বায়ুদূষণ
শনিবার ঢাকার বাতাসে মান ‘মধ্যম’
বায়ুদূষণে বিশ্বের ১১৯টি শহরের মধ্যে শনিবার সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে ঢাকার স্থান ৭৮তম। বাতাসের মান সূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) এ সময় ঢাকার স্কোর ৫৫। বাতাসের এ মানকে ‘মধ্যম বা গ্রহণযোগ্য’ বলে ধরা হয়।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
চীনের উহান, পাকিস্তানের লাহোর ও ভিয়েতনামের হ্যানয় যথাক্রমে ২২৬, ২১১ ও ১৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: ‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে অষ্টম দূষিত শহর ঢাকা
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
৫ দিন আগে
বুধবার ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’
ঈদুল ফিতরের আগে যেভাবে রোজই ঢাকার বাতাসের মান দূষণে বিশ্বের প্রথম দিকের তালিকায় থাকতো, সেই অবস্থা থেকে এখন কিছুটা উন্নত হয়েছে। বর্তমানে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১১৯টি শহরের মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ অবস্থানে রয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী, বাতাসের মান ৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫৯তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
নেপালের কাঠমান্ডু, ভারতের দিল্লি এবং চীনের উহান শহর যথাক্রমে ২১৬, ১৮৬ এবং ১১৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: রাতের বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মান কেমন হলো
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
৮ দিন আগে
বুধবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে তিলত্তমা শহর ঢাকাও বায়ুদূষণের কবলে।
বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে একিউআই স্কোর ১৯২ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এ সময় একিউআই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকায় ঢাকার বায়ূকে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে বায়ুদূষণে আবারও শীর্ষে উঠে এলো ঢাকা
একিউআই সূচক অনুযায়ী, ভারতের দিল্লি, মুম্বাই ও নেপালের কাঠমান্ডু শহর যথাক্রমে ২৪৮, ১৮৪ ও ১৭৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বায়ুদূষণে যে স্বাস্থ্যসমস্যা হতে পারে
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বে যেসব কারণে সবচেয়ে বেশি অকালমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, সেই তালিকায় দ্বিতীয় হচ্ছে বায়ুদূষণ। আর প্রথম হচ্ছে রক্তচাপ।
স্বল্প-সময়ের জন্য বায়ুদূষণের কবলে পড়লে অ্যাজমা হতে পারে, এমনকি হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকও হতে পারে। বিশেষ করে যেসব বয়স্কদের আগে থেকেই চিকিৎসাসংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এমন ঝুঁকি বেশি। আর দীর্ঘমেয়াদে বায়ুদূষণে থাকলে হার্ট ও ফুসফুসের মারাত্মক সমস্যা দেখা দেওয়ার শঙ্কা আছে। যা মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বায়ুদূষণের কারণে হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) ও ফুসফুসে প্রদাহ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে ৫০ কোটির বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকার বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। প্রতিদিন পাঁচ বছরের কমবয়সী ১০০টি শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে বায়ুদূষণের সম্পর্ক রয়েছে।
ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জুন কুনিজি বলেন, বায়ুদূষণে শিশুদের বৃদ্ধি কমে যায়, ফুসফুসে ক্ষতি করে এবং মানসিক দক্ষতার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। প্রতিটি শ্বাসই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তা বহুশিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৩৬ দিন আগে
বিশ্বে বায়ুদূষণে আবারও শীর্ষে উঠে এলো ঢাকা
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষে উঠে এলো তিলোত্তমা শহর ঢাকা।
সোমবার (১০ মার্চ) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশের এই রাজধানীর একিউআই স্কোর ছিল ২১২। একইসঙ্গে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে শহরটিকে।
ভারতের দিল্লি , ভিয়েতনামের হ্যানয় ও পাকিস্তানের লাহোরে যথাক্রমে ২০৯, ২০০ ও ২০০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
যখন অতি ক্ষুদ্রকণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়।
সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৩৮ দিন আগে
বিশ্বে বায়ুদূষণে আবারও শীর্ষে উঠে এলো ঢাকা
বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৩টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে। একইসঙ্গে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে শহরটিকে।
বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে জনবহুল শহরটির বাতাস মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চীনের বেইজিং, উগান্ডার কাম্পালা ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর যথাক্রমে ১৬৭, ১৬১ ও ১৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর
অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৪৩ দিন আগে
বিশ্বে বায়ুদূষণে তৃতীয় শহর ঢাকা
দূষিত বাতাস নিয়ে বিশ্বে আজও তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে একিউআই স্কোর ২১৭ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় এই অবস্থানে রয়েছে এটি।
একিউআই সূচকে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা উল্লেখ করে শহরটির আজকের বাতাস 'খুব অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
সেনেগালের ডাকার, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু শহর যথাক্রমে ২৫৮, ২৫০ ও ১৮১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় শহর ঢাকা
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৫০ দিন আগে
শনিবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। একইসঙ্গে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে শহরটিকে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ১৯১ একিউআই স্কোর নিয়ে জনবহুল শহরটির বাতাস মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নেপালের কাঠমান্ডু, উগান্ডার কাম্পালা, পোল্যান্ডের ক্রাকো ও যথাক্রমে ১৮৪, ১৮৪ ও ১৭৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আজও ঢাকার বাতাস ‘সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর’
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৫৪ দিন আগে
আন্তঃদেশীয় বায়ুদূষণ রোধে মাথা ব্যথা নেই সরকারের
জালের মতো অলিগলিতে পরিপূর্ণ ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের একটি। উন্নয়নের জোয়ারে দূষণে হাবুডুবু খাচ্ছে এই নগরীর বাসিন্দারা। কবে যে সতেজ বাতাসে তারা প্রাণভরে শ্বাস নিয়েছেন, অনেকেই তা ইয়াদ করতে পারবেন না। এর ফলে শহরে প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকায় লাখো প্রাইভেটকার, বাস, মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা, ভ্যান ও ডবল ডেকার বাসসহ হরেক রকমের গাড়ি প্রতিটি মুহূর্তে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। এসব গাড়ি থেকে কালো মেঘের মতো বেরিয়ে আসে ধোঁয়া।
এর পাশাপাশি নির্মাণকাজ, ইটভাটা ও কলকারখানার দূষণ ঢাকার বাতাসকে আরও অস্বাস্থ্যকর করে তুলেছে। এসবের সঙ্গে এসে মিশছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর দূষিত বায়ু।
বাংলাদেশের মোট বায়ুদূষণের ৩৫ শতাংশই আশপাশের দেশগুলো থেকে আসছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু আন্তঃদেশীয় এই দূষণ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
সব মিলিয়ে ঢাকায় এমন এক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা বাসিন্দাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরের একটিতে রূপান্তরিত হয় ঢাকা। বর্তমানে এই শহরে গড় গাড়ি চালানোর গতি ঘণ্টায় সাড়ে চার কিলোমিটার, যা মানুষের হাঁটার গতির কাছাকাছি।
বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুসারে, ঢাকার বাতাস সবসময়ই বিশ্বের সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর তালিকার উপরের দিকে থাকে। কখনও কখনও তা ঝুঁকিপূর্ণও হয়ে ওঠে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ২০৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী। শুধু তা-ই নয়, দূষণের স্কোরে ডবল সেঞ্চুরি পার করেছে বিশ্বের একটিমাত্র শহর—ঢাকা। ঢাকার এই বাতাস নাগরিকদের জন্য ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’।
দূষণ-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে বায়ুদূষণের যে সার্বিক অবস্থা ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার এ বছরের জানুয়ারিতে দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ঢাকায় জানুয়ারিতে একাধিক দিন বায়ুদূষণের মান ৩০০-এর বেশি হয়েছে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশে পিএম ২.৫ মাইক্রোনের গড় ঘনত্ব ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বার্ষিক বায়ুমান নির্দেশনার চেয়ে ১৬ গুণ বেশি।
আন্তঃদেশীয় বায়ুদূষণ কী?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম জানান, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে যে দূষণ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে সেইসব দেশে যে দূষণ যায়, সেটিই হচ্ছে আন্তঃদেশীয় বায়ুদূষণ।
আন্তঃসীমান্ত দূষণের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘হিমালয় থেকে, আবার ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও চীনের একটি অংশ থেকে দূষণ বাংলাদেশে আসে। এতে পুরো বাংলাদেশের ওপর দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। শীতকালে এটা বেশি আসে।’
ড. আবদুস সালাম বলেন, ‘পার্টিকেল যত ফাইনেস্ট (সূক্ষ্ম) হবে, তত বেশি সময় ধরে তা বাতাসে ভেসে বেড়াতে ও দ্রুত ভ্রমণ করতে পারবে।’
গত ২৫ বছর ধরে বায়ুদূষণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এই অধ্যাপক।
তিনি আরও বলেন, ‘শীতকালে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে এ দূষণ বাংলাদেশে আসে। বর্ষাকালে কিছু জিনিস বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায়। বাংলাদেশে যদি ১০০ শতাংশ বায়ুদূষণ থাকে, তার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আসে বাইরের দেশ থেকে।’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আইনুন নিশাত বলেন, ‘বাতাসের যে গতিবেগ, তাতে ভারত থেকে দূষণ আসাটা স্বাভাবিক। একসময় উত্তর দিক থেকে, আবার একসময় দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস (বাংলাদেশে) আসে। এই প্রক্রিয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব দিক থেকেও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হয়। এই সময়ে আমাদের পাশের দেশ ভারতের দূষিত বায়ুর কিছু অংশ আমাদের এখানে আসে।’
তিনি বলেন, ‘এটা আসে প্রাকৃতিকভাবে, তারা যে জোর করে দূষণ পাঠায়—এমন না। এ অঞ্চলের সবাই যদি বায়ুদূষণ রোধ করে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
রাস্তার ধুলা বায়ুদূষণ নয়!
অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, রাস্তার ধুলাই বায়ুদূষণ, কিন্তু সেটা ঠিক নয়। রাস্তার ধুলা বেড়ে যাওয়া কিংবা কমে যাওয়া বায়ুদূষণ নয়। রাস্তার ধুলা বড় বড় পার্টিকেল (কণা), এগুলো নাকের ভেতরে ঢুকতে পারে না। যেগুলো নাকের মধ্যে ঢুকতে পারে না, সেগুলো মানুষের কোনো ক্ষতি করে না।’
বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন তিনি এভাবে, ‘পার্টিকেলের (কণা) আকার যত ক্ষুদ্র হবে, সেটা ততই ক্ষতিকর হবে। বড় পার্টিকেলগুলো নাকের মধ্যে ঢোকে না, যে কারণে মানুষের তত ক্ষতি করে না। রাস্তার ধুলা পাবলিক ন্যুইসন্স (অস্বস্তি) তৈরি করে মাত্র, এটা সত্যিকারের বায়ুদূষণ নয়।’
তার মতে, বাতাসের মান নির্ভর করে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-১০) ও অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণের (পিএম ২.৫) ওপর, যা পরিমাপ করা হয় প্রতি ঘনমিটারে মাইক্রোগ্রাম (পার্টস পার মিলিয়ন-পিপিএম) এককে।
তিনি বলেন, ‘পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) দুই দশমিক পাঁচ কিংবা তার চেয়ে ছোট এক মাইক্রোমিটারের সমান, যেটাকে আল্ট্রাফাইন পার্টিকেল বলে। সেগুলো মানুষের মধ্যে ঢুকে পড়ে। আল্ট্রাফাইন পার্টিকেল একেবারে ছোট আকারের। এর মধ্যে কিছু আছে, যেগুলো আজকে গ্যাস থাকে, কাল পার্টিকেলে রূপান্তরিত হয়—সেগুলো মানুষের ক্ষতি করে।’
‘সিএনজি মেশিন ট্রিলিয়নের বেশি আল্ট্রাফাইন পার্টিকেল তৈরি করে। তারপর বড় বড় গাড়ি থেকে ব্ল্যাক কার্বন, ব্রাউন কার্বন ও পার্টিকেলসহ সবকিছু নির্গত হয়। পুরোনো প্রাইভেটকার থেকেও এসব দূষণ বের হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই কারণে এটা বের হয়। তার একটা হচ্ছে, এগুলো পুরনো, আরেকটা হচ্ছে এগুলোর কলকব্জা ঠিকমতো কাজ করে না।’
‘গাড়ি যত পুরোনো হয়, তত তার কানভার্শন এফিশিয়েনসি (রূপান্তর ক্ষমতা) কমে যায়। এতে দূষণ বাড়তে থাকে।’
৫৫ দিন আগে
ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, দূষণে শীর্ষে
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। একইসঙ্গে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে শহরটিকে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ২৭৬ একিউআই স্কোর নিয়ে জনবহুল শহরটি বাতাস মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও নেপালের কাঠমান্ডু শহর যথাক্রমে ২২৯, ১৯৭ ও ১৯১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে বায়ুদূষণে তৃতীয় শহর ঢাকা
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৫৯ দিন আগে
বুধবারও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান এখন ষষ্ঠ। গেল দুদিন ধরে শহরটির বাতাসের মান কিছুটা বেড়েছে। যদিও ঢাকার আজকের বাতাসকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বায়ুদূষণে ঢাকা যেখানে সবসময় বিশ্বের এক কিংবা দুই নম্বরে থাকে, সেখানে গতকাল ছিল সপ্তম, আর আজ ষষ্ঠ। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঢাকার বাতাসকে একিউআই স্কোর ১৭১ নিয়ে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
তালিকার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভিয়েতনামের হ্যানয়, বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারায়েভো, ভারতের মুম্বাই ও দিল্লি এবং পাকিস্তানের লাহোর।
আরও পড়ুন: 'অস্বাস্থ্যকর' বায়ুমান নিয়ে সপ্তম স্থানে ঢাকা
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৬৪ দিন আগে