টেকসই
টেকসই-নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের চুক্তি সই
টেকসই খাদ্য উৎপাদনকে আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে ‘স্ট্রাটেজিক সেক্টর কোঅপারেশন (এসএসসি)’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প চুক্তি সই করেছে ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ।
প্রকল্পটি খাদ্য উৎপাদনের বিভিন্ন সমস্যা যেমন অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এই চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চান খুলনার ১৪ গ্রামের মানুষ
চুক্তিতে ডেনমার্কের পক্ষে সই করেন ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) পক্ষে সই করেন চেয়ারম্যান জাকারিয়া।
রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেন, ‘ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এই নতুন চুক্তি আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা উভয় দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।’
বিএফএসএ’র চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, ‘সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপদ বিষয়ক কার্যক্রম আরও জোরদার হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের প্রবেশাধিকারে সহায়তা করবে।’
চুক্তির সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই দেশ একসঙ্গে খাদ্য এবং কৃষিক্ষেত্রে আরও নিরাপদ এবং টেকসই উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করবে।
ডেনিশ ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফুড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিভিএফএ) ডেনমার্কের পক্ষে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। আর বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস)।
এই প্রকল্পের তিনটি প্রধান লক্ষ্য হলো- প্রথমত, ডেইরি শিল্পে খাদ্য নিরাপদতা বাড়ানো। দ্বিতীয়ত, প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা এবং তৃতীয়ত ডেইরি খামারিদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে আরও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনায় অধ্যক্ষের মামলা
বলপূর্বক গুম নিয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই করলো বাংলাদেশ
২ মাস আগে
পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে একসঙ্গে কাজ করবে বিজিএমইএ ও ক্যাসকেল
পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে একসঙ্গে কাজ করবে বিজিএমইএ ও সাবেক সাসটেইনেবল অ্যাপারেল কোয়ালিশন (ক্যাসকেল)।
পোশাক শিল্পে পরিবেশগত ও সামাজিক সমন্বিত আচরণ বিধি প্রণয়ন ও অডিট করার জন্য প্রটোকলগুলোকে একত্রিত করতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে ক্যাসকেলের সিইও কলিন ব্রাউন ও বিজিএমইএ নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এ বৈঠক আয়োজিত হয়।
আরও পড়ুন: ইউএসআইটিসির শুনানিতে তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি
বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নানের (কচি) সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক শামস মাহমুদ, পরিচালক আবরার হোসেন সায়েম, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক শেহরিন সালাম ঐশী।
বৈঠকে সোশ্যাল ও টেকনিক্যাল অডিটের জন্য শিল্পে সর্বজনস্বীকৃত একটি সমন্বিত আচরণবিধি (ইউনিফাইড কোড অব কনডাক্ট) প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়।
বিশ্বব্যাপী ক্রেতা, প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকসহ সব স্টেকহোল্ডারের সুবিধার্থে এ ধরনের একটি সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ক্যাসক্যালকে আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
তিনি বলেন, এটি ছাড়া শিল্পকে দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই করা সম্ভব হবে না।
ক্যাসকেলের সিইও বলেন, বিজিএমইএ ও ক্যাসকেল একসঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সম্মিলিত পদক্ষেপ নিয়ে পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে সাপ্লাই চেইন জুড়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, শিল্পের জন্য টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারে।
বৈঠকে শিল্পের আরও বিকাশের জন্য, ডিউ ডিলিজেন্স ডাইরেকটিভের মতো আসন্ন প্রবিধানগুলো অনুসরণ করা এবং কর্মীদের কল্যাণ বাড়াতে কারখানাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য শেযার, অনুশীলন ও উদ্ভাবনামূলক সমাধানের বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে ক্যাসকেলের সিইও, সমন্বিত আচরণ বিধি প্রণয়নের বিষয়ে সদস্যদের প্রতি বিজিএমইএর প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠিত করতে ক্যাসকেলের সদস্যদের এগিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান।
কারখানাগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে ক্যাসকেল কারখানা পর্যায়ে আচরণবিধি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিবে বলে জানিয়েছে উভয় পক্ষ।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানিতে কাস্টমস হাউজের সহযোগিতার আহ্বান বিজিএমইএর
পোশাক শিল্পখাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনে দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী: বিজিএমইএ সভাপতি
৪ মাস আগে
পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে যুব সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ, বিশেষত যুবকদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রবিবার (২ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘সাসটেইনেবল বিয়ন্ড কনফ্লিক্ট: ফর্জিং ইকুইট্যাবল পিস থ্রু ইউনিফাইড অ্যাকশন’ প্রতিপাদ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশন্স ২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
তিনি বলেন, জাতিসংঘের তিনটি গুরুতর সমস্যা হলো- জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি ও দূষণ সমাধান। এই সমস্যা সমাধানে যুবকদের নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, যুব সম্প্রদায়কে যোগাযোগের দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা শিখতে হবে।
তিনি বলেন, প্রকৃতিকে সুরক্ষা করে তার সঙ্গে সহাবস্থান করতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে সরকারের প্রচেষ্টায় অংশীদার হতে হবে।
তিনি বলেন, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে পারলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস.ওয়াই. রমাদান, সংসদ সদস্য জারা জাবিন মাহবুব ও বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সৈয়দ রাশেদ আল-জায়েদ।
আরও পড়ুন: সেচ পাম্পের জ্বালানি নবায়নযোগ্য করলে সাশ্রয় হতে পারে ৫০০০ মেগাওয়াট: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৫ মাস আগে
টেকসই উন্নয়নে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
উচ্চতর গবেষণা ছাড়া কোনো দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে শিক্ষকদের বেশি মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রাজুয়েটের সংখ্যা না বাড়িয়ে গুণগত মানসম্পন্ন ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ষষ্ঠ ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইলেকট্রিক্যাল ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (ইআইসিটি ২০২৩)’- শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) অনুষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন আয়োজন করে।
শুক্রবার রাতে কুয়েটের টিচার্স ক্লাবে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা সেবা নির্বিঘ্ন করার আহ্বান ইউজিসি’র
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আলমগীর বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে ফিজিক্যাল, বায়োলজিক্যাল ও সাইবার বিষয়গুলো একীভূত করে বর্তমান যুগের সমস্যা সমাধানের উপায় বের করতে হবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষকদের যুগের চাহিদা অনুাযায়ী গ্রাজুয়েট ও পেশাজীবী তৈরি করতে হবে।
ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে শিক্ষকদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়নের সংস্কৃতি চালু করতে হবে। গবেষণা পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতা নিতে পারেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সভাপতি ও ইইই অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুয়েটের ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মনির হোসেন বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে ৪৭২টি টেকনিক্যাল পেপার থেকে বাছাই করা ১৩৮টি টেকনিক্যাল পেপার ২৭টি টেকনিক্যাল সেশনে উপস্থাপন করা হয়।
এছাড়া কনফারেন্সে ৮টি কি-নোট সেশন ও একটি টেকনিক্যাল ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে আমেরিকা, বেলজিয়াম, ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৩০০ গবেষক, শিক্ষক, স্বনামধন্য প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদসহ অন্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
১১ মাস আগে
খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফসল উৎপাদনের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, দেশে ক্রমশ কৃষি জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে। এ অবস্থায়, ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দেওয়া খুবই কঠিন। তাই আমরা কম সময়ে অধিক ফলন ও একই জমি থেকে বার বার ফসল ফলানোর উপর গুরুত্বারোপ করছি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ফরিদপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বৃহত্তর ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলে তেলবীজ ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, স্বল্পজীবনকালীন উন্নত জাতের ধান ও অন্যান্য অনেক ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে আমাদের বিজ্ঞানীরা। এটি চাষের মাধ্যমে বছরে একটি অতিরিক্ত ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে। একইসঙ্গে, ফলনও অনেক বেশি। এই জাতগুলোকে কৃষকের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে আমরা তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। পরিকল্পনার প্রথম বছরেই আমরা ৩ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত সরিষা উৎপাদন করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: কৃষি বিজ্ঞানীদের জন্য আজ বাংলাদেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে: রাজ্জাক
ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আশা করছি, পরিকল্পনা অনুযায়ী, ধানের উৎপাদন না কমিয়েই আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে তেল আমদানি অর্ধেকে কমিয়ে আনতে সক্ষম হব। এতে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য আমরা গত বছর পরীক্ষামূলক কিছু দেশীয় মডেল ঘর নির্মাণ করেছি, যেখানে ৪-৫ মাস ধরে পেঁয়াজ ভালো অবস্থায় আছে। এটি একটি কার্যকর সংরক্ষণ পদ্ধতি হবে। এবছর সারাদেশে এই সংরক্ষণ মডেল ঘর নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে মাঠে পেঁয়াজের উচ্চফলনশীল (উফশী) জাত দেওয়া হয়েছে, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। আর মডেল ঘরে সংরক্ষণ করতে পারলে পেঁয়াজের জন্য বিদেশের উপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না, বরং আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারব।
কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গাপীড়িত এলাকার মানুষও এখন তিন বেলা পেট ভরে খায়: কৃষিমন্ত্রী
দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
টেকসই ওয়াশ সেবাদানে ওয়াটারএইডের ভূমিকা প্রশংসনীয়: সুইডেনের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সুবিধা নিশ্চিত করতে গত কয়েক বছর ধরে আমরা ওয়াটারএইডের সঙ্গে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘সবার জন্য ব্যবহার উপযোগী ও টেকসই ওয়াশ সেবাদানের ক্ষেত্রে ওয়াটারএইডের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
দেশের প্রত্যন্ত ও সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলসমূহে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বুধবার (৯ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচ বছর মেয়াদী ‘কান্ট্রি প্রোগ্রাম স্ট্রাটেজি ২০২৩-২০২৮’-এর সূচনা করেছে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সুবিধা নিশ্চিত করতে শুধু পলিসি তৈরি বা সংশোধন করতেই সহায়তা করছে না, মাঠ পর্যায়ে এই পলিসি বাস্তবায়নেও সহযোগিতা করছে’।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সুবিধার স্থায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি এর পরিচালনা পদ্ধতির উপরও জোর দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পানির নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ওয়াটারএইড এর যৌথ উদ্যোগ
তিনি আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মাথায় রাখতে হবে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পানির প্রাপ্যতা একদিকে কমবে, অন্যদিকে পানির চাহিদা বাড়বে’।
তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওয়াটারএইডসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে ওয়াটারএইড দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সামগ্রিক ওয়াশ পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় উন্নত। কিন্তু, নিরাপদভাবে পরিচালিত (সেইফলি ম্যানেজড) স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং পাইপ লাইনের মাধ্যমে সকলের কাছে উন্নত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছনে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের জন্য তাই সরকারি-বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে কাজের উদ্যাগ গ্রহণ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘সকলের জন্য জলবায়ু-সহিষ্ণু নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ সংক্রান্ত এসডিজি’র সার্বজনীন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন আগামীতে আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে, স্থানীয় সরকার বিভাগের পলিসি সাপোর্ট অধিশাখার যুগ্মসচিব জনাব এমদাদুল হক চৌধুরী, পানি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয় ড. আইনুন নিশাত, ওয়াটারএইড দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. খায়রুল ইসলাম এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার, সুশীল সমাজ ও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা, শ্রীমঙ্গল, টাঙ্গাইল ও ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নত ওয়াশ সুবিধা ব্যবহারকারী এবং তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা উপস্থিত শ্রোতাদের তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানান।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে ওয়াটারএইডের স্বেচ্ছাসেবীরা
১ বছর আগে
টেকসই পানি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর আন্তর্জাতিক অর্থায়নের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আওতাধীন পানি বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বৃদ্ধিতে উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জোরালো আহ্বান জানাই।
বুধবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চলমান আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য প্রদানকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত এটি প্রথম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, এর আওতাধীন বিভিন্ন অঙ্গ-সংস্থাসমূহ এবং অন্যান্য সকল অংশীজনদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বৈশ্বিক পানি বিষয়ক কর্মসূচির বাস্তবায়নে কাঙ্খিত অগ্রগতি পর্যালোচনাকে সামনে রেখে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট জাতীয় নীতির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের দীর্ঘ-মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে একটি কার্যকর ও সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা তৈরির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের সরকার 'বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০' নামে একটি ১০০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা এবং 'বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩' প্রণয়ণ করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আওয়াজ তোলার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিশেষ করে পানি সংক্রান্ত জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সীমিত আন্তর্জাতিক অর্থায়নের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার জন্য অভিযোজন অর্থায়নসহ আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরত্বারোপ করেন এবং এ প্রসঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোরালো আহ্বান জানান।
সাধারণ বিতর্কে অংশগ্রহণ ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিকালে ‘ওয়াটার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট: ভ্যালিউইং ওয়াটার, ওয়াটার-এনার্জি-ফুড নেক্সাস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ইকোনমিক অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক ইন্টারেক্টিভ সংলাপে মূল বক্তব্য প্রদান করেন এবং ‘ওয়াটার সল্যুশনস ফর ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন: লেসনস টু স্কেল আপ ইমপ্যাক্টফুল ডেলিভারি’ শিরোনামের আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন।
এই সম্মেলনে একটি উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান, সাধারণ বিতর্ক সম্পর্কিত ছয়টি প্লেনারি সভা এবং বহু অংশীজনদের অংশগ্রহণে পাঁচটি ইন্টারেক্টিভ সংলাপ রয়েছে এবং এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রীসহ কয়েক শতাধিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ সম্মেলনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকসহ ১৩-সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল অংশ গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি আরব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
সকল শ্রেণির মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য ও টেকসই করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বসবাসরত সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য ও টেকসই করতে হবে। নাগরিক অধিকারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সকলকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে রাজধানী দৃষ্টিনন্দন, নিরাপদ বাসযোগ্য ও টেকসই শহর হবে।
শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স-এ বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত জনঘনত্ব, বাসযোগ্যতা ও টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার হলো আমার গ্রাম আমার শহর। এর অধীনে সড়ক যোগাযোগ, ইন্টারনেট-টেলি যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সুপেয় পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হয়েছে৷ একটি উন্নত জীবন যাত্রার জন্য যে ব্যবস্থাপনা মানুষের প্রয়োজন তার সবই রয়েছে৷ গ্রামগুলোতে শহরের সুবিধা নিশ্চিত হলে শহর মুখী মানুষের চাপ কমবে৷
আরও পড়ুন: জাতির স্বার্থে কাজ করার আহ্বান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
রাজধানীকে বাসযোগ্য করার জন্য ডিটেইল এরিয়া প্লান (ড্যাপ) প্রনয়ণ করেছে সরকার। ড্যাপের বাস্তবায়ন রাজধানীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করবে। এটি সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে ঢাকাকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এগুলো বললে কিছু মানুষ সহ্য করতে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের উন্নয়ন থেমে যায়। দেশ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি, শিল্প-কারখানাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়াও জিডিপির প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আর্থ-সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দেশ অনেক এগিয়েছে।
গোল টেবিল বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকাকে টেকসই করতে হলে দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। দখলকৃত খালের সীমানা চিহ্নিত করা হচ্ছে৷ সিএস দাগে খালের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: তামাক ব্যাবহারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বা নগরগুলোকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য ন্যাশনাল কমিটি গঠন করতে হবে। বিকেন্দ্রীকরণ জরুরি বলেও তিনি মতামত দেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন ইশরাত ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করার জন্য পার্ক বা উন্মুক্ত স্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বিশেষজ্ঞ বক্তারা ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য ও টেকসই করে গড়ে তোমার আহ্বান জানান।
আমার গ্রাম আমার শহর, বিকেন্দ্রীকরণের এবং ড্যাপ বাস্তবায়নের জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বলে তারা উল্লেখ করেন।
গোল টেবিল বৈঠকে দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সভাপতি ফজলে রেজা সুমন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
২ বছর আগে
নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদনে সবধরনের সহায়তা দেবে সরকার -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদনে সরকার সবধরনের সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রবিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদন: প্রত্যাশা ও পরিকল্পনা শীর্ষক নীতিনির্ধারণী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ওয়ার্ল্ড'স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা এ আলোচনা সভা আয়োজন করে ।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, পোল্ট্রি খাতের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যত প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দেওয়া দরকার বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সেটা করবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, পোল্ট্রি খাতের যেকোন সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে। পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট নীতিমালা আধুনিক ও সময়োপযোগী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। করোনার সময় পোল্ট্রি খাতে উদ্ভূত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ প্রাণিসম্পদ খাত নুয়ে পড়লে দেশে আমিষের সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণে প্রাণিসম্পদ খাত রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
পোল্ট্রির উন্নয়নে ব্র্যান্ডিংয়ের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের এ সময় আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, পোল্ট্রি ফিড তৈরির জন্য যে প্রোটিন বাইরে থেকে আমদানি করতে হয় তার ওপর কর নেয়া হয় না। সরকার পোল্ট্রি খাদ্যের দাম কমানোর জন্য কর রেয়াত দিয়েছে। অথচ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তার উৎপাদন সক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত উপকরণ আমদানি করে গুদামজাত করেছে, বিক্রিও করেছে। এ জন্য প্রোটিন আমদানির অনুমতি কাদের কতটুকু দেয়া হয়েছে সরকার সে তথ্য সংগ্রহ করছে। কার উৎপাদন সক্ষমতা কতটা আছে এবং তিনি কতটুকু কাঁচামাল বাইরে থেকে এনে কতটুকু ব্যবহার করেছেন ও বাকিটা কী করেছেন সেটি জানতে চাওয়া হবে। সরকার পোল্ট্রি খাতে সহায়তা করতে চায় তবে সেটা যথাযথভাবে সংশ্লিষ্টদের গ্রহণ করতে হবে।
শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, কৃষিতে যেসব বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয় সেখানে মূল্যহার একরকম, প্রাণিসম্পদের পোল্ট্রি অংশে মূল্যহার ভিন্ন হতে পারে না। এটি একই হারে হতে হবে। মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রি খাত বৃহত্তর কৃষির অংশ। কৃষি খাত বিদ্যুতের যে সুযোগ পায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সে সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। নতুন একটি খাতকে বিকশিত করার জন্য যে সুযোগ করে দেওয়া দরকার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিদ্যুত সংযোগের ক্ষেত্রে শিগগিরই সে সুযোগ করে দেয়া সম্ভব হবে।
পোল্ট্রি খাদ্যের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কেন এ প্রশ্ন রেখে এ খাত সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, এ খাতে বিদেশ নির্ভরতা কমাতে হবে। দেশে ফিড ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে। সেক্ষেত্রে মেশিনারিজ আমদানিতে সরকার কর অব্যাহতিসহ অন্যান্য সুবিধা দেবে। পোল্ট্রি খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে গেলে এর সহায়ক খাতও বিকশিত করতে হবে। রাষ্ট্র সকল সহায়তা দেবে।
আরও পড়ুন: চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি সমস্যা সমাধানে সরকার বদ্ধপরিকর: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
তিনি আরও যোগ করেন, পোল্ট্রি শিল্পে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। খামারে দূষণ হলে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এ জায়গায় দায়িত্বশীলতা থাকতে হবে। যাদের বড় খামার আছে তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে ভোক্তারা পোল্ট্রি থেকে উৎপাদিত খাদ্যের ওপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
পোল্ট্রি থেকে উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারের জন্য শিল্প স্থাপনের ওপর এ সময় গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। এ ধরনের শিল্প স্থাপনে রাষ্ট্র সবধরনের পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দিতে চায় বলে জানান মন্ত্রী।
ওয়ার্ল্ড'স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পোল্ট্রি খাতের বিজ্ঞানী, গবেষক ও অংশজীনরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় ওয়ার্ল্ড'স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ আয়োজিত নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদন বিষয়ক সেমিনারের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন সেমিনারের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদন: প্রত্যাশা ও পরিকল্পনা বিষয়ে উপস্থাপন করেন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এর সভাপতি শামসুল আরেফীন খালেদ।
আরও পড়ুন: সারা দেশে খাঁচায় মাছ চাষকে উৎসাহিত করছি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
২ বছর আগে
‘চারকোল নীতিমালা’ প্রণয়ন
পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রপ্তানিমুখী চারকোল শিল্প প্রতিষ্ঠায় ‘চারকোল নীতিমালা, ২০২২’ প্রণয়ন করল বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। পাটখড়িসহ অন্য যে কোনো উপকরণ দ্বারা চারকোল উৎপাদন এবং এ সংশ্লিষ্ট শিল্পসমূহকে বিকশিত করার লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থে এই বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি বিধায় চারকোল নীতিমালা-২০২২ প্রণয়ন করা হয়।পাটখড়ি থেকে চারকোল উৎপাদন পাটের বহুমুখী ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পাটকাঠিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পোড়ানো, শীতলীকরণ ও সংকোচন করে চারকোল প্রস্তুত করা হয়। চারকোলে ৭৫ শতাংশ কার্বন থাকে। পানি বিশুদ্ধকরণ, আতশবাজি, জীবন রক্ষাকারী বিষ নিরোধক ট্যাবলেট, প্রসাধন সামগ্রী, ফটোকপিয়ার ও কম্পিউটারের কালি তৈরির কাঁচামাল হিসাবে চারকোল ব্যবহৃত হয়।
বর্তমানে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরাসহ দেশের বেশ কিছু জেলায় প্রায় ৪০টি কারখানায় চারকোল উৎপাদন হচ্ছে। এর মাধ্যমে বর্তমানে বার্ষিক প্রায় সাত হাজার ৭১ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন (প্রায়) চারকোল রপ্তানি করে দেশে প্রায় ৪০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে।
চারকোল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানি আয় ও রাজস্ব বৃদ্ধি ছাড়াও প্রায় ২০ হাজার লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্হানের সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাবনাময় এই চারকোল শিল্প স্থাপন ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে এতদিন কোন নীতিমালা ছিল না। পরিবেশবান্ধব পাটখড়ি থেকে অত্যন্ত কম মাত্রার কার্বন নিঃসরণ হওয়ায় চারকোল শিল্প পরিবেশবান্ধব।
এ নীতিমালা প্রণয়নের উদ্দেশ্য:
প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের চারকোল উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি বিষয়ে সহায়তা প্রদান, দক্ষ জনবল তৈরি, উৎপাদিত চারকোলের মান নিয়ন্ত্রণ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে সহযোগিতা প্রদান, দেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে সুযোগ সম্প্রসারণ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সুবিধা প্রদান, চারকোল রপ্তানিতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা প্রদান, চারকোল শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, চারকোল শিল্পে প্রবৃদ্ধি অর্জনে দক্ষ, উপযুক্ত ও প্রতিযোগিতা সক্ষম গতিশীল ব্যক্তিখাত সৃষ্টি, পরিবেশসম্মত উপায়ে চারকোল উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান এবং চারকোল রপ্তানির ক্ষেত্রে দ্য কার্গো ইনসিডেন্ট নোটিফিকেশন সিস্টেম (সিআইএনএস), দ্য ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ অব পোটেকশন এন্ড ইনডেমনিটি ক্লাবস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এর নির্দেশনাবলীসহ প্রযোজ্য অন্যান্য আইন/বিধি/নীতি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ।
আরও পড়ুন: নীতিমালা মেনেই স্কুল এমপিওভুক্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রীবাস্তবায়ন কৌশল:
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়/পাট অধিদপ্তর চারকোল শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে যখন যেভাবে প্রয়োজন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং দপ্তর/অধিদপ্তর/পরিদপ্তরের সঙ্গে (যেমন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদপ্তর ইত্যাদি) যোগাযোগ ও সমন্বয় করবে।
প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চারকোল শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে আন্তঃমন্ত্রণালয়/আন্তঃদপ্তর যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাঙ্খিত সমাধান অর্জনে প্রয়াস গ্রহণ করবে।
চারকোল শিল্পে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টিসহ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
চারকোলের যথাযথ (স্ট্যান্ডার্ড) মান নির্ধারণপূর্বক চারকোল শিল্প সংক্রান্ত মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে, প্রয়োজনে এ লক্ষ্যে গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করবে।
তদারকি ও পরিবীক্ষণ:
পাট অধিদপ্তর সরকারের পক্ষে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন, তদারকি, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে। এছাড়া সময়ে সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী নীতিমালা সংশোধনসহ নতুন নতুন নির্দেশনা ইত্যাদি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন সাজা প্রদান নীতিমালা কেন নয়, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ভ্যাকসিন নীতিমালা
২ বছর আগে