গুগল
স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
টেক জায়ান্ট গুগল ২০২০ সালে নিজেদের যোগাযোগ পরিষেবা অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সুবিধা হিসেবে চালু করে স্থানভিত্তিক ভূমিকম্প-অ্যালার্ম। প্রথম দিকে শুধু যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক চালু হলেও ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকেও এই প্রযুক্তির আওতায় আনা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের অ্যান্ড্রয়েড গ্রাহকরাও এই সুবিধা পাচ্ছেন। বেশ আগে থেকে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস না দিলেও স্মার্টফোনের এই অ্যালার্ম সিস্টেমটি দুর্যোগকালে তাৎক্ষণিকভাবে সাবধান করতে পারে। চলুন, স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা ব্যবস্থা সক্রিয় করার পদ্ধতিটি জেনে নেওয়া যাক।
স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করার পদ্ধতি
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে
প্রথমেই স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করার জন্য মোবাইল ডাটা বা ওয়াইফাই অন করে নিতে হবে। সেই সাথে ‘লোকেশন’ও অন করে নেওয়া আবশ্যক।
ইন্টারনেট ও লোকেশন কার্যকর হওয়ার পর চলে যেতে হবে ফোনের 'সেটিংস' অপশনে। নতুন যে স্ক্রিনটি আসবে সেখানে থেকে স্ক্রল করে খুঁজে বের করতে হবে ‘সেফটি অ্যান্ড ইমারজেন্সি’। এই অপশন নিয়ে যাবে ‘আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ট’ শিরোনামের একটি স্ক্রিনে। সেখান থেকে ‘আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ট’ অন করে দিলেই সক্রিয় হয়ে যাবে ভূমিকম্প সতর্কীকরণ ব্যবস্থা।
এই স্ক্রিনের নিচের দিকে আরও রয়েছে ‘ডেমো’ ও ‘লার্ন আর্থকোয়্যাক সেফটি টিপস’। ‘ডেমো’তে গেলে ভূমিকম্পের সময় স্মার্টফোনটি ঠিক কীভাবে সাবধান করবে তার একটা মহড়া দেখা যাবে। এখানে অ্যালার্মের রিংটোনটি বেজে ওঠে এবং ভূকম্পনের মাত্রা ও দূরত্ব জানানোর পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়গুলো সংক্ষেপে প্রদর্শিত হয়।
আরো পড়ুন: ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে: গণপূর্তমন্ত্রী
আর ‘লার্ন আর্থকোয়্যাক সেফটি টিপস’ অপশনটি ভূমিকম্পকালীন সময়ের জন্য নয়। ভূমিকম্পের সময় তাৎক্ষণিকভাবে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে এই অপশন থেকে তা আগে থেকে জেনে রেখে সতর্ক থাকা যাবে।
‘লার্ন আর্থকোয়্যাক সেফটি টিপস’-এ ক্লিক করলে সরাসরি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে নিয়ে যাওয়া হবে। গুগলে নির্দিষ্ট কোনো কিছুর ব্যাপারে জানতে হলে গুগল সার্চ বক্সে সেই বিষয়টি টাইপ করতে হয়। কিন্তু এই ফিচারটি টাইপ করা ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আর্থকোয়্যাক সেফটি ইনফরমেশন’-এর জন্য ফলাফল দেখাবে। সেখান থেকে ভূমিকম্পকালীন নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
সাধারণত গুগল প্লে স্টোর বা অ্যান্ড্রয়েড মডেল সমর্থিত অধিকাংশ ফোনেই এই ধাপগুলো প্রায় একইরকম থাকে। তবে কোনো কোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ‘সেটিংস’-এ ‘সেফটি অ্যান্ড ইমারজেন্সি’ অপশনটি নাও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফিচারটি পাওয়া যেতে পারে ‘লোকেশন’-এ। অর্থাৎ ফোনের ‘লোকেশন’ অন করার পর ‘সেটিংস’-এ আর ফিরে আসতে হবে না। ‘লোকেশন’ স্ক্রিনেই আরও নিচে স্ক্রল করে সরাসরি পাওয়া যাবে ‘আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ট’ অপশনটি।
এখানে উল্লেখ্য যে, এই সুবিধাটি অ্যান্ড্রয়েড-৫ বা তার উপরের সংস্করণের ফোনগুলোর জন্য। এর মধ্যে আবার অ্যান্ড্রয়েড-১২-এর নিচের সংস্করণগুলোর জন্য আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ম অন করার প্রক্রিয়ায় কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে।
আইফোনের ক্ষেত্রে
অ্যাপলের ডিভাইস ব্যবহারকারীদের ফোনের ‘সেটিংস’ থেকে যেতে হবে ‘নোটিফিকেশন’-এ। তারপর নতুন স্ক্রিনটিতে স্ক্রল করে খুঁজে বের করতে হবে ‘ইমারজেন্সি অ্যালার্ট্স’। এই অপশনটি টগল্ করার সাথে সাথেই সক্রিয় হয়ে যাবে আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ম।
আরো পড়ুন: ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজের উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে: মন্ত্রী
এই সতর্কতা ব্যবস্থাটি কীভাবে কাজ করে
গুগলের আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ট সিস্টেম নির্দিষ্ট দূরত্বে ভূপৃষ্ঠের কম্পন যাচাই করে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাঠিয়ে থাকে। ভূ-কম্পন যাচাইয়ের জন্য গুগলের কেন্দ্রীয় সার্ভারের প্রয়োজন পড়ে ভূমিকম্পের তথ্য সংগ্রহের। এর জন্য গুগল অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনে থাকা অ্যাক্সিলারোমিটার ব্যবহার করে। এটি এমন এক সেন্সর যেটি তাৎক্ষণিভাবে ভূ-ত্বকের কম্পন এবং ভূপৃষ্ঠের ওপর স্থির কোনো স্থাপনার কম্পন শনাক্ত করতে পারে।
আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ম চালু থাকা অবস্থায় এরকম কোনো কম্পন ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সরাসরি গুগলের সার্ভারে তথ্য পাঠাতে থাকে। এভাবে নির্দিষ্ট এলাকার অনেকগুলো ফোন থেকে একই সময়ে ভূ-কম্পনের তথ্য পেলে গুগল সার্ভার বুঝতে পারে যে ভূমিকম্প হচ্ছে। একই সাথে সার্ভারটি ভূ-কম্পনের উৎপত্তিস্থল থেকে ফোনগুলোর দূরত্ব এবং ভূমিকম্পের মাত্রাও হিসাব করে নিতে পারে।
সংগৃহীত তথ্যগুলো প্রক্রিয়াকরণের পর সার্ভার ভূমিকম্পের কাছাকাছি থাকা প্রতিটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সতর্কতা পাঠিয়ে দেয়। ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর পাঠানো এই সতর্ক সংকেত দুই ধরনের হয়ে থাকে।
১/ বি অ্যাওয়ার
২/ টেক-অ্যাকশন
আরো পড়ুন: জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙ্গে ভূমিকম্প সহনীয় করার পরিকল্পনা
বি অ্যাওয়ার সংকেত
রিখ্টার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৫ পর্যন্ত থাকলে এই সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়। ফোনের ভাইব্রেশন, ভলিউম ও ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সেটিংসের মাধ্যমে জানানো হয় এই অ্যালার্ট।
টেক অ্যাকশন সংকেত
ভূমিকম্পের মাত্রা যখন ৪ দশমিক ৫ ছাড়িয়ে যায়, তখন দেয়া হয় এই অ্যালার্ট। ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ ফিচার বন্ধ হয়ে ফোনের সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে প্রদর্শিত হয় এই সংকেত। এ সময় উচ্চ স্বরে একটানা বাজতে থাকে ফোনের নোটিফিকেশন সাউন্ড।
পরিশিষ্ট
স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু থাকলে জরুরি অবস্থার সময় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকবে। ফিচারটি ব্যবহারের জন্য অপারেটিং সিস্টেমের ভার্সনটি ন্যূনতম অ্যান্ড্রয়েড-৫ হওয়া আবশ্যক। এর ওপরে অ্যান্ড্রয়েড-১২ পর্যন্ত অ্যালার্ম ব্যবস্থা সক্রিয় করার ইন্টারফেস কিছুটা ভিন্ন হবে। তবে অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন যেটাই হোক না কেন, প্রতি ক্ষেত্রে এই অ্যালার্ম চালু রাখার জন্য ফোনের লোকেশন অবশ্যই ‘অন’ রাখতে হবে। সেই সাথে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ থাকাও জরুরি।
আরো পড়ুন: বিশ্বের শীর্ষ ১০ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ
৩ মাস আগে
'ইনকগনিটো মোড' ব্যবহার সত্ত্বেও নজরদারি, ৫০০ কোটি ডলারের মামলা নিষ্পতিতে গুগলের সম্মতি
ক্রোম ব্রাউজারে 'ইনকগনিটো' মোড এবং অন্যান্য ব্রাউজারে একই ধরনের 'প্রাইভেট' মোড ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহারে নজর রাখার অভিযোগে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের ‘প্রাইভেসি’ মামলা নিষ্পত্তি করতে সম্মত হয়েছে গুগল।
২০২০ সালে দায়ের করা ‘ক্লাস-অ্যাকশন’ মামলায় বলা হয়েছে, গুগল ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করেছে। কারণ, ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করার সময় বলাই আছে- ইন্টারনেট ক্রিয়াকলাপে নজর রাখা হবে না।
এক্ষেত্রে যে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে- গুগলের বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি এবং অন্যান্য কৌশল ‘প্রাইভেট’ ব্রাউজিং করা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইট পরিদর্শন ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ একত্রিত করা অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটিকে টক্কর দিতে গুগলের ‘বার্ড’!
বাদীরা আরও অভিযোগ করেন, যারা মূলত মনে করেছিলেন তাদের গোপনীয়তা সুরক্ষিত রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে গুগলের এই কর্মকাণ্ড ‘জবাবদিহিহীন তথ্য’ সংরক্ষণের নামান্তর।
বৃহস্পতিবার যে সমঝোতা হয়েছে, তা অবশ্যই ফেডারেল বিচারক কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।
যদিও এক্ষেত্রে শর্তাবলী প্রকাশ করা হয়নি, তবে মামলাটিতে ব্যবহারকারীদের পক্ষে ৫০০ কোটি ডলার দাবি করা হয়।বাদীপক্ষের আইনজীবীরা জানান, তারা ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি চুক্তি নিয়ে আদালতে হাজির হবেন বলে আশা করছেন।
নিষ্পত্তির বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে গুগল তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
আরও পড়ুন: গুগল-মাইক্রোসফটের মুনাফায় মন্থর গতি
গুগলের নতুন এআই টেক্সট থেকে তৈরি করতে পারে মিউজিক
১০ মাস আগে
ফেসবুক ও গুগলের বিজ্ঞাপন আয়ের উপর ২০ শতাংশ করারোপ
ফেসবুক ও টেলিভিশন রেডিওসহ সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে রাজস্বের ওপর সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ কর কাটতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত অথরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে অনাবাসিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে রেমিট্যান্স (পেমেন্ট) পাঠানোর ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞাপন থেকে আয় ফেরত দেওয়ার সময় বিদেশি কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
অর্থাৎ ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে এই কর দিতে হবে। 'টেলিভিশন-রেডিও' থেকে আয় নিলে ২০ শতাংশ কর দিতে হবে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: সমন্বিত এক্সচেঞ্জ রেট ও প্রতিযোগিতামূলক ঋণের হারকে অগ্রাধিকার
সার্কুলার অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে কোন বিজ্ঞাপন, প্রচার বা সামগ্রীর বিপণন ডিজিটাল মার্কেটিং হিসাবে বিবেচিত হবে।
এই ক্ষেত্রে, প্রযোজ্য করের হার ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৫ শতাংশ। তবে টেলিভিশন বা রেডিওতে সম্প্রচারিত কোনও সামগ্রী বা বিজ্ঞাপন ডিজিটাল বিপণন হিসাবে বিবেচিত হবে না।
টেলিভিশন বা রেডিওতে প্রচারিত কোনো বিজ্ঞাপন শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন সম্প্রচার হিসেবে বিবেচিত হবে। এই ক্ষেত্রে, করের হার ২০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাজার ভিত্তিক সুদের হার, জুলাই থেকে সমন্বিত বিনিময় হার: বাংলাদেশ ব্যাংক
১ বছর আগে
গুগলের নতুন এআই টেক্সট থেকে তৈরি করতে পারে মিউজিক
মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের গবেষকরা এমন এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রোগ্রাম তৈরি করেছে যা দিয়ে যেকোনো লেখা থেকে মোটামুটি মিনিটখানেক দৈর্ঘ্যের মিউজিক তৈরি করা যায়। এই এআই ব্যবহার করে শিস বা গুনগুন করা সুরকে অন্য বাদ্যযন্ত্রের মিউজিকেও পরিবর্তন করা যায়। এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ।
গুগলের কিছু গবেষক তাদের গবেষণা নিয়ে ‘মিউজিকএলএম: জেনারেটিং মিউজিক ফ্রম টেক্সট’ শীর্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। পুরো মডেলটিকে বলা হচ্ছে ‘মিউজিকএলএম’। তবে আপাতত এটি ব্যবহার করে কিছু বাজানো যাবে না। গুগলের গবেষকরা যদিও কিছু স্যাম্পল গবেষণাপত্র সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে জুড়ে দিয়েছেন।
তবে যেটাই জুড়ে দিক না কেন তারা, সেগুলোকে বেশ চমকপ্রদ হিসেবেই উল্লেখ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই। কারণ একটি অনুচ্ছেদের বর্ণনা থেকে ৩০ সেকেন্ডের একটি মিউজিক তৈরি করা হয়েছে যা শুনতে প্রকৃত গানের মতো।
মিউজিকএলএম এমনকি মানুষের কণ্ঠও অনুকরণ করতে পারে। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ এটিই প্রথম নয়। তবে মিউজিকএলএমের রয়েছে সমৃদ্ধ ডেটাবেজ। যেখানে দুই লাখ ৮০ হাজার ঘণ্টার মিউজিক দিয়ে উক্ত এআই প্রোগ্রামকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। যাতে টেক্স থেকে ভালোমানের মিউজিক তৈরি করা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কোন দেশে?
দৈনন্দিন প্রযুক্তির কাজকে সহজ করবে ৫ 'লাইফ হ্যাক'
১ বছর আগে
গুগল-মাইক্রোসফটের মুনাফায় মন্থর গতি
প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যালফাবেট ও মাইক্রোসফটের বিক্রয় মুনাফায় তীব্র মন্থর গতি দেখা দিয়েছে। যার ফলে অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গুগল ও ইউটিউবের প্রধান কোম্পানি অ্যালফাবেট জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরসহ গত তিন মাসে মাত্র ছয় শতাংশ বিক্রয় মুনাফা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ছয় হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। কারণ, কোম্পানিগুলো তাদের বিজ্ঞাপন বাজেট কমিয়েছে।
মহামারির সময়টি যদি বাদ দেয়া হয় তাহলে গত এক দশকে মার্কিন এই টেক জায়ান্ট সবচেয়ে দুর্বল ত্রৈমাসিক বৃদ্ধি দেখেছে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে যে কোম্পানিটির কম্পিউটার ও অন্যান্য প্রযুক্তির চাহিদা দুর্বল হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুগল স্ট্রিমিং গেম পরিষেবা বন্ধ করবে আগামী জানুয়ারিতে
কোম্পাটির বিক্রয় ১১ শতাংশ বেড়ে আয় হয়েছে পাঁচ হাজার ১০ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে ধীর গতির আয় বৃদ্ধি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি উল্লেখ করেছে, মূল্য ও সুদের হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ভোক্তা ও ব্যবসাগুলো হ্রাস পাচ্ছে। যা বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা জাগিয়েছে বাজার বিশ্লেষকদের মধ্যে।
মার্কিন ডলারের শক্ত অবস্থার কারণে আমেরিকান বহুজাতিকদের ক্ষতি হচ্ছে। যা বিদেশে পণ্য বিক্রি করা আরও ব্যয়বহুল করে তুলেছে
গত ত্রৈমাসিকে অ্যালফাবেটের মুনাফা ৩০ শতাংশ কমে হয়েছে এক হাজার ৩৯০ কোটি মার্কিন ডলার। কারণ ইউটিউবের বিজ্ঞাপন হতে আয় প্রথমবারের মতো কমেছে।
টানা পাঁচ ত্রৈমাসিকে কোম্পানিটির বিক্রয় বৃদ্ধি মন্থর হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফটকে বাদ দিয়ে ক্রেতা হিসেবে ওরাকলকে বেছে নিল টিকটক
চীনে বন্ধ হয়েছে গুগল ট্রান্সলেট
২ বছর আগে
গুগল স্ট্রিমিং গেম পরিষেবা বন্ধ করবে আগামী জানুয়ারিতে
আমেরিকান টেক জায়ান্ট গুগল তাদের গেম স্ট্রিমিং পরিষেবা স্ট্যাডিয়া বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। যা কার্যকর হবে ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে।
কোম্পানিটি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সংক্রান্ত অর্থ এর ব্যবহারকারীদের ফেরত দেয়ার কথাও জানিয়েছে। যারা স্ট্যাডিয়া কন্ট্রোলার কিনেছিলেন তারা এর অর্থ ফেরত পাবেন। এমনকি স্ট্যাডিয়া স্টোর থেকে কেনা গেম বা অ্যাড-অন সেবার ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। আশা করা হচ্ছে যে অর্থ ফেরতের কাজ ২০২৩ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
গুগল জানিয়েছে, স্ট্যাডিয়া চালানোর জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হত তা এখন কোম্পানিটির ইউটিউব, গুগল প্লে ও অগমেন্টেড রিয়ালিটির মতো সেক্টরে প্রয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভ্যাট নিবন্ধন নিল গুগল-আমাজান
এএনআই জানিয়েছে, গুগল স্ট্যাডিয়া শুরু করেছিল ২০১৯ সালের মার্চে। কিন্তু সেসময় এক্ষেত্রের শিল্পসংশ্লিষ্টরা বেশ সংশয় প্রকাশ করে। কারণ গুগলের নতুন কিছু শুরু করে তা আবার বন্ধ করে দেয়ার প্রবণতা আছে। যেহেতু এটি স্ট্রিমিং গেম পরিষেবা অর্থাৎ ব্যবহারকারীদের ক্লাউডের সাহায্যে খেলতে হয় এবং অপ্রতুল গেম লাইব্রেরির কারণে অনেকেই বেশ সমালোচনাও করেছিল।
আরও পড়ুন: গুগলের প্রোডাক্ট উন্নয়নে বাংলাদেশি তরুণদের সুযোগ প্রদানের আহ্বান পলকের
গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
২ বছর আগে
গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে থাকা গুগলে চাকরি পাওয়াটা সবার কাছে স্বপ্নের মতো। শুধুমাত্র শিক্ষানবীশদেরই বেতন বছরে প্রায় ৮০ হাজার ডলারের মত। ছয় অঙ্কের বেতন দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদেরকে, যে সংখ্যা প্রায় এক লাখ ২০ হাজার ডলারের সমান। গত কয়েক বছর যাবৎ বাংলাদেশিরাও এই বিশাল প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানটিতে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে। মেধার ভিত্তিতে যথেষ্ট যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে তারা উতড়ে যাচ্ছে গুগলের পরীক্ষায়। শামিল হতে পারছে চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় চার হাজার জনশক্তির মধ্যে, যাদেরকে প্রতিবছর খুঁজে বের করা হয় প্রায় ২৫ লাখ আবেদনকারীর মধ্য থেকে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক- কীভাবে তারা এই সৌভাগ্যের অধিকারী হচ্ছে।
গুগলে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
প্রোগ্রামিং-এর দক্ষতা
প্রযুক্তিগত দক্ষতার ভেতর শীর্ষস্থানীয় হচ্ছে প্রোগ্রামিং ভাষা জানা। গুগলের মত টেক জায়ান্টরা জাভা অথবা পিএইচপি, সিপ্লাসপ্লাস, পাইথন-এর মত ভাষাগুলোর সঙ্গে জাভাস্ক্রিপ্ট বা গো ল্যাঙ-এর সন্নিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এর সঙ্গে দরকার হয় ডেটা স্ট্রাকচার ও ইলেক্ট্রিক্যালের ব্যবহারিক জ্ঞান। ওয়েব সকেট বা ওয়েব এসেমব্লি’র ব্যাপারে প্রয়োজন হবে যথেষ্ট অনুশীলনের অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
এক্ষেত্রে যে বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি তা হলো, শুধু শিখলেই হবে না, সময়ের সঙ্গে সফটওয়্যারগুলোর সর্বশেষ হালনাগাদকৃত সংস্করণের সঙ্গেও অভ্যস্ত থাকতে হবে। কেননা এই বৃহৎকার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বদাই নতুন প্রযুক্তির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। গুগলের প্রায় ৮০ শতাংশেরও বেশি কাজ হলো উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে। তাই এখানে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোডিং তথা প্রোগ্রামিং জানা বাধ্যতামূলক।
অপারেটিং সিস্টেম
কম্পিউটার থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের প্রতিটি ডিজিটাল ডিভাইসের ইন্টারফেস পরিচালিত হয় ভিন্ন ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা। বহুল পরিচিত অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে আছে স্মার্টফোনে চলা গুগলের অ্যান্ড্রয়েড, পিসিতে চলা মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ। অ্যাপলের ডিভাইসগুলোর জন্য তাদের আছে আইওএস। গুগলের কাজ যেহেতু মানুষের হাতে হাতে ঘুরে ফেরা এই ডিভাইসগুলো নিয়ে, তাই অপারেটিং সিস্টেমগুলোর কনফিগার করা নিয়ে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।
অ্যালগরিদম এবং ডেটা সোর্স
প্রতিটি সফটওয়্যারের কার্যপ্রণালীর পেছনে কাজ করে অ্যালগরিদম। যেমন- স্টক, কিউই সহ কুইকসার্ট, ব্যাগ, হিপসর্ট এবং মার্জসর্ট। এগুলো কীভাবে সাজাতে হয়, কীভাবে কাজ করতে ডেটা সোর্স নিয়ে, এ সবকিছুর ব্যবহারিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: কীভাবে চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হবেন: গুরুত্বপূর্ণ ১০টি টিপস
কম্পাইলার্স গঠন শেখা
কম্পিউটারের ভাষাকে ব্যবহারকারিদের বোধগম্যতার জন্য প্রয়োজন হয় ভাষাগুলোকে কম্পাইল করার। এখানেই উচ্চমানের ভাষা ডিজাইন করার কথা আসে। যেমন- এইচএইচভিএম বা পিএইচপি এবং বাইনারি কম্পাইলের ব্যাপারে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা দরকার। যন্ত্রের ভাষাটি যত বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সহজ হয়ে উঠবে, ইঞ্জিনিয়ারের দক্ষতাও সে সঙ্গে প্রমাণিত হয়। এর জন্য ভাষাগুলোর পদ্ধতিগত গঠনের নিমিত্তে কম্পাইলারের অবকাঠামো সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
গাণিতিক বিদ্যা
যারা স্কুল-কলেজে গাণিতিক হিসাব-নিকাশে পটু তাদের জন্য সুসংবাদ। গাণিতিক গবেষণায়; সোজা কথায় যারা খুব নিক্ষুতভাবে অঙ্ক কষতে পারেন তাদের দক্ষতাকে গুগল সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করে। যারা ইতোমধ্যে গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছেন এবং গাণিতিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে প্রোগ্রামিংয়ের কাজ করেছেন, তাদের গুগলের চাকরির জন্য প্রাথমিক অভিজ্ঞতা নেয়া হয়ে গেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ধারণা
প্রযুক্তি উন্নয়নের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার একটি অবিচ্ছেদ্য বিষয়। জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্র এখন রোবোটিক্সের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে যাচ্ছে। তাই টেক জায়ান্টদেরও সার্বক্ষণিক দৃষ্টিপাত এইএআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের ওপর। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ও বেশ কয়েক বছর ধরে রোবোটিক্সের প্রতি শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করে আসছে। শুধু প্রাথমিক ধারণা নয়, গুগলের চাকরিপ্রার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের জ্ঞানও থাকা বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
সাইবার সিকিউরিটি
শুধু অতিবেগুনী রশ্মি নয়, পুরো পৃথিবী এখন আরও একটি বলয় দিয়ে ঘেরা। আর তার নাম হচ্ছে সাইবার অ্যাক্টিভিটি। প্রতিমুহূর্তে ইমেইল, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাংক একাউন্ট-এর মত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের গোপন তথ্যাবলী হ্যাক হচ্ছে। এই বিড়ম্বনাটি সৃষ্টি করেছে সাইবার নিরাপত্তার চাহিদা। এক মালিকানা থেকে বহুজাতি মাল্টিপার্পাস প্রতিষ্ঠানগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্থ ব্যয় করছে সাইবার সিকিউরিটির পেছনে।
শুধু গুগল-ই নয়; সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের চাহিদা এখন সারা বিশ্ব জুড়ে। এছাড়া অতি দ্রুত পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে মুদ্রাহীন ডিজিটাল লেনদেনের দিকে। এরকম ব্যবস্থায় সাইবার সিকিউরিটির কোনো বিকল্প নেই।
টিমওয়ার্ক
সফট স্কিলের মধ্যে গুগলের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি চাওয়া হচ্ছে সেটি হলো- দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার দক্ষতা। এটি অনেক ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি মানসিকতার সঙ্গে জড়িত থাকে, কেননা অনেক প্রযুক্তিবিদই একা কাজ করতে পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
কিন্তু গুগল এই অনুশীলনকে নিরুৎসাহিত করে। কারণ একজনের মস্তিষ্ক একটি প্রোজেক্টের জন্য সমুদয় ধারণা সরবরাহ করতে সক্ষম নয়। সেখানে যদি দুই বা ততোধিক মস্তিষ্ক যুক্ত হয় তখন শুধু লক্ষ্য অর্জনের ধারণাই পাওয়া যায় না, কাজটি দ্রুত গতিতে কম সময়ে সমাধানও করা যায়। গুগল কোয়ালিটির পাশাপাশি কোয়ান্টিটিও নিশ্চিত করতে চায়। আর তাই তারা আশা করে একাধিক মস্তিষ্কের সম্মিলিত প্রচেষ্টার।
দ্রুত শেখার সক্ষমতা
একজন মানুষ সব বিষয়ে জানবে না, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অজানা সেই কাজটি চালানোর জন্য সঠিক জ্ঞান অর্জন একটি কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা। আর এটি খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় গুগলের সাক্ষাৎকারের সময়। অতিরিক্ত ঝামেলায় মাথা ঠাণ্ডা রেখে বুঝে শুনে কাজ করাটা একজন ব্যক্তি মানসিক দক্ষতার পরিচয় দেয়।
দ্রুত শিখে নেয়ার সঙ্গে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টিকে একত্রে বলা যেতে পারে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতা। এটি শুধু মানুষ নিয়ে কারবার করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যই প্রয়োজন নয়, একটি সফটওয়্যারের হাজার পৃষ্ঠার কোডিং ঝামেলা শামলানোর জন্যও খাপ খাইয়ে নেয়াটা দরকার।
আরও পড়ুন: অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে প্রয়োজনীয় পাঁচ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
গুগলে চাকরির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
গুগলের বিভিন্ন পদে নতুন লোক নেয়াটা বলা যায় নিয়মিতই ঘটতে থাকে। এই নিয়োগের জন্য পরীক্ষাগুলো বিভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত অনলাইন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংঘটিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ের পর সামনাসামনি ইন্টারভিউ হয় আর এভাবেই কাঙ্ক্ষিত কর্মীটির যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ইন্টার্নশিপ এবং সরাসরি চাকরি দুইভাবে গুগল লোক নিয়ে থাকে। এই সময় গুগলে চাকরির আবেদন করার জন্য নিম্নোক্ত উপায়গুলো অনুসরণ করতে হবে।
গুগল ক্যারিয়ার ওয়েবসাইট
গুগল ক্যারিয়ার ওয়েবসাইটে গেলে বর্তমান সময়ে আবেদনের জন্য উন্মুক্ত থাকা চাকরির তথ্য পাওয়া যাবে।
চাকরির আবেদন ফর্ম পূরন
প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন চাকরির জন্য আলাদা আবেদনের স্ক্রিণ আসবে। সেই স্ক্রিণে যেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত যোগ্যতা, এবং অভিজ্ঞতার তথ্য দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করা যাবে। এক্ষেত্রে চাকরির বিবরণ ভালো করে পড়ে নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলিয়ে নেয়াটা জরুরি।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
রেজুমি/সিভি আপলোড
যে কোন চাকরির জন্য রেজুমি বা সিভির গুরুত্ব অপরিসীম। গুগলের জন্য যথেষ্ট সময় নিয়ে একটি অসাধারণ সিভি তৈরি করতে হবে। সিভিতে থাকা প্রতিটি শব্দ গুগলের নির্বাচিত চাকরিটির সঙ্গে সামঞ্জস্য হওয়া আবশ্যক। সিভি চূড়ান্ত করে পিডিএফ ফরমেটে এখানে আপলোড করে দেয়া যেতে পারে।
গুগলে চাকরির ইন্টারভিউ পদ্ধতি
অনলাইন ফর্মে প্রদত্ত পূর্ণ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই ইন্টারভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সাক্ষাতকার গুগলে চাকরির আবেদনের সর্বশেষ ধাপ হলেও এই সাক্ষাতকার কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। অনলাইন ইন্টারভিউয়ের ধাপসংখ্যা সাধারণত পাঁচ রাউন্ড।
এখানে প্রধানত দুটি জিনিস মূল্যায়ন করা হয়। এক- যে কাজের জন্য আবেদন করা হচ্ছে সেই কাজে প্রার্থীর জ্ঞান কতটুকু এবং দুই- প্রার্থীর সফট স্কিলগুলো কতটুকু নির্ভরযোগ্য। যুক্তিবিদ্যার এই অংশটিতে প্রশ্নগুলো ধাঁধাঁর মত মনে হতে পারে। আর প্রথম অংশে প্রার্থীর প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যবহারিক জ্ঞানসমূহ যাচাই করা হয়। প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত প্রায় ক্ষেত্রে ইন্টারভিউতেই নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
পরিশেষে
সবশেষে বলা যায়, গুগলে চাকরি পাওয়ার উপরোক্ত উপায়গুলো অনুসরণের ক্ষেত্রে অনেকেরই মনে হতে পারে যে গুগলে চাকরি হয়ত অনেক উঁচুমানের সার্টিফিকেট দাবি করে। কিন্তু আসল ব্যাপারটি তা নয়, বরঞ্চ এখানে প্রার্থীর পারদর্শিতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এমনও দেখা গেছে যে জিপিএ-৫ না পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী গুগলে চাকরি পেয়েছে। এমনকি তথাকথিত স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ছাড়াও অনেক আন্ডারগ্রাজুয়েটদের চাকরি হয়ে গেছে। মোদ্দা কথা হলো- উপরোক্ত দক্ষতা যদি কোন স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া কোন শিক্ষার্থীরও থেকে থাকে, সে গুগলে কাজ করার সুযোগ পাবে।
২ বছর আগে
গুগলে ডাক পেলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সায়েম
বিশ্বের সর্ববৃহৎ টেক জায়ান্ট গুগলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী আবু সায়েম সেফাতুল্লাহ ডাক পেয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমানি এই বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি ফেসবুকে আবু সায়েমকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমবারের মতো বিশ্বের সর্ববৃহৎ টেক জায়ান্ট গুগলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরির অফার পেয়েছেন আবু সায়েম সেফাতুল্লাহ। এটা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বড় অর্জন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে হামলার প্রতিবাদে ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
আবু সায়েম টিম রবোট্রাসে হয়ে এর আগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে আইসিপিসি ও এনসিপিসিতে প্রতিনিধিত্ব করেছে। ২০১৭-২০২০ সালে এই টিমের অফিসিয়াল কোচ হিসেবে আমি গর্বিত। তার জন্য অভিনন্দন ও শুভকামনা। আশা করি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও তার পথ অনুসরণ করবে বলে ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী আবু সায়েম সেফাতুল্লাহ বলেন, সিএসইতে যারা পড়ে তাদের সবারই ইচ্ছা থাকে গুগলের মতো কোনো না কোনো জায়গায় চাকরি করার। আমারও এই ইচ্ছাটা ছিল। প্রথম বর্ষ থেকেই কন্টেস্ট প্রোগ্রামিং করতাম। আমি যখন সপ্তম সেমিস্টারে ছিলাম তখন সিঙ্গাপুর থেকে একটা অফার পেয়েছিলাম। ওই সময় থেকে ইচ্ছা ছিল যেহেতু একটাতে হয়েছে এখন দেখি আসল টার্গেট গুগলে হয় কিনা।
আরও পড়ুন: ৬ মাস পর ভিসি পেল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
তিনি বলেন, গুগলের ইন্টারভিউ প্রসেসটা অনেক লম্বা এবং কঠিন। গত নভেম্বরে আমার ইন্টারভিউ শুরু হয়। এই চার-পাঁচ মাসে অনেকগুলো রাউন্ড, প্রসেস পার করে ফাইনালি শনিবার অফারটা পেয়েছি। প্রত্যেকটি রাউন্ড শেষেই অনেক টেনশন ছিল এরপর কী হবে না হবে। ফাইনালি সব কিছু পার করে অফার পাওয়ার অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না।
২ বছর আগে
গুগলে চাকরি পেলেন সিলেটের আদনান
সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করা শিক্ষার্থী নাফিউল আদনান চৌধুরী বহুজাতিক কোম্পানি গুগলে চাকরি পেয়েছেন। গুগলের ইউরোপিয়ান হেডকোয়ার্টার আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন কার্যালয়ে তিনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করবেন।
অসাধারণ এই সাফল্যের জন্য আদনানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর এমও রহমান চৌধুরী, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সালেহ উদ্দিন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শিব প্রসাদ সেন।
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার মোতিয়ারগাঁওয়ের মো. সামছুল হক চৌধুরী ও মুসলিমা বেগমের বড় ছেলে নাফিউল আদনান চৌধুরী। তিনি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ৩৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
নাফিউল আদনান চৌধুরী জানান, তিনি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে ইনোসিস সলিউশন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারি হিসেবে কাজ করছিলেন। এই প্রতিষ্ঠান আমেরিকা ও কানাডার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সফটওয়্যার তৈরিসহ আইটি সেবা দিয়ে থাকে।
আদনান জানান, সম্প্রতি গুগল থেকে তিনি চাকরির সাক্ষাৎকারের ডাক পান। সফল সাক্ষাৎকার শেষে গত সোমবার (৩১ জানুয়ারি) পেয়েছেন নিয়োগপত্র। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করে শিগগিরই তিনি গুগলের ইউরোপিয়ান হেডকোয়ার্টারে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: শাম্মী কুদ্দুস: গুগল এবং বিশ্ব অর্থপ্রযুক্তি শিল্পে একজন সফল বাংলাদেশি নারী
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের শিক্ষকরা জানান, নাফিউল আদনান চৌধুরী অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী। তিনি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নকালে বিভিন্ন দলীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কৃতিত্ব দেখান। অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তিনি দুই হাজারেরও অধিক প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধান করেছেন। জুনিয়র শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং শেখানোর জন্য তিনি নিয়মিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, কর্মশালা এবং প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছেন। তার এসব কাজে সিএসই বিভাগের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী উপকৃত হন।
নাফিউল আদনান চৌধুরী জানান, তিনি শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে দাখিল এবং এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ২০১৫ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য সিলেটের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। ২০১৯ সালে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং) ইন সিএসই ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
এদিকে, অসাধারণ সাফল্যের জন্য নাফিউল আদনান চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর এমও রহমান চৌধুরী, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সালেহ উদ্দিন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শিব প্রসাদ সেন।
আরও পড়ুন: পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা নিরসনে সিলেট ওয়াসা প্রতিষ্ঠা করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
এক বার্তার তাঁরা বলেন, ‘মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি সব সময়ই শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও বিশ্বপর্যায়ে জায়গা করে নেয়ার মতো উপযোগী করে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এখানে বিশ্বমানের পাঠদানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। মেধাবী নাফিউল আদনান চৌধুরী তেমনই একজন।
তারা বলেন, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নকালেই নিজের প্রতিভার প্রকাশ ঘটিয়েছে আদনান। শিক্ষকদের সঠিক গাইডলাইন ও নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে পেয়েছেন সফলতার দিশা। বিশ্বখ্যাত গুগলে চাকরির সুযোগ পেয়ে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিকে গর্বিত করেছে আদনান। তার জন্য আমাদের অশেষ শুভকামনা।’
২ বছর আগে
মরণোত্তর ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মান পাচ্ছেন বিপিন রাওয়াত
ভারতের প্রথম সামরিক প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত, মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা, গুগলের সুন্দর পিচাই এবং দুই করোনা ভ্যাকসিন নির্মাতাকে এই বছরের পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
যদিও জেনারেল রাওয়াত মরণোত্তর পদকে ভূষিত হচ্ছেন। অন্যদিকে নাদেলা, পিচাই এবং করোনার ভ্যাকসিন নির্মাতা সিরাম ইনস্টিটিউটের সাইরাস পুনাওয়ালা ও ভারত বায়োটেকের কৃষ্ণা এবং সুচিত্রা ইলা -এই বছর পদ্মভূষণ পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন।
জনসেবায় জড়িত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ পদ্ম পুরস্কার দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বুধবার ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস
ভারতরত্ন-এর পর ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণ। এছাড়া পদ্মভূষণ ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার।
প্রতি বছর ভারত সরকার ২৬ জানুয়ারি দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে। মার্চ বা এপ্রিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্তদের সম্মানিত করবেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় জেনারেল রাওয়াত তার স্ত্রীসহ ১২ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিহত হন।
জেনারেল রাওয়াত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সশস্ত্র বাহিনীতে ছিলেন। একজন জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারের পদ থেকে ভারতীয় সেনাপ্রধান এবং শেষ পর্যন্ত তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান ছিলেন তিনি।
ভারতীয়-আমেরিকান নাদেলা (৫৪) এবং পিচাই (৪৯) কে ‘বাণিজ্য ও শিল্প’ বিভাগে তাদের অবদানের জন্য সম্মানিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, করোনার যুদ্ধে ভারতকে এগিয়ে নিতে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার জন্য নির্মাতাদের পুরস্কার দেয়া হবে।
এ বছর মোট ১২৮ জন পদ্ম পুরস্কারে ভূষিত হবেন।
আরও পড়ুন: এবছরও ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে থাকছে না কোনো বিদেশি অতিথি
২ বছর আগে