ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও মূল্যবোধ নবায়নের আশাবাদ ইইউ রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, নিরীহ মানুষের প্রাণহানিসহ সাম্প্রতিক মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের ফলে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালীন মূল্যবোধের নবায়ন ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষে ঢাকা ত্যাগ করার প্রস্তুতিকালে রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হ্যান্ডেলে তার উপলদ্ধি ও আশার কথা তুলে ধরেন। এতে তিনি ন্যায়বিচারের গুরুত্ব এবং বাংলাদেশ যে মূল নীতিগুলোর উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার শক্তিশালীকরণের উপর জোর দেন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক দুঃখজনক ঘটনাবলির দিকেও আলোকপাত করেছেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে গাড়ি রেখে সিএনজিতে ইইউ রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূতের বার্তাটি ঐক্য ও সহনশীলতার আহ্বান জানিয়েছে। এতে যারা চড়া মূল্য দিয়েছে তাদের সম্মান জানানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে গুরুত্বের সঙ্গে। যা বাংলাদেশের জন্য একটি ন্যায্য ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হাওর-উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
৩ মাস আগে
বাংলাদেশের হাওর-উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের হাওর ও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
তিনি বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত ও মানবিক বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হলেও হাওর ও উপকূলীয় এলাকার মতো দেশের অনগ্রসর অঞ্চলগুলোতে অতিদারিদ্র্যের হার এখনও বেশি। তাই এসব স্থানে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে।
রবিবার (১৪ জুলাই) পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘ন্যাশনাল ওয়ার্কশপ অন পিপিইপিপি-ইইউ প্রজেক্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পিকেএসএফের বাস্তবায়নে ‘পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল– ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (পিপিইপিপি-ইইউ)’ প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়।
হোয়াইটলি আরও বলেন, গত বছর ইইউ ও বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে। পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পটি এ সম্পর্কেরই একটি প্রতিফলন।
কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘গত দেড় দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে এবং এর পেছনে সরকারের বিভিন্ন গণমুখী, সময়োপযোগী পদক্ষেপের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সহায়তা কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।’
মুখ্যসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো অতিদারিদ্র্য নিরসন এবং এ লক্ষ্যপূরণে দীর্ঘমেয়াদি, টেকসই কার্যক্রম নেওয়ার বিকল্প নেই।
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার।
পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পকে একটি অভিনব প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করে ড. নমিতা হালদার বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও লবণাক্ততার প্রকোপ মোকাবিলার মতো কঠিন বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করা সম্ভব যা একই সঙ্গে সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং।
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে পিকেএসএফের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের অগ্রগতি আশানুরূপ তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্পের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
কর্মশালায় প্রকল্প থেকে পাওয়া সহায়তার সুফল নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সদস্যরা নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
এছাড়া, ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়নাধীন পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা হয় এবং প্রকল্পবিষয়ক একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে গাড়ি রেখে সিএনজিতে ইইউ রাষ্ট্রদূত
'ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ উইথ বাংলাদেশ'র অভিবাসন সুবিধা তুলে ধরলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত
৪ মাস আগে
প্রতিটি দেশই ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিক মোকাবিলা করছে : ইইউ রাষ্ট্রদূত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈধ বাকস্বাধীনতা এবং সহিংসতা ও ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধে বিধিবিধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীতে ‘ডিক্যাব-টক’ এ অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা আমাদের ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্টের মাধ্যমে ইউরোপে এটি নিয়ন্ত্রণ করেছি। যেটি মেটার মতো প্রতিষ্ঠানের ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তারা যদি ইন্টারনেট থেকে খুব দ্রুত ঘৃণামূলক বক্তব্য সরিয়ে না নেয়, তবে ইউরোপের বাজারে এর প্রভাব পড়বে।’
সহিংসতার বিস্তার রোধে প্ল্যাটফর্মগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রতিটি দেশই ইন্টারনেটের নেতিবাচকতা মোকাবিলা করছে এবং সমাজে এটি প্রভাব ফেলছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, আরও কীভাবে পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা চলছে এবং বাংলাদেশেও একই বিতর্ক চলছে।
হোয়াইটলি বলেন, ‘সুতরাং, অবশ্যই, আপনাদের ডিজিটাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) রয়েছে। আপনারা কীভাবে মিথ্যা তথ্য মোকাবিলা করবেন তা নিয়ে কথা বলছেন। তবে সবকিছুর মূল বিষয় হলো, আপনাদেরকে এমনভাবে এটি করতে হবে- যাতে বাকস্বাধীনতার অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে সংরক্ষণ ও সম্মান করা হয়।’
আরও পড়ুন: তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, একটি দায়িত্বশীল সরকারকে সহিংসতা ও ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধ করা এবং বৈধ বাকস্বাধীনতার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে এরকম খুব সূক্ষ্ম ব্যবস্থাপনাটি পরিচালনা করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা সবাই একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি। আর আমরা সেটাই করছি। আমাদের কিছু সদস্য রাষ্ট্রের ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহ্য রয়েছে। নিঃসন্দেহে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। আপনারা জানেন, ইউরোপীয় আইনে আপনারা যা দেখেন তার চেয়ে নির্দিষ্ট ধরণের বক্তব্যের জন্য সহনশীলতার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। সুতরাং আমাদের ঐতিহ্য আছে, কিন্তু মূল কথা হলো আমাদের সবারই বাক স্বাধীনতা থাকা দরকার। আমাদের সমাজে নিরাপত্তা ও সুরক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে। এটি একটি জটিল ধাঁধা।’
সংখ্যালঘু নেতা, সুশীল সমাজের সদস্য, যুদ্ধাপরাধবিরোধী প্রচারণাকারী, যুদ্ধের নায়ক ও শহীদদের পরিবারের কাছ থেকে প্রায়ই অভিযোগ উঠে থাকে যে ফেসবুক বাংলাদেশে ঘৃণামূলক বক্তব্য বা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুকের সর্বশেষ প্রতিবেদনটিও একই সম্প্রদায়ের সদস্যদের কাছে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে।
মেটার সর্বশেষ প্রতিবেদনটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট এবং ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েব টিম।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পর্যটন খাতে শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে ইউরোপিয়ান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন হোয়াইটলিসহ প্রতিনিধিরা।
সাক্ষাতে ইইউ রাষ্ট্রদূত জানান, উন্নয়ন সহায়তাকারী ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও ইউএনডিপি সম্মিলিত অংশের সমন্বয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে রাঙ্গামাটির তিনটি উপজেলা, বান্দরবানের তিনটি উপজেলা ও খাগড়াছড়ির দুইটি উপজেলার মোট ২৬টি ইউনিয়নে দারিদ্র্য বিমোচনে ২০ হাজার অতি দরিদ্র পরিবারের ৯৮ হাজার মানুষকে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
প্রতিনিধি দল এসব হতদরিদ্রদের দারিদ্র্য বিমোচনে সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ বৃদ্ধিসহ কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে বলে প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো- তিন পার্বত্য জেলায় অতি দরিদ্র পরিবারের দারিদ্র্য হ্রাস ও জলবায়ু সহনশীল জীবন জীবিকা নির্বাহে সহায়তা প্রদান।
প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে- কমিউনিটি পরিচালিত মার্কেট কালেকশন পয়েন্ট।
এরমধ্যে রয়েছে- প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্যাটেলাইট ক্লিনিক/স্বাস্থ্য ক্যাম্প পরিচালনা, শিশুদের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণের জন্য পারিবারিক পরিদর্শন, মাঝারি ও তীব্রভাবে অপুষ্টির শিকার শিশুদের জন্য খাদ্য প্যাকেজ।
প্রতিমন্ত্রী তাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় জলবায়ু সহনশীল পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ ও দারিদ্র্য বিমোচনের দিকটিকে অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
তিনি বলেন, সরকার দেশি-বিদেশি সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর এ ধরনের কল্যাণকর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায়। তিনি সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম সচিব মো. হুজুর আলীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
৯ মাস আগে
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক, তাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়াই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে আসুন একসঙ্গে কাজ করি: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ও ডেলিগেশন প্রধানকে এটি পুণর্ব্যক্ত করে এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে বাণিজ্য বিস্তৃতিতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠক শেষে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের হাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকাসহ ঐতিহ্যবাহী উপহার সামগ্রী তুলে দেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যার কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে বিশ্বের নজর অনেকটা অন্য দিকে সরে গেছে।
আরও পড়ুন: আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পিটার হাস ও চার্লস হোয়াইটলি
সে কারণে আমি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এখানে আরও ১৫ লাখ অতিরিক্ত মানুষ একটি বিশাল চাপ।
আর রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। দুই দশক আগেও মিয়ানমারের মন্ত্রিসভায় রোহিঙ্গা মন্ত্রী ছিল। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়াই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান।
আরও পড়ুন: পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ইউরোপীয় উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তাদের সঙ্গে পার্টনারশিপ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্টের (পিসিএ) বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
১০ মাস আগে
তরুণদের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে এমন ইস্যুতে তাদের কথা শুনতে হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, তারা ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে আরও ব্যবসা দেখতে চান। একই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস' (বিডিওয়াইএস) শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ক্রমেই একটি আকর্ষণীয় বাজার হয়ে উঠছে। এ কারণেই আমাদের সম্পর্ক বিভিন্ন পর্যায়ে একটি অংশীদারিত্বে পরিণত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মজুরি নয়, অধিকারের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে সফররত ইইউ প্রতিনিধি দল: পররাষ্ট্র সচিব
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, তারা বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক আগ্রহ বাড়াতে ও এগিয়ে নিতে চান।
তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতের মূল ইস্যুগুলোতে তরুণদের কথা শোনা জরুরি। অর্থনীতি ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মূল্যবান সুযোগ করে দিয়েছে আজকের এই আয়োজন। ইইউ বিশ্বব্যাপী তরুণদের সহায়তা করছে, যার মধ্যে গত বছর গৃহীত আমাদের ইয়ুথ অ্যাকশন প্ল্যানও রয়েছে।’
হারনেট টিভির প্রতিষ্ঠাতা সিইও ও এমডি আলিশা প্রধানের পরিকল্পনা ও ভাবনায় এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের আয়োজন করে হারনেট ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশে ইইউ দূতাবাসের সহঅর্থায়নে ও সহযোগিতায় আয়োজিত এ আয়োজন বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়নে তাদের অঙ্গীকারের দলিল।
রপ্তানি বহুমুখীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, তৈরি পোশাক পণ্য এখনও বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করছে।
তিনি কৃষি খাতে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, এ খাতের সাফল্য আশ্চর্যজনক এবং বাংলাদেশ এখন প্রধান ফসলের ক্ষেত্রেও স্বয়ংসম্পূর্ণ।
ইইউ রাষ্ট্রদূত নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে যৌথ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'আমি বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে অনেক বেশি মনোযোগ দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি গার্মেন্টস খাতের বিপ্লবের কথা উল্লেখ করেন এবং এটি কীভাবে নারীদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে তা তুলে ধরেন।
ইইউ বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের পথে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের সদ্ব্যবহার করেছে এবং 'এভরিথিং বাট আর্মস' ব্যবস্থার আওতায় ইইউতে বৈশ্বিক আমদানির ৬০ শতাংশেরও বেশি অংশ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ ইবিএর সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী, ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে রপ্তানি ২৪ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার ইস্যু পূরণের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়, যা ইবিএ ব্যবস্থার একটি অন্তর্নিহিত অংশ।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে কীভাবে আরও শক্তিশালী ও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে সংলাপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মতামত শোনেন এবং দক্ষতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় হারনেট টিভিতে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং বাংলাদেশ সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নারীদের কণ্ঠস্বর প্রসারিত করতে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের বৈচিত্র্যময় গল্পগুলো তুলে ধরতে গতিশীল প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন ও তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা ইইউ প্রতিনিধি দলের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা) সভাপতি ড. মো. নিজামুল হক বুয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ১০টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
তারা বিকশিত বাংলাদেশে তরুণদের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার; জোন্টা ইন্টারন্যাশনালের গভর্নর ড. জারিন দেলাওয়ার হুসেন; জেসিআই-এর জাতীয় সভাপতি জিয়াউল হক ভূঁইয়া, হারনেট গ্রুপের উপদেষ্টা মনির প্রধান; মেঘনা ব্যাংকের এমডি মো. সোহেল হোসেন ও ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, রোটারির গভর্নর, আইটোর প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফাসহ আরও অনেকে।
এ ছাড়া জাজ মাল্টিমিডিয়া,বাংলাদেশে ফরাসি দূতাবাস, রোটারি ক্লাব, ইউএনবি, সময় টিভি, বাংলাদেশ প্রতিদিন, গোল্ড স্যান্ডস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, কাজী অ্যান্ড কাজী টি, জাজ মাল্টিমিডিয়া, ঢাকা লাইভ, মেঘনা ব্যাংক, হারনেট ব্লিসমাইন্ড, জেসিআই, জোন্তা, সাভার টেক্স এবং ব্যাকপেজ পিআরসহ পার্টনাররা এই আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বক্তারা হারনেট ফাউন্ডেশন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি তাদের জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য যুব জনগোষ্ঠীকে তার সর্বোচ্চ সম্ভাবনায় কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের যুব উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন হারনেট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আলিশা প্রধান।
রোটারি ক্লাব তরুণদের কল্যাণে অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে একটি রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। মেঘনা ব্যাংক বিডিওয়াইএস ফোরামের সহযোগিতামূলক চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়ে এই উদ্যোগের প্রতি তার অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।
ফরাসি দূতাবাসের সহযোগিতায় 'টেকসই আগামীর জন্য আজকের কণ্ঠস্বর' স্লোগান নিয়ে ফোরামটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরু থেকে সৌদি দূতাবাস, গুলশান ক্লাব ও ওয়েস্টিন হোটেলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে যাত্রা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: শ্রম-মানবাধিকার খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান ইইউ প্রতিনিধি দলের
১ বছর আগে
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জিএম কাদেরের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে রবিবার সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইইউ রাষ্ট্রদূত কাদেরকে তার গুলশানের বাসভবনে ব্রেকফাস্টের আমন্ত্রণ জানান।
এদিকে, ইইউ রাষ্ট্রদূত এক টুইটে বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মিশন প্রধানরা বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে ধারণা পেতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের নিয়মিত বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ আমরা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু ও চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত ও উপদেষ্টা মাসরুর মওলার সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।’
বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইইউ বাজারে জিএসপি প্লাস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে: রাষ্ট্রদূত
করতোয়ায় ট্রলার দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে বিক্ষোভ-সম্পর্কিত সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ ইইউ’র
২ বছর আগে
বাংলাদেশের উন্নয়নে পদ্মা সেতু এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেশের উন্নয়নে এক ‘অবিস্মরণীয় মুহূর্ত’ হতে চলেছে।
সোমবার এক বার্তায় ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষে বাংলাদেশকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন ইইউ দূত।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দেশের জিডিপিতে এক দশমিক দুই শতাংশের বেশি যোগ করবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু প্রকৃত গেম চেঞ্জার: রাশিয়া
হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা সেতুটি নিজেরাই ব্যবহার করতে এবং এটি জনগণ, পরিবার ও বাণিজ্যিক সংযোগের সুবিধার্থে কী করে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। অভিনন্দন, বাংলাদেশ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
২ বছর আগে
বিশ্বব্যাপী টিকা নিশ্চিত করাই ইইউর অগ্রাধিকার: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের প্রধান রাষ্ট্রদূত রেনসে তিরিঙ্ক বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যের করোনার টিকা নিশ্চিত করাই ইইউর অন্যতম অগ্রাধিকার। ‘টিম ইউরোপ' কোভ্যাক্সের আওতায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে এ বছরের শেষের দিকে কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন ডোজ করোনার টিকা দিবে।’
কোভ্যাক্সের আওতায় ইইউ কী অবদান রাখছে তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত ইউএনবিকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেছেন, এ বছরের শেষের দিকে যে দেশগুলোর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের সাথে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ২০০ মিলিয়ন ডোজ ভাগ করে নেয়ার মাধ্যমেই টিম ইউরোপ (ইইউ, এর প্রতিষ্ঠান এবং ২৭ টি সদস্য দেশ) লক্ষ্য অতিক্রম করার পথে রয়েছে।
তিরিঙ্ক বলেন, কোভ্যাক্স এখন পর্যন্ত ১৩৬ টি দেশে ১২২ মিলিয়ন ডোজ টিকা বিতরণ করেছে।
সেই সাথে, টিম ইউরোপ আফ্রিকায় টিকা, ওষুধ এবং স্বাস্থ্য প্রযুক্তি উৎপাদনে একটি পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক কোটি ডোজ টিকা দেবে ইইউ
গত ৯ জুলাই টিম ইউরোপ ডাকারের পাস্তুর ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ভ্যাকসিন উৎপাদনে বড় আকারের বিনিয়োগে সহায়তা করতে সম্মত হয়।
এই নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট টিকা আমদানির ওপর আফ্রিকার ৯৯ শতাংশ নির্ভরতা হ্রাস করবে এবং এই মহাদেশে ভবিষ্যতে মহামারি সহনশীলতাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেন তিরিঙ্ক।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ছয় হাজার ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে, যদিও আরও অনেক বেশি প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, তারা আরও ভ্যাকসিন ডোজের জন্য চাপ দিতে থাকবে। যদিও বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের হাতে নেই। এটি মানবিক সহায়তা বিভাগের হাতে।
আরও পড়ুন: নতুন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ‘রোহিঙ্গা ইস্যু’ এজেন্ডায় থাকবে: ইইউ
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের আরও সক্রিয় ভূমিকা আশা করে ইইউ
৩ বছর আগে
বিজিএমইএ সভাপতির সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনা
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপী ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্টদূত রেন্সজে তেরিংক মঙ্গলবার বিজিএমইএ অফিসে সদ্য নির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতকালে তারা বিভিন্ন বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়াবলী বিশেষ করে, পোশাক শিল্পে স্থিতিশীলতা, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রেক্ষিতে ইইউ-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব আরও জোরদারকরন নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ইউরোপিয়ান বাজার বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৬ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন হবে ইইউ বাজারে জিএসপি প্লাস এর আওতায় পণ্য রপ্তানির সুবিধা পাওয়া।
তিনি এ বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
বিজিএমইএ সভাপতি কোভিডকালীন সময়ে বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকদের জন্য ইইউ যে তহবিল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে তার অগ্রগতিও জানতে চান। তিনি দক্ষতা ও শিল্পের উদ্ভাবনী সক্ষমতা বাড়াতে বিজিএমইএ’র নতুন উদ্যোগ, বিজিএমইএ ইনোভেশন সেন্টার ও এলডিসি উত্তরণ বিষয়ে গবেষণার জন্য ইইউ’কে সহযোগিতার অনুরোধ জানান।
ইইউ’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে অব্যাহতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করে আসার জন্যও বিজিএমইএ সভাপতি ইইউ রাষ্টদূতকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এ সময় বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের ডেপুটি হেড অব মিশন জেরেমি ওপ্রিটেসকো উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে