বেক্সিমকো
সৌদিতে ২০২৪ সাল থেকে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস আগামী বছর থেকে সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে।
সেখানে যে জনবল ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট লাগবে তা বাংলাদেশ থেকে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকোর সাথে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার
শনিবার বিকালে সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শনে আসেন সালমান এফ রহমান। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা শতভাগ মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির চেষ্টা করি। কারণ, ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। যে কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধের ওপর মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে।
তারা বলছেন যে বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্মত। শুধু মানসম্মতই নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় দামও বেশ পরিমিত।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ ভালো এবং ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে আমাদের একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। সরকার ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপন করে দিচ্ছে। খুব শিগগিরই সেখানে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হবে। ফলে এ শিল্পের বিকাশ আরও সহজ হবে।’
বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এ যোগ দিতে শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে ঢাকায় আসেন সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি। পরে বিকালে গাজীপুরের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদি মন্ত্রী।
এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। আমরা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে খুঁজে দেখব। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও জনশক্তি রপ্তানিতে আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চাই।
বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালকে বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুতি কারখানা উল্লেখ করে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল উন্নত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করছে।
আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, যৌথ বিনিয়োগে সৌদিতে এ কারখানা নির্মাণ হচ্ছে। তবে এর বেশিরভাগই অর্থ বাংলাদেশের। আর ওখানে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ তৈরি করা হবে।
বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানির হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
আরও পড়ুন: মলনুপিরাভির জরুরি বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেল বেক্সিমকো ও এসকেএফ
বেক্সিমকোর তৈরি ৬৫ লাখ পিপিইর প্রথম চালান যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ
মলনুপিরাভির জরুরি বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেল বেক্সিমকো ও এসকেএফ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে অ্যান্টিভাইরাল ওরাল পিল বা মুখে খাওয়ার ওষুধ 'মলনুপিরাভির' জরুরি বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেয়েছে দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ও এসকেএফ। এই মুখে খাওয়ার ওষুধ টিকার বিকল্প নয় বলেও জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, দেশে মলনুপিরাভির অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেট জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেট খেতে হবে। তবে এগুলো অবশ্যই টিকার বিকল্প নয়। টিকা নিতে হবে।
মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত দশটি প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। ইতোমধ্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আরও আটটি প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেগুলো হলো- স্কয়ার, জেনারেল, বিকন, রেনেটা, ইনসেপটা, একমি, হেলথ কেয়ার, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস।
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সিন: ভারতে ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য অনুমোদন
ওষুধের ব্যবহারবিধি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মুখে খাওয়ার এই ওষুধ পাঁচ দিনের ডোজ। সকালে চারটা ট্যাবলেট আর রাতে চারটা ট্যাবলেট। পাঁচ দিনে মোট চল্লিশটা ট্যাবলেট খেতে হবে।
রেমডিসিভির প্রথম নিয়ে এসেছে। ওরাল মলনুপিরাভি দেশে প্রথম ৮ নভেম্বর বেক্সিমো অনুমোদন পায়।
ওষুধ প্রশাসন মহাপরিচালক বলেন, ট্যাবলেটটি ইতোমধ্যে বাজারে এসেছে। এটি ব্যবহার করতে পারলে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এর পরীক্ষানিরীক্ষা হয়েছে। আমাদের দেশেও হয়েছে। ফলাফলও আমরা ভালো পেয়েছি। মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি অর্ধেক কমাতে পারে এই ওষুধ। তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শেই এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। তবে কোন ক্রমেই আঠার বছরের নিচে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।
এর আগে ৮ নভেম্বর দেশে মলনুপিরাভির অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, এই ওষুধ করোনাভাইরাসের বংশবিস্তার অকার্যকর করতে সক্ষম। পাশাপাশি, করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর সক্ষমতা মলনুপিরাভিরের রয়েছে।
পিল প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, মলনুপিরাভির মানবদেহের প্রবেশকারী করোনাভাইরাসের জেনেটিক কোডে সমস্যা সৃষ্টি করে ভাইরাসটির বংশবৃদ্ধি প্রায় স্থবির করে দেয়। আর এর ফলেই কমতে থাকে করোনা রোগীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও এ রোগে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: ম্যালেরিয়ার টিকা অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারত থেকে এলো অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ টিকা
ভারত থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ১০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেশে এসেছে।
বেক্সিমকোর ক্রয়াদেশের বিপরীতে শনিবার বিকাল ৫ টা ৪০ মিনিটে এ টিকার চালান পৌঁছায় বলে জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন।
বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে ৮০ লাখ করোনার টিকা পেয়েছে। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের উপহার স্বরূপ ৩৩ লাখ টিকা বাংলাদেশকে দিয়েছে ভারত সরকার।
সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে তিন কোটি টিকা কেনার চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। চুক্তি অনুসারে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে সরবরাহ করার কথা প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু ভারতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশীয় চাহিদা মেটাতে এপ্রিল মাসে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল সেরাম।
পরে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে অক্টোবর থেকে টিকা আবার রপ্তানি করার কথা জানায় ভারত সরকার।
আরও পড়ুন: আগামী মার্চের মধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দিবে রোমানিয়া
যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলো ফাইজারের আরও ২৫ লাখ টিকা
সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে এখনও আমরা আশাবাদী। তবে টিকা না পেলে টাকা ফেরত আনা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: আগামী মাসে ২ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভারতে যে অর্ডার দেয়া ছিল, তার দুই কোটি ৩০ লাখ টিকা এখনও পাইনি, এখনও আমরা অপেক্ষায় আছি। আমরা সেরাম ইন্সটিটিউট ও বেক্সিমকোর সাথে যোগাযোগে থাকি, ওনারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেও আসছেন, আমরা টিকা পাব।
আরও পড়ুন: নতুন করে সাড়ে ১০ কোটি টিকার চুক্তি হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, যদি আমরা এ টিকা না পাই তাহলে অবশ্যই আমাদের টাকা-পয়সা নিয়ে আসতে হবে এবং ফেরত দিতে হবে। আমরা আশা করি পাবো, আমরা আশা ছাড়িনি।
ঢাকায় এলো সিনোফার্মের প্রায় ৫৬ লাখ ডোজ টিকা
চীনের সিনোফার্ম থেকে প্রায় ৫৬ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে। সোমবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এই টিকা এসে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সিনোফার্ম টিকার যৌথ উৎপাদনে চুক্তি ১৬ আগস্ট
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. সামসুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ক্রয় করা সিনোফার্মের ৫৫ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫০ ডোজ রাত ২টা ১০ মিনিটে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দর থেকে ফ্রিজার ভ্যানে করে বেক্সিমকোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই টিকা সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা আছে।
আরও পড়ুন: দেশে সিনোফার্ম টিকার যৌথ উৎপাদনে চুক্তি স্বাক্ষর
চীনের ২০ হাজার ৮শ ডোজ টিকা পেল শেরপুর
শেরপুরে পৌঁছেছে চীনের তৈরি করোনা ভাইরাসের ২০ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা। রবিবার সকালে জেলা টিকা গ্রহণ কমিটির সভাপতি সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. আনওয়ারুর রউফ সিনোফার্মের এ টিকা গ্রহণ করেন। বেক্সিমকো ফার্মার একটি বিশেষ ফ্রিজার ভ্যানে করে এসব টিকা শেরপুরে আনার পর জেলা টিকা কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. আনওয়ারুর রউফ জানান, আনুষ্ঠানিকতা সেরে টিকাগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কোল্ড স্টোরেজে রাখা হয়েছে। কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশন প্রোগ্রামের তৃতীয় পর্যায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য চীনের তৈরি এসব টিকা ব্যবহৃত হবে।
আরও পড়ুনঃ শিগগিরই আসছে ফাইজারের ৬০ লাখ ডোজ টিকা
সিভিল সার্জন আরও বলেন, আমরা আজই টিকাগুলো উপজেলায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। চলমান দ্বিতীয় ডেজের টিকাদানের পাশাপাশি আশা করছি আগামীকাল সোমবার (১২ জুলাই) থেকেই এ টিকাদান কর্মসূচি ৫ উপজেলায় শুরু হবে। টিকা দেওয়া হবে জেলা সদরের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে এবং উপজেলা হাসপাতালগুলোর নির্ধারিত কেন্দ্রে। যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন কেবল তারাই গ্রহণ করতে পারবেন এই টিকা।
আরও পড়ুনঃ চলতি মাসে কোভ্যাক্সের ৩৫ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি প্রথম ধাপে শেরপুর জেলায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার ৩৬ হাজার ডোজ টিকা পাঠানো হয়। ১৮ জুন দ্বিতীয় ধাপে চীনের সিনোফার্মের তৈরি ১২ হাজার ডোজ টিকা এবং ১১ জুলাই তৃতীয় ধাপে ২০ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত শেরপুরে ৬৮ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, শেরপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড আরও ১১৩ জন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে আরও তিন জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যু হলো ৪১ জনের।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১৪ মৃত্যু
রবিবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। বুলেটিনের তথ্যমতে, নতুন ১১৩ জনসহ জেলায় এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২১৯ জন। তারমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৮১ জন। বর্তমানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৯৮ জন। ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯৪ জন।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে ১৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৭০৯
জেলায় মোট কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ৫৬ হাজার ৩৯১ জন। তারমধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৬০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ ২১ হাজার ৭৩১ জন।
সিভিল সার্জন জানান, জনগণ স্বপ্রনোদিত হয়ে মাস্ক পরিধান না করলে কোভিড-১৯ সংক্রমন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। কাজেই মাস্ক পরিধানে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক পড়া, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং আগামী ২ সপ্তাহ বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম পৌঁছেছে চীনের টিকা
চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় দফায় পৌঁছেছে চীনের ৯১ হাজার ২’শ ডোজ করোনার (কোভিড-১৯) টিকা। প্রতি ভায়াল টিকা মাত্র একজনকে প্রয়োগ করা যাবে।
সিনোফার্মের এই টিকা প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়া হবে। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিনোফার্মের দ্বিতীয় দফায় ৬ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ফ্রিজার ভ্যানে করে আসা প্রতি কার্টনে ৬’শ ভায়াল করে ১৫২টি কার্টন টিকা গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এরপর টিকাগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে ওয়াক-ইন-কুলারে ২ থেকে ৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে চট্টগ্রামের জন্য তৃতীয় দফায় চীনের তৈরি সিনোফার্মের ৯১ হাজার ২’শ ডোজ করোনা টিকা আমরা পেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা পেলে আগামীকাল শনিবার বা এর পরের দিন রোববার থেকে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে পারে। এবার রাজধানী ঢাকা বাদে প্রত্যেক জেলায় টিকা দেয়ার জন্য একটি মাত্র কেন্দ্র থাকবে। যে জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে সেখানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যে জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেই সেখানে সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ টিকা দেয়া হবে। চট্টগ্রামের জন্য শুধুমাত্র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কেন্দ্রে এ টিকা দেয়া হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চমেক’র অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা প্রাপ্তিতে বিদেশগামী কর্মীরা অগ্রাধিকার পাবেন
ফজলে রাব্বি আরো বলেন, সিনোফার্মের এ টিকা প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়া হবে। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বা জেলার জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ নেই। করোনার সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে ডাক্তার, নার্স, স্বা¯’্যকর্মী, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী, চীনা নাগরিক, বিদেশগামী, বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরি”ছন্ন কর্মী, মুর্দা গোসলকারী, লাশ দাফনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি যারা রেজিস্ট্রেশন করে এখনো টিকা নিতে পারেননি তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগ করা হবে। সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি নার্সিং কলেজ, আইএইচটি, মিডওয়াইফারি ও ম্যাটস্ এর শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড দিয়ে নির্ধারিত ফরমে নিবন্ধন সাপেক্ষে এ টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। তিনি আরও বলেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই শাখায় প্রাপ্ত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন খুব সাবধানতার সাথে ওয়াক-ইন-কুলারে (ডিব্লউআইসি) সংরক্ষণ করা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি প্রথম দফায় অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ করোনার টিকা চট্টগ্রামে আসে। পরে গত ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ লাখ ৬ হাজার ডোজ টিকা আসে এবং ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
টিকার দ্বিতীয় চালান আসছে ২২ ফেব্রুয়ারি: বেক্সিমকো এমডি পাপন
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় চালান আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দেশে আসবে বলে সোমবার জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন।
টিকার বিকল্প উৎস খুঁজে বের করুন: সরকারকে বিএনপি
সরকারের অদূরদর্শিতার কারণেই করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে অতিদ্রুত বিকল্প উৎস খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
বেক্সিমকোর তৈরি ৬৫ লাখ পিপিইর প্রথম চালান যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ
যুগান্তরকারী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিশ্বমানের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) উৎপাদনকারী দেশের কাতারে যোগ দিয়ে মার্কিন ব্র্যান্ড হেইনসের কাছে ৬৫ লাখ পিপিই গাউনের একটি বড় চালান পাঠিয়েছে বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতের নেতৃত্বস্থানীয় ব্র্যান্ড বেক্সিমকো।