ঢাবি
জুনের আগে ডাকসু নির্বাচনের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
চলতি বছরের জুন মাসের আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির একদল শিক্ষার্থী।
রবিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সায়মা হক বিদিশার কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
স্মারকলিপি জমা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ডাকসু নির্বাচন পেছাতে একটি বিশেষ গোষ্ঠী উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জুনের আগে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন না করলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
জুলাই অভ্যুত্থানের ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও ডাকসু নির্বাচনের কোনো রূপরেখা দেয়া হয়নি বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বারবার তাগাদা দেয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করছে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, উপ-উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দ্রুত নির্বাচন দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের আয়োজন করার আহ্বান জানান তারা।
এর আগে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বারবার স্মারকলিপি দেয়ার পরেও নির্বাচনের কোনো সন্তোষজনক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাবি প্রশাসনের কাছে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করেছেন তারা। কালক্ষেপণ করা হলে বড় আন্দোলনের ডাক দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্ছ্বাস
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিবেচনা করছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব।’
তবে দ্রুত নির্বাচন দিতে গিয়ে কোনো ভুল হোক সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপ-উপাচার্য বলেন, সব কাজ গুছিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন নির্বাচন দিতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। বিভিন্ন কমিটির মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি দ্রুত আগাচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
১১ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই এ বক্তব্য প্রত্যাখানের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মল চত্বর, ভিসি চত্ত্বর হয়ে টিএসসিতে এসে শেষ হয়।
পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।
মিছিলে অংশ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদত দেবে, তারা যেই হোক না কেন ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে।
আরও পড়ুন: গুলশানে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক নিহত
আরেক শিক্ষার্থী তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চাননি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দিবে না ছাত্রসমাজ।
যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে। গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার আগ পযন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এসময়, শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
২৭ দিন আগে
জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগে ঢাবির ১২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
জুলাইয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় হামলার বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সোমবার(১৭ মার্চ) ঢাবি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুন্সী শামসুদ্দিন আহমেদ।
বহিষ্কৃতদের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১২৮ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ নেতা বহিষ্কার
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আরও রয়েছেন প্রক্টর স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ কাজী মাহফুজুল হক স্বপন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হকসহ বেশ কয়েকজন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে জড়িতদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রক্টর আরও উল্লেখ করেন, ৫০০ পৃষ্ঠার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা নিয়ে আলাদা একটি কমিটিও কাজ করছে।
৩১ দিন আগে
বর্ণিল আয়োজনে ঢাবিতে বসন্ত বরণ
অন্যান্য দিনের মতো সকাল হলেও আজকের সকালটি অনন্য। শীতের জড়তা শেষে আজ বসন্তের প্রথম দিন। তার ওপর পয়লা ফাল্গুনে ভালোবাসা দিবস হওয়ায় দিনটি নানাভাবে উদযাপন করছে দেশের মানুষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১’। ফাগুনের প্রথম দিন সকালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চলে এই আয়োজন।
জুলাই অভ্যুত্থান আমার দ্রোহ-ভালোবাসার গানের ব্যানারে ঢাবির কলাভবনে সমগীত আয়োজিত ‘সমগীত বসন্ত উৎসব ১৪৩১’ দিয়ে শুরু হয় বসন্তের গান ও নৃত্য পরিবেশন। এ সময় লোকগীতির পাশাপাশি, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সংগীতও পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
শুরুতে পাঠশালার নৃত্যশিল্পীরা নাচ পরিবেশন করেন। একই সঙ্গে পাহাড়ি ও চা বাগানের থিমের সুর থেকে নেওয়া গানে অংশ নেন সমগীতের শিল্পীরা।
উপস্থিত দর্শনার্থীরা ইউএনবিকে বলেন, সকালে উঠেই এখানে চলে এসেছি বসন্ত উৎসব দেখতে। এরপর বইমেলায় যাব। বসন্তের প্রথম দিনটি সারা দিন উপভোগ করব।
উৎসবে আসা একজন বলেন, ‘বসন্ত আমাদের প্রাণের উৎসব। একই দিনে ফাগুনের প্রথম দিন ও ভালোবাসা দিবস হওয়ায় দিনটি আরও বেশি উপভোগ করছি।’
৬২ দিন আগে
বইমেলা উপলক্ষে ঢাবি ক্যাম্পাসে যান চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিল
অমর একুশে বইমেলায় আসা ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের যে বিধিনিষেধ থাকে, তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এই মেলা উপভোগ করতে আসেন। বইমেলা উপভোগ করতে আশা ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের যে বিধিনিষেধ থাকে তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না। তবে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগ এ প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৭৬ দিন আগে
ঢাবি-সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ অনাকাঙ্ক্ষিত: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গতকাল সংঘর্ষের ঘটনা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এগুলোতো অনাকাঙ্ক্ষিত। এগুলো এড়িয়ে চলার জন্য আমরা আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করব।'
আরও পড়ুন: ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে: আইন উপদেষ্টা
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যা করলে এটা সমাধান হবে, সেটা করার চেষ্টা করব।'
৮০ দিন আগে
ঢাবির অধীন থাকছে না সাত কলেজ: উপাচার্য
সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ঢাবি প্রশাসন এবং উপাচার্যের এক জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না সাত কলেজ। একটি সম্মানজনক পৃথকীকরণ প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পূর্ববর্তী সব সিদ্ধান্ত বাতিল করে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নতুন করে আর কোনো ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভাসূত্র জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত সাত কলেজের সকল কার্যক্রম পরিচালনার জোর সুপারিশ করা হয়েছে। এই কমিটি যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবেই পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কমিটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূর্ণ সহযোগিতা করবে।
‘এছাড়াও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আসন সংখ্যা এবং ভর্তি ফি বিষয়ক সব সিদ্ধান্ত এ কমিটি থেকে গ্রহণ করা হবে। সাত কলেজের যেসব শিক্ষার্থীর বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান আছে, তাদের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে। যাতে তাদের শিক্ষা জীবন ক্ষতির মুখে না পড়ে।’
আরও পড়ুন: জাতীয়করণের দাবি: শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকরা
এর আগে ছয় দফা দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সরকারকে ৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। বিকাল ৪টার মধ্যে দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
গেল রাত থেকে নিউমার্কেট, নীলক্ষেত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে সাংবাদিক-শিক্ষার্থীসহ ৪০ জনের উপরে আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা গেল রাতের ঘটনায় ঢাকা কলেজ শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে ৬ দফা দাবি পেশ করেছেন, যার প্রথম দফায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরো সংঘাতের দায় নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
গত রাতের সংঘাতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিব গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর নিউমার্কেট থানা পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় থানার এসি, ওসিসহ জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান ঘটিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সংঘাতের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ইডেন কলেজ এবং বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গির অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসি সদস্য এবং ঢাবি ভিসির সমন্বয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের সঙ্গে তাৎক্ষণিক মিটিংয়ের মাধ্যমে এ ঘটনার সমাধান দাবি করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
৮০ দিন আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট: বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল ঢাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩১ ডিসেম্বর রাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১ জানুয়ারি ২০২৫ ভোড় ৫টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
এ সময় শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, বার্ন ইউনিট, শিববাড়ি মোড়, ফুলার রোড, পলাশী মোড় ও নীলক্ষেত এলাকায় প্রবেশ পথ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ফেসবুক-ইউটিউব ব্যবহার করছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
শুধুমাত্র বৈধ পরিচয়পত্রধারী ঢাবি শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার যানবাহন এবং চিকিৎসক, রোগী ও সাংবাদিক বহনকারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, আতশবাজি, আকাশে ফানুস উড়ানো বা বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না।
১০৮ দিন আগে
ঢাবির রাজনীতিবিষয়ক বিশেষ কমিটির কার্যক্রম শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধরণ ও অনুশীলনের বিষয়গুলো যাচাইয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ কমিটি কাজ শুরু করেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট হলে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শ্যামা হক বিদিশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল মতিনকে নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- তাহমিদা বেগম, বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা।
বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, আবাসিক হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কোন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে মূল অংশীজনদের আলোচনা, পরামর্শ ও প্রতিক্রিয়া সহজ করতে একটি পরামর্শ বাক্স স্থাপন ও বিশেষ ই-মেইল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক, ডাকসুর সাবেক নেতা ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় করা হবে।
কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রকৃতি ও অনুশীলন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠন
১৪৫ দিন আগে
আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য ফ্যাসিবাদী শক্তির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা'র ব্যানারে কফিন মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার(২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে 'কফিন মার্চ অব ফ্যাসিজম' ব্যানারে মিছিল বের করা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা একটি কফিন বহন করে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠন
শিক্ষার্থীদের প্রধান সংগঠক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, 'আন্দোলনে যারা হাত-পা হারিয়েছে তারা আর কখনো তা ফিরে পাবেন না। শহীদদের ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাহলে আওয়ামী লীগ কেন ফিরবে? আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি কেন নির্বাচনে অংশ নেবে? হাজার প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই নতুন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। সুযোগ এসেছে, কিন্তু দেখছি বড় দলগুলোর নেতারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। তারা আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। আমরা, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ এটা হতে দেব না’
তিনি আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখতে এবং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি উভয়কেই নিষিদ্ধ করার জন্য উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরেক সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, 'ফ্যাসিবাদের পতনের ১০০ দিন পরও ফ্যাসিস্টরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিচ্ছেন। তাদের তাড়াতে শিক্ষার্থীসহ জনগণকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
১৪৮ দিন আগে