ধূমপান
ধূমপান ও মাদকরোধে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রয়োজন: ডেপুটি স্পিকার
ধূমপান ও মাদকরোধে আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে আয়োজিত ‘সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী: বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘ধূমপান ও মাদকরোধে আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে মানবসম্পদ রক্ষায় বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ ও জনসচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধূমপান ও মাদকরোধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: মাদক নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
তিনি আরও বলেন, ধূমপান শুধু একজন মানুষের মৃত্যুর কারণই নয় বরং অর্থনৈতিক ক্ষতি, সামাজিক অবক্ষয় ও অন্যান্য ক্ষতিকে ছাপিয়ে এটি মানবসম্পদ ধ্বংসকারী একটি ব্যাধি। স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ যুদ্ধে জয়ী হওয়ার উদ্যম প্রকাশ করেন তিনি।
শামসুল হক টুকু বলেন, তামাক উৎপাদনকারীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি করার মতো সক্ষমতা সরকারের রয়েছে। আর এ খাত থেকে যে রাজস্ব আয় হয় তার তুলনায় তামাক ব্যবহারকারীদের পেছনে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যয় অনেক বেশি।
তিনি আরও বলেন, আইনের প্রয়োগ, পারিবারিক সচেতনতা ও ধর্মীয় অনুশাসন তামাকজাত দ্রব্য ও মাদকের বিস্তার রোধ করতে পারে। এর সঙ্গে সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকে মাদকের বিরুদ্ধে একই প্লাটফর্মে আসতে হবে।
ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাদকমুক্ত, অপরাধমুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে অন্যান্য সব রাজনৈতিক দলেরও মাদকের বিরুদ্ধে একমত হওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
সাবেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও ছিলেন- সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, মো. আব্দুল আজিজ, মো. তৌহিদুজ্জামান, আরমা দত্ত, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
আরও পড়ুন: সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের যোগ্য সম্মান দিতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
৬ মাস আগে
ধূমপান নিয়ে প্রতিবাদ করায় কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধূমপান নিয়ে প্রতিবাদ করায় সালমান নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দুপুরে ফতুল্লার কুতুবপুর ক্যানেলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সালমান (১৭) খুলনার শাহারাবাদ থানার জিনারতলা এলাকার ভ্যানচালক মোফাজ্জল মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
নিহতের মা খুকু বেগম বলেন, ক্যানেলপাড় এলাকায় সাদ্দাম মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে সালমান দাঁড়িয়ে ছিল। তখন জাহিদ নামে এক ছেলে সিগারেট ধরায়। এতে সালমান তাকে দূরে গিয়ে সিগারেট খেতে বলে। এজন্য দলবল নিয়ে এসে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে সালমানকে এলোপাতাড়ি মারধর করে জাহিদ।
এরপর সালমান সেখান থেকে আহত অবস্থায় কোনোমতে বাসায় এসে পড়ে যায়। রাতে অবস্থা খারাপ হওয়ায় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পথে সালমান মারা যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হবে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে লালমনিরহাটে মিছিল ও সমাবেশ
জুয়ায় হারের ক্ষতি পোষাতে বিকাশ এজেন্টকে হত্যা: আসামিকে গ্রেপ্তার
৯ মাস আগে
ধূমপানে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়: এ মালিক
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) এ মালিক বলেছেন, ধূমপানে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়। এছাড়াও ধূমপান এবং তামাক পাতা ও জর্দ্দা সেবনে শরীরের প্রত্যেক অঙ্গে মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ সিলেট শাখা ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ‘২০৪০ সালের তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে অগ্রগতি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করলে তা প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, সচেতনতা ও মূল্যবোধ বাড়িয়ে সিগারেট ও তামাক পাতার ক্রেতা কমাতে হবে এবং পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘ধূমপান নিয়ে অভিযোগ’ করায় ঢামেক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা মো আমিনুর রহমান লস্করের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক আবু তালেব মুরাদের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ডা মোহাম্মদ শেখ শহীদ উল্লাহ, সিলেট বিভাগের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা হিমাংশু লাল রায় ও সিভিল সার্জন ডা এস এম শাহরিয়ার।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিকাল রিসার্চ) ডা শেখ মো মাহবুবুস সোবহান।
মূল প্রবন্ধে ডা শেখ মো মাহবুবুস সোবহান উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে প্রায় পৌণে চার কোটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় তিন কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ।
তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহার হৃদরোগ, ক্যান্সার, বক্ষব্যাধি ও অন্যান্য অনেক জটিল রোগ ও মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এসব ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষার জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করতে হবে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: পরোক্ষ ধূমপান থেকে কি আপনি সংক্রমিত হতে পারেন?
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ডা মোহাম্মদ শেখ শহীদ উল্লাহ বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্বাস্থ্যকর বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশ থেকে তামাক ব্যবহার নির্মূল করতে হবে।
ডা হিমাংশু লাল রায় বলেন, ধূমপান মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।স্বাগত বক্তব্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব প্রফেসর খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী) বলেন, ধূমপান সমাজের একটি ব্যাধি, যাতে একবার আসক্ত হয়ে গেলে ছেড়ে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। যদিও এটা নির্ভর করে দৃঢ় মানসিকতার উপর। এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় প্রফেসর ডা মো আমিনুর রহমান লস্কর বলেন, দেশে ধূমপানের কারণে প্রতিদিন ৪৫০ জন অর্থাৎ বছরে এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে থাকে।
অন্যদের মতামত ব্যক্ত করেন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা মনিলাল আইচ লিটু, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা শেখ এএইচএম মিসবাহুল ইসলাম ও কার্ডিওলজি বিভাগের রেজিস্টার ডা প্রশান্ত সরকার, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী (বাহার) ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেটের উপপরিচালক ডা মো আব্দুল মুনিম চৌধুরী।
শেষ পর্যায়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেটের পরিচালক ও সিইও কর্নেল (অব) শাহ আবিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: গেস্টরুমে ঢাবি ছাত্রকে জোর করে ধূমপান করানোর অভিযোগ
২ বছর আগে
ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি বীরেন শিকদারের
ই-সিগারেট মানবদেহের জন্য সমানতালে ক্ষতিকর বলে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীরেন শিকদার।
সোমবার ঢাকায় ন্যাম ভবনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের (ড্যাম) তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ দাবি জানান।
ড্যামের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা (মিডিয়া ম্যানেজার) রেজাউর রহমান রিজভী এবং প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আকতার রিনি সাক্ষাৎ করেন।
বীরেন শিকদার বলেন, ই-সিগারেট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
তিনি আরও বলেন, ‘এটি মানবদেহের জন্য প্রচলিত সিগারেটের মতোই সমান ক্ষতিকর। সুতরাং, এটি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত।’
তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।
বিদ্যমান আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী সংসদে পাস হলে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত উদ্বেগ মূল্যায়ন করা উচিত: বিশেষজ্ঞ দল
বীরেন শিকদার এমপি বলেন, সিগারেট কোম্পানিগুলো নিজেদের স্বার্থে তরুণদের ধূমপানে উৎসাহিত করে। কিন্তু এটি অনেক রোগের একটি প্রধান কারণ।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু ধূমপানে কোনো লাভ নেই, তাই অধূমপায়ীরা পরোক্ষভাবে ধূমপায়ীদের দ্বারা সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
প্রতিনিধি দলটি সংসদে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের আরও সংশোধনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা আইনের খসড়া পাসের জন্য তার সমর্থন চেয়েছে। বীরেন শিকদার এমপি প্রতিনিধিদলকে তাদের কার্যক্রমের জন্য অভিনন্দন জানান এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ: কেন অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না?
২ বছর আগে
তামাকপণ্যে কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের স্বাস্থ্যক্ষতির হাত থেকে জনসাধারণ ও তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে তামাকের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে তরুণরা।
রবিবার (২৪ এপ্রিল) বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পূয়রের (ডরপ) প্রধান কার্যালয়ে ‘তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধিতে যুব সমাজের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তরুণরা এ দাবি জানান।
ডরপের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রুবিনা ইসলামের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে তরুণদের পক্ষ থেকে এনবিআরের প্রতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ধোঁয়াবিহীন ও ধোঁয়াযুক্ত তামাক পণ্যের ক্ষেত্রে নিম্মলিখিত কর প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করা হয়।
ধোঁয়াযুক্ত তামাক পণ্য সিগারেটের ক্ষেত্রে প্রস্তাব-প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের নিম্ন স্তরে খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৩২.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা, মধ্যম স্তরে খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৮.৭৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা, উচ্চ স্তরে খুচরা মূল্য ১২০ টাকা নির্ধারণ করে ৭৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক এবং প্রিমিয়াম স্তরে ১৫০ টাকা খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে ৯৭.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।
ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির ক্ষেত্রে খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১১.২৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৯ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এর ফলে উভয় ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্কের হার হবে চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৪৫ শতাংশ।
ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের কর প্রস্তাব-প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে ২৭ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এর ফলে উভয় ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্কের হার হবে চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬০ শতাংশ।
প্রস্তাবনায় সিগারেট ও বিড়ির খুচরা মূল্যের উপর বিদ্যমান ১ শতাংশ সারচার্জ ও ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বহাল রাখার কথাও উল্লেখ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটিএফকে গ্রান্টস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিঞা বলেন, ‘উল্লেখিত কর প্রস্তাবসহ করারোপ প্রক্রিয়া সহজ করতে তামাকপণ্যের মধ্যে বিদ্যমান বিভাজন যেমন-ফিল্টার বা নন ফিল্টার বিড়ি, সিগারেটের মূল্যস্তর, জর্দা ও গুলের আলাদা খুচরা মূল্য প্রভৃতি তুলে দিতে হবে এবং সকল ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য উৎপাদনকারীকে করজালের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে তামাক কর কাঠামো সহজ করা, সুনির্দিষ্ট করারোপ করা ও ৪ স্তর বিশিষ্ট সিগারেট করকে দুটি স্তরে নির্ধারণের প্রস্তাব দেন।
আব্দুস সালাম বলেন, ‘তরুণরা তাদের ইচ্ছাশক্তির বলে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। আমি আশা করবো তারা তামাক বিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব করবে, তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধির বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে সামাজিক অবদান রাখবে এবং জাতীয় নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে তারা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডরপের পরিচালক যোবায়ের হাসান বলেন, ‘গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে ১৫-২৪ বছর বয়সী প্রায় ১০ ভাগ তরুণ ধূমপানে আসক্ত। আর এই আসক্তির ফলে তারা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে এবং তাদের কারণে অধূমপায়ীরাও পরোক্ষভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত কর পদ্ধতি কার্যকর করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পাবে এবং ধূমপানকারীর সংখ্যা ১৫.১ শতাংশ থেতে ১৪.১ শতাংশে কমে আসবে।’
পড়ুন: ক্ষতি কমাতে তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবি
২ বছর আগে
বিপিএল: মাঠেই ধূমপান করলেন আফগানিস্তানের শাহজাদ
চলমান বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে খেলছেন মোহাম্মদ শাহজাদ। মাঠের ভিতরে ধূমপান করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এই আফগান ওপেনার।
শুক্রবার বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে মিনিস্টার ঢাকা এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার খেলাটি মাঠে গড়ানোর কথা ছিল সাড়ে ৬টায়। তবে বৃষ্টির কারণে খেলা সময় মতো শুরু হয়নি। তখন শাজাদকে মাঠেই ধূমপান করতে দেখা যায়।
বৃষ্টি থামলে শাহজাদ অন্যান্য খেলোয়াড়দের সাথে মাঠ দেখতে ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসেন এবং একটি ই-সিগারেট এনে মাঠে ধূমপান শুরু করেন-যা বিপিএলে খেলোয়াড়দের আচরণের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
ঢাকার ওপেনার তামিম ইকবাল এবং কোচিং স্টাফ সদস্য মিজানুর রহমান শাহজাদকে ধূমপান থেকে বিরত রাখতে দেখা গেলেও উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে অনিচ্ছুক দেখা গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত ধূমপান থেকে বিরত থাকেন শাহজাদ।
আচরণবিধি অনুযায়ী কোনো খেলোয়াড় ধূমপানের জন্য ব্যবহৃত কোনো পদার্থ বহন করার অনুমতি নেই।
আরও পড়ুন: বিপিএল: বৃষ্টিতে দিনের প্রথম ম্যাচ বিলম্বিত
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান ম্যাচ রেফারি এবং বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান বলেছেন, ‘এ ধরনের ঘটনা খেলোয়াড়দের আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি বলেন, ক্রিকেট মাঠে ধূমপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এ ঘটনায় শাহজাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে সিলেট সানরাইজার্স ও ফরচুন বরিশালের মধ্যকার দিনের প্রথম ম্যাচটি প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পরিত্যক্ত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শুরু হয়নি।
আরও পড়ুন: বিপিএল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শক্তি বাড়াতে ঢাকায় মঈন আলী
২ বছর আগে
লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশে দু’টি পক্ষ আছে। একটি অগ্রগতির পক্ষে; অন্যটি টেনে ধরার পক্ষে। আমাদের পজিটিভ নিউজ নিয়ে আসতে হবে।
শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে নীতি-নির্ধারকদের কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্যা রুরাল পূয়র 'ডরপ' ও লক্ষ্মীপুর জার্নালিস্ট ফোরাম, ঢাকা যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, উন্নত দেশে মানুষ আইন-বিধিনিষেধ সহজেই মেনে চলে। আইন ও নিয়ম-কানুন মানানো আমাদের দেশের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের সে ধরনের প্লাটফর্ম নেই। আমরা সেটা তৈরি করতে পারিনি।
তিনি বলেন, ইউরোপে ও উন্নত দেশে যারা কালো মানুষদের দাসপ্রথা চালু করেছিল; কালোদের তুচ্ছ্-তাচ্ছিল্য করেছে, তারাই এখন মানবাধিকারের মোড়ল সেজেছে। আমাদের একটি প্লাটফর্ম দরকার। শিক্ষিত জাতি না হলে জোর করে চাপিয়ে দেয়া যায়না। আমরা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার মৌলিক সমস্যার সমাধানের দ্বারপ্রান্তে। এসব সমস্যা ওভারকাম করেছি। একসময় এসব সমস্যার সমাধান করা হয়নি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে। এখন খাদ্যের অভাব নেই, মঙ্গা নেই। গ্রামের বাড়িতে চা-কফি পাওয়া যায়। অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন যে কোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে, সে সক্ষমতা হয়েছে। আগে এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিতে হতো, অর্থমন্ত্রীরা বিদেশি সাহায্যের জন্য বছরের বেশীরভাগ সময় দেশের বাইরে থাকতেন; এখন সে অবস্থা নেই।
তিনি বলেন, অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা পারমানবিক ক্লাবে যুক্ত হয়েছি। আগে ১০ হাজার টনেজের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়াতে হিমশিম লাগত। এখন লক্ষাধিক টনেজের জাহাজ দেশের বন্দরে ভেড়ানোর সক্ষমতা হয়ে যাচ্ছে। লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
‘ডরপ’ এর চেয়ারম্যান মো.আজহার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি জাকির হোসেন লিটন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খন্দকার, সাংবাদিক আহমেদ ফয়েজ, টাঙ্গাইলের বিড়ি শ্রমিক নেতা জীবন সাহা, ভোলার নাগরিক কমিটির সদস্য মো. হারুন অর রশীদ, ঢাকার যুব প্রতিনিধি তাবাসসুম খানম রাত্রি এবং ডরপ এর পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হোসেন। যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি সুসান্ত সিনহা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ বাস্তবায়ন করা হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া যাত্রীদের স্থানান্তর না হওয়ার আহ্বান নৌ প্রতিমন্ত্রীর
২ বছর আগে
সিনেমা নাটকের দৃশ্যে ধূমপানের ব্যবহার ও প্রদর্শন বন্ধে হাইকোর্টের রুল
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী সিনেমা-নাটকের দৃশ্যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার ও প্রদর্শন বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিবাদীদের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য সচিব এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ গণমাধ্যমের জন্য ‘নৈতিক আচরণবিধি’ প্রণয়নে হাইকোর্টের রুল
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মনিরুজ্জামান লিংকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সিনেমা-নাটকের দৃশ্যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, মাদকবিরোধী সংগঠন ‘প্রত্যাশা’ এবং পপুলেশন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (পিডিও) এর পক্ষে আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন এ রিট দায়ের করেন।
অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জমান লিংকন বলেন, ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার সংক্রান্ত আইন থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা অকার্যকর। এজন্য প্রতিকার চেয়ে রিট করেছিলাম’।
আরও পড়ুনঃ বিয়ে তালাক ডিজিটালাইজেশন করতে হাইকোর্টের রুল
এর আগে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ এর ১৪(২) ধারা সংশোধন এবং আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য গত বছরের ১১ মার্চ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য সচিব এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিট দায়ের করেন।
রিটে বলা হয়, ২০০৩ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ৫৬তম সম্মেলনে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য ‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)’ নামের কনভেনশনে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। ওই কনভেনশনের বিধানাবলী বাংলাদেশে কার্যকর করার লক্ষ্যে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন, ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রয় ও বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ করতে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ প্রণয়ন করে সরকার।
আইনানুযায়ী প্রকাশ্যে ধূমপান দণ্ডনীয় অপরাধ। আইনে পাবলিক প্লেস কিংবা গণপরিবহনে ধূমপান করলে তিনশ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। আইনে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত ধারা ৫ (১)(ক) তে বলা হয়েছে, ‘প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়, বাংলাদেশে প্রকাশিত কোনো বই, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, পোস্টার, ছাপানো কাগজ, বিলবোর্ড বা সাইনবোর্ডে বা অন্য কোনোভাবে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করিবেন না বা করাইবেন না।’
একই আইনের ধারা ৫(১)(ঙ) তে বলা আছে, ‘বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত বা লভ্য ও প্রচারিত, বিদেশে প্রস্তুতকৃত কোনো সিনেমা, নাটক বা প্রামাণ্য চিত্রে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য টেলিভিশন, রেডিও, ইন্টারনেট, মঞ্চ অনুষ্ঠান বা অন্য কোনো গণমাধ্যমে প্রচার, প্রদর্শন বা বর্ণনা করিবেন না বা করাইবেন না।’
রিটের আইনের ১৪(২) ধারাটি সংশোধনের আবেদন জানানো হয়।
আইনজীবী বলেন,’ আইনের ১৪(২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতিরেকে কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিবেন না। যা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পাশাপাশি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্তরাও যেন মামলা করতে পারেন এজন্য আইনের ১৪(২) ধারা সংশোধন চেয়েছি।‘
৩ বছর আগে
হার্ট অ্যাটাক: করণীয় এবং প্রতিরোধে যে সকল পদক্ষেপ নিতে হবে
যখন হার্টের পেশীর একটি অংশ পর্যাপ্ত রক্ত পায় না, ঠিক তখনি হার্ট অ্যাটাক হয়। রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক হতে যত বেশি সময় যায়, হার্টের পেশীর তত বেশি ক্ষতি হয়। সাধারণত করোনারি ধমনীর মারাত্মক খিঁচুনি বা আকস্মিক সংকোচনের ফলে হৃদপিণ্ডের পেশীতে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হতে পারে। চলুন, ভয়াবহ এই হৃদরোগটির লক্ষণ ও প্রতিরোধের পাশাপাশি জেনে নিই- হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে তাৎক্ষণিকভাবে কি করবেন।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণসমূহ
দেহের বিভিন্ন অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি
বেশিরভাগ হার্ট অ্যাটাক-এর সময় বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে ব্যথা বা অস্বস্তি শুরু হয়, যা কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় অথবা কখনো হঠাৎ চলে যেয়ে আবার ফিরে আসে। কখনও কখনও এই অস্বস্তি ঘন্টাখানেক পর বা এমনকি এক দিন পরে ফিরে আসে। এমনটা হলে বুঝতে হবে যে, আপনার হার্টের পেশী পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাচ্ছে না।
বুক ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের একটি সাধারণ লক্ষণ। অনেকে এই ব্যথাকে ব্যথা বলে না বলে বুকে চাপ অনুভব করছে বলে। কিন্তু এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, বুক ব্যথা প্রতিটি হার্ট অ্যাটাকের সময় নাও হতে পারে।
অনেকেই হার্ট অ্যাটাকের সময় তলপেটের উপরের দিক, কাঁধ, পিঠ, ঘাড়/গলা, দাঁত বা চোয়াল ইত্যাদি স্থানে ব্যথা অনুভব করে। মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে তলপেটে এবং বুকের নিচের অংশে ব্যথা করে। পিঠের উপরের দিকে ব্যথা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যায়।
পড়ুন কোলেস্টেরল কমানোর কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
সারাদিন ধরে প্রচণ্ড ঘাম
আপনি যদি ব্যায়াম না করেন, তাহলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘাম হওয়া আপনার হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক কারণ হতে পারে। জমে থাকা ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্ত পাম্প করতে যেয়ে আপনার হৃদযন্ত্র বেশি পরিশ্রম করে, কাজেই শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে আপনার শরীর বেশি ঘাম ছেড়ে দিতে থাকে।
অনেক সময় রাতের বেলা অতিরিক্ত ঘামের জন্য চাদর ভিজে যায় বা ঘুম হয় না। এটিও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে।
পড়ুন করোনা মহামারি থেকে শিশুকে নিরাপদ রাখবেন কীভাবে?
প্রচণ্ড ক্লান্তি ও নিঃশ্বাসের দূর্বলতা
হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে অস্বস্তির সাথে অথবা আগে নিঃশ্বাসের দুর্বলতাও অনুভূত হতে পারে। মুলত রক্ত প্রবাহের একটি এলাকা বন্ধ থাকার কারণে আপনার হৃদযন্ত্র অতিরিক্ত চাপের ফলে পাম্প করার চেষ্টা করে। ফলে আপনার প্রচন্ড অবসন্ন অনুভূত হয়। যদি আপনি প্রায়শই বিনা কারণে ক্লান্ত হন, তাহলে ব্যাপারটিকে কোনভাবেই উপেক্ষা করা চলবে না।
ক্লান্তি এবং শ্বাসকষ্ট পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং এমনকি হার্ট অ্যাটাকের কয়েক মাস আগে থেকেও শুরু হতে পারে।
আপনার শ্বাস -প্রশ্বাস এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকরীভাবে রক্ত পাম্পিং; পরস্পর খুব ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। আপনার হৃদযন্ত্র রক্ত পাম্প করে যাতে এটি আপনার টিস্যুতে রক্ত সঞ্চালন করতে এবং ফুসফুস থেকে অক্সিজেন পেতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে যখন আপনার হার্ট ভালভাবে রক্ত পাম্প করতে পারে না, তখনি শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
পড়ুন কঠোর ডায়েটের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ জেনে নিন
দ্রুত হৃদস্পন্দন
দ্রুত হৃদস্পন্দনের সময় মনে হয় হৃদযন্ত্রটা বুকের ভেতর জোরে জোরে ধাক্কা মারছে বা বুক ধড়ফড় করছে। আপনার হৃদযন্ত্র এবং শরীর আপনার শরীরের সর্বত্রে রক্ত সঞ্চালনের জন্য একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্ন বিটের উপর নির্ভর করে। যে কোন একটি ছন্দপতন আপনার হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব বা বমি
হার্ট অ্যাটাকের আগে মাথা ঘোরা অনুভূত হতে পারে। অতিরিক্ত পরিশ্রম করার সময় আপনি মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারেন। হার্ট অ্যাটাকের অন্যান্য উপসর্গগুলোর মধ্যে বমি বমি ভাব বা বমিও অন্তর্ভুক্ত। বিশেষত মহিলাদের এই উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা বেশি।
পড়ুন বর্ষা মৌসুমে যেসব পুষ্টিকর সবজি খেতে পারেন
হার্ট অ্যাটাকের সময় তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়
তাৎক্ষণিকভাবে হার্ট অ্যাটাক বন্ধ কোন মতেই সম্ভব নয়। কিন্তু এসময় জরুরি চিকিৎসার সরণাপন্ন হওয়ার পাশাপাশি নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে।
১৬২৬৩-তে কল করা
এটি হার্ট অ্যাটাকের সময় সেবা পাওয়ার দ্রুততম ও নিরাপদ উপায়। ১৬২৬৩ তে কল করে ২ প্রেস করে সরাসরি অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা নিতে পারেন।
দরজা-জানালা খুলে আরামদায়ক বিশ্রামের ব্যবস্থা
হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়ির ভেতর থাকলে তার আশেপাশের লোকজন ঘরের দরজা-জানালা খুলে বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এছাড়া এতে অ্যাম্বুলেন্স দল যতদ্রুত সম্ভব বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যেতে পারবে।
অ্যাম্বুলেন্স আসা পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিটিকে একটি আরামদায়ক অবস্থানে বিশ্রাম নেয়ার ব্যবস্থা করুন। বিশ্রাম হার্টের চাপ কমায় কারণ এটি শরীরের সর্বত্র রক্ত পাম্প করার চেষ্টা করে।
পড়ুন মশার উপদ্রব থেকে সুরক্ষিত থাকার কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়
আঁটসাঁট পোশাক আলগা করা
আঁটসাঁট পোশাক, যেমন নেকটি বা বেল্টগুলি আলগা করে দিন। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস নেওয়া সহজ হবে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স দলের জন্যও ঢিলেঢালা জামাকাপড় পরিহিত ব্যক্তিকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে নেয়া সহজ হবে।
প্রাথমিক সিপিআর
আক্রান্ত ব্যক্তিতে ঘুমিয়ে পড়া থেকে বিরত রাখুন। তার সাথে অবিরত কথা বলতে থাকুন। মাথাটি দেহের সাথে ৩০-৪৫ ডিগ্রি কোণ করে উচু অবস্থায় রাখুন। এতে তার শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া সহজ হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিৎ করে শুইয়ে দিন। তারপর আপনার এক হাতের আঙ্গুলগুলোর ফাঁকে হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে অন্য হাতের আঙ্গুলগুলো ঢুকিয়ে (এই পদ্ধতি কার্ডিয়াক পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) হিসেবে বহুল পরিচিত) আপনার পুরো শরীরের ভর আলিঙ্গনবদ্ধ দুই হাতের উপর চাপিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির বুকের মাঝখানে পাম্প করতে থাকুন। ১৬-১৮ সেকেন্ড ধরে ৩০ বার এভাবে পাম্প করুন। রোগীর নাক দু’আঙ্গুলে চেপে চিবুক উচু করে দিন। তারপর আবার বুকে পাম্প শুরু করুন। কমপক্ষে পাঁচবার প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন।
পড়ুন সাইক্লিং, দৌড় কিংবা সাঁতার: ওজন কমাতে কোনটি বেশি কার্যকরী?
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়
সুষম খাদ্য গ্রহণ
সুষম খাদ্য খাওয়া আপনার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে। সুষম খাবারের তালিকায় ফল, সবজি, শাকসবজি, বাদাম, চর্বিহীন প্রোটিন এবং মাছ অন্তর্ভুক্ত থাকে। পাশাপাশি প্রতিদিনের খাবারে প্রক্রিয়াজাত মাংস, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এবং মিষ্টি পানীয়ের পরিমাণও সীমিত করা উচিত।
শারীরিক ব্যায়াম
শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রাপ্তবয়স্কদের সম্ভব হলে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি বা ৭৫ মিনিট জোরালো ব্যায়াম করার চেষ্টা করা উচিত।
আর যারা ইতিমধ্যে সক্রিয়, তাদের কার্যকলাপের মাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করতে পারেন।
পড়ুন জেনে নিন ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমের ক্ষতিকর দিকগুলো!
পরিমিত ওজন বজায় রাখা
পরিমিত ওজন বজায় রাখা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। আপনার উচ্চতা এবং বয়স অনুসারে আপনার ওজন কতটা হওয়া উচিত তা পরীক্ষা করে নিতে পারেন। এটি আপনার ক্যালোরি গ্রহণ এবং প্রয়োজনে ব্যায়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে।
ধূমপান পরিত্যাগ
যে কোন মূল্যেই ধূমপান বন্ধ করা উচিত। সিগারেট বা বাষ্পের মতো তামাকজাত দ্রব্যের ধোঁয়া হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে।
অন্যান্য শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন স্বাস্থ্যের অবস্থার চিকিৎসা করা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের আরেকটি উপায়। এই অবস্থার মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, এবং ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্ত শর্করা অন্তর্ভুক্ত।
পড়ুন যদি স্লিম থাকতে চান রোজ ৫ রকমের বাদাম খান
পর্যাপ্ত ঘুম
সুস্বাস্থ্যের জন্য সঠিক পরিমাণে ঘুমের কোন বিকল্প নেই। এমনকি এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের কারণগুলোর মধ্যে একটি। ১৮-৬০ বছর বয়সী বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে ৭ বা তার বেশি ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত পানি পান করা
প্রচুর পানি পান ডিহাইড্রেশন এড়াতে সাহায্য করে। রক্তরসে পানির পরিমাণ ৯০-৯২ শতাংশ তাই পানিশূন্যতাতে হৃদযন্ত্র ও সারা দেহে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে যা হার্ট অ্যাটাকের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক নারী -পুরুষ উভয়েরই যেকোন বয়সে হতে পারে। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর ঝুঁকি বাড়তে থাকে। কিন্তু জীবন ধারণ নিয়ে একটু সতর্ক হলেই আপনি এই ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। স্বাস্থ্য প্রত্যেকের কাছেই মহামূল্যবান সম্পদ। তাই শত কষ্ট হলেও এই সম্পদটি রক্ষার জন্য রুটিন মাফিক চলা উচিত।
পড়ুন জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুরক্ষার উপায় ও করণীয়
৩ বছর আগে
বাংলাদেশে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে
ধূমপায়ীদের সংখ্যা ও বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঘটনা বাড়ছে।
৩ বছর আগে