ঢাবি
ঢাবির রাজনীতিবিষয়ক বিশেষ কমিটির কার্যক্রম শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধরণ ও অনুশীলনের বিষয়গুলো যাচাইয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ কমিটি কাজ শুরু করেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট হলে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শ্যামা হক বিদিশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল মতিনকে নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- তাহমিদা বেগম, বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা।
বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, আবাসিক হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কোন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে মূল অংশীজনদের আলোচনা, পরামর্শ ও প্রতিক্রিয়া সহজ করতে একটি পরামর্শ বাক্স স্থাপন ও বিশেষ ই-মেইল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক, ডাকসুর সাবেক নেতা ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় করা হবে।
কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রকৃতি ও অনুশীলন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠন
১ মাস আগে
আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য ফ্যাসিবাদী শক্তির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা'র ব্যানারে কফিন মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার(২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে 'কফিন মার্চ অব ফ্যাসিজম' ব্যানারে মিছিল বের করা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা একটি কফিন বহন করে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠন
শিক্ষার্থীদের প্রধান সংগঠক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, 'আন্দোলনে যারা হাত-পা হারিয়েছে তারা আর কখনো তা ফিরে পাবেন না। শহীদদের ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাহলে আওয়ামী লীগ কেন ফিরবে? আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি কেন নির্বাচনে অংশ নেবে? হাজার প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই নতুন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। সুযোগ এসেছে, কিন্তু দেখছি বড় দলগুলোর নেতারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। তারা আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। আমরা, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ এটা হতে দেব না’
তিনি আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখতে এবং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি উভয়কেই নিষিদ্ধ করার জন্য উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরেক সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, 'ফ্যাসিবাদের পতনের ১০০ দিন পরও ফ্যাসিস্টরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিচ্ছেন। তাদের তাড়াতে শিক্ষার্থীসহ জনগণকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
১ মাস আগে
সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল ও ছাত্রীদের জন্য নতুন হল নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এই বিক্ষোভ করেন তারা।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের নারীমূর্তিতে হিজাব: ঢাবির তদন্ত কমিটি গঠন
বিক্ষোভকারীরা জোর দিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা উভয়ই অধিভুক্তিকে সমর্থন করেন না।
দাবি মানা না হলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়াসহ আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময়ও বেধে দেন আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক রায়হান ফেরদৌস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অধিভুক্তি প্রত্যাহার চায়।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী হলেও তাদের মাত্র পাঁচটি আবাসিক হল রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ৭টি কলেজের জন্য নতুন প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের নেওয়া উচিত। তিনি জোর দেন যে তারা ৭টি কলেজের অধিভুক্তি সমর্থন করে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নুসরাত ইমরোজ বৈধ আসন পাওয়ার আগে দুই বছর ঘনরুমে থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মাস্টার্সের কিছু শিক্ষার্থী এখনো গণরুমে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, বাজেট স্বল্পতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ করতে পারছে না, কিন্তু কীভাবে তারা ৭টি কলেজের জন্য নতুন প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করতে পারে।
তিনি বলেন, তারা জরুরি ভিত্তিতে ৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি জানান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনে নতুন স্থাপনা নির্মিত হলে তা ছাত্রীদের জন্য হওয়া উচিত।
প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে।
এটির জনগুরুত্ব স্বীকার করে, সরকার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী এবং মূল অংশীজনদের সঙ্গে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে একটি জরুরি বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে। সম্ভবত আগামী রবিবার বৈঠকটি হবে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি বাতিলের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
১ মাস আগে
রাজু ভাস্কর্যের নারীমূর্তিতে হিজাব: ঢাবির তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের নারীর মূর্তিতে হিজাব পরিয়ে দেওয়ার ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা আইকনিক রাজু ভাস্কর্যের এক নারীর মূর্তির মাথায় হিজাব পরিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনাটি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা এবং এই জাতীয় ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তা এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: একক কৃতিত্ব দাবি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ক্ষুণ্ণ করে: ঢাবি শিবির সেক্রেটারি
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ সোমবার দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দুই সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও মো. রবিউল ইসলামকে পাঠান।
সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা রাজু ভাস্কর্যটি পরিদর্শন করে দেখেছি হিজাবটি আগেই অপসারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা জানি না এ ঘটনার জন্য কারা দায়ী।
কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করবে। সিসিটিভি ফুটেজ পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার মাধ্যমে জড়িতদের শনাক্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এছাড়াও ঘটনার বিস্তারিত তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘ফুটেজগুলো আরও বিশ্লেষণ করে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি বাতিলের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
২ মাস আগে
একক কৃতিত্ব দাবি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ক্ষুণ্ণ করে: ঢাবি শিবির সেক্রেটারি
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব এককভাবে নেওয়া প্রচেষ্টা আন্দোলনের ঐক্যের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই অভ্যুত্থান ছিল সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
তিনি বলেন, 'আন্দোলন কোনো একটি গোষ্ঠী বা মতাদর্শের দ্বারা পরিচালিত হয়নি। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত করার জন্য একত্রিত হয়েছিল। একক কৃতিত্ব দাবি করা অভ্যুত্থান চেতনার পরিপন্থী।’ ‘রাজনৈতিক দল, মত নির্বিশেষে বাংলাদেশের জনগণ দেশকে একটি অত্যাচারী শাসনের কবল থেকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করেছে।’
ফরহাদ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পর্কিত সহিংসতার অভিযোগগুলোর কথা বিশেষত ‘রগ কাটা’ এর কুখ্যাত অনুশীলন তুলে ধরেন। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আপনি 'গুগলে 'রগ কাটা' লিখে সার্চ দিলে সাবেক ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত এ ধরনের অপরাধের অসংখ্য খবর পাবেন। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে শিবিরের সংশ্লিষ্টতার কোনো রেকর্ড নেই।”
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের নামের খসড়া তালিকা প্রকাশ
শিগগিরই ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান ফরহাদ। ‘আমরা আমাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেছি, শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে। আমাদের শুধু কিছুটা সময় দরকার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে ফরহাদ বলেন, 'ক্যাম্পাসে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি থাকবে। কাউকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করা হবে না। সবকিছু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্ধারণ করবে। এই কাঠামো তৈরি হলে ছাত্র রাজনীতি নতুন ও সংস্কার করা রূপ ধারণ করবে।
ছাত্রশিবিরকে সাধারণ ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে কীভাবে গ্রহণ করা হয়েছে জানতে চাইলে ফরহাদ দাবি করেন, সংগঠনটির ক্যাম্পাস জীবনে পুনঃপ্রবেশ ইতিবাচক। ‘ফ্যাসিবাদ দুটি কাজ করেছে- তারা শিবিরের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে এবং ভয় দেখিয়েছে। কিন্তু আমাদের পুনরুত্থানের পর এই ভয়ের ভিত ভেঙে গেছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী আমাদের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে যারা আমাদের আচরণ ও ব্যক্তিত্ব পর্যবেক্ষণ করেছেন, তারা অনলাইনে আমাদের ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন।’
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরিচয় প্রকাশ করা হয় এবং সম্পাদক হিসেবে ফরহাদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
ফরহাদ সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং কবি জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
তিনি জসীম উদ্দীন হল বিতর্ক ক্লাবের সভাপতি (২০২২-২৩) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তার অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের বর্তমান সভাপতি।আরও পড়ুন: ঢাবি শিবির নেতৃত্ব প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
২ মাস আগে
ঢাবি ভিসির সঙ্গে শিক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে মার্কিন প্রতিনিধি দলের আলোচনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর স্টিফেন এফ ইবেলির নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদার, বৃত্তির সুযোগ বৃদ্ধি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষার্থী বিনিময় জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিবির নেতৃত্ব প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন স্কট হার্টম্যান, রায়হানা সুলতানা ও দূতাবাসের জোনাথ গোমেজ। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলমান সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদারের সুযোগ অনুসন্ধান করেন। সাক্ষাৎকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমেরিকান কর্নার স্থাপন, ফুলব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম বাড়ানো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে উদ্যোক্তা ও ইংরেজি ভাষার দক্ষতা কর্মসূচি প্রণয়নের মতো দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের পাশাপাশি আমেরিকান সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তথ্য ও উপাত্ত বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের জন্য নতুন আবাসিক হল নির্মাণে প্রতিনিধিদলের আর্থিক সহায়তা ও সহযোগিতা কামনা করেন। তারা অনুরোধটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবেন বলে উপাচার্যকে আশ্বস্ত করেন প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
২ মাস আগে
তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান অস্থিরতায় তিন মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ক্লাস শুরু হয়েছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কলা ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মধুর ক্যান্টিন, টিএসসিসহ ক্যাম্পাসের সব জায়গায় শিক্ষার্থীদের সমাগমে চিরচেনা রূপে ফিরে এসেছে ঢাবি।
দীর্ঘ বিরতির পর ক্লাসে ফিরে স্বস্তি ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২ জুন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হয়। ঈদের ছুটি শেষে ১ জুলাই থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ
কিন্তু 'বৈষম্যমূলক' পেনশন ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। যার ফলে গত ১ জুলাই থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা বেড়ে গেলে গত ১৬ জুলাই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: গণপিটুনির প্রতিবাদে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল
৩ মাস আগে
উচ্চশিক্ষা সংস্কারে ১৫ দফা প্রস্তাব পেশ ঢাবি শিক্ষক সমাজের
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব ধরনের অনিয়ম দূর করে উচ্চশিক্ষা সংস্কারে মোট ১৫টি প্রস্তাব পেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ।
রবিবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজের সঙ্গে তার দপ্তরে সাক্ষাৎকালে ঢাবি শিক্ষকসমাজের প্রতিনিধি দল এ প্রস্তাব পেশ করেন।
প্রতিনিধিদলের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম প্রস্তাবসমূহ পাঠ করে শোনান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ঢাবির কলা ও চারুকলা অনুষদের ডিনদের পদত্যাগ
এসময় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনসহ ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবগুলোর মধ্য রয়েছে- উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, দলীয়করণ ও দুর্নীতি রোধ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বৃদ্ধি, গবেষণাখাতে ইউজিসির বরাদ্দ দেওয়া অর্থের পরিমাণ বাড়ানো এবং তা আমলাতান্ত্রিকতা ও অনিয়ম দূর করতে, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যৌথ গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ শিক্ষক সমাজের প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গৃহীত যেকোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ইউজিসি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে বলেও তিনি প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন।
এছাড়াও, ইউজিসি চেয়ারম্যান গবেষণা প্রকল্পের মূল্যায়নে কোনো প্রকার অস্বচ্ছতা থাকলে তা নিরসন এবং গবেষণার অর্থ দ্রুত ছাড়করণের প্রতিশ্রুতিও দেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্ব-উদ্যোগে শিক্ষকসমাজের সংস্কার প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে ইউজিসি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে। তিনি উচ্চশিক্ষা সংস্কারে ইউজিসির সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কথাও তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। ইউজিসির ক্ষমতায়ন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পর 'শহীদি মার্চে' যোগ দিতে ঢাবিতে শিক্ষার্থী-জনতার ঢল
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হতে হবে যা পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা বলবে এবং সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। তিনি উচ্চশিক্ষায় গবেষণাকে মূলধারায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ালে এবং অবকাঠামোগত কিছু সংস্কার করা হলে সেখান থেকে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা সমৃদ্ধি সম্ভব হবে।
তারা গবেষণায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ১০০ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে আনুষ্ঠানিকভাবে 'ইউজিসি রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করার প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষকদের জন্যও 'ইউজিসি পিএইচডি রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড' চালু করা যেতে পারে বলেও তারা মত প্রকাশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসমাজের প্রতিনিধিরা হলেন- অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন, অধ্যাপক ড. অতনু রব্বানী, ড. মো. আহসান হাবীব, অধ্যাপক ঈশানী চক্রবর্তী, অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, অধ্যাপক গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম এবং অধ্যাপক সংগীতা আহমেদ।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী-আনসার সদস্যদের সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন
৩ মাস আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবির উপাচার্য, প্রক্টর ও উপদেষ্টাসহ ৩ জনের পদত্যাগ
হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট প্রক্টরিয়াল টিমের পদত্যাগের পর প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরের পদ শূন্য হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসইউ) এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে (ইউএপি) শিক্ষকতা করেছেন সাইফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি শাবিপ্রবির সহকারী প্রক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার চারটি বই এবং ১৭টি জার্নাল নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
অধ্যাপক সাইফুদ্দিন শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে সব অংশীজনদের মধ্যে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্টেকহোল্ডারদের সমর্থন প্রত্যাশা করি। এ লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: আন্দোলনের মুখে ববির ভিসি-প্রক্টরসহ ২০ জনের পদত্যাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের পদত্যাগ
৩ মাস আগে
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ঢাবির কলা ও চারুকলা অনুষদের ডিনদের পদত্যাগ
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ও চারুকলা অনুষদের ডিনরা।
সাম্প্রতিক বিক্ষোভের সময় নিপীড়কদের পক্ষ নেওয়া এবং নিজের দায়িত্ব পালনে অযোগ্য অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বশির পদত্যাগ করেন।
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেন, অধ্যাপক আবদুল বশির রমজান মাসে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতে বাধা দিয়েছেন। তার পদত্যাগের পর শিক্ষার্থীরা তার কার্যালয়ের জড়ো হয়ে পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করে এবং তার সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য দোয়া করে।
সেসময় অধ্যাপক বশির উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদত্যাগের দাবিতে ডিন কার্যালয়ে যান।
পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিছার উদ্দিনও পদত্যাগ করেন।
এসময় আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরার তাদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রহমতউল্লাহর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে।
তার অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ডিন অফিস তালা মেরে সিলগালা করে দেয়।
৪ মাস আগে