ইতিহাস
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের পেসাররা
দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টেস্ট ম্যাচের এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা।
চলমান রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এই ইনিংস জয় পেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে পারবে টাইগাররা। চতুর্থ দিন বিকালে বাজে আলোয় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪২ রান করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: জোড়া সেঞ্চুরিতে কুককে ছাড়িয়ে একাধিক রেকর্ডে রুট
এর আগে স্বাগতিকরা ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। আর বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ খেলেন তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। গড়েন ডাবল রেকর্ড- নিজের প্রথম পাঁচ উইকেট এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশি কোনো পেসারের প্রথম পাঁচ উইকেট।
অন্যদিকে তরুণ পেসার নাহিদ রানাও খেললেন তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। চার উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। তাতে মনে হচ্ছিল এবারের ইনিংসেও স্পিনারদের দাপট দেখা যাবে কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে এসে স্পিনারদের হারিয়ে দিলেন পেসাররা। পাকিস্তানকে অলআউট করলেন পেসাররাই।
এখন পর্যন্ত, বাংলাদেশের পেসারদের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল টেস্ট ইনিংসে নয় উইকেট নেওয়া। চারবার এই সাফল্য পেয়েছিলেন তারা- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনবার এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একবার।
এবার সেসব রেকর্ড ভেঙে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পেসাররা নিয়ে নিলেন ১০ উইকেট। যা বাংলাদেশকে টেস্ট সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। দেখা যাক সিরিজের প্রথম টেস্টের মতো এবারও ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় কি না টাইগাররা। সেটি হয়ে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নামের পাশে যুক্ত হতে পারে আরও কয়েকটি রেকর্ড।
আরও পড়ুন: হাসানের জোড়া শিকারে দিনের শেষটাও রাঙাল বাংলাদেশ
অবশেষে ভাঙল লিটনের প্রতিরোধ, ২৬২ রানে থামল বাংলাদেশ
৩ মাস আগে
বাংলাদেশে গুমের দীর্ঘ-বেদনাদায়ক ইতিহাস রয়েছে: জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা
জাতিসংঘ বলেছে, বাংলাদেশে গুমের দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক ইতিহাস রয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর ও জাতিসংঘের মানবাধিকার মেকানিজম এই বিষয়টিকে জোরালোভাবে বিশ্বাস করে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘আমরা কমিশনকে তার কাজে সমর্থন করতে প্রস্তুত রয়েছি। কমিশন ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরামর্শ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হওয়া উচিত। যার মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানের নীতিগত নির্দেশিকা থাকবে।’
জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জবাবদিহিতা ও সমঝোতা এবং বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে সমর্থন করতে চায়।
মানবাধিকারের হাইকমিশনার জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনে বাংলাদেশের যোগদানের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের হদিস করতে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনের শাসন-ন্যায়বিচার অনুসরণ করবে, আশা জাতিসংঘের
এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পান।
মুখপাত্র বলেন, বিক্ষোভের সময় সংঘটিত সহিংসতা ও নিপীড়নের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি, মূল কারণগুলো বিশ্লেষণ, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা এগিয়ে নিতে এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সুপারিশের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম মোতায়েন করবে মানবাধিকার সংস্থা।
দলটি এই কাজে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
সাম্প্রতিক বিক্ষোভে আটক ও আহত হওয়া ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে গত সপ্তাহে (২২ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত) একটি দল বাংলাদেশে এসেছে।
দলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
আরও পড়ুন: গুরুতর নির্যাতনের বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্তে বাংলাদেশের সহযোগিতা চায় এইচআরডব্লিউ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে দলটি বৈঠকগুলোতে আলোচনা করেছে।
শামদাসানি বলেন, বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে- যার মধ্যে নাগরিক সুযোগ, সত্যের প্রয়োজনীয়তা, ন্যায়বিচার, মুক্তি, ক্ষতিপূরণ ও সমঝোতা এবং সংস্কার প্রক্রিয়ার অন্যান্য মানবাধিকারের পন্থাসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের সংস্থা টেকসই সহায়তা সরবরাহ করতে পারে।
আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন
৩ মাস আগে
ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জনে ডিএসসিসি ইতিহাস রচনা করেছে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ে মার্কেট নির্মাণ শেষ করে তা ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিসহ অন্যান্যদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জনেও ডিএসসিসি ইতিহাস রচনা করেছে।’
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে আজিমপুরে ‘আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের শুভ উদ্বোধন এবং দোকানের চূড়ান্ত বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র
তাপস বলেন, ‘এই মার্কেটটি তুলা মার্কেট নামে পরিচিত ছিল। এখানে মাত্র ১৫ জন দোকানি জরাজীর্ণ অবস্থায় কোনোরকমে তাদের দোকানের কার্যক্রম চালাতেন। করোনার মাঝেই ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এই মার্কেট নির্মাণে আমরা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। তখন অনেকেই শঙ্কিত ছিল। কারণ, ঢাকা সিটি করপোরেশনের অতীতের ইতিহাসে দেখা যায় যে, ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিগ্রস্তই থেকে গেছেন। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। এক মেয়র গিয়ে আরেক মেয়র আসে। ১৩, ১৫ ও ১৮ বছর হয়ে গেলেও মার্কেট নির্মাণ শেষ হতো না। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা শঙ্কায় ছিলেন যে, তারা আর ব্যবসায় ফিরে আসতে পারবেন কি না?’
‘আমরা কথা দিয়েছিলাম, নির্ধারিত সময়ের মাঝেই নির্মাণ সম্পন্ন করব এবং আবারও এখানে ব্যবসা পরিচালনার সুব্যবস্থা করে দেব। ঢাকা দক্ষিণ সিটি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছে। অত্যন্ত সুন্দর ও নান্দনিক এই নগর মার্কেট শুধু ক্ষতিগ্রস্তরাই নয়, আমরা ১১৭ জনের রুটিরুজির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছি।’
স্বাক্ষর জাল করে বিনা অনুমতিতে ওয়াসার সড়ক খননের ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে এসময় মেয়র বলেন, ‘গতকাল আমরা লক্ষ করলাম, ওয়াসা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে বিনা অনুমতিতে সড়ক খনন করা হয়েছে। একটি সংস্থা কীভাবে আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলীর সই জাল করে ভুয়া কাগজ সৃষ্টির মাধ্যমে এ ধরনের কাজ করে? এটি খুবই ন্যাক্কারজনক, দুঃখজনক! এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত কাজে যদি কোনো সংস্থা লিপ্ত হয়, তাহলে সমন্বয়ের কোনো সুযোগ থাকে না। এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে যাত্রাবাড়ী সড়ক খননের জন্য ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ আমাদের চিঠি লিখে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং লালবাগের ঘটনায়ও ওয়াসা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে (প্রতিষ্ঠানকে) কালো তালিকাভুক্ত করবে বলে আমি আশা করি। এ ছাড়াও, এ বিষয়টি আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবগত করব। আশা করব, মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে ১৫ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ বরাদ্দপ্রাপ্ত অন্যান্যদের মাঝে বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আদায়ে ফের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি: ডিএসসিসি মেয়র
২৪ ঘণ্টার আগেই পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হব: ডিএসসিসি মেয়র
৫ মাস আগে
বাংলাদেশের মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস দূর হয়ে গেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে; বাংলাদেশের মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস দূর হয়ে গেছে। এটি দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেকের জন্য এটা মনোকষ্টের কারণ হয়েছে।
শুক্রবার(২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ডিআরইউতে রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির, ঢাকার বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশ যাতে স্বাধীন না হয় সেজন্য অনেকেই বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে ছিল, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে তাকিয়ে ছিল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে অনেকেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে তাকিয়ে আছে। অন্যদের ইঙ্গিতে, ইশারায় চলছে। দেশকে ওই জায়গায় নেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:নদী রক্ষায় ডিসিদের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন: নৌ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, চিলমারী নদী বন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে রেল ও সড়কপথের উন্নয়ন করা হচ্ছে।
সংগঠনের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য উন্মে কুলসুম স্মৃতি, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য শামসুল হক দুররানী, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, সদস্য মশিউর রহমান, সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক ও নর্থ বেঙ্গল ফোরামের সভাপতি নজমুল হক সরকার এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়সার ইমন।
আরও পড়ুন: আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে:নৌ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আ. লীগের নাম লিখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ৭৪ বছরের পথ চলায় বাঙালি জাতির সকল অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, যার সবচেয়ে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ে, খাদ্যে ঘাটতি থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণতায় উন্নীত হয়েছে, বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই কারণে বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আওয়ামী লীগের নাম লিখতে হবে।
শুক্রবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয়ভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মাঠে মারা গেছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৬৬ সালে ছয়দফা দাবির মধ্য দিয়ে স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন সূচনা করেন।
তিনি বলেন, সেই পথ ধরে ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার মূল লক্ষ্য স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান স্মরণ করিয়ে দেন, মুক্তিযুদ্ধকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরগুলো গঠিত হয়েছিল, সেক্টর কমান্ডারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা যেন সেই হারানো স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্যই, যাদের নেতৃত্বে আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছি।
সে কারণে এই দিনটি বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: আমরা চাই বিএনপি পূর্ণশক্তিতে নির্বাচনে অংশ নিক: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ জাতির পিতা, মহান শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাবে, ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে, দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।
এ দিন সাংবাদিকদের কাছে আওয়ামী লীগের সূচনালগ্ন বর্ণনা করে মন্ত্রী হাছান বলেন, ১৯৪৯ সালের এই দিনে ঢাকার রোজ গার্ডেনে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়েছিল।
তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তীতে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে আরও শাণিত করার লক্ষ্যে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নাম আওয়ামী লীগ হয়।
১৯৫০ সালে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতাপূর্বকালেও আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির জন্য অনেক অর্জন বয়ে এনেছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই মূলত: ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা শহীদ দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন শুরু হয়।
কারণ ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি পাকিস্তানি সরকার মেনে নিলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তা প্রতিষ্ঠা করেনি, সেটি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
আরও পড়ুন: হায়েনার কামড়ে হাত বিচ্ছিন্ন শিশুকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
৪ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চার লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অসহায়দের মাঝে সমাজসেবার সহায়তার চেক, কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ এবং ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন প্রকেল্পর আওতায় সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু খুব সহজভাবে বলেছিলেন-আমি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই। একজন দু:খী মানুষ কখন হাসে, যখন তার পেটে ভাত, পরনে কাপড় এবং মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকে। যখন তার ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার ব্যবস্থা থাকে, যখন আয় রোজগার এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে।
আরও পড়ুন: ১২ বছরে কারিগরি শিক্ষা ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এরপর যারা সামরিক-আধাসামরিক নানান চেহারায় স্বৈরশাসন এসেছে, জিয়াউর রহমান অবৈধ ক্ষমতা দখল করে তার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য দল গঠন করলেন। ক্যান্টনমেন্ট থেকে যে দল গঠন হয়, সে দলতো আর গণতান্ত্রিক দল হয় না। সে দল সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের জন্য কাজ করে না। তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য কাজ করে, আর তা হয়েছেও ঠিকই।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৯৬ সালে মানুষের ভোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন। তখন থেকে এই যে বিধবা ভাতা, বৃদ্ধ ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তাদের ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, অর্থাৎ দু:খী মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আশ্রয়ণ প্রকল্প করে, গুচ্ছগ্রাম, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘরে করে দেয়া। মাত্র কয়েকদিন আগে ৪০ হাজার মানুষকে ঘর করে দিলেন।
তিনি আরও বলেন, এই পর্যন্ত চার লাখ মানুষকে ঘর দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। যাদের ঘর ছিল না, জায়গা ছিল না। আজকে তাদের ঘর আছে এবং কর্মসংস্থানের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পৃথিবীতে এমন ঘটনা বিরল।
দীপু মনি বলেন, আজকে কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির আমলে সার চাওয়া হয়েছে, তখন ১৮ জন কৃষককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চাইছে, পানি চাইছে, গুলি করে মানুষ হত্যা করতে হবে কেন? শেখ হাসিনা বলেছেন, সারের পেছনে কৃষককে ছুটতে হবে না, সার কৃষকের কাছে পৌঁছে যাবে। শেখ হাসিনা সব কথা রাখেন। তিনি বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ করবেন, তা করেছেন। এখন আপনাদের সকলের হাতে হাতে মোবাইল। আজকে মানুষ না খেয়ে থাকে না, সকলের পরনে কাপড় আছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে ৩০ প্রকারের ওষুধ পাওয়া যায়। এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে তৈরি করছেন।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, হাইমচর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন প্রধানিয়া, হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমকে পাশে চান শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
পায়রা বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ ভিড়বে এপ্রিলে
অবশেষে আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পায়রা বন্দরে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ ভিড়বে। এছাড়া মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পায়রা বন্দরের ‘প্রথম টার্মিনাল’ উদ্বোধন করা হবে।
১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের এবং ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ আসবে। এ সপ্তাহের মধ্যে সাতটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পায়রা বন্দরে কন্টেইনার ইর্য়াড নির্মাণের উদ্যোগ
এছাড়া পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ ২৬ মার্চ সম্পন্ন হবে।
তখন পোর্টটি আরও বেশি ভায়েবল হবে। বড় বড় জাহাজ আসবে। ইনার ও আউটারবারে মার্কিং, বয়া বাতি বসানো হয়েছে। ইনারবারে ১৫টি জাহাজ রাখা যাবে।
সেখানে লোডিং আনলোডিং কার্যক্রম চলবে।
পায়রা বন্দরের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের ৪২ হাজার পরিবারকে ২৩টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
এছাড়া ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাটি দিয়ে এক হাজার একর জমি ভরাট করা হয়েছে।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাসমূহের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের এডিপিভূক্ত জিওবি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত সময়ের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েলসহ সংস্থা প্রধানরা সরাসরি ও অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে নেপাল: প্রধানমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পায়রা বন্দর পরিদর্শন
১ বছর আগে
সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন মিশেল ইয়েহ, অস্কারে ইতিহাস গড়লেন
সেরা অভিনেত্রীর জন্য অস্কার একাডেমি পুরস্কার জিতে ইতিহাস রচনা করেছেন মিশেল ইয়েহ।
মালয়েশিয়ায় জন্মগ্রহণকারী এই অভিনেত্রী প্রথম এশীয় নারী হিসেবে বহুমুখী অভিনয়ের জন্য রবিবার সেরা অভিনেত্রীর একাডেমি পুরস্কার জিতেছেন। তিনি বহুমুখী ‘এভরিথিং এভরিহোয়ার অল অ্যাট ওয়ানস’ এ অভিনয়ের জন্য এই পুরস্কার জিতেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে এটি আমার মা এবং বিশ্বের সমস্ত মাকে উৎসর্গ করতে হবে। কারণ, তারা সত্যিই সুপারহিরো এবং তাদের ছাড়া আজ রাতে আমরা কেউ এখানে থাকব না।’ ‘আজ রাতে আমাকে যেসব ছোট ছেলে এবং মেয়েরা দেখছেন তাদের জন্য এটি একটি আশা এবং সম্ভাবনার বাতিঘর। এটা তারেই প্রমাণ যে বড় স্বপ্ন দেখে, তার স্বপ্ন সত্যি হয়। নারীরা, আপনারা কখনও কাউকে বলতে দিবেন না যে আপনার অতীতই সুন্দর ছিল।’
শ্বেতাঙ্গ অভিনেতা লুইস রেইনার ‘দ্য গুড আর্থ’-এ একজন চীনা গ্রামবাসীর চরিত্রে ‘ইয়েলোফেস’ -এ অভিনয়ের জন্য একই বিভাগে জয়ী হওয়ার প্রায় ৯০ বছর পর ইয়েহের বিজয় আসে৷
মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে ইয়েহ এই বিভাগে প্রথম এশিয়ান৷ এর আগে ১৯৩৫ সালে মেরলে ওবেরন ‘দ্য ডার্ক অ্যাঞ্জেল’ এর জন্য মনোনীত হয়েছিলেন, কিন্তু পুরস্কার জিততে পারেননি। জন্মের তথ্যানুসারে তার দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্য গোপন রেখেছিলেন।
ইয়েহ অতীতের অস্কার বিজয়ী কেট ব্ল্যানচেট (‘টার’), সেইসঙ্গে মিশেল উইলিয়ামস (‘দ্য ফ্যাবেলম্যানস’), আনা ডি আরমাস (‘স্বর্ণকেশী’) এবং আন্দ্রেয়া রাইজবরো (‘লেসলির কাছে’) পরাজিত করেছেন৷
আরও পড়ুন: অস্কার ২০২৩: কোথায় ও কখন দেখবেন এবারের আয়োজন
এই বিভাগে যারা মনোনীত হয়নি তাদের জন্যও নোটিশ দিয়েছে: ভায়োলা ডেভিস (‘দ্য ওম্যান কিং’) এবং ড্যানিয়েল ডেডউইলার (‘টিল’) এর মতো কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের শক্তিশালী পারফরম্যান্সের এক বছরে তাদের বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে কেউ কেউ রাইজবোরোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এ-লিস্টারদের তৃণমূল প্রচারণার সমালোচনা করেছেন।
গোল্ডেন গ্লোব এবং স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ডসহ সর্বত্র আপাতদৃষ্টিতে প্রতিটি পুরস্কার জেতার পর ইয়েহ একটি তালাবদ্ধ হয়েছিলেন, ইভলিনের তার সূক্ষ্ম চিত্রায়নের জন্য, একজন অভিবাসী চীনা স্ত্রী, মা এবং লন্ড্রোম্যাট অপারেটর কর অডিটের জন্য প্রস্তুত।
ছবির জেমি লি কার্টিস এবং কে হুয়ে কোয়ান সেরা সহ অভিনেতা অস্কার জিতেছেন। ড্যানিয়েল কোয়ান এবং ড্যানিয়েল শেইনার্ট ‘এভরিথিং এভরিহোয়ার অল অ্যাট ওয়ানস’-এর জন্য সেরা পরিচালক এবং মূল চিত্রনাট্য জিতেছেন এবং এটি দেশেও সেরা ছবির স্থান পেয়েছে।
ইয়েহ কুংফু সিনেমা জগতে তার সূচনা করেছিলেন। কিন্তু ১৯৯২ সালে ‘সুপারকপ’-এ জ্যাকি চ্যানের সহ-অভিনেতা হিসাবে তারকা হয়ে ওঠেন৷ আমেরিকান শ্রোতারা পরের দশকে ‘টুমরো নেভার ডাইস’ এবং অ্যাং লি'স-এর মতো হিটগুলোর মাধ্যমে তাকে আরও ভালোভাবে জানতে পেরেছিল৷ ‘ক্রুচিং টাইগার লুকানো ড্রাগন।’
যখন তিনি প্রথম ‘এভরিথিং এভরিহোয়ার’ এর স্ক্রিপ্টটি পড়েছিলেন, তখন ইয়েহ ভেবেছিলেন এটি ‘স্টেরয়েডের ওপর একটি স্বাধীন চলচ্চিত্র’। তিনি পরিণামে অভিবাসী মা এবং দাদীর যারা অলক্ষিত যান তাদের কণ্ঠস্বর দেয়ার সুযোগ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। মাল্টিভার্স মুভিটিও ছিল বিভিন্ন ধারার একটি প্রদর্শনী— নাটক, কমেডি, সাই-ফাই এবং কল্পনা।
৬০ বছর বয়সে, ইয়েহ ‘ক্রেজি রিচ এশিয়ানস’-এ নিয়ন্ত্রক মাতৃতান্ত্রিক হিসাবে তার স্ট্যান্ডআউট হওয়ার পর থেকে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেখান থেকে, তিনি একটি
‘স্টার ট্রেক’ স্পিনঅফ থেকে মার্ভেলের ‘শাং-চি অ্যান্ড দ্য লিজেন্ড অব দ্য টেন রিংস’ পর্যন্ত সবকিছুই করেছেন।
ইয়েহকে এই বছরের শেষের দিকে ডিজনি+ সিরিজ ‘আমেরিকান বর্ন চাইনিজ’-এ দেখা যাবে৷ তিনি ‘ক্রেজি রিচ এশিয়ানস’ পরিচালক জন এম চু-এর সঙ্গে মিউজিক্যাল ‘উইকড’-এর স্ক্রিন অ্যাডাপ্টেশনের জন্য পুনরায় একত্রিত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷
আরও পড়ুন: অস্কারের মনোনয়ন ঘোষণা মঙ্গলবার
১ বছর আগে
পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি ও ভুল: এনসিটিবি চেয়ারম্যানকে ফের তলব
মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের (৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত) পাঠ্যপুস্তকে ভুল ও ইতিহাস বিকৃতি থাকায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনটিসিবি) চেয়ারম্যান ও এক সদস্য (কারিকুলাম)কে আগামী ২৯ নভেম্বর স্বশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আলী মুস্তফা খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান।
পরে অ্যাডভোকেট আলী মুস্তফা খান বলেন, গত বছর তারা হাজির হয়ে আদালতকে জানান, ২০২২ সালের শিক্ষাবর্ষের বইতে আর এমন ভুল থাকবে না। সংশোধন করে দেবেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, একই ভুল এখনও রয়েছে। এ কারণে ফের তাদেরকে তলব করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার তাদেরকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ২৮ নভেম্বর
জানা যায়, গত বছর পাঠ্যবইতে ভুল ও বিকৃতি তুলে ধরে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবা মো. আলমগীর আলম। রিট আবেদনে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন পাঠ্যবইয়ে অন্তত পাঁচশ ভুল ও ইতিহাস বিকৃতি তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, ভুলে ভরা মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই। একই সঙ্গে করা হয়েছে ইতিহাস বিকৃতিও। এছাড়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক-এমন অনেক বিষয় পাঠ্য বইগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের পাঁচ শতাধিক ভুল ও বিকৃতির তথ্য সামনে এসেছে। মাধ্যমিক স্তরের নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা’ বইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘মুজিব নগর সরকারের রাষ্ট্রপতি’ বলা হয়েছে। অথচ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হয়েছে ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি’। আবার জাতীয় সংগীতও লেখা হয়েছে ভুল। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে বঙ্গভবনকে লেখা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ভবন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল পাঁচ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ সংবিধানের কোথাও আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যকালের কথা উল্লেখ নেই।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর পাঠ্যপুস্তকে থাকা এসব ভুল ও ইতিহাস বিকৃতির ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান এবং বোর্ডের একজন সদস্য (কারিকুলাম)কে তলব করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে নিয়ে বিকৃতি ও ভুলে ভরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবইয়ের দায়সারা ও দায়িত্বহীন প্রকাশনা কেন অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে এবং ওইসব ভুল ও বিকৃতি সংশোধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। শিক্ষা সচিব, ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্য (কারিকুলাম), সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ১৮ মিলিয়নের শিক্ষা উদ্যোগ চালু করল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র
চবির মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে ফটকে তালা লাগিয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
২ বছর আগে
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের জন্য বিচারপতি খায়রুলকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের জন্য 'অনৈতিকভাবে' (রাজনীতির) মাঠ তৈরি করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার জন্য ইতিহাস কখনই সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে ক্ষমা করবে না।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সচেতন নাগরিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং তাদের অস্তিত্ব সাধারণ নির্বাচন পরিচালনায় একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘সংসদ আইন পাস করেছে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে), কিন্তু বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক এর জন্য ভিত্তি তৈরি করেছেন। এর জন্য ইতিহাস তাকে কখনো ক্ষমা করবে না। তিনি প্রথমে একটি সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলেন এবং পরে অবসর গ্রহণের ১৬ মাস পর বেসামরিক হিসেবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণটি পরিবর্তন করে অনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ রায় দিয়েছিলেন।’
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি নিয়ে আসে এবং ১৭৩ দিন হরতাল (সাধারণ ধর্মঘট) জারি করে। সে সময় তাদের দাবি ছিল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
পরে ফখরুল বলেন, দেশ স্বাধীনের পর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ বিকাশ না হওয়ায় বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিবেচনায় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বিএনপি সরকার সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত জনগণের ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় থাকার এবং বিরাজনীতিকরণের চক্রান্তের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ এটি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) বাতিল করে দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে: চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল
দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ যুবক উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সুস্থ রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তরুণদের সংগঠিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যারা বলপ্রয়োগ ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় থেকেছে অতীতের সব ঔপনিবেশিক ও পাকিস্তানি নিয়ম এবং এইচ এম এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনকে ছাড়িয়ে গেছে আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন। ‘আওয়ামী লীগ সরকার তার দুঃশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ করা উচিত:
‘বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প সরকারের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে’- সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, অপরিকল্পিত এই প্রকল্পের কারণে যাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখছি বিআরটি প্রকল্পের রাস্তার মাঝখানে দোকান এবং টিকিট কাউন্টার তৈরি করা হচ্ছে… আমি বুঝতে পারছি না তারা ঠিক কী নির্মাণ করছে। ওবায়দুল কাদের আজ (রবিবার) বলেছেন যে এটি (বিআরটি) গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা একটা নির্লজ্জ মন্তব্য। তারা নিজেরাই এই প্রকল্প নিয়েছে, তাই এই মন্তব্য করার আগে তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার গাজীপুর থেকে বিআরটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকা নগরবাসীকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের সদস্যরা সরকারের অপকর্ম ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন না। ‘এই সরকার কী ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে আমরা এখন তাদের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করতে ও স্বাধীনভাবে লিখতে ভয় পাচ্ছি। সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি আমরা কখনো কল্পনাও করিনি।’
বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণ থেকে মুক্ত করে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য তরুণ আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
২ বছর আগে