অবৈধ
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুয়েটের হল থেকে সম্প্রতি বের করে দেওয়া শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বির করা এক রিটের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বুয়েটের ভিসি ও রেজিস্ট্রারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেনেক্স’র কারিগরি সহায়তায় বুয়েটে চালু হচ্ছে পরিবেশবান্ধব সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জরুল হক। আর রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর বুয়েটের ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে অংশ না নিতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এরপর গত বছরের ১৯ জুলাই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধের বিষয়টি আবারও মনে করিয়ে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষার্থীর পদপ্রাপ্তির ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ ও সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত হওয়ার পরে এ ঘোষণা দিয়েছে তারা।
সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুতরাং কোনো শিক্ষার্থী অনুমোদিত ক্লাব বা সোসাইটি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দলের বা এর অঙ্গ সংগঠনসহ অন্য কোনো সংগঠনের সদস্য হতে বা তার কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়িা বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্য কোনো মাধ্যমে তাহাদের সাংগঠনিক রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার না করার জন্য কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দেয়।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে ফের আন্দোলন শুরু হয়। অনেক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ রাব্বি এ সমাগম ঘটান।
পরে শুক্রবার বিকালে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন। এরপর রাতে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ফোরকান উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বির হলের সিট বাতিল করা হয়। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করে ৮ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
অন্যদিকে ইমতিয়াজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করাসহ ছয় দফা দাবিতে রবিবার সকাল থেকে ফের বিক্ষোভের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তবে রবিবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে তাদের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
অন্যদিকে বুয়েট ছাত্র রাজনীতি ফেরানোর দাবিতে রবিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার পর নেতা-কর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান। একপর্যায়ে বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দেন তারা। সে সময় বুয়েটের মূল ফটক এবং বিভিন্ন হলের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীদের নিয়ে যা বললেন অভিভাবকেরা!
অবৈধ মজুতদাররা দেশের শত্রু: খাদ্যমন্ত্রী
অবৈধ মজুত করে যারা সমস্যা তৈরি করে তাদের দেশের শত্রু বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
অবৈধ মজুতদাররা বিএনপির দোসর বলেও মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তারা শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে চায়, বেকায়দায় ফেলতে চায়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে। আপনারা যে ভোট দিয়েছেন তার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: আইন মেনে ব্যবসা না করলে সরকার কঠোর হবে: খাদ্যমন্ত্রী
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রাধানগরে শীবনদীর উপরে ১৯২ মিটার দীর্ঘ নবনির্মিত সেতুর চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের দুই দিন আগে হঠাৎ করে অসৎ ব্যবসায়ীরা চালের দাম ৮/১০ টাকা বাড়িয়ে দেয়। তারা মনে করেছিল অন্য কেউ খাদ্যমন্ত্রী হলে বুঝতে বুঝতে এক মাস পার হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, যখন তারা দেখেছে মন্ত্রী সাধন মজুমদার হয়েছে তখন তারা বেকায়দায় পড়েছে। আমাদেরও বেকায়দায় ফেলেছে। চালের বাজার ঠিক রাখতে জেলায় জেলায় বৈঠক করতে হয়েছে।
মজুতবিরোধী অভিযানও চালাতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ সে চেতনার পক্ষে রায় দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন।
নিজেকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার লোক দাবি করে তিনি বলেন, আমি যেখানে মন্দির করেছি তার পাশে মসজিদও তৈরি করেছি। আমি মানবের সেবা করি-মানব ধর্ম করি।
তিনি বলেন, রাধানগর সেতু রাজশাহী ও নওগাঁ জেলার মধ্য ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হবে সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে। গ্রামের সঙ্গে শহুরের মানুষের যোগাযোগ সহজ ও দ্রুততর হওয়ার ফলে কৃষক সহজেই তার পণ্য বাজারজাত করতে পারবে।
আরও পড়ুন: দাম কমানোই অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানের মূল উদ্দেশ্য নয়: খাদ্যমন্ত্রী
মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
এক ইঞ্চি জমিও কেউ অবৈধভাবে দখল করতে পারবে না: মেয়র
এক ইঞ্চি জমিও কেউ আর অবৈধভাবে দখল করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিল মিডল সার্কুলার রোড কাঁচাবাজারের দোকানগুলোর বরাদ্দপ্রাপ্তদের মাঝে চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্কটি একটি আধুনিক ব্যতিক্রমধর্মী পার্ক: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, এসব দোকান ১৯৯৭ সালে মেয়র মোহাম্মদ হানিফের আমলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ সময় প্রকৃত বরাদ্দপ্রাপ্তরা সেসব দোকান বুঝে পায়নি। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে অনেক দোকান অবৈধ দখলদাররা ভোগ করে আসছিল। কিন্তু আমরা থাকতে সিটি করপোরেশনের এক ইঞ্চি জমিও কেউ আর অবৈধভাবে দখল করতে পারবে না। তাই আজ প্রকৃত বরাদ্দপ্রাপ্তদের সেসব দোকান বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সিটির চতুর্থ ঢাকা মেয়র কাপের পর্দা উঠছে শনিবার
শেখ তাপস বলেন, যারা প্রকৃত বরাদ্দপ্রাপ্ত তারাই সেখানে সঠিকভাবে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করবে। তারা আমাদের অংশীজন, হকদার। তাই তাদের বরাদ্দ বুঝিয়ে দিতে কোনো ধরনের প্রতিকূলতা আমাদের বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। আমরা সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করব, ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক পুলিশের বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে সিটি মেয়রদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
দাম কমানোই অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানের মূল উদ্দেশ্য নয়: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দাম কমানোই অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানের মূল উদ্দেশ্য নয়। সরকার ধান ও চালের সঠিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে চায়।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুরের সদর ও পার্বতীপুর উপজেলায় অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে মজুতবিরোধী অভিযান চলছে। আমরা আসি বা না আসি অভিযান থেমে নেই। আমরা এখানে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে মিটিং করেছি। মিটিংয়ে তারা ওয়াদা করেছে চালের দাম বাড়বে না বরং কমবে।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই বেশি লাভের আশায় মাঠে ময়দানে ধান মজুত করে রাখে। আমরা পত্রপত্রিকায় দেখি বস্তায় গাছ গজিয়ে গেছে। আজ এখানে (ইস্পাহানি অটো রাইস মিলে) সেরকম চিত্র দেখতে পেলাম।
আরও পড়ুন: মিলগেট থেকে খুচরা সব পর্যায়ে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
লোভেরও একটা সীমা থাকা দরকার বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কারো অবৈধ মজুত আছে কি না, কেউ কোনো অনিয়ম করছে কি না তা খতিয়ে দেখছি। ইস্পাহানি অটো রাইস মিলে কিছু অনিয়ম ও অবৈধ মজুত রয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এখানে আছে তাদের আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইন মেনে ব্যবসা না করলে সরকার কঠোর হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অবৈধ: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অবৈধ। অনুমতি ছাড়া রাজপথে ফ্রি স্টাইল কর্মসূচি সরকার মেনে নেবে না।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। অনুমতি ছাড়া ফ্রি স্টাইল কর্মসূচির সুযোগ নেই। অনুমতি নিবে না, রাস্তায় ফ্রি স্টাইল কর্মসূচি করবে আর আমরা মেনে নিব তা মনে করার কোনো কারণ নেই।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা বাস্তবে নেই : ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেউ ত্রুটিপূর্ণ বলেনি। নির্বাচনের ফলাফলের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। সংসদের প্রথম অধিবেশনেও যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি লক্ষ্য করি। এর মানে কি দাঁড়ায়? আমাদের নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলেনি। সবাই একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিনি বলেন, সরকার শুধু কথা নয়, কাজও করে যাচ্ছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে দিয়েছেন। সে অনুসারে কাজও শুরু করে দিয়েছে। তবে রাতারাতি নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে না। সরকার শুধু কথা বলছে এমন নয়। সরকার অ্যাকশনে আছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে নেই আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা আইন ভঙ্গ করবে তারা যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দেবে আওয়ামী লীগ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদেরের সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে বক্তব্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পার্লামেন্ট ফাংশনাল না হলে তিনি কেন এলেন?
স্পিকারকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে তিনি যা বলেছেন মনে হয় তুলকালাম কাণ্ড ঘটাবেন। নিয়ম লঙ্ঘন করে তিনি কথা বলেছেন। উনার কথা বলার যথেষ্ট সুযোগ ছিল সামনে।
আরও পড়ুন: ভোটাররা বিএনপিকে বর্জন করেছে: ওবায়দুল কাদের
না শোধরালে জেলে যেতে হবে, অবৈধ মজুতদারদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী
অবৈধ মজুতদারদের শুধু জরিমানা করেই ছাড় দেওয়া হবে না প্রয়োজনে জেলে যেতে হবে বলে সতর্ক করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে নওগাঁয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
দেশের মানুষের সামাজিক অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে খাদ্যশস্যের কোনো ঘাটতি নেই। সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের সরকারিভাবে ওএমএস চালু আছে।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল কার্ড প্রস্তুত হয়েছে। শিগগিরই ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ করা হবে। এতে এক ব্যক্তি বারবার চাল নিতে পারবে না।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ব্যবসায়ীদের অধিক লাভের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে মিলার, পাইকারি ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ী ও করপোরেট সকলের দায় আছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স স্পটে গিয়ে দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। অনেকে আবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা লাইসেন্স নিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্য মজুত করে ফেলে। এটা তো হতে পারে না।
তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর আইন প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ পাস হয়েছে। বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এটি কেবিনেটে অনুমোদিত হলে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
পুনরায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা রেখেছেন তা পূরণে সব সময় সচেষ্ট থাকবেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা চাই।
আরও পড়ুন: দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
মজুতদারদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
অবৈধ মজুতদার ও বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা এর ফল ভোগ করবে।
তিনি বলেন, 'কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য মজুদ করে থাকে, তাহলে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং প্রয়োজনে তাদের কারাগারে পাঠাতে হবে।’
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি খুবই অস্বাভাবিক বিষয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
তিনি বলেন, ‘এর পেছনে কারা কারসাজি করছে তা খুঁজে বের করা জরুরি। শুধু তাদের খুঁজে বের করাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। ভবিষ্যতেও আমরা তা করব।’
মজুতদারি ও কালোবাজারি করে কেউ যাতে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'মানুষের খাবার নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোনো মানে হয় না।’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছেন তাদের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ এই নির্বাচন মেনে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের পর হঠাৎ করেই চাল ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়।’ আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে, যদিও ভোটারদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতে আন্দোলনের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন বিকল্প উপায়ে আবার শুরু করতে চায়।
তিনি বলেন, 'আমরা তাদের বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করায় জনগণ সন্তুষ্ট ও খুশি।
তিনি বলেন, 'ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশে আর কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না।' তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার মাধ্যমে এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।
তার সরকার দেশের আরও উন্নয়ন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে আসবে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কাজী জাফরউল্লাহ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ মঞ্চে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে ভারত: রিজভী
অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠা সব ধরনের অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগস্টিক সেন্টারসহ অবৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বনানী কবরস্থানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাল্যবন্ধু শেখ কামালসহ অন্য শহীদদের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েছি দেশে কতগুলো অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। যতগুলোই থাকুক, সব বন্ধ করে দিতে আমাদের অভিযান শিগগিরই শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ডায়াগনসিস সেন্টার, ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা নিজেরাই যদি বন্ধ করে দেন ভালো, নাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এবার স্বাস্থ্যসেবাকে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে কাজ করব। ঢাকা মেডিকেলে যে মানের ডাক্তার চিকিৎসা দিচ্ছে সেই মানের ডাক্তার জেলা-উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো গেলে তো কাজটি সহজ হয়ে যায়। আর ডাক্তারদের সুযোগ-সুবিধা ভালো করলে তারাও নিশ্চয়ই জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী হবেন। সব মিলিয়ে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে কাজ করা এবং সেটা আমরা করব।
আরও পড়ুন: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাল্যবন্ধু জাতির পিতার বড় ছেলে শেখ কামাল প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার বড় ছেলে শেখ কামাল বেঁচে থাকলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার হাত নিঃসন্দেহে আরও অনেক বেশি শক্তিশালী হতো। শেখ হাসিনা সেই শক্ত হাতে বাংলাদেশকে আরও দ্রুততম সময়ে উন্নত দেশে পরিণত করতে পারতেন। কিন্তু ঘাতকরা অনেক বড় ক্ষতি করে দিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্মৃতিচারণা করে বলেন, শেখ কামাল দেশকে নিয়ে অনেক ভাবতেন। আমরা কয়েকজন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম। আমরা দেখেছি, তিনি (শেখ কামাল) খেলাধুলার উন্নতির প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। বাংলাদেশ যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে পারেন, সে জন্য তিনি খেলাধুলায় উৎসাহ দিতেন এবং পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। আজ তিনি বেঁচে থাকলে খেলাধুলাসহ সব দিকে বাংলাদেশ আরও দ্রুত এগিয়ে যেত।
আরও পড়ুন: নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন
অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ধান-চালের অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার।
তিনি বলেন, দেশে ধান উৎপাদন ভালো হয়েছে। আমাদের খাদ্য মজুতও ভালো। বাজারে প্রচুর সরবরাহ আছে। তবে মিলাররা প্রতিযোগিতা করে ধান কেনার কারণে প্রতিনিয়ত চালের দাম বাড়ছে।
এ অশুভ প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে খাদ্য মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
আরও পড়ুন: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দ্বিতীয় মেয়াদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে প্রথম কার্য দিবসে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মজুতবিরোধী আইন ইতোমধ্যে পাস হয়েছে। দ্রুত বিধি প্রণয়ন করে তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
সাধন মজুমদার বলেন, আমাদের দেশে খাদ্যের অভাব নেই। নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনা সরকারেরর নির্বাচানি ইশতেহারে রয়েছে।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে: আইনমন্ত্রী
এটা বাস্তবায়নে খাদ্য মন্ত্রণালয় নতুন কর্ম কৌশল প্রণয়ন করবে।
তিনি বলেন, কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে কর্মকর্তাদের নতুন উদ্যোম নিয়ে নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
এসময় তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অবৈধ ড্রেজার দিয়ে রাতের আঁধারে লুট হচ্ছে সুরমার বালু
রাতের আঁধারে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে সুরমা নদীর বালু তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জ শহরের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।
এভাবে বালু নিয়ে যাওয়ায় দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে শহরের সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সংযোগ সেতু আব্দুজ জহুর। এছাড়া এভাবে ড্রেজার চালানোয় এবং শব্দ দূষণের কারণে হুমকিতে পড়েছে নদীর দুই তীরের জনপদ।
সুনামগঞ্জ শহরের আব্দুজ জহুর সেতু এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সেতুসংলগ্ন সুরমা নদীর কয়েকশ মিটার এলাকাজুড়ে একাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন চলছে।
এদিকে প্রতি রাতে নদীর কয়েকটি স্থানে ড্রেজারের তাণ্ডব চললেও এসব বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, আটক ২: নৌপুলিশ
স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে সুবিধা দিয়ে সুরমা নদীর বালু এভাবে লুটে নিচ্ছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
ড্রেজারের তাণ্ডব বন্ধ না হলে আব্দুজ জহুর সেতুসহ দুই তীরের কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরে জলিলপুর, আব্দুজ জহুর সেতু এলাকা, অচিন্তপুর, বড়পাড়া এলাকাসহ একাধিক স্থানে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। রাত ১টার পর থেকে শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত বিরামহীনভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। পরে এসব বালু বাল্কহেড বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। প্রতি রাতে কয়েক লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন হয় বলে তাদের ধারণা।
সম্প্রতি এ বিষয়ে কথা হয় বালু উত্তোলনে কাজ করা এক শ্রমিকের সঙ্গে হয়।
আরও পড়ুন: কৃষি জমির স্বার্থে বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ