গণমাধ্যমকর্মী
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩ গণমাধ্যমকর্মী নিহত
দক্ষিণ-পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিন গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে চালানো এই হামলায় নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে বৈরুতভিত্তিক প্যান-আরব আল-মায়াদিন টিভির দুই কর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
আল-মায়াদিন এক প্রতিবেদনে জানায়, লেবাননে হামলায় তাদের ক্যামেরা অপারেটর ঘাসান নাজার ও ব্রডকাস্ট টেকনিশিয়ান মোহাম্মদ রিদা মারা গেছেন।
এছাড়াও লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্ট আল-মানার টিভি জানিয়েছে, হাসবায়া অঞ্চলে বিমান হামলায় তাদের ক্যামেরা অপারেটর উইসাম কাসিম নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় নিউজ স্টেশন আল জাদিদের প্রচারিত ওই ঘটনাস্থলের ফুটেজে দেখা যায়, বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভাড়া নেওয়া অনেকগুলো শ্যালেট বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। ধসে পড়েছে ভবনগুলো। প্রেস লেখা গাড়িগুলো ধ্বংসস্তূপে ঢেকে গেছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসরায়েলের হামলা
এই হামলা চালানোর আগে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এর আগে সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণ বৈরুতে আল-মায়াদিনের একটি অফিসে হামলা চালায় ইসরায়েল।
গত বছরের ৮ অক্টোবর লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে শুরু হওয়া এই সংঘাতে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
গত নভেম্বরে ড্রোন হামলায় আল-মায়াদিন টিভির দুই সাংবাদিক নিহত হন। এর এক মাস আগে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে রয়টার্সের ভিডিওগ্রাফার ইসাম আবদাল্লাহ নিহত হন এবং ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি ও কাতারের আল-জাজিরা টেলিভিশনের অন্যান্য সাংবাদিক আহত হন।
আরও পড়ুন: লেবাননে বাড়ছে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতি
১ মাস আগে
গণমাধ্যমকর্মীর জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের দাবি আওয়ার মিডিয়া আওয়ার রাইটস’র
সংবাদপত্রের কর্মীদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন এবং প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইনের গণমাধ্যমকর্মীর জন্য অভিন্ন নতুন ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছে স্বাধীন প্লাটফর্ম ‘আওয়ার মিডিয়া আওয়ার রাইটস’ (আমাদের গণমাধ্যম আমাদের অধিকার)।
এদিকে অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার দুই মাসের মাথায় অন্যান্য সেক্টরে নানা ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ কোনো পক্ষ থেকেই দেখা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে অংশীজনদের মতামত গ্রহণ শুরু: তথ্য মন্ত্রণালয়
আওয়ার মিডিয়া আওয়ার রাইটস জানায়, বর্তমানে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য যে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড রয়েছে তা গঠন হয়েছিল ২০১৩ সালে। এরপর ২০১৯ সালে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন হলেও সরকারের নির্লিপ্ততা, মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সুবিধাবাদিতা এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর শৈথিল্যের ফলে তা এখনও আলোর মুখ দেখেনি। যার ফলে দীর্ঘ ১১ বছরে গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন এক টাকাও বাড়েনি। অপরদিকে ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়াকে রাখা হয়েছে বেতন কাঠামোর বাইরে।
তারা আরও জানান, সমাজের অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষের অভাব অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যম সজাগ থাকলেও গণমাধ্যমকর্মীরা মারাত্মক বৈষম্যের শিকার হয় আসছে বছরের পর বছর। এছাড়া আর্থিক অনিশ্চয়তা ও অভাবের ফলে একদিকে বহু সাংবাদিক যেমন পেশা বদলাতে বাধ্য হয়েছেন, অপরদিকে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসক কিছু সাংবাদিকের নৈতিক স্খলন ঘটিয়ে পুরো সাংবাদিকতাকে বিতর্কিত করেছে। সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে নবমম ওয়েজ বোর্ডের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে তা শতভাগ কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক এবং অনতিবিলম্বে সব ধরনের গণমাধ্যমের জন্য অভিন্ন ওয়েজ বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘আগুনসন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
২ মাস আগে
গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে অংশীজনদের মতামত গ্রহণ শুরু: তথ্য মন্ত্রণালয়
গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন, ২০২১ এর খসড়ার উপর পুনরায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও অংশীজনদের মতামত নেওয়া শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১২ মে) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় মতামত নেওয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সমাবেশে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর বিএনপির কর্মীদের হামলা
সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনে শ্রম আইনের অধীনে সাংবাদিকদের প্রাপ্য সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। সংবাদমাধ্যম কর্মীরা শ্রম আইনের আওতায় যেসব সুবিধা পায়, সেসব সুবিধার শতভাগ সুরক্ষা প্রস্তাবিত আইনে আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেন, যদি কোথাও ব্যত্যয় থাকে, সে জায়গা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রম আইনের অধীনে সংবাদমাধ্যম কর্মীরা যে সুরক্ষা পান, তার কোনো ব্যত্যয় বা ঘাটতি প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনে থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমে একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। এজন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
সব অংশীজনদের সহযোগিতা ও মতামতের ভিত্তিতে গণমাধ্যম কর্মী আইন সুন্দর পরিসমাপ্তির দিকে যাবে বলেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিল বিএনপি
সাংবাদিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনদের গণমাধ্যম কর্মী আইনের খসড়ার উপর লিখিত মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ উল আলম, যুগ্ম সচিব মো. আসাদুজ্জামান, বেসরকারি টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এটকো) সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ফরিদ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশেশের (ওনাব) সভাপতি মোল্লাহ আমজাদ হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির সভাপতি একরামুল হক সায়েম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, এনার্জি রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো. শামীম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ সংবাদপত্রের কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব মো. খাইরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মনজু, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মো. নুর হাকিম, জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট এর সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি
৭ মাস আগে
‘আগুনসন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
‘দুষ্কৃতিকারী ও আগুনসন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তোলার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এনএএনটিভিবিডিডটকম অনলাইন সংবাদ পোর্টালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
এনএএনটিভি বিডিডটকম অনলাইনের সম্পাদক ও প্রকাশক সাবিনা মুবাশশিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, তাঁতী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শওকত আলী, পোর্টালটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দীপু ও পরিচালক খাদেম মো. সানাউল্লাহ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সমাবেশের নামে ২৮ অক্টোবর যে বর্বরতায় পুলিশ হত্যা করা হয়েছে, বর্বরোচিতভাবে সাংবাদিকদের পেটানো হয়েছে, তা অতি জঘন্য ও চরম অমানবিক।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের সবাই এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন যাতে ওরা আর এই কাজ করতে না পারে। আমি সমস্ত গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাব এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্য।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হরতাল-অবরোধের নামে এই চোরাগোপ্তা হামলা, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ, বাসচালককে হত্যা, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে অঙ্গার করা, এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ বা কর্মসূচি হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী কর্মসূচি ছাড়া অন্য কিছু নয়। এমন কি ‘সন্ত্রাসী কর্মসূচি’শব্দটিও এই ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট নয়।
হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যারা সময়ে সময়ে জাতিকে জ্ঞান এবং বুদ্ধি দেয়, সেই বুদ্ধিজীবী ভাই-বোনেরা এখন কোথায়। জনগণ উনাদেরকে খুঁজছে। উনাদের বুদ্ধি কি এখন লোপ পেয়েছে, না কি তারা বুদ্ধি করে চুপ করে আছেন!
অবৈধ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আজকে অনলাইনে দেখলাম, যেসব ইসরাইলি ফিলিস্তিনিদের জায়গার ওপর অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করেছে তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। আশা করব, বাংলাদেশে যারা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে এবং যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও তারা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে।
সবার আগে সংবাদ দিতে গিয়ে ভুল তথ্য দেবেন না
সম্প্রচারমন্ত্রী অতিথি ও আয়োজকদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে এনএএনটিভিবিডিডটকম অনলাইন সংবাদ পোর্টালটির শুভযাত্রা কামনা করেন।
একইসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, লক্ষ্য রাখতে হবে- সবার আগে সংবাদ দিতে গিয়ে যেন সম্পাদনাহীন এবং ভুল তথ্য পরিবেশিত না হয়।
মন্ত্রী বলেন, আগে ফেসবুকে কিছু দেখলেই সেটিকে মানুষ সংবাদ মনে করতো, এখন বুঝে যে ফেসবুকের তথ্য সংবাদ নয়। কারণ গত ১২-১৩ বছরে নাসিরনগর, রামু, কুমিল্লা, বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব ঘটনার পেছনেই ভুয়া অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছিল। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। আমাদের সরকার, আমরা অত্যন্ত শক্তভাবে সেগুলো মোকাবিলা করেছি। যারা এই কাজগুলো করেছিল তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
যেকোনো ব্যক্তির সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার প্রবণতা মূলধারার গণমাধ্যমের জন্য ক্ষতিকর। এটি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো বারবার তাগাদা দিচ্ছে এবং প্রেস কাউন্সিল এ নিয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী
যারা ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
করতোয়ায় নৌকাডুবি: তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে ধুম্রজাল
পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত দল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। রবিবার রাতে তদন্ত দলের প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর কুমার রায় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সোমবার জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম প্রতিবেদন জমা দেয়ার বিষয়টি জানান।
এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হয়নি।
গণমাধ্যমকর্মীরা তদন্ত প্রতিবেদনের কপি চাইলে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, আপনাদের (সাংবাদিকদের) দেয়া যাবে না, এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে ভয়াবহ নৌদুর্ঘটনার জন্য খেয়াঘাটের ইজারাদারকে দায়ী করা, মাঝির অদক্ষতা, ধর্মীয় অনুভূতি, অসচেতনতার কারণ উল্লেখ করে বলেন ভৌগলিক পরিস্থিতি ও নদীকেন্দ্রিক জীবন জীবিকাকে উল্লেখ করে ১১৮ পৃষ্টার তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যেন এমন নৌদূর্ঘটনা না ঘটে এজন্য তদন্ত কমিটি পাঁচ দফা সুপারিশ পেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: ৬ষ্ঠ দিনের মত চলছে উদ্ধার অভিযান
এদিকে পুরো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করাসহ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি না জানানোয় ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে এ নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা ও প্রকৃত দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না তা নিয়ে আশংকাও সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি প্রকৃত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হোক। কি আছে এই তদন্ত প্রতিবেদনে তা জানতে না পারায় সর্বমহলে এ নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
অবশ্য তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপঙ্কর কুমার রায় জানান, এলাকার ভৌগলিক পরিস্থিতি এবং নদী কেন্দ্রীক জীবন জীবিকাকে উল্লেখ করে ১১৮ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। তদন্তে সংশ্লিষ্ট সকলের সম্পৃক্ততা উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রতিবেদনটি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসেরও তদন্ত টিম করা হয়েছে। তিনটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ যে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ী পরবর্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝি (নৌকা চালক) জানান, নৌকাটি ছোট ছিল এবং পুরনো ছিল। ওই নৌকায় সবোর্চ্চ ৫০ জনের বেশি যাত্রী তোলা উচিত হয়নি। অতিরিক্ত যাত্রী উত্তোলন করায় চোখের সামনে নৌকাডুবে যাত্রীরা মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
বধেশ্বরী মন্দির কমিটির সভাপতি নীতিশ কুমার বকশী ওরফে মুকুল বকশী জানান, অনুষ্ঠানের আগে ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্ট কমিটির সকলকে ৬টি নৌকা ঘাটে রাখার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ইজারাদার তা করেননি। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও বাকি নৌকাগুলো না আসায় একটিতেই উঠে পার হওয়ার চেষ্টা করেন পুণ্যার্থীরা। দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘাটে সজাগ থাকলে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
ঘাটে উপস্থিত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও গ্রাম পুলিশের সদস্যদের আরও কঠোর হয়ে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে বাধা না দেয়ারও সমালোচনা করেন নিতিশ কুমার।
মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিম (শামীম) জানান, নৌকাডুবির ব্যাপারে জেলা পরিষদ এবং ইজারাদার দায় এড়াতে পারেন না। ঘাটের কোনো উন্নয়ন হয়নি। এখানে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ বা আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
সমাজকর্মী আব্দুল্লাহ আল জুবেরী জানান, মহালয়ার মত বড় অনুষ্ঠানের জন্য যেমন সমন্বয় দরকার হয়, আয়োজনকারি কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনসহ সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে তেমন কোন সমন্বয় ছিলো না। একারণে কয়েক মিনিটের ব্যাবধানে শুধু মাত্র দায়িত্বশীল পদাধিকারীক ব্যক্তিদের উদাসীনতা অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে পরিবারগুলো ভগ্নাংশে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এদেশে মানুষ যখন কোথাও বিচার পায় না তখন সে আদালতে যায় এই আশায়, যে সেখানে সে বিচার পাবে। আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে কত বিষয়েই ব্যাখ্যা দাবী করেন। এই ৬৯ জন লাশ ৩ জন অতল জলে হারিয়ে যাওয়া মানুষ কি আদালতের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার মতো পর্যাপ্ত মনে হবে না?
সমাজকর্মী আব্দুল্লাহ আল জুবেরী জানান, মহালয়ার মত বড় অনুষ্ঠানের জন্য যেমন সমন্বয় দরকার হয়, আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনসহ সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে তেমন কোন সমন্বয় ছিলো না। একারণে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে শুধুমাত্র দায়িত্বশীল পদাধিকারীক ব্যক্তিদের উদাসীনতা অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে পরিবারগুলো ভগ্নাংশে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
তিনি আরও জানান, এদেশে মানুষ যখন কোথাও বিচার পায় না তখন সে আদালতে যায় এই আশায়, যে সেখানে সে বিচার পাবে। আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে কত বিষয়েই ব্যাখ্যা দাবী করেন। এই ৬৯ জন লাশ ৩ জন অতল জলে হারিয়ে যাওয়া মানুষ কি আদালতের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার মতো পর্যাপ্ত মনে হবে না?
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সানিউল কাদের জানান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের হস্তান্তরিত ফেরীঘাটের ইজারা ও ব্যবস্থাপনা এবং উদ্ভুত আয় বন্টন সম্পর্কে নীতিমালা ২০০৩ অনুযায়ী জানা এসব ঘাট পরিচালনা করা হচ্ছে। নদী বন্দরগুলোর জন্য বন্দর পরিদর্শক বা ফিটনেস দেখভালের জনবল রয়েছে। কিন্তু বর্তমান যে আইন রয়েছে তাতে এখানে এমন কোন নীতিমালা নেই। এজন্য প্রয়োজন আইনী কাঠামো। এটা হলে ঘাটগুলো কিভাবে চলবে। নৌযানগুলো কেমন হবে, কোন যন্ত্রের সাহায্যে চলবে, সবোর্চ্চ যাত্রী কত হবে, জনবল কাঠামো কেমন হবে এমন নানা বিষয় নির্দেশনা থাকতো। থাকতো ঘাট পরিদর্শক বা ফিটনেস পরীক্ষক। তাহলে নৌকার ফিটনেস যাচাই করা সম্ভব হতো।
জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট জানান, বধেশ্বরী মন্দিরে মহালয়ার পূজা উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি কমিটি করে দেয়া হয়। তারা অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন। তারা মাঝিকে নির্দেশ দিলে এত যাত্রী উঠত না। এত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটত না। ওই নৌদুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপঙ্কর কুমার রায় এই কমিটির আহ্বায়ক।
তিনি জানান, তদন্তের পর দায় কার তা বোঝা যাবে।
এদিকে পঞ্চগড়ের নৌকাডুবির ঘটনায় দশম দিনেও সীমিত আকারে উদ্ধার অভিযান চলেছে। কিন্তু এখনো নিখোঁজ কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বোদা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার শাহজাহান আলী জানান, অভিযানে এখন পর্যন্ত কোন অগ্রগতি নাই। মাটি এবং বালির নিচে লাশগুলো চাপা পড়ে যেতে পারে।
এ জন্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিন সকাল এবং বিকালে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২ বছর আগে
উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া: গণমাধ্যমকর্মীদের মত দেয়ার জন্য ১০ দিন সময়
উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের মতামত দিতে আগামী ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে প্রস্তাবিত ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২২’- এর খসড়া বিষয়ে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সুপারিশ ও মতামত নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।দেশের তথ্য-উপাত্তের স্বাধীনতা ও সার্বোভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই আইন করা হচ্ছে জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডেটা ইজ দ্যা নেক্সট ওয়েলথ। অতি মূল্যবান সম্পদ। তেল বা খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ জাতি থেকে যারা এই ডিজিটাল ডেটা সঠিক ভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করতে পারবে তারাই হবে অত্যন্ত সম্পদশালী জাতি।’তিনি বলেন, ‘ নাগরিকের তথ্য-উপাত্তের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। ডেটা যেনো বিদেশি কেউ ব্যবহার করতে না পারে, তার যথাযথ সুরক্ষা থাকছে এই আইনে।’
আরও পড়ুন: ‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্মতি ছাড়া তৃতীয় পক্ষের কাছে যেনো ডেটা না যায়, সেই সুরক্ষার জন্য এই আইন করার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।’এছাড়াও উন্মুক্ত আলোচনায় সংবাদিকদের দেয়া নানা পরামর্শের ওপর খসড়া আইনটির বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন আইসিটি বিভাগের আইন ও পলিসি অনুবিভাগের পরামর্শক ও সাবেক লেজিসলেটিভ সচিব মো. শহীদুল হক।সভায় জানানো হয় খসড়া উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২২ বিষয়ে পরবর্তীতে ডেটা বিজ্ঞানী ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহ।
এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি ও একাত্তর টেলিভিশনের এমডি মোজাম্মেল বাবু, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, এনটিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক জহিরুল আলম, টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশের (টিএমজিবি) সভাপতি মো. কাউছার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন জুনাইদ, ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার জাইমা ইসলামসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা খসড়া আইনটির বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে অটোমেটেড ও ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
নারীদের সাইবার সুরক্ষায় ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে: পলক
২ বছর আগে
শীতকালীন সংসদে গণমাধ্যমকর্মী আইন উত্থাপনের আশাবাদ তথ্যমন্ত্রীর
আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়া জাতীয় সংসদে উত্থাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়া ইতোমধ্যেই আইনমন্ত্রী স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। শীতকালীন অধিবেশনে আমরা সেটি সংসদে নিয়ে যেতে পারবো বলে আশা করছি। এ আইন পাস হলে, সম্প্রচার মাধ্যমের সাথে যুক্ত সাংবাদিকবৃন্দকে আইনি সুরক্ষা দেয়া সম্ভবপর হবে।’রবিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকা (চবিসাফ) এর মিলনমেলা ও দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় ড. হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমে সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও প্রয়োজন উল্লেখ করে বলেন, ‘সরকারের সমালোচনা হবে, কোনো জায়গায় দায়িত্বশীলরা যদি ভুল করে সেটিরও সমালোচনা হবে। কিন্তু সমালোচনাটা যেন এমন না হয় যে, দুষ্কৃতিকারী বা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হাতে কিংবা যারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে লালন-পোষণ ও ব্যবহার করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে চায়, তাদের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়। সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আমার কাছে দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে যে, সাংবাদিক হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য যোগ্যতার মাপকাঠি করে দিতে। সেক্ষেত্রে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো ডিগ্রি নির্ধারণ করে দেয়া সমীচীন মনে করি না। কারণ অনেক সময় দেখা যায় মাস্টার্স ডিগ্রিধারী তিনি যেভাবে লেখেন, তার চেয়ে মেট্রিক পাস সাংবাদিক ভালো লেখেন। তবে এখন যে কেউ সাংবাদিক পরিচয় দেয়, আসল সাংবাদিকের চেয়ে নকল সাংবাদিকে উপজেলা সয়লাব। দেখা যায় সাংবাদিকের স্টিকার লাগিয়ে তারা গাড়িতে করে ঘোরে।এতে মানুষের মধ্যে একটি বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়, এ বিষয়ে শৃঙ্খলা আনার জন্য আমি প্রেস কাউন্সিলকে একটি মানদণ্ড তৈরির জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বিরোধিতা করলেও বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেবে, আশা তথ্যমন্ত্রীর
সত্যিকার অর্থে সাংবাদিকদের জন্য কাজ করতে পারাটাই সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সার্থকতা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়েজবোর্ডে আছে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে সাংবাদিক ও কর্মচারীদের জন্য গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স করতে, কিন্তু তা হয়নি। এজন্য খুব বেশির টাকারও প্রয়োজন নয়, এ বিষয়ে সংগঠনগুলো কাজ করতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছেন। একজন সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করলে সে সেখান থেকে তিন লাখ টাকা পায়। কিন্তু গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স কভারেজ বাবদ তার পরিবার যে পাঁচ বা দশ লাখ টাকা পেতো, সেটি না পাওয়া শুধুমাত্র উদ্যোগের অভাব। এজন্য আমি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও সংগঠনগুলোকে বলবো প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাগাদা দিতে।’চবিসাফের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডিবিসি২৪ টিভির চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, বিএফইউজের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য উম্মুল ওয়ারা সুইটি।
সাংবাদিক আইয়ুব ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন চবিসাফের মহাসচিব শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী। চবিসাফের ১১ জেলার প্রতিনিধিদের মধ্যে চট্টগ্রামের সমীর বড়ুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গিয়াস উদ্দীন, ফেনীর মোতাহার হোসেন, কুমিল্লার সাজ্জাদ হোসেন, নোয়াখালীর তরুণ তপন চক্রবর্তী, লক্ষ্মীপুরের খুরশিদ আলম প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন
আরও পড়ুন: যাদের দেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখে তারা অন্য দেশকে সবক দেয়ার অধিকার রাখে কি: প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
মানুষ রক্ষায় নেয়া পদক্ষেপ অপর্যাপ্ত: কপ২৬ বিষয়ক সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ পেলেন ৪ গণমাধ্যমকর্মী
বাংলাদেশে তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ফেলোশিপ পেলেন চার গণমাধ্যমকর্মী।
ফেলোপিশপ প্রাপ্ত সাংবাদিকরা হলেন, মাসুদ রুমী (কালের কণ্ঠ), ডলার মেহেদী (৭১ টিভি), জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না (আমাদের নতুন সময়) এবং মো. আখতারুজ্জামান (আমাদের অর্থনীতি)।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে সেরা সাংবাদিকের পুরস্কার পেলেন মিহির
বুধবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে ফেলোশিপ প্রাপ্ত চারজন গণমাধ্যমকর্মীর নাম ঘোষণা করা হয়। ‘ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের’ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সাংবাদিক ফেলোশিপের বিজয়ী ঘোষণা এবং পুরষ্কার প্রদানের ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে ফেলোশিপ প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: অসুস্থ ইউএনবির সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদের খোঁজ নিতে গেলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ফেলোশিপের ওপর বিশেষ প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মোঃ শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ফেলোশিপ প্রাপ্ত চার গণমাধ্যমকর্মী ছাড়াও অংশগ্রহণকারী অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের সম্পর্কযুক্ত সংবাদ পরিবেশনে যত্নবান থাকুন: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের সম্পর্কযুক্ত সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন গণমাধ্যমকর্মীরা: এলজিআরডি মন্ত্রী
করোনা সংকটে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকার প্রশংসা করে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সরবরাহের মাধ্যমে মানুষ এবং সরকারের মধ্যে একটি যোগসূত্র সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে নিরলস কাজ করছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
৪ বছর আগে