রাজনৈতিক দল
রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে: মির্জা আব্বাস
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে 'কৃত্রিম বিভাজন' সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা একসঙ্গে ইফতারে বসেছি। আমরা সবাই মিলে এই মুহূর্তটা উপভোগ করছি। আমরা যদি এভাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজ করি তাহলে সমস্যা কোথায়?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ পুনর্গঠনে অন্যান্য দলের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে তাদের দল কোনো সমস্যা দেখছে না।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘কৃত্রিম সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমাদের বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে। বিভিন্ন দল একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলছে, অভিযোগ ছুঁড়ে দিচ্ছে—এটা ঠিক নয়। এভাবে চলতে থাকলে ৫ আগস্ট আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি— তা নষ্ট হয়ে যাবে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে মালিবাগের স্কাই সিটি হোটেলে গণঅধিকার পরিষদের ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস বলেন, বিগত বছরগুলোতে এ ধরনের সমাবেশ ঘিরে স্বাভাবিক আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তা এখন আর নেই।
আরও পড়ুন: মাগুরার শিশু ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ফখরুলের
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর, তার আগের বছর, এমনকি তার আগের বছরও আমরা উদ্বেগ ও আশঙ্কা নিয়ে ইফতারে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন সেই আশঙ্কা কেটে গেছে। এখন কোনো নিপীড়ন নেই এবং আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে এসেছি এবং শান্তিপূর্ণভাবে চলে যাব। ৫ আগস্ট আমাদের আন্দোলনের বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা এ অবস্থা অর্জন করেছি। সেই অর্জনের সুফল আমরা ভোগ করছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইফতার মাহফিলে তারা যেমন একসঙ্গে বসেছেন, তেমনি নির্বাচন থেকে শুরু করে সরকার গঠনসহ ভবিষ্যতের সব কর্মকাণ্ডে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চান।
তিনি একটি উন্নত দেশ গড়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন ঘৃণা, হিংসা এবং ঈর্ষা কখনই জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।
কোনো ষড়যন্ত্রের কারণে ৫ আগস্টের ত্যাগ ও সংগ্রাম যেন অর্থহীন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাইকে নিজ নিজ বিবেকের কাছে জবাবদিহি করার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এখন সুস্পষ্ট রোডম্যাপ থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার, আলাপ-প্রস্তাব অব্যাহত থাকবে। তবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এজন্য একটি রোডম্যাপ দরকার। আমরা ও দেশের জনগণ আশা করছি, সরকার শিগগিরই নির্বাচনের রোডম্যাপ উপস্থাপন করবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা তাদের উদ্বেগ ও দাবিগুলো উপস্থাপন করেছেন এবং তিনি তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু একটি বিষয়ে স্পষ্টতা চাই- প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ দেবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
৩৫ দিন আগে
৭ রাজনৈতিক দলের মতামত পেয়েছে ঐকমত্য কমিশন
পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর এখন পর্যন্ত কেবল ছয়টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ছক আকারে ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছিল। ৬ মার্চেল মধ্যে মতামত পাঠাতে তাদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল।
আজ পর্যন্ত ৩৭টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৭টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া ১৬টি রাজনৈতিক দল পূর্ণাঙ্গ মতামতের জন্য অতিরিক্ত কয়েকদিন সময় দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে কমিশন পুনরায় যোগাযোগ করছে।
৩৫ দিন আগে
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘসূত্রতা চাই না: আলী রীয়াজ
যত দ্রুত সম্ভব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা। সেজন্য সব রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নেতৃত্বাধীন ব্যক্তিদের পাঠানোর অনুরোধ করেছিলাম, যাতে করে তারা পরস্পরের সঙ্গে কেবল পরিচিতই হবেন না, পাশপাাশি তাদের বক্তব্যগুলোও যেন শোনা যায়।’
তিনি বলেন, ‘এখানে আজ কোনো রকমের সংলাপের বিষয় ছিল না। আজকের লক্ষ্য ছিল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রক্রিয়া কী হবে— সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করা।’
‘মূলত এক অর্থে এটিকে আমরা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হিসেবে বিবেচনা করছি। এখানে দেশের ২৭টি রাজনৈতিক দল (বৈঠকে) উপস্থিত ছিল। সবগুলো দল ও জোটের পক্ষ থেকে শতাধিক ব্যক্তি অংশ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩২ জন কথা বলেছেন।’
সংবিধান সংস্কার কমিশনের এই প্রধান বলেন, ‘বৈঠকে যে বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, তা হচ্ছে— রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে যে জাতীয় ঐক্য রক্ষার আর কোনো বিকল্প নেই। সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তারা তাদের দৃঢ়চিত্ততা প্রকাশ করেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রক্রিয়াকে সহযোগিতার পাশাপাশি এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণও করবেন।’
আলী রিয়াজ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বলেছেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দল, নাগরিক ও সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই সংস্কার প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া— রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে দেওয়া এই বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে তা-ই প্রমাণ করে।’
‘সেই লক্ষ্য থেকেই আজকের এই বৈঠক। আমরা আশা করছি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজ এখন শুরু হবে। আমরা আলাদাভাবে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলব; জোটগতভাবে কথা বলব; একপর্যায়ে আবার সবাইকে একত্রিত করে ফিরে আসব।’
আরও পড়ুন: সরকারের পদ ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত নাহিদের
তবে এই প্রক্রিয়াটিতে দীর্ঘসূত্রতা করতে চান না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘স্বল্প কিছুদিনের মধ্যে করতে পারব বলে আশা করছি। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, তাদের কাছে যেন সংস্কার প্রতিবেদনগুলোর হার্ডকপি পৌঁছে দেওয়া হয়; আমরা দ্রুত সেই পদক্ষেপ নেব।’
ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কারও মধ্যে কোনো দ্বিধা-সংকোচ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আশা করি, এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পারব।’
সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে এই সংলাপ শেষ করতে কতদিন লাগতে পারে— জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই কমিশনের মেয়াদই হচ্ছে ছয় মাস। সেক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, যতদ্রুত সম্ভব আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে চাই, কিন্তু ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে তো সময় দিতে হবে! আমরা খুবই দ্রুততার সঙ্গেই এই প্রক্রিয়া শেষ করতে চাই।’
‘এই সংস্কার কর্মসূচি অগ্রসর হওয়া দরকার, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা দরকার, যাতে আমরা নির্বাচনে দিকে অগ্রসর হতে পারি।’
‘সেটি ছয় মাসের মধ্যে হবে কি না’ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এই সময়ের চেয়েও কম সময়ের মধ্যে করার। রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহ আছে। তবে এটা আকস্মিক হবে না। আমরা প্রতিবেদনগুলো পেয়েছি, রাজনৈতিক দলগুলো সেটা পর্যালোচনা করবে। তাদের যথেষ্ট পরিমাণ সময় দিতে হবে। কাজেই কিছুটা সময় লাগবে। লক্ষ্য থাকবে, যত দ্রুত সংলাপ ও আলোচনা শুরু করা যায়, সেদিকে।’
৬১ দিন আগে
সরকারের পদ ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত নাহিদের
সরকারের পদ থেকে সরে গিয়ে নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোহাম্মদ নাহিদ ইসলাম। তিনি মনে করেন, সরকারে চাকরি করার চেয়ে সরাসরি জনগণের সঙ্গে কাজ করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, ‘সরকারের (থাকার) চেয়ে জনগণের সঙ্গে কাজ করা, মাঠে যাওয়া যদি বেশি জরুরি বলে মনে হয়, তাহলে আমি সরকার ছেড়ে দেব এবং হয়তো সেই দলের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হব।’
সেটি এই মাসেই হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু দলের ঘোষণা এসেছে যে দলটি এ মাসেই হবে… কয়েকদিনের মধ্যেই সবাই এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাবে।’
‘শিক্ষার্থীরা তো এখন রাজনৈতিক দলের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে। তো আমার মনে হয় না যে তাদের আর সরকারে আসার কোনো প্রয়োজন আছে এই মুহূর্তে, বরং জনগণের কাছেই এখন তাদের বেশি প্রয়োজন-অপ্রয়োজন।’
সরকার থেকে তিনি সরে দাঁড়ালে তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন—এর ব্যাখ্যায় সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন কেউ কিংবা বিদ্যমান উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে কে দায়িত্বে আসবে—কেবিনেটে (মন্ত্রিপরিষদে) এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত: নাহিদ
রাজনৈতিক দল গঠন ও ভোটের রাজনীতি যে দুটি ভিন্ন বিষয়, তা জেনেই মাঠে নামা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে গোছানোর ওপরে, সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর এটা নির্ভর করবে জনগণের সমর্থন তারা কতটুকু ভোটে রূপান্তর করতে পারছে। জনগণের তো তরুণদের প্রতি একটা সমর্থন আছেই, সহানুভূতিও আছে যেহেতু তারা গণঅভ্যুত্থান করেছে।’
৫ আগস্টের পর থেকে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারছে বলে এ সময় জানান নাহিদ। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের (অন্তর্বর্তী) দূরত্বও কমেছে বলেও মনে করেন তিনি।
‘এই সরকারকে (অনেকে) অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক ইত্যাদি বলছিল; আওয়ামী লীগের নেতারাও এভাবেই বলছিল। তবে পরবর্তীতে আমরা দেখেছি যে বিএনপি তার জায়গা পরিষ্কার করেছে, তাদের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছে যে আওয়ামী লীগের রাজনীতি তারা চায় না; বিচারিক প্রক্রিয়ায় তারা এটার (আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের) ব্যবস্থা তারা চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের তো একটা ভোটব্যাংক আছে, হিস্ট্রিকালি (ঐতিহাসিকভাবে) আমরা দেখি। তবে সেটা কতটুকু বাড়বে বা কমবে, সেটা আমরা এখনই বলতে পারব না। কারণ এবারের ভোটের ইকুয়েশনটাই (সমীকরণ) একটু ডিফরেন্ট (ভিন্ন) হবে বলে মনে হয় আমার।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা রাজনীতির মাঠে ফেরা না ফেরার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসছে কি না—প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা এটা করতে চাই, কেবল নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আমরা কিছু করে দিতে চাই না।…. বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে, সকল তথ্য-প্রমাণ এলে এবং আদালতের সুপারিশক্রমে আওয়ামী লীগ বিষয়ে আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।’
সেটি কবে নাগাদ হবে?—জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বছরের মধ্যেই। অবশ্য নির্বাচনের আগে তো আমাদের একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবেই। সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে সেটা সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী মাসে প্রতিষ্ঠিত হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর: নাহিদ ইসলাম
ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ি ভাঙচুর নিয়েও তিনি এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘সরকার এই কার্যক্রমকে সমর্থন করে, এমন নয়। তবে ওই সময় যদি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে থামিয়ে দেওয়া হতো, তাহলে সেটি আরও বেশি হটকারিতায় পরিণত হতে পারত।’
৬১ দিন আগে
ঢাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক
বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মার্কিন দূতাবাস থেকে এমন তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নিয়মিত কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা ও অবস্থান সম্পর্কে আরও বোঝাপড়া ও ধারণা পেতে এসব বৈঠক করা হয়েছে।
এর আগে, গেল ২০ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্যারিস চুক্তি প্রত্যাহার, জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাল যুক্তরাষ্ট্র
রাষ্ট্রদূত তখন বলেন, ‘আমরা জাতি হিসেবে আপনার সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রম, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের ওপর রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের প্রচেষ্টা এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি আশা করছেন রাজনৈতিক দলগুলো ফেব্রুয়ারির শুরুতে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাবে।
৭৮ দিন আগে
সংস্কার নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে: রিজওয়ানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে পারে অন্তবর্তীকালীন সরকার।’বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।এরআগে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় চারটি সংস্কার কমিশন। কমিশনগুলো হলো—সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন। এ বিষয়েই সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: তিন সংকট মোকাবিলায় এডিবির সহযোগিতা চান পরিবেশ উপদেষ্টাএ সময়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।‘আমি মনে করি, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হতে পারে,’ বলেন রিজওয়ানা।আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘যদি প্রাথমিক কাজগুলো দ্রুত সেরে ফেলা যায়, তাহলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারবো।’সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কমিশনগুলোতে সমন্বয়সহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তবে জানুয়ারির মধ্যেই এই চার কমিশনসহ মোট ছয়টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জানিয়ে দেওয়া হবে।বাকি দুটি কমিশন হলো বিচার বিভাগ সংস্কার ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
আরও পড়ুন: পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য: পরিবেশ উপদেষ্টাসরকারের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রস্তাবগুলো নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। আলোচনার মধ্য দিয়ে যেসব প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। প্রস্তাবগুলো কবে কোন প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন করা হবে, তার একটি রূপরেখা আসতে পারে দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনার মাধ্যমে।
৯২ দিন আগে
রাজনৈতিক দল নিয়ে মন্তব্য প্রত্যাহারে উপদেষ্টা নাহিদকে ফখরুলের আহ্বান
রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে খাটো করার চেষ্টা করছে বলে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কেন বা কোন প্রেক্ষাপটে তিনি এ কথা বলেছেন অথবা তিনি এর অর্থ বুঝতে পেরেছেন কিনা। এটি একটি বিপজ্জনক বিবৃতি। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমি মনে করি, তার মন্তব্য প্রত্যাহার করা উচিত।’
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, 'দয়া করে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না'
তিনি বলেন, বিএনপিসহ ছাত্র, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো সকলেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এমন একটি পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে যেখানে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং জনগণের সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
এর আগে বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের চেয়ে নির্বাচনকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
সচিবালয়ে ব্রিটিশ গ্লোবাল পার্টনার্স গভর্নেন্সের (জিপিজি) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: তারেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে লন্ডন যাচ্ছেন ফখরুল
১২৫ দিন আগে
রাজনৈতিক দল নিয়ে মন্তব্য, উপদেষ্টা নাহিদের সমালোচনায় বিএনপি
রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করায় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের কঠোর সমালোচনা করেছে বিএনপি।
এ ধরনের অযৌক্তিক বক্তব্য জাতীয় ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন দলটির নেতারা।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'আমি মনে করি, তার (উপদেষ্টা) এ ধরনের মন্তব্য করা উচিত হয়নি। তিনি সঠিক কথা বলেননি। এটি জাতীয় ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে।’
তিনি বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও আবেগ বিবেচনায় স্বল্প সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘তাদের (সরকার) দিক থেকে যদি কোনো স্ববিরোধী বা প্রশ্নবিদ্ধ বক্তব্য আসে, তাহলে তা জাতীয় ঐক্যের ক্ষতি করবে।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো যে সমালোচনা করছে তাতে সরকার লাভবান হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সমালোচনা অপরিহার্য উপাদান। আপনি এটি অস্বীকার করতে পারবেন না। উপদেষ্টার এই মন্তব্য ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারে।’
রিজভী আরও বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মধ্যেও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, এটা তাৎপর্যপূর্ণ। আপনাদের (সরকার) বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কাজ শেষ করে সঠিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কি গণতন্ত্রের অন্যান্য উপাদান থেকে ভিন্ন, যে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির বিরুদ্ধে আপনি এত জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন? বস্তুত গণতান্ত্রিক চর্চা ও অগ্রগতির জন্য নির্বাচন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।’
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি সরকারের উপেক্ষা করা উচিত হবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠনে দেশের জনগণ তাদের ম্যান্ডেট দেবে।
এর আগে বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের চেয়ে নির্বাচনকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
সচিবালয়ে ব্রিটিশ গ্লোবাল পার্টনার্স গভর্নেন্সের (জিপিজি) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে উপদেষ্টা আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র চায় না ভারত: রিজভী
১২৬ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। তারা রাজনীতি বা নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ফেনীর ফুলগাজীর শ্রীপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ নাকি আমরা দিয়েছি। এ কথাটি সঠিক নয়। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।’
‘আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নাই। আমরা কখনও কোনো দলকে নির্বাচনে আনতে মানা (নিষেধ) করিনি। কিন্তু হাসিনাসহ যারা মানুষ খুন করেছে, বিদেশে টাকা পাচার ও দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। আর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে- কাকে রাজনীতি করতে দেবে, আর কাকে দেবে না; এখানে আমরা কেউ নই, এ দায়িত্ব আমাদের নয়।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে না। ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, সেটি সাফ করতে সময় লাগে। তারা অনেক কাজ করবে। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে তো। এখন কি আর আওয়ামী লীগের লোকজন অত্যাচার করতে পারে? উনাদের একটু সময় দিতে হবে। তারা কাজ শেষ করলে নিশ্চয়ই নির্বাচন হবে এবং জনগণের সরকার আসবে। আমরা বলেছি, এটি একটু তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। তাকে যে কষ্টে রাখা হয়েছিল তা চিন্তাও করতে পারবেন না। তারপরও কখনও তিনি মাথা নত করেনি; তিনি মাথা উঁচু করে এখনও দাঁড়িয়ে আছেন। বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি।’
বন্যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘বন্যায় এখানকার মানুষ অনেক কষ্ট করেছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করেছেন। শত নির্যাতনের পরও আমরা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আর দেশের ওপর যারা এত অত্যাচার করেছে, তারা পালিয়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই: ফখরুল
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
১৪৮ দিন আগে
উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই: ফখরুল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে কতজন থাকবেন, উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হবে কিনা- এসব বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন দেখেন না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার ভাষ্য, ‘উপদেষ্টা কতজন হবেন তার যেহেতু সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই, সেক্ষেত্রে এটা তারা প্রয়োজন অনুযায়ী করবেন।’
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায়, প্রয়োজন অনুযায়ী ৪০ থেকে ৫২ জনকে নিয়েও (অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক) সরকার হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত তারা ২১ জনকে (উপদেষ্টা) করেছেন। এত বড় একটা দেশ পরিচালনার জন্য এটি হতেই পারে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় দরকার নেই।’
‘তবে তারা প্রয়োজন মনে করলে সমন্বয় করতে পারেন। আর তারা কাকে উপদেষ্টা বানাবেন বা বানাবেন না- এটা সম্পূর্ণরুপে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনুসের বিষয়। তবে নির্দিষ্ট বিধান না থাকলেও উপদেষ্টা হিসেবে যাদের নেবেন, তারা যাতে বিতর্কিত না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে আমি অনুরোধ করব।’
আরও পড়ুন: বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
আওয়ামী লীগ নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যাথা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের চিন্তা হচ্ছে আগামী নির্বাচন নিয়ে। কারণ বর্তমানে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার আছে, তারা এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনো রোডম্যাপ দেয়নি।’
‘তারা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে সংস্কার করার জন্য একটি কমিটি করেছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আমাদের চিঠিও দিয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। এ নিয়ে আমরা খুব শিগগিরই আমাদের মতামত দেব।’
বাংলাদেশে বর্তমান প্রক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটি হলো একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তার আগে নির্বাচনি ব্যবস্থাপকে নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত করা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা- এ বিষয়গুলো আমরা বলেছি। দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং সব কিছুর জন্য একটি নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত পার্লামেন্ট অত্যন্ত জরুরি। সে কথাটিই আমরা বারবার করে বলছি।’
এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বা আওয়ামীলীগ যে কাজটা ভালভাবে করেছে, সেটা হলো জাতিকে বিভক্ত করা। এই বিভক্তি দূর করে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। একটি গণতান্ত্রিক দেশে মতামত ভিন্ন থাকতেই পারে, কিন্তু কতগুলো মৌলিক বিষয়ে ঐক্য থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বোভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার। সেই ঐক্য রাখতে আমরা চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি। এ আন্দোলনকে বেগবান করতে আমরা ৬৩টি দল আন্দোলন করেছি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৭ বছরের একটা জঞ্জাল সরানো ১৭ দিনে সম্ভব না, ১৭ মাসেও না। এর জন্য আপনাদের যারা আছেন তাদের দায়িত্ব কম। যখন একটি গণতান্ত্রিক সরকার আসবে তখন সেই পার্লামেন্ট এই কাজগুলো করবে। এ (বর্তমান) সরকারের মূল দায়িত্ব হবে, নির্বাচনের জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। সকলেই যেন ভোটে অংশগ্রহণ করে ভোট দিতে পারে। পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনার জায়গাগুলোতে নিরপেক্ষ লোকজন বসানো, বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ করা ও অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিরপেক্ষ করা।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন, সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুরসহ জেলা বিএনপি ও এর সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
তার আগে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: নেতিবাচক বক্তব্যে ফ্যাসিস্টরা আবারও মাথা তুলছে: ফখরুল
১৫৫ দিন আগে