অবনতি
ঢাকার বাতাসে আজ আরও অবনতি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে ঢাকায় টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হলেও আজ সকালে উঁকি দিয়েছে রোদ। রোদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় বাড়তে শুরু করেছে বায়ুদূষণ। গত কয়েকদিন ধরেই দূষণের এই মাত্রা একটু একটু করেই বেড়েই চলেছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯০। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী এই স্কোরের কারণে ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়ে অবস্থান করলেও সেটি ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠতে বেশি দূরে নেই।
কারণ একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। অন্যদিকে, এই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। এরপর এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টি হোক কিংবা ছুটির দিন, কোনোকিছুতেই ঢাকার বাতাসের মানে তেমন উন্নতি ঘটাতে পারছে না। মাঝেমধ্যে হয়তো একিউআই স্কোর কিছুটা কমে আসে, পরক্ষণেই আবার পুরনো চেহারায় ফিরে যায়।
আরও পড়ুন: সকালের মনোরম আবহাওয়ার মধ্যেও দূষণে পিছিয়ে নেই ঢাকার বাতাস
যেমন: সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫৪। যেটি বাতাসের মান ‘ভালো’ হয়ে ওঠার কাছাকাছি। তবে ভালো আর হয়ে ওঠেনি, বরং পরদিনই শহরটির স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৮৯ তে।
গতকালের মতো আজ সকালেও ঢাকার বাতাসের অবনতির ধারা অব্যাহত আছে। ৯০ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ২৪তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
এদিকে, আজও তালিকার শীর্ষে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা। শহরটির একিউআই স্কোর ১৮৬। টানা কয়েকদিন ধরেই শীর্ষে অবস্থান করছে শহরটি। তবে গতকাল দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা চিলির সান্তিয়াগো ও ভিয়েতনামের হ্যানয়ের বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে।
এদিন ১৮১ ও ১৭৮ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাহরাইনের মানামা ও ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতা। আর সান্তিয়াগো ও হ্যানয়ের স্কোর আজ ১৫৯ ও ৯৪।
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৪২ দিন আগে
দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় সন্ধ্যা থেকেই টহল বাড়বে: প্রেস সচিব
ঢাকাসহ দেশের যে সকল জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হয়েছে সেসকল জায়গায় সোমবার সন্ধ্যা থেকেই টহল বাড়বে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হয়েছে, এসব জায়গায় টহল বাড়াবো। এই টহল আজকে সন্ধ্যা থেকে আপনারা দেখবেন। পুরো ঢাকা শহরেই দেখবেন।’
প্রেস সচিব বলেন, 'এজন্য যে জিনিসটা করা হচ্ছে, যৌথ টহল হবে। পুলিশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ টহল হবে। জায়গায় জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটর করা হবে। তল্লাশির ব্যবস্থা করা হবে।'
গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ইন্টিলিজেন্স উইং, ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি— তারা তাদের মতো করে নজরদারি করবেন। সেই অনুযায়ী আমরা অ্যাকশনে যাব।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কেনা হবে মোটরসাইকেল
শফিকুল আলম বলেন, ঢাকা যানজট প্রবণ এলাকা। কোথাও কিছু ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে যেতে যেতে অনেক সময় দেরি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে প্রচুর মোটরসাইকেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্রুত মোটরসাইকেলগুলো কেনা হবে। যাতে দুজনে খুব দ্রুত মোটরসাইকেল করে দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: সিনিয়র সচিবের মর্যাদা পেলেন প্রেস সচিব শফিকুল
প্রেস সচিব আরও বলেন, পুলিশের ক্ষেত্রে আপাতত ১০০ মোটরসাইকেল কেনা হচ্ছে। পরবর্তীতে আরও ১০০টি কেনা হবে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী—যারা আইন-শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত, তাদের জন্য আরও ৫০টি করে মোটরসাইকেল নেওয়া হবে।
সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কিনা এমন প্রশ্নে প্রেস সচিব বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে বলেই আজকের মিটিংটা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যে এজেন্সিগুলো কাজ করে— তারা সবাই এখানে ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অসহযোগিতা দেখছেন না বলে জানিয়েছেন শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব উন্নতি করা। কারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। আমরা এই কাজটি সুচারুভাবে করতে চাই। 'আমরা আশা করছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি খুব দ্রুত দেখবেন।'
কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কক্সবাজারের এসপি এবং যে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো রয়েছে তাদের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে, তারা রিপোর্টটা দিলে আপনারা জানবেন।'
২৮৩ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলার অবনতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: রাঙ্গামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভবিষ্যতে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘যারা ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করবে, তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।’
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাঙ্গামাটির রিজিয়নের প্রান্তিক হলে বিগত দুই দিনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এইসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমরা একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করব। আইনশৃঙ্খলা কোনো অবস্থায় অবনতি হতে দেওয়া যাবে না। এর জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। কেউ যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি করে, তাদের কোনো অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না।’
আইনশৃঙ্খলা উন্নতির জন্য সব সম্প্রদায়কে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। পাহাড়ে যাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে, সেজন্য তিনি জনগণদের বোঝানোর জন্যও বলেন।
এসময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, পাহাড়ে সবাই সম্প্রীতি চাই কিন্তু সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারা যাতে পাহাড়কে নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকে হবে।
আরও পড়ুন: মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
সভায় পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুর রহমান, রাঙ্গমাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
এদিকে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না হয় তার জন্য প্রশাসনের ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে। অপর দিকে তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ি ছাত্র-জনতার ডাকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলমান। সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ও যানবাহনের ধর্মঘটের কারণে রাঙ্গামাটিতে সবকটি সড়ক ও নৌ পথে সব ধরনের যানবাহন ও নৌ পথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরে এখনও পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। শহরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪৩৯ দিন আগে
লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ
লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও নোয়াখালী থেকে আসা পানিতে রবিবার (২৫ আগস্ট) জেলার ৫টি উপজেলায় বন্যার পানির উচ্চতা বেড়েছে। এছাড়াও জেলার মেঘনা নদীসহ খাল-বিলের পানি বেড়ে গেছে।
এতে জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। রান্না-বান্নাসহ দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭ লাখ মানুষ। ভেসে গেছে কয়েকশ মাছের প্রজেক্ট, মুরগি খামার।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যায় ৩ উপজেলায় ৫ জন নিহত
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যে বন্যার পানি কমতে পারে। এছাড়া বেশি ক্ষতি হয়েছে মৎস্য খাতে। প্রায় সব পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বন্যার পানিতে।
মৎস্য বিভাগ জানায়, বন্যার পানিতে লক্ষ্মীপুরের প্রায় ৪০ হাজার পুকুর ডুবে চাষের প্রায় সব মাছ ভেসে গেছে। এতে জেলায় মৎস্য খাতে প্রায় ৮০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘নদীতে ভাটা এলে জলাবদ্ধতা নিরসনে সবগুলো স্লুইচ গেট খুলে দেওয়া হয়। আবার জোয়ারের সময় গেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বন্যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
তিনি আরও বলেন, ‘এখনও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এক-দুই দিনের মধ্যে পানি কমতে পারে।’
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, ‘রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার পানি কমতে শুরু করলেও নোয়াখালী বন্যার পানির চাপে লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণাঞ্চল, কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় পানি বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘জেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার সবগুলোতে কমবেশি জলাবদ্ধতা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ২০ হাজার মানুষ রয়েছে।’
এছাড়াও বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ দেওয়া চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বন্যার সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাসজনিত দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকতে করণীয়
৪৬৭ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যেই কারফিউ আরোপ: আইএসপিআর
দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির হওয়ায় রবিবার (৪ আগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। রবিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।
এই সময়ে জনসাধারণকে কারফিউ মেনে চলতে এবং কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
৪৮৭ দিন আগে
আবারও বাড়ছে যমুনার পানি, সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি
উজানের ঢল ও বর্ষণে আবারও যমুনার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাতভর দফায় দফায় বৃষ্টি ও উজানের ঢলে যমুনার পানি আবারও বাড়ছে। এতে নদীর তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল আবারও বন্যার কবলে পড়েছে। বন্যার পানিতে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার স্থানীয় ওয়াপদা বাঁধ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে তৃতীয় দফায় বন্যা, লাখো মানুষ পানিবন্দি
স্থানীয়রা জানান, নদীর তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বহু ঘরবাড়ি, গাছপালা ও জায়গাজমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। বিশেষ করে চৌহালী উপজেলার ভূতের মোড় থেকে ময়নাল সরকারের কবরস্থান পর্যন্ত তীব্র ভাঙনে কবলে পড়েছে।
এছাড়া কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিস, শাহজাদপুর উপজেলার হাটপাচিল, জালালপুর, কৈজুড়ী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ও বিষয়টি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোর্য়াটার) নাজমুল হাসান বলেন, ‘যমুনায় পানি আবারও বাড়ছে। এতে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নজর রাখছেন।’
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলেন, ‘যমুনায় আবারও পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে স্থানীয় এমপি, ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।’
আরও পড়ুন: যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা
৫১০ দিন আগে
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীসহ ১৬ নদীর পানি প্রতিদিনই বেড়েই চলছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি হয়েছে।
শুক্রবার তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি ফুলবাড়ির শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৭ লাখ ৭২ হাজারের বেশি শিশু ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনিসেফ
শুক্রবার কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি জানান, বিকাল ৩টায় দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি সামান্য কমে এখন বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি ২৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি ফুলবাড়ি উপজেলার শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে নদীর পানি বাড়ার কারণে তিস্তা ও ধরলা নদীসহ অন্যান্য নদনদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন কাঁচা সড়ক। অনেকেই কলার গাছের ভেলা দিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করছে।
ডুবে গেছে বাদাম,পাটখেত,ভুট্টা,মরিচ ও শাক সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল। এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ১৪৪ মেট্রিক টন জিআর চাল এবং নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তা বিতরণের প্রস্তুতি চলছে। নতুন করে ঢাকা থেকে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ১০ লাখ টাকা, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং ৫০০ টন চাল।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ওয়েস্ট রিজিওন) এ কে এম তাহমিদুল ইসলাম উলিপুরের বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, একদিকে বন্যা আবার আর একদিকে নদী ভাঙন এ জেলার জন্য দুর্ভাগ্য। এ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ছোট বড় ১৬টি নদ-নদীর সবই ভাঙনপ্রবণ। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার সবচেয়ে বেশি ভাঙনপ্রবণ। নদী ভাঙন প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট নিরসনে কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায় তা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, আরও ৩ জেলায় বন্যার আশঙ্কা
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
৫৩১ দিন আগে
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, আরও ৩ জেলায় বন্যার আশঙ্কা
সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। কারণ বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের (এফএফডব্লিউসি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নেত্রকোণা জেলার নদীসংলগ্ন কিছু নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় সিসিকের হটলাইন নম্বর চালু
মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু-খোয়াই নদী সংশ্লিষ্ট নিম্নাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীসমূহের পানি বাড়তে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী ৭২ ঘণ্টা তা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
সুরমা ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে এফএফডব্লিউসি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ
৫৩৪ দিন আগে
ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতিতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের
দুর্বল শরীর ও অসুস্থতার নানা উপসর্গ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে (বিএসএইচ) চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেছেন।
শনিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আরেফিন তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিয়েছেন এবং তার গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি মহাসচিব অসুস্থ ছিলেন। তার প্রায় ৬ কেজি ওজন কমেছে এবং তার শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে।’
ডা. জাহিদ বলেন, মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে গেলে অধ্যাপক শামসুল আরেফিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং বাসায় থেকেই তার চিকিৎসা চলছে। ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তাকে আবার হাসপাতালে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে বন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পান ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) মির্জা ফখরুল ও খসরুকে জামিন দেন ঢাকার একটি আদালত।
গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল, খসরুসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি ও খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল ও ৩ নভেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খসরুকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: দখলদারিত্বের নতুন নজির স্থাপন করেছে আ.লীগ সরকার: বিএনপি
৬৫৬ দিন আগে
সীমান্তে নিরাপত্তার অবনতি 'উদ্বেগজনক': এমএসএফ
সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি 'উদ্বেগজনক' বলে মন্তব্য করেছে মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স বা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ)।
সংস্থাটি বলছে, এটি কেবল সীমান্তে বসবাসকারীদের সরাসরি প্রভাবিত করে না, বরং অতীতের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটাতে পারে।
শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে এক বিবৃতিতে এমএসএফ বাংলাদেশের হেড অব মিশন অ্যান্তোনিনো কারাডোনা বলেন, ‘যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এমএসএফ।’
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, সাধারণ চিকিৎসাসংক্রান্ত সমস্যাগুলো ছাড়াও সহিংসতা সম্পর্কিত আঘাতপ্রাপ্ত আরও বেশি লোককে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্পে জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দৈনন্দিন চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি, সহিংসতার স্বীকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবায় প্রাধান্য দেয় এমএসএফ।
প্রয়োজন অনুযায়ী এর পরিধি আরও বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে এমএসএফ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বাংলাভাষী কূটনীতিকদের পেয়ে গর্বিত: রুশ রাষ্ট্রদূত
কক্সবাজারের ১০টি স্থাপনায় এমএসএফ টিমগুলো ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিশাল স্বাস্থ্য চাহিদা মেটাতে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যক রোগীর জন্য বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে আসছে।
কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা, দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসা, মনোসামাজিক সহায়তা ও নারীদের স্বাস্থ্যসেবা।
এমএসএফ রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা মানবিক সহায়তার অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী। এদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে বাস করে।
এমএসএফের মতে, প্রাথমিক জরুরি অবস্থার কয়েক বছর পার হলেও মানুষ এখনও একই জনাকীর্ণ এবং প্রধানত বাঁশের আশ্রয়কেন্দ্রে বাস করছে। এরা প্রায় সম্পূর্ণরূপে সাহায্যের উপর নির্ভরশীল এবং ভবিষ্যতের জন্য খুব সামান্য আশা রয়েছে।ৎ
আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. কামাল চৌধুরীর সঙ্গে প্রবাসীদের মতবিনিময়
৬৬৩ দিন আগে