বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল
কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ গড়তে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
শুধু স্বপ্ন দেখে নয়, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে হবে বলে তরুণদের পরামর্শ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে ‘আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড ২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ইতিহাস কিংবা অতীতের সাথে লড়াই করা সম্ভব না। কিন্তু চাইলে নিজেই নিজের ভবিষ্যত তৈরি করা যায়। আর এই বিষয়টি তরুণদের হাতেই আছে। শুধু স্বপ্ন দেখেই নয়, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি চিন্তা, গবেষণা, বাইরে যাওয়া, অ্যাডভেঞ্চার, ঝুঁকি গ্রহণ, স্টার্টআপ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও নিজেকে নিযুক্ত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের একটি আন্তর্জাতিক কনটেস্ট বাংলাদেশে আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত ও সত্যিই আনন্দিত। বাংলাদেশ পর্বে ‘ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২১’ এর বিজয়ী ১২টি দল এই আয়োজনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ নিচ্ছে যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।’ আগামী বছর এ আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে আরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অংশ নেবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড ২০২১’ এর চেয়ারম্যান এবং টেকনোহেভেন কোম্পানি লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হাবিবুল্লাহ এন করিম।
এছাড়া এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, হংকং ব্লকচেইন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ড. লরেন্স মা, গ্লোবাল ব্লকচেইন বিজনেস কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক মিস. সান্দ্রা রো, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বড় চ্যালেঞ্জ দুর্নীতি: পরিকল্পনামন্ত্রী
সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াবে সরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী
৩ বছর আগে
বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশনের দ্বিতীয় পর্বে ১২৭ শিক্ষার্থী
হুয়াওয়ে ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল আয়োজিত ‘বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন’ এর দ্বিতীয় পর্বে শীর্ষ ১২৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিবে। দ্বিতীয় পর্ব এ সপ্তাহে শুরু হবে।
এ বছর জানুয়ারিতে এ প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব শুরু হয়, যেখানে দেশের প্রায় ত্রিশটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চতুর্থ বর্ষের প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ ছয় মাসে শিক্ষার্থীরা আইসিটি খাতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের একটি নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টালে বিভিন্ন অনলাইন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত হওয়ার জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ঢাকা নর্থ জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
প্রথম পর্বে প্রশিক্ষণের সময়, ধারাবাহিকতা ও পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ১২৭ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ পর্বে শিক্ষার্থীরা এইচসিআইএ (হুয়াওয়ে সার্টিফায়েড আইসিটি অ্যাসোসিয়েট) থেকে ১৫ দিনের অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণ করবেন এবং পরবর্তীতে প্রতিযোগিতার তৃতীয় পর্বে উন্নীত হতে তাদের আরেকটি পরীক্ষা দিতে হবে।
হুয়াওয়ের টেকনোলোজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধি ও টেকসই অবস্থা নিশ্চিত হওয়া নির্ভর করে। বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশনের মূল উদ্দেশ্য হল এ দেশের আইসিটি ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল ভিত্তি দৃঢ় করা। হুয়াওয়ে বাংলাদেশে বাংলাদেশের জন্যই কাজ করছে। বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমন কিছু করতে পেরে আমরা গর্বিত।
আরও পড়ুন: ‘উপায়ে’ কর্মীদের বেতন দেবে ফ্যালকন গ্রুপ
এ প্রতিযোগিতার তৃতীয় ও ফাইনাল পর্ব জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় পর্ব থেকে নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীরা দল গঠন করবেন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক দলে থাকবেন তিনজন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক।
হুয়াওয়ে হেডকোয়ার্টার থেকে প্রশিক্ষকরা প্রতিযোগীদের প্রশিক্ষণ দেবেন এবং পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের একটি সিমুলেশন টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। এরপর তিনটি দলকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬ নারী
বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে হুয়াওয়ে ল্যাপটপ অথবা হুয়াওয়ে মোবাইল ও হুয়াওয়ে স্মার্টওয়াচ কিংবা স্মার্ট ব্যান্ড প্রদান করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন দল হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের আঞ্চলিক ফাইনাল ও বৈশ্বিক ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারা চীনের শেনঝেনে হুয়াওয়ের হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনে যাবে। ভবিষ্যতে তাদের হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাথে কাজ করার সুযোগও থাকতে পারে।
প্রতিযোগিতাটি দু’টি ভাগে হচ্ছে – ‘প্র্যাকটিক্যাল কম্পিটিশন’ ও ‘থিওরি কম্পিটিশন’। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং প্রোগ্রাম ডিজাইন করার সক্ষমতা মূল্যায়নে তাত্ত্বিক বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা এবং হাতে-কলমে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ বছর এ প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক সুইচিং ও রাউটিং টেকনিক্যাল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এবং পরবর্তীতে, বিগ ডেটা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ও ক্লাউড বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
৩ বছর আগে
জাতিসংঘের ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার পেল বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল
তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০২০’ অর্জন করেছে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।
৪ বছর আগে
আইসিটি বিভাগের ১৫১৭ শুন্য পদে নিয়োগ শিগগিরই: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের ১৫১৭টি পদে শিগগিরই নিয়োগ দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
৪ বছর আগে