ইউনিসেফ
সুদানে মহামারী রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে ৩৪ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
সুদানে পাঁচ বছরের কম বয়সী অন্তত ৩৪ লাখ শিশু মারাত্মক মহামারী রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সুদানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে কলেরা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু জ্বর, হাম ও রুবেলার মতো রোগ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আক্রান্ত রাজ্য ও এর বাইরে শিশুদের অবস্থা মারাত্মকভাবে খারাপ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, চলমান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে টিকাদানের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া এবং স্বাস্থ্য, পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে এই সংকট দেখা দিয়েছে। সুদানের অনেক শিশুর পুষ্টির অবস্থার অবনতি তাদের আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনিসেফ গত ৯ সেপ্টেম্বর সুদানে ৪ লাখ ৪ হাজার ডোজ ওরাল কলেরা টিকা সরবরাহ করে। অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে সুদানে টিকা দেওয়া ৮৫ শতাংশ থেকে প্রায় ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।
এতে বলা হয়, সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোর ৭০ শতাংশের বেশি হাসপাতালেই কার্যকম বন্ধ রাখতে হয়েছে। কয়েক মাস ধরে বেতনও পাচ্ছেন না স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বন্যায় বিপর্যস্ত সুদানের ৭ লাখ মানুষ
গত বছরের এপ্রিলে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এসএএফ এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ জন মারা গেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এসময় কলেরা, ম্যালেরিয়া, হাম ও ডেঙ্গু জ্বরের মতো মহামারী রোগ ছড়িয়ে পড়েছে, যেসব রোগের কারণেও অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৭ আগস্ট দেশটিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করেন সুদানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাইথাম মোহাম্মদ ইব্রাহিম। কলেরা ছড়িয়ে পড়ার জন্য সংঘাতের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত অবস্থার অবনতি এবং অপরিষ্কার পানির ব্যবহারকে দায়ী করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১৫ জুলাই থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে ৩২৮ জনের মৃত্যুসহ ১০ হাজার ২২ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদানে কলেরার প্রাদুর্ভাব, আক্রান্ত সাড়ে ৯ হাজার, মৃত্যু ৩১৫
৩ মাস আগে
পরিকল্পনা উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনিসেফ, ইউনেস্কো ও ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউনিসেফ, ইউনেস্কো ও ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধি।
রবিবার রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিকালে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন
বাংলাদেশে জাতিসংঘের অন্তবর্তীকালীন আবাসিক সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশে ইউএনএফপিএ’র এজেন্সি প্রধান ক্রিস্টিন ব্লখুস, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের ডেপুটি প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধিরা শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের উদ্যোগসমূহকে বাস্তবসম্মত বলে মনে করেন এবং তারা শিক্ষাখাতে যেকোনো ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে শিক্ষা উপদেষ্টাকে জানান। তারা শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কারের উপর জোর দেন। বিশেষত শিক্ষানীতি ২০১০ হালনাগাদ করা দরকার বলে মতামত দেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি
পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে বলেন, ‘আমরা মানসম্মত শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছি। এ ব্যাপারে জাতিসংঘ এবং এর বিশেষায়িত সংস্থাসমূহের সবরকমের সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই।’
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ফখরুলের জনসভা, সাক্ষাৎ করবেন আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গেও
৩ মাস আগে
বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ঝুঁকিতে ২০ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ঘরবাড়ি, স্কুল ও গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় ২০ লাখেরও বেশি শিশু ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে গত ৩৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৬ লাখ মানুষ।
নজিরবিহীন মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি এলাকাগুলোকে প্লাবিত করে।
এতে ৫২ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এর ফলে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
আটকা পড়া লাখ লাখ শিশু ও পরিবারে খাদ্য ও জরুরি ত্রাণ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। সরকারি কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার অভিযান চালালেও কিছু এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ছে। বর্ষা মৌসুমের আগামী দিনগুলোতে আরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রিগহাম বলেছেন, 'বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা শিশুদের ওপর চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনা ও জলবায়ু সংকটের অব্যাহত প্রভাবের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বহু শিশু তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে, তাদের বাড়িঘর, স্কুল ধ্বংস হয়েছে এবং তারা এখন পুরোপুরি নিঃস্ব।’
তিনি বলেন, ‘ইউনিসেফ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তবে এই শিশুদের কাছে পৌঁছাতে এবং তাদের ভবিষ্যতের ওপর আরও বিধ্বংসী প্রভাব রোধ করতে আরও তহবিলের প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: ২০২১ সালে বিশ্বে বায়ু দূষণে ৮১ লাখ মৃত্যু: ইউনিসেফ
দুর্যোগের শুরু থেকেই ইউনিসেফ মাঠে রয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফের সঙ্গে একটি প্রাথমিক মূল্যায়ন মিশনে যোগদানের করে। ইউনিসেফ তার অংশীদারদের সঙ্গে ১৩ লাখ শিশুসহ ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষের কাছে ৩৬ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, পানি সংরক্ষণের জন্য ২৫ হাজার জেরি-ক্যান এবং ২৫ হাজারেরও বেশি ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট স্যাচেট পৌঁছিয়েছে।
কিন্তু আরও অনেক কিছু দরকার। মানুষ ও শিশুদের জরুরি ভিত্তিতে নগদ অর্থ সহায়তা, বিশুদ্ধ খাবার পানি, হাইজিন কিট, জরুরি ল্যাট্রিন, স্যানিটারি প্যাড, ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট এবং জরুরি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ প্রয়োজন।
অসুস্থ নবজাতক ও শিশুদের চিকিৎসা এবং গর্ভবতী মায়েদের সন্তান প্রসবে সহায়তা করার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দ্রুতই চালু করতে হবে।
সাম্প্রতিক বন্যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা এবং মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কাছাকাছি সময়ে আঘাত হানে।
সামষ্টিকভাবে তিনটি দুর্যোগে ৫০ লাখ শিশুসহ সারা বাংলাদেশে ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই তিনটি জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউনিসেফের জরুরি ভিত্তিতে শিশুদের পাশাপাশি গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, জীবন রক্ষাকারী এবং বহু-খাত সংশ্লিষ্ট সহায়তার জন্য ৩৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৭ লাখ ৭২ হাজারের বেশি শিশু ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনিসেফ
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং অন্যান্য চরম দুর্যোগপূর্ণ ঘটনাগুলোর ফ্রিকোয়েন্সি, তীব্রতা ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি বাড়িয়ে তোলে। জলবায়ু সংকট মূলত শিশু অধিকারের সংকট।
ইউনিসেফের শিশুদের জলবায়ু ঝুঁকি সূচক অনুযায়ী জলবায়ু ও পরিবেশগত ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশের শিশুরা।
বিশ্বব্যাপী, ইউনিসেফ জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করে:
(ক) শিশুর জীবন, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করা
(খ) প্রত্যেক শিশুকে পরিবেশের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে ক্ষমতায়ন করা; এবং
গ) নির্গমন ও পরিবেশগত ক্ষতি হ্রাস।
ব্রিগহাম আরও বলেন, 'বছরের পর বছর বন্যা, তাপপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের লাখ লাখ শিশুর জীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন স্পষ্টতই শিশুদের জীবন পরিবর্তন করছে।’
তিনি বলেন, 'শিশুদের জন্য বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে জরুরি ও জোরালো ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে আমরা বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে ৩২ শিশু নিহতের বিষয়ে ইউনিসেফের বিবৃতির জবাব দিল সরকার
৩ মাস আগে
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৭ লাখ ৭২ হাজারের বেশি শিশু ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনিসেফ
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ।
এক বিবৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আকস্মিক এই বন্যায় এরইমধ্যে ২০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭ লাখ ৭২ হাজারের বেশি শিশু।’
ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তার প্রয়োজন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
শেলডন ইয়েট আরও বলেন, ‘বন্যার পানি বাড়তে থাকলে শিশুরা সবচেয়ে বেশি অরক্ষিত হয়ে পড়ে। পানিতে ডুবে মৃত্যু, অপুষ্টির শিকার ও মারাত্মক পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়া, বাস্তুচ্যুতির আতঙ্ক এবং জনাকীর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রে নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে।’
শিশুদের নিরাপত্তা ও মঙ্গল নিশ্চিত করা ইউনিসেফের অগ্রাধিকার বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকার এবং মাঠপর্যায়ের পার্টনারদের সঙ্গে সমন্বয় ও অংশীদারিত্বে গত ৫ দিনে প্রায় ১ লাখ বন্যাকবলিত মানুষের কাছে নিরাপদ পানি বিতরণ করেছে। পাশাপাশি ৩ হাজারেরও বেশি ১০ লিটারের পানির পাত্র দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে তা মোকাবিলায় বিভিন্ন গুদাম থেকে জরুরিভিত্তিতে অতিরিক্ত জরুরি সরঞ্জাম আনা হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
শেলডন ইয়েট বলেন, ‘সিলেট বিভাগে ৮১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া, ৫০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়াও প্রায় ১৪০টি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
কঠিন এই সময়ে সম্ভাব্য সহিংসতা নিরসনে এবং ট্রমা বা আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে শিশুদের সহযোগিতা করতে শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মীরা পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
নদীগুলোর পানি বিপজ্জনক উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে উল্লেখ করে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে সোয়া ৮ লাখ
৬ মাস আগে
বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকায় বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে মৃত্যু হয় ৪০% শিশুর
বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে বাতাসের মানের ওপর সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি উঠে এসেছে।
হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউটের (এইচইআই) সর্বশেষ স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার (এসওজিএ) ২০২৪ প্রতিবেদন অনুসারে, ইউনিসেফের অংশীদারিত্বে দক্ষিণ এশিয়ার পাশাপাশি পূর্ব, পশ্চিম, মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলো বায়ুদূষণের কারণে সৃষ্ট রোগগুলোতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হচ্ছে।
শুধু ২০২১ সালেই বাংলাদেশে বায়ুরদূষণের কারণে ২ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বায়ু দূষণের কারণে সময়ের আগেই শিশুর জন্ম, কম ওজন নিয়ে জন্ম, হাঁপানি ও ফুসফুসের রোগ এবং বিভিন্ন সমস্যাসহ ৫ বছরের কম বয়সি শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
আরও পড়ুন: ২০২১ সালে বিশ্বে বায়ু দূষণে ৮১ লাখ মৃত্যু: ইউনিসেফ
বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণে ৪০ শতাংশের বেশি মৃত্যু হয়েছে বায়ুদূষণের কারণে। ২০২১ সালে বাংলাদেশে বায়ুদূষণজনিত কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সি ১৯ হাজারেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
২০২১ সালে, বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সি ৭ লাখেরও বেশি শিশুর মৃত্যুর কারণ ছিল বায়ুদূষণ। অপুষ্টির পরে এই বয়সের জন্য বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে এটি।
এর মধ্যে ৫ লাখ শিশুর মৃত্যু গৃহস্থালী বায়ুদূষণ থেকে যা দূষিত জ্বালানি ব্যবহারে বাড়ির ভেতরে রান্নার কারণে সৃষ্ট। এসব মৃত্যুর বেশিরভাগ আফ্রিকা ও এশিয়ায়।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, 'লাখ লাখ মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। খারাপ বায়ু মানের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে শিশুরা। হাঁপানি ও নিউমোনিয়ার মতো রোগে ভুগছে তারা। তবে শুধু এখনকার শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্যও বায়ু মানের উন্নতি গুরুত্বপূর্ণ। সেলক্ষ্যে টেকসই সমাধানগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: শিশুদের হাইড্রেটেড-নিরাপদ রাখতে বাড়তি সতর্ক হওয়ার আহ্বান ইউনিসেফের
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে অনেক বেশি পরিমাণে ওজোনের প্রভাব রয়েছে, যা বায়ুদূষণজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ওজোনসম্পর্কিত ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিসঅর্ডারের কারণে (সিওপিডি) মৃত্যুর প্রায় ৫০ শতাংশ ভারতে (২ লাখ ৩৭ হাজার), তারপরে চীন (১ লাখ ২৫ হাজার ৬০০) এবং বাংলাদেশে (১৫ হাজার) হয়েছে।
প্রতিবেদনে শিশুস্বাস্থ্যের ওপর বায়ুদূষণের প্রভাবগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। বায়ুদূষণের প্রভাবে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থায় আছে শিশুরা এবং এর প্রভাব গর্ভাবস্থা থেকেই শুরু হয়ে আজীবন স্থায়ী হতে পারে। ফুসফুস, দেহ ও মস্তিষ্কের বিকাশের এই পর্যায়ে শিশুরা শ্বাসের সঙ্গে তাদের শরীরের প্রতি কেজি ওজনের তুলনায় বেশি বাতাস টেনে নেয় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বাতাসের দূষণকারী পদার্থগুলো তাদের শরীরে বেশি প্রবেশ করে।
বায়ুদূষণজনিত রোগের প্রভাব বিশ্বজুড়ে সমানভাবে দেখা যায় না। ইস্কেমিক হৃদরোগে বায়ুদূষণের প্রভাব বিশ্বব্যাপী গড়ে ২৮ শতাংশ হলেও ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে ১০ শতাংশেরও কম। অন্যদিকে নাইজেরিয়া, কেনিয়া, রুয়ান্ডার মতো পূর্ব, পশ্চিম, মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলো এবং বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ৪০ শতাংশেরও বেশি।
এই বছরের এসওজিএ প্রতিবেদনে বায়ুদূষণের স্বাস্থ্যের প্রভাব এবং এই বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনের বিষয়টি উঠে এসেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন জনস্বাস্থ্য নীতি উন্নত করার চেষ্টা করছে, তখন বাংলাদেশ জনগণের বিশেষত তরুণ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বায়ুদূষণ মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
৬ মাস আগে
২০২১ সালে বিশ্বে বায়ু দূষণে ৮১ লাখ মৃত্যু: ইউনিসেফ
ক্রমবর্ধমান হারে মানব স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে বায়ু দূষণ। বর্তমানে বিশ্বে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকির দ্বিতীয় কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এটি। জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) অংশীদারিত্বে প্রকাশিত স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার (এসওজিএ) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (১৯ জুন) হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউটের (এইচইআই) প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের পঞ্চম সংস্করণে দেখা যায়, বায়ু দূষণের কারণে ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ৮.১ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, অর্থনীতি ও সমাজ বাদ দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ বায়ু দূষণে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী রোগের সঙ্গে লড়াই করছে।
প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, বায়ু দূষণের কারণে বিশেষ করে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ২০২১ সালে এই বয়সসীমার ৭ লক্ষেরও বেশি শিশু মারা গেছে।
আরও পড়ুন: শিশুদের হাইড্রেটেড-নিরাপদ রাখতে বাড়তি সতর্ক হওয়ার আহ্বান ইউনিসেফের
এসওজিএ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পরিবহন, আবাসিক বাড়ি, দাবানলসহ আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানি ও বায়োমাস পোড়ানোর কারণে তৈরি হওয়া সূক্ষ্ম বস্তুকণার (পিএম ২.৫) দূষণ বিশ্বব্যাপী বায়ু দূষণের ৯০ শতাংশেরও বেশি মৃত্যুর কারণ। এটি বিশ্বজুড়ে খারাপ স্বাস্থ্যের কারণ হিসেবে সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ভবিষ্যতেও এর কারণে আরও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।
অন্যান্য দূষণকারী যেমন- গৃহস্থালী বায়ু দূষণ, ওজোন ও গাড়ির ধোঁয়া থেকে সৃষ্টি নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাস বিশ্বব্যাপী মানব স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ।
এই প্রতিবেদনের তথ্য অবস্থার পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করেন এইচইআই সভাপতি ডা. এলেনা ক্র্যাফট।
তিনি বলেন, ‘বায়ু দূষণ স্বাস্থ্যের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলে। আমরা জানি যে বায়ুর গুণমান এবং বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের উন্নতি করা ব্যবহারিক ও অর্জনযোগ্য।’
মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলার পাশাপাশি, পিএম ২.৫-এর মতো দূষণকারী পদার্থগুলো গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর সঙ্গে মিলে গ্রহকে উষ্ণতর করে তুলছে। পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ার সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের উচ্চ স্তরগুলো বিশেষ করে ওজোন স্তরের পরিবর্তন স্বাস্থ্যের ওপর আরও বেশি প্রভাব পড়তে পারে।
শিশুরা আছে 'অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ' অবস্থায়
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বায়ু দূষণের প্রভাবে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থায় আছে শিশুরা এবং এর প্রভাব গর্ভাবস্থা থেকেই শুরু হয়।
এতে বলা হয়েছে, অল্পবয়স্ক শিশুরা বায়ু দূষণের সংস্পর্শে আসার ফলে নিউমোনিয়া ও হাঁপানি হয়ে বিশ্বব্যাপী পাঁচজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। তবে বায়ু দূষণের প্রভাব ও মৃত্যুর হার উচ্চ আয়ের দেশগুলোর তুলনায় বৈষম্যপূর্ণ নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে বেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে বাড়ছে হাঁপানি রোগী: পরিবেশমন্ত্রী
প্রতিবেদনে দেখা যায়, মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো থেকে সৃষ্ট বায়ু দূষণ ভারতীয় শহরগুলোতে একটি গুরুতর সমস্যা।
ইউনিসেফের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কিটি ভ্যান ডার হেইজডেন বলেন, বায়ুদূষণের প্রভাবে প্রতিদিন ৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ২ হাজার শিশু মারা যায়।
পরিস্থিতির উন্নয়নচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে
মানব স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি এসওজিএ প্রতিবেদনে দাবি করেছে, গৃহস্থালি বায়ু দূষণের ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা এখন বেড়েছে এবং রান্নার কাজে ক্লিন এনার্জির ব্যবহার বাড়ায় ২০০০ সাল থেকে ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার ৫৩ শতাংশ কমেছে।
এছাড়াও, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার মতো বায়ু দূষণের সর্বোচ্চ ক্ষতিকর প্রভাবের অভিজ্ঞতা অর্জনকারী অঞ্চলগুলো এই সমস্যা সমাধানে বায়ু দূষণ পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক স্থাপন, কঠোর বায়ু মানের নীতি বাস্তবায়নসহ আরও অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: চরম আবহাওয়া: মারাত্মক প্রভাবের মুখে বাংলাদেশ
৬ মাস আগে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আইএফআরসি প্রেসিডেন্ট ও ইউনিসেফ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
ঢাকা সফররত দি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কেট ফোর্বস ও বাংলাদেশে ইউনিসেফ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বুধবার (৫ জুন) মন্ত্রণালয়ে সকালে ও অপরাহ্নে প্রতিনিধিরা সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক দুটি বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা এবং সংশ্লিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে কার্যক্রম ও নতুন উদ্যোগের ওপর আলোকপাত করেন সফররত প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: মোদির এনডিএ জোটকে ঢাকার অভিনন্দন, দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদী
৬ মাস আগে
শিশুদের হাইড্রেটেড-নিরাপদ রাখতে বাড়তি সতর্ক হওয়ার আহ্বান ইউনিসেফের
দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ ও উত্তপ্ত তাপমাত্রার কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) ইয়েট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আপনার প্রতিবেশীদের দিকে নজর রাখুন- দুর্বল পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, গর্ভবতী নারী এবং বৃদ্ধরা তাপপ্রবাহের সময় অসুস্থতা বা মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। সময় নিয়ে প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নিন- বিশেষ করে যারা একা থাকেন।’
ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের 'অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে' রয়েছে বাংলাদেশের শিশুরা।
তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য যারা তাপজনিত অসুস্থতা যেমন হিট স্ট্রোক এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে বিশেষভাবে ডায়রিয়া ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা ইউনিসেফের
ইয়েট বলেন, ‘যেহেতু শিশুদের ওপর ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার প্রভাবের উদ্বেগের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে, তাই ইউনিসেফ অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের হাইড্রেটেড ও নিরাপদ রাখতে অতিরিক্ত সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।’
এই তাপপ্রবাহের তীব্রতা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।
তাপমাত্রা নজিরহীনভাবে বাড়তে থাকায় অবশ্যই শিশু এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে জানান ইয়েট।
এই তাপপ্রবাহ থেকে ইউনিসেফ কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, যত্নগ্রহণকারী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের রক্ষায় নিম্নের পদক্ষেপগুলো নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে-
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন, শিশুদের বসার বা খেলার জন্য শীতল জায়গা তৈরি করুন। গরমের দুপুর এবং বিকালের সময় বাইরে থাকা এড়িয়ে চলুন। নিশ্চিত করুন যে শিশুরা হালকা, বাতাস প্রবেশ করে এমন পোশাক পরবে এবং সারা দিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা: যদি কোনো শিশু বা গর্ভবতী নারীর হিটস্ট্রেসের লক্ষণগুলো দেখা যায়, যেমন- মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্তপাত, পেশি খিঁচুনি, ফুসকুড়ি), ব্যক্তিকে ভালো বায়ু চলাচলসহ শীতল, ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখুন এবং ভেজা তোয়ালে বা শীতল পানি দিয়ে শরীর মুছে দিন।
পানি বা ওরাল রিহাইড্রেশন লবণ (ওআরএস) গ্রহণ করুন।
হিটস্ট্রেসের গুরুতর লক্ষণগুলোতে (যেমন বিভ্রান্তি বা প্রতিক্রিয়া জানাতে অক্ষমতা, অজ্ঞান হওয়া, শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, খিঁচুনি এবং চেতনা হ্রাস) হলে জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
আরও পড়ুন: শিশু শিক্ষায় বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা ইউনিসেফের
৭ মাস আগে
স্বাস্থ্যখাতে কাজ করতে আগ্রহী ইউনিসেফ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতে কাজ করতে বাংলাদেশের আহ্বানে ইউনিসেফ আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ইউনিসেফের জাতিসংঘ শিশু তহবিলের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট এবং জাতিসংঘ শিশু তহবিলের হেলথ সেকশনের চিফ মায়া ভ্যানডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দগ্ধ রোগীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোর্ড সভা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইউনিসেফ করোনার সময় বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও নানাভাবে সহযোগিতা করেছে। নিরাপদ মাতৃত্ব, ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করা, দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা করা, তৃণমূল পর্যায়ে শিশুদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত অবকাঠামো নির্মাণসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজেও ইউনিসেফ ভূমিকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, এগুলোর সঙ্গে শিশুদের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ইউনিসেফ প্রতিনিধিদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানালে তারা তাতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
সাক্ষাৎকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটো মিয়া, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) মামুনুর রহমান।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মবিরতি আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
৮ মাস আগে
উদয়ন স্কুলে দিনব্যাপী হেলথ ক্যাম্প আয়োজন ডিনেটের
ইউনিসেফ বাংলাদেশের কারিগরী সহায়তায় শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন করেছে ডিনেট।
হেলথ ক্যাম্প আয়োজনের সহায়তায় আরও ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর (ডিজিএফপি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উল্লিখিত সব প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বৃহত্তম ও দ্রুত বর্ধনশীল কিশোর জনসংখ্যা থাকা বিশ্বের অন্যতম দেশ। তাই গত কয়েক বছরে সরকার বয়ঃসন্ধিকালের স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বেশকিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর ফলে, জাতীয় পর্যায়ে লক্ষ্য করা গেছে যে শহরের কিশোর-কিশোরীদের এই বিষয়ে জ্ঞান আদান-প্রদান অথবা সেবা চাওয়ার প্রবণতা গ্রামীণ কিশোর-কিশোরীদের চেয়ে তুলনামূলক কম।
সম্মিলিতভাবে ডিনেট ও ইউনিসেফ সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে উল্লিখিত গোষ্ঠির সুরক্ষার্থে শহরের কিশোর-কিশোরীদের জন্য ব্যাপকভাবে হেলথ ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রিম্যাচ্যুরিটির কারণে দেশে নবজাতক মৃত্যুর হার বেশি: ডা. নব কৃষ্ণ
এই হেলথ ক্যাম্প আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল- জাতীয় কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে শহরের কিশোর-কিশোরীদের অবগত করা, চিকিৎসকদের দ্বারা তাদের চক্ষু পরীক্ষাসহ কিছু মৌলিক শারীরিক পরীক্ষা করা, এমনকি উল্লিখিত বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি, বাল্যবিবাহ, স্বাস্থ্যবিধি ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি।
ডিনেটের ডাক্তারেরা কিছু প্রাথমিক মেডিকেল চেকাপ এবং সচেতনতা সেশন পরিচালনা করেন।
এরপরই একজন শিক্ষাবিষয়ক মনোবিজ্ঞানী একটি গ্রুপে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কিছু পরামর্শ দেন।
এছাড়াও, ডিনেটের প্রতিনিধিরা জাতীয় কিশোর স্বাস্থ্য ওয়েবসাইটের একটি ওরিয়েন্টেশন প্রদর্শন করেন এবং অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দেন।
ডিনেটের যুগ্ম পরিচালক আসিফ আহমেদ তন্ময় এবং ডিজিএফপি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার (এএন্ড আরএইচ) ডা. মো. মনজুর হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ডিনেটকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য এই ধরনের অনুষ্ঠান নিয়মিত আয়োজন করা উচিত। যাতে তাদের মধ্যে সচেতনতা এবং পারস্পরিক সহমর্মিতা বৃদ্ধি পায়।
আসিফ আহমেদ তন্ময় বলেন, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যম থেকে শহর অঞ্চলে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য নিয়ে তুলনামূলোক অনেক কম কাজ হয়। এরই প্রেক্ষিতে আমাদের এই কর্মসূচি। যাতে করে শহর অঞ্চলের কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে আরও বেশি কাজ করার ক্ষেত্র তৈরি হয়।
ডা. মো. মনজুর হোসেন বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার নারী জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। যার মধ্যে প্রায় ৫ হাজার নারী মৃত্যুবরণ করেন। অথচ সময়মত টিকা দেওয়ার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা যায়। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করা উচিত।
আরও পড়ুন: নিবারণযোগ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করবে চক্ষু চিকিৎসক সমিতি ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমন্বিত কর্মপন্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়নই হেলথ প্রমোশন: সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা
১ বছর আগে