মানব পাচার
মানব পাচার ও রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সহযোগিতার আহ্বান পররাষ্ট্র সচিবের
মানব পাচার সমস্যার টেকসই সমাধানে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ‘বালি প্রসেস’-এর কো-চেয়ার রাষ্ট্রদূত লিন বেল (অস্ট্রেলিয়া) ও রাষ্ট্রদূত ত্রি থারিয়াতের (ইন্দোনেশিয়া) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মানব পাচারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি তুলে ধরেন। পাশাপাশি মানব পাচারের কারণগুলো তুলে ধরে সেগুলো রোধ করার ক্ষেত্রে অসুবিধা ও বাধার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ নিচ্ছে বিবদমান পক্ষগুলো: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব
পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে গৃহীত কর্মসূচি ও কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন।
মানব পাচার রোধকে জটিল ও চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসেবে উল্লেখ করে এই সমস্যার সমাধানে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব দেন বালি প্রসেস কো-চেয়াররা।
আরও পড়ুন: মানব পাচার প্রতিরোধে লক্ষ্যভিত্তিক সচেতনতা ও বিস্তৃত প্রচেষ্টা 'অত্যাবশ্যক': ব্লিঙ্কেন
এছাড়াও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়ন এবং ‘বালি প্রসেস’ এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের মাধ্যমে মানব পাচার নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি জোরদার করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এছাড়াও বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে অসহায়ত্ব ও হতাশার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অনিয়মিত স্থানান্তর বেড়ে যাওয়ায় কো-চেয়াররা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে ‘বালি প্রসেস’-এর সদস্য দেশগুলোকে আহ্বান জানান পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি আরও বলেন, এই দীর্ঘায়িত সংকট বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছে এবং এটি সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছে যুক্তরাজ্য
৩৯৩ দিন আগে
মানব পাচার হ্রাসে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রকল্প ‘অগ্রযাত্রা’
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জেলে ও কৃষকদের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে 'অগ্রযাত্রা' প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারকে তা আরও ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা-ফেইভ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে মানব পাচার বৃদ্ধির ঝুঁকি হ্রাস করতে সর্বোত্তম পদক্ষেপ সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণ সরবরাহ করবে এটি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) 'অগ্রযাত্রা' প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনীতে এসব কথা বলেন মার্কিন এই কর্মকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী মানব পাচারের শিকার হওয়ার ঝুঁকি হ্রাসে জলবায়ু অভিযোজন, সহনশীলতা ও প্রশমন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে ও সম্পদ সংগ্রহে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
উইনরক ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন 'অগ্রযাত্রা' প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি বিভাগ) এ কে এম টিপু সুলতান এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, এই কর্মসূচি মানব পাচার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারের উদাহরণ।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় জলবায়ু পরিবর্তন, মানব পাচার ও আধুনিক দাসত্বের মধ্যে যোগসূত্র সম্পর্কে জ্ঞান বাড়াবে ‘অগ্রযাত্রা’ প্রকল্প।
আরও পড়ুন: বাইডেনের চিঠির জবাব দিলেন শেখ হাসিনা
মার্কিন দূতাবাস জানায়, সারা বাংলাদেশে প্রায়শই কৃষিকাজ ও জেলে পরিবারগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্পত্তি বিলীন হয় এবং জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে। প্রমাণ সংগ্রহের মাধ্যমে প্রকল্পটি এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানব পাচারের ঝুঁকি হ্রাস করবে।
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য জলবায়ুসহনশীল জীবিকার উন্নতি এবং নীতি ও পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপকে উৎসাহিত করা।
রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল ও পটুয়াখালীসহ দেশের ১১টি জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশ-উন্নয়নকে আরও কাছ থেকে দেখবেন বিদেশি কূটনীতিকরা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪১৫ দিন আগে
মানব পাচার প্রতিরোধে লক্ষ্যভিত্তিক সচেতনতা ও বিস্তৃত প্রচেষ্টা 'অত্যাবশ্যক': ব্লিঙ্কেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মানব পাচার একটি বৈশ্বিক অপরাধ; যা কয়েক লাখ মানুষকে তাদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘এই অপরাধকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য এবং মানব পাচার বন্ধ করার জন্য আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিতে হবে। এজন্য লক্ষ্যযুক্ত সচেতনতা এবং বিস্তৃত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।’
বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ২৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষ পাচারের শিকার।
তিনি আরও বলেন, এই মাসটি জাতীয় মানব পাচার প্রতিরোধ মাস। ‘যৌন পাচার এবং জোরপূর্বক শ্রমসহ সকল ধরনের মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টায়’ মানুষ, সংস্থা, সম্প্রদায় এবং ফেডারেল সংস্থাগুলোর যোগদানের সময় এটি।
৮১৮ দিন আগে
ইউরোপে মানব পাচার: কুমিল্লায় মূলহোতাসহ আটক ৩
কুমিল্লা থেকে ইউরোপে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত এক চক্রের প্রধান ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি দল।
র্যাব-১১ এর ক্রাইম প্রিভেনশন-২ কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আটক ব্যক্তিরা হলেন- মূল হোতা সোহেল মজুমদার ও তার দুই সহযোগী জাকির হোসেন ও আবু নোমান।
সবাই কুমিল্লার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ৯ সেপ্টেম্বর দুলাল মিয়া নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রবিবার সদর দক্ষিণ উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে ‘আশ্বাস’ ও ডিজিটাল হসপিটালের অংশীদারিত্ব
র্যাব জানায়, সাইপ্রাসে সোহেলের বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতি, জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে অন্তত আটটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সাইপ্রাস হয়ে ইউরোপে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত সোহেল।
আটকদের কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: টেকনাফে মাদক ও মানব পাচারকারী চক্রের ৭ সদস্য আটক
মানব পাচার মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সহজ স্থানান্তর চায় ঢাকা
৯৪১ দিন আগে
মানব পাচার মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সহজ স্থানান্তর চায় ঢাকা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মানব পাচার একটি আন্তঃসীমান্ত বা আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ। পাচারকারীরা একটি নির্দিষ্ট দেশে প্রযুক্তির ব্যবহারে ভাল হতে পারে এবং তাদের কাছে উন্নত প্রযুক্তি থাকতে পারে। আমরা আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি যে, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সনদ ও উদ্যোগের মাধ্যমে মানব পাচার প্রতিরোধ করব।’
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে মানব পাচারকারীরা আরও বেশি ক্ষতি করে। তবে সরকারি সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে পাচারকারীর প্রচেষ্টাকেও প্রতিহত করতে পারে।’
‘প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অপব্যবহার’-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শনিবার বিশ্ব মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস ২০২২- উদযাপিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইউএন নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশন-এর ‘কাউন্টার ট্রাফিকিং ইন পার্সনস টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ’ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অপব্যবহারের প্রেক্ষাপটে মানব পাচার প্রতিরোধ বিষয়ে একটি জাতীয় পরামর্শ সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক মানব পাচারের প্রবণতা, পরবর্তী পরিস্থিতি এবং সাইবার স্পেসে মানব পাচারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক অংশীদার, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আরও ১ বছর ডি-৮ এর সভাপতি থাকবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ মানব পাচারের ক্ষেত্রে উৎস, ট্রানজিট ও গন্তব্য দেশ। যদিও বাংলাদেশ মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ট্রাফিকিং ইন পারসনস প্রতিবেদন ২০২২ অনুয়ায়ী ‘টায়র ২’-এ অবস্থান করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধে অনেক ভাল উদ্যোগ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘মানুষ পাচার একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এ বিষয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। আমরা এই ভয়াবহ অপরাধের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি। পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সব পক্ষের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। মানব পাচার প্রতিরোধে অনলাইনে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকার কাজ চালিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেনের মতে, ‘পাচারের শিকার ব্যক্তিরা শারীরিক ও মানসিক সহিংসতার শিকার হন। তারা হয়রানি, জোরপূর্বক শ্রম, জোরপূর্বক ও অবৈধ বিয়ে, মৃত্যুর মত পরিস্থিতিতে পরেন। সর্বস্তরে মানব পাচার প্রতিরোধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।’
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন উল্লেখ করেন, ‘মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ সরকারের যথেষ্ট আইন ও নীতি রয়েছে। এছাড়াও, অভিবাসন সংক্রান্ত গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ব্যক্তি পাচার নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের এখন জাতীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে এই আইন ও কমপ্যাক্টের কার্যকর বাস্তবায়ন করে, মানব পাচারের মত জঘন্য অপরাধের অবসান ঘটাতে হবে।’
প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীরা মানব পাচারের কার্যক্রম জোরদার করছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের সনাক্ত করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীদের নিয়োগ, শোষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাচারকারীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের নানা টুল ব্যবহার করছে। এছাড়া পাচারকারীরা সহজে ভুক্তভোগীদের পরিবহন, বাসস্থান, বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রলোভন দেখানো, অন্য পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগেও প্রযুক্তির সহযোগিতা নিচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাচারকারীরা পরিচয় গোপন করছে। দ্রুত গতিতে এবং অল্প খরচে যোগাযোগ করতেও প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন: বন্যা থেকে বাঁচতে নদীগুলো খনন করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস উল্লেখ করেন, ‘প্রযুক্তি পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবেও অনেক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। মানব পাচার নির্মূলের প্রচেষ্টায় ভবিষ্যত সাফল্যের জন্য আইন প্রয়োগকারী এবং অপরাধমূলক বিচার ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান এবং বাংলাদেশ ইউএন নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশনের সমন্বয়কারী আবদুসাত্তর এসয়েভ বলেন, ‘ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপদ ব্যবহারের ওপর প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম করলে মানব পাচারের ঝুঁকি কমবে। মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধে সহায়তার জন্য টেকসই প্রযুক্তি-ভিত্তিক সমাধানে বেসরকারি খাতের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। যার মাধ্যমে আমরা বেসরকারি খাতের উদ্ভাবন ও দক্ষতা কাজে লাগাতে পারি।’
প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বিদেশ যান। যাদের মধ্যে অনেকেই পাচারকারীদের লক্ষ্যবস্তু হন। কোন কোন অভিবাসী ঋণ, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন শোষণ, জোরপূর্বক বিয়ে এবং আধুনিক দাসত্বের শিকার হন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স জেরেমি ওপ্রিটেসকো, বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন স্কট ব্র্যান্ডন এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৯৯২ দিন আগে
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেয়ার বিষয়টি দ্রুত ফয়সালা হওয়া উচিত: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপনে থাকা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেয়ার বিষয়টি দ্রুত ফয়সালা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার পক্ষ থেকে আমি ওনাকে পরিষ্কার বলেছি, আমার একটা দাবি আছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের হত্যাকারী এবং আদালতের সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি রাশেদ চৌধুরী সেদেশে পালিয়ে আছে। তাকে ফেরত দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনি নূরকে ফেরত দিতে কানাডাকে আবারও অনুরোধ ঢাকার
রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি বলেছেন এটা তো একটা বার্নিং ইস্যু, এই ইস্যুগুলো তড়িৎ ফয়সালা করা উচিত। এই বিষয়টিতে আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ছায়া পড়ুক সেটা তিনি চান না। আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব।
মানব পাচার ও সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও আইনজীবিদের প্রশিক্ষণ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সম্মত হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, ‘আরেকটা বিষয় আলোচনার মধ্যে ছিল তা হলো, প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের দায়ের করা একটি মামলা, যেটা আদালতে বিচারাধীন। সেই বিষয়ে বলেছি, আদালত স্বাধীন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। এ মামলায় প্রসিকিউশনের দায়িত্ব যাতে সঠিকভাবে পালন করে সেটা আমরা দেখবো।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদকে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের
১১০৬ দিন আগে
মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে ‘আশ্বাস’ ও ডিজিটাল হসপিটালের অংশীদারিত্ব
সম্প্রতি বাংলাদেশ ভিত্তিক উদ্ভাবনী ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হসপিটালের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে উইনরক ইন্টারন্যাশনালের ‘আশ্বাস’ প্রকল্প অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে। প্রকল্পটি মানব পাচারের শিকার পুরুষ ও নারীদের পুনর্বাসনে কাজ করছে আর ডিজিটাল হসপিটাল তাদের বিভিন্ন ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। এতে এখনও নতুন সদস্য যোগদান করছে।
স্বাস্থ্য প্যাকেজ স্বাধীন (ডিজিটাল হসপিটাল প্রদত্ত) -এ রয়েছে প্রতি মাসে ১৫০ মিনিট পর্যন্ত (ব্যবহারকারী এবং তার পরিবার উভয়ের জন্য) বিনামূল্যে ২৪/৭ ডক্টর কলের পাশাপাশি হাসপাতালে থাকার কাভারেজ হিসেবে এক লাখ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে ফ্রি হেলথ ক্যাশব্যাক। এছাড়া তিন মাসের জন্য রয়েছে আইসোলেশন কাভারেজ হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা এবং এক হাজার ৬০০ টাকা ওপিডি কাভারেজ। প্যাকেজটিতে আরও রয়েছে সারা দেশের এক হাজারেরও বেশি হাসপাতাল,ফার্মেসি ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে পণ্য/সেবায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।
এছাড়া,সুবিধাভোগীরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্টের ভিত্তিতে পরামর্শ, হেলথ ক্যাম্প এবং অনলাইন প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মানব পাচারের অভিযোগে ২ তরুণ আটক
২০২২ সালে প্রকল্পটির শেষ নাগাদ,পাচারের শিকার পুরুষ ও নারীদের একটি বিশাল অংশকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করার পরিকল্পনা করেছে আশ্বাস।
ডিজিটাল হসপিটালের সিসিও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ড্রু স্মিথ বলেন, পাচারের শিকার অধিকাংশ মানুষ মানসিক এবং শারীরিক ট্রমার শিকার হন। সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে পুনর্বাসনে তাদের নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এসব নারী-পুরুষদের কাউন্সেলিং, আইনি সেবা এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সহায়তা প্রদানে কাজ করছে আশ্বাস। আর এখন, মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে আশ্বাসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ডিজিটাল হসপিটাল। কারণ দেখা যায়, এসব মানুষ প্রায় সময় খরচ বেশি ও সহজলভ্য নয় বলে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারেন না। সকল সামাজিক ও ভৌগলিক বাধা অতিক্রম করে আমরা সমাজের একটি অংশ বা পুরো সমাজকে সর্বদা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সহাযতা প্রদান করব, কারণ আমরা বিশ্বাস করি সবার সুস্থ থাকার অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচারে যুক্ত বাংলাদেশির কারাদণ্ড
১২২৯ দিন আগে
রাজধানীতে মানব পাচার চক্রের ‘হোতা’ টুটুলসহ গ্রেপ্তার ৮
রাজধানীর বাড্ডা থেকে বুধবার ভোরে মানব পাচারকারী চক্রের ‘হোতা’ টুটুলসহ আট জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, মেহেরপুরের সাইফুল ইসলাম ওরফে টুটুল (৩৮), জাহাঙ্গীর আলম (৩৮), লাল্টু ইসলাম (২৮), রংপুরের তৈয়ব আলী (৪৫), গোপালগঞ্জের শাহ মোহাম্মাদ জালাল উদ্দিন লিমন (৩৮), পটুয়াখালীর মারুফ হাসান (৩৭), শরীয়তপুরের আলামিন হোসেন (৩০) এবং কুষ্টিয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন (৫৪)।
র্যাব-৪ এর একটি দল টুটুল ওভারসিজ, লিমন ওভারসিজ ও লয়াল ওভারসিজসহ চারটি ট্রাভেল এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০টি পাসপোর্ট, সাতটি ফাইল, ৪টি সিল, ১৭টি মুঠোফোন, ৫টি নিবন্ধন খাতা, ৩টি সিম কার্ড,৪টি ব্যাংকের চেক বই, ২টি কম্পিউটার এবং নগদ ১০ হাজার ৭০০ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবপাচার প্রতিরোধে সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পররাষ্ট্র সচিব
র্যাব অধিদপ্তর জানায়, মেহেরপুরের গাংনীতে মুদি দোকানদার ছিলেন টুটুল এবং মানব পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠাতেন। পরবর্তীতে তিনি তিনটি ট্রাভেল এজেন্সি খুলেছিলেন এবং মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নেয়ার পর বিভিন্ন দেশে লোক পাঠিয়েছিলেন।
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মানব পাচারের অভিযোগে ২ তরুণ আটক
১২৮২ দিন আগে
দেশে ফিরেছেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ বাংলাদেশি
ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ বাংলাদেশি ঢাকায় ফিরেছেন।তাদেরকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১.১৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছেন ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান।মানব পাচারের শিকার এই ভুক্তভোগীদের ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের জন্য বর্তমানে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের তত্বাবধানে আছেন। বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় তাদের খাবার-পানিসহ জরুরি সব সহায়তা দিচ্ছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
আরও পড়ুনঃ সীমান্তে আটক ১৫ জন বাংলাদেশি বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেনদেশে ফেরা ১৩ কর্মীর মধ্যে শরিয়তপুরের ৯, মাদারীপুর ২, চাঁদপুরের ১ ও কুমিল্লা জেলার একজন রয়েছেন।এরা হলেন, শরিয়তপুরের মোশাররফ খান, সাগর চন্দ্র বর্মন, সামিম খা, রমজান সুয়েল, নাজমুল ফকির, মো. শাকিল হোসেন, সিপন হাওলাদার, সালাম হাওলাদার ও অনিক বেপারী।মাদারীপুরের রাশেদুল ইসলাম ও শাকিল লসকর। চাঁদপুরের আবুল হোসেন এবং কুমিল্লার মোস্তফা কামাল।
আরও পড়ুনঃ লিবিয়ায় আটকা পড়া ১৪১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেনভুক্তভোগীরা জানান, চলতি বছরের শুরুর দিকে দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে প্রথমে দুবাই। এরপর দুবাই থেকে লিবিয়া তারপর তিউনিসিয়া গিয়েছিলেন। সকলেই তিউনিসিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন।এর আগে গত ১ জুলাই ১৭ জন এবং ২৪ মার্চ ৭ জন বাংলাদেশি একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন।
১৩৩৭ দিন আগে
ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসার সময় সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ৪
ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসার সময়সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকেচার বাংলাদেশিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার রাতে সদর উপজেলার তলুইগাছা সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সীমান্তে আটক ১৫ জন বাংলাদেশি বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেন
আটককৃতরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা গ্রামের রহমান উজিয়া কাগুজির ছেলে মো. আজগর আলী (৪৫), তার স্ত্রী রুবিয়া বিবি (৩৫), আজগর আলীর কন্যা আফরোজা খাতুন (১৫) ও আশা খাতুন (৭)।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি-র অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ জানান, ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসার সময় সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্ত থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চারজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়। এ সময় অভিযানে নেতৃত্ব দেন তলুইগাছা বিওপি-র টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুস সবুর। মামলা দিয়ে তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ থাকবে ১৪ দিন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সীমান্ত সুরক্ষা ও মানব পাচাররোধে বিজিবি-র অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে আরো জানান বিজিবি-র এই অধিনায়ক।
১৪৪৯ দিন আগে