কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করলেও জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তার ও অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ৩ আলোকচিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলা, আটক ২
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম এক বিবৃতিতে দাবি করেন, রাজধানীর তার বাসা থেকে রাত ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া তিনি গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এটিএম মাসুম আরও জানান, এ ধরনের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকার দেশে চলমান রাজনৈতিক বিক্ষোভ থামাতে পারবে না। ভয়ভীতি সৃষ্টি, হামলা ও মামলা দিয়ে জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
মাসুম অবিলম্বে শফিকুরসহ গ্রেপ্তার জামায়াত নেতাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
১১ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর আমির ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেন, যা মূলত বিএনপির দাবির সঙ্গে মিলে যায় এবং বিএনপির ঘোষণার ঠিক পরেই ২৪ ডিসেম্বর একটি গণসমাবেশ ঘোষণা করে।
জামায়াতে ইসলামী দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপী একযোগে গণমিছিল গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
মির্জা ফখরুলকে আটকের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ
২ বছর আগে
কার্টুনিস্ট কিশোরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও দিদারুল ভূঁইয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (সম্পূরক অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে পুলিশ।
রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপপরিদর্শক (এসআই) আফছর আহমেদ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালতের রমনা জেনারেল রেকডিং (জিআর) শাখা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলার আবেদন কার্টুনিস্ট কিশোরের
মামলার অন্যতম আসামি লেখক মুশতাক আহম্মেদ মারা যাওয়ায় চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এজাহারভুক্ত আরও তিনআসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার নামে অজ্ঞাত ব্যক্তি (এই নামে ফেসবুক আইডি ছিল, কিন্তু ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি)।
আরও পড়ুন: ১০ মাস পর কারামুক্ত কার্টুনিস্ট কিশোর
অভিযোগপত্রে নাম আসা অপর আসামিরা হলেন আল জাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদুন নবী।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলায় প্রথমবার চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার। চার্জশিটে তখন তিন জনকে অভিযুক্ত করা হয়। বাকি ৮ আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন কার্টুনিস্ট কিশোর
এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন।
এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
২০২০ সালের ৫ মে র্যা ব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।
৩ বছর আগে
করোনায় আরও এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জনগণকে সেবা ও সুরক্ষা দিতে গিয়ে প্রাণঘাতি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল আরও এক পুলিশ সদস্যের।
৪ বছর আগে