অধিবেশন
২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ইউনূস
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবেন অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
জুলাই-আগস্ট মাসে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত সব শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে সফর সংক্রান্ত বক্তব্য তুলে ধরেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে। এ অধিবেশনে যোগদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন।
আরও পড়ুন: জাতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান ইউনূস
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবার বাংলাদেশ থেকে শতাধিক সদস্যের প্রতিনিধিদল চার্টার্ড বিমানে নিউ ইয়র্ক সফর করবেন না। বরং যার যেই সংশ্লিষ্টতা বা দায়িত্ব, সে অনুযায়ী যতটা সম্ভব সীমিত আকারে প্রতিনিধিদল গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি আমার দায়িত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উচ্চ-পর্যায়ের সভাসমূহে অংশগ্রহণের জন্য ভিন্ন একটি ফ্লাইটে দুই দিন আগে নিউ ইয়র্কে যাব। প্রধান উপদেষ্টা তিন দিন নিউ ইয়র্কে অবস্থান করে সফর শেষে ২৭ সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবেন।
এবছর সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য হলো- ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার অগ্রগতির জন্য একযোগে কাজ করা।’
বিশ্বব্যাপী আস্থার সংকট, বহুপাক্ষিকতা ও আলোচনার পথ উপেক্ষা করার ফলে সৃষ্ট সংকট থেকে সংঘাত, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির পাশাপাশি উদ্ভূত নানারকম বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে কার্যকর ও সমন্বিত পদক্ষেপের অনুপস্থিতি– ইত্যাদি প্রেক্ষাপটে এবারের প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত অর্থবহ।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবছরের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এবছরই জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ একটি উচ্চ-পর্যায়ের সংবর্ধনার আয়োজন করছে। এ সংবর্ধনায় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদলের প্রধানদের পাশাপাশি জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, কিছু সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান, বিভিন্ন সংস্থা প্রধান অংশগ্রহণ করার আশাবাদের কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ কথা বলার অবকাশ রাখে না যে, প্রধান উপদেষ্টার পরিচিতি এবং সুনাম বিশ্বব্যাপী। এ কারণে অনেকগুলো বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা তার সাক্ষাৎকার গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও সভায় অংশগ্রহণের জন্যও অনুরোধ এসেছে। যেহেতু তিনি মাত্র তিন দিন নিউ ইয়র্কে অবস্থান করবেন, সেহেতু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এই স্বল্প সময়েরর মধ্যে সবার অনুরোধ রক্ষা করা বেশ কঠিন।
তিনি বলেন, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বক্তব্য দেবেন। তিনি তার বক্তব্যে বিগত দুই মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থানের বিবরণ ও আগামী দিনে জনভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বিশ্বব্যাপী সংঘাত, রোহিঙ্গা সংকট, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিকূলতা, উন্নয়নশীল দেশসমূহ থেকে সম্পদ পাচার প্রতিরোধ, নিরাপদ অভিবাসন, অভিবাসীদের মৌলিক পরিষেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রযুক্তির টেকসই হস্তান্তর, এবং ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়সমূহ তার বক্তব্যে উঠে আসতে পারে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ মানবাধিকার সম্পর্কিত হাইকমিশনার, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএসএইডের প্রশাসকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিয়ে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
তৌহিদ বলেন, এরকম সময়ে অনেক বৈঠকের সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তেও হয়ে যায়। সে বিবেচনায় নতুন বৈঠক তালিকায় যোগ হতে পারে; আবার সময়ের অভাবে কোনো বৈঠক বাদও যেতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হবে: ড. ইউনূস
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ইতালির প্রেসিডেন্ট এবং কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের আলোচনা চলছে। এছাড়াও, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, এবারের সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে আমিও বেশ কয়েকটি ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করব। এর মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলো সামিট অব দ্যা ফিউচার। এটি আগামী ২২-২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য সামিট অব দ্যা ফিউচার-এ বিশ্ব নেতারা প্যাক্ট অব দ্যা ফিউচার শীর্ষক একটি ভবিষ্যৎমুখী ঘোষণাপত্র গ্রহণ করবেন। এই প্যাক্ট অব দ্যা ফিউচারের সংযুক্তি হিসেবে ডিক্লারেশন অন দ্যা ফিউচার জেনারেশনস এবং গ্লোবাল ডিজিটাল কম্প্যাক্ট শীর্ষক আরও দু’টি ঘোষণাপত্র গৃহীত হবে বলে আমরা আশাবাদী।
উল্লেখ্য, এই তিনটি ডকুমেন্টের চলমান সমঝোতা প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনা ও মত বিনিময়ের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের সহযোগিতায় ঢাকায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ।
উপদেষ্টা বলেন, এছাড়া আমি আরও যেসব সভায় অংশগ্রহণ করব বলে আশা করছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের মন্ত্রীপর্যায়ের সভা, কমনওয়েলথ রাষ্ট্রসমূহের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভা, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের সভা, স্বল্পোন্নত দেশসমূহের বার্ষিক মন্ত্রীপর্যায়ের সভা এবং এশিয়া সহযোগিতা সংলাপের মন্ত্রী পর্যায়ের সভা ইত্যাদি।
এছাড়া আমরা রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের সাইড ইভেন্টও আয়োজন করছি।
তিনি বলেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার কাজ শুরু করেছে। এ প্রেক্ষাপটে এবারের অধিবেশন নতুন বাংলাদেশের জন্য জাতিসংঘে বা বিশ্ব সভায় নতুন পদচারণা। বিশ্ব দরবারে বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশকে উপস্থাপনের জন্য এবারের অধিবেশনে আমাদের কাছে একটি বিরাট সুযোগ।
জাতিসংঘের অগ্রাধিকার ইস্যুগুলো প্রত্যেকটি বাংলাদেশের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই ইস্যগুলোর উপর যেসব ইভেন্ট আছে, বাংলাদেশ তার সব কয়টিতেই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ বহুপক্ষীয় কূটনীতিকে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে মনে করে। সার্বিক বিবেচনায় এবারের অধিবেশনে উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত ও সুদৃঢ় করবে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারের প্রতিষ্ঠিত গুম সংস্কৃতির সমাপ্তি ঘটাতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: ড. ইউনূস
৩ মাস আগে
সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই (সংসদে) উঠবে, অবশ্যই পাস হবে।’
আরও পড়ুন: দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, “আইএলও’র গভর্নিং বোর্ডের মিটিং আগামী মার্চে হবে। আমাদের যে অগ্রগতি ও এই শ্রম আইনের ব্যাপারে কী সব কাজ করছি তার একটা ব্রিফিংয়ের জন্য আজকের মিটিংটা ছিল।”
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন। মন্ত্রণালয়কে তিনি কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখেন তারই প্রতিফলন এটা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে ব্রিফ করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করার পরই সবকিছুর আলোচনা আপনাদের সঙ্গে করতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আমি আপনাদের কোনো তথ্য দিতে পারব না।’
আরও পড়ুন: দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই: আইনমন্ত্রী
শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়েও আজকে আমরা আলোচনা করেছি। এখানেও যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী একটা পরিবর্তন এনেছি, আমি খুব শিগগির প্রধানমন্ত্রীকে এটা নিয়ে ব্রিফ করব।’
স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করা আপনারা যৌক্তিক মনে করছেন কি না- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘শ্রমিকরা যেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পরিবেশের জন্য সেটাই গ্রহণ করা সমীচীন হবে।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
১০ মাস আগে
একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার
চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের সর্বশেষ অধিবেশন ২৫তম অধিবেশন শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। চলমান এই সংসদের প্রায় ৩১ জন সদস্য মারা যাওয়ার রেকর্ড হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অপেক্ষায় আছেন আরও তিনজন। যারা এক মিনিটের জন্যও অধিবেশনে বসার সুযোগ পাবেন না।
আসনগুলো হলো- পটুয়াখালী-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩।
আগামী ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন এবং ২৭ নভেম্বর পটুয়াখালী-১ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হয়। আগামী ২৯ জানুয়ারি বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হবে।
সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সে অনুযায়ী আগামী ১ নভেম্বর থেকে নির্বাচনের মেয়াদ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বিল-২০২৩ পাস
নির্বাচনকালীন সময়ে সংসদের অধিবেশন ডাকার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আবার অধিবেশন আহ্বানে কোনো বাধাও নেই।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদের মোট কার্যদিবস ছিল ২৭২ দিন।
প্রায় ১৬৫টি বিল পাস হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মোট ১ হাজার ৩৩৬টি প্রশ্ন ছিল। প্রধানমন্ত্রী ৫৬৬টি প্রশ্নের উত্তর দেন। অন্যান্য মন্ত্রীদের জন্য প্রায় ৩০,৬৪১ টি প্রশ্ন উন্থাপিত হয়েছিল। এর মধ্যে মন্ত্রীরা ১৭ হাজার ৭৬২টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
গত ২২ অক্টোবর একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনটি নয় কার্যদিবস স্থায়ী হলেও চলতি অধিবেশনের মাত্র আট দিনে প্রায় ২৫টি বিল পাস হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সাতটি বিল পাস হয়।
এর আগে দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে ১৯টি বিল পাস হয়।
বর্তমান সংসদেও রেকর্ড সংখ্যক সংসদ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৪ বছর ৯ মাসে একাদশ জাতীয় সংসদের মোট ২৫টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে সপ্তম, অষ্টম ও দশম জাতীয় সংসদের সর্বোচ্চ ২৩টি করে অধিবেশন ছিল।
আরও পড়ুন: মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৩৬৫ ডলার: অর্থমন্ত্রী
এছাড়া নবম সংসদে ১৯টি এবং পঞ্চম সংসদে ২২টি অধিবেশন রয়েছে। মাত্র একটি অধিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ষষ্ঠ সংসদ।
সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত অধিবেশনের রেকর্ডও এই সংসদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারির সময়ে সংসদের একটি অধিবেশন একদিনে মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়।
২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল বর্তমান সংসদের সপ্তম অধিবেশন শুরু হওয়ার পর তা দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হয়। করোনাকালে বিশেষ আয়োজনে বেশ কয়েকটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বর্তমান সংসদে দুটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর চেয়েও বেশি সময় বর্তমান সংসদে উপস্থিত ছিলেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ৫২ দিন সেখানে ছিলেন। তবে অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিদেশে চিকিৎসার জন্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকস তহবিল পেতে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিল-২০২৩ সংসদে পাস
১ বছর আগে
নয়াদিল্লিতে আন্তর্জাতিক সৌর জোটের ৬ষ্ঠ অধিবেশন অনুষ্ঠিত
ভারতের নয়াদিল্লিতে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সৌর জোটের (আইএসএ) ৬ষ্ঠ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ভারতের বিদ্যুৎ ও নতুন ও নবায়নযোগ্য শক্তিমন্ত্রী শ্রী রাজ কুমার সিং। আইএসএর ১১৬টি সদস্য ও স্বাক্ষরকারী দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা অধিবেশনে অংশ নেন।
এই উপলক্ষে শ্রী রাজ কুমার সিং বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ জনসংখ্যা এমন দেশে বাস করে যেগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির আমদানির উপর নির্ভর করে। নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট বিদ্যুতের ৬৫ শতাংশ সরবরাহ করতে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ৯০ শতাংশ কার্বনমুক্ত করতে পারে। আন্তর্জাতিক সৌর জোট সদস্য দেশগুলিকে সৌরকে শক্তির উৎস হিসেবে বেছে নিতে, বিনিয়োগ আকর্ষণের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে এবং বাড়ন্ত বিশ্ব চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘এর জন্য আইএসএ তার ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং (ভিজিএফ) পদ্ধতির মাধ্যমে দেশে প্রতি প্রকল্পে ১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রকল্পের ব্যয়ের ১০ শতাংশ (যেটিই কম) অনুদান প্রদান করে। অধিবেশনে প্রকল্পের ধারণা এবং দেশগুলোর প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে প্রকল্পের ব্যয়ের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
অধিবেশনের সহসভাপতি ফ্রান্সের উন্নয়ন, ফ্র্যাঙ্কোফোনি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের প্রতিমন্ত্রী হেলেন জাকারোপুলো বলেন, ‘ফ্রান্সের জন্য আইএসএ ক্লিন এনার্জির উন্নয়ন এবং জলবায়ু বিঘ্ন মোকাবিলা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। আমাদের জোটকে নিয়মিত এবং ক্রমবর্ধমান সমর্থনসহ আমরা এই প্রকল্পে আমাদের পূর্ণ ভূমিকা পালন করছি।’
তিনি বলেন, ‘ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার (এএফডি) মাধ্যমে আমরা ২০১৬ সাল থেকে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি মূল্যের সৌর প্রকল্পে অর্থায়ন করেছি। ফ্রান্স পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আমরা তা ত্বরান্বিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গত বছর, আমরা আমাদের অংশীদারদের জলবায়ু অর্থায়নে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থ সরবরাহ করেছি। এগুলো কেবলমাত্র সংখ্যা নয়, বরং বাস্তব প্রকল্প। যেমন বেনিনের ওনিগবোলো সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ; যা আমরা এই বছর সম্পন্ন করেছি। যা বেনিনের জনগণের কাছে ২৫ মেগাওয়াট ক্লিন এনার্জি নিয়ে এসেছে।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে ডিপিআই ও এআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের অংশীদারদের ন্যায্য শক্তি রূপান্তর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অর্থায়নেও সহায়তা করি। এটি আমাদের সমস্ত আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের প্রতিষ্ঠাতা নীতি: জাতীয় কর্মসূচি ও অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে। সৌর বিপ্লবকে শক্তির অভিগম্যতার একটি বিস্তৃত কৌশল দ্বারা সমর্থিত হতে হবে। আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে এই জোটের বিশ্বের বৃহৎ চ্যালেঞ্জগুলোর একটির সমাধান প্রদানের ক্ষমতা রয়েছে, বিশ্বের অসঙ্গতি সত্ত্বেও।’
আন্তর্জাতিক সৌর জোটের মহাপরিচালক ড. অজয় মথুর বলেন, ‘বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এবং নির্ভরযোগ্য শক্তি না পাওয়াদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে এমন প্রয়োগে সৌর শক্তির বিকাশ ত্বরান্বিত করার জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। যেমন- সৌর মিনি-গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া, কৃষি পাম্পে শক্তি জোগানো, কোল্ড স্টোরেজ পরিচালনা ইত্যাদি।’
তিনি বলেন, ‘আইএসএ এলডিসি ও এসআইডিসহ ৫৫টি উন্নয়নশীল দেশে ৯ দশমিক ৫ গিগাওয়াটেরও বেশি সৌর অ্যাপ্লিকেশন সুবিধা প্রদান করছে এবং সৌর শক্তিকে সমর্থন করে জীবিকা নির্বাহের উপায়গুলোর উপর উন্নয়নশীল বিশ্বজুড়ে প্রায় চার হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আমরা আমাদের সদস্য দেশগুলোতে সৌর শক্তি বিষয়ে প্রযুক্তি, জ্ঞান ও দক্ষতার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে এমন স্টার কেন্দ্রগুলো গড়ে তুলতে কাজ করছি।’
ড. অজয় মথুর বলেন, ‘এছাড়াও, আইএসএ সৌর মিনি-গ্রিডগুলোকে বিশ্বব্যাপী শক্তির অভিগম্যতা প্রদান করতে সক্ষম করছে, বিশেষ করে যেখানে গ্রিড সম্প্রসারণ খুব ব্যয়বহুল। গ্যারান্টিগুলো বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে আকর্ষণ করতে সাহায্য করে এবং আইএসএ আফ্রিকার সদস্য দেশগুলোতে তার গ্লোবাল সোলার সুবিধার মাধ্যমে গ্যারান্টি প্রদানের জন্য এমন একটি পদ্ধতি তৈরি করেছে। আমরা এই দেশগুরোর উদ্যোক্তাদেরকেও সক্ষম করছি, যারা সাহায্যে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলজুড়ে সৌর শক্তির প্রধান সরবরাহকারী হতে পারে।’
২০২০ সালের মে মাসে এলডিসি ও এসআইডির চাহিদা পূরণের জন্য আইএসএ নমুনা প্রকল্প শুরু করে। এর লক্ষ্য ছিল সৌর প্রযুক্তির অ্যাপ্লিকেশনগুলো প্রদর্শন করা, যা স্কেল আপ করা যেতে পারে এবং উপকারী সদস্য দেশগুলোর ক্ষমতা গড়ে তোলা। আইএসএ-র সহায়তায় স্থাপিত চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন শ্রী আর কে সিং।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে:
মালয় প্রজাতন্ত্রের সংসদ ভবনের সৌরায়ণ, ফিজি প্রজাতন্ত্রের দুটি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সৌরায়ণ, প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য ৮ কিলোওয়াট সৌর পিভি সিস্টেম এবং ২০ কিলোওয়াট ব্যাটারি স্টোরেজ ক্ষমতাসহ সেইচেল প্রজাতন্ত্রের লা দিগ দ্বীপে কৃষি অংশীদারদের সুবিধার্থে ৫ মেট্রিক টন ক্ষমতার একটি সৌর চালিত কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন। এছাড়া, কিরিবাতি প্রজাতন্ত্রের নওয়াই জুনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল (জেএসএস)-এ ২৪ কিলোওয়াট বিএসএসের সঙ্গে জুড়ি ৭ কিলোওয়াট সৌর পিভি ছাদ সিস্টেমসহ সৌরায়ণ।
প্রকল্পগুলো আইএসএর সদস্য দেশগুলোকে সৌর শক্তি উন্নয়নে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতির প্রমাণ। আইএসএ সৌর শক্তির সুবিধাগুলো সবার কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করে চলবে, যাতে আমরা একটি টেকসই ও স্বচ্ছ শক্তি ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে পারি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় টেক্সাইল ট্যালেন্ট হান্ট ৮.০ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শ্রী সিং বলেন, ‘আইএসএ অনুদান উদ্যোগের আওতায় আইএসএ’র প্রদত্ত ৫০ হাজার মার্কিন ডলার প্রতিটি প্রকল্পের মাধ্যমে মালয় প্রজাতন্ত্র, ফিজি প্রজাতন্ত্র, সেইচেল প্রজাতন্ত্র এবং কিরিবাতি প্রজাতন্ত্রের চারটি প্রকল্প উদ্বোধন করা আমার সম্মান ও সৌভাগ্যের। আইএসএ আমাদের সদস্য দেশগুলোর অর্জনকে স্বীকৃতি দেয় এবং সৌর শক্তির মাধ্যমে শক্তি রূপান্তরের কারণে তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে। আমাদের সম্মিলিতভাবে একে অপরের সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ থেকে শিখতে হবে।’
অধিবেশনটিতে আইএসএ’র সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার প্রতিটি সদস্য দেশের প্রতিনিধিত্ব করা হয়।
এই সংস্থা আইএসএর ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির বাস্তবায়ন এবং এর উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য গ্রহণযোগ্য সমন্বিত পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অধিবেশনটি বার্ষিকভাবে মন্ত্রী পর্যায়ে আইএসএর সদর দপ্তরে বসে।
এটি সৌর শক্তি স্থাপন, কর্মক্ষমতা, নির্ভরযোগ্যতা, খরচ ও অর্থায়নের স্কেলের ক্ষেত্রে প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য কার্যক্রমের সামগ্রিক প্রভাব মূল্যায়ন করে।
আইএসএর ষষ্ঠ অধিবেশনে শক্তি অভিগম্যতা, জ্বালানি সুরক্ষা এবং শক্তি রূপান্তরের তিনটি জটিল বিষয়ের উপর আইএসএর মূল উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আন্তর্জাতিক সৌর জোট (আইএসএ) ১১৬টি সদস্য এবং স্বাক্ষরকারী দেশ নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এটি সরকারগুলোকে সৌর শক্তির ব্যবহার সহজ করতে এবং কার্বন-নিরপেক্ষ ভবিষ্যতে টেকসই রূপান্তর হিসেবে সৌর শক্তির প্রচারে সহায়তা করে।
আইএসএর লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে সৌর শক্তিতে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং প্রযুক্তি ও এর অর্থায়ন খরচ কমানো। এটি কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবহন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে সৌর শক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করে।
আইএসএ সদস্য দেশগুলো নীতি ও বিধিমালা প্রণয়ন, সেরা অনুশীলন শেয়ারিং, সাধারণ মানদণ্ডে সম্মত হওয়া এবং বিনিয়োগ সংগঠনের মাধ্যমে পরিবর্তন নিয়ে আসছে।
এই কাজের মাধ্যমে আইএসএ সৌর প্রকল্পের জন্য নতুন ব্যবসায়ী মডেল শনাক্ত, নকশা এবং পরীক্ষা করেছে; সরকারগুলোকে সহজে সৌর বিশ্লেষণ এবং পরামর্শের মাধ্যমে তাদের শক্তি বিধিমালা এবং নীতিগুলোকে সৌরবান্ধব করতে সহায়তা করেছে; বিভিন্ন দেশ থেকে সৌর প্রযুক্তির জন্য চাহিদা পূরণ করেছে এবং খরচ কমিয়েছে; ঝুঁকি কমিয়ে এবং খাতটিকে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলে অর্থায়নে অভিগম্যতা উন্নত করেছে; সৌর প্রকৌশলী এবং জ্বালানি নীতি নির্ধারকদের জন্য সৌর প্রশিক্ষণ, ডেটা এবং অন্তর্দৃষ্টির অ্যাক্সেস বৃদ্ধি করেছে।
আইএসএ ভারতে সদর দপ্তর সহকারে প্রথম আন্তর্জাতিক আন্তঃসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে একটি। এটি বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি), উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ডিএফআই), বেসরকারি ও সরকারি খাতের সংগঠন, নাগরিক সমাজ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছে যাতে বিশেষ করে অনুন্নত দেশ (এলডিসি) এবং ছোট দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে (এসআইডি) সৌর শক্তির মাধ্যমে ব্যয়বহুল ও রূপান্তরমূলক সমাধান স্থাপন করা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জাতীয় যুব উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে ‘সফল’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
তিনি বলেন, ‘বহুপাক্ষিক ফোরামে আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। আন্তর্জাতিক ইস্যু সম্পর্কে, আমি আশা করি এটি সহযোগিতার পরিধি প্রসারিত করবে। সামগ্রিক বিবেচনায়, আমি মনে করি এই অধিবেশনে (ইউএনজিএ) বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সফল হয়েছে।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান ও সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এ বছরের অধিবেশনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে উদারতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তার ভাষণ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে মানবতার অভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো সম্মিলিতভাবে মোকাবিলায় বিভক্তি, বিচ্ছিন্নতা ও বিচ্ছিন্নতার ওপর ঐক্য, সংহতি ও বহুপাক্ষিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে উল্লেখ করেছেন যে, সরকার দেশের সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে ও এটি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, ইউক্রেন যুদ্ধ, মহামারি ও রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব নিয়ে সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সন্ত্রাসী হুমকি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার, সহিংসতা উস্কে দেওয়া, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। তিনি বলেন, তার সরকার সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করে।
একই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য মানবাধিকার ইস্যুকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করার দাবি জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে জরুরি পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক 'ফুড ব্যাংক' প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল ফসলের গবেষণা ও উন্নয়নে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
পাশাপাশি তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা পুনর্বাসন, মহামারি, এসডিজি অর্জনে খাদ্য সহযোগিতা এবং অন্যান্য ইস্যুতে অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে যোগ দেন।
কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পর্কিত একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস, ডিজিটাল ও আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অগ্রাধিকার উপস্থাপন করেন।
এ ছাড়া তিনি নিউইয়র্কে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে 'এসডিজি সামিট-লিডার্স ডায়ালগ-৪ (এসডিজি অর্জনে সমন্বিত নীতি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাইড ইভেন্টে ভবিষ্যতে যেকোনো মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি কাঠামো প্রণয়নের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি আয়োজিত কমিউনিটি সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে গভীর সমুদ্র থেকে বৃহৎ আকারে মাছ আহরণ রোধ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় 'গভীর সাগর সম্পর্কিত জাতিসংঘের চুক্তি' সই করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া হাঙ্গেরির সঙ্গে তিনটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক এবং কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতির বিষয়ে কাজাখস্তানের সঙ্গে আরেকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন এবং অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ ছাড়া ভয়েস অব আমেরিকাকে সাক্ষাৎকার দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাবিষয়ক এপিপিজি'র সভাপতি রুশনারা আলীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসাবিষয়ক ছায়ামন্ত্রীসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী এখন লন্ডনে
ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
চলতি সংসদের শেষ অধিবেশন শুরু ২২ অক্টোবর
জাতীয় সংসদে আগামী ২২ অক্টোবর অধিবেশন শুরু হবে। এটিই ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগে বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশন।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) ধারা অনুযায়ী তার ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২২ অক্টোবর (রবিবার) বিকাল ৪টায় অধিবেশন শুরু হবে।
আরও পড়ুন: শেষ হলো জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বর্তমান সংসদের ২৪তম অধিবেশন ৯টি বৈঠকের পর স্থগিত করা হয়।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ায় ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদ তার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে চলেছে।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে, সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হলে সংসদ ভেঙে দেওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সে অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু
৩১ মে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু
১ বছর আগে
সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন বুধবার (৩১ মে) বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয়েছে।
সংসদের এ অধিবেশনে বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হবে। বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
আরও পড়ুন: ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহের সুপারিশ জাতীয় সংসদের
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৭২(১) অনুচ্ছেদ দ্বারা তাকে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে সংসদের ২৩তম অধিবেশন (বাজেট অধিবেশন) আহ্বান করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে।
যা পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ৭৫ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা (২৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ)।
মূল এডিপি বরাদ্দের মধ্যে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা স্থানীয় উৎস থেকে এবং ৯৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া হবে।
২০২২ সালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন।
আরও পড়ুন: সংসদের ২৩তম অধিবেশনের জন্য ৫ সদস্যের প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনীত
মন্ত্রণালয়ে ক্রয় ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
১ বছর আগে
সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে বৃহস্পতিবার
আইনসভার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একাদশ সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে বৃহস্পতিবার। এটি বর্তমান সংসদ বা জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনও হবে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৭ এপ্রিল সংসদে দেশের অর্জন ও আইনসভার ভূমিকা তুলে ধরে স্মারক ভাষণ দেবেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বিশেষ অধিবেশন চার কার্যদিবস চলার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ১৭ লাখ: জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রী
সংসদ সদস্যদের আলোচনা সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর একটি প্রস্তাব জাতীয় সংসদে গৃহীত হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গৃহীত বছরব্যাপী কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন।
১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের অধিবেশনের দিনটির কথা স্মরণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ২০২৩ সালে সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি। সেজন্য ৭ এপ্রিল সংসদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।’
তিনি বলেন, সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং স্পিকার সবাই নারী।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, এই কার্যক্রমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সংসদের বিশেষ অধিবেশন।
এদিন বেলা ১১টায় হাউস অধিবেশনে যাওয়ার আগে সংসদের ব্যবসায় উপদেষ্টা কমিটি তার সময়কাল এবং ব্যবসা নির্ধারণের জন্য স্পিকারের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে বসতে পারে।
বিশেষ অধিবেশন ছাড়াও জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী স্মরণে বছরব্যাপী কিছু অনুষ্ঠান থাকবে।
স্পিকার বলেন, ‘আমরা সিনিয়র সংসদ সদস্য এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পারস্পরিক মতবিনিময়ের কথা ভাবছি। সিনিয়র সংসদ সদস্যরা সেখানে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনও করতে চাই। সেটা হতে পারে বাজেট অধিবেশনের পর। সেখানে আমরা অন্যান্য দেশের কয়েকজন বক্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাব। আশা করি এটি সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হবে। এটি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে পারে।’
এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের সংসদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে বিইআরসি আইনের সংশোধনী পাস
হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) বিল জাতীয় সংসদে
১ বছর আগে
রাশিয়া-বাংলাদেশ আন্তঃসরকার কমিশনের চতুর্থ অধিবেশন ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত
দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্কের মূল প্রক্রিয়া বাণিজ্য, অর্থনীতি, বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহযোগিতার (আইজিসি) ওপর রাশিয়া-বাংলাদেশ আন্তঃসরকারি কমিশনের চতুর্থ অধিবেশন সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাশিয়ান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন রাশিয়ান ফেডারেশনের ফেডারেল এজেন্সি ফর ফিশারিজের প্রধান ইলিয়া শেস্তাকভ এবং বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান।
দলগুলো বলেছে যে অস্থিতিশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে উদ্ভূত লজিস্টিক ও আর্থিক অসুবিধা সত্ত্বেও বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে।
তারা ‘রূপপুর’ এনপিপি প্রকল্পের ধারাবাহিক বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ‘গ্যাজপ্রম ইপি ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্টস বি.ভি.’ এর সফল
কার্যক্রম সন্তুষ্টির সঙ্গে উল্লেখ করেছে। বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে সংকটের পটভূমিতে রাশিয়ান এলএনজি, তেল এবং তেল পণ্য কেনার সুযোগ, কয়লা শিল্পে সহযোগিতা এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানির যৌথ বিকাশ, বিশেষত- পারমাণবিক এবং সৌর শক্তি অনুসন্ধান করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দেশের মাধ্যমে রাশিয়ার তেল কিনতে পারে বাংলাদেশ
অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রযুক্তি এবং যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতিশীল ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রেলওয়ে শিল্প, ধাতুবিদ্যা, যান্ত্রিক প্রকৌশল, রাসায়নিক শিল্প এবং প্রকৌশলকে আন্ডারস্কোর করা হয়েছে।
আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তায় সম্পর্ক জোরদারে পারস্পরিক আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
প্রতিনিধি দলগুলো কৃষি পণ্যের পারস্পরিক সরবরাহ আরও বাড়াতে, প্রয়োজনীয় ভেটেরিনারি এবং ফাইটোস্যানিটারি ডকুমেন্টেশন অনুমোদনের মাধ্যমে তাদের পরিসর বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকের কাঠামোর মধ্যে বিজ্ঞান ও শিক্ষার বিষয়গুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। উভয় পক্ষই ফেডারেল বাজেটের ব্যয়ে রাশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের জন্য একাডেমিক সার্কেল এবং কোটা বৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্কের নিবিড়তা তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার জ্বালানি আমদানিতে বাধা হবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা
বাংলাদেশে মানবসম্পদ উন্নয়ন, ভূতাত্ত্বিক ও সামুদ্রিক গবেষণা পরিচালনার মতো উদ্যোগের ওপর জোর দিয়েছিল।
অংশগ্রহণকারীরা কাস্টমস সহযোগিতা, মান নিয়ন্ত্রণ এবং সার্টিফিকেশন, বেসামরিক বিমান চলাচল, যোগাযোগ, আইসিটি, শিক্ষার পারস্পরিক স্বীকৃতি, যোগ্যতা এবং একাডেমিক ডিগ্রির ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক আইনি কাঠামো সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
বর্তমান নিষেধাজ্ঞার ও প্রতিবন্ধকতার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকিং সম্পর্ক স্থাপন এবং একটি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য নিষ্পত্তি ব্যবস্থার তাৎক্ষণিক সৃষ্টির গুরুত্বও উল্লেখ করা হয়েছে।
আলোচনার ফলস্বরূপ, পক্ষগুলো আশা প্রকাশ করেছে যে আইজিসি-এর সমন্বিত ভূমিকা আন্তঃরাষ্ট্র ও ব্যবসায়িক সহযোগিতাকে গুণগতভাবে নতুন স্তরে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাশিয়ান-বাংলাদেশের বাণিজ্যের ইতিবাচক গতিশীলতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নিকট যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দাবির জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সংকট সমাধানের জন্য চাপ দিয়েছেন। যেহেতু বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে আগত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় রোহিঙ্গাদের দ্বারা সংঘটিত পরিবেশ ধ্বংস, মাদক পাচার ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে সর্বশেষ অনুপ্রবেশের পর থেকে বাংলাদেশ গত পাঁচ বছর ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের (রোহিঙ্গাদের) জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা এখন কমছে। তাই তাদের আর আশ্রয় দেয়া সম্ভব না। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে হবে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে