বাংলাদেশ টেলিভিশন
সহিংসতায় জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করুন: বিটিভি পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক সহিংসতায় জড়িতদের দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিতে সরকারকে সহযোগিতা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, যারা এই ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করুন।’
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনকালে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিটিভি ভবনের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দেওয়া আগুনে বিটিভি ভবনের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা সারাদেশ থেকে জড়ো হয়ে রাজধানীতে এসব হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে তারা এসব করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন বিটিভিকে ক্যামেরাসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করেন তিনি। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তিনি টেলিভিশন সেন্টারটিকে আরও আধুনিকায়ন করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এখন বাংলার মানুষ একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের মতো ভয়াবহ দৃশ্য দেখছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীও টেলিভিশনে হামলা চালায়নি। কিন্তু এই হামলাকারীরা টেলিভিশনে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; ধ্বংসের হাত থেকে কিছুই রেহাই পায়নি।
প্রত্যেক বাঙালির জন্য গর্বের মেট্রোরেলেও তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওরা কারা? এরা কি এ দেশের মানুষ? যারা দেশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে এসব হামলা চালিয়েছে, তারা কি এ দেশে জন্মেছে?’
এরা পানি শোধনাগার, পয়োনিষ্কাশন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও সিটি করপোরেশনের ময়লার ট্রাকেও হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা এমন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যা জনগণের সেবায় নিয়োজিত।
এ সময় হামলাকারীদের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সহিংসতার সময় প্রায় ৩ হাজার ৮০০ পরিবহন গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এবারের অগ্নিসন্ত্রাসের চরিত্র ভিন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবার তারা গানপাউডার ব্যবহার করেছে, তাই কিছুক্ষণের মধ্যে এসব জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা যখন বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছি, তখন এটা (ধ্বংসযজ্ঞ) কি এর (সরকারের সাফল্য) পুরস্কার? তারা যে প্রতিষ্ঠানগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে সেগুলোর সুফল কি তারা ভোগ করেনি?
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার চাহিদার তুলনায় কোটা অনেক কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে তাদের তীব্র ক্ষোভ।
তিনি বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে ৯৮ শতাংশ চাকরি মেধার ভিত্তিতে হবে কারণ (প্রথম প্রজন্মের) মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫ শতাংশ কোটার বেশিরভাগই অব্যবহৃত থাকবে। তারপরও তারা (আন্দোলনকারীরা) সন্তুষ্ট নয়।’
তার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ জুলাই তার সংবাদ সম্মেলনের ছয়-সাত ঘণ্টা পর হঠাৎ করেই তারা নিজেদের রাজাকার পরিচয় দিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের রাজাকার বলিনি। তারাই স্লোগানে নিজেদের রাজাকার পরিচয় দেয়।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, লন্ডনে তার দলের নেতাদের ওপর হামলা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশিকে এবং সৌদি আরবে ২০ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যেহেতু তারা ওইসব দেশের আইন অনুযায়ী সাজা পেয়েছে, তাই সেখানে বাংলাদেশের কিছু করার নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আরও ২০-২২ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে শেখ হাসিনা এসব ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ ভয়াবহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। তাদের জীবন ও জীবিকাকে প্রভাবিত করেছে এবং বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাই দোষীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দায়িত্ব এদেশের মানুষের ওপর তুলে দিলাম। বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে দেওয়া উচিত নয় তাদের (বিক্ষোভকারীদের)।’
এসময় রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন কেন্দ্রটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং বিটিভির মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও রাজধানীর রামপুরায় একই প্রাঙ্গণে অবস্থিত বিটিভি ভবন ও বিটিভির প্রধান কার্যালয়ে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন দেখানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের রুখতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে: মেট্রোরেলে তাণ্ডব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
বিটিভি ভবনের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে হামলায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবনের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মিরপুর-১০ নম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এসময় রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন কেন্দ্রটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন বিটিভির মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও রাজধানীর রামপুরায় একই প্রাঙ্গণে অবস্থিত বিটিভি ভবন ও বিটিভির প্রধান কার্যালয়ে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন দেখানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের রুখতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে: মেট্রোরেলে তাণ্ডব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
চলচ্চিত্র নির্মাতা জাকীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, খ্যাতিমান এই শিল্পীর মৃত্যুতে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, তার সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে দেশবাসী তাকে স্মরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: জিনাত বরকতউল্লাহ’র মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের ধ্বংসযজ্ঞ: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর গভীর শোকপ্রকাশ
১ বছর আগে
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ (পহেলা বৈশাখ) উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ইউএনবিকে বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উপলক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো ও রেডিও স্টেশনগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি সম্প্রচারিত হবে।
আরও পড়ুন: সব উপজেলায় সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশ বিরোধী সক্রিয় অপশক্তিগুলোর ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অসামান্য যাত্রা বন্ধ করতে পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন,‘মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে আমাদের সকলকে সজাগদৃষ্টি রাখতে হবে। আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে কোনোভাবেই ব্যাহত হতে দেয়া যাবে না।’
শুক্রবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত তার বর্তমান সরকারের তৃতীয় বার্ষিকী এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের চার বছরে পদার্পণ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার একযোগে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার করে।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তার দল আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক বেয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা অনেকেরই সহ্য হবে না বা হচ্ছে না। দেশ-বিদেশে বসে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাই নানা ষড়যন্ত্র করছে এই অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়ার জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে আরও বলেন, ‘মিথ্যা-বানোয়াট-কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বিদেশে আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণই ক্ষমতার উৎস। আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। তাই জনগণের সঙ্গেই আমাদের অবস্থান।’
দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক আর যত শক্তিশালীই হোক, তাদের ছাড় দেয়া হচ্ছে না এবং হবে না। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তবে এই ব্যাধি দূর করতে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গিবাদের উত্থানকে প্রতিহত করেছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ পারস্পরিক সহনশীলতা বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন।’
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীতে আরও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ সংযোজন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
অর্থনৈতিক অগ্রগতি
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ নানা আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।
জনগণ তার ওপর আস্থা রাখায় এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের উপর আস্থা রাখার ফলে। পর পর তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিয়ে আপনারা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করেছেন। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আমরা একটি কল্যাণকামী, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর কাতারে সামিল হতে পারে। এজন্য অতীতে যেমন আপনারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে থাকবেন, এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমাদের বর্তমান এবং আগামী দিনের সকল কার্যক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত বিনির্মাণ। অফুরন্ত জীবনীশক্তিতে বলীয়ান তরুণ প্রজন্মই পারে সকল কূপমণ্ডুকতা এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। তারুণ্যের শক্তিই পারবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম এগিয়ে যাবে মাথা উঁচু করে ভবিষ্যতের পানে।’
আরও পড়ুন: জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার শপথ নিল জাতি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার 'সোনার বাংলা' গড়ে তোলার জন্য জাতিকে শপথ পাঠ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শপথ বাক্যে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের বিজয় দিবসে দৃপ্ত কণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না, দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো।’
প্রধানমন্ত্রী বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে দেশব্যাপী শপথ বাক্য পাঠ করান, যা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে একযোগে সবাই শপথ পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণে বাংলাদেশের মানুষকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে বলেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রতি জেলা, মহকুমা, থানা, গ্রামে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলতে নির্দেশ দেন। অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তার ভাষণে তিনি বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বাংলাদেশের জনগণ তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৩ বছর আগে
চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফা
চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফা । শুক্রবার সকালে নিজ গৃহে ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই গুণী স্থিরচিত্রগ্রাহক।
গোলাম মোস্তাফা ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদকে ভূষিত হন।
তিনি ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রার শুরু থেকে সম্মুখসারীর চিত্রগ্রাহক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন । তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর বিটিভির সাথে ছিলেন এবং অবসরে যাওয়ার আগে প্রায় ৪২জন চিত্রগ্রাহক ধারণের মত অবকাঠামো তৈরি করে রেখে যান।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার
গোলাম মোস্তাফা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনে পরিচালক, স্থিরচিত্রগ্রাহক এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচারাল বিভাগে গেস্ট লেকচারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, দুই নাতি এবং তিন বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে (নতুন) তাঁকে সমাহিত করা হবে।
৩ বছর আগে
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পহেলা বৈশাখ (বাংলা নববর্ষ) উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।’
আরও পড়ুন: মহামারিতে বৈশ্বিক শান্তি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও স্টেশনগুলো এই ভাষণ একযোগে সম্প্রচার করবে।
৩ বছর আগে
গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শপথ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশের গণতান্ত্রিক এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে যাতে কেউ ব্যাহত করতে না পারে সে জন্য সব নাগরিককে নতুন করে শপথ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩ বছর আগে
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভাষণ দেবেন।’
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও স্টেশনগুলো এই ভাষণ একযোগে সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: পিটিএ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
পারস্পরিক সুবিধার জন্য নেপালের সাথে পিটিএ চান প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে