মেট্রোরেল
তিন মাস পর খুলছে মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন
প্রায় তিন মাস পর মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) খুলছে মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
আরও পড়ুন: আগামীকাল থেকে শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনে ভাঙচুর চালায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা।
দুটি স্টেশনই অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকে। গত ২৫ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু হলেও এই দুটি স্টেশন বন্ধ ছিল।
পরে গত ২০ সেপ্টেম্বর কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশন পুনরায় চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল বন্ধ
২ মাস আগে
আগামীকাল থেকে শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল
আগামীকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও (শুক্রবার) মেট্রোরেল চলাচল করবে।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া মেট্রো রেল স্টেশনও আগামীকাল থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় চালু হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
আরও পড়ুন: যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল বন্ধ
ডিএমটিসিএলের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া স্টেশনটি আগামীকাল থেকে সচল হবে। ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশনটি যত দ্রুত সম্ভব চালুর চেষ্টা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশন মেরামত করতে ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে সপ্তাহে সাত দিনই মেট্রো রেল চালু হবে। শুক্রবার প্রথমে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল রুটে এবং বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মতিঝিল-উত্তরা উত্তর রুটে ১২ মিনিট হেডওয়ে (দুটি ট্রেনের মধ্যে সময়) চলাচল করবে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল বন্ধের কারণ সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বিজয় সরণি ও ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে একটি ঘাট ও তার উপরের ভায়াডাক্টের মধ্যবর্তী বিয়ারিং প্যাড উপড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নতুন এমডি পেল মেট্রোরেলের অপারেটর ডিএমটিসিএল
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল সেকশনে মেট্রো ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। পরে কারিগরি ত্রুটি ঠিক করে রাত ৮টা ২৫ মিনিট থেকে আবার তা শুরু হয়।
কারিগরি ত্রুটির কারণ অনুসন্ধান ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ৭ সদস্যের একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, মেট্রোরেল দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করছে। চলতি মাসের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮ দিনে ডিএমটিসিএল প্রায় ২০ কোটি টাকা আয় করেছে।
আরও পড়ুন: শুক্রবারও মেট্রোরেল চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছি: ডিএমটিসিএল এমডি
২ মাস আগে
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল বন্ধ
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঢাকার আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৪৫ থেকে এই রুটে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়।
সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বলেছে, মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলে তারা যাত্রীদের এ বিষয়ে অবহিত করবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ডিএমটিসিএলের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন এমডি পেল মেট্রোরেলের অপারেটর ডিএমটিসিএল
শুক্রবারও মেট্রোরেল চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছি: ডিএমটিসিএল এমডি
৩ মাস আগে
নতুন এমডি পেল মেট্রোরেলের অপারেটর ডিএমটিসিএল
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৫) অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (অর্থ ও সংগ্রহ) মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ডিএমটিসিএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
শিগগিরই এ আদেশ কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: শুক্রবারও মেট্রোরেল চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছি: ডিএমটিসিএল এমডি
৩ মাস আগে
শুক্রবারও মেট্রোরেল চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছি: ডিএমটিসিএল এমডি
শুক্রবারও মেট্রোরেল চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) এমডি এম এ এন সিদ্দিক।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এম এ এন সিদ্দিক ইউএনবিকে এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: এক মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল
তিনি জানান, মেট্রোরেল শুক্রবারও চালুর জন্য সফটওয়ার পরিবর্তন করতে হবে। তাই আজকে (সোমবার) থেকে এই প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করলাম।
তিনি বলেন, এটি একেবারেই প্রাথমিক প্রস্তুতি। প্রস্তুতি নেওয়ার পর উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে ফাইনাল করা হবে কবে চালু করা যায়।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলকে কেপিআই হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার: সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা
যেহেতু সমীক্ষা চলছে, তাই খুব দ্রুত তারিখ ঘোষণা করা হবে বলেও জানান ডিএমটিসিএল এমডি এম এ এন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল শুক্রবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন যাত্রী পরিবহন করে। তবে যাত্রী চাহিদা বাড়ায় শুক্রবারও মেট্রোরেল চালুর জন্য কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: এক মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর মেট্রোরেল চালু
৩ মাস আগে
এক মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল থেকে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ক্ষয়ক্ষতির কারণে এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর রবিবার (২৫ আগস্ট) থেকে ঢাকায় আবার চালু হচ্ছে মেট্রোরেল।
এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সই করা অফিস আদেশে বলা হয়েছে, মেট্রোরেল আগের সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। তবে 'অনিবার্য কারণে' মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: যানজটে বিপর্যস্ত রাজধানী: মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় বেড়েছে দুর্ভোগ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর গত ১৮ জুলাই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনগুলো বাদ দিয়ে ১৭ আগস্টের মধ্যে কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেয়।
তবে ৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া মেট্রোরেল কর্মীদের ধর্মঘটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এরপর ২০ আগস্ট শ্রমিকরা তাদের কাজে ফিরে যান এবং মেট্রোরেল চালুর কাজ শুরু হয়।
একই দিন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহসানুল হক মেট্রোরেলের জাতীয় প্রেস ক্লাব স্টেশন পরিদর্শন করেন এবং ২৫ আগস্ট থেকে মেট্রো সার্ভিস চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ২৫ আগস্ট থেকে চালু হতে পারে মেট্রোরেল
শনিবার থেকে মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হচ্ছে না: ডিএমটিসিএল
৩ মাস আগে
যানজটে বিপর্যস্ত রাজধানী: মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় বেড়েছে দুর্ভোগ
রাজধানীর ফার্মগেট, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, সিদ্ধেশ্বরী, মতিঝিলসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সোমবার তীব্র যানজট দেখা গেছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এবং বিক্ষোভ চলমান থাকায় ট্রাফিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠেছে।
বিভিন্ন দাবিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। বিশেষ করে শাহবাগে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করায় যানজট অধিক মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে আশেপাশের এলাকাগুলোতে।
রমনা ও মতিঝিলের আশপাশেও যানজট দেখা গেছে, যা পুরো শহরের যান চলাচলকে প্রায় অচল করে দিয়েছে।
এছাড়াও যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের সড়কের উভয় দিকে যানজট দেখা যায়। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রবেশমুখেও যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। যার প্রভাব পড়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, প্রগতি সরণি ও কুড়িলের কাছাকাছি সড়কগুলোতেও।
উল্লেখ্য, রবিবার থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষের চাপ বেড়েছে। এদিকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকায় সড়কপথে যানজট আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
ব্যাপক যানজটের কারণে দীর্ঘ সময় যাত্রীদের একই জায়গায় আটকে থাকতে হচ্ছে। যান চলাচল প্রবাহে অচল অবস্থার মুখোমুখি হয়েছে ঢাকাবাসী।
৩ মাস আগে
শনিবার থেকে মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হচ্ছে না: ডিএমটিসিএল
কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা শেষ করতে না পারায় পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ।
তবে কবে নাগাদ মেট্রোরেলের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে তার কোনো নতুন তারিখও উল্লেখ করা হয়নি।
সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের সময় মিরপুর-১০ মোড় ও কাজীপাড়া স্টেশন দুটিতে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১৮ জুলাই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
৪ মাস আগে
কবে চালু হবে ঢাকা মেট্রোরেল, এ নিয়ে ভাবনায় নগরবাসী, কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞরা
সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হওয়া সহিংসতায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেট্রোরেলের দুটি স্টেশন। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এদিকে মেট্রোরেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকাবাসীর জীবনে ফিরে এসেছে পুরনো সেই যানজটের ভোগান্তি।
মেট্রোরেলের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএন সিদ্দিক বলেন, ‘মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণটা অনেক বেশি। তবে কত টাকা ক্ষতি হয়েছে, এটি নিরূপণ করা যায়নি। বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
এছাড়া হামলায় মেট্রোরেলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ এবং কবে নাগাদ এটি আবার চালু করা যায়, তা নির্ধারণে ২২ জুলাই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমটিসিএল।
মেট্রোরেল লাইন-৬-এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়ার নেতৃত্বে এ কমিটি গঠন করা হয়। সদস্যসচিব করা হয় ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) ইফতেখার হোসেনকে। কমিটিকে পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় সড়কে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। বেড়েছে যানজটও। রাজধানীবাসীকে ফিরতে হয়েছে আগের সেই ভোগান্তি আর দুর্ভোগের জীবনে। গন্তব্যে পৌঁছাতে এখন উত্তরা ও মিরপুরবাসীকে এখন দুই ঘণ্টার বেশি সময় হাতে নিয়ে বের হতে হচ্ছে।
নিয়মিত মেট্রোরেল ব্যবহারকারী বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় ইউএনবির এই প্রতিবেদকের। তারা বলছেন, মেট্রোরেল চালুর পর থেকে এই স্বস্তির যাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। পুরনো অভ্যাসে ফিরতে কেউই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না। তার সঙ্গে অর্থ ও সময় দুইই বেশি লাগছে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল ও স্টেশনগুলো সংস্কার করে দ্রুতই চালু করার দাবি জানান তারা।
কবে নাগাদ মেট্রোরেল চালু করা যাবে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘কবে নাগাদ চালু করতে পারব, তা এখনই বলতে পারছি না। ক্ষতিগ্রস্ত দুটি স্টেশন চালু করতে অনেক সময় লাগবে। তবে বাকি স্টেশনগুলো যাতে দ্রুত চালু করা যায় সে বিষয়টি দেখছি আমরা।’
এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মেট্রো স্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে মেট্রোরেলের কারিগরি ক্ষয়ক্ষতি চিহ্নিত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু হতে সময় লাগতে পারে অন্তত আরও ১/২মাস। সেটিও নির্ভর করছে জাপানের কারিগরি কমিটির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত রেলস্টেশনগুলো পরিদর্শনের ওপর। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সবকিছু সংস্কার করে ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. জাকারিয়া বলেন, ‘ কীভাবে সংস্কার কাজগুলো এগিয়ে নেওয়া যায়, তার একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা যার যার অংশে পরামর্শক, ঠিকাদার ও ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে তালিকা তৈরি করবে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণ করতে আরও সময় লাগবে।’
কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা স্টেশনের সব পরিকাঠামো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান।
যদিও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং ডিএমটিসিএলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলছেন, মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি পুনরায় চালু করতে এক বছরের বেশি সময় লাগতে পারে।
অন্যদিকে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকার বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করলে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনগুলো চালু করা সম্ভব।
ডিএমটিসিএল থেকে জানা যায়, কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন মেরামতে এক বছর বা তার থেকে বেশি সময় লেগে যাবে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত অনেক যন্ত্রপাতিই মেরামতযোগ্য অবস্থায় নেই। এগুলো নতুন করে আমদানি করতে হবে। যন্ত্রগুলো অর্ডার দেওয়া হলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করবে। তারপর বাংলাদেশে এনে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘মেট্রোরেলের টিকিট কাটার মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে বানানো। কমলাপুরে নতুন একটা স্টেশন হবে। সেখানে যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। নিশ্চয়ই যে কোম্পানি মেট্রোরেলের যন্ত্রপাতি তৈরি করেছে, তাদের কাছে সব নকশা করা আছে। সরকার বা প্রকল্প কর্তৃপক্ষ চাইলে সহজেই যন্ত্রপাতিগুলো দেশে এনে স্টেশন দুটির মেরামতকাজ শুরু করতে পারে। আমার মনে হয়, ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি মেরামতে প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ কম।’
সরকার দ্রুত সময়ে কাজ শুরু করলে ছয় মাসের বেশি লাগার কথা না বলে মনে করছেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল হক।
ডিএমটিসিএল থেকে জানা যায়, দুর্বৃত্তদের হামলায় মিরপুর-১০ স্টেশনের সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রায় শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজীপাড়া স্টেশনে বিভিন্ন সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলায় দুটি স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোয় প্রবেশ ও বহির্গমন গেট, অগ্নিরোধক দরজা-জানালা, বিভিন্ন ধরনের সাইনেজ, এসএস ফেন্সিং, বিশেষ ধরনের কাঁচের দরজা ও জানালা, স্টেশনের আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ইলেকট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে অগ্নিনির্বাপক ও শনাক্তকরণ সিস্টেম, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, চলন্ত সিঁড়ি, বিশেষ ধরনের সুইচ।
এক মাসের মধ্যে আংশিক (মিরপুরের ক্ষতিগ্রস্ত দুটি স্টেশন ছাড়া) মেট্রোরেল চলাচল শুরু করা যাবে কিনা জানতে চাইলে মেট্রোরেলের কোম্পানি সচিব মো. আব্দুর রউফ বলেন, জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আমরা এক মাসের মধ্যে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
৪ মাস আগে
অপরাধীদের রুখতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে: মেট্রোরেলে তাণ্ডব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশব্যাপী সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের অপরাধীরা যাতে বিচারের মুখোমুখি হয় ও শাস্তি পায় তা নিশ্চিত করতে দেশবাসীকে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে মিরপুর-১০ নম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, 'দেশের জনগণকে এই অপরাধীদের বিচার করতে হবে, আমি তাদের কাছে বিচার চাইছি।’
মেট্রোরেল নির্মাণের সঙ্গে জড়িতরা এমন ধ্বংসযজ্ঞ দেখে চোখের জল ফেলছেন বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেন তারা এটা করল? এ দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং আমি তা করে দেখিয়েছি, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন পরবর্তী স্তরে উন্নীত হচ্ছে তখন দেশকে পেছনে টেনে নিতে চাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেন, এটা আমার প্রশ্ন এবং আমি জানি না এর উত্তর কে দেবে।’
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, জনগণকে সেবা, সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্য দিতে যেসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছিল সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল নির্মাণ করতে সরকারকে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে এবং এটি নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্মাণ করা হয়েছিল।
যাদের আগে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো, মেট্রোরেল সেই গণমানুষের দুর্ভোগ লাঘব করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলে কেন এ ধরনের হামলা হচ্ছে, সেটাই আমার প্রশ্ন।’
মেট্রোরেল ও এর সেবা আন্তর্জাতিক মানের বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘কী ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখলাম এখানে! এ দেশের মানুষ এটা করতে পারে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কিন্তু এখানে সেটা করা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্র এই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে তিনি মানুষের কল্যাণ ও সুখের জন্য সবকিছু করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা, শিক্ষা ও যোগাযোগ নিশ্চিত করেছি। এসব উন্নয়নের সুফলভোগী কারা? দেশের গণমানুষ। মেট্রোরেলের ওপর এত ক্ষোভ কেন, সেটাই আমার প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বোঝাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে যে বিষয়টি আদালতে রয়েছে এবং তাদের যেন হতাশ না হতে হয় সেজন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কিন্তু শীর্ষ আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত তারা থেমে থাকেনি, ধৈর্য ধরতে রাজি হয়নি। এখন তারা তাদের দাবি আদায় করে নিচ্ছে, প্রথমে এটা এক দফা ছিল, এখন আট দফা।’
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে যে বিএনপি-জামায়াত জোট এ ধরনের তাণ্ডব চালানোর সুযোগ পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী কারা? এই মেট্রোরেল ও ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনগুলো মেরামত করতে কতদিন লাগবে জানি না।’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অস্থিরতার সময় ভাঙচুরের শিকার স্টেশনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এ পরিদর্শনের সময় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ক্ষয়ক্ষতি এবং পুনরায় চালুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা।
এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে গত ১৮ জুলাই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
৪ মাস আগে