ঘুর্ণিঝড়
ঘুর্ণিঝড়ের সময় জন্ম, নবজাতকের নাম রাখা হলো 'মোখা'
অতি প্রবল ঘুর্ণিঝড় মোখা'র ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে কক্সবাজারের পেকুয়া আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর কোল আলোকিত করা নবজাতকের নাম রাখা হলো 'মোখা'। যার পুরো নাম মোকাম্মেল হোসেন মোখা।
মোখা'র পিতা-মাতারা হলেন পেকুয়া উপজেলার রাজখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বামুলা পাড়ার মো. আরকান ও জয়নব বেগম।
রবিবার (১৪ মে) রাত ১টার দিকে পেকুয়া আশ্রয়কেন্দ্রে ওই নারী (অন্তঃসত্ত্বা) প্রসববেদনায় কাতরাতে শুরু করলে আশ্রয়কেন্দ্রের নিচে গাড়ি খোঁজাখুঁজি শুরু করেন নারীর স্বামী আরকান। কিন্তু মধ্যরাতে তিনি কোনো গাড়ি পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়লে আশ্রয়কেন্দ্র পর্যবেক্ষণে থাকা পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার নিজের সরকারি গাড়িতে করে জয়নব বেগমকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
পরে এই দুর্যোগের মধ্যেই পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৃথিবীর মুখ দেখেন 'মোখা। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষের খোঁজ-খবর নিচ্ছিলাম। এসময় একটি খবর আসে এক গর্ভবতী নারী প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন। পরে আমাদের গাড়ি নিয়ে তকে সুস্থভাবেই হাসপাতালে নিয়ে আসি। তারপর সেখানেই মোখা'র জন্ম হয়। আমাদের উপস্থিতিতেই মোখার পরিবার মোকাম্মেল হোসেন মোখা নামকরণ করে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
১ বছর আগে
ভোলার চর পাতিলায় চারদিকে থৈ থৈ পানি, ৫ হাজার মানুষ ভাসছে
চারদিকে থৈ থৈ পানি। তার মধ্যে ভাসছে হাসেম হাওলাদারের পরিবার। মেঘনার জোয়ারের পানির আঘাতে হাসেমের ঘরসহ মালামাল ভাসিয়ে নেয়। এর পর তার স্ত্রী রোসনা বিবিকে নিয়ে আশ্রয় নেয় ছেলে নিজাম হাওলাদারের ঘরে।
এ চিত্র দেখা যায় বৃহস্পতিবার ভোলার সর্বদক্ষিনে চরফ্যাসন উপজেলার বঙ্গপোসাগর মোহনায় দুর্গম চর কুকরী মুকরি ইউনিয়নের দক্ষিণ চর পাতিলা গ্রামে।
ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বুধবার নিজামের ঘরের ভিটিসহ একাংশ জোয়ারে ভেসে গেছে। কোন রকমে ঘরে মাঁচা করে থাকছেন তারা সবাই। প্রতিদিনি দুইবারে ১২ ঘন্টা বানের পানিতে তলিয়ে থাকে পুরো গ্রাম। নিজাম ছাড়াও রোসনা বিবির আরও ৫ ছেলে বারেক হাওলাদার, বাদশা, বশির, কাদের ও কাজল একই এলাকায় বসবসাস করেন। সবার ঘরের মাটি জোয়ারে ভেসে গেছে। পানিতে তলিয়ে আছে তিন দিন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ইয়াসের প্রভাবে ১৬ গ্রাম প্লাবিত
খাল, বিল সব নোনা পানিতে তলিয়ে থাকায় খাবার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নলকূপ থেকে বিশুদ্ধ পানি আনতে যান রোকসনাসহ তার ২ নাতনি। ফেরার সময় মেঘনার জোয়ারে সব তলিয়ে যায়। দুই নাতনিকে নিয়ে সাঁতার কেটে এক কলসি পানি নিয়ে আসেন বাড়িতে। পানিতে তলিয়ে থাকায় চুলো জ্বলে নি। চেয়ারম্যানের দেয়া বিস্কুট ও চিড়া খেয়ে সকাল কাটিয়েছেন।
হাসেম ও রোসনা দম্পতির চোখে মুখে শুধু অজানা আতংক। কিভাবে তারা মাথার ছাউনি দিবে। তাদের ভবিষ্যৎ কি।
আরও পড়ুন: 'ইয়াস' মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
হাসেম হাওলাদার ও রোসনার মতো অসংখ্য পরিবারের এমন দুর্ভোগ চর পাতিলা গ্রামে। বেঁছে থাকার জন্য এক প্রকার চলছে যুদ্ধ। চর পাতিলার প্রায় ৫ হাজার মানুষ ২ বেলা জোয়ার ভাটায় ভাসছে। ওই এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির এখন তীব্র শঙ্কট। কুকরীর চেয়ে পাশ্ববর্তী ঢালচরের অবস্থা আরও খারাপ। ঝড়ের পরে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বেড়েছে সবর্স্বহারা মানুষগুলোর দুর্ভোগ।
চরফ্যাসনের কুকরী মুকরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেন মহাজান সাংবাদিকদের জানান, কুকরী মুকরীতে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বেশি দুর্গতদের কিছু সহায়তা করেছেন। আর উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার বিকালে দেড়শ পরিবারকে শুকনো খাবার দিয়েছে। দুর্গত মানুষদের পূর্ণবাসনে বড় সহায়তা দরকার। তা না হলে এসব মানুষের পক্ষে ঘুরে দাড়ানো সম্ভব না।
চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, চর পাতিলায় বৃহস্পতিবার বিকালে দেড়শ পরিবারকে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। তালিকা প্রণয়ন শেষ হলে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণের পাশাপাশি গৃহনির্মাণ সামগ্রী দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ইয়াসের প্রভাবে চরাঞ্চল প্লাবিত, ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
এদিকে ভোলা জেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ বাড়ি ঘরেরই আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া অতি জোয়ারের পানির স্রোতে প্রায় ২ হাজার গরু মহিষ নিখোঁজ রয়েছে। মনপুরায় ৬৫৪টি পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে জোয়ারে।
এখনো নিম্নাঞ্চলের ২৩ টি চরে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বলে প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের দ্বায়িত্বে থাকা জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. মোতাহার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ভোলা জেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ বাড়ি ঘরেরই আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তাদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝড়ে নিহত ১ জনের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
ভাসানচর নিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদন মিথ্যা ও প্রতিহিংসার অংশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভাসানচর বিষয়ে আল জাজিরার সর্বশেষ প্রতিবেদন ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এবং এটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর প্রতি প্রতিহিংসার একটি অংশ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, 'তারা প্রথম দিন থেকেই এটি করছে। তাদের উদ্দেশ্য মানুষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি যেকোনো মুসলিম সরকারের প্রতি আল জাজিরার 'প্রতিহিংসাপরায়ণ দৃষ্টিভঙ্গি', বিশেষত যেসব দেশ ভালো করছে তাদের বিরুদ্ধে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানায়, সাহায্য সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে যে ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম সন্নিকটে, সেই সাথে ভাসানচরের একদল রোহিঙ্গা শরণার্থী তীব্র ঝড়ের কবলে পড়ে আটকা পড়তে পারে এবং সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: আল জাজিরার প্রতিবেদন অপপ্রচারের নোংরা বহিঃপ্রকাশ: কাদের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনে কিছু ব্যক্তির সাক্ষাত্কার নেয়া হয়েছে এবং তাদের মুখ ঢাকা ছিল।
'মিথ্যা খবর প্রচারই তাদের কাজ। সুতরাং, এ সম্পর্কে কিছু বলার নেই,' বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অন্যদিকে, ভাসানচরে জাতিসংঘের কারিগরি দলের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তাদের পর্যবেক্ষণ খুব ভালো ও ইতিবাচক। সংক্ষেপে, তারা একটি ইতিবাচক পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।'
তিনি বলেন, তারা তাদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে একটি ১০-পৃষ্ঠার প্রতিবেদন হস্তান্তর করবে এবং ইতোমধ্যে তারা দুই পৃষ্ঠার একটি সারসংক্ষেপ জমা দিয়েছে।
এক লাখ রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন সুবিধা সম্পর্কে সরাসরি ধারণা লাভ করতে জাতিসংঘের ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত মার্চে ভাসানচর পরিদর্শন করে।
তাদের দুই পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপে দলটি তিনটি বিষয় নির্দেশ করেছে- রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শিক্ষা, বেড়িবাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা।
ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের শিক্ষা প্রদানে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই। তবে, সেটি মিয়ানমারের ভাষাতেই হওয়া উচিত।
'রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। সুতরাং, রোহিঙ্গারা দেশে ফিরলে সহজেই তাদের সমাজে মিশে যেতে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমের শিক্ষা সহায়তা করবে,' তিনি বলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আঞ্চলিক, বহুপাক্ষিক উদ্যোগ চায় ঢাকা
বেড়িবাঁধের উচ্চতা আরও বাড়ানোর বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, তারা অবশ্যই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে এটি করবে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা সন্দ্বীপ হয়ে ভাসানচরে যেতে পারবেন। কেননা এই পথে সময় লাগবে ৩০ মিনিট। 'ভাসানচরের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।'
তিনি বলেন, ভাসানচর বাংলাদেশের ৭৫টি দ্বীপের একটি এবং এটি সেন্টমার্টিন দ্বীপের চেয়েও ১০ গুণ বড়।
কূটনীতিকদের সফরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, তারা সেখানে দৃঢ় কাঠামো ব্যবস্থা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। 'তারা এই ব্যবস্থার খুব প্রশংসা করেছে। তারা এটা পছন্দ করেছে।'
'দু'জন কূটনীতিকের সাথে আমার আলোচনা হয়েছিল। তারা ভাসানচর পছন্দ করেছে,' পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন।
বর্তমানে ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা ৩ এপ্রিল বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে আলাপকালে স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
তারা ভাসানচরে বিদ্যমান সুবিধাগুলো সম্পর্কে তাদের 'উচ্চ সন্তুষ্টি' জানিয়েছেন, যাকে তারা কক্সবাজারের জঞ্জাল শিবিরের তুলনায় নিরাপদ, সুরক্ষিত অপরাধ মুক্ত বলে বিবেচনা করেন।
মিয়ানমার থেকে গণ প্রস্থানের পর থেকে রোহিঙ্গাদের অনুকরণীয় মানবিক সহায়তার জন্য রোহিঙ্গারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানায়।
ভাসানচরে আসা কূটনীতিকদের উদ্দেশে এক রোহিঙ্গা প্রতিনিধি বলেন, 'আমি চাই আমার সন্তানরা তাদের নিজস্ব জাতীয় পরিচয় নিয়ে তাদের দেশে বেড়ে উঠুক।'
কিছু রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শিক্ষার সুবিধা সম্প্রসারণ এবং তাদের কৃষিকাজ ও মাছ ধরার সুযোগ প্রদানের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন যা তাদের কর্মঠ হতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: ভাসানচর পরিদর্শন করলেন বিদেশি রাষ্ট্রদূতেরা
তুরস্ক, ইইউ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নেদারল্যান্ডস- দশটি দূতাবাস/প্রতিনিধি দলের মিশনের প্রধানদের জন্য ভাসানচরে দিনব্যাপী এই পরিদর্শনের আয়োজন করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভাসানচরে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা স্থানান্তর তাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সামগ্রিক প্রচেষ্টারই অংশ।
এর আগে, মানবিক সংস্থাগুলো ধীরে ধীরে ভাসানচরে স্থানান্তরিত এক লাখ রোহিঙ্গাদের পরিষেবা না দিলে বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাদের নামে তারা যে পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করে তার ১০ শতাংশ দাবি করবে বাংলাদেশ।
গত শুক্রবার তার বাসভবনে ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, তাদের অর্থ প্রদান করতে হবে। কেননা তহবিল আসছে রোহিঙ্গাদের জন্য। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পরিষেবা দিতে না চাইলে আমরা ১০ শতাংশ তহবিল দাবি করব।'
কক্সবাজার জেলায় ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকার ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ধীরে ধীরে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে যার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিলের ১০ শতাংশ দাবি করবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা কোথায় বাস করছেন তা নিয়ে মানবিক সংস্থাগুলোর মাথাব্যথা হওয়া উচিত নয়।
ড. মোমেন বলেন, 'রোহিঙ্গারা কুতুপালং, কক্সবাজার, বরিশাল কিংবা ভাসানচরে বাস করছে কিনা তা বিষয় নয়। এটা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা হওয়া উচিত নয়। তাদের মাথাব্যথা হওয়া উচিত রোহিঙ্গাদের পরিষেবা প্রদান করা নিয়ে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন পরিষেবা প্রদানে তারা বাধ্য।'
তিনি বলেন, যদি মানবিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের পরিষেবা না দেয় তবে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তহবিল সরবরাহ করবে না। ফলে তারা তীব্র কষ্টের মুখে পড়বে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউএনএইচসিআর এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের ও হোস্ট সম্প্রদায়ের নামে অর্থ সংগ্রহ করার পরেও তারা জানে না কীভাবে অর্থ ব্যয় করে।
৩ বছর আগে
মঙ্গলবার আঘাত আনতে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্পান
গতি ও দিক পরিবর্তন না করলে আগামী মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা সমূহে ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
৪ বছর আগে