সৌদি সরকার
আগামী হজ কার্যক্রম আগেভাগে শেষ করতে হবে: কোটাসহ সময়সীমা দিল সৌদি সরকার
আগামী ২০২৬ সালের হজ কার্যক্রম সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী অনেক আগেভাগেই সম্পন্ন করতে হবে। এ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশসহ অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জন্য কঠোর সময়সূচি নির্ধারণ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন, অর্থ স্থানান্তর ও সেবা চুক্তি সম্পন্ন না হলে হজে অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
ইতোমধ্যে সৌদি সরকারের ‘নুসুক মাসার’ প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যদিও গত দুই বছর এই কোটা পূরণ হয়নি। হজ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে। তবে এবার ১২ অক্টোবরের মধ্যে হজ নিবন্ধন সম্পন্ন করে পূর্ণ অর্থ জমা দিতে হবে। এরপর ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে সৌদি প্রান্তে সেবা প্যাকেজের অর্থ পাঠাতে হবে।
২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি ও ২০ জানুয়ারি হজযাত্রীদের আবাসন ও পরিবহনের অর্থ স্থানান্তর শুরু করতে হবে। বাংলাদেশ-সৌদি দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি সই হবে ৯ নভেম্বর। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এত আগেভাগে জটিল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
চলতি বছরের হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয় গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর। আগামী বছরের হজের প্রাথমিক নিবন্ধন রোববার (২৭ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে। চলতি বছর হজ হয়েছিল ৫ জুন। গত বছরের ৩০ অক্টোবর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল সরকার।
আগামী হজকে সামনে রেখে এখন প্যাকেজ ঘোষণা করা হচ্ছে সরকারের বড় কাজ। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এখন সৌদি প্রান্তের খরচ ও দেশে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণের অপেক্ষা করছেন। আগস্টের মধ্যে হজ প্যাকেজ ঘোষণার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছেন তারা।
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ মাধ্যমে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। আর প্যাকেজ-২ এ হজ পালনে খরচ হয় ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। আর বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। এর ভিত্তিতে প্যাকেজ নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিগুলো।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানা গেছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী হজেও দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা নিয়ে কাজ হচ্ছে। সাধারণ প্যাকেজ হিসেবে প্যাকেজ-১ এর খরচ কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। চলতি বছর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা। আগামী বছর তা দেড় লাখের নিচে নামিয়ে আনতে চায় মন্ত্রণালয়।
এ প্যাকেজের ভিত্তিতেই এজেন্সিগুলো তাদের প্যাকেজ নির্ধারণ করবে। অন্যদিকে সরকারি প্যাকেজ-২ হবে বিশেষ প্যাকেজ। এ প্যাকেজে হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। খরচও হবে বেশি। এ প্যাকেজের খরচ হবে ৭ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা। এ প্যাকেজের বাড়ি বা হোটেল থাকবে হারাম শরীফের ৫০০ থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে।
চার লাখ টাকা দিয়ে রোববার থেকে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাচ্ছে। তবে হজ এজেন্সি মালিকরা এর বিরোধিতা করছেন। তারা বলছেন, প্রাথমিক নিবন্ধনে ৪ লাখ টাকা বেশি হয়ে যাচ্ছে। এতে সাড়া কম পাওয়া যাবে। কারণ, হজের এত আগে একসঙ্গে এত টাকা দেওয়ার অনেকের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। এ ছাড়া প্যাকেজ ঘোষণা না হওয়ায় হজে গমনেচ্ছুরা জানতে পারাছেন না যে এবার হজ পালন তার সাধ্যের মধ্যে থাকছে নাকি থাকছে না।
এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক ইউএনবিকে বলেন, ‘সৌদি সরকার হজ নিয়ে রোডম্যাপ দিয়েছে। কারণ হজ হচ্ছে একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার বিষয়। এবার হজ নিয়ে একটু আগেই কাজ শুরু করতে হবে। এটা নিয়ে আমরা হাবের সঙ্গে বসেছি। হজ প্যাকেজ ঘোষণাসহ যে সব কাজ রয়েছে, সেগুলো পর্যায়ক্রমে করতে হবে।’
সচিব বলেন, ‘সৌদি প্রান্তের খরচের হিসাব না পাওয়া ও বিমান ভাড়া নির্ধারিত না হওয়ায় আমরা প্যাকেজটা করতে পারছি না। সৌদি প্রান্তে সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর কাছে চুক্তি, মিনা-আরাফায় তাবু ভাড়া, বাড়ি ভাড়া আগে আগেই করতে হবে।’
হজ প্যাকেজ কবে নাগাদ হতে পারে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘হজ প্যাকেজ আগস্টের মধ্যেই করতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। তবে সৌদি প্রান্তের খরচের হিসাব পাওয়ার পর প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি প্রান্তের খরচের হিসাব পাওয়ার বিষয়ে সৌদি আরবে আমাদের হজ মিশন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমাদের এদিকেও কিছু কাজ রয়েছে। বিমান ভাড়া নির্ধারণের বিষয়টি রয়েছে। বিমান ভাড়া নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। খরচগুলো পেলে আমরা যত দ্রুত পারি নির্বাহী কমিটি সভায় বসে প্যাকেজ ঘোষণা করে দেব।’
আরেক প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘আমরা চাই হজের খরচ কমুক। যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ার সুযোগ পায়। ওই প্রান্তের ও আমাদের প্রান্তের খরচ যদি কমাতে পারি, তাহলে খরচ কমবে।’
‘অনেকে একটা বিশেষ প্যাকেজ নেওয়ার কথা বলেছে। তারা বলেছেন, আরও কাছাকাছি থাকতে চান। ৫০০ থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে করা যায় কিনা, আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। আমরা এটা নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব। কিছু কিছু মানুষ আছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হারাম শরীফে পড়তে চান, এজন্য তারা বেশি খরচ করতেও রাজি।’
ইতোমধ্যে সৌদি সরকার আমাদের কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘আগামী বছরের হজে বাংলাদেশের কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। নুসুক মাসার প্লাটফর্মে সৌদি সরকার কোটা জানিয়ে দিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে আমাদের কোটা এটাই ছিল।’
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘আগামী হজ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। তবে এবার সৌদি সরকারের যে টাইমলাইন, সেটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারন গত বছর থেকে এবার সময় এগিয়ে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হজযাত্রীদের তো মাথায় থাকে যে হজের দু-তিন মাস আগে সব করবেন। কিন্তু সৌদি সরকার এবার ছয় মাস আগেই সব কাজ শেষ করতে চাইছে। এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার হাজিরা বলছেন, আরও কাছে থাকতে চাইছেন। বেশি সুযোগ-সুবিধা চান তারা। তাই প্যাকেজ-২ বিশেষ প্যাকেজ হিসেবে রাখার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। প্যাকেজ-১ এ তিন কিলোমিটারের মধ্যে হোটেলের ব্যবস্থা করার কথা ছিল। কিন্তু আমরা হাজিদের দেড় থেকে দুই মিলোমিটারের মধ্যে রাখতে পেরেছি। আমাদের উদ্দেশ্য হাজিকে দূরে রাখা যাবে না। এবারও এটা আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকবে। আমরা হাজিদের সেবাটা নিশ্চিত করতে চাই।’
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (হাব) এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, ‘সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী এবার হজ প্যাকেজ আগে বাদে ঘোষণা করতে হবে। সৌদি রোডম্যাপের পরিপ্রেক্ষিতে এবার কিছুটা তো চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নিবন্ধনের সময় যে চার লাখ টাকা দেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে, এটা একটু বেশি। মানুষের তো প্রাথমিকভাবে এত টাকার প্রস্তুতি থাকে না। আমাদের দাবি ছিল, এই টাকাটা দুইভাগে নেওয়ার জন্য। প্রাথমিক টাকা যাতে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে থাকে। এটা হজযাত্রীদের দাবি, আমাদেরও দাবি।’
মহাসচিব বলেন, এবার কোরবানি ও খাবার সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবস্থাপনায় নিয়ে নিচ্ছে। এটা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশের হাজিরা কেউ ৫০০ রিয়াল দিয়ে কোরবানি দেয়, কেউ পনের শ’ রিয়াল দিয়েও দেয়। কোরবানিটা তো যার যার সামর্থ্যের বিষয়। একই ফরমেটে রাখলে তো সমস্যা দেখা দেবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি সরকার খাবার দিলে হাজীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হবে, কারণ তাদের খাবারটা মানে ভালো নয়। তারা যদি এক মাস ধরে খাবারের দায়িত্ব নেয়, তাহলে হাজিদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি হজে মিনা ও আরাফায় সৌদি কর্তৃপক্ষ ৩/৪ দিনের খাবার দিত, এটা নিয়েই হজযাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই।’
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টা মন্ত্রণালয়ও জানে। আশা করি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সরকার এ বিষয়গুলো সুরাহা করবে।’
হজ ২০২৬: শুরু হয়েছে প্রাথমিক নিবন্ধন, জমা দিতে হবে ৪ লাখ টাকা
২০২৬ সালের হজে অংশ নিতে আগ্রহীদের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়ায় চার লাখ টাকা জমা দিয়ে হজে যেতে ইচ্ছুকরা প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি সরকারের নির্ধারিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, এ বছরের ১২ অক্টোবরের মধ্যে হজের চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রাথমিক নিবন্ধনের পাশাপাশি হজ প্যাকেজের বাকি অর্থ জমা দিয়ে সম্পন্ন করতে হবে চূড়ান্ত নিবন্ধন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে আগ্রহীরা ই-হজ সিস্টেমের ওয়েবসাইট (www.hajj.gov.bd), ‘লাব্বাইক’ মোবাইল অ্যাপ, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম অফিস এবং আশকোনা হজ অফিস থেকে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে পারবেন।
অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে আগ্রহীদের জন্য অনুমোদিত হজ এজেন্সির মাধ্যমেই নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন না হলে হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তাই সময়মতো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হজে আগ্রহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: আগামী হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেল ১৫৫ এজেন্সি
১২৮ দিন আগে
এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর কোটা না বাড়াতে সৌদিকে ধর্ম উপদেষ্টার অনুরোধ
সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে গত বছরই জানানো হয়েছিল যে ২০২৬ সালে হজে এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা হবে ২০০০ জন। তবে হজযাত্রীর কোটা না বাড়িয়ে তা এক হাজারই বহাল রাখতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকালে সৌদি আরবের জেদ্দায় হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার ড. আল হাসান ইয়াহিয়া আল মানাখারার সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপদেষ্টা এ অনুরোধ জানান।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালে সুশৃঙ্খল ও সাবলীল হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি এ বছরের হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অননুমোদিত হজ পালন বন্ধ করা, হাজীদেরকে যথাসময়ে নুসুক কার্ড সরবরাহ, মাশায়ের এলাকায় ঝামেলাহীন পরিবহন সেবা ও নিবিড় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং মৃত্যুহার হ্রাসে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সৌদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের জন্য জরুরি বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান
ধর্ম উপদেষ্টা ২০২৬ সালের হজ ব্যবস্থাপনাকে সহজ ও মসৃণ করার ক্ষেত্রে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। নুসুক মাসার ড্যাশবোর্ডকে তথ্যসমৃদ্ধ করা এবং এ তথ্য পরিবীক্ষণ ও যাচাইয়ের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
পাশাপাশি মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভসের মাধ্যমে হাজীদের লাগেজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আরএফআইডি ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা, মাশায়ের এলাকায় টয়লেট সুবিধা বৃদ্ধি ও পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং মিনা ও আরাফার তাঁবুতে বেডের সাইজ বাড়ানোর জন্য সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেন।
এ ছাড়াও, হজের আবশ্যিক খরচ অগ্রীম ঘোষণা দেওয়া এবং হজযাত্রী পরিবহনে দুই দেশের জাতীয় ক্যারিয়ার বিমান বাংলাদেশ ও সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি তৃতীয় ক্যারিয়ার চালু করার বিষয়েও সৌদি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
ডেপুটি মিনিস্টার ড. আল হাসান বাংলাদেশের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশসমূহ মনোযোগ শোনেন এবং তা বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। তিনি বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত ও রোডম্যাপ অনুসারে সব কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন করার অনুরোধ জানান।
এ সময় ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম, কনসাল (হজ) মো. আসলাম উদ্দিন ও সচিবের একান্ত সচিব মো. কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
১৬৭ দিন আগে
সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সৌদি সরকারের সম্মতি
সমুদ্রপথে জাহাজে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে সম্মতি প্রকাশ করেছে সৌদি সরকার।
বরিবার (৭ অক্টোবর) ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনে এবং সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সৌদি মন্ত্রী এ সম্মতির কথা জানান।
আরও পড়ুন: ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করেছে প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট
সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে হাজযাত্রী পাঠাতে সৌদি সরকারের কোন আপত্তি নেই। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
উল্লেখ্য, এ বছর পরীক্ষামূলক জাহাজ করে দুই থেকে তিন হাজার হাজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে। সৌদি হজ ও উমরাহবিষয়ক মন্ত্রী হাজযাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে আপগ্রেড করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেন। তিনি হজ এজেন্সির মালিক অথবা তাদের প্রতিনিধির অনুকূলে মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসা ইস্যুর ব্যাপারেও ধর্ম উপদেষ্টাক আশ্বস্ত করেন।
এছাড়া, রুট টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে হজযাত্রীদের বেশ কিছু লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও মন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টাকে আশ্বাস দেন।
সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি এজেন্সিকে কমপক্ষে দুই হাজার হাজি পাঠানোর কোটা নির্ধারণ করা হয়।
উপদেষ্টা ২০২৪ সালের অনুরূপ এজেন্সি প্রতি ২৫০ জন কোটা পুনঃনির্ধারণের অনুরোধ জানালে সৌদি মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: বিমানের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে ২১ জন হজযাত্রী
৪২৩ দিন আগে
২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হজ নিবন্ধনের বাকি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ
সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রীদের জন্য মিনায় তাঁবু ও মোয়াল্লেম গ্রহণ, বাড়ি বা হোটেল ভাড়া, পরিবহন চুক্তি ইত্যাদি আবশ্যিকভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীকের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের হজের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদেরকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিবন্ধনের অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল
বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা
৬৬৩ দিন আগে
হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন করায় সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী
মক্কা রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে এ বছর বাংলাদেশ থেকে সকল হজযাত্রীদের বিমানে ওঠার আগে বাংলাদেশেই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে সৌদি সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
মঙ্গলবার তিনি ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশেষ সভায় এ ধন্যবাদ জানান।
সভায় সৌদি হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউযান আল রাবিয়া সভাপতিত্ব করেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এ বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২২ হাজার হজযাত্রী পবিত্র হজে অংশগ্রহণ করবেন। যাদের সকলের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন হচ্ছে। যা হজযাত্রীদের সৌদি আরবে আগমনকে ঝামেলামুক্ত ও নির্বিঘ্ন করেছে। হজ সংক্রান্ত অটোমেশন ও অনলাইন ব্যবস্থাপনা হজ ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
আরও পড়ুন: ৪১৫ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে প্রথম ফ্লাইট
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রথম কয়েকটি হজ ফ্লাইটে আমাদের হজযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা সবাই এই ব্যবস্থায় তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। প্রতি বছর সুন্দরভাবে হজ আয়োজনের জন্য মুসলিম উম্মাহ দুই পবিত্র মসজিদের হেফাজতকারী সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও ক্রাউন প্রিন্স প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, মক্কায় সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তম সমাবেশ পরিচালনা করা একটি বিশাল দায়িত্ব। সৌদি আরব ভিশন ২০৩০ এর অধীনে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করেছে, যা মানুষের হজ ও ওমরাহকে সহজসাধ্য ও আরামদায়ক করে তুলেছে।
সভার শুরুতে, সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ২০২৩ সালের হজ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি ব্রিফিং প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত পবিত্র হজ ব্যবস্থাপনাকে সফল করতে সৌদি আরবের প্রতি বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেন ও এর সফলতা কামনা করেন।
ওআইসির বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা এ সভায় যোগ দেন। সভায় ওআইসির মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১,৫৫০ বাংলাদেশি হজযাত্রী
বিমানের পাঁচটি ফ্লাইট ২০৮৬ হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরব পৌঁছেছে
৯০৫ দিন আগে
সৌদি সরকার বিদেশি তীর্থযাত্রীদের ওমরাহ বীমা খরচ ৬৩% কমিয়েছে
সৌদি সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে বিদেশি তীর্থযাত্রীদের জন্য বিস্তীর্ণ ওমরাহ বীমার খরচ ৬৩ শতাংশ কমানো হয়েছে।
সৌদি আরবের দৈনিক সৌদি গেজেট জানিয়েছে, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ১০ জানুয়ারি থেকে খরচ ২৩৫ থেকে ৮৭ সৌদি রিয়াল কমিয়েছে।
ওমরাহ’র জন্য বীমা হলো বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি সমন্বিত নীতি।
আরও পড়ুন: ওমরাহ ই-ভিসা: বাংলাদেশসহ ৫ দেশের যাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য আবশ্যক
এটি ভিসা পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হচ্চে- চিকিৎসা, হাসপাতালে ভর্তি, গর্ভাবস্থা, জরুরি প্রসব, জরুরি ডেন্টাল কেস, ট্র্যাফিক দুর্ঘটনায় আঘাত, ডায়ালাইসিস কেস এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চিকিৎসা স্থানান্তর।
দুর্ঘটনাজনিত স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত্যু ও মৃত্যুর ঘটনা, মৃত ব্যক্তির দেহ তার দেশে ফেরত দেয়া এবং আদালতের রায়ে জারি করা ব্লাড মানি’র মতো সাধারণ মামলাগুলো এর অন্তর্ভুক্ত। এতে ফ্লাইট বিলম্বের ক্ষতিপূরণ এবং ফ্লাইট বাতিলের ক্ষতিপূরণের কভারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বীমা সৌদি আরবে প্রবেশের দিন থেকে শুরু করে ৯০ দিন পর্যন্ত কাজ করবে এবং তা শুধুমাত্র দেশটির মধ্যেই কার্যকর।
ওমরাহ পালনকারীরা ওমরাহ বীমা পলিসি দেখতে, এর বৈধতা যাচাই করতে এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের সম্পর্কে জানতে বিস্তীর্ণ বীমা প্রোগ্রামের ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ওমরাহ পালন নিয়ে প্রতারিত না হওয়ার পরামর্শ মন্ত্রণালয়ের
৭ মাস পর মক্কায় মুসল্লিদের ওমরাহ পালন শুরু
১০৫২ দিন আগে
সৌদি সরকারে নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ প্রবাসীদের
প্রবাসীদের সৌদি আরবের আইন কানুন ও করোনা প্রতিরোধে নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস। দেশটির বুরাইদা শহরে বাংলাদেশ দূতাবাসে কনস্যুলার সেবা প্রদানের সময় এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়, রিয়াদ থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শুক্রবার থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সৌদি সরকারের নির্দেশিত বিধিনিষেধ মেনে কয়েকশত বাংলাদেশি অভিবাসীকে কনস্যুলার সেবা প্রদান করা হয়।
এ সময় অভিবাসীদের ইকামার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পাসপোর্ট নবায়ন, পাসপোর্ট রি-ইস্যু ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের পক্ষ থেকে স্পেশাল অ্যাক্সিট প্রোগ্রামের আওতায় হূরুব প্রাপ্ত, ইকামাবিহীন, ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ ও অ্যাক্সিট ভিসায় মেয়াদোত্তীর্ণ অভিবাসীদের আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়। অভিবাসীদের প্রবাসী কল্যাণ কার্ডের জন্য নিবন্ধন করা হয়।
আরও পড়ুন: সৌদিতে বিনিয়োগে অভিবাসীদের জন্য নতুন সুযোগ
দূতাবাসের সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে অ্যাকাউন্ট খোলা ও ওয়েজ আর্নার্স বন্ড করার সেবা প্রদান করা হয়। সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি প্রবাসীদের বৈধ পথে দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
বুরাইদা ও আশেপাশের এলাকায় সহস্রাধিক বাংলাদেশি বসবাস করেন। এখানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যবসা, কৃষি কাজ, পোলট্রি ফার্মসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। সৌদি আরবের বুরাইদা ও আল কাসিম খেজুর চাষের জন্য অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। বুরাইদা শহরের পাশে আল কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে সৌদি সরকারের বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
সেবা গ্রহণ করতে আসা প্রবাসীদের নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেবা প্রদান করা হয়। তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যাগ্রস্ত অভিবাসীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়।
কনস্যুলার সেবা প্রদান করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. হুমায়ূন কবীর, শ্রম উইংয়ের প্রথম সচিব মো. সফিকুল ইসলাম ও সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি মো. জসীম উদ্দিন খান প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন শাখার দূতাবাসের স্টাফরা কনস্যুলার সেবা প্রদান কাজে সহায়তা করেন।
আরও পড়ুন: সৌদিকে তৈরি পোশাক আমদানির আহ্বান বাংলাদেশের
কনস্যুলার সেবা শনিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রদান করা হবে। এ এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরা দূতাবাসের সেবা পেয়ে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এখানে অভিবাসীদের জরুরি বিভিন্ন সেবা প্রদানের জন্য একটি প্রবাসী সেবা কেন্দ্র ও কাজ করছে। সেবা কেন্দ্র থেকে প্রবাসীরা সপ্তাহের যেকোন দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
১৬০৯ দিন আগে
সৌদি ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠাবে না, পুনরায় বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সৌদি আরবে কয়েক দশক ধরে বসবাস করা ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশটি ফেরত পাঠাবে না বলে শুক্রবার পুনরায় জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
১৮৯৬ দিন আগে
করোনা পরিস্থিতি ও সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে এবারের হজ
এ বছরের জুলাই মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হজে অংশগ্রহণ ও পবিত্র কাবা শরীফ প্রদক্ষিণে অংশ নেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছেন বিশ্বের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান। যদিও সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত ও করোনা পরিস্থিতির উপরই নির্ভর করবে এবারের হজ হবে কি হবে না।
২০২৬ দিন আগে