বিপদসীমা
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে, কুড়িগ্রামে বন্যার আশঙ্কা
কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলাসহ অনান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্রে নদের নুনখাওয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার নিচে,চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৫৮ সে.মি নিচে কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ, নয়ারহাট, সাহেবের আলগাসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বল্প মেয়াদি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
তিস্তার গড়াইপিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. নুর আলম বলেন, দুই থেকে তিন দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে, ধান খেত নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তায় আছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এক মাস ধরে বিদ্যুৎবিহীন ৮ হাজার গ্রাহক
খিতাব খাঁ গ্রামে সুরমান আলী বলেন, দিনরাতে সমানে বৃষ্টি হচ্ছে আর তিস্তার পানি বাড়ছে। গরু ছাগল নিয়ে ফের হামারগুলার ভোগান্তি শুরু হলো।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারী বৃষ্টির কারণে উজানের ঢল ও স্থানীয় বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমারয় পৌঁছাতে পারে। ফলে জেলার সদরের কিছু অংশ, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। পানি বিপৎসীমায় পৌঁছালেও খুব বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি। খাদ্য সহায়তা, উদ্ধার নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে
১ বছর আগে
সিলেটে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টি এবং উজানের ঢলে দ্রুত পানি বাড়ায় নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি ইতোমধ্যে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও সিলেট আবহাওয়া অফিস থেকে পাঠানো পৃথক বার্তায় বলা হয়েছে, কুশিয়ারা নদীতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক গ্রামীণ এলাকার নিচু সড়কে পানি ওঠে গেছে।
বার্তায় আরও জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি বেড়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে ১১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। তিন ঘণ্টার ব্যবধানে এখানে পানি বেড়েছে ২ সেন্টিমিটার।
আরও পড়ুন: কুশিয়ারা নদীতে ধরা পড়ল ১৬০ কেজি ওজনের বাগাড়
বিয়ানীবাজার উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ শাখার কর্মকর্তা (পিআইও) মুশফিকুর রহমান সাকিব বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের জরুরি বার্তা দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী বর্ষার আগেই সুরমা ও কুশিয়ারা নদী খনন করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জলাভূমি, গাছ এবং নদী রক্ষা করুন: এসসিআরএফ
১ বছর আগে
বরিশালে ৯ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
পূর্ণিমা ও সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় বরিশালের গুরুত্বপূর্ণ ৯টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), বরিশাল।
জানা গেছে, কীর্তনখোলা নদী, ঝালকাঠীর বিষখালী নদী ও ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৫ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
কুড়িগ্রামে কমেছে নদ-নদীর পানি, বেড়েছে ভাঙন
এছাড়া, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯সেন্টমিটার ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৫৩ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
অন্যদিকে, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টমিটার ও উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
তবে বরগুনা সদরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বিষখালী নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে অবস্থান করছে।
পাউবোর জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুম জানান, আরও দুই দিন জোয়ারের সময়ে পানি বাড়বে। পানি বৃদ্ধির কারণে বিভাগের নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বরিশাল নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ জেলা-উপজেলা সদরের নিচু এলাকায় পানি ঢুকেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ্য উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, রবিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৬৩ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রপাত এবং হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে এক থেকে দুই ফুটেরও বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। পানির উচ্চতা আরও দুই থেকে তিন ফুট বাড়তে পারে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন ও বরিশাল নদী বন্দরকে এক নম্বর সতকর্তা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বরিশালে বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রী হ্রাস ও রাতের তাপমাত্রা অপরবর্তীত থাকতে পারে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাকে তীরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র-ধরলা নদীর পানি বাড়ছে, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
ফরিদপুরের নদ-নদীর পানি বাড়ছে, ডুবছে ফসল
২ বছর আগে
দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এতে এই এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বরিশাল নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার বিকাল ৪টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির স্তরের তথ্য বার জোন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বিভাগের মধ্যে বরিশাল নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া বরিশালের পার্শ্ববর্তী জেলা ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
অন্যদিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপদসীমার ২৯ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৩৬ সেন্টমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়া পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টমিটার ও উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পড়ুন: দুর্বল হয়ে পড়েছে নিম্নচাপ, ৩ নম্বর সংকেত বহাল
২ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপরে
উজানের পাহাড়ি ঢলের পানিতে ও প্রবল বর্ষণে সিরাজগঞ্জের কাছে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রবিবার সকালের রেকর্ড অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও কাজিপুর পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত দুইদিন ধরে সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করায় বন্যা কবলিত এলাকার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
রবিবার সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বিয়ারঘাটের বাঁধ অভ্যন্তরের একটি কাঁচা রাস্তার ৩০ ফুট ভেঙ্গে যমুনা নদীর পানি প্রবেশ করায় নিম্নাঞ্চলের তিন শতাধিক বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসময় একটি দোকান ও তিনটি টিনের ঘর ভেঙ্গে গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার পানি কমছে, খাবার ও পানির সংকট
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক ভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এতে চরাঞ্চলের বাদাম ও পাটসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে এবং অনেক এলাকায় সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে। এ ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এনায়েতপুরসহ অনেক স্থানে এ ভাঙন রোধে স্থানীয় পাউবো জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করছে। যমুনায় পানি বাড়তে থাকায় বিশেষ করে শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে এবং চরাঞ্চলের অনেক পরিবার এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। তবে এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া বাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নজর রাখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে যমুনার পাশাপাশি জেলার অভ্যন্তরীণ শাখা নদী ও চলনবিল অধ্যুষিত উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার করতোয়া, বড়াল, ইছামতি, ফুলজোড় নদীতেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হচ্ছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলও।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বন্যায় বন্দি সিলেটবাসী
১১ জেলায় বন্যার্তদের জন্য অর্থ ও খাদ্য বরাদ্দ
২ বছর আগে
ধরলার পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপরে
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি একরাতে ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে অন্যন্য নদ-নদীর পানিও।
শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে পাঁচ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার শঙ্কা
২ বছর আগে
তিস্তার পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। যে কোনো সময় পানি ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পাউবো কর্মকর্তারা।
রবিবার দুপুরে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) বিপদসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাশাপাশি পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় তিস্তার চর এলাকাগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: পানি বাড়ছে তিস্তার, খুলে দেয়া হয়েছে সব গেট
ব্যারেজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি ৫১ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রবিবার সকালে পানি অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, তিস্তা নদীর পানি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, যেকোনো সময় তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। তাই দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইসগেট খুলে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়ি-ঘর
২ বছর আগে
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
গত কয়েকদিন ধরে ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে অবিরাম বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে সুনামগঞ্জের নদ নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার ষোলঘরস্থ সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার এখনও ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শহরের নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। তবে পানি কমতে শুরু করেছে ।
এছাড়াও জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল এবং এখনও কিছু কিছু উপজেলায় পানি থাকার কারণে দুর্ভোগে আছেন মানুষজন। বিশেষ করে পানির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষজনের রোজগার বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে লাখো মানুষ চরম বিপাকে দিন কাটাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, সারাদেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
এদিকে জেলার ছাতক উপজেলায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও বাসাবাড়িতে এখনও পানি থাকায় চরম দুর্ভোগে আছেন সাধারণ মানুষজন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানিয়েছেন, গতকয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৭৭৭ হেক্টর বোরো ধান, ৭৫ হেক্টর বাদাম, আউশ বীজতলা ৭৪ হেক্টর, সবজি ৬০ হেক্টর, আউশ ধান ২০ হেক্টর পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতির পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা হবে।
মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, টানা বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার ছাতক ও দোয়ারাবাজারে প্রায় সাড়ে ৪শ’ পুকুর ডুবে ৩৫ টন মাছ ও ৩০ লাখ পোনা বানের পানিতে ভেসে যায়, যার ক্ষতির পরিমাণ আড়াই কোটি টাকা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি এবং সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন ইতোমধ্যে ছাতক, দোয়ারাবাজার, সদর ও তাহিরপুরে প্রায় আট হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের মাধ্যমে প্রশাসন উদ্যোগে ১৪০ মেট্রিন টন জি আর এর চাল, নগদ ১২ লাখ টাকা ও দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। ২৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এবং ২০টির মতো আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, হাজারো মানুষ পানিবন্দি
২ বছর আগে
টানা বর্ষণে সিলেট-সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি
ভারী বর্ষণ ও ভারত সীমান্ত থেকে আসা পানির কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নদ-নদীর পানি বিপদসীমায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এছাড়া আগামী ২৪ ঘন্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের ত্রিপুরাতে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি নদীসহ সীমান্তবর্তী নদনদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা।
এদিকে উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও চলমান বৃষ্টিপাতে সিলেটের প্রায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট উপজেলা দিয়ে ইতোমধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ভোর ৬টায় ওই অঞ্চলে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ০.৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট এলাকায় বিপদসীমার ১২.৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে শুক্রবার সকাল ৬টায় ছিল ১৩.৩৪ সেন্টিমিটার। সিলেটে সুরমার বিপদসীমার ১০.৮০ সেন্টিমিটার। সকাল ৬টায় এই নদীর পানি ছিল ৯.৫২ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা এলাকায় রয়েছে বিপদসীমার ১৩.০৫ সেন্টিমিটার। সকাল ৬টায় এই নদীর পানি ছিল ১০.৮৬ সেন্টিমিটার। সারি নদী গোয়াইঘাট এলাকার বিপদসীমার ১২.৩৫ সেন্টিমিটার। সকাল ৬টায় এই নদীর পানি ছিল ১১.৯৫ সেন্টিমিটার। সুনামগঞ্জ সুরমার বিপদসীমার ৭.৮০ সেন্টিমিটার। সকাল ৬টায় এই নদীর পানি ছিল ৬.৩২ সেন্টিমিটার।
এদিকে, সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সিলেটে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, আগামী ১৮ মে পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের চেয়ে রাতে বেশি বৃষ্টিপাত হবে।
পড়ুন: সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
২ বছর আগে
ফরিদপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফরিদপুরে পদ্মার পানি গত চার দিন যাবত বেড়েই চলছে। ফলে দেশের মধ্যাঞ্চলের এই জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
গোয়ালন্দ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ সেন্টিমিটার পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তা এখন বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, আমার ১২টি গ্রাম বন্যাকবলিত। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা আছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পানিবন্দী মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান জানান, তার ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের ১৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মৃকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম রেজা বলেন, পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গবাদি পশুর খাদ্য মজুদ আছে। আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যা দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে রাখার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিপদসীমার উপরে পদ্মার পানি, তীব্র ভাঙন
তিস্তার ভাঙন: কুড়িগ্রামের ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে
৩ বছর আগে