়েনি। বরং বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি চরমভাবে আশাহত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।’
আরও পড়ুন: দায়িত্বে অবহেলার কারণে জবি ছাত্রদলের ৮ নেতাকে অব্যাহতি
পদত্যাগপত্রে ছাত্রদলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় ভাইদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। হয়তো আমি আমার জায়গা থেকে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারিনি। তবু দলের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করি এবং প্রত্যাশা করি—শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলের মতো স্বর্ণযুগ আবার ফিরে আসুক। দলের প্রতি শুভকামনা রেখে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।’
এ নিয়ে চলতি মাসে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির দুজন সদস্য পদত্যাগ করলেন। তবে দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
১৪৫ দিন আগে
জবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতৃত্বে ফয়সাল ও শাহিন
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য এই আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদকে আহ্বায়ক এবং ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন মিয়াকে সদস্য সচিব করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্য সচিব জাহিদ আহসানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন— জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাসিম হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব মো. তকি, মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ এবং মুখপাত্র কামরুল ইসলাম রিয়াজ।
দায়িত্ব পাওয়ার পর ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীবান্ধব ও দলীয় লেজুড়বৃত্তিকহীন ছাত্ররাজনীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আপসহীন অবস্থানই পারে একটি কার্যকর ও গণতান্ত্রিক শিক্ষাপরিবেশ গড়ে তুলতে।‘
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
জবির যেকোনো সংকটে অতীতেও তারা সামনে থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছেন উল্লেখ করে আগামীতেও সে ধারা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন তিনি।
কমিটির সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, ‘আমাদের কাজ শিক্ষার্থীদের নিয়েই, তবে আমাদের সংগঠনের যাত্রা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি থেকে। ফলে প্রথমেই আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে চাই।’
১৬৯ দিন আগে
বোতলকাণ্ডে আটক জবি শিক্ষার্থীকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর
বোতলকাণ্ডে অভিযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পর শুক্রবার (১৬ মে) বিকালে ইশতিয়াক হোসেন নামের ওই শিক্ষার্থীকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দিকে বোতল ছুঁড়ে মারা ইশতিয়াক হোসেন নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা মাহফুজের ওপর ‘প্রতীকী বোতল’ নিক্ষেপ
এর আগে, শুক্রবার বিকালে যমুনা অভিমুখের কাকরাইল মোড়ে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচিতে জবি শিক্ষার্থীরা ইশতিয়াক হোসেনকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে তদন্ত ব্যতীত কোন পদক্ষেপ নিলে ডিবি কার্যালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বুধবার রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। রাত ১০টার দিকে তিনি সেখানে পুলিশি ব্যারিকেটের সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎই তাকে লক্ষ্য করে একটি পানির বোতল নিক্ষেপ করা হয়। বোতলটি গিয়ে উপদেষ্টার মাথায় লাগে। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বোতলকাণ্ড ঘটানো শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।
তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উপর প্রতীকী বোতল নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীদের গণঅনশন শুরু
সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি প্লাস্টিকের ঝুড়িতে ‘সান্ডা মাহফুজ’ লেখা সাঁটিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর পালাক্রমে শতাধিক শিক্ষার্থী বোতল নিক্ষেপ শুরু করেন।
এছাড়াও, এদিন যমুনা অভিমুখের কাকরাইল মসজিদ মোড়ে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৬ মে) বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে অনশন শুরু করেন তারা। অনশন কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেন জবির শিক্ষক সমিতির মুখপাত্র ও ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ ভূইঁয়া।
জবি শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো- আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে এবং শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২০২ দিন আগে
উপদেষ্টা মাহফুজের ওপর ‘প্রতীকী বোতল’ নিক্ষেপ
তৃতীয় দিনের মতো জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থানস্থলে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উপর প্রতীকী বোতল নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকাল ৪টায় কাকরাইল মসজিদ মোড়ে শিক্ষার্থীরা এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি শুরু করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সংলগ্ন রাস্তার উপর তিনটি প্লাস্টিকের ঝুড়িতে 'সান্ডা মাহফুজ' লেখা সাঁটিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর পালাক্রমে শতাধিক শিক্ষার্থী বোতল নিক্ষেপ শুরু করেন।
এই সময় আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, তার মাথায় বোতল নিক্ষেপের ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাদের শিক্ষকরা তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি পুরো বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন। উপদেষ্টা মাহফুজের উদ্ধতপূর্ণ আচরণকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীদের গণঅনশন শুরু
নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাওন বলেন, বোতল নিক্ষেপের মতো একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওনি আমাদের সাথে কথা না বলে চলে গেছেন। সরকারের একজন ছাত্র প্রতিনিধি হয়েও আমাদর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। পুলিশ আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা করেছে। ওনি এটার জন্য আমাদের পক্ষে অবস্থান না নিয়ে পুলিশের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন। এর প্রতিবাদে আমরা আজকে সান্ডা মাহফুজের উপরে প্রতীকী বোতল নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করছি।
এর আগে গত বুধবার থেকে যমুনা অভিমুখে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। সবশেষ খবর অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সমাবেশ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৫০টি বাস চক্রাকারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলস্থলে নিয়ে আসছেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। চলমান আন্দোলনের চার দফা দাবি হলো— বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা, জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন দেওয়া, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাশ ও দ্রুত বাস্তবায়ন, গত ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
২০২ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীদের গণঅনশন শুরু
শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের দাবিতে যমুনা অভিমুখের কাকরাইল মসজিদ মোড়ে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে অনশন শুরু করেন তারা। অনশন কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির মুখপাত্র ও ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ ভূইঁয়া।
এর আগে বিকাল ৩টায় সমাবেশে জবি ঐক্যের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব লিমন।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে আমাদের আর পেছনে ফেরার জায়গা নেই। আমরা বিকাল সাড়ে ৩টায় অনশন কর্মসূচি শুরু করব। বিজয় না নিয়ে আমরা ফিরছি না।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে ‘জবি ঐক্যের’ পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন এ ঘোষণা দেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মোড়েই অবস্থান করবেন শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, আমরা সরকারের নিকট আমাদের অধিকার আদায়ের দাবি জানিয়েছিলাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মেরেছে কিন্তু আমাদের অধিকারের বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি। এমনকি ৩৫ ঘণ্টা পার হলেও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি প্রশাসন। সরকার থেকে কোনো বার্তাও আসেনি।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ শুরু
তিনি আরও বলেছেন, দাবি আদায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাল জুম্মার পরে গণঅনশন শুরু করবে। এতে সকল সাবেক ও বর্তমান জবিয়ানদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকদের উপর পুলিশের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস পালনের ঘোষণা দেন তিনি।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো- আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে এবং শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২০২ দিন আগে