ঈদ উপহার
কুড়িগ্রামে সাড়ে ৪ লাখ পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার
কুড়িগ্রামের সদরে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে কুড়িগ্রামে প্রায় পাঁচ লাখ দুঃস্থ হত দরিদ্র অসহায় মানুষজন পেল প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঈদ উপহার ভিজিএফ এর চাল। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ও অসহায় পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফোঁটাতে ভিজিএফের এ চাল বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সকালে উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে চাল বিতরণ শুরু হয়।
জেলার ৯টি উপজেলা, ৩টি পৌরসভার ৭২টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে এ চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেদুল হাসান, সদর উপজেলার সরকারি মাধ্যমিক অফিসার ইয়াসিন আলী, ভোগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলহাজ্ব সাইদুর রহমান প্রমুখ।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসের তথ্য মতে, জেলার ৯টি উপজেলায় ৪ লাখ ৫৭ হাজার ১৭৬টি পরিবার ভিজিএফের চাল পাচ্ছেন। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ৫৭ হাজার ৩১২টি পরিবার। ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ৫৬ হাজার ১৮৭টি পরিবার।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ-২: প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেল ৩৩ হাজার পরিবার
নাগেশ্বরী উপজেলায় ৮১ হাজার ১৯ টি পরিবার, ফুলবাড়ী ৩৮ হাজার ৬৩২ টি পরিবার, রাজারহাট উপজেলায় ৪৩ হাজার ৬১টি পরিবার, উলিপুর উপজেলায় ৮৩ হাজার ১৫টি পরিবার, চিলমারী উপজেলায় ৩০ হাজার ৩১০টি পরিবার, রৌমারী উপজেলায় ৪৭ হাজার ৯৮৪টি পরিবার, চর রাজিবপুর উপজেলায় ১৯ হাজার ৬৫৬ টি পরিবার সুবিধা পাচ্ছেন।
এছাড়াও কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকায় ৪ হাজার ৬২১টি পরিবার, নাগেশ্বরী পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১টি ও উলিপুর পৌরসভা এলাকায় ৩ হাজার ৮১টি পরিবার ঈদ উপহার হিসেবে ভিজিএফের ১০ কেজি চাল পাচ্ছেন পরিবারগুলো।
প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেয়ে ভোগ ডাঙা ইউনিয়নের মোছা. আছিয়া বেওয়া বলেন, কদিন পরে ঈদ ঘরে চাল নাই খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম ঈদে কি খাবো আজ ভিজিএফের চাল পেয়ে চিন্তা দূর হলো খুবই খুশি হয়েছি।
আরেক দিনমজুর মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে কাম কাজ নাই, ঘরে খাবার নাই, বউ বাচ্চাকে নিয়ে কষ্টে ছিলাম। আজ চাল পেয়ে ভালো লাগলো।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ঘর পাচ্ছে রাজশাহীর ১১৪৯ পরিবার
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের ঈদ আনন্দ যাতে নিরানন্দে পরিণত না হয় সে লক্ষ্যে বরাবরই কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের অন্যতম জনবহুল দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে প্রতি ঈদে বিভিন্ন সহযোগিতার পাশাপাশি ভিজিএফ কার্ডের সুবিধা দেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রতিটি দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের হাতে ঈদ উপহার হিসেবে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল তুলে দেয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে অনেক খুশি পরিবারগুলো। জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে উপহারের চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেল প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার
১ বছর আগে
প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধদের ঈদ উপহার দিল জে কে ফাউন্ডেশন
এম বি এইচ জুয়েলের সহায়তায় প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে জে কে ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার ( ২০ এপ্রিল) মুন্সীগঞ্জে প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করে সংগঠনটি।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রায় ২০০০ মানুষকে উপহার দেয় জে কে ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা উদ্বোধন আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
১ বছর আগে
সেনাবাহিনীর দেয়া ঈদ উপহার পেলেন খাগড়াছড়ির দরিদ্ররা
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কর্তৃত দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রায় তিন শতাধিক পাহাড়ি-বাঙালির এই ঈদ সামগ্রী পেয়ে খুশি।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে মহালছড়ি উপজেলার মানিকছড়ি এলাকায় শখাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.জাহাঙ্গীর আলম সবার হাতে ঈদ সামগ্রীগুলো তুলে দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ঘর পাচ্ছে রাজশাহীর ১১৪৯ পরিবার
তিনি বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাইতো পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালির মাঝে অসাম্প্রদায়িক মেল বন্ধন ছড়িয়ে দিতে আসন্ন ঈদে পাহাড়ি-বাঙালি সবার মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য সবার ঘরে ঈদ সামগ্রী পৌঁছিয়ে দিতে সেনাবাহিনীর এ সামান্য প্রয়াস।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষ: ঠাকুরগাঁওয়ে জমি-নতুন ঘর পাচ্ছেন ২৬১২ ভূমিহীন
উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরাফাত সিদ্দিকী, খাগড়ছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর মো. জাহিদ হাসান ।
২ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ঘর পাচ্ছে রাজশাহীর ১১৪৯ পরিবার
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে রাজশাহীর ১১৪৯টি পরিবার ঘর পাচ্ছে। বিভাগের প্রথম ধাপে ৬৯২টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৮৫৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীনরা রঙিন টিনশেডের সেমিপাকা বাড়ি পেয়েছেন।
রবিবার দুপুর ১২টাযর দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তৃতীয় ধাপে রাজশাহীর ৯ উপজেলার ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত ১১৪৯টি ঘরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া ৪৮১টি ঘর উপকারভোগী পরিবারের অনুকূলে হস্তান্তর করবেন। অবশিষ্ট আরও ৭৮৬টি ঘর আগামী বছর ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আগেই গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়াও তৃতীয় পর্যায়ে ১২৬৭টি ঘরের মধ্যে ১১৪৯টি ঘরের চাবি তুলে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষ: ঠাকুরগাঁওয়ে জমি-নতুন ঘর পাচ্ছেন ২৬১২ ভূমিহীন
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান, রাজশাহীর ৯টি উপজেলার ১২৬৭টি পরিবারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পবায় ১৫০টি, মোহনপুরে ৯২টি, তানোরে ১৬১টি, গোদাগাড়ী ২২৯টি, বাগমারায় ১৬০টি, দুর্গাপুরে ১৫৫টি, পুঠিয়ায় ১৮০টি, চারঘাটে ৬৫টি ও বাঘায় ৭৫টি পরিবার ঘর পাচ্ছে।
তিনি জানান, বৃহৎ এই কর্মযজ্ঞে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ষাটোর্দ্ধ প্রবীণ ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। খাস জমিতে ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে দুই শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান করে একক গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে।
আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিটি বাড়িতে থাকবে দুটি বেড রুম, একটা কিচেন রুম, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেট ও একটা বারান্দা। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি সবগুলো বাড়ি সরকার নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মাঝে যুবলীগের ঈদ উপহার
তিনি জানান, ঘরগুলো নির্মাণে কোনও প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি যাতে না হয় সে জন্য প্রত্যেক উপজেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিষয়টি তদারকি করেছেন।
২ বছর আগে
মুজিববর্ষ: ঠাকুরগাঁওয়ে জমি-নতুন ঘর পাচ্ছেন ২৬১২ ভূমিহীন
মুজিববর্ষ উপলক্ষে তৃতীয় পর্যায়ে ঠাকুরগাঁওয়ে আরও ২ হাজার ৬১২ জন ভূমিহীন জমি ও নতুন ঘর পাচ্ছেন। এ বিষয়ে রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিং ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেল প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার
ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, জেলায় তৃতীয় পর্যায়ে মোট দুই হাজার ৬১২ জন ভূমিহীন প্রত্যেকে ২ শতক করে জমি ও একটি করে দুই রুম বিশিষ্ট আধাপাকা গৃহ পাবেন। উদ্বোধনযোগ্য গৃহের সংখ্যা এক হাজার ৪৬৬টি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭৫৫টির মধ্যে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত গৃহের সংখ্যা ৩৪০টি, পীরগঞ্জ উপজেলায় ৬৪৮ টির মধ্যে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত ৪৪৮টি, রাণীশংকৈল উপজেলায় ৭৭৬টির মধ্যে প্রস্তুত ৩৫১টি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৫৩টির মধ্যে প্রস্তুত ৪৮টি ও হরিপুর উপজেলায় ৩৮০টির মধ্যে ২৭৯টি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
আগামী ২৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মাঝে যুবলীগের ঈদ উপহার
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সভায় আরও বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কামরুন নাহার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান, প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম রুবাইয়েত, মজিবর রহমান খান, শাহ্ মো. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
২ বছর আগে
বীরাঙ্গনা টেপরি বেওয়াকে জেলা প্রশাসকের ঈদ উপহার
ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈলে ৭১ এর বীরাঙ্গনা টেপরি বেওয়াকে ঈদ উপহার দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক এই ঈদ উপহার তার হাতে তুলে দেন।
জেলা প্রশাসক বীরাঙ্গনা টেপরি বেওয়া ও তার সন্তান সুধীরকে ঈদ সামগ্রী, কাপড় ও নগদ ২৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির পর মাথা গোজার ঠাঁই পেলেন মায়া রানী
জেলা প্রশাসক জানান, এর আগেও বীরাঙ্গনা টেপরি বেওয়াকে বাড়ি, আর্থিক সহায়তা, তার সন্তানের জন্য একটি ইজিবাইক এবং সরকারি সব রকমের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাপড়া ঘরে বীরাঙ্গনা চারুবালার বসবাস, দেখতে গেলেন ওসি
জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম আরও বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজেদের সম্মান বিসর্জন দিয়েছেন, এদেশকে স্বাধীন করতে অবদনা রেখেছেন, তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাতে। তাদের পাশে আমরা সর্বদা আছি। সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা বীরাঙ্গনারা পাবেন।
ঈদ উপহার পেয়ে জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান টেপরি বেওয়া।
আরও পড়ুন: একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবার মাথাচারা দিয়েছে: তোফায়েল
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম, রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকারনাইন কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা।
৩ বছর আগে
ফরিদপুরে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেল প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার
মহামারী করোনার সংক্রমণ ও জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে অনেক মানুষকে এক জায়গায় জড়ো না করে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলা ও পৌরসভার চার হাজার মানুষের মাঝে তাদের ঘরে ঘরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পৌঁছে দিতে শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী এই কাজে পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলররা, এনজিও কর্মী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা এগিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান
এব্যাপারে ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপক কুমার রায় জানান, বর্ধিত পৌরসভার ২৭টি ওয়ার্ড থেকে সর্বাধিক দুস্থ ও অসহায় এবং কর্মহীন ২ হাজার ৮০০ জন এবং সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১ হাজার ২০০ জনসহ মোট ৪ হাজার জনের মাঝে এই ঈদ উপহার " প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত মানবিক সহায়তা কার্ড" এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উপকারভোগীদের নিকট পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, এই ঈদ উপহার এর প্রতিটি বস্তায় রয়েছে চাল ১০ কেজি, আলু পাঁচ কেজি, চিনি এক কেজি, সেমাই আধা কেজি, ডাল এক কেজি, এক লিটার দুধ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও
অতুল সরকার বলেন, করোনায় এই দুর্যোগে শুধু ঈদ উপহারই নয়, আমরা রমজানে মাসব্যাপী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিদিন দুস্থদের মাঝে ইফতার বিতরণ, নির্বাচিত দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মোট ৪৩ হাজার মানুষের মাঝে প্রতিজনকে ২,৫০০ টাকা। ভিজিএফ হিসেবে সমগ্র ফরিদপুর জেলায় ১ লাখ ৬ হাজার ৮৮১ জনের প্রতি জনকে ৪৫০ টাকা করে প্রদান, ৫০০ টাকা করে জেলার ৮১ টি ইউনিয়নে প্রতিটিতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২ কোটি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং ৩৩৩ বা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের হট লাইন নাম্বারের মাধ্যমে যখনই কোনো দুস্থ ও অসহায় মানুষের সহযোগিতার আবেদন পাওয়া যাচ্ছে তখনই জেলা প্রশাসনের কুইক রেসপন্স টিম এর মাধ্যমে তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দিল মালয়েশিয়া কমিউনিটি
৩ বছর আগে
পঞ্চগড়ে ঈদ উপহারে শিশুদের মুখে হাসি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার এবং গরীব অসহায় দুস্থদের মাঝে নগদ টাকা ও ছাগল বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তেঁতুলিয়া রওশনআরা মেমোরিয়াল শিশুস্বর্গ বিদ্যানিকেতন মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপহার তুলে দেয়া হয়।
তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহামুদুর রহমান ডাবলু, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনিছুর রহমান, শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারন সম্পাদক কবির আহমেদ আকন্দ. রওশন আরা শিশুস্বর্গ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত থেকে এসব উপহার সামগ্রী এবং নগদ অর্থ ও ছাগল বিতরণ করেন।
শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিদ্যা নিকেতনের ৩০০ শিশুর হাতে ঈদের পোষাক এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে অর্ধশত অসহায় দুস্থ নারীর মাঝে নগদ ২ হাজার থেকে ৫ হাজার করে টাকা ও একটি করে ছাগল বিতরণ করা হয়।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা কবির আহম্মেদ আকন্দ জানান, পৃথিবীব্যাপী জলবায়ু ভারসাম্য রক্ষায় সংগঠনটি এবছর তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত এক কোটি বৃক্ষরোপণ করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের পর থেকে প্রতিবছর এই প্রতিষ্ঠানটি ঈদ উপহার ও গরীব দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছেন।
৩ বছর আগে
ফরিদপুরে ঈদের দিন বন্যার্তদের মাঝে সেনাবাহিনীর রান্না করা খাবার বিতরণ
ফরিদপুরের পদ্মা নদীর পাড়ের এলাকায় ধলার মোড়ের আশেপাশের অঞ্চলে বন্যার্তদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী।
৪ বছর আগে
দরিদ্রদের মাঝে চাল, তেলের সাথে এবার মুরগিও দিলেন ফরিদপুরের সেই মিঠু
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউনে থাকা কর্মহীন দরিদ্র মানুষদের চাল, ডাল ও তেলের সাথে ইলিশ মাছ দিয়ে সাড়া ফেলেছিলেন ফরিদপুরের আলিপুর মহল্লার ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া মিঠু।
৪ বছর আগে