প্রতিপক্ষ
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে জয়পুরহাটে ছয় বছরের ছেলেকে গলাটিপে হত্যার দায়ে মা রেশমা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে রেশমা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। এ রায় ঘোষণার সময় আসামি রেশমা বেগম বুলি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
রেশমা বেগম বুলি জয়পুরহাটের সদর উপজেলার সগুনা গোপীনাথ পুর গ্রামের আসাদুজ্জামান আসাদুলের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসাদুজ্জামানের ভাই-ভাবির সঙ্গে রেশমা বেগমের প্রায়ই ঝগড়া লাগত। তার ভাই-ভাবির বাড়িতে একই গ্রামের মানিক হোসেন যাওয়া আসা করার কারণে তার সঙ্গেও রেশমা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। সে কারণে মানিককে লাঠি দিয়ে রেশমা মারধর করেন। এ ঘটনায় মানিকের স্ত্রী থানায় মামলা দায়ের করলে গ্রেপ্তার হয়ে রেশমাকে কয়েকদিন জেল খাটতে হয়েছে। পরে তিনি জেল থেকে বের হয়ে ২০০৭ সালের ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় আসাদুলের ভাই-ভাবি ও মানিককে ফাঁসাতে নিজের ছয় বছরের শিশু রাকিবকে গলাটিপে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শিশুর বাবা আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
৪ মাস আগে
শালিস চলাকালে প্রতিপক্ষের হামলায় লক্ষ্মীপুরে ১ জন নিহত, আহত ৫
শালিস চলাকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে প্রতিপক্ষের হামলায় নুরনবী মাস্টার নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচজন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার রামদয়াল বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এরপর দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকচাপায় রিকশা যাত্রী নিহত
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নুরনবী মাস্টারের নাতি মঞ্জুর হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে রিকশায় করে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় একই এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে শাহদাত হোসেন তাদের হয়রানি ও কটুক্তি করে। এর জেরে শাহাদাতকে মারধর করে মঞ্জুর হোসেনসহ অন্যরা।
এ ঘটনার জেরে পরবর্তীতে মঙ্গলবার দুপুরে আবদুল মতিন মাস্টারের ঘরে শালিস শুরু হয়। শালিস চলাকালে হঠাৎ কথাকাটাকাটি শুরু হলে এক পর্যায়ে শাহদাত ও মামুনের নেতৃত্বে কয়েকজন মঞ্জুর-পক্ষের ওপর হামলা চালায়। এতে নুরনবী ঘটনাস্থলে নিহত হন।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি ও অন্য আসামিদের আটকে অভিযান চলছে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সাইকেলের আরোহী নিহত
বগুড়ায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
৪ মাস আগে
জাফলংয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে শ্রমিকের মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাটে কথা কাটাকাটি জেরে হোসেন মিয়ার ঘুষিতে পানিতে পড়ে আব্দুর নূর নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গছে। এ ঘটনায় হোসেন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ জুলাই) ভোরে উপজেলা জাফলংয়ের নয়াবস্তি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর নূর ওই উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নয়াবস্তি গ্রামের করিম হোসেনের ছেলে।
অভিযুক্ত হোসেন মিয়া উপজেলার জাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ হাওর গ্রামের রুস্তম খার ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় জাফলং নদীতে নৌকা নিয়ে বালু উত্তোলনের কাজে যায় শ্রমিকরা। নৌকা রাখাকে কেন্দ্র করে আব্দুর নূর ও হোসেনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও মারামারি হয়। একপর্যায়ে হোসেনের ঘুষিতে আব্দুর নূর পাশে থাকা নৌকায় লেগে মাথায় আঘাত পেয়ে নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা প্রায় ৪০ মিনিট খোঁজাখুঁজি করে নদী থেকে আব্দুর নূরকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয়রা হোসেন মিয়াকে আটক করে পুলিশ দেয়। তবে কী বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়েছে, তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনায় লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থারে প্রস্তুতি চলছে।’
৫ মাস আগে
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আছকির মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে ১২টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রজনপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরে মাটিবাহী ট্রাক্টরচাপায় গৃহবধূ নিহত, আহত ৩
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমিতে কাজের জন্য যান আছকির মিয়া। এ সময় মিছির আলিসহ তার লোকজনেরা আছকির ও তার সঙ্গে থাকা আরও দুইজনকে পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আছকির মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে মিছির আলী পলাতক রয়েছেন।
কুলাউড়া (সার্কেলের) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে বজ্রপাতে ফুটবল খেলোয়াড় নিহত
খুলনায় স্কুল পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১
৭ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় জমি বন্ধক নিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মুছা মিয়া নামে এক কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের দক্ষিণ খার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্রে যুবকের ছুরিকাঘাতে কর্মচারী নিহত
নিহত মুছা ওই গ্রামের জুজু মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, ধানি জমি বন্ধক নিয়ে মুছার সঙ্গে দক্ষিণ খার গ্রামের রুহুলের পরিবারের লেনদেন ছিল। এর জেরে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে রুহুল আমিন ছুরি দিয়ে মুছাকে ছুরিকাঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: নওগাঁর মান্দায় ছুরিকাঘাতে একজন নিহত
কানাডায় ৬ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
৮ মাস আগে
মাছের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে কৃষক খুন
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় মাছের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ধারলো অস্ত্রের আঘাতে ইসরাফিল মোল্যা নামে এক কৃষক খুন হয়েছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চাচুড়ী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক ইসরাফিল উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত হক মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জে বাবার হাতে ছেলে খুনের অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, কৃষ্ণপুর গ্রামের মালেক মোল্যার ছেলে নফু মোল্যার সঙ্গে একই গ্রামের আনোয়ার ফকিরের ছেলে প্রিন্সের চাচুড়ী বিলের একটি মাছের ঘের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত এক বছর ধরে এ নিয়ে একাধিক হামলা-পাল্টা হামলা হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের চারটি মামলা চলমান।
সর্বশেষ শনিবার বিকাল থেকে ওই মাছের ঘের দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। পরে রবিবার সকালে প্রিন্সের লোকেরা ওই ঘেরে গেলে নফু মোল্যার লোকজন বাধা দিলে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
একপর্যায়ে নফু মোল্যার সমর্থক ইসরাফিল মোল্যা গুরুতর আহত হন। পরে পরিবার ও স্থানীয়রা ইসরাফিলকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নড়াইর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুজল বকসি বলেন, ইসরাফিল মোল্যা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের দাগ রয়েছে।
কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে দাদিকে বাঁচাতে গিয়ে নাতি খুন
সিলেটে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
১০ মাস আগে
প্রতিপক্ষের মারধর: মাদরাসা সভাপতির মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
পাবনার চাটমোহরে মাজার শরীফের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে আব্দুল আলীম সরকার নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বড় গুয়াখড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত আব্দুল আলীম সরকার বড় গুয়াখড়া গ্রামের মৃত ইছাহাক সরকারের ছেলে। তিনি মা মালেকা ইছাহাক দারুল আকরাম ইবতেদায়ী মাদরাসার সভাপতি ছিলেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- একই গ্রামের মৃত আরজান সরদারের ছেলে আফসার আলী মাস্টার ও তার ছেলে টেঙ্গরজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান ওরফে খোকন মাস্টার।
আরও পড়ুন: সাজার রায় শুনে আদালত থেকে পালাল আসামি, পরে গ্রেপ্তার
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মা মালেকা ইছাহাক দারুল আকরাম ইবতেদায়ী মাদরাসার অবকাঠামোসহ সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইসলামি জলসার আয়োজন নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সভা শেষে মহেলা বাজারে চা খেতে যান আব্দুল আলীম সরকার।
সেখানে চা খাওয়া শেষে বাড়িতে ফেরার পথে বড় গুয়াখড়া গ্রামের মাজার শরীফ গেটের সামনে এলে আফসার আলী মাস্টার ও কামরুল হাসানসহ তাদের সহযোগীরা আলীমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে খোকন মাস্টার উত্তেজিত হয়ে আলীমকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তার উপর পড়ে যান। এ সময় অভিযুক্তরা আলীমকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। মারধরের এক পর্যায়ে আলীম সরকার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
এ সময় আশপাশের লোকজন ও আলীম সরকারের ছেলে আশিকুর রহমান আশিক ঘটনাস্থলে এলে আফসার আলী ও তার লোকজন পালিয়ে যান। পরে আলীম সরকারকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ও ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িত অভিযোগে দুইজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই গোলজার হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আফসার আলী মাস্টার ও কামরুল হাসানসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেপ্তারদের বিষয়ে যা বলল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
গাজীপুরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
১০ মাস আগে
বগুড়ায় প্রতিপক্ষের মারধরে কৃষক নিহত, ২ নারী আটক
বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারধরে আনারুল ইসলাম নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত সোমবার জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আনারুল।
নিহত আনারুল ইসলাম উপজেলার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হুদাবালা গ্রামের মরহুম তুফানু প্রামানিকের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিনে ৪ দালাল আটক
আটকরা হলেন, হুদাবালা গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪৮) ও মাসুম মিয়ার স্ত্রী রুমা বেগম (২৪)।
স্থানীয়রা জানান, হুদাবালা গ্রামের আবু বক্বর সিদ্দিকের সঙ্গে একই গ্রামের আনারুল ইসলামের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সোমবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
এরমধ্যে গুরুতর আহত হন আনারুল ইসলাম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর ৬টায় তার মৃত্যু হয়।
শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আইনুল হক বলেন, এ ঘটনায় রুমা ও রহিমা নামের দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ডেমরায় ট্রাকের ধাক্কায় পথচারী নিহত, চালক আটক
রংপুরে বিল পরিশোধ করতে না পারায় নবজাতক বিক্রি, আটক ৩
১০ মাস আগে
পিরোজপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাতিজার উপর প্রতিপক্ষের হামলা, আহত ৩
পিরোজপুর- ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের ভাতিজা ও জেলা ছালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর মুজিব অভি’র উপর প্রতিপক্ষ হামলার চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার(১৭ ডিসেম্বর) বিকালে পিরোজপুর সদর উপজেলা কদমতলা ইউনিয়ন কদমতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় তার সঙ্গে থাকা যুবলীগ কর্মী রনি দাস ও ছাত্রলীগ নেতা স্মরণ চক্রবর্তীকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির মুজিব আবির এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আহত জেলা ছালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর মুজিব অভি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান খালেকের ছেলে, যুবলীগ কর্মী রনি দাস শহরের প্রেসক্লাব সড়কের বলরাম দাসের ছেল এবং জেলা ছাত্রলীগ নেতা স্মরণ চক্রবর্তী পিরোজপুর শহরের বলাকা ক্লাব সড়কের অ্যাডভোকেট দিলিপ চক্রবর্তীর ছেলে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন জানান, পিরোজপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালকে সমর্থন দেয়ায় কদমতলা ও শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের সমর্থক নেতা-কর্মীদের নানা রকম হুমকি ও মারধরের ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বায়জিদ হোসেন এর লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে অভি’র সঙ্গে থাকা যুবলীগ কর্মী রনি দাস গুরুতর আহত হন। এছাড়া এ সময় হামলাকারীরা অভি এবং তার সঙ্গে থাকা স্মরণ চক্রবর্ত্তীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তারা।
পরে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শ. ম. রেজাউল করিমের অনুসারী বায়জিদকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ না করে কেটে দেন। তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি এর কোন উত্তর দেননি।
পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. স্বাগত হালদার জানান আহতদের মধ্যে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তানভীর মুজিব অভির হাতে সহ শহীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত আছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহর পরিদর্শন করেন সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নির্বাচনে যেকোন প্রকার সহিংসতাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত প্রবাসীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত দুলা মিয়া (৬০) বাঁশখালী থানার বাহারছড়া ইউনিয়নের চাঁপাছড়ি গ্রামের মধ্যম চাঁপাছড়ি এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরেছিলেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মধ্যম চাঁপাছড়ি গ্রামের আবু নাঈম চৌধুরীর সঙ্গে একই এলাকার হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর জেরে গত ৮ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় হেলাল ও তার সহযোগিরা।
এতে নাঈম চৌধুরীর দুই ছেলে সেলিমুল ইসলাম চৌধুরী (৪৩) ও শরীফ চৌধুরী (২৮) গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে চাচাতো ভাইদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেন দুই ভাই দুলা মিয়া ও নওয়া মিয়া। তাদের ওপরও হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
এতে গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুলা মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত দুলা মিয়ার চাচা আবু নাঈম চৌধুরী বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
তারা হলেন- হেলাল উদ্দিন, আজম উদ্দিন, বাবু মিয়া, মো. জোবায়ের, মো. কায়সার, নুরুন্নবী, নেজাম উদ্দিন, আব্দুল মজিদ, নুরুল আমিন, আব্দুল করিম ও মো. জিহান।
বাঁশখালীর বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ আগে জমি বিরোধের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। দুই পক্ষেই কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। আজকে এক পক্ষের একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাগুলোতে একপক্ষের সাত জন, অন্য পক্ষের চারজন জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২৬৮
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৮
১ বছর আগে