আসন
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিত
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ২১ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৫ জুন এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করার কথা ছিল।
জাকির হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে এ আদেশ দেন।
গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থী আবদুল হাই জয়ী হন। এরপর গত ১৬ মার্চ আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
আরও পড়ুন: ইচ্ছেমতো ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
পরে আগামী ৫ জুন এ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর জারি করা গেজেট বাতিল চেয়ে একটি নির্বাচনি রিট হাইকোর্টে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে এ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল স্থগিত করে আগামী রবিবার (১২ মে) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ওই আসনের গেজেটের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে নির্বাচনি আবেদন করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব ও ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান গেজেট প্রকাশের ওপর দুই মাসের স্থগিতাদেশ দেন।
দুই মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই আবদুল হাই ইন্তেকাল করেন।
আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, ইলেকশন পিটিশন নিষ্পত্তির আগেই উপনির্বাচন হলে পিটিশনটি অকার্যকর হয়ে যাবে। সেজন্য উপনির্বাচন স্থগিতের আবেদন জানাই। হাইকোর্ট ২১ দিনের জন্য এই উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। একইসঙ্গে আগামী রবিবার থেকে নির্বাচনি পিটিশনের উপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি ঝিনাইদহ-১ আসনে প্রায় ৪৯ শতাংশ ভোট পড়ে। কিন্তু নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, ভোট পড়েছে ৫৮ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা প্রথম প্রতিবেদনের চেয়ে ২৮ হাজার ৩৮৯ ভোট বেশি।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ৮ জানুয়ারি ও ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত ভোটের ফল ও গেজেট প্রকাশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
৫ মাস আগে
ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ
ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতক ও স্নাতক পর্যায়ে ২০টি আসন বরাদ্দ দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
শনিবার (৪ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের এক বৈঠকের পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী ভর্তির বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বিশেষ করে ছাত্রীদের ভর্তির অনুমতি, বৃত্তি প্রদান ও আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: চলমান তাপপ্রবাহে অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে ঢাবি
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেন।
তিনি আরও বলেন, তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রতিবছর কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং তাদের জন্য বৃত্তি ও আবাসন সুবিধা প্রদানের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহযোগিতা করবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি ছাত্র ভর্তির আগ্রহ প্রকাশ করায় তাকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. জিল্লুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. শামসাদ মর্তুজা ও জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
৫ মাস আগে
পাকিস্তানের সংসদ নির্বাচন: সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী ইমরানের মিত্ররা
প্রায় দুই বছর আগে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিত্ররা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে জাতীয় নির্বাচনে বেশি আসনে জিতেছে।
রবিবার(১১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে এই চিত্র দেখা গেছে।
ভোট কারচুপি, নজিরবিহীন মোবাইল ফোন বন্ধ এবং ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টিকে (পিটিআই) ভোট থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ হয়।
নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে তাদের দলের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপের কারণে পিটিআইয়ের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এর একটি পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে দলটির নির্বাচনী প্রতীক কেড়ে নেওয়া, যা নিরক্ষর ভোটারদের ব্যালটে প্রার্থী খুঁজে পেতে সহায়তা করে। আরেকটি ছিল দলীয় সমাবেশ নিষিদ্ধ করা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া ইমরানকে। এরপর গত আগস্ট থেকেই কারাগারে রয়েছেন তিনি। ফৌজদারি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে ইমরান খানকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিষিদ্ধ করা হয়। এখনও তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন।
চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ২৬৬টি আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন পেয়েছেন।
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক দণ্ডপ্রাপ্ত নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএল-এন) ৭৫ আসন পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পি) ৫৪টি আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে একটি আসনের ফলাফ স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রার্থী নিহতের ঘটনায় আরেকটি আসনের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। ২০২২ সালে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রচারণার নেতৃত্বে ছিল পিএমএল-এন এবং পি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ে বোমা হামলায় নিহত ১৪
কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে সরকার গঠন করতে পারেনি, তাই পাকিস্তানের সরকার গঠনে এবার জোট বাঁধতে হবে। নতুন পার্লামেন্ট দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে।
নির্বাচনের ফলাফল নওয়াজ শরিফের জন্য বিব্রতকর। গত অক্টোবরে মসৃণভাবে দেশে ফিরে আসার কারণে শক্তিশালী নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের পছন্দের প্রার্থী হিসাবে তিনি বিবেচিত হয়েছিলেন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বরাবরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চূড়ান্ত মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেদের ভূমিকা তুলে ধরেছে।
কারাদণ্ড এড়াতে নওয়াজ শরিফ চার বছর বিদেশে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকলেও পাকিস্তানে আসার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাতিল হয়ে যায় তার সাজা।
এমনকি ভোটের দিনও নওয়াজ শরিফ জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, তিনি জোট চান না এবং একটি দলকে পুরো পাঁচ বছরের মেয়াদ দেওয়ার দাবি করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পেছনে তার দল পিছিয়ে থাকতে দেখে তিনি জোটগঠন ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমঝোতার কথা বলেন।
নওয়াজ শরিফ কখনোই পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকেননি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করেছে ইসিপি
৮ মাস আগে
স্থগিত নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ চলছে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্থগিত হওয়া নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে নিজেদের ভোট প্রদান করছেন। ভোটের পরিবেশ সুন্দর রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। অপরদিকে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ করতে গ্রহণ করা হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আজ সকালে পত্নীতলা উপজেলার ৫৬নং পুইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোট দেন। সবার আগে ভোট দিয়ে শহিদুল আলম বেন্টু বলেন, খুব ভালো লাগছে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছি।
তার মতো ৮০ বছরের ছলিম উদ্দীন ভোট দিতে এসে বলেন, ভোট দিতে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। কারণ জাতীয় ভোট ৫ বছর পর আসে। তাই ভোট দেওয়া মিস করবো না। কারণ আগামীতে ভোট দেওয়ার সৌভাগ্য নাও হতে পারে।
এই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৮৮০ জন। আমরা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যই সকল প্রস্তুতি শেষ করে ভোটগ্রহণ শুরু করেছি। আশা রাখি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় আমরা সুষ্ঠ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করতে পারব।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়: সিইসি
পত্নীতলা উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ১১৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৯৯ হাজার ২৭১ এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৯৯ হাজার ৮৪৬ জন। নির্বাচনে ৭১ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৪০২ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৮০৪ জন। ভোটের মাঠে ১২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে।
অপরদিকে ধামইরহাট উপজেলায় আট ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ৩০১ জন, নারী ৭৮ হাজার ৭১৩ ও তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন। নির্বাচনে ৫৩ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৩০৪ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৬০৮ জন। এবারই প্রথমবারের মতো ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। ভোটের দিন পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে মোট ৯ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানিং অফিসার মো. গোলাম মওলা জানান, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য রয়েছে। এছাড়াও গড়ে প্রতি চারটি কেন্দ্রের জন্য একটি করে পুলিশের মোবাইল টিম রয়েছে। রয়েছে স্ট্রাইকিং টিম ও রিজার্ভ টিমও। এর বাইরেও রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। র্যাব, বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন নির্বাচনি দায়িত্বে। এক কথায় পুরো এলাকাকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। কেউ নূন্যতম কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইসির খসড়া তালিকায় বর্তমান ভোটার ১২.১৭ কোটির বেশি
এবার নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ভোটযুদ্ধে লড়বেন চার জন প্রার্থী। ভোটের মাঠে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ট্রাক প্রতীকের ইঞ্জিনিয়ার আকতারুল আলম, ঈগল প্রতীকের মেহেদী মাহমুদ রেজা ও লাঙ্গল প্রতীকের তোফাজ্জল হোসেন। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চারজন থাকলেও মূল লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক মারা গেলে এ আসনের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে গত ৮ জানুয়ারি নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচনে পুনরায় তফসিল ঘোসণো করে নির্বাচন কমিশন। এ পুনরায় তফসিল অনুযায়ী আজ ভোটগ্রহণ চলছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি উপনির্বাচন ৯ মার্চ: ইসি
৮ মাস আগে
শরীয়তপুর-২ আসনে ভোট কেন্দ্রে আগুন
রাতের আঁধারে শরীয়তপুরের নড়িয়ার একটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও কয়েকটি বেঞ্চ পুড়ে গেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে শরীয়তপুর-২ আসনের নড়িয়া উপজেলার চরমোহন সুরেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ২ ভোট কেন্দ্রে আগুন
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নড়িয়ার ঘরিষার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ৬৫নং চরমোহন সুরেশ্বর স্কুলের জানালা দিয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
আগুনের ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সাধারণ জনতা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এসময় জনতার টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বেলকুচিতে তাঁত কারখানায় আগুন, ক্ষতি প্রায় অর্ধ কোটি
বিষয়টি নিয়ে ঘরিষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব খান বলেন, আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তিনটি বেঞ্চ পুড়ে যাওয়া ছাড়া ভোট কেন্দ্রটির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, ৩৭৮টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্রের জানালার গ্লাস ভেঙে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। কেন্দ্রটির তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আশা করছি একটি সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাসে আগুন, দগ্ধ হেলপার
৯ মাস আগে
সিলেট-২ আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস
সিলেটের বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-২ আসনে জমে উঠেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লড়াই। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
মন জয়ের নানা চেষ্টা করছেন তাদের। আসনটিতে কাগজে-কলমে প্রার্থী সাতজন হলেও ভোটারদের আলোচনায় রয়েছেন মাত্র তিনজন।
তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী (নৌকা); জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া (লাঙল) এবং গণফোরাম মনোনিত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য)।
এ আসনের তৃণমূল বিএনপি মনোনিত প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রব (সোনালী আঁশ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনিত প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসেন (আম) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনিত প্রার্থী মো. জহির (ডাব) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান (ট্রাক) তেমন কোনো আলোচনায় নেই।
আরও পড়ুন: বরিশাল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা-গুলির অভিযোগ
যার ফলে ভোটের মাঠে নৌকা, লাঙল ও উদীয়মান সূর্য প্রতীকের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাচ্ছেন ভোটাররা। অনেক ভোটারের সঙ্গে আলাপ করেই এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী নির্বাচনী মাঠে থাকা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশ্বনাথের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২৩ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত ও গণফোরাম মনোনিত প্রার্থী মোকাব্বির খান।
ওই নির্বাচনে জামানত হারান দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত ও জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া।
এছাড়া, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনিত হেভিওয়েট প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য এম. ইলিয়াস আলীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের কারণে সিলেট-২ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ফলে, টানা এক দশক চরম হতাশায় ছিল ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার দুই আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপার দুই প্রার্থীর
তবে, এবার আসনটি ভাগাভাগির কবলে না পড়ায় এবং শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রার্থী থাকায় তাদের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। সাধারণ সমর্থকদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস।
যেকোনো মূল্যে আসনটি পূণরুদ্ধার করতে দলীয় প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও নেতা-কর্মীরা দিন-রাত অবিরাম প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে, টানা দুই নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেওয়া হলেও এবার তার ব্যতিক্রম হওয়ায় কিছুটা হতাশ দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
তাদের প্রত্যাশা, শেষ পর্যন্ত পুরো উদ্যমে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়বেন সবাই। ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীকে নির্বাচিত করে উদ্ধার করবেন হারানো দূর্গ।
তবে, বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরে গণফোরামের উল্লেখ করার মতো কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং নেতা-কর্মী না থাকায় পাঁচ বছরে নিজের করা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে অবলম্বন করেই মাঠে-ঘাটে প্রচারণা চালাচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য গণফোরামের মোকাব্বির খান।
সবমিলিয়ে বর্তমান ও সাবেক তিন সংসদ সদস্যের প্রচার-প্রচারণায় ধীরে ধীরে সরগরম হয়ে উঠা সিলেট-২ আসনের ভোটাররা মুখিয়ে আছেন শেষ পর্যন্ত কে হন তাদের কান্ডারি-সেটা দেখার জন্য।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
৯ মাস আগে
খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনে ভোটার এক কোটি ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৩জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬৭ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯১জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ৬৭ লাখ ২০৫ জন।
মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৮৪ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩০ হাজার ২৫৩টি। খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর এসব তথ্য জানান।
খুলনা বিভাগের মোট ৩৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের সংখ্যা ৩২২টি, যার মধ্যে বৈধ ২২৮টি, বাতিল ৯৪ টি এবং প্রত্যাহার করা হয় ৩৮টি মনোনয়নপত্র। বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনের মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৩৬ জন।
বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮২জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৮৪ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮৪ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১৪ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭৯৩টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৪৭২০টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯ জন।
আরও পড়ুন: খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেনের গুলি করার হুমকি!
বাগেরহাট জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৩৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮৮টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ২৭৯৬টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৬ জন।
সাতক্ষীরা জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ২২৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৪ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ৬৯ হাজার ২২৮জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১২ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬০২টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩৭১৮টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩০ জন।
যশোর জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭৬ হাজার ১০৫জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৩ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১৫জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮২৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৫ হাজার ২১৭টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩২জন।
নড়াইল জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৪১ হাজার ১৩২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ২০ হাজার ১২৯জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৩ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৫৭টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৪৪১টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৪ জন।
মেহেরপুর জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯১৫জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ২জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২০৭টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ২৯৮টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৩জন।
আরও পড়ুন: খুলনা-৪ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আ. লীগের প্রার্থীকে আদালতে তলব
ঝিনাইদহ জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৫ লাখ ১ হাজার ৪৮০জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭০ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১২জন, জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩ হাজার ৪২১টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৬জন।
কুষ্টিয়া জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ২২ হাজার ৫১৬জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ২১ হাজার ৩৮৮জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫৭৮ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩৮২৩টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩১ জন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৮ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৯২জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৮ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৩৫৪ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ২ হাজার ২২২টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৫ জন।
মাগুরা জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯২০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২০৫ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭১০জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৫ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৯৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৫৯৭টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১০ জন।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১০ জন রিটার্নিং অফিসার, ৭১ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ৪ হাজার ৯৮৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩০ হাজার ২৫৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৬০ হাজার ৫০৬ জন পোলিং দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: জমে উঠেছে খুলনা- ৪ আসনের নির্বাচন, হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
১০ মাস আগে
রাজশাহী-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের (ঈগল প্রতীক) নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুর্গাপুর পৌর সদরের সিংগা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন আহত হয়েছেন। যাদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের কর্মকর্তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনী কার্যালয়ের ভেতরে ও বাইরের অবস্থান করছিলেন। এ সময় ৩ যুবক এসে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল নিক্ষেপ করে শিবপুরের দিকে দ্রুত পালিয়ে যায়। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটলে ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়েছে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নৌকার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৭ নেতা-কর্মী আহত
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহসহ আশেপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
দুর্গাপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছালিমুদ্দিন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাতে একটি পক্ষ আমাদের প্রচার অফিসে বোমা নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও রাজশাহী-৫ আসনে তার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। আমার নেতা-কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে, হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত হবে না।’
বিষয়টি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত ভবে জানানো হবে বলেও জানান ওবায়দুর রহমান।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনী কার্যালয়ে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে দুইজন সামন্য আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তাদের ঘটনাস্থলে পায়নি।’
ওসি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ককটেলের আলামত জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী-৫ আসনের আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
রাজশাহী-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৩ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ
১০ মাস আগে
সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অবশেষে প্রতীক পেলেন
উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে প্রতীক পেয়েছেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান মুহিব।
তার পছন্দের প্রতীক ছিল ‘ট্রাক’। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মুহিব এই প্রতীকই চেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সেটি তাকে বরাদ্দ দিয়েছে ইসি।
মুহিবকে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সার্বিক সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান।
এর আগে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ৪ ডিসেম্বর মুহিবুরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে ১৫ ডিসেম্বর তার আপিল নামঞ্জুর করা হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
পরে ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পান মুহিবুর রহমান। তবে মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রতীকের দাবিতে ডিসি অফিসের সামনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মুহিবের অবস্থান
এর আগে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা শুরু করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিব। তিনি ‘ট্রাক’ প্রতীকের পোস্টার ও ব্যানার ছাপিয়ে সেগুলো বিভিন্ন স্থানে টানিয়ে শুরু করেন প্রচারণা।
এজন্য মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মুহিবকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সম্রাট হোসেন। তিনি নিজে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার দাবিতে সমর্থকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন মুহিবুর রহমান। এরপর রাতে তাকে প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
সিলেট-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী, গণফোরামের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. জহির, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসাইন ও মুহিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
১০ মাস আগে
নাটোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর
নাটোর সদর উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায় নাটোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আহাদ আলী সরকারের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেছে দুবৃত্তরা।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ সভা করেছে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
এদিকে ঘটনার পর প্রার্থী ও তার সমর্থনে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ সভা করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান প্রার্থীসহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্ত্তুজা আলী বাবলু।
এলাকাবাসীদের থেকে জানা গেছে, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে একদল দুবৃত্ত ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আহাদ আলী সরকারের নির্বাচনী ক্যাম্পে গিয়ে চেয়ার ভাঙচুর ও তছনছ করে এবং পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (ডিজি) করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হকের সমর্থকদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
১০ মাস আগে