মূল্য
অনাবাসিক নাগরিকদের পরিষেবা মূল্যের ওপর নির্দিষ্ট হারে করারোপ বিবি’র
সেবার বিনিময়ে বহির্মুখী রেমিটেন্সের জন্য অনাবাসী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয় থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে কর কেটে নেয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বহির্মুখী রেমিটেন্সের জন্য কর কমানোর নির্দেশনা সম্বলিত একটি চিঠি ছিল।
বুধবার এ মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ একটি সার্কুলার জারি করে এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোতে পাঠায়।
অনাবাসীদের চালান মূল্য পাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে এনবিআরের চিঠির নির্দেশনা অনুসারে প্রযোজ্য হারে কর কেটে অবশিষ্ট অর্থ পাঠাতে হবে।
অনাবাসীকে সম্পূর্ণ বিল পাঠানোর ক্ষেত্রে, হিসাবকৃত বিলের ট্যাক্স কেটে রাখতে হবে এবং পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের টিকা সনদ থাকতে হবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি কোনো অনাবাসিক ব্যক্তিকে পরামর্শ সেবার জন্য ১০০ টাকা মূল্যের চালান পাঠান, তাহলে ব্যাংকগুলো ৮০ টাকা পাঠাবে, আর কর কাটবে ২০ টাকা।
কোনো ব্যক্তির পরামর্শ সেবা হিসাবে ১০০ টাকা নগদ মূল্য পাঠানোর ক্ষেত্রে, ব্যাংকগুলো উৎস আয়কর সহ কর হিসাবে ২৫ টাকা কমিয়ে আনবে এবং অনাবাসী বিদেশি নাগরিকদের ৭৫ টাকা পাঠাবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, অনাবাসীর নামে কর দিতে হবে।
উৎসে কর কেটে নেয়া ও জমার ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে যে কোনো সময় তা আদায় করা যাবে। এই ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ খেলাপি পরিমাণে প্রতি মাসে ২ শতাংশ সহজ সুদের হারে পুনরুদ্ধারযোগ্য হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে সাকিবের পিপলস ব্যাংক
সাইবার হামলা মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি সক্ষম বাংলাদেশ ব্যাংক
কুষ্টিয়ার বাজারে হঠাৎ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি
কুষ্টিয়ার বাজারে চিনি, আটা, সোয়াবিন তেল, কালাইয়ের ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে।
এর মধ্যে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম কেজি প্রতি ৮ টাকা, লুজ সোয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা, আটা ও ময়দার দাম কেজি প্রতি ৬ টাকা, কালাইয়ের ডাল ৬ টাকা এবং এ্যাংকর ডাল কেজি প্রতি ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজরে হঠাৎ করে নিত্য প্রয়োজনীয় এসব দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা। চিনি, তেল, আটা, ডালসহ প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কারণেই কুষ্টিয়ার বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়ে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
সরেজমিনে কুষ্টিয়া শহরের পৌর বাজার এবং বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে এক সপ্তাহ আগে বাজারে লুজ সোয়াবিন তেল ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সোয়াবিন তেল এখন ১৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বউ-শাশুড়ির রহস্যজনক মৃত্যু
সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে চিনির। দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতা সাধারণের কাছে এখন চিনির মিষ্টি স্বাদ অনেকটাই যেন নোনতা স্বাদে পরিণত হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে চিনির দাম কেজি প্রতি প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে। আগে চিনির কেজি ছিল ৭০ টাকা। এখন সেখানে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আটা ও ময়দা ২৪ টাকা কেজির পরিবর্তে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে কালাই এবং এ্যাংকর ডালেরও। কালাইয়ের ডাল আগে ১২৪ টাকা কেজি ছিল। এখন সেখানে কেজিতে ৬ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ্যাংকর ডাল আগে ছিল ৩৪-৩৫ টাকা কেজি। আর এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা উপসর্গে ১ মৃত্যু, শনাক্ত ৩২
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। কুষ্টিয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাঁরা নিয়মিত মনিটরিং করছেন। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে কিনা এটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অসদুপায় অবলম্বন করে কেউ যদি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে থাকে তবে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।