ধূমপান
ধরাছোঁয়ার বাইরে শহরের এক নীরব ঘাতক শব্দদূষণ
সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত একজন ব্যক্তি কোনো অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলেন না, ধূমপান করলেন না। তা সত্ত্বেও তিনি রোগাক্রান্ত হলেন! কারণ আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াচ্ছে এক নীরব ঘাতক।
ধরাছোঁয়ার বাইরে, কিন্ত আমাদের শরীর ও মন কোনোকিছুই রেহাই পাচ্ছে না এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে। হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, এমনকি মস্তিস্ক থেকে স্মৃতি হারিয়ে যাওয়ার মতো শারীরিক ক্ষতি করতে পারে এই ঘাতক।
এই নীরব ঘাতক কোনো অস্ত্র কিংবা বিষ নয় বরং এটি শব্দ দূষণ। এটি শুধু যে শ্রবণশক্তি কমিয়ে দেয় তা নয়, এটি মানবদেহে নানা ক্ষতি করে থাকে।
অবাক করার মতো বিষয় হলো আমাদের রাজধানী ঢাকা বিশ্বে শব্দ দূষণের শীর্ষে অবস্থান করছে। ঢাকা শহরে রাস্তায় নামলে মাঝে মাঝে মনে হয়, গাড়ি চালকেরা যেন হর্ন বাজানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। কোনো কিছু সামনে পড়ে গেলেই কানফাটা শব্দে বেজে উঠছে হর্ন।-খবর বিবিসির
আরও পড়ুন: শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমাতে শব্দদূষণ রোধ জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা
এছাড়া নানা উৎসব আয়োজনে উচ্চশব্দে গান বাজানো, নির্মাণ কাজ, গ্রিল-টাইলস কাটা, মেশিনে ইট ভাঙা, নানা প্রচারণায় মাইক বাজানো, জেনারেটরের শব্দে কানের অবস্থা নাজেহাল হয়ে যায়। এই শহরের মানুষ বাধ্য হয়েই এই শব্দের তাণ্ডবের সঙ্গে মানিয়ে নেয়। কিন্তু এই শব্দদূষণ কীভাবে আমাদের ক্ষতি করছে, তা আমরা সবাই জানি তো?
সেন্ট জর্জেসের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক শার্লট ক্লার্ক বলেছেন, ‘শব্দদূষণ এমন একটি জনস্বাস্থ্যগত সমস্যা, প্রচুর মানুষ এই সমস্যায় পড়ে থাকেন। কিন্তু এমন একটি সমস্যা নিয়ে আমরা খুব কমই কথা বলি।’
শব্দদূষণ কখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে, সেটি কিভাবে মানুষের ক্ষতিসাধন করে, তা জানতে অনুসন্ধান চালিয়েছেন বিবিসির এক সাংবাদিক জেমস গ্যালাঘের। এ সময় তিনি কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন, এই ঘাতকের হাত থেকে বাঁচার কোনো উপায় আছে কিনা সে উত্তরও খুঁজে দেখেছেন।
প্রথমেই জেমস অধ্যাপক ক্লার্কের সঙ্গে একটি সম্পূর্ণ নিঃশব্দ ল্যাবরেটরিতে যান। সেখানে তিনি নানা পরীক্ষার মাধ্যমে দেখান কোন ধরনের শব্দে মানবশরীর কেমন প্রতিক্রিয়া জানায়। এজন্য তাকে মোটা স্মার্টওয়াচের মতো যন্ত্র পড়ানো হয়।
সাধারণত এই কাজে হার্টরেট মনিটর (যা হৃদস্পন্দন পরিমাপ করে), গ্যালভানিক স্কিন রেসপন্স (ত্বকের ঘাম থেকে স্নায়বিক উত্তেজনা পরিমাপ করে), ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাফি (অ্যামিগডালার সক্রিয়তা পরিমাপ করে) ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
যন্ত্রটি জেমসকে পরানোর পরে তাকে ঢাকার যানজটের সময় রেকর্ড করা ভিন্ন পাঁচটি শব্দ শোনানো হয়। তিনি জানান, ‘তীব্র এক যানজটের মধ্যে রয়েছেন— এমন মনে হচ্ছিল তার। তার পরিহিত যন্ত্রের সেন্সরে এই শব্দের কারণে তার হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার রেকর্ড হয়। শুধু তাই নয়, ঘামছিলেনও।’
অধ্যাপক ক্লার্ক বলেন, ‘এই পরীক্ষা প্রমাণ করে শব্দ মানুষের হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে। কারণ উচ্চশব্দে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়।’
জেমস জানান, ‘ঢাকার ওই পাঁচটি শব্দের মধ্যে বাচ্চাদের খেলা করার সময়ে আনন্দপূর্ণ কোলাহলের শব্দটি তার শরীরে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, বাকি কুকুরের ঘেউ ঘেউ কিংবা গভীর রাতে অন্য বাসায় উচ্চশব্দে গান বাজানোর শব্দে তার শরীরে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
কিন্তু একেক রকম শব্দে কেন শরীর ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করে জানতে চাইলে ক্লার্ক বলেন, ‘আমাদের শরীর শব্দ সংবেদনশীল। রাগ, উত্তেজনা, ভয়ের মতো শব্দেও শরীর প্রতিক্রিয়া করে।’
ক্লার্ক জানান, ‘কানই প্রথমে যেকোনো শব্দ গ্রহণ করে। এরপর সেটি ককলিয়ার নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পাঠায়। এরপর অ্যামিগডালা নামে মস্তিস্কের একটি অংশ এই শব্দ চিহ্নিত করে প্রতিক্রিয়া জানায়।’
যখনই কোনো উচ্চমাত্রার শব্দ মস্তিষ্কে পৌঁছায়, এরপর অ্যামিগডালা সেটি শনাক্ত করলে তা আমাদের নার্ভার্স সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে। এতে শরীরে কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়।
প্রথমদিকে এতে ক্ষতি না হলেও কয়েকবছর ধরে একইরকম শব্দ শুনতে থাকলে তা মানুষের রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি করে। ফলে হার্ট অ্যাটাক, উচ্চরক্তচাপ, লেভেল ২ ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি সৃষ্টি করে বলে জানান অধ্যাপক ক্লার্ক। তাছাড়া এটি শ্রবণশক্তিও কমিয়ে দেয় বলে জানান তিনি।
আরও আশঙ্কার কথা হলো, আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি, তখনও শব্দ ঠিক একইভাবে আমাদের ক্ষতি করে। ক্লার্ক বলেন, ‘মানুষের কান সদা জাগ্রত। তাই আমরা ঘুমিয়ে থাকলেও শব্দ শুনতেই থাকি। একারণে আশপাশে উচ্চশব্দ থাকলে তা ঘুমন্ত অবস্থাতেও ক্ষতি করে।’
আসলে শব্দদূষণ একটি অবাঞ্ছিত বিষয়। ধরুন, আপনার পাশের বাড়িতে কারো বিয়ে, তারা আনন্দ করতে গান বাজাচ্ছে। এই আনন্দ তাদের পাশাপাশি অন্যদেরও ক্ষতিসাধন করে চলে। আর এটি আমরা বুঝতেই পারি না, আবার নিজে বুঝলেও অন্যকে বুঝাতে পারি না।
বিবিসির প্রতিবেদনে শব্দদূষণে ক্ষতির শিকার কয়েকজন ভুক্তভোগীর কথা উঠে এসেছে। জেমসের কাছে দেওয়া সাক্ষাতকারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন স্পেনের বার্সালোনার ভিলা দে গ্রাসিয়া এলাকারনিবাসী কোকো।
তিনি জানান, ‘ইতোমধ্যেই বুকের ব্যথা নিয়ে দুইবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার বাসার আশপাশের উচ্চ শব্দের কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে বলে কোকোর ধারণা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য শব্দদূষণ সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনাকারী গবেষক ড. মারিয়া ফোরাস্টারের মতে, শুধু ট্র্যাফিক শব্দের কারণে বার্সেলোনায় প্রতি বছর আনুমানিক ৩০০টি হার্ট অ্যাটাক ও ৩০টি মৃত্যু ঘটে।
ড. মারিয়া জানান, ইউরোপে প্রতিবছর ১২ হাজারের মতো অকাল মৃত্যু, নিদ্রাহীনতা ও নানা ধরনের মানসিক সম্যসার সঙ্গে শব্দদূষণ জড়িত। ৫৩ ডেসিবলের বেশি মাত্রার শব্দই হার্টের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মারিয়া বার্সোলোনার একটি সড়ক ঘুরিয়ে দেখান জেমসকে, যেখানে শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবলের চেয়ে কম। তিনি জানান, এই এলাকার যানবাহনগুলো ধীরে চলার কারণে ও অতিরিক্ত হর্ণ না বাজানোর কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়াও সড়কের পাশ পথচারীদের হাঁটার জায়গা, ক্যাফে ও ফুলের বাগানের জন্য ফাঁকা জায়গা রয়েছে। কিছু শব্দ যে আমাদের জন্য ভালো তাতো জেমস তিনি ল্যাবরেটরিতে বুঝতে পেরেছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ৬৫ ডেসিবেল (ডিবি) এর উপরে শব্দের মাত্রা দূষণ হিসাবে বিবেচিত হয়। যার মধ্যে ৭৫ ডিবি ক্ষতিকারক এবং ১২০ ডিবি সরাসরি যন্ত্রণাদায়ক। ২০১৮ সালে ডব্লিউএইচও স্বাস্থ্যগত কারণে ট্র্যাফিক শব্দকে ৫৩ ডিবিতে সীমাবদ্ধ করার সুপারিশ করেছিল।
বাংলাদেশে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী, নীরব এলাকায় গ্রহণযোগ্য শব্দসীমা দিনের বেলায় ৫০ ডেসিবেল এবং রাতে ৪০ ডেসিবেল। আবাসিক এলাকায় দিনের জন্য ৫৫ ডিবি এবং রাতের জন্য ৪৫ ডিবি। মিশ্র অঞ্চলে দিনের জন্য ৬০ ডিবি এবং রাতের জন্য ৫০ ডিবি। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনের জন্য ৭০ ডিবি এবং রাতের জন্য ৬০ ডিবি এবং শিল্পাঞ্চলে দিনের জন্য ৭৫ ডিবি এবং রাতের জন্য ৭০ ডিবি।
কিন্তু, ঢাকার বাসিন্দারা প্রতিদিন বাসাবাড়িতে, কর্মস্থলে, স্কুল এমনকি হাসপাতালগুলোতে বিপজ্জনক মাত্রার শব্দের সম্মুখীন হচ্ছেন। শব্দদূষণ কেন এত বৃদ্ধি পাচ্ছে— এই প্রশ্নের উত্তরে জেমসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, নগরায়নের ফলের শহরগুলোতে এই সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নিয়মিতই সম্প্রসারণ ঘটছে মেগাসিটি ঢাকার। এটি বিশ্বের অন্যতম বর্ধনশীল নগরী। যার ফলে যানবাহন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঢাকায়। আর হর্ন বাজানো সম্ভবত ঢাকার গাড়ি চালকদের একটি বড় বদভ্যাস। ট্রাফিক সিগনাল ও জ্যামে আটকে থাকার সময় সামনে এগনো যাবে না জেনেও হর্ন বাজান তারা।
ঢাকার শহরের এই শব্দদূষণ প্রতিরোধ করতে আন্দোলন করে অনেকের নজর কেড়েছেন শিল্পী মোমিনুর রহমান রয়াল। তিনি ‘একাকী নায়ক’ নামে পরিচিত। তিনি প্রতিদিন ঢাকার কোনো এক ব্যস্ত সড়কে ১০ মিনিট একটি হলুদ প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রচণ্ড শব্দে হর্ণ বাজানো বন্ধ করতে তিনি এই কাজ করে থাকেন।
আরও পড়ুন: শব্দদূষণকারীদের প্রতিহত করতে হবে: পরিবেশ সচিব
শুধু ঢাকাই নয়, তিনি সমগ্র বাংলাদেশ থেকেই এই উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো বন্ধ করতে চান। শব্দ দূষণের জন্য তিনি কেবল মানুষকেই দায়ী করেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, তিনি মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর শব্দদূষণের প্রভাব নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, ‘দুয়েক বছরের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, তবে ঢাকার শব্দদূষণ অব্যশই কমিয়ে আনা সম্ভব। কম শব্দে মানুষ যখন ভালো অনুভব করবেন, তখন নিজেরাই তাদের অভ্যাস পরিবর্তন করবেন।’
তবে শব্দদূষণ দূর করা কঠিন, জটিল ও চ্যালেঞ্জপূর্ন বল মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা। এদিকে শব্দ দূষণকে ‘এক নীরব ঘাতক ও ধীরে কাজ করা বিষ’ বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের অধ্যাপক ড. মাসরুর আবদুল কাদের।
৬ দিন আগে
তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে: জানুন কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
স্ট্রোক এমন এক ভয়াবহ স্বাস্থ্য জটিলতা যেখানে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কেবল বার্ধক্য পীড়িতদের মধ্যেই নয়, তরুণদের মধ্যেও রয়েছে স্ট্রোকের ঝুঁকি। আর এই প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান এই স্বাস্থ্য সংকট নিয়েই আজকের স্বাস্থ্য-বিষয়ক নিবন্ধ। কোন কোন বিষয়গুলো এর জন্য দায়ী, কিভাবে তা শনাক্ত করবেন, এ থেকে বাঁচার উপায়ই বা কি- চলুন তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
তরুণদের মাঝে স্ট্রোকের প্রবণতা বৃদ্ধির কারণ
তৈলাক্ত বা ভাজা খাবারের প্রতি আসক্তি
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহুগুণে বেড়েছে ভাজা-পোড়া খাবারের বিচিত্রতা। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত রেস্তোরাঁ পর্যন্ত সর্বত্র রীতিমত উৎসবমুখর আয়োজনে চলে নিত্য-নতুন পরিবেশনা। আর সেগুলোতেই হামলে পড়েন তরুণরা। এদের মধ্যে যাদের একটু বেশি ভোজনপ্রীতি রয়েছে, তারা কোনোরকম বাছ-বিচারের তোয়াক্কা করেন না। ফলে দেখা দিচ্ছে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরল- যার প্রতিটিই স্ট্রোকের ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
এই মুখরোচক খাবারগুলোতে থাকে ট্রান্স ফ্যাট, পরিশোধিত শর্করা এবং অত্যধিক সোডিয়াম। এই উপাদানগুলো ধমনীতে প্লাক তৈরি করে রক্তের প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটায়। কোনো নিয়ন্ত্রণ ব্যতীত এই ভোজ অভ্যাসে পরিণত হলে তা প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণ হয়। এর ফলে রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয় ও চরম পর্যায়ে পুরো নালীই ক্ষতিগ্রস্ত হয়; পরিণতিতে স্ট্রোক হয়।
আরো পড়ুন: রমজানে রোজা রাখার প্রস্তুতি: দেহ ও মনকে সুস্থ রাখতে করণীয়
শরীরের দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা
প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কমে গেছে কায়িক শ্রমের কাজ। এর বদলে জায়গা করে নিয়েছে মানসিক শ্রমযুক্ত কাজ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিবাহিত হচ্ছে কম্পিউটারের সামনে বসে। এখানে দীর্ঘ সময় যাবত শরীরের পেশীগুলোর ন্যূনতম নড়াচড়া হয় না।
একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া কেন্দ্রিক জীবনব্যবস্থা বিশাল তরুণ সমাজকে ঠেলে দিয়েছে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের দিকে। ফলে সবচেয়ে কর্মক্ষম শ্রেণিটির দিনের একটা বড় সময় কেটে যাচ্ছে বসে বা শুয়ে থাকা।
এই অচলাবস্থা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে দুর্বল করে তোলে। শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব রক্ত সঞ্চালনের দক্ষতা হ্রাস করে, যার ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ হয় না। আর এরই কারণে শরীরের ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের উপক্রম হয়। এগুলো সবই স্ট্রোকের দিকে পরিচালিত করে। নিষ্ক্রিয় পেশীগুলো রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে রক্তের ধমনীতে ক্লট তৈরি হয়ে স্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন: বাইপোলার ডিসঅর্ডার: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার
ধূমপান এবং উদ্দীপক পানীয় গ্রহণ
তামাক ব্যবহারে ধমনীকে শক্ত করে দেয়, যার ফলে বাড়ে রক্তের চাপ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় রক্তনালী। নিকোটিন এবং কার্বন মনোক্সাইড মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমায়, যা ক্লট গঠনের অন্যতম প্রধান কারণ। উপরন্তু, উচ্চ ক্যাফেইন বা উদ্দীপক পানীয় হৃৎপিণ্ডের নিয়মিত ছন্দে ব্যাঘাত ঘটায় এবং রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এই পদার্থগুলোর অত্যধিক সেবন স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। এতে দীর্ঘমেয়াদে রক্তনালী ধ্বংস হয়, যা স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ।
দুশ্চিন্তা ও মানসিক অসুস্থতা
বিগত দশকে শারীরিক সমস্যাগুলোর পাশাপাশি অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে মানসিক জটিলতাগুলো। অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, হতাশা ও নিরাশার নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হওয়া জনগোষ্ঠির একটা বিশাল অংশ তরুণ সম্প্রদায়।
দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ কর্টিসলের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তচাপ ও প্রদাহ বৃদ্ধিতে অংশ নেয়, যেগুলো স্ট্রোকের দিকে নিয়ে যায়। উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং ক্ষতিকারক পদার্থ সেবনের সঙ্গে জড়িত। উপরন্তু, রক্ত সঞ্চালনে চাপের তারতম্য ক্ষণস্থায়ী স্ট্রোকের সূত্রপাত ঘটায় যেটি ইস্কেমিক অ্যাটাক নামে পরিচিত। এর আরেক নাম মিনি-স্ট্রোক, যা সাধারণত বড় কোনও স্ট্রোকের আগে হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
স্ট্রোকের যে লক্ষণগুলো তরুণদের মধ্যে দেখা যায়
আকস্মিক দুর্বলতা
স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় লক্ষণগুলোর একটি হচ্ছে হঠাৎ দুর্বলতা বা অসাড়তা। এটি সাধারণত শরীরের যে কোনও একপাশ অসাড় হওয়া থেকে শুরু হয়। শরীরের আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের নেপথ্যে থাকে মূলত মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল। সেখানে রক্ত প্রবাহ না গেলেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় পর্যুদস্ত ব্যক্তিরা তাদের এক হাত বা পা তুলতে বেশ ভারী অনুভব করে। কারও ক্ষেত্রে তাদের মুখের একপাশ ঝুলে যায়। কোনও ক্ষেত্রে এই দুর্বলতা কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে, আবার কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হয়।
কথা বলার সময় শব্দ উচ্চারণে প্রতিবন্ধকতা
মস্তিষ্কের একটি অংশ রয়েছে যেটি কথা বলার সময় মুখের স্বাভাবিক পেশী সঞ্চালন অব্যাহত রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রোকের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের এই অঞ্চলটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে কথা বলার সময় সুসংগত বাক্য গঠনে অসুবিধা হয়। কিছু ব্যক্তি অ্যাফেসিয়া অনুভব করতে পারে। এটি এমন এক অবস্থা যেখানে সঠিক শব্দটি স্মরণে আসে না বা কথাগুলো অসংলগ্ন হয়। কেউ কেউ ডিসার্থ্রিয়ায় ভুগেন। এর ফলে মুখ এবং জিহ্বার পেশী দুর্বল হয়ে যায় বিধায় উচ্চারণ সমস্যা দেখা দেয় এবং শব্দগুলো অস্পষ্ট শোনায়। এই উপসর্গগুলো হঠাৎ ঘটতে পারে এবং পরবর্তীতে এর তীব্রতা ওঠানামা করতে পারে।
আরো পড়ুন: রক্তের গ্রুপ: কে কাকে রক্ত দিতে পারবে?
দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত
মস্তিষ্কের ভিজ্যুয়াল প্রসেসিং এলাকাটি মানুষের দৃষ্টিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করে। এখানে রক্ত প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে দৃষ্টিশক্তিতে অসঙ্গতি দেখা দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তিরা এক বা উভয় চোখে অস্পষ্ট দেখে, কেউ কেউ সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে। সাধারণ লক্ষণের মধ্যে আরও রয়েছে ডিপ্লোপিয়া বা ডাবল ভিশন, যার ফলে ব্যক্তি যে কোনও জিনিস দুটো দেখতে পায়। এক চোখে অস্থায়ী অন্ধত্ব অ্যামাউরোসিস ফুগাক্স নামে পরিচিত। এটি আসন্ন স্ট্রোকের জন্য একটি সতর্ক সংকেত।
গুরুতর মাথাব্যথা
তীব্র মাথাব্যথা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পূর্বাভাস হতে পারে যার কারণে হেমোরেজিক স্ট্রোকের উপক্রম হয়ে থাকে। সাধারণ মাথাব্যথার সঙ্গে এর পার্থক্য হলো এটি আকস্মিকভাবে বাড়তে থাকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বমি বমি ভাব, বমি; এমনকি ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। ব্যক্তি শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন না। কোনো কিছু না ধরে হাঁটা বা দাড়িয়ে থাকা তার জন্য বেশ কঠিন হয়ে উঠবে।
সাধারণ বোধের অবনতি এবং স্মৃতিভ্রম
মূল সমস্যাটা যখন মস্তিষ্ক কেন্দ্রিক, তখন বোধগম্যতা ও স্মৃতিশক্তির বিলোপ ঘটাটা স্বাভাবিক। এর শুরুটা হয় আকস্মিকভাবে কোনো কিছু ভুলে যাওয়া থেকে। ব্যক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কিছুর প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন না। কি কি বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে সামঞ্জস্যতা বিধান করা এদের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে। কেউ কেউ পরিচিত লোকেদের পরিপূর্ণভাবে চেনার জন্য বেশ সময় নিয়ে ফেলেন। এদের অনেকেই পারিপার্শ্বিক অবস্থা বুঝে প্রাসঙ্গিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে ব্যর্থ হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এরা হতবাক বা নির্লিপ্ত হয়ে যান।
আরো পড়ুন: মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন
তরুণদের মধ্যে যারা নিয়মিত ধূমপান ও উদ্দীপক পানীয় গ্রহণ করেন এবং দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপে রয়েছেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি সর্বাধিক। এছাড়াও অতিরিক্ত স্থূলতা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস এবং দীর্ঘ সময় বসে থাকা সামগ্রিকভাবে স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ায়।
উপরন্তু, পরিবারে পূর্বে কারও উচ্চ রক্তচাপ বা রক্ত জমাট বাঁধার ব্যাধি থাকলে তারাও এই ঝুঁকির আওতায় পড়েন।
তরুণদের স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়
সুষম খাদ্যাভ্যাস গঠন
নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে একটি পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা তৈরি করা উচিত। বিভিন্ন ধরনের বীজ জাতীয় খাবার, ফলমূল, শাকসবজি এবং চর্বিহীন প্রোটিন কোলেস্টেরল গঠন প্রতিরোধ করে ধমনী সুদৃঢ় রাখতে সাহায্য করে। মাছ এবং বাদামে পাওয়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদযন্ত্রে ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে। অপরদিকে, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সম্মিলিতভাবে এই খাবারগুলো স্ট্রোকের বিরুদ্ধে শরীরকে রীতিমত দূর্গ বানিয়ে তুলতে পারে।
আরো পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
নিয়মিত শরীর চর্চা
সুষম খাবার গ্রহণ এবং উপযুক্ত শরীর চর্চা উভয়েরই যুগপৎভাবে চলতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে রক্তচাপ হ্রাস করে এবং স্থূলতা প্রতিরোধ করে। দ্রুত হাঁটা, জগিং এবং সাইকেল চালানোর মতো অ্যারোবিক ব্যায়াম হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। একই সঙ্গে ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়, যা ধমনীকে শক্ত হয়ে যাওয়া থেকে দূরে রাখে। শরীর চর্চা বিপাকীয় স্বাস্থ্যকে সমুন্নত রেখে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও শারীরিক অনুশীলন প্রদাহ কমায়, যা রক্তে ক্লট তৈরির প্রধান প্রভাবক।
ক্ষতিকর অভ্যাস এড়িয়ে চলা
স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য তামাক, অ্যালকোহল ও অন্যান্য মাদক থেকে দূরে থাকা অত্যাবশ্যক। এমনকি সাধারণ ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত সেবনও রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
দীর্ঘদিনের অভ্যাস বদলানোর জন্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতার সরণাপন্ন হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবার ও আশেপাশে থাকা আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিরও পরম সদিচ্ছা ও প্রচেষ্টা থাকা জরুরি। তাৎক্ষণিক ভাবে পরিত্যাগের সুযোগ না থাকলেও প্রতিদিন একটু একটু করে চেষ্টা করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অন্যান্য ইতিবাচক কায়িক শ্রমযুক্ত কাজের মধ্য দিয়ে মনকে সার্বক্ষণিক ব্যতিব্যস্ত করে রাখতে হবে। একই সঙ্গে অবসরগুলো প্রিয় জনদের আন্তরিক আড্ডায় ভরিয়ে তুলতে হবে।
আরো পড়ুন: সার্কেডিয়ান রিদম বা দেহ ঘড়ি নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলা
স্ট্রোকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার জন্য স্বাস্থ্যকর ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। রাত জেগে কাজ করে দিনে ঘুমানো মোটেই উৎপাদনশীলতার সহায়ক নয়। বরং তা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য বিনষ্টের পটভূমি তৈরি করে। রাতে ঘুমানোর ক্ষেত্রেও দেরি করা অনুচিত। কারণ এর ধারাবাহিকতায় এক সময় পুরো রাত অনিদ্রায় কেটে যায়। এর জন্য বিশেষ করে ডিজিটাল ডিভাইসগুলোতে স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনা আবশ্যক। কেননা স্মার্টফোনে অতিবাহিত সময়ের বিস্তৃতি গভীর রাত ছাড়িয়ে যায়। এই কারণে স্মার্টফোন ব্যবহারকারিদের সিংহভাগ তরুণ সমাজকে প্রায় অনিদ্রায় ভুগতে দেখা যায়।
এই সমস্যার নিরসণকল্পে যত দ্রুত সম্ভব ঘুমিয়ে পড়ে ভোরে সূর্যের আলো ফোটার আগেই উঠে যাওয়া উত্তম। এটি মুক্ত বাতাসে শারীরিক অনুশীলনের জন্য শ্রেষ্ঠ সময়। ঘুমাতে যাওয়া এবং জেগে ওঠার সময়টিও প্রতিটি একই ভাবে অনুসরণ করতে হবে। ঘুমের ভিন্ন রুটিন মন-মেজাজের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা পরিণতিতে স্বাস্থ্যহানির অবতারণা ঘটায়।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটানো
হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক ফাংশনের জন্য খাওয়া, ঘুম, ও ব্যায়ামের পাশাপাশি মানসিক চাপমুক্তিও দরকারি। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও বদমেজাজ সম্পন্ন ব্যক্তিদের রক্তচাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা বেশি থাকে। এর বিপরীতে ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং নিয়মিত শরীর চর্চা মানসিক ভারসাম্যের ক্ষেত্র তৈরি করে।
আরো পড়ুন: অটিজম কী? অটিজম সচেতনতা ও সহমর্মিতা কেন জরুরি?
এর সঙ্গে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে যুক্ত হতে পারে যে কোনও কাজ-কর্মে ইতিবাচকতা এবং স্বল্পতুষ্টি। এই দৃষ্টিভঙ্গি উদ্বেগ, বিষণ্নতা বা মানসিক আঘাতকে লাঘব করার শক্তি দেয়। নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনাগুলোর প্রতিক্রিয়া কিভাবে করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে পরিচালিত হয় একজন ব্যক্তির জীবন-ব্যবস্থা। ভালো-মন্দ নির্বিশেষে প্রতিটি ঘটনায় ইতিবাচক ও গঠনমূলক সাড়া প্রদানের মাধ্যমে সুস্থ মনের বিকাশ ঘটানো সম্ভব।
শেষাংশ
তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের ক্রমবর্ধমান ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন এবং মানসিক অসুস্থতা। কায়িক শ্রম না করা ও ক্ষতিকর খাদ্যাভ্যাস এই প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করে। এর ফলে আকস্মিক দূর্বলতা, উচ্চারণগত অস্বাভাবিকতা, দৃষ্টি, বোধ ও স্মৃতি শক্তির অবনতির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। রুটিন মাফিক সুষম আহার, ঘুম ও শরীর চর্চার মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারণ পদ্ধতি বাঁচাতে পারে এই মরণঘাতী স্বাস্থ্য জটিলতা থেকে। পাশাপাশি মনের সুস্থতার লক্ষ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটানোও জরুরি। এই পদক্ষেপগুলোর দৌলতে দীর্ঘমেয়াদে স্ট্রোকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।
আরো পড়ুন: মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
৩৪ দিন আগে
জনপরিসর শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে প্রচার
জনপরিসরে শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখার জন্য প্রচার শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। ‘শতভাগ ধূমপানমুক্ত পাবলিক প্লেস’ শীর্ষক এ প্রচারের অংশ হিসাবে নির্মিত বিজ্ঞাপন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও স্টপ টোব্যাকো বাংলাদেশের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক প্ল্যাটফরমে প্রচার করা হবে।
বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সংস্থা ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের কারিগরি সহায়তায় এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাসব্যাপী এ প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে—ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স, লিংকইন ও ইউটিউব— বিভিন্ন কন্টটেন্ট নির্মাণ ও পোস্ট করা হবে।
ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস জানিয়েছে, বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় সাত হাজারেরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। এরমধ্যে ২৫০টি মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব রাসায়নিক উপাদানের ৭০টি মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: ঘরের বাইরে ধূমপান নিষিদ্ধ করল মিলান
পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাবে পৃথিবীতে ১৩ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আর বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির গবেষণার তথ্যানুযায়ী, এতে বাংলাদেশে প্রায় ২৬ হাজার মানুষ মারা যায়। বিপুল পরিমাণ মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু কমাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) ও এর আর্টিকেল ৮-এ পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের টেকনিক্যাল এডভাইজার আমিনুল ইসলাম বলেন, পাবলিক প্লেস শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা হলে ধূমপায়ীদের দীর্ঘসময় ধূমপান থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে এবং অধূমপায়ীরা ধূমপানমুক্ত পরিবেশ পাবে। তাই সকল পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহন শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখা জরুরি।
জনস্বাস্থ্য সংস্থাটির সিনিয়র কনসালটেন্ট শফিকুল ইসলাম বলেন, এটি একটি সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন, যা পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি এবং জনসাধারণের জন্য ধূমপানমুক্ত স্থানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে। পাবলিক প্লেসে ধূমপান এলাকার অধূমপায়ীদের জন্য বিড়ম্বনার কারণ। শিশু-নারীসহ অধূমপায়ীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষায় পাবলিক প্লেসগুলোকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ দ্রুত সংশোধন করা দরকার।
৫৮ দিন আগে
ধূমপান ও মাদকরোধে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রয়োজন: ডেপুটি স্পিকার
ধূমপান ও মাদকরোধে আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে আয়োজিত ‘সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী: বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘ধূমপান ও মাদকরোধে আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে মানবসম্পদ রক্ষায় বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ ও জনসচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধূমপান ও মাদকরোধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: মাদক নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
তিনি আরও বলেন, ধূমপান শুধু একজন মানুষের মৃত্যুর কারণই নয় বরং অর্থনৈতিক ক্ষতি, সামাজিক অবক্ষয় ও অন্যান্য ক্ষতিকে ছাপিয়ে এটি মানবসম্পদ ধ্বংসকারী একটি ব্যাধি। স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ যুদ্ধে জয়ী হওয়ার উদ্যম প্রকাশ করেন তিনি।
শামসুল হক টুকু বলেন, তামাক উৎপাদনকারীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি করার মতো সক্ষমতা সরকারের রয়েছে। আর এ খাত থেকে যে রাজস্ব আয় হয় তার তুলনায় তামাক ব্যবহারকারীদের পেছনে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যয় অনেক বেশি।
তিনি আরও বলেন, আইনের প্রয়োগ, পারিবারিক সচেতনতা ও ধর্মীয় অনুশাসন তামাকজাত দ্রব্য ও মাদকের বিস্তার রোধ করতে পারে। এর সঙ্গে সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকে মাদকের বিরুদ্ধে একই প্লাটফর্মে আসতে হবে।
ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাদকমুক্ত, অপরাধমুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে অন্যান্য সব রাজনৈতিক দলেরও মাদকের বিরুদ্ধে একমত হওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
সাবেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও ছিলেন- সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, মো. আব্দুল আজিজ, মো. তৌহিদুজ্জামান, আরমা দত্ত, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
আরও পড়ুন: সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের যোগ্য সম্মান দিতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
৩০৬ দিন আগে
ধূমপান নিয়ে প্রতিবাদ করায় কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধূমপান নিয়ে প্রতিবাদ করায় সালমান নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দুপুরে ফতুল্লার কুতুবপুর ক্যানেলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সালমান (১৭) খুলনার শাহারাবাদ থানার জিনারতলা এলাকার ভ্যানচালক মোফাজ্জল মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
নিহতের মা খুকু বেগম বলেন, ক্যানেলপাড় এলাকায় সাদ্দাম মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে সালমান দাঁড়িয়ে ছিল। তখন জাহিদ নামে এক ছেলে সিগারেট ধরায়। এতে সালমান তাকে দূরে গিয়ে সিগারেট খেতে বলে। এজন্য দলবল নিয়ে এসে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে সালমানকে এলোপাতাড়ি মারধর করে জাহিদ।
এরপর সালমান সেখান থেকে আহত অবস্থায় কোনোমতে বাসায় এসে পড়ে যায়। রাতে অবস্থা খারাপ হওয়ায় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পথে সালমান মারা যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হবে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে লালমনিরহাটে মিছিল ও সমাবেশ
জুয়ায় হারের ক্ষতি পোষাতে বিকাশ এজেন্টকে হত্যা: আসামিকে গ্রেপ্তার
৩৯৬ দিন আগে
ধূমপানে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়: এ মালিক
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) এ মালিক বলেছেন, ধূমপানে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়। এছাড়াও ধূমপান এবং তামাক পাতা ও জর্দ্দা সেবনে শরীরের প্রত্যেক অঙ্গে মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ সিলেট শাখা ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ‘২০৪০ সালের তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে অগ্রগতি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করলে তা প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, সচেতনতা ও মূল্যবোধ বাড়িয়ে সিগারেট ও তামাক পাতার ক্রেতা কমাতে হবে এবং পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘ধূমপান নিয়ে অভিযোগ’ করায় ঢামেক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা মো আমিনুর রহমান লস্করের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক আবু তালেব মুরাদের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ডা মোহাম্মদ শেখ শহীদ উল্লাহ, সিলেট বিভাগের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা হিমাংশু লাল রায় ও সিভিল সার্জন ডা এস এম শাহরিয়ার।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিকাল রিসার্চ) ডা শেখ মো মাহবুবুস সোবহান।
মূল প্রবন্ধে ডা শেখ মো মাহবুবুস সোবহান উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে প্রায় পৌণে চার কোটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় তিন কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ।
তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহার হৃদরোগ, ক্যান্সার, বক্ষব্যাধি ও অন্যান্য অনেক জটিল রোগ ও মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এসব ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষার জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করতে হবে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: পরোক্ষ ধূমপান থেকে কি আপনি সংক্রমিত হতে পারেন?
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ডা মোহাম্মদ শেখ শহীদ উল্লাহ বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্বাস্থ্যকর বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশ থেকে তামাক ব্যবহার নির্মূল করতে হবে।
ডা হিমাংশু লাল রায় বলেন, ধূমপান মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।স্বাগত বক্তব্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব প্রফেসর খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী) বলেন, ধূমপান সমাজের একটি ব্যাধি, যাতে একবার আসক্ত হয়ে গেলে ছেড়ে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। যদিও এটা নির্ভর করে দৃঢ় মানসিকতার উপর। এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় প্রফেসর ডা মো আমিনুর রহমান লস্কর বলেন, দেশে ধূমপানের কারণে প্রতিদিন ৪৫০ জন অর্থাৎ বছরে এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে থাকে।
অন্যদের মতামত ব্যক্ত করেন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা মনিলাল আইচ লিটু, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা শেখ এএইচএম মিসবাহুল ইসলাম ও কার্ডিওলজি বিভাগের রেজিস্টার ডা প্রশান্ত সরকার, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী (বাহার) ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেটের উপপরিচালক ডা মো আব্দুল মুনিম চৌধুরী।
শেষ পর্যায়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেটের পরিচালক ও সিইও কর্নেল (অব) শাহ আবিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: গেস্টরুমে ঢাবি ছাত্রকে জোর করে ধূমপান করানোর অভিযোগ
৮৮১ দিন আগে
ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি বীরেন শিকদারের
ই-সিগারেট মানবদেহের জন্য সমানতালে ক্ষতিকর বলে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীরেন শিকদার।
সোমবার ঢাকায় ন্যাম ভবনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের (ড্যাম) তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ দাবি জানান।
ড্যামের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা (মিডিয়া ম্যানেজার) রেজাউর রহমান রিজভী এবং প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আকতার রিনি সাক্ষাৎ করেন।
বীরেন শিকদার বলেন, ই-সিগারেট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
তিনি আরও বলেন, ‘এটি মানবদেহের জন্য প্রচলিত সিগারেটের মতোই সমান ক্ষতিকর। সুতরাং, এটি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত।’
তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।
বিদ্যমান আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী সংসদে পাস হলে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত উদ্বেগ মূল্যায়ন করা উচিত: বিশেষজ্ঞ দল
বীরেন শিকদার এমপি বলেন, সিগারেট কোম্পানিগুলো নিজেদের স্বার্থে তরুণদের ধূমপানে উৎসাহিত করে। কিন্তু এটি অনেক রোগের একটি প্রধান কারণ।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু ধূমপানে কোনো লাভ নেই, তাই অধূমপায়ীরা পরোক্ষভাবে ধূমপায়ীদের দ্বারা সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
প্রতিনিধি দলটি সংসদে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের আরও সংশোধনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা আইনের খসড়া পাসের জন্য তার সমর্থন চেয়েছে। বীরেন শিকদার এমপি প্রতিনিধিদলকে তাদের কার্যক্রমের জন্য অভিনন্দন জানান এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ: কেন অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না?
৯১১ দিন আগে
তামাকপণ্যে কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের স্বাস্থ্যক্ষতির হাত থেকে জনসাধারণ ও তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে তামাকের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে তরুণরা।
রবিবার (২৪ এপ্রিল) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পূয়রের (ডরপ) প্রধান কার্যালয়ে ‘তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধিতে যুব সমাজের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তরুণরা এ দাবি জানান।
ডরপের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রুবিনা ইসলামের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে তরুণদের পক্ষ থেকে এনবিআরের প্রতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ধোঁয়াবিহীন ও ধোঁয়াযুক্ত তামাক পণ্যের ক্ষেত্রে নিম্মলিখিত কর প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করা হয়।
ধোঁয়াযুক্ত তামাক পণ্য সিগারেটের ক্ষেত্রে প্রস্তাব-প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের নিম্ন স্তরে খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৩২.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা, মধ্যম স্তরে খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৮.৭৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা, উচ্চ স্তরে খুচরা মূল্য ১২০ টাকা নির্ধারণ করে ৭৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক এবং প্রিমিয়াম স্তরে ১৫০ টাকা খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে ৯৭.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।
ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির ক্ষেত্রে খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১১.২৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৯ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এর ফলে উভয় ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্কের হার হবে চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৪৫ শতাংশ।
ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের কর প্রস্তাব-প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে ২৭ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এর ফলে উভয় ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্কের হার হবে চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬০ শতাংশ।
প্রস্তাবনায় সিগারেট ও বিড়ির খুচরা মূল্যের উপর বিদ্যমান ১ শতাংশ সারচার্জ ও ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বহাল রাখার কথাও উল্লেখ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটিএফকে গ্রান্টস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিঞা বলেন, ‘উল্লেখিত কর প্রস্তাবসহ করারোপ প্রক্রিয়া সহজ করতে তামাকপণ্যের মধ্যে বিদ্যমান বিভাজন যেমন-ফিল্টার বা নন ফিল্টার বিড়ি, সিগারেটের মূল্যস্তর, জর্দা ও গুলের আলাদা খুচরা মূল্য প্রভৃতি তুলে দিতে হবে এবং সকল ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য উৎপাদনকারীকে করজালের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে তামাক কর কাঠামো সহজ করা, সুনির্দিষ্ট করারোপ করা ও ৪ স্তর বিশিষ্ট সিগারেট করকে দুটি স্তরে নির্ধারণের প্রস্তাব দেন।
আব্দুস সালাম বলেন, ‘তরুণরা তাদের ইচ্ছাশক্তির বলে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। আমি আশা করবো তারা তামাক বিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব করবে, তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধির বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে সামাজিক অবদান রাখবে এবং জাতীয় নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে তারা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডরপের পরিচালক যোবায়ের হাসান বলেন, ‘গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে ১৫-২৪ বছর বয়সী প্রায় ১০ ভাগ তরুণ ধূমপানে আসক্ত। আর এই আসক্তির ফলে তারা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে এবং তাদের কারণে অধূমপায়ীরাও পরোক্ষভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত কর পদ্ধতি কার্যকর করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পাবে এবং ধূমপানকারীর সংখ্যা ১৫.১ শতাংশ থেতে ১৪.১ শতাংশে কমে আসবে।’
পড়ুন: ক্ষতি কমাতে তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবি
১০৬৫ দিন আগে
বিপিএল: মাঠেই ধূমপান করলেন আফগানিস্তানের শাহজাদ
চলমান বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে খেলছেন মোহাম্মদ শাহজাদ। মাঠের ভিতরে ধূমপান করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এই আফগান ওপেনার।
শুক্রবার বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে মিনিস্টার ঢাকা এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার খেলাটি মাঠে গড়ানোর কথা ছিল সাড়ে ৬টায়। তবে বৃষ্টির কারণে খেলা সময় মতো শুরু হয়নি। তখন শাজাদকে মাঠেই ধূমপান করতে দেখা যায়।
বৃষ্টি থামলে শাহজাদ অন্যান্য খেলোয়াড়দের সাথে মাঠ দেখতে ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসেন এবং একটি ই-সিগারেট এনে মাঠে ধূমপান শুরু করেন-যা বিপিএলে খেলোয়াড়দের আচরণের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
ঢাকার ওপেনার তামিম ইকবাল এবং কোচিং স্টাফ সদস্য মিজানুর রহমান শাহজাদকে ধূমপান থেকে বিরত রাখতে দেখা গেলেও উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে অনিচ্ছুক দেখা গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত ধূমপান থেকে বিরত থাকেন শাহজাদ।
আচরণবিধি অনুযায়ী কোনো খেলোয়াড় ধূমপানের জন্য ব্যবহৃত কোনো পদার্থ বহন করার অনুমতি নেই।
আরও পড়ুন: বিপিএল: বৃষ্টিতে দিনের প্রথম ম্যাচ বিলম্বিত
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান ম্যাচ রেফারি এবং বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান বলেছেন, ‘এ ধরনের ঘটনা খেলোয়াড়দের আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি বলেন, ক্রিকেট মাঠে ধূমপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এ ঘটনায় শাহজাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে সিলেট সানরাইজার্স ও ফরচুন বরিশালের মধ্যকার দিনের প্রথম ম্যাচটি প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পরিত্যক্ত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শুরু হয়নি।
আরও পড়ুন: বিপিএল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শক্তি বাড়াতে ঢাকায় মঈন আলী
১১৪৫ দিন আগে
লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশে দু’টি পক্ষ আছে। একটি অগ্রগতির পক্ষে; অন্যটি টেনে ধরার পক্ষে। আমাদের পজিটিভ নিউজ নিয়ে আসতে হবে।
শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে নীতি-নির্ধারকদের কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্যা রুরাল পূয়র 'ডরপ' ও লক্ষ্মীপুর জার্নালিস্ট ফোরাম, ঢাকা যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, উন্নত দেশে মানুষ আইন-বিধিনিষেধ সহজেই মেনে চলে। আইন ও নিয়ম-কানুন মানানো আমাদের দেশের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের সে ধরনের প্লাটফর্ম নেই। আমরা সেটা তৈরি করতে পারিনি।
তিনি বলেন, ইউরোপে ও উন্নত দেশে যারা কালো মানুষদের দাসপ্রথা চালু করেছিল; কালোদের তুচ্ছ্-তাচ্ছিল্য করেছে, তারাই এখন মানবাধিকারের মোড়ল সেজেছে। আমাদের একটি প্লাটফর্ম দরকার। শিক্ষিত জাতি না হলে জোর করে চাপিয়ে দেয়া যায়না। আমরা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার মৌলিক সমস্যার সমাধানের দ্বারপ্রান্তে। এসব সমস্যা ওভারকাম করেছি। একসময় এসব সমস্যার সমাধান করা হয়নি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে। এখন খাদ্যের অভাব নেই, মঙ্গা নেই। গ্রামের বাড়িতে চা-কফি পাওয়া যায়। অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন যে কোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে, সে সক্ষমতা হয়েছে। আগে এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিতে হতো, অর্থমন্ত্রীরা বিদেশি সাহায্যের জন্য বছরের বেশীরভাগ সময় দেশের বাইরে থাকতেন; এখন সে অবস্থা নেই।
তিনি বলেন, অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা পারমানবিক ক্লাবে যুক্ত হয়েছি। আগে ১০ হাজার টনেজের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়াতে হিমশিম লাগত। এখন লক্ষাধিক টনেজের জাহাজ দেশের বন্দরে ভেড়ানোর সক্ষমতা হয়ে যাচ্ছে। লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
‘ডরপ’ এর চেয়ারম্যান মো.আজহার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি জাকির হোসেন লিটন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খন্দকার, সাংবাদিক আহমেদ ফয়েজ, টাঙ্গাইলের বিড়ি শ্রমিক নেতা জীবন সাহা, ভোলার নাগরিক কমিটির সদস্য মো. হারুন অর রশীদ, ঢাকার যুব প্রতিনিধি তাবাসসুম খানম রাত্রি এবং ডরপ এর পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হোসেন। যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি সুসান্ত সিনহা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ বাস্তবায়ন করা হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া যাত্রীদের স্থানান্তর না হওয়ার আহ্বান নৌ প্রতিমন্ত্রীর
১১৬৫ দিন আগে