তীব্র ভাঙন
ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-ক্যানেলে তীব্র ভাঙন, ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার
বাগেরহাটের বঙ্গবন্ধু মোংলা ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-ক্যানেলে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর ফলে প্লাবনের ঝুঁকিতে পড়েছে শতাধিক পরিবার।
ইতোমধ্যে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। রোমজাইপুর গ্রামের কয়েকটি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করতে গিয়ে ২ শ্রমিক নিখোঁজ, আহত ১১
স্থানীয়রা জানান, বঙ্গবন্ধু মোংলা ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ ক্যানেলে গত পূর্ণিমার জোয়ারের পানির স্রোতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে রশিদ মোল্যা, মিজান মোল্লা, জামাল মোল্যা, জাহাঙ্গীর শেখসহ তাদের পাঁচটি বসতবাড়ি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া দুটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে এবং ঝুঁকিতে রয়েছে আরও পাঁচটি খুঁটি। ভাঙন অব্যাহত থাকায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে আরও ৫০ টি বসতবাড়ি। রোমজাইপুর গ্রামের গ্রাম রক্ষাবাঁধ ভেঙে ও জোয়ারের উপচে পড়া পানিতে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক পরিবার।
রোমজাইপুর গ্রামের বিভাষ হালদার বলেন, ‘সপ্তাহ ধরে ক্যানেলে ভাঙন শুরু হলে পাঁচটি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। গ্রামরক্ষা বাঁধের প্রায় ৫০ মিটার ভেঙে যাওয়ায় দৈনিক দুইবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক জোয়ারের স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. বায়েজিদ সরদার বলেন, ‘রিমালের আঘাতে বাঁধ ভেঙে গ্রামের অনেক ক্ষতি হয়েছিল। আমরা স্থানীয়ভাবে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেছি। ক্যানেলে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে কয়েকটি বসতবাড়ি ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত বাসিন্দারা অন্যত্র চলে গেছে। লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার বসতবাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।’
স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য রীনা বেগম হেনা বলেন, ‘রিমালের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই নদী ভাঙনে মড়ার ওপর খাড়ার ঘায়ে পরিণত হয়েছে। দৈনিক দুইবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় এলাকার শতাধিক পারিবার। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু পরিবার।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রহিমা সুলতানা বুশরা বলেন, ‘নদী ভাঙনের বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহারকে অবহিত করেছি।’
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, ‘নদী ভাঙনের খবর পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমে তিস্তায় তীব্র ভাঙন
নড়াইলে মধুমতি নদীভাঙনের কবলে শতাধিক পরিবার
৪ মাস আগে
ধরলার তীব্র ভাঙন মুখে ৫ শতাধিক পরিবার
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ধরলা নদীর তীব্র ভাঙন অব্যাহত আছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরক মন্ডল এলাকায় ধরলার তীব্র ভাঙনে ১০টি ঘর, আধা কিলোমিটার সড়কসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে প্রায় চার শতাধিক পরিবার।
অন্যদিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ধনিরাম এলাকায় ধরলার ওপারে সাতটি ঘর ও ফসলি জমি ধরলায় বিলীন হয়েছে। সেখানে হুমকির মুখে আছে শতাধিক পরিবার।
চর গোরক মন্ডল এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) দুই হাজার ২০০ জিও ব্যাগ দিয়ে মাত্র ৩০০ গজ এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে পেড়েছে।
দ্রুত ভাঙন রোধের ব্যবস্থা না করলে চর গোরক মন্ডল গ্রামটি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। ভাঙন রোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
চর গোরক মন্ডল এলাকার আজিজুল ইসলাম ও মাইদুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে এই এলাকায় নদীভাঙন শুরু হয়। গত আড়াই থেক তিন মাসে প্রায় ৩০টি পরিবারসহ ভুট্টা, আখসহ বিভিন্ন ফসলি জমি, গাছপালার বাগান ও বাঁশঝাড় নদীতে বিলীন হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ধরলার তীব্র ভাঙনে আট থেকে ১০টি ঘরসহ একমাত্র সড়কটির বড় অংশ নদীতে চলে গেল। তারা দ্রুত ভাঙনরোধে কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধরলার ভাঙন মুখে তিন শতাধিক পরিবার
২ বছর আগে
অসময়ে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
জেলার শাহজাদপুরে যমুনা নদীতে অসময়ে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
৪ বছর আগে