ইতিহাস
রেকর্ডের মালা গেঁথে নতুন ইতিহাস গড়ল অস্ট্রেলিয়া
৩৫১ রান তুলে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গড়া ২১ বছর আগের রেকর্ড ভেঙেছিল ইংল্যান্ড। তবে সেই রেকর্ড এক দিনও ধরে রাখতে পারল না জশ বাটলার অ্যান্ড কোং। দ্বিতীয় ইনিংসেই তা টপকে একাধিক রেকর্ড গড়ে ম্যাচ জিতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বেন ডাকেটের অনবদ্য ১৬৫ রানের ইনিংসে ভর করে আট উইকেটে ৩৫১ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। ২০০৪ সালের আসরে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের গড়া ৩৪৭ রানের রেকর্ডটি ভেঙে এদিন রেকর্ড বইয়ে নিজেদের নাম তোলে ইংলিশরা।
এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন বেন ডাকেট। তবে ইংলিশদের এসব রেকর্ড ম্লান করে পাঁচ উইকেটের এক স্মরণীয় জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
৩৫২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় স্টিভেন স্মিথ অ্যান্ড কোং। ৪৭.৩তম বলটিতে ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ নৈপুণ্যে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অ্যালেক্স ক্যারি।
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যেকোনো ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড (৩৫৬) গড়ল অজিরা। তাছাড়া আইসিসির যেকোনো ওয়ানডে ইভেন্টে এটিই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৭ সালে ওভালে ভারতের বিপক্ষে ৩২১ রান তাড়া করে জয়ই ছিল তাদের সর্বোচ্চ।
আরও আছে; এটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান তাড়ার জয়।
এছাড়া এ জয়টি অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। তাদের সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ৪৩৪ রানের; ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সেই ম্যাচটি খেলে তারা।
আরও পড়ুন: ডাকেটের ব্যক্তিগত কীর্তির দিনে ইংল্যান্ডের রেকর্ড সংগ্রহ
পাকিস্তানের মাটিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটিও এই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেই গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ ৬ উইকেটে করা পাকিস্তানের ৩৬৮ রান তারা পেরিয়ে যায় এক ওভার বাকি থাকতেই। ৭ উইকেটে সেদিন ৩৭২ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ওই ম্যাচে ১৫৬ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন ট্র্যাভিস হেড।
আর টানা দুটি সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড দেখল গাদ্দাফি স্টেডিয়াম। ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন রেকর্ড অত্যন্ত বিরল।
আজকের ম্যাচে ৮৬ বলে আটটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ১২০ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন জশ ইংলিস।
মাত্র ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করে ব্যক্তিগত রেকর্ডেও নাম উঠিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিরেন্দর শেবাগের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম শতকের মালিক এখন তিনি। এছাড়া ওয়ানডে ক্যারিয়ারের এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংস।
এ ছাড়াও আরও রেকর্ড হয়েছে ম্যাচটিতে। এই ম্যাচে দুই দল মিলে মোট ৭০৭ রান সংগ্রহ করেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যা এক ম্যাচে সর্বোচ্চ মোট রানের রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ড গড়ে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ। সেই ম্যাচে মোট ৬৫৯ রান সংগ্রহ করে দুই দল। সেদিন ভারতের চার উইকেটে ৩৩৮ রানের সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ফলে ১৭ রানের হার দেখতে হয় দলটিকে।
ম্যাচটি আজ মোট ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছে দুদলের ব্যাটাররা (ইংল্যান্ড ৭, অস্ট্রেলিয়া ১৬), যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটি ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার ১৬টি ছক্কা এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ইনিংসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই রেকর্ডটি এখনও রয়েছে ভারতের দখলে। ২০১৩ সালের ১১ জুন ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮টি ছক্কা হাঁকান ভারতের ব্যাটাররা।
২৩ দিন আগে
বিরল রেকর্ডের রাতে ৭-০ গোলে জিতে নকআউট পর্বে পিএসজি
৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় পিএসজির জন্য শেষ ষোলো একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিল, তবে দ্বিতীয় লেগে ব্রেস্তকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে তারা।
প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বুধবার রাতে আরেক ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। এতে করে দুই লেগ মিলিয়ে ১০-০ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট নিশ্চিত করেছে লুইস এনরিকের দল।
এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে ফাবিয়ান রুইসের অ্যাসিস্টে পিএসজিকে প্রথম এগিয়ে নেন ব্রাদলে বারকোলা। এরপর ৩৯ মিনিটে পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোল করেন খিচা কেভারাত্সখেলিয়া (কেভারা)।
দুই গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করলেও বিরতি থেকে ফিরে ব্রেস্তকে আরও পাঁচটি গোল দেয় পিএসজি। ম্যাচের ৫৯, ৬৪, ৬৯, ৭৬ ও ৮৬তম মিনিটে গোলগুলো করেন যথাক্রমে ভিতিনিয়া, দেজিরে দুয়ে, নুনো মেন্দেস, গন্সালো রামোস ও সেনি মাইয়ুলু।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত সিটি, শেষ ষোলোয় রিয়াল
অবাক করার মতো ব্যাপার হচ্ছে, নতুন বছর পড়তেই উসমান দেম্বেলে জ্বলে উঠলেও গোল উৎসবের এই ম্যাচে তিনি কোনো গোল করতে পারেননি, এমনকি কোনো অ্যাসিস্টও আসেনি তার পা থেকে।
তবে ৭-০ গোলের এই জয়ের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিরল এক রেকর্ড গড়েছে পিএসজি। সাতটি গোলই দলটির পৃথক সাত খেলোয়াড়ের পা থেকে এসেছে। এর আগে ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে কখনোই কোনো ম্যাচে ৭ জন আলাদা খেলোয়াড় গোল করতে পারেননি।
এর আগে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যেকোনো পর্বে এক ম্যাচে সর্বাধিক ৬ খেলোয়াড় গোল করার সবশেষ ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট। ২০১৯-২০ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচে আলিয়ান্স আরেনায় বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করে বায়ার্ন। ম্যাচটিতে রবের্ট লেভানডোভস্কি, ইভান পেরিসিচ, সের্গে গেনাব্রি, ইয়োশুয়া কিমিখের একটি করে গোলের পাশাপাশি দুটি করে গোল করেন থমাস মুলার ও বার্সা থেকে সে সময় বায়ার্নে ধারে খেলা ফিলিপে কুতিনিয়ো।
আরও পড়ুন: প্লে-অফে ফের অঘটন, এবার ইউভেন্তুসের বিদায়
দিনের প্রথম ম্যাচে স্পোর্তিংয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগে স্পোর্তিংয়ের মাঠে ৩-০ গোলে জয় পাওয়ায় সহজেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে নিকো কোভাকের দল।
অপর ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে সিটির মাঠে ৩-২ গোলে জেতায় ৬-৩ গোলের অগ্রগামিতায় নকআউট পর্বে উঠেছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসসেরা দলটি।
এছাড়া প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও ঘটেছে একটি অঘটন। প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেও পিএসভি আইন্ডহোভেনের কাছে ৩-১ গোলে হেরে প্রথম পর্ব থেকে ছিটকে গেছে ইউভেন্তুস। আর ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্লাবটি।
এর মাধ্যমে নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ১৬টি দল চূড়ান্ত হয়েছে।
২৬ দিন আগে
দেশের ইতিহাসে উত্তম নির্বাচনের বার্তা দেবে ইসি: কমিশনার আনোয়ারুল
চলমান জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে দেশের ইতিহাসের উত্তম নির্বাচনের বার্তা দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেছেন, ‘এবার ডিসি সম্মেলনে আমরা (ইসি) আমন্ত্রণ পেয়েছি। ১৮ ফেব্রুয়ারি ইসির জন্য একটি নির্ধারিত সেশন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হয়, নির্দেশনাও থাকে। আমাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে, তাই আমরা যাব। এছাড়া নির্বাচনের পার্ট অ্যান্ড পার্সেল (অপরিহার্য) হলো জেলা প্রশাসন।’
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে ডিসিরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও রয়েছে। এবার যেহেতু অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, এই নির্বাচন না হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আমরা একটা উত্তম নির্বাচন করতে চাচ্ছি। যেকোনো মূল্যে সেটা করতে হবে। বার্তাটি আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
মাঠ প্রশাসন কমিশনের কথা শোনে না, এমন একটি সমালোচনা রয়েছে; এক্ষেত্রে কী করে তাদের কথা শোনানোর নির্দেশনা দেবেন— এমন প্রশ্নে জবাবে কমিশনার বলেন, ‘এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, এই প্রশাসনকে নিয়েই হয়েছে। যেহেতু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ বা প্রভাব থাকবে না, সেহেতু আমরা আশাবাদী যে সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন হবে। কারণ আমাদের সামনে ভালো উদারহরণও রয়েছে, খারাপ উদাহরণও রয়েছে। কমিশন বিশ্বাস করে খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি হবে না এবং উত্তম নির্বাচন হিসেবে এটি বাংলাদেশের ইতিহাস হবে।’
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এসেছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায়, সেখানে দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিও এসেছে। আপনাদের ভাবনা কী—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের এ বিষয়ে বলার সময় আসেনি। আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। আরও সময় লাগবে আমাদের। এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না, সময়ই আমাদের গাইড করবে।’
ডিসিদের দলীয় মানসিকতার বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনের কাজে সহায়তা করতে সবাই বাধ্য। যখন তফসিল হবে ও ইসি যখন মনে করবে, যেখানে যে নিরপেক্ষ ডিসিকে পদায়ন করা প্রয়োজন, তখন সেই বিষয়ে কমিশন কঠোর থাকবে।’
নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, কমিশন এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে আমরা পাইলটিং করতে পারি।’
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। বর্তমান যে আইন, সেটির কিছু পরিবর্তন না হলে যেমন আছে, তেমনই থাকবে। আর আইন পরিবর্তন হলে মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হবে। আমরা আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিচ্ছি। এটি জটিল প্রক্রিয়া।’
বর্তমান আইনে পুনর্বিন্যাস করার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সংশোধন হলেই হবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থার সুবিধা, উন্নয়ন কর্মের সুবিধা, জনসংখ্যার বিষয়, ভৌগোলিক অবস্থা ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতেই, তারপর মানুষের চাহিদার বিষয়টিও দেখতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের কাছে যথোপযুক্ত মনে হলে সেটিই হবে। কোনো সময়সীমা নির্ধারণ না করা হলেও যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি করা হবে।’
২৯ দিন আগে
‘ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বলতম সরকার হলো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বলতম সরকার আখ্যা দিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জিয়া শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রিপন বলেন, ‘একটি দুর্বল সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। এগুলো ঠিক করার জন্য একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের সব সংকটের কারণ হলো নির্বাচন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার সংস্কারের কথা বলে। কিন্তু সরকার ইতোমধ্যে সংস্কারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ মিস করেছে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করার ক্ষেত্রে সংস্কারের যে উদ্যোগ সেখানে তারা ভুল করেছে। নির্বাচনের কোনও তারিখ দেননি, কিন্তু নির্বাচন কমিশন গঠন করে বসলেন। অথচ নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত কোনও সংস্কারের প্রতিবেদনই আসেনি। দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে আলোচনা হওয়ার প্রথম রিপোর্ট পেশ করার আগেই সরকার দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করে বসলেন।’
‘বিচার বিভাগে ২৩ জন বিচারপতি নিয়োগ করে বসলেন। শেখ হাসিনা যে পদ্ধতিতে বিচারক নিয়োগ দিয়েছেন, ঠিক সেভাবেই এই সরকার বিচারক নিয়োগ দেন। আমরা চেয়েছিলাম সংস্কারের মধ্যে দিয়ে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া তৈরি হবে, কিন্তু সরকার সেটি করেনি।’
আরও পড়ুন: গণহত্যায় জড়িতদের কখনোই বিএনপিতে জায়গা হবে না: ফখরুল
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, সংস্কারের কথা বলে সংস্কারের প্রক্রিয়া পাশ কাটিয়ে তারা হাসিনার পথ অনুসরণ করে বিচারক নিয়োগ করছেন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে লোক নিয়োগ করেছেন। এগুলো সবই হচ্ছে হাসিনার পরিত্যক্ত মডেল। এ সরকার কতটুকু সংস্কার করতে চায় সেটি আমরা জানি না। কিন্তু সংস্কারের নামে বছরের পর বছর তারা যদি ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে চায়, এটি বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সংকট এখনও শেষ হয়নি। ভীষণ একটি সংকটের মধ্যে আমরা আছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান বারবার বলেছেন, আগামী নির্বাচন কঠিন হবে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মানুষের কাছে যেতে হবে এবং আস্থা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্টের আগের রাজনীতি আর ৫ আগস্টের পরের রাজনীতি এক নয়।’
‘রাজনীতি যদি করতে হয় তাহলে জনগণ কী ভাবে সেটি মাথায় রাখতে হবে। এটি মাথায় না রাখলে রাজনীতি ভুল হয়ে যাবে। আমাদের একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। আর সেটি হলো, আন্দোলনকে কোনোভাবেই বিভক্ত করা যাবে না; আন্দোলনের স্পিরিটকে কোনোভাবে বিভক্ত করা যাবে না। আন্দোলনকে বিভক্ত করলে পতিত স্বৈরাচার লাভবান হবে। সুতরাং স্বৈরাচারকে লাভবান হতে দেওয়া যাবে না।’
বিএনপির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন চুন্নুর ২৯তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
জাহিদ হোসেন চুন্নুর স্মৃতিচারণ করে ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জাহিদ হোসেন চুন্নু ৮০’র দশকে ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত না থেকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাসাসের সঙ্গে যুক্ত থেকে পুরো আন্দোলনেই আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি খুবই সক্রিয় ও নির্ভরযোগ্য ছিলেন। তার মধ্যে অমৃত সম্ভাবনা ছিল। তার অস্বাভাবিক মৃত্যু আমাদের পার্টিকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’
জিয়া শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
৮২ দিন আগে
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের পেসাররা
দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টেস্ট ম্যাচের এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা।
চলমান রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এই ইনিংস জয় পেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে পারবে টাইগাররা। চতুর্থ দিন বিকালে বাজে আলোয় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪২ রান করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: জোড়া সেঞ্চুরিতে কুককে ছাড়িয়ে একাধিক রেকর্ডে রুট
এর আগে স্বাগতিকরা ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। আর বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ খেলেন তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। গড়েন ডাবল রেকর্ড- নিজের প্রথম পাঁচ উইকেট এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশি কোনো পেসারের প্রথম পাঁচ উইকেট।
অন্যদিকে তরুণ পেসার নাহিদ রানাও খেললেন তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। চার উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। তাতে মনে হচ্ছিল এবারের ইনিংসেও স্পিনারদের দাপট দেখা যাবে কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে এসে স্পিনারদের হারিয়ে দিলেন পেসাররা। পাকিস্তানকে অলআউট করলেন পেসাররাই।
এখন পর্যন্ত, বাংলাদেশের পেসারদের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল টেস্ট ইনিংসে নয় উইকেট নেওয়া। চারবার এই সাফল্য পেয়েছিলেন তারা- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনবার এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একবার।
এবার সেসব রেকর্ড ভেঙে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পেসাররা নিয়ে নিলেন ১০ উইকেট। যা বাংলাদেশকে টেস্ট সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। দেখা যাক সিরিজের প্রথম টেস্টের মতো এবারও ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় কি না টাইগাররা। সেটি হয়ে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নামের পাশে যুক্ত হতে পারে আরও কয়েকটি রেকর্ড।
আরও পড়ুন: হাসানের জোড়া শিকারে দিনের শেষটাও রাঙাল বাংলাদেশ
অবশেষে ভাঙল লিটনের প্রতিরোধ, ২৬২ রানে থামল বাংলাদেশ
১৯৬ দিন আগে
বাংলাদেশে গুমের দীর্ঘ-বেদনাদায়ক ইতিহাস রয়েছে: জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা
জাতিসংঘ বলেছে, বাংলাদেশে গুমের দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক ইতিহাস রয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর ও জাতিসংঘের মানবাধিকার মেকানিজম এই বিষয়টিকে জোরালোভাবে বিশ্বাস করে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘আমরা কমিশনকে তার কাজে সমর্থন করতে প্রস্তুত রয়েছি। কমিশন ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরামর্শ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হওয়া উচিত। যার মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানের নীতিগত নির্দেশিকা থাকবে।’
জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জবাবদিহিতা ও সমঝোতা এবং বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে সমর্থন করতে চায়।
মানবাধিকারের হাইকমিশনার জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনে বাংলাদেশের যোগদানের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের হদিস করতে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনের শাসন-ন্যায়বিচার অনুসরণ করবে, আশা জাতিসংঘের
এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পান।
মুখপাত্র বলেন, বিক্ষোভের সময় সংঘটিত সহিংসতা ও নিপীড়নের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি, মূল কারণগুলো বিশ্লেষণ, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা এগিয়ে নিতে এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সুপারিশের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম মোতায়েন করবে মানবাধিকার সংস্থা।
দলটি এই কাজে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
সাম্প্রতিক বিক্ষোভে আটক ও আহত হওয়া ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে গত সপ্তাহে (২২ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত) একটি দল বাংলাদেশে এসেছে।
দলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
আরও পড়ুন: গুরুতর নির্যাতনের বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্তে বাংলাদেশের সহযোগিতা চায় এইচআরডব্লিউ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে দলটি বৈঠকগুলোতে আলোচনা করেছে।
শামদাসানি বলেন, বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে- যার মধ্যে নাগরিক সুযোগ, সত্যের প্রয়োজনীয়তা, ন্যায়বিচার, মুক্তি, ক্ষতিপূরণ ও সমঝোতা এবং সংস্কার প্রক্রিয়ার অন্যান্য মানবাধিকারের পন্থাসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের সংস্থা টেকসই সহায়তা সরবরাহ করতে পারে।
আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন
১৯৯ দিন আগে
ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জনে ডিএসসিসি ইতিহাস রচনা করেছে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ে মার্কেট নির্মাণ শেষ করে তা ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিসহ অন্যান্যদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জনেও ডিএসসিসি ইতিহাস রচনা করেছে।’
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে আজিমপুরে ‘আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের শুভ উদ্বোধন এবং দোকানের চূড়ান্ত বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র
তাপস বলেন, ‘এই মার্কেটটি তুলা মার্কেট নামে পরিচিত ছিল। এখানে মাত্র ১৫ জন দোকানি জরাজীর্ণ অবস্থায় কোনোরকমে তাদের দোকানের কার্যক্রম চালাতেন। করোনার মাঝেই ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এই মার্কেট নির্মাণে আমরা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। তখন অনেকেই শঙ্কিত ছিল। কারণ, ঢাকা সিটি করপোরেশনের অতীতের ইতিহাসে দেখা যায় যে, ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিগ্রস্তই থেকে গেছেন। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। এক মেয়র গিয়ে আরেক মেয়র আসে। ১৩, ১৫ ও ১৮ বছর হয়ে গেলেও মার্কেট নির্মাণ শেষ হতো না। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা শঙ্কায় ছিলেন যে, তারা আর ব্যবসায় ফিরে আসতে পারবেন কি না?’
‘আমরা কথা দিয়েছিলাম, নির্ধারিত সময়ের মাঝেই নির্মাণ সম্পন্ন করব এবং আবারও এখানে ব্যবসা পরিচালনার সুব্যবস্থা করে দেব। ঢাকা দক্ষিণ সিটি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছে। অত্যন্ত সুন্দর ও নান্দনিক এই নগর মার্কেট শুধু ক্ষতিগ্রস্তরাই নয়, আমরা ১১৭ জনের রুটিরুজির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছি।’
স্বাক্ষর জাল করে বিনা অনুমতিতে ওয়াসার সড়ক খননের ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে এসময় মেয়র বলেন, ‘গতকাল আমরা লক্ষ করলাম, ওয়াসা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে বিনা অনুমতিতে সড়ক খনন করা হয়েছে। একটি সংস্থা কীভাবে আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলীর সই জাল করে ভুয়া কাগজ সৃষ্টির মাধ্যমে এ ধরনের কাজ করে? এটি খুবই ন্যাক্কারজনক, দুঃখজনক! এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত কাজে যদি কোনো সংস্থা লিপ্ত হয়, তাহলে সমন্বয়ের কোনো সুযোগ থাকে না। এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে যাত্রাবাড়ী সড়ক খননের জন্য ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ আমাদের চিঠি লিখে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং লালবাগের ঘটনায়ও ওয়াসা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে (প্রতিষ্ঠানকে) কালো তালিকাভুক্ত করবে বলে আমি আশা করি। এ ছাড়াও, এ বিষয়টি আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবগত করব। আশা করব, মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে ১৫ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ বরাদ্দপ্রাপ্ত অন্যান্যদের মাঝে বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আদায়ে ফের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি: ডিএসসিসি মেয়র
২৪ ঘণ্টার আগেই পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হব: ডিএসসিসি মেয়র
২৫১ দিন আগে
বাংলাদেশের মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস দূর হয়ে গেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে; বাংলাদেশের মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস দূর হয়ে গেছে। এটি দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেকের জন্য এটা মনোকষ্টের কারণ হয়েছে।
শুক্রবার(২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ডিআরইউতে রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির, ঢাকার বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশ যাতে স্বাধীন না হয় সেজন্য অনেকেই বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে ছিল, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে তাকিয়ে ছিল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে অনেকেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে তাকিয়ে আছে। অন্যদের ইঙ্গিতে, ইশারায় চলছে। দেশকে ওই জায়গায় নেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:নদী রক্ষায় ডিসিদের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন: নৌ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, চিলমারী নদী বন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে রেল ও সড়কপথের উন্নয়ন করা হচ্ছে।
সংগঠনের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য উন্মে কুলসুম স্মৃতি, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য শামসুল হক দুররানী, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, সদস্য মশিউর রহমান, সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক ও নর্থ বেঙ্গল ফোরামের সভাপতি নজমুল হক সরকার এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়সার ইমন।
আরও পড়ুন: আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে:নৌ প্রতিমন্ত্রী
৫৩৫ দিন আগে
বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আ. লীগের নাম লিখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ৭৪ বছরের পথ চলায় বাঙালি জাতির সকল অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, যার সবচেয়ে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ে, খাদ্যে ঘাটতি থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণতায় উন্নীত হয়েছে, বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই কারণে বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আওয়ামী লীগের নাম লিখতে হবে।
শুক্রবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয়ভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মাঠে মারা গেছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৬৬ সালে ছয়দফা দাবির মধ্য দিয়ে স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন সূচনা করেন।
তিনি বলেন, সেই পথ ধরে ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার মূল লক্ষ্য স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান স্মরণ করিয়ে দেন, মুক্তিযুদ্ধকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরগুলো গঠিত হয়েছিল, সেক্টর কমান্ডারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা যেন সেই হারানো স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্যই, যাদের নেতৃত্বে আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছি।
সে কারণে এই দিনটি বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: আমরা চাই বিএনপি পূর্ণশক্তিতে নির্বাচনে অংশ নিক: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ জাতির পিতা, মহান শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাবে, ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে, দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।
এ দিন সাংবাদিকদের কাছে আওয়ামী লীগের সূচনালগ্ন বর্ণনা করে মন্ত্রী হাছান বলেন, ১৯৪৯ সালের এই দিনে ঢাকার রোজ গার্ডেনে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়েছিল।
তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তীতে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে আরও শাণিত করার লক্ষ্যে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নাম আওয়ামী লীগ হয়।
১৯৫০ সালে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতাপূর্বকালেও আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির জন্য অনেক অর্জন বয়ে এনেছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই মূলত: ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা শহীদ দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন শুরু হয়।
কারণ ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি পাকিস্তানি সরকার মেনে নিলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তা প্রতিষ্ঠা করেনি, সেটি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
আরও পড়ুন: হায়েনার কামড়ে হাত বিচ্ছিন্ন শিশুকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন তথ্যমন্ত্রী
৬৩৩ দিন আগে
৪ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চার লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অসহায়দের মাঝে সমাজসেবার সহায়তার চেক, কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ এবং ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন প্রকেল্পর আওতায় সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু খুব সহজভাবে বলেছিলেন-আমি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই। একজন দু:খী মানুষ কখন হাসে, যখন তার পেটে ভাত, পরনে কাপড় এবং মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকে। যখন তার ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার ব্যবস্থা থাকে, যখন আয় রোজগার এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে।
আরও পড়ুন: ১২ বছরে কারিগরি শিক্ষা ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এরপর যারা সামরিক-আধাসামরিক নানান চেহারায় স্বৈরশাসন এসেছে, জিয়াউর রহমান অবৈধ ক্ষমতা দখল করে তার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য দল গঠন করলেন। ক্যান্টনমেন্ট থেকে যে দল গঠন হয়, সে দলতো আর গণতান্ত্রিক দল হয় না। সে দল সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের জন্য কাজ করে না। তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য কাজ করে, আর তা হয়েছেও ঠিকই।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৯৬ সালে মানুষের ভোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন। তখন থেকে এই যে বিধবা ভাতা, বৃদ্ধ ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তাদের ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, অর্থাৎ দু:খী মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আশ্রয়ণ প্রকল্প করে, গুচ্ছগ্রাম, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘরে করে দেয়া। মাত্র কয়েকদিন আগে ৪০ হাজার মানুষকে ঘর করে দিলেন।
তিনি আরও বলেন, এই পর্যন্ত চার লাখ মানুষকে ঘর দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। যাদের ঘর ছিল না, জায়গা ছিল না। আজকে তাদের ঘর আছে এবং কর্মসংস্থানের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পৃথিবীতে এমন ঘটনা বিরল।
দীপু মনি বলেন, আজকে কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির আমলে সার চাওয়া হয়েছে, তখন ১৮ জন কৃষককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চাইছে, পানি চাইছে, গুলি করে মানুষ হত্যা করতে হবে কেন? শেখ হাসিনা বলেছেন, সারের পেছনে কৃষককে ছুটতে হবে না, সার কৃষকের কাছে পৌঁছে যাবে। শেখ হাসিনা সব কথা রাখেন। তিনি বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ করবেন, তা করেছেন। এখন আপনাদের সকলের হাতে হাতে মোবাইল। আজকে মানুষ না খেয়ে থাকে না, সকলের পরনে কাপড় আছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে ৩০ প্রকারের ওষুধ পাওয়া যায়। এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে তৈরি করছেন।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, হাইমচর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন প্রধানিয়া, হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমকে পাশে চান শিক্ষামন্ত্রী
৭১৭ দিন আগে