জাতীয় পরিচয়পত্র
জন্ম মৌলভীবাজারে পরিচয়পত্রে ‘ভেনিজুয়েলা ’
মৌলভীবাজার জেলার অন্তত ১২ জন স্থায়ী বাসিন্দাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) তাদের জন্মস্থান দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রবাসে ও দেশের বসবাসরত অনেকেই তাদের পুরনো জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো না কোনো ধরনের ভুল সংশোধন করতে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দেয়ার পর নতুন করে হাস্যকর এই ভুলটি তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র জাল, তবুও তিনি শিক্ষক!
বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর গ্রামের রোমানা বেগম রবিবার ইউএনবি বলেন, জন্ম হল মৌলভীবাজার কিন্তু নাগরিক হয়ে গেলাম আমেরিকা নাকি ভেনেজুয়েলার। ভেনেজুয়েলা যে একটা দেশ সেটা তিনি জানতেন না।
রোমানা বলেন, তার নামের দ্বিতীয় অংশ 'বেগম' হলেও আগে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রে 'আক্তার' লেখা হয়েছে। সেটি সংশোধন করতে মে মাসে এনআইডি কার্ড জমা দিয়েছিলেন, তার পরিবর্তে এখন তিনি আরও গুরুতর ভুলসহ কার্ডটি হাতে পেয়েছেন।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম সাদিকুর রহহমান জানান, নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় সার্ভারে ত্রুটির কারণে এ ভুল হয়েছে। এ ব্যাপারে ইসিকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাস্তবে জীবিত হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তারা মৃত!
ইসির সার্ভারে কারিগরি ত্রুটির কারণে সম্প্রতি সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলার এনআইডিতে একই ধরনের ভুল হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস। ইসি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে।
২ বছর আগে
জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত ফি প্রদান করা যাবে উপায়-এ
মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান উপায় এর গ্রাহকরা খুব শিগগিরই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সেবা ফি উপায় এর মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন। এছাড়া উপায় অ্যাপ অথবা ইউএসএসডি কোড *২৬৮# ব্যবহার করে এনআইডি সংশোধন, ডুপ্লিকেট এনআইডি সংগ্রহসহ সকল প্রকার ফি পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহকরা। বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সব তথ্য জানানো হয়।
এই সংক্রান্তে মঙ্গলবার উপায়’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্র্মকর্তা রেজাউল হোসেন এবং নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহম্মদ আজিজুল ইসলাম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই উপায় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপায়’র চিফ সেলস অ্যান্ড সার্ভিস অফিসার ইমন কল্যাণ দত্ত, ডেপুটি ডিরেক্টর, গভর্নমেন্ট অ্যান্ড এমারজিং সেলস শাকিব আলতাফ, অ্যাসিস্টান্ট ডিরেক্টর, গভর্নমেন্ট অ্যান্ড এমারজিং সেলস হাসান মোহাম্মদ জাহিদ ও একাউন্ট ম্যানেজার বদিউর রহমান এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষে থেকে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব ও অ্যাডিশনাল প্রজেক্ট ডিরেক্টর (প্রশাসন ও অর্থ) মুহম্মদ নুরুজ্জামান খান ও এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) (বাজেট, হিসাব ও সাধারণ শাখা) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি ‘উপায়’। বর্তমানে উপায় বিস্তৃত পরিসরে এমএফএস সেবা প্রদান করছে ইউএসএসডি ও মোবাইল অ্যাপ উভয়ের মাধ্যমে। উপায়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা সব ধরনের আর্থিক লেনদেন যেমন: ক্যাশ-ইন, ক্যাশ-আউট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মার্চেন্ট ও ই-কমার্স পেমেন্ট; রেমিট্যান্স, বেতন ও সরকারি ভাতা গ্রহণ ও মোবাইল রিচার্জ ছাড়াও ট্রাফিক ফাইন পেমেন্ট এবং ভারতীয় ভিসা ফি পেমেন্টের মতো এক্সক্লুসিভ সেবা নিতে পারছেন।
২ বছর আগে
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে কি করবেন?
দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্ম সম্পাদনে পরিচয় সংক্রান্ত প্রমাণাদির সাপেক্ষে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় নথি জাতীয় পরিচয়পত্র। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই ওয়ালেটের আইটেমগুলোর মধ্যে একটি নিত্য সংযোজন এই ছোট আইডি কার্ড। এ অবস্থায় ভুল বশত অনেকের মধ্যেই জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা যায়। পকেটমার কিংবা ছিনতাইয়ের ক্ষেত্রেও মানিব্যাগটির সাথে হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে দরকারি এই বস্তুটি। এই ভুল জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ছোটখাট হয়রানি থেকে একদম আইনি ঝামেলারও অবতারণা হতে পারে জাতীয় পরিচয়পত্র হারানো ফলে। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক, জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়সমূহ।
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
থানায় জিডি (জেনারেল ডায়েরি) করা
জাতীয় পরিচয়পত্র হারানোর সাথে সাথেই সর্বপ্রথম যে কাজটি করণীয় তা হচ্ছে নিকটস্থ থানায় তা লিখিতভাবে জানানো বা একটি সাধারণ ডায়েরি করা। থানা কর্তৃক জিডি গৃহীত হওয়ার পর জিডি গ্রহণকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করতে হবে। কেননা জিডির কপিটির সাথে এই তথ্যগুলোও পরবর্তীতে প্রয়োজন হবে।
পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যুর জন্য আবেদন
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আওতাভুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র সেবার ওয়েবসাইট বা এনআইডি উইংয়ে গিয়ে অনলাইন নিবন্ধন করতে হবে। ইতোমধ্যে নিবন্ধিত হয়ে থাকলে এনআইডি নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করা যাবে। আর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও সমস্যা নেই। পাসওয়ার্ড রিসেট করে নতুন পাসওয়ার্ড সেট করে পুনরায় অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে।
যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করে নিবন্ধনের সম্পন্ন করার পর ফেইস ভেরিফিকেশন হবে। এই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলেই পুনরায় লগ ইন করতে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে।
অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করলেই পাওয়া যাবে রিইস্যু অপশনটি। এতে ক্লিক করার পর পাওয়া যাবে জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যু করার আবেদন ফর্ম। ফর্মটি যথাযথভাবে পূরণ করে সাবমিটের পর আসবে ফি প্রদানের সেকশন। এখানে জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার জন্য বিতরণের ধরন (রেগুলার অথবা আর্জেন্ট) নির্বাচন করতে হবে। অতঃপর ফি প্রদান করার পর পরের স্ক্রিণে আসবে জিডির সেকশন।
পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
এখানে থানা থেকে নিয়ে আসা জিডির কপিটি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে আপলোডের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন জিডির লেখাগুলো স্পষ্ট বোঝা যায়। জিডির যাবতীয় তথ্যাবলি প্রদান করা হলে চুড়ান্তভাবে আবেদনটি সম্পন্ন হয়ে যাবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাওয়া
সাধারণত অনলাইনে আবেদন জমা দেয়ার সাত থেকে পনের দিনের মধ্যে আবেদনটির অনুমোদন হয়ে যায়। জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যুর আবেদন অনুমোদিত হলে আবেদনের সময় সরবরাহকৃত মোবাইল নাম্বারে একটি বার্তা দেয়া হবে। বার্তাটি পাওয়ার সাথে সাথেই এনআইডি উইংয়ে পুনরায় লগ ইন করে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করে নিতে হবে। নতুবা নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে আর ডাউনলোড করা যায় না।
জাতীয় পরিচয়পত্রের এই অনলাইন কপি পরবর্তীতে প্রিন্ট ও লেমিনেটিং করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
পড়ুন: বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করার নিয়ম
২০১৯-এর পর যাদের অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র হয়েছে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে, এই এনআইডি উইংয়ে লগ ইন করে বিনামূল্যেই জাতীয় পরিচয়পত্রটি ডাউনলোড করে নেয়া যাবে।
২০১৯-এর আগের ভোটারদের ক্ষেত্রে অথবা যারা ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন, তারা এই পোর্টাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।
উল্লেখ্য যে, স্মার্ট কার্ড হাতে পাওয়ার জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে জিডির কপিটি নিয়ে সরাসরি চলে যেতে হবে থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। অতঃপর আবেদন করতে হবে পরিচালক বরাবর।
পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যু ফি
হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র উত্তোলন করতে বা রি-ইস্যুর জন্য আবেদন ফি সাধারণের ক্ষেত্রে ভ্যাট সহ ৩৪৫ টাকা। আর জরুরি ক্ষেত্রে ভ্যাট সহ দিতে হবে ৫৭৫ টাকা। ২০১৯ এর আগের ভোটারদের এনআইডি উইং থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে ২৩০ টাকা দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যুর আবেদন করতে হবে।
এই টাকা দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলো যেমন রকেট, বিকাশ ব্যবহার করে অনায়াসেই পরিশোধ করা যেতে পারে।
পরিশিষ্ট
এভাবে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র ফিরে পাওয়া যায়। তবে এই ঝামেলা পোহাতে না চাইলে প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত। এখন ব্যাংকের লেনদেন, পাসপোর্ট, বিভিন্ন লাইসেন্স প্রতি ক্ষেত্রেই যুক্ত হয়ে পড়ছে জাতীয় পরিচয়পত্র। তাই নিদেনপক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারটি আলাদা করে মোবাইল লিখে রাখা যেতে পারে। একাধিক জায়গায় বিশেষ করে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে (গুগল ড্রাইভ, ড্রপ বক্স, ওয়ান ড্রাইভ) সংরক্ষণ করা থাকলে বিভিন্ন কাজের সময় নাম্বারটা ব্যবহার করা যেতে পারে।
পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
২ বছর আগে
জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ দেশের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকলাপের জন্য একটি অপরিহার্য নথি জন্ম নিবন্ধন সনদ। জন্মসূত্রে একজন ব্যক্তির নাগরিকত্বের পরিচয় ধারণ করে এই জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রটি। তাই শিশু জন্মের পর পরই অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের পাশাপাশি বাবা-মায়ের উচিত সরকারি খাতায় শিশুর নামটি লিপিবদ্ধ করানো। পূর্বে জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অফলাইনে হলেও বর্তমানে সরকারি ডাটাবেসে নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণের স্বার্থে অনলাইনের মাধ্যমে তথ্যগুলো নেয়া হচ্ছে। চলুন জেনে নিই, জন্ম নিবন্ধন করার সর্বাধুনিক প্রক্রিয়া।
জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জন্ম নিবন্ধনের জন্য প্রথমেই কিছু কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে। এর জন্য বিভিন্ন বয়সের লোকদের জন্য কাগজপত্রেও ভিন্নতা রয়েছে।
শিশুদের জন্ম নিবন্ধকরণে জন্মের পর প্রথম ৪৫ দিনের মধ্যে যে কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন তা হলো-
১। অনলাইনে আবেদনকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি।
২। শিশুর এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৩। শিশুর ইপিআই (এক্সপান্ডেড প্রোগ্রাম অন ইমিউনাইজেশন) টিকা কার্ড কিংবা ইপিআই কর্মীর নিকট থেকে প্রত্যয়নপত্র
৪। শিশুর জন্মস্থান ও জন্ম তারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে শিশুর জন্ম সনদের সত্যায়িত অনুলিপি বা বার্থ এটেনডেন্ট-এর প্রত্যয়ন পত্র বা শিশুর জন্ম সংক্রান্ত অন্য কোনো প্রমাণ পত্র।
৫। বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষাতেই বাবা-মার অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদ।
৬। বাবা-মার জাতীয় পরিচয়পত্র।
৭। শিশুর যে কোন একজন অভিভাবকের কর পরিশোধের প্রমাণ।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড কীভাবে করবেন
৪৬ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে উপরোক্ত ৪ নং বাদে বাকি সব কাগজপত্রই লাগবে।
৫ বছরের বেশি শিশু অথবা যে কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে-
১। অনলাইনে আবেদনকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি।
২। শিশুর এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৩। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী চিকিৎসক-এর নিকট থেকে প্রত্যয়ন পত্র।
৪। পিএসসি(প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী), জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) বা এসএসসি (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট)।
৫। বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষাতেই বাবা-মায়ের অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদ।
৬। বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র।
৭। জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের সাপেক্ষে বাবা/মা/দাদা/দাদীর স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখিত জায়গার বিপরীতে নবায়নকৃত কর প্রদানের প্রমানপত্র
অথবা, নদীভাঙন/কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে জমি/বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর প্রদানের রশিদ।
অথবা, বসবাসের স্থান প্রমাণের সাপেক্ষে পৌরসভার চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
২ বছর আগে
স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
নিত্য নৈমিত্তিক জীবনধারায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যকলাপে প্রয়োজনীয় একটি নথি হলো স্মার্ট আইডি কার্ড। বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করা হচ্ছে ২০০৮ সালের ২২ জুলাই থেকে। ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর থেকে চালু হয় ইলেকট্রনিক চিপযুক্ত স্মার্ট আইডি কার্ড। ২০২০ থেকে শুরু হয়ে গেছে এর অনলাইন সেবাও। অনলাইন থেকেই আবেদন সহ স্মার্ট আইডি কার্ড সংক্রান্ত বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। অনেক সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যগুলো অসাবধানতা বশত ভুল হয়ে যায়। তাই চলুন, স্মার্ট কার্ডের ভুল সংশোধন নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিই।
এক নজরে স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন পদ্ধতি
স্মার্ট আইডি কার্ডের অনলাইন সেবাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সেবা হলো জাতীয় পরিচয়পত্র বা এর তথ্য-উপাত্ত সংশোধন। বাংলাদেশ এনআইডি পোর্টাল থেকে খুব সহজেই এই সেবাটি পাওয়া যেতে পারে। এর জন্য নিচের ক্রমধারাটি অনুসরণ করতে হবে-
১। এনআইডি নাম্বার দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা
২। স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন ফি জমা প্রদান
৩। প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র আপলোডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলোর সম্পাদন
এই পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদনের নির্ধারিত কার্যদিবস পর মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে ফি পরিশোধের সময় যে মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছিল তাতে সংশোধন অনুমোদনের বার্তা আসবে। সেই সাথে সংশোধিত এনআইডি কার্ডটিও ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করা হবে। অতঃপর সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করার পর লেমিনেটিং করে ব্যবহার যোগ্য করা যাবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ইলেক্ট্রনিক চিপযুক্ত সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার জন্য প্রার্থীকে তার ভোটার অঞ্চল থেকে সরাসরি গিয়েই সংগ্রহ করতে হবে।
এছাড়া এনআইডি কার্ড সংক্রান্ত আরও কোন তথ্য পেতে হলে সরকারি কর্ম দিবসগুলোতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে যেকোন সময় যোগাযোগ করা যাবে ১০৫ নাম্বারে।
আরও পড়ুন: সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র জাল, তবুও তিনি শিক্ষক!
স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধন ফি ও কার্যদিবস
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি মূলত দুটি ক্ষেত্রে ধার্য হয়ে থাকে।
১। স্মার্ট কার্ড-এর সামনের ও পেছনের পৃষ্ঠে কিছু তথ্য প্রদর্শন করা থাকে যেগুলো নিবন্ধনের সময় নাগরিকরা ফরম-২-এর মাধ্যমে প্রদান করে থাকেন। এগুলোর মধ্যে সামনের পৃষ্ঠে বাংলা ও ইংরেজিতে জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর নাম, বাংলায় পিতা ও মাতার নাম, ইংরেজিতে জন্ম তারিখ ও এনআইডি নাম্বার, স্বাক্ষর এবং পেছনে বাংলায় ঠিকানা, ইংরেজিতে রক্তের গ্রুপ ও জন্মস্থান অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর মধ্যে যেকোনো তথ্য পরিবর্তন করতে হলে প্রথমবার আবেদনের সময় ২৩০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩৪৫ টাকা এবং তারপর থেকে প্রতিবার আবেদনের জন্য ৫৭৫ টাকা জমা দিতে হবে।
২। নিবন্ধনের সময় নাগরিকরা সেই ফরম-২-এর মাধ্যমে কিছু তথ্য প্রদান করেন, যেগুলো এনআইডি কার্ডে প্রদর্শন করা থাকে না। যেমন- প্রার্থীর পেশা, পাসপোর্ট ও মোবাইল নাম্বার, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি। এগুলোর সংশোধন ফি ১১৫ টাকা।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি বিকাশ, রকেট, ওকে ওয়ালেট ও টি ক্যাশ-এর মাধ্যমে ঘরে বসেই পরিশোধ করা যায়।
নির্ধারিত ফি পরিশোধের ৩০ মিনিট পর থেকে তথ্য সম্পাদন শুরু করা যাবে। আর সংশোধিত স্মার্ট আইডি কার্ড হাতে পেতে সর্বোচ্চ দুই মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ফি পরিশোধের পরপরই আসবে তথ্য সম্পাদনের স্ক্রিন। এ অংশে তথ্য জমা দেয়ার পাশাপাশি তথ্যের সাথে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র আপলোড করতে হয়।
→ প্রার্থীর নাম অথবা জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হলে প্রার্থীর যে কাগজগুলো সংযুক্ত করতে হয় সেগুলো হলো-
১। জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র
২। কমপক্ষে মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার সনদপত্র
*শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক বা সমমানের নিচে হলে এবং প্রার্থী সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত অথবা সংবিধিবদ্ধ কোনো সংস্থায় কর্মরত হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চাকরির বই বা মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) বা ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট বা ট্রেড লাইসেন্স লাগবে।
৩। বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামীর এনআইডি কার্ড এবং কাবিননামার সত্যায়িত কপি লাগবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কাছেই প্রকৃতির মাঝে ক্যাম্পিং সাইট
*বিবাহ সংক্রান্ত কোন কারণে নারীদের নামের পরিবর্তন করতে হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কাবিননামা বা তালাকনামা বা স্বামীর মৃত্যু সনদ, ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কর্তৃক হলফনামা বা বিবাহ বিচ্ছেদ ফরমানের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
৪। ধর্ম পরিবর্তন অথবা অন্য কোন কারণে পুরো নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট কর্তৃক হলোফনামা, জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি, ওয়ারিশ সনদপত্র, ইউনিয়ন বা পৌর বা সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রার্থীর নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র বা চাকরির বই বা এমপিও বা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হবে।
→ পিতা বা মাতার নাম সংশোধনের সময়, যদি পিতা বা মাতার নাম উল্লেখ থাকে তবে প্রার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের সনদপত্র, প্রার্থীর পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের এনআইডির সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
*পিতা বা মাতার নামের পূর্বে ‘মৃত’ সংযোজন করতে হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পিতা বা মাতার মৃত্যু সনদের সত্যায়িত কপি, জীবিত থাকলে সেই সূত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ)-এর চেয়ারম্যান বা পৌর মেয়র বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র, পিতা বা মাতার এনআইডি কার্ডের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
→ ঠিকানা সংশোধনের জন্য বাড়ির দলিল বা টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিল, বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র বা বাড়িভাড়ার রশিদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
→ রক্তের গ্রুপ সংশোধনের জন্য প্রয়োজন হবে ডাক্তারী সনদপত্র।
→ প্রার্থীর সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধন করার জন্য।
এ কাগজগুলো যারা সত্যায়িত করতে পারবেন তারা হলেন সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান।
আরও পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
শেষাংশ
স্মার্ট আইডি কার্ড সংশোধনের ক্ষেত্রে বিশেষত কার্ডে প্রদর্শিত তথ্যসমূহের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন এ তথ্যগুলো প্রদানের সময় বারবার ভুল না হয়। এই ভুলগুলো এড়ানোর জন্য নিবন্ধনের সময়েই প্রতিটি তথ্য হুবহু জন্ম নিবন্ধন ও মাধ্যমিক পরিক্ষার সনদের তথ্যের সাথে মিল রাখা উচিত।
২ বছর আগে
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবিতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে দুই দিনব্যাপী জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীর এনআইডি নেই তাদের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থায় এ কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।রবিবার (৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন, করোনাকালীন সময়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কর্যক্রম থেমে থাকেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন। যারা এনআইডি ছাড়া টিকা নিয়েছে তাদের এনআইডির তথ্য দ্রুত জমা দিতে হবে। এজন্য বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের এনআইডি প্রদানে আমাদের এই উদ্যোগ। নির্বাচন কমিশনসহ সংশিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।উদ্বোধনকালে শাবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবির, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শুকুর মাহমুদ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এমদাদুল হক, সোহরাব হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৬০ শিক্ষার্থী
কাউনের চালের তৈরি নুডলস নিয়ন্ত্রণ করবে ডায়াবেটিস: শাবিপ্রবির গবেষণা
২ বছর আগে
সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র জাল, তবুও তিনি শিক্ষক!
নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার সাতগাঁও এমবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিক জমিলা খাতুনের বিরুদ্ধে জাল সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রে ভূয়া তথ্য ব্যবহার করে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শিক্ষিক জমিলা খাতুন মৌলভী পদে আস্থায়ী নিয়োগ পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। পরে এই শিক্ষিকা ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করেন এবং তার বোন জমিলা খাতুনের সনদ ব্যবহার করে শুধুমাত্র নাম ও স্বামীর নাম দিয়ে চাকরিতে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: হলে স্মাটফোন ব্যবহার: এসএসসি পরীক্ষা থেকে ৪ শিক্ষক বহিষ্কার
অভিযোগে জানা গেছে, চাকরিতে যোগদানের পর তিনি তিনবার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। প্রথম আবেদন নামুঞ্জুর হলেও পরের বার তার নাম পরিবর্তন করে সার্টিফিকেটের নাম অনুযায়ী মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নাম দেন এবং তৃতীয়বার তিনি জন্ম তারিখ ০৯/০৫/১৯৬২ এর জায়গায় ০১/০৫/১৯৬২ পরিবর্তন করেন। মূলত তিনি তার বোন মোসাম্মাৎ জমিলা খাতুনের সার্টিফিকেটের নামের সাথে তার ব্যক্তিগত তথ্যের যাতে গড়মিল না থাকে সেই চেষ্টা করেছেন। এক পর্যায়ে তিনি মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নিয়ে ১৯৮৭ সালে থেকে আজ পর্যন্ত চাকরি করে আসছেন।
এ ব্যাপারে গত বুধবার (৩ নভেম্বর) নেত্রকোণা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন মোহাম্মদ শফিউল নামে এক ব্যক্তি। অনুলিপির কপি দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জমিলা খাতুন বিদ্যালয়ে নিয়োগ নেয়ার সময় ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষাগত যোগ্যতার যে সনদ জমা দেন তাতে দেখা যায়, ১ বছর বয়সে জমিলা খাতুন ১ম শ্রেণি, দশ বছর বয়সে দশম শ্রেণি (দাখিল) ও ১২ বছর বয়সে দ্বাদশ (আলিম) পাস করেন। এমনকি তৎকালীন নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে সুকৌশলে তিনি বাবা-মায়ের নাম ব্যবহার করেননি। এত অনিয়ম কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
আরও পড়ুন: এবার লক্ষ্মীপুরে ৭ মাদরাসাছাত্রের চুল কর্তন, অভিযুক্ত শিক্ষক আটক
অভিযোগকারী মোহাম্মদ শফিউল বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।
অভিযুক্ত জমিলা খাতুন বলেন, ‘আমার সার্টিফিকেট যদি জাল হয় আপনারা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে খোঁজ নেন, বোর্ড আমার সার্টিফিকেট দিয়েছে। পরে আবার দুইটা মিনিস্ট্রিতে অডিট হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুদর্শন সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগের কাগজ আমরা পাইনি। এ রকম কোন বিষয়ে অভিযোগ থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে শাবি শিক্ষকের নিজের লেখা বইয়ের সৌজন্য সংখ্যা
জেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘এরকম একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
৩ বছর আগে
আইএফআইসি ব্যাংকের সাথে বিকাশের সরাসরি লেনদেন সেবার উদ্বোধন
দেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক আইএফআইসি ব্যাংকের সাথে বিকাশের সমন্বিত লেনদেন সেবা চালু হয়েছে। ফলে ব্যাংকটির ১০ লাখেরও অধিক গ্রাহক এখন তাৎক্ষণিকভাবে নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা আনতে পারবেন এবং বিকাশ থেকে আইএফআইসি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে পারবেন।
আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহকবৃন্দ দেশের যেকোনো স্থান থেকে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা যেকোনো সময় এই সেবা উপভোগ করতে পারবেন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে।
গত সোমবার (১৫ নভেম্বর) আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এ.আর.এম. নাজমুস সাকিব ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংক ও দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের এই যৌথ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিকাশের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কাজী মাহমুদ সাত্তার, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ এ সারওয়ার এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর-সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিকাশে বিনিয়োগ করলো সফটব্যাংক ভিশন ফান্ড ২
এই সমন্বিত লেনদেন সেবা পেতে প্রথমে গ্রাহকদের বিকাশ অ্যাপ থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট ও আইএফআইসি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মধ্যে লিংক স্থাপন করতে হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। লিংক স্থাপনের ক্ষেত্রে উভয় অ্যাকাউন্টের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মতারিখ, ব্যাংকে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর এবং বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর একই হতে হবে। লিংক স্থাপন হয়ে গেলে একজন গ্রাহক বিকাশ অ্যাপের ‘অ্যাড মানি’র মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সহজেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারবেন এবং প্রয়োজনমতো ব্যবহার করতে পারবেন। এর পাশাপাশি আইএফআইসি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেয়াসহ ডিপিএস, ঋণের কিস্তি ইত্যাদি নানাবিধ সেবা বিকাশ অ্যাপের ‘ট্রান্সফার মানি’র মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বিকাশে মোবাইল রিচার্জে ৩০ শতাংশ ক্যাশব্যাক
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের আট শতাধিক শাখা-উপশাখা থেকেও বিকাশে ক্যাশ ইন করার সুবিধা উপভোগ করছেন ব্যাংকের সকল গ্রাহক। এছাড়া ব্যাংকটির এটিএম বুথ থেকে শতকরা ১.৪৯ হারে ক্যাশ আউট সেবাও নিতে পারবেন বিকাশের পাচঁ কোটি ৬০ লাখ গ্রাহক।
উল্লেখ্য, অ্যাড মানি বা ট্রান্সফার মানি উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ‘ট্রানজেকশন লিমিট’ প্রযোজ্য হবে।
৩ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় ছেলের চেয়ে বাবা ৬ বছরের ছোট!
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গায় পাওয়া গেছে এমন এক বাবা ও ছেলেকে যেখানে ছেলের বয়স বাবার থেকে ছয় বছর বেশি।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মো. জামাত আলীর বয়স ৪৪ বছর। অথচ তার ছেলে মো. মনিরুল ইসলামের বয়স ৫০ বছর।
কিন্তু জামাত আলীর প্রকৃত বয়স ৭০ বছর। জাতীয় পরিচয়পত্রে তার বয়স ২৬ বছর কম দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জামাত আলী বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রে আমার বয়স কম হওয়ায় বিভিন্ন সময় আমাকে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বয়স্ক ভাতার কার্ডসহ সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধাও পাচ্ছি না। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলাম। তাঁরা বলেন সংশোধন করতে সময় লাগবে।’
জীবননগর উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কামরুল হাসান জানান, ২০০৯ সালের পূর্বে যারা ভোটার হয়েছেন তাদের তথ্যগত ক্রটির কারণে এ সমস্যা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি তা সংশোধনের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন করেননি। আবেদন করলে অবশ্যই তা সংশোধন করে দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বাস্তবে জীবিত হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তারা মৃত!
শাবির সকল আবাসিক শিক্ষার্থীকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেয়ার নির্দেশ
জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে
বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
ই-পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট হলো ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ ও অ্যান্টেনা যুক্ত একটি পাসপোর্ট যেখানে ব্যক্তির বায়োমেট্রিক পরিচিতি অর্থাৎ ছবি, আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই চিপের ভেতর সমন্বিত করা থাকে। ই-পাসপোর্টধারীদের ইমিগ্রেশনের জন্য ভিসা চেকিং-এর লাইনে দাড়াতে হবে না। বরং তারা ইলেকট্রনিক গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। এখন দেশের যে কোন জায়গা থেকে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে নির্ঝঞ্ঝাটভাবেই ই-পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। চলুন দেখে নিই, কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন।
৩ বছর আগে