কারফিউ
গোপালগঞ্জে এখনও থমথমে পরিবেশ, জনমনে আতঙ্ক
গোপালগঞ্জে সহিংসতার পর তৃতীয় দিনের মতো কারফিউ চলছে। এর ফলে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকেই দেখা যায়, জেলা শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা। দু-একটি ছোট যানবাহন ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়েনি।
এদিকে, ছোটবড় সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতা এবং সেবাপ্রত্যাশীরা। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গোটা গোপালগঞ্জজুড়ে বিরাজ করছে থমথমে পরিবেশ।
সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের উপস্থিতি বাড়ে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। এর মধ্যে বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে। এরপর সন্ধ্যায় পুনরায় বিবেচনা করে কারফিউ শিথিল অথবা বাড়ানো হতে পারে।
এর আগে, বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে ২২ ঘণ্টার কারফিউ শুরু হয়, যা চলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এরপর সেটি আরও ২৪ ঘণ্টা বাড়িয়ে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বলবৎ করা হয়।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় বাড়ল
পরিস্থিতি বিবেচনা করে কারফিউয়ের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ কামরুজ্জামানও একই তথ্য জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সারা দেশে মাসব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে বুধবার গোপালগঞ্জে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা। তার আগের দিন মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে তারা এটিকে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ হিসেবে নামকরণ করেন। এরপর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোপালগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও ছাত্রলীগ (নিষিদ্ধ) নেতাকর্মীরা সেটি প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
এনসিপি নেতাদের গাড়িবহর গোপালগঞ্জে যাওয়ার পথেই বাধা পায়। এ ছাড়া সেদিন সকালে পুলিশ এবং ইএনওর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের দায়ী করা হয়।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে সহিংসতায় আত্মরক্ষার্থেই বলপ্রয়োগ করা হয়েছে: আইএসপিআর
দুপুরে গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। হামলার কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছান এনসিপি নেতারা। তারা সেখানে স্লোগান ও বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে তারা মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা দিলে তাদের গাড়িবহর ঘিরে হামলা করা হয়।
এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এনসিপি নেতাদের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে এখন পর্যন্ত ৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
১৪০ দিন আগে
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় বাড়ল
গোপালগঞ্জের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আগামীকাল ১৮ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারির সময় বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুজ্জামানের অফিস সূত্র বৃহস্পতিবার(১৭ জুলাই) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এ সময়ের মধ্যে দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জে বুধবার(১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সমাবেশ পরবর্তী সংঘর্ষে নিহত চার জনের লাশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পোষ্টমর্টেম ছাড়া নিয়ে গেছে উপস্থিত আপনজনেরা। গোপালগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের পরিচালক ডা. জীবিতেশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. জীবিতেশ বলেন, হাসপাতালে আহতদের আনার পর এদের মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। মৃত্যু নিশ্চিতের পরপরই উপস্থিত লোকজন জোর করেই লাশ নিয়ে যায়। কে বা কারা কার আত্বীয় বা আপনজন আমরা তা নিশ্চিত করতে পারিনি। কারণ ঐ সময় সে রকম পরিবেশ ছিল না।
গোপালগঞ্জে গ্রেপ্তার আতঙ্কের মধ্যে এখন পর্যন্ত বুধবারের সংঘর্ষে জড়িত থাকা সন্দেহে ২৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো মিজানুর রহমান।
পড়ুন: জুলাই আন্দোলনের নেতাদের পদযাত্রায় বাধা দিয়ে ফেরানো যাবে না: নাহিদ
তিনি বলেন, জেলার শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমাদের যা যা করণীয় সবই করা হবে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে দৃড় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বুধবারের সংঘসের ঘটনায় আহত বা নিহতের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, বুধবারের ঘটনায় আহত বা নিহত হওয়া কোনো পক্ষ থেকে বা কারো পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি।
এদিকে বুধবারের হামলার প্রতিবাদে এনসিপির নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। পরে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে নেতাকর্মীদের অবরোধ তুলে নিতে বলেন এবং বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সরকার গোপালগঞ্জের হামলার ঘটনাকে অমার্জনীয় উল্লেখ করে ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওই হামলার ঘটনায় কাউকে ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সারা দেশে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন। এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পড়ুন: গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এখন শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে, গ্রেপ্তার ২৫: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৪১ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় কারফিউ ভেঙে রাজপথ দখল আন্দোলনকারীদের, সংঘর্ষ-গুলিতে আহত অর্ধশতাধিক
অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘোষণা করা কারফিউ ভঙ্গ করে কুষ্টিয়ার কয়েকটি সড়ক দখলে রেখেছে আন্দোলনকারীরা। পুলিশের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকেই শহরের একাধিক স্থানে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলীর বাড়িতে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। এরপর শহরের ছয় রাস্তার মোড়, পাঁচ রাস্তার মোড়, মজমপুর এলাকাসহ কয়েকটি সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে দখল করে নেয় আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা মসজিদের মাইক থেকে সবাইকে কুষ্টিয়া মডেল থানা দখল করার আহ্বান জানায়। দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা কুষ্টিয়া পৌরসভায় হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। পাঁচ রাস্তার মোড়ে অবস্থান নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছিল। তবে এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মীকে কুষ্টিয়ার রাজপথে দেখা যায়নি।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান, দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৫ থেকে ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে: সেনাপ্রধান
কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
৪৮৭ দিন আগে
কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
সোমবার বিকেলে কারফিউ উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে শাহবাগ অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছেন।
তাদের অনেকে আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় প্রবেশ করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দুপুর সোয়া ২টার দিকে বনানী পার হয়েছেন শাহবাগে জমায়েত হতে।
মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, উত্তরা, ধানমন্ডি, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ অভিমুখে রওনা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠেছে ঢাকার রাস্তা।
অনেক সড়কে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে পুলিশকে।
তবে হাজিোড়া, মিরবাগ ও ওয়াপদা সড়ক থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে।
৪৮৭ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যেই কারফিউ আরোপ: আইএসপিআর
দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির হওয়ায় রবিবার (৪ আগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। রবিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।
এই সময়ে জনসাধারণকে কারফিউ মেনে চলতে এবং কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
৪৮৮ দিন আগে
রবিবার থেকে কারফিউ ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত শিথিল
কারফিউ শিথিলের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রবিবার (৪ আগস্ট) থেকে ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা- মোট ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় কারফিউ শিথিল বা প্রয়োগের বিষয়ে অন্যান্য জেলার জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান তিনি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তিনি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করবেন কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয় ... এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে এবং প্রধানমন্ত্রী যদি উপযুক্ত মনে করেন... আমরা সব সময় দেশের জন্য কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে আমরা তা করব।’
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের। এর প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
৪৮৮ দিন আগে
ঢাকাসহ ৪ জেলায় সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামীকাল বুধবার(৩১ জুলাই) থেকে শনিবার(৩ আগস্ট) পর্যন্ত ঢাকাসহ চার জেলায় সকাল ৭টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
কারফিউ শিথিল করা জেলা ও মহানগরগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগর ও জেলা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং নরসিংদী জেলা।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: যাকে ধরে নিয়ে যান, তাকেই খাবার টেবিলে বসান, জাতিকে নিয়ে মশকরা করবেন না: হাইকোর্ট
তিনি বলেন, আজকে মিটিং এ দীর্ঘ আলোচনা করি। বাংলাদেশে পরিস্থিতি ধীরে ধীর স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তাই বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী আপনাদের জানাবেন কবে খুলতে পারবেন, ইন্টারনেট বিষয়ে টেলিকম প্রতিমন্ত্রী আপনাদের জানাবেন।
তিনি বলেন, কোন গণগ্রেপ্তার করছি না। কোন নিরাপদ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করছি না। সঠিকভাবে চেক করে গ্রেপ্তার করছি। যদিও এমন হয়ে থাকে চেক করে ছেড়ে দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামীকালের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করা হবে: আইনমন্ত্রী
৪৯৩ দিন আগে
সোমবার সকাল ৬টা থেকে সিলেটে ১৫ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল
সিলেটে সোমবারও (২৭ জুলাই) কারফিউ চলবে, তবে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে।
রবিবার (২৮ জুলাই) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সিলেটে শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১২ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ ঘোষণা করে সরকার।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল সিলেট। গত ১৭, ১৮ ও ১৯ জুলাই পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারা দেশের মতো সিলেটেও সেনা মোতায়েন ও কারফিউ ঘোষণা করা হয়। প্রথম দফায় ২০ জুলাই দুপুর ১২টা পর্যন্ত কারফিউ থাকলেও পরে ২ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা থেকে দ্বিতীয় দফায় এবং রবিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়।
তারপর থেকে নিয়মিত শিথিল করা হলেও শহরে কারফিউ চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ চার জেলায় কমলো কারফিউর সময়সীমা
কারফিউয়ের মধ্যে ব্যাংক লেনদেনের নতুন সময়সূচি
৪৯৫ দিন আগে
সিলেটে শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১২ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল
সিলেটে শনিবারও কারফিউ চলবে। তবে শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা শিথিল থাকবে কারফিউ।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকালে সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘কারফিউ’ ভেঙে খুলনায় সমাবেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল সিলেট। গত ১৭, ১৮ ও ১৯ জুলাই পুলিশ এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারাদেশের মতো সিলেটেও সেনা মোতায়েন ও কারফিউ ঘোষণা করা হয়। প্রথম দফায় ২০ জুলাই দুপুর ১২টা পর্যন্ত কারফিউ থাকলেও পরে ২ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা থেকে দ্বিতীয় দফায় এবং রবিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়।
তারপর থেকে নিয়মিত শিথিল করা হলেও কারফিউ চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শনিবার সকাল ৬টা থেকে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল
মুন্সীগঞ্জে কারফিউ চলাকালে রাতে ককটেল বিস্ফোরণ
৪৯৭ দিন আগে
চট্টগ্রামে শনিবার সকাল ৬টা থেকে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল
চট্টগ্রাম মহানগরীতে শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টা শিথিল থাকবে কারফিউ। এদিকে শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল চট্টগ্রামে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী কারফিউ জারি করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট
শুক্রবার সরকারি বন্ধের দিন ১২ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকায় আগের দিনের মতোই যানবাহনের চাপ ছিল সড়কগুলোতে। কারফিউ শিথিল সময়ে মহাসড়কে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন।
সকাল থেকে নগরীতে আসা-যাওয়া করছে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাস। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে অস্থিরতা শুরু হলে নাশতা প্রতিরোধে সরকার গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে, মোতায়েন করা হয় সেনা সদস্যদের।
এরপর পরিস্থিতি উন্নতি হলে কারফিউ শিথিল করা হলেও তা তুলে নেওয়া হয়নি। তারই ধারবাহিকতায় শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রাত ৮টার পর থেকে আবার চলবে কারফিউ।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে কারফিউ চলাকালে রাতে ককটেল বিস্ফোরণ ইউএনবি নিউজ মুন্সীগঞ্জ PUBLISH-
‘কারফিউ’ ভেঙে খুলনায় সমাবেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
৪৯৭ দিন আগে