আইসিইউ বেড
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে কোনভাবেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘মহাখালীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মার্কেট হাসপাতালে নতুন ২০০টি আইসিইউ বেড করা হচ্ছে যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বিরল। এর পাশাপাশি এখানে আরও ১ হাজার নতুন আইসোলেশন বেডও হচ্ছে। তবে বেড সংখ্যা যতই বৃদ্ধি করা হোক মানুষ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলে তাহলে কোনকিছুতেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না।’
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড
মঙ্গলবার মহাখালীতে ডিএনসিসি আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনে তিনি এসব এই কথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকালে ডিএনসিসি মার্কেট হাসপাতালের করোনা আইসিইউ বেড ও আইসোলেশন বেডের প্রস্তুতকরণ ও কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি মার্কেট হাসপাতালটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উদ্বোধন করা সম্ভব হতে পারে বলে এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আরও ৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। এর আগেপ্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১৮টি জনগুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখন করোনা প্রতিরোধে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলছে। অথচ দেশের কোথাও কোথাও লকডাউন তুলে নিতে আন্দোলন করা হচ্ছে।
‘এই মুহূর্তে সরকারের লকডাউন জরুরি ছিল তাই সরকার দিয়েছে। যখন লকডাউন তুলে নেয়ার প্রয়োজন হবে সরকার সঠিক সময়েই সেই সিদ্ধান্ত নিবে। এখন এসব সরকারি নির্দেশনা মেনে না চললে আগামীতে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই নিয়ন্ত্রণহীন হতে পারে।'
আরও পড়ুন: হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নতুন সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম, হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এটিওএম নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি: আইসিইউ বেড ও বিশেষজ্ঞের সঙ্কট
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলো করোনার রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। গুরুতর রোগী, যাদের নিবিড় পরিচর্যা প্রয়োজন তাদের আইসিইউ বেড পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- রাজধানীর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ১০৮টি। তার মধ্যে খালি আছে মাত্র চারটি।
অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেড রয়েছে ১৮৮টি। তারমধ্যে রোগী ভর্তি আছে ১৪৪টিতে। সেখানে আইসিইউ বেড ফাঁকা আছে ৪৪টি ।
স্বল্প আয়ের লোকেরা সরকারি হাসপাতালকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কেননা সেখানে বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় চিকিৎসার খরচ অনেক কম।
অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আইসিইউ বেডের তীব্র ঘাটতির অর্থ হলো গুরুতর রোগীদের মধ্যে খুবই সামান্য একটি অংশই কেবল আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৫৩৫৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৫৮ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা দেশে করোনা শনাক্তের পর একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৫৩৫৮ জনের করোনা শনাক্ত, আরও ৫২ মৃত্যু
৩ বছর আগে
দেশে আইসিইউ বেডের সংখ্যা ও বণ্টন কিভাবে হয় জানতে চায় হাইকোর্ট
সারা দেশের হাসপাতালে কতগুলোতে কতগুলো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ বেড) আছে, তা–বণ্টন কিভাবে হয় তা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পরামর্শ ও তদারকিতে কেন্দ্রীয়ভাবে কী ব্যবস্থা আছে, তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে