রাজনৈতিক দল
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে সরকার
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে সকল রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রেস উইং থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা এবং আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা, তাদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া, গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারী ও তার সহযোগীদের পুলিশ ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছে। তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে।
প্রেস উইং জানায়, প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য শুক্রবার রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
দেশের ভেতরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়েছে, পুলিশ ইতোমধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে ইতোমধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
প্রেস উইং বলেছে, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
‘হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগত ভাবে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তার দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন।
‘ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন তারা অনতিবিলম্বে তার এবং ভারতে পলাতক তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের এ সকল ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
‘ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, শরিফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে এবং তারা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশের কাছে তাদের প্রত্যর্পণ করে।’
১১ দিন আগে
গণঅভ্যুত্থান নস্যাতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অবহিত করে রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান নস্যাৎ করার সকল প্রচেষ্টা রুখে দিতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপির নেতারা।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনটি না হতে দেওয়া। এই আক্রমণটি খুবই সিম্বলিক (প্রতীকী)। এর মাধ্যমে তারা (ষড়যন্ত্রকারীরা) তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে চায়, নির্বাচনের সব আয়োজন ভেস্তে দিতে চায়। এগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষ্যে, ‘এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। তারা প্রশিক্ষিত শুটার নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
বৈঠকে ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে ওসমান হাদির ওপর ন্যক্কারজনক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বদলীয় প্রতিবাদ সভার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও এনসিপি নেতারা। এ ব্যাপারে দলগুলো সুদৃঢ় অবস্থান নেবে বলে জানান তারা। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে কঠোরভাবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনার ওপর জোর দেন তারা।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতেই পরস্পরকে দোষারোপ থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলতে হবে। কোনো ধরনের অপশক্তিকে আমরা বরদাস্ত করব না।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে যতই রাজনৈতিক বক্তব্যের বিরোধিতা থাকুক না কেন, জাতির স্বার্থে এবং জুলাইয়ের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে। সেই সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন তিনি।
১২ দিন আগে
বিকেলে আরও ৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
আজ দেশের আরও সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আজ বিকেল ৫টায় সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
দলগুলো ও সংগঠনটি হচ্ছে— এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক
এর আগে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে রোববার (৩১ আগস্ট) তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা। দলগুলো ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
১১৪ দিন আগে
নির্বাচনের আগে ব্যস্ত সড়কে রাজনৈতিক দলগুলোকে সমাবেশ না করার আহ্বান ডিএমপির
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে জনদুর্ভোগ এড়াতে ব্যস্ত সড়কগুলোতে সমাবেশ না করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী।
শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ৩২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সড়ক অবরোধের ফলে প্রায়শই গর্ভবতী নারী, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের ব্যাপক দুর্ভোগ হয়।
পড়ুন: ডিএমপিকে পেশাদার ও মানসম্মত সেবা দিতে হবে: আইজিপি
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমাবেশের জন্য ঢাকায় ৯১টি স্থান প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে মতিঝিল বিভাগে ১৫টি, তেজগাঁও বিভাগে ১২টি, লালবাগে ১৭টি, ওয়ারীতে ১৪টি, গুলশানে ৮টি, মিরপুরে ১১টি, উত্তরায় ১০টি এবং রমনা বিভাগে চারটি স্থান রয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনের জন্য ডিএমপির প্রস্তুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
বৈঠকে রাজনৈতিক নেতারা যানজট, মাদকের অপব্যবহার এবং কিশোর গ্যাংয়ের উত্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ নগর সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তারা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
তারা নির্বাচনের আগে যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা শহরে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করতে ডিএমপিকে তাদের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় ডিএমপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
১২৪ দিন আগে
আরও ১২ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার অংশ হিসেবে আরও ১২টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ জানান, শনিবার (২৬ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন—জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, জাতীয় পার্টি (জাফর) ও ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, নিজাম-ই-ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মজিদ আতহারি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাসদের ড. মোস্তাক হোসেন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির রফিকুল ইসলাম বাবুল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর মাসুদ রানা এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি।
পড়ুন: নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়: ফখরুল
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা হেফাজতে ইসলামের কিছু নেতার সঙ্গেও আলোচনায় বসার কথা রয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব ফয়েজ।
দেশের রাজনৈতিক বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ চালিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস এ নতুন সংলাপ শুরু করেন গত মঙ্গলবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে।
এরপরের দিন (বুধবার) তিনি আরও ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই দলে ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, খেলাফত মজলিস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও সিপিবির নেতারা।
১৫২ দিন আগে
১৩ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা
বিএনপি জামায়াতসহ চারটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে বৈঠকের পর আজ ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৩টি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আরেকটি বৈঠকে বসেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংস্কর আন্দোলন থেকে সৈয়দ হাসিবুদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলন থেকে জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টি চেয়য়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, এলডিপির রেদওয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের ড. আহমাদ আব্দুল কাদের, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাইফুল হক, জেএসডির তানিয়া রব, ১২ দলীয় জোটের শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাসদের বজলুর রশিদ ফিরোজ, সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণফোরামের ড. মিজানুর রহমান বৈঠকে উপস্থিত যোগ দিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ; জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।
১৫৫ দিন আগে
চার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চারটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) আজ রাত ৯টায় বৈঠক শুরু হয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বৈঠকের যোগ দেওয়া দলগুলো হলো- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান এ বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন।
পড়ুন: মাইলস্টোনে হতাহতের তথ্য গোপনের দাবি সঠিক নয়: প্রেস উইং
১৫৬ দিন আগে
মতভিন্ন বিষয়গুলোতে স্বল্প সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে দলগুলোর প্রতি আলী রীয়াজের আহ্বান
যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে সেগুলো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তাদের দায়দায়িত্ব অনুভব করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের চতুর্দশ দিনের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আরও পড়ুন: কী পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন হবে সে ব্যাপারে ঐকমত্য হওয়া যাচ্ছে না: আলী রীয়াজ
আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় কিছু বিষয়ে একমত হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায়ও কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। এখনো যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে তা নিয়ে স্বল্পতর সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কমিশন কোনো আলাদা সত্ত্বা নয়, এটি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচেষ্টার অংশীদার। তাই, আমরা যদি ব্যর্থ হই, এই ব্যর্থতা কমিশনের একার নয়, আমাদের সকলের। কাজেই ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় আমাদের সফল হতে হবে। এই সাফল্যের মাপকাঠি হচ্ছে একটা কাঠামোগত সংস্কারে আমরা কতটুকু একমত হতে পারছি তার ওপর।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকার পিছুহটতে বাধ্য হয়: আলী রীয়াজ
আজ নারী প্রতিনিধিত্ব, সংবিধান সংশোধন এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা—এ দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
১৬৩ দিন আগে
রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হলে আগামী ৫ আগস্টেই জুলাই ঘোষণাপত্র: আসিফ মাহমুদ
রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হলে সরকার আগামী ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীভ ভুঁইয়া।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কাজ চলছে। ইতোপূর্বে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে প্রস্তাবনা নেওয়া হয়েছিল। তারা তাদের মত করে ঘোষণাপত্রের কপি সরকারকে দিয়েছে। এখন আবারও কার্যক্রম চলমান আছে। সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট যদি ঘোষণাপত্র দেওয়া যায়। তবে সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে আসা প্রয়োজন। আশা করি রাজনৈতিক ঐক্যমত শেষে ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা সম্ভব হবে।
পড়ুন: শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয় ১১ জুলাই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
এর আগে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. ইসমাইল, সাবেক সভাপতি কাজী নাজমুস সাদাত। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ।
১৬৭ দিন আগে
রাজনৈতিক দলগুলো গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রতারণা করেছে: নাহিদ
গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো গণঅভ্যুত্থান ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্টদের, গণহত্যাকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমরা বলছিলাম, ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি থাকতে পারে না, এই প্রজন্ম ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সেই চুপ্পুকে সরাতে ভয় পেয়েছে। তারা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’
সোমবার (৭ জুলাই) রাত ১১টার দিকে পাবনা শহিদ চত্বরে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মুজিববাদী ৭২’র সংবিধান বদলে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরি করতে হবে: নাহিদ
নাহিদ বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, মিডিয়া, পুলিশ, আমলা, সেনাবাহিনী ও সংবিধানের সংস্কার লাগবে। সংস্কারের মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশ গড়ব। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের দেওয়ালে আমাদের ছাত্ররা যে গ্রাফিতি এঁকেছিল, সেই গ্রাফিতির মাধ্যমেই নতুন সংবিধান লেখা হয়ে গেছে। সেসব গ্রাফিতির মাধ্যমেই ৫ আগস্ট-পরবর্তী গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার কথা লেখা হয়ে গিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামীর সংবিধান রচনা করব। সেই সংবিধানের মাধ্যমেই আগামীর বাংলাদেশ পরিচালিত হবে। ৩ আগস্ট নতুন সংবিধান, বিচার সংস্কারের দাবিতে গণমানুষের মুক্তির ইতিহাস জাতির সামনে প্রস্তাব করব। সেইদিন সবাইকে আসার আহ্বান রইল।’
পথসভায় দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনীম জারা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, পাবনার আহ্বায়ক বরকতউল্লাহ ফাহাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
১৭০ দিন আগে