রাজনৈতিক দল
রাজনৈতিক দল নিয়ে মন্তব্য প্রত্যাহারে উপদেষ্টা নাহিদকে ফখরুলের আহ্বান
রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে খাটো করার চেষ্টা করছে বলে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কেন বা কোন প্রেক্ষাপটে তিনি এ কথা বলেছেন অথবা তিনি এর অর্থ বুঝতে পেরেছেন কিনা। এটি একটি বিপজ্জনক বিবৃতি। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমি মনে করি, তার মন্তব্য প্রত্যাহার করা উচিত।’
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, 'দয়া করে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না'
তিনি বলেন, বিএনপিসহ ছাত্র, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো সকলেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এমন একটি পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে যেখানে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং জনগণের সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
এর আগে বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের চেয়ে নির্বাচনকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
সচিবালয়ে ব্রিটিশ গ্লোবাল পার্টনার্স গভর্নেন্সের (জিপিজি) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: তারেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে লন্ডন যাচ্ছেন ফখরুল
১ সপ্তাহ আগে
রাজনৈতিক দল নিয়ে মন্তব্য, উপদেষ্টা নাহিদের সমালোচনায় বিএনপি
রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করায় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের কঠোর সমালোচনা করেছে বিএনপি।
এ ধরনের অযৌক্তিক বক্তব্য জাতীয় ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন দলটির নেতারা।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'আমি মনে করি, তার (উপদেষ্টা) এ ধরনের মন্তব্য করা উচিত হয়নি। তিনি সঠিক কথা বলেননি। এটি জাতীয় ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে।’
তিনি বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও আবেগ বিবেচনায় স্বল্প সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘তাদের (সরকার) দিক থেকে যদি কোনো স্ববিরোধী বা প্রশ্নবিদ্ধ বক্তব্য আসে, তাহলে তা জাতীয় ঐক্যের ক্ষতি করবে।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো যে সমালোচনা করছে তাতে সরকার লাভবান হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সমালোচনা অপরিহার্য উপাদান। আপনি এটি অস্বীকার করতে পারবেন না। উপদেষ্টার এই মন্তব্য ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারে।’
রিজভী আরও বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মধ্যেও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, এটা তাৎপর্যপূর্ণ। আপনাদের (সরকার) বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কাজ শেষ করে সঠিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কি গণতন্ত্রের অন্যান্য উপাদান থেকে ভিন্ন, যে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির বিরুদ্ধে আপনি এত জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন? বস্তুত গণতান্ত্রিক চর্চা ও অগ্রগতির জন্য নির্বাচন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।’
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি সরকারের উপেক্ষা করা উচিত হবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠনে দেশের জনগণ তাদের ম্যান্ডেট দেবে।
এর আগে বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের চেয়ে নির্বাচনকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
সচিবালয়ে ব্রিটিশ গ্লোবাল পার্টনার্স গভর্নেন্সের (জিপিজি) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে উপদেষ্টা আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র চায় না ভারত: রিজভী
১ সপ্তাহ আগে
আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। তারা রাজনীতি বা নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ফেনীর ফুলগাজীর শ্রীপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ নাকি আমরা দিয়েছি। এ কথাটি সঠিক নয়। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।’
‘আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নাই। আমরা কখনও কোনো দলকে নির্বাচনে আনতে মানা (নিষেধ) করিনি। কিন্তু হাসিনাসহ যারা মানুষ খুন করেছে, বিদেশে টাকা পাচার ও দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। আর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে- কাকে রাজনীতি করতে দেবে, আর কাকে দেবে না; এখানে আমরা কেউ নই, এ দায়িত্ব আমাদের নয়।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে না। ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, সেটি সাফ করতে সময় লাগে। তারা অনেক কাজ করবে। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে তো। এখন কি আর আওয়ামী লীগের লোকজন অত্যাচার করতে পারে? উনাদের একটু সময় দিতে হবে। তারা কাজ শেষ করলে নিশ্চয়ই নির্বাচন হবে এবং জনগণের সরকার আসবে। আমরা বলেছি, এটি একটু তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। তাকে যে কষ্টে রাখা হয়েছিল তা চিন্তাও করতে পারবেন না। তারপরও কখনও তিনি মাথা নত করেনি; তিনি মাথা উঁচু করে এখনও দাঁড়িয়ে আছেন। বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি।’
বন্যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘বন্যায় এখানকার মানুষ অনেক কষ্ট করেছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করেছেন। শত নির্যাতনের পরও আমরা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আর দেশের ওপর যারা এত অত্যাচার করেছে, তারা পালিয়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই: ফখরুল
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
১ মাস আগে
উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই: ফখরুল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে কতজন থাকবেন, উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হবে কিনা- এসব বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন দেখেন না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার ভাষ্য, ‘উপদেষ্টা কতজন হবেন তার যেহেতু সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই, সেক্ষেত্রে এটা তারা প্রয়োজন অনুযায়ী করবেন।’
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায়, প্রয়োজন অনুযায়ী ৪০ থেকে ৫২ জনকে নিয়েও (অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক) সরকার হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত তারা ২১ জনকে (উপদেষ্টা) করেছেন। এত বড় একটা দেশ পরিচালনার জন্য এটি হতেই পারে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় দরকার নেই।’
‘তবে তারা প্রয়োজন মনে করলে সমন্বয় করতে পারেন। আর তারা কাকে উপদেষ্টা বানাবেন বা বানাবেন না- এটা সম্পূর্ণরুপে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনুসের বিষয়। তবে নির্দিষ্ট বিধান না থাকলেও উপদেষ্টা হিসেবে যাদের নেবেন, তারা যাতে বিতর্কিত না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে আমি অনুরোধ করব।’
আরও পড়ুন: বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
আওয়ামী লীগ নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যাথা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের চিন্তা হচ্ছে আগামী নির্বাচন নিয়ে। কারণ বর্তমানে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার আছে, তারা এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনো রোডম্যাপ দেয়নি।’
‘তারা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে সংস্কার করার জন্য একটি কমিটি করেছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আমাদের চিঠিও দিয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। এ নিয়ে আমরা খুব শিগগিরই আমাদের মতামত দেব।’
বাংলাদেশে বর্তমান প্রক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটি হলো একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তার আগে নির্বাচনি ব্যবস্থাপকে নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত করা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা- এ বিষয়গুলো আমরা বলেছি। দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং সব কিছুর জন্য একটি নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত পার্লামেন্ট অত্যন্ত জরুরি। সে কথাটিই আমরা বারবার করে বলছি।’
এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বা আওয়ামীলীগ যে কাজটা ভালভাবে করেছে, সেটা হলো জাতিকে বিভক্ত করা। এই বিভক্তি দূর করে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। একটি গণতান্ত্রিক দেশে মতামত ভিন্ন থাকতেই পারে, কিন্তু কতগুলো মৌলিক বিষয়ে ঐক্য থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বোভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার। সেই ঐক্য রাখতে আমরা চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি। এ আন্দোলনকে বেগবান করতে আমরা ৬৩টি দল আন্দোলন করেছি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৭ বছরের একটা জঞ্জাল সরানো ১৭ দিনে সম্ভব না, ১৭ মাসেও না। এর জন্য আপনাদের যারা আছেন তাদের দায়িত্ব কম। যখন একটি গণতান্ত্রিক সরকার আসবে তখন সেই পার্লামেন্ট এই কাজগুলো করবে। এ (বর্তমান) সরকারের মূল দায়িত্ব হবে, নির্বাচনের জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। সকলেই যেন ভোটে অংশগ্রহণ করে ভোট দিতে পারে। পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনার জায়গাগুলোতে নিরপেক্ষ লোকজন বসানো, বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ করা ও অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিরপেক্ষ করা।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন, সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুরসহ জেলা বিএনপি ও এর সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
তার আগে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: নেতিবাচক বক্তব্যে ফ্যাসিস্টরা আবারও মাথা তুলছে: ফখরুল
১ মাস আগে
নূর হোসেনের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর শ্রদ্ধা
নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন শহীদ নূরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
দলগুলোর মধ্যে ছিল-বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
রবিবার দলের নেতাকর্মীরা গুলিস্তানের নূর হোসেন চত্বরে (জিরো পয়েন্ট) এ জড়ো হয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
রাজনৈতিক কর্মী নূর হোসেন ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচার এইচএম এরশাদবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় নূর হোসেনের যাবজ্জীবন
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অ্যাক্টিভিস্ট দীপক সেন বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চাই। আগের সরকারের অধীনে কোনো গণতন্ত্র ছিল না, আর আজও কোনো গণতন্ত্র নেই। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম যে নতুন সরকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মনোযোগ দেবে, কিন্তু তা হয়নি।’
মাহিন শাহরিয়ার নামে আরেকজন বলেন, ‘আমরা এই দিন প্রতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখব।’
পূর্ববর্তী সরকারের পতন এবং তাদের ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে মাহিন বলেন, ‘স্বাধীনতার জন্য জনগণের গণঅভ্যুত্থানে যে রক্ত ঝরেছে, তা এখনও তাদের হাতে লেগে আছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য কোনো স্থান নেই। যদি তারা আবার রাজনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টা করে, তবে জনগণ নিশ্চয়ই তাদের বাধা দেবে। আমরাও তাদের প্রতিরোধে কর্মসূচি নেব। যদি কেউ স্বৈরাচারী শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে, তবে আমরা আগের মতোই প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’
এদিন উপলক্ষে আজ (রবিবার) দুপুর ১২টায় জিরো পয়েন্টে জনসভার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এদিকে নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ শনিবার তাদের ফেসবুক পেইজে এক পোস্ট দিয়ে দলের সদস্যদের রবিবার দুপুর ৩টায় সেখানে এসে নূর হোসেনকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আহ্বান জানায়। এরপর থেকে গুলিস্তান এলাকায় উত্তেজনা বাড়ে
এবং আশেপাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাত খুনের আসামি নূর হোসেনকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড
১ মাস আগে
জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিল পুনরুজ্জীবিত
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন মঞ্জুর করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এই আদেশের ফলে সর্বোচ্চ আদালতে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটির ফের শুনানি হবে।
মঙ্গলবার এই আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ।
আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্রণীত ‘কালা কানুন’ দিয়েই তাদের বিচার হোক: জামায়াত আমির
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির সময় আদালতে দলটির পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আপিল বিভাগ আপিলটি খারিজ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এ মামলার সঙ্গে সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত থাকায় হাইকোর্ট মামলাটি সরাসরি আপিল বিভাগে পাঠিয়েছিলেন। সেই আপিল শুনানি ছাড়াই খারিজ সঠিক হয়নি মর্মে আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করতে আবেদন করা হয়েছিল। একই সঙ্গে একটি বিলম্ব মার্জনার আবেদন ছিল। আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর করায় জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে করা আপিলের ওপর ফের আপিল বিভাগে শুনানি হবে।
গত ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী।
তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত বছরের ১৯ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবার ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করে শুনানির জন্য আবেদন করা হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ২১ অক্টোবর শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। তবে ২২ অক্টোবর বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির কার্যতালিকায় আসে।
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পরে গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
১ মাস আগে
সংলাপে সব দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে: মাহফুজ আলম
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে সব রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তরিকভাবে সমর্থন দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘ সংলাপ শেষে শনিবার রাতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। তারা এটিকে তাদের নিজস্ব সরকার হিসেবে বিবেচনা করছে।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দুপুর আড়াইটায় এ সংলাপ শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। সংলাপে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যোগ দেয়।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরু আজ
মাহফুজ বলেন, সংলাপে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব চেয়েছে এবং বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ছয়টি সংস্কার কমিশন রয়েছে এবং নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ সংলাপ অব্যাহত থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ছয়টি সংস্কার কমিশন ডিসেম্বর মাসে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে, তখন সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো হবে।
‘সেই ঐকমত্যের ওপর সময়সীমা নির্ভর করছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতির কাজ একই সঙ্গে এগিয়ে যাবে।
সংলাপে নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, জনপ্রশাসন পুনর্বিন্যাস ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা এসব উদ্বেগ নিরসনে তার সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানান এবং তারা সবাই সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৮ কোটি টাকা প্রদান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
২ মাস আগে
রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নতুন ইসি চায় বিএনপি
প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণাসহ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন কবে হবে তার একটি রোডম্যাপ দিতে বলেছি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানসহ বেশকিছু বিষয়ে তাদের উদ্বেগ নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ চেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আরও বলেন, তারা ভারত থেকে শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
ছয়টি সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে নতুন পর্যায়ের সংলাপ শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রথমে সংলাপে বসে বিএনপি।
বিএনপির ছয় সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংলাপে সংস্কার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সহ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিএনপি প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান এবং সালাহউদ্দিন আহমদ।
ঘণ্টাখানেক বিএনপির সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা আমীর ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিতর্কিত কেউ যেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনে না যান। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের জাল ভোটে নির্বাচিত সব ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। ভুয়া, ব্যর্থ ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচনের অভিযোগে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের সঙ্গে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি।’
ফখরুল আরও বলেন, 'তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদের জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজন করা তার এক নম্বর অগ্রাধিকার।’
বিএনপির দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তারা মনে করে আমাদের দাবি জনগণের দাবি, আমাদের দাবিও তাদের।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের 'এক-দু'জন' সদস্যকে অপসারণ করার দাবিও জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে দু-একজন ব্যক্তি আছেন, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল চেতনা ও গণঅভ্যুত্থানকে বাধাগ্রস্ত করছেন। আমরা তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছি।
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে 'নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল' করার পেছনে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
ফখরুল বলেন, কিছু আমলা, পুলিশ কর্মকর্তা ও মন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের সাহায্য করছে কারা- এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ্য ও নিরপেক্ষ প্রার্থী নিয়োগ, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল এবং পদবঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বিএনপি।
হাইকোর্ট বিভাগে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি উল্লেখ করে দলের বিচারকদের অপসারণের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুটিও উত্থাপন করে এটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের খুঁজে বের করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগ বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের একটি সত্যানুসন্ধানী দল সাম্প্রতিক বিক্ষোভ থেকে উদ্ভূত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত কথিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করছে।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের দায়িত্ব হলো সত্য প্রতিষ্ঠা, দায়িত্ব চিহ্নিতকরণ, মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং অতীতে মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবিলা ও এর পুনরাবৃত্তি রোধে বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়ন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সবাই নয়, কিছু লোক পরিকল্পিতভাবে জনগণকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং বিএনপি এটিকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মনে করে সরকারের পদক্ষেপ কামনা করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ছয়টি সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা ও তাদের পরামর্শ নেওয়া।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দুই দফা সংলাপ হয়।
অন্তবর্তীকালীন সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে।
বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রিয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
২ মাস আগে
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উপদেষ্টাদের সংলাপ শুরু শনিবার
চলমান পরামর্শের অংশ হিসেবে শনিবার থেকে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বুধবার (২ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, 'এটি চলমান প্রক্রিয়া।’
এ সময় উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কত দিনের সংলাপ চলবে তা এখনো ঠিক হয়নি।
প্রেস সচিব আশা প্রকাশ করেন, প্রয়োজনীয় সদস্য নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে সংস্কার করা ছয়টি কমিশন গঠন করা হবে।
ছয়টি কমিশন প্রাথমিকভাবে ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করার কথা ছিল।
আগের সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ সংস্কারের কাজ শুরু করার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত বসতে চায়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সফর অত্যন্ত সফল ও ঐতিহাসিক: প্রেস সচিব
শফিউল আলম বলেন, ছয়টি কমিশন ১ অক্টোবর থেকে কাজ করার কথা থাকলেও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আরেক দফায় আলোচনা করে তাদের মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব কমিশনের ছয়জন প্রধান থাকায় কিছুটা হলেও কাজ শুরু হয়েছে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দুই দফা সংলাপ হয়।
সংস্কার কমিশনগুলো হলো- ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রশংসা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের
২ মাস আগে
আ. লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন আইন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল: আইন উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠেছে। এ বিষয়ে আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে প্রতিবাদ করা হয়েছে। এটার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি নেই। সত্যিকার অর্থে যদি কোনো রাজনৈতিক দল জঙ্গিবাদী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় জড়িত থাকে, তাহলে প্রচণ্ড সততার সঙ্গে তদন্ত করে এমন কিছু (নিষিদ্ধ) করা যেতে পারে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জেনারেল রুল হিসেবে আমাদের সংবিধানে সংগঠন করার স্বাধীনতা আছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদানকারী দল। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামে দলটির অবদান ছিল।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে তারা যা করেছে, সেটা তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে যায় না, সেটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্বরতম ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল।’
আরও পড়ুন: আদালতে যাওয়ার সময় কারো ওপর হামলা সমর্থনযোগ্য নয়: আইন উপদেষ্টা
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল: আইন উপদেষ্টা
৩ মাস আগে