এসডিজি
টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সরকারের অঙ্গীকার এবং জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা এ অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে 'ইউনাইটেড ইন প্রোগ্রেস: শেয়ারিং ন্যাশনাল এসডিজিস কমিউনিকেশনস স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান ২০২৪-২০৩০' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয়ের (ইউএনওপিএস) সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক ইউনিট।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ধারণা ও দর্শন হচ্ছে, শুধু উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন হতে হবে টেকসই এবং সুষম। কারণ উন্নয়ন যদি টেকসই ও সুষম না হয় তাহলে তা সত্যিকার অর্থে কাজে আসে না। টেকসই ও সুষম উন্নয়ন সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে।
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ জাতীয় পরিকল্পনা কাঠামোতে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে একীভূত করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নয়, এটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতি সরকারের অঙ্গীকারের প্রমাণ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা তৈরির উদ্যোগ সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই কৌশল এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাগুলো স্থানীয় পর্যায়ে সম্পৃক্ত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রতিটি নাগরিককে তাদের অবস্থান নির্বিশেষে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সচেতন ও সম্পৃক্ত করবে। এটি কাউকে পেছনে না রাখার জন্য সরকারের অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল বাস্তবায়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ মন্ত্রণালয় সরকারের নীতি এবং জনগণের বোঝাপড়া ও অংশগ্রহণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে। মন্ত্রণালয়ের সম্পদ, নেটওয়ার্ক এবং প্ল্যাটফর্মগুলো কাজে লাগিয়ে এসডিজির বার্তাগুলো নগর কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছানো নিশ্চিত করতে চাই। এসডিজি এজেন্ডার সাফল্য জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি হলো একজন সচেতন এবং নিযুক্ত নাগরিক। যখন মানুষ এসডিজির তাৎপর্য এবং সেগুলো অর্জনে তাদের ভূমিকা বুঝতে পারে, তখন তারা উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠে।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় বসে আমরা যা আলোচনা করি এবং যোগাযোগের যে পদ্ধতির কথা ভাবি সেটি গ্রামাঞ্চলে কার্যকর নাও হতে পারে। তাই স্থানীয় প্রাসঙ্গিকতা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ভিত্তিতেই আমাদের যোগাযোগ কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে সেটি সমাজে পরিবর্তন আনতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, উদ্দিষ্ট ব্যক্তির নিকট বার্তা পৌঁছে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অন্যতম দায়িত্ব। এক্ষেত্রে জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে। তবে এসডিজি বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি খাত, উন্নয়ন সহযোগী, বিদেশী বন্ধু সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) সম্পর্কিত প্রথম জাতীয় কমিউনিকেশনস স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান ২০২৪-২০৩০ এর চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপন করা হয়। এটি উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম এবং জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয়ের (ইউএনওপিএস) এসডিজি কমিউনিকেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নুসরাত আমিন।
সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহ কার্যালয়ের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরলীধরন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহমেদ এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
৫ মাস আগে
এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেরও বড় ভূমিকা রয়েছে এসডিজি অর্জনে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ ও কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: পলাতক তারেক বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে: বেনজীর প্রসঙ্গে মন্তব্য নিয়ে ফখরুলকে কাদের
রবিবার (২ জুন) নগরীর আগারগাঁও এনইসি সম্মেলনকক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাপোর্ট টু সাস্টেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্পের আয়োজনে এক কর্মশালায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ বাড়াতে হবে। আর কর অব্যাহতির হার কমাতে হবে। আয়কর ও কর অব্যাহতির পরিমাণ প্রায় সমান, যা বিশ্বের কোনো দেশে নেই। কর আদায়ে ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই। যারা ডিজিটালাইজেশনে বাধা দিচ্ছে, প্রয়োজনে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, কর সহায়তা দিয়ে বিশ্ব বাজারে টিকে থাকা যাবে না। রপ্তানি বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করতে হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে কাস্টমস রেভিনিউ কমে আসবে। চলতি অর্থবছরে কাস্টমস রাজস্ব ও ভ্যাট রাজস্ব প্রায় সমান এবং এর পর থেকে কাস্টমস রাজস্ব কমতে থাকবে।
ইআরডি সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে মূল আলোচনাকারী ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (এসডিজি অ্যাফেয়ার্স, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)।
এলডিসি গ্রাজুয়েশন ও এসডিজি অর্জন বিষয়ে উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত সচিব ড. রিয়াজুল বাশার সিদ্দিক।
এছাড়া কর্মশালার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগের কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: উন্নত বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এসডিজি ত্বরান্বিত করতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা অপরিহার্য
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংলাপ শুরু করার উদ্দেশ্যে ইউএনডিপি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষ অংশীদাররা ঢাকায় সোমবার (২৩ অক্টোবর) থেকে তিন দিনব্যাপী এক আলোচনার আয়োজন করেছে।
আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব বিনিময়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন আমন্ত্রিত বাণিজ্যিক নেতা, ফাউন্ডেশন ও ইউএনডিপি’র বিভিন্ন প্রতিনিধি দল এখানে অংশ নিয়েছে।
এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো- বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে ইউএনডিপি’র মিলিত উদ্যোগসমূহের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা এবং বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় সাধন করা। যাতে করে এই কার্যক্রমগুলোর সাফল্য তরান্বিত করতে প্রয়োজনীয় সম্পদ সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দরিদ্রতম মানুষের জন্য অস্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা করোনার সংক্রমণ কমাতে পারে: ইউএনডিপি
অংশীদারদের সঙ্গে এই মতবিনিময় নতুন কিছু শেখার সুযোগ তৈরি করবে, খুলে দিতে পারে আরও নতুন সংলাপের দ্বার এবং ২০২৪ সাল বা আরও বেশি সময় পর্যন্ত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে এই আলোচনার মধ্য দিয়ে।
এ সভায় বেসরকারি খাতের বিভিন্ন অংশীদার এবং ইউএনডিপি’র মধ্যে সরাসরি পারস্পরিক আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে। যেখানে দু’পক্ষের মধ্যে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার এবং এ অঞ্চলের সম্ভাবনাগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
ইউএনডিপি’র উপ-আঞ্চলিক পরিচালক ক্রিস্টোফ বাহুয়ে তার বক্তব্যে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইউএনডিপি’র সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যকার ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক সহযোগিতা এবং জাতীয় ও স্থানীয় উন্নয়নে এ সম্পর্কের ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, ইউএনডিপি ও বেসরকারি খাতের এই সহযোগিতামূলক সম্পর্কটি আগামী দিনে আরও বিকশিত হওয়ার দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। ইউএনডিপি ও কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর একসঙ্গে পথচলার এ যাত্রায় আরও অনেক কিছু অর্জন সম্ভব। আঞ্চলিক পর্যায়ের এই পারস্পরিক মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের বিদ্যমান অংশীদারিত্বের পরিসর আরও বৃদ্ধি করতে এবং এ পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন নতুন মাত্রা যোগ করার সুনির্দিষ্ট সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার তার উদ্বোধনী বক্তব্যে এই আয়োজনটির তাৎপর্য তুলে ধরে বলেনI
স্টেফান লিলার বলেন, ‘বেসরকারি খাত ও ইউএনডিপি এশিয়া প্যাসিফিকের প্রতিনিধিদের এ সম্মিলন থেকে। আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করতে চাই, বেসরকারি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ততা তৈরিতে পুরো অঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সকল অন্তর্দৃষ্টি, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা জড়ো করার মাধ্যমে একটি ‘সামগ্রিক আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা হবে।’
স্টেফান আরও বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কের মাধ্যমে ইউএনডিপি এমন নীতিগুলির পক্ষে এডভোকেসি করে যেগুলো বাণিজ্যিক স্বার্থসমূহকে দীর্ঘমেয়াদে আরও জোরদার করে। আমাদের বিশাল অভিজ্ঞতা ও বেসরকারি খাতের কর্মতৎপরতার এই যুগলবন্দী টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রণীত ‘এজেন্ডা ২০৩০’ এর অভীষ্ঠ অর্জনগুলো বাস্তবায়নে অনন্য ভূমিকা রাখবে।’
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন- ইউনিলিভার বাংলাদেশ, ওরাকল, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, ডিএইচএল, স্যামসাং, এসএপি ইন্ডিয়া, এনইসি ইন্ডিয়া, ইউগলেনা, জেট্রো, গ্রামীণফোন ও ইউনিকলোসহ বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানিগুলির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ।
এ সংলাপগুলোতে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে সেগুলো হলো- নেটশূন্য অর্থনীতি অভিমুখে ন্যায্য জ্বালানী রূপান্তর, টেকসই উন্নয়নের জন্য যুব ও নারীদের ক্ষমতায়ন, বৃত্তাকার অর্থনীতি, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল রূপান্তরের মতো ক্ষেত্রগুলোতে অংশীদারিত্বের রূপরেখা তৈরি।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
দ্বিতীয়বার ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হলেন জয়া আহসান
১ বছর আগে
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসডিজি অর্জনের অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ' সম্পর্কিত এসডিজি-৩ সহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোভিড-১৯ মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও জলবায়ু সংকট থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এসডিজি অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের পার্শ্ব ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মা, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য অংশীদারিত্বের (পিএমএনসিএইচ) চেয়ার হেলেন ক্লার্ক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের প্রথম নারী মহাসচিব পাওয়ার সময় এসেছে: ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্মে প্রধানমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার এর স্বাস্থ্যসেবা সকলের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার অনুযায়ী চলতি অর্থবছর ২০২৩-২৪ সালে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ২৭ শতাংশ বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় স্বাস্থ্য খাতের কৌশলগত পরিকল্পনা (২০১১-২০৩০) বাস্তবায়ন করছে।
বৈঠকে হেলেন ক্লার্ক শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বাস্থ্য খাতে সার্বিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে মা ও শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
আরও পড়ুন: আসন্ন জলবায়ু সংকট এড়াতে প্রধান অর্থনীতিগুলোকে অবশ্যই ন্যায্য অংশীদারিত্ব করতে হবে: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার করুন: এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিশ্ব নেতাদের বলেছেন, এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বে বিশাল ফাঁক রয়েছে এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য দোহা কর্মসূচির আওতায় প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দুই দিনব্যাপী এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হিসেবে গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সমন্বিত প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের জন্য দুর্ভিক্ষ এখন অতীতের বিষয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। সবার বা 'সমগ্র সমাজের' অংশগ্রহণে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: ‘বন্ধু পরামর্শ দিতে পারে’: মোমেন
এসডিজিকে বর্তমান সময়ের 'ম্যাগনা কার্টা' আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নিরসনে নানামুখী প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আমরা দুর্ভিক্ষকে অতীতের বিষয় বানিয়েছি।’
তিনি স্মরণ করেন, ২০২২ সালে দেশে চরম দারিদ্র্য হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০০৬ সালে ২৫ দশমিক ১ শতাংশ ছিল।
মোমেন বলেন, ‘তবে এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বে বিশাল ফাঁক রয়েছে। আমরা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য দোহা কর্মসূচির আওতায় অঙ্গীকার বাস্তবায়ন চাই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি নিয়মভিত্তিক বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থা চায়।
মন্ত্রী রেয়াতি ঋণ এবং জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তির জন্য ন্যূনতম শর্ত আরোপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিতে পর্যাপ্ত প্রণোদনা দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
এদিকে, শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা এসডিজির বেশিরভাগ লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতি খুব ধীর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষুধা ও চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২০৩০ সালের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সেট উদ্ধারে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে বিশ্ব যে বিপদের সম্মুখীন হবে সে সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
তারা ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করার জন্য একটি রাজনৈতিক ঘোষণাও গ্রহণ করেছে।
সশস্ত্র সংঘাত, প্রতিকূল জলবায়ু প্রভাব এবং কোভিড-১৯ মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবসহ বৈশ্বিক সংকট ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য হুমকি স্বরূপ, এমন এক সংকটময় সময়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সমবেত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের দ্বারা ১০ পৃষ্ঠার এই নথিটি গৃহীত হয়েছে।
২০২৩ সালের এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের ৭৮তম অধিবেশন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: গায়ানার পক্ষে আইসিজে রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ: মোমেন
১ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নিন, এসডিজি অর্জন করুন: বক্তারা
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা।
তারা বর্ধিত অর্থায়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিলের প্রতিশ্রুতি প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এসডিজি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের আগে শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সামিট-২০২৩’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এই আহ্বান জানান।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা জে মোহাম্মদ।
ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এসডিজির প্যারিস চুক্তি এবং বর্ধিত অর্থায়ন, প্রযুক্তি বিনিময় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ন্যায্য রূপান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক সংহতির জন্য ‘বৈশ্বিক পুনঃপ্রতিশ্রুতি’ করার জন্য একটি জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্ত্রী মোমেন বলেন, লবণাক্ততা অনুপ্রবেশ ও জলাবদ্ধতার কারণে প্রতি বছর ৬ দশমিক ৬ লাখ বাংলাদেশি বাস্তুচ্যুত ও চাকরি হারাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তারা এই ধরনের বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছে ধনী দেশগুলোর ত্রুটির কারণে যেগুলো বিপুল গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গত করে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা সৃষ্টি করে’।
কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবদান মাত্র ০.৪৭ শতাংশ, যা বিশ্বে সর্বনিম্ন।
তাই অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মতো বাংলাদেশও চায় ধনী দেশগুলোর বোঝা ভাগাভাগি করুক।
এসডিজির ১৭ লক্ষ্য অনুযায়ী, উন্নত দেশগুলো এসডিজি অর্জনের জন্য অর্থ ও প্রযুক্তি দেবে।
উন্নত দেশগুলো তাদের জিডিপির ০.৭ শতাংশ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু মাত্র ছয়টি দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।
মোমেন বলেন, অর্থ ও প্রযুক্তি ছাড়া এসডিজি আদৌ অর্জন করা সম্ভব নয়।
আমিনা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত এবং শরণার্থী সংকট এসডিজিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খাদ্য ব্যবস্থার উন্নতি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভালো উদাহরণ তৈরি করেছে, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার অভাব বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়ে গেছে।
তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সবুজ প্রযুক্তিতে মানসম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্যের রূপান্তরে প্রচুর বিনিয়োগের ওপর জোর দেন।
১ বছর আগে
এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার বেলজিয়ামের রানী ম্যাথিল্ড মেরি ক্রিস্টিন তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাতিসংঘের এসডিজি’র ২০২১-২০২৩ সালের পরিকল্পনায় সংযুক্ত ম্যাথিল্ডকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সালের পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০৩০ এর বৈশ্বিক পরিকল্পনা ও এসডিজি’র লক্ষ্যগুলো দেশের বর্তমান ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, নারীর ক্ষমতায়ন, মেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত’
যুদ্ধ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সারা বিশ্বে অস্থিতিশীলতা এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সৃষ্টি করেছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে। এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।’
সফররত বেলজিয়ামের রানী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে অর্জিত বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিশেষ করে শিক্ষায় নারী ও শিশুদের উন্নয়নের প্রশংসা করেন তিনি।
ম্যাথিল্ড বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখে তিনি খুবই খুশি।
রাজনীতি, প্রতিরক্ষা ও বিচার বিভাগ নারী শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নারীর কর্মসংস্থান এবং ক্ষতিগ্রস্ত নারী- বয়স্ক নারী, বিধবা এবং বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়া নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনার বিষয়ে তার সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে রানীকে অবহিত করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নারী ও শিশুরা মূলত সারাদেশে ১৮ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। ক্লিনিক থেকে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্য দেয়া হয়।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। সরকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাজার হাজার গর্ভবতী মহিলার জন্য মাঠ হাসপাতাল স্থাপন করেছে যারা প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময় কক্সবাজারে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাষানচর দ্বীপে স্থানান্তর করে তাদের জন্য উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগে হতাহতের সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও টেকসই ঘর নির্মাণ করেছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য সারা দেশে ৮৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
বাংলাদেশকে অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তার সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, সবুজ এলাকা তৈরি, বাঁধ নির্মাণ এবং উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বাড়ি নির্মাণ।
বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র বিষয়ক সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
বেলজিয়ামের রানী জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) প্রবক্তা হিসেবে তিন দিনের কার্যনির্বাহী সফরে সোমবার সকালে বাংলাদেশে এসেছেন।
রানী সোমবার ঢাকার ইউনিসেফ স্কুল নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেন এবং মঙ্গলবার কক্সবাজারের কুতুপালং-এ বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন, যেখানে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন রবিবার
বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
এসডিজি অর্জনে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
এফবিসিসিআই বলেছে, প্রচলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় অর্থনৈতিক নীতি ও পরিকল্পনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, এসডিজি ও রূপকল্প ২০৪১ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এফবিসিসিআই এ আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: মার্কিন কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই’র
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘এসডিজি অর্জনে আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার বিকল্প নেই।’
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সামির সাত্তার বলেন, এসডিজি অর্জনে বিদেশি বিনিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও, তিনি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং অপ্রচলিত খাতের উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এফবিসিসিআই’র
এসডিজি অর্জনে সকলের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১ বছর আগে
টেকসই উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান এলজিআরডি মন্ত্রীর
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সম্মিলিতভাবে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন এলজিআরডিমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সরকারের এককভাবে সাফল্য অর্জন করা কঠিন, আমাদের সবাইকে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে৷
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও-এ দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার আয়োজিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৬ নিরাপদ পানি, স্যনিটেশন ও হাইজিন, প্রত্যাশা ও করণীয় শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন৷
মন্ত্রী বলেন, এসডিজি অভীষ্ট-৬ অর্জনের জন্য সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন অংশীদার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেকে এগিয়ে আসতে হবে৷
আরও পড়ুন: বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু কখনও আপোষ করেননি: তাজুল ইসলাম
এছাড়া সরকারের এককভাবে সাফল্য অর্জন করা কঠিন, সামষ্টিকভাবে আমাদের নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে৷
তিনি বলেন, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে সরকারের প্রচেষ্টা রয়েছে৷ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন জাতীয় বাজেট স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে৷
এছাড়া আমাদের বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে তিনি জানান৷
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয়, পার্বত্য এবং খরাপ্রবণ এলাকার জন্য আমাদের ভিন্ন ভিন্নভাবে সমাধান করতে হবে৷
শহরের দরিদ্র ও ধনী শ্রেণির জন্য আলাদা পানির দর নির্ধারণ করা যেতে পারে বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন৷
গুলশান-বনানী অভিজাত এলাকায় পানির দর বেশি এবং বস্তি এলাকায় পানির দর কম করার ব্যবস্থা করতে হবে৷
মন্ত্রী আরও বলেন, সেমিনার বা সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে জ্ঞান চর্চা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু একই সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন, এগুলোর মাধ্যমে সঠিক তথ্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যায়৷
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন করেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুমানা আক্তার৷
সেমিনারে বক্তারা এসডিজি অভীষ্ট-৬ অর্জনে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রাম ও শহরের মধ্যে বিনিয়োগের ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন৷
সেমিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন আমাদের সময় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর পরিচালক রিসার্স ফেলো মাহফুজ কবির৷
এছাড়াও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান৷
আরও পড়ুন: আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
২ বছর আগে
এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র: সিসন
বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূর্ণ বাস্তবায়নে সহযোগিতা জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন দেশটির আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসন।
তিনি বলেন, এই প্রচেষ্টার জন্য বাংলাদেশে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সঙ্গে কীভাবে সহযোগিতা ও সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ঢাকায় মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসহ পারস্পরিক অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করছেন।
সিসন এশিয়ায় তার তিন দেশের সরকারি সফরের অংশ হিসেবে শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে পৌঁছেন।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আমেরিকা শাখা) নায়েম উদ্দিন আহমেদ।
এ সফরে এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে, অনেক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
তিনি বলেন, আমারা একে অপরের সাথে পরিচিত এবং অনেক বিষয়ে ‘মুক্ত ও খোলামেলা’ আলোচনা হবে।
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যে ভারত সফর করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে তিনি কুয়েত যাবেন।
সিসন ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
তিনি শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে মার্কিন রাষ্ট্রদূত (২০১২-২০১৪), লেবাননে মার্কিন রাষ্ট্রদূত (২০০৮-২০১০) ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত (২০০৪-২০০৮) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পড়ুন: মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিসন শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছেন
২ বছর আগে