নিষিদ্ধ
চমেকের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭৫ নেতাকর্মী বহিষ্কার
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৭৫ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে ৭৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সকলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেট নগরীর ওয়ার্ড বিএনপির দুই সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার
ছাত্রাবাসর অবৈধ অনুপ্রবেশ, অবৈধভাবে রুম দখল, অঙ্গীকার ভঙ্গ, মারধর ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা সর্বোপরি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
১৪ জন ইন্টার্নসহ ছাত্রলীগের ৭৫ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চমেক সূত্রে জানা গেছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ১৪ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন শিক্ষা বর্ষের ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ৫১ ব্যাচ, ৬০ ব্যাচ এমবিবিএসসহ বিভিন্ন ব্যাচের ১৪ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ কলেজের বিভিন্ন বর্ষের ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, বহিষ্কার ৪
৩ সপ্তাহ আগে
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করল সরকার
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আরও পড়ুন: সংবিধান সংশোধন ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ ৫ দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
বুধবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগ হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে হয়রানি, টেন্ডারবাজিসহ জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এমন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে বলে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ১৮(১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
৪ সপ্তাহ আগে
সংবিধান সংশোধন ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ ৫ দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
একাত্তরের সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাসহ পাঁচটি জরুরি দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকালে 'ছাত্র ও জনগণের পাঁচ দফা দাবি' শিরোনামে এক ফেসবুক পোস্টে এ দাবি জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: সংবিধান সংস্কার কমিশনের নতুন প্রধান হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
পাঁচ দফা দাবি:
১. ১৯৭২ সালের সংবিধান বাতিল – দলটি জোর দিয়ে বলছে যে বর্তমান সংবিধান অবশ্যই বাতিল করতে হবে এবং জনগণের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি নতুন সংবিধান দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হবে।
২. এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ – ফ্যাসিবাদী সংবিধানের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে এই সপ্তাহের মধ্যে পদচ্যুত করতে হবে।
৪. প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা- জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে দলটি এই সপ্তাহে একটি 'প্রজাতন্ত্রের ঘোষণাপত্র' ঘোষণার দাবি জানিয়েছে, যাতে বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে।
৫. জাতীয় নির্বাচন বাতিল- ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নির্বাচনি প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষের ইঙ্গিত দেয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ এসব দাবির গুরুত্ব তুলে ধরে তার পোস্টে লিখেছেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ইতোমধ্যে আগামীকাল আমাদের সঙ্গে আলোচনার সময় নির্ধারণ করেছে। আমরা আশা করব, ছাত্র ও জনগণের পাঁচ দফা দাবি আদায়ের বিষয়ে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হবে।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনে সংবিধান সংশোধনে মত দিলেন বিশেষজ্ঞরা
সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া রাজনীতিকরণ থেকে বেরিয়ে আসা অসম্ভব: ড. আলী রীয়াজ
৪ সপ্তাহ আগে
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তারা এ দাবি জানান।
একই সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করারও দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক এড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের মধ্যে সারজিস আলমও এসব দাবি আদায়ে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে সারজিস বলেন, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় যে, ‘আবারও প্রয়োজন হলে আমরা আমাদের চোখ দিতে প্রস্তুত, পা দিতে প্রস্তুত, হাত দিতে প্রস্তুত, এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী ছাত্রলীগের উত্থান সহ্য করা হবে না, কারণ তারা আমাদের ভাইদের হত্যার জন্য দায়ী। প্রাণ দিয়ে হলেও আমরা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নামের ফ্যাসিবাদীদের প্রতিহত করার জন্য আজীবন লড়াই করে যাব।’
রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে আরেক সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমরা আমাদের বিপ্লব এই শহীদ মিনার থেকেই শুরু করেছিলাম। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বিপ্লবের ভয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। সেদিন আপনি সেটা নিশ্চিত করেছিলেন কিন্তু এখন মিথ্য়ে কথা বলছেন কেন? আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- খুনি হাসিনা যেভাবে পালিয়ে গেছে, তেমনি ছুপ্পুকেও পদত্যাগ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান মাসুদ।
বর্তমান সংবিধান বাতিলের দাবির কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ না করলে তার সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চান রাষ্ট্রপতি: বিএনপি
৪ সপ্তাহ আগে
শাবিপ্রবিতে অবাঞ্ছিত ও আজীবন নিষিদ্ধ সেই উর্মি!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে কটূক্তি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে আলোচনায় আসেন লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মি।
এ ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ও আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে শাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাইদকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া, জুলাই-আগস্ট গণহত্যা তদন্ত সাপেক্ষ ও অমীমাংসিত বলে গণহত্যার সমর্থন করাসহ ফেসবুকে নানা বিভ্রান্তিকর লেখার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিপ্লবী ছাত্রজনতার বিপ্লবকে অস্বীকার করার জন্য শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্চিত ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এতে শাবিপ্রবি প্রশাসনের কাছে তাপসী তাবাসসুম উর্মীর সনদ বাতিলের দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও বর্তমান সরকারের কাছে শাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করছে যে, তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করা হোক। জুলাই বিপ্লব অস্বীকার ও শহীদদের নিয়ে কটুক্তি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য তার কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
এর আগে বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুমের (উর্মি) বিরুদ্ধে লালমনিরহাটে মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের এজাহার দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি তাহিয়াতুল হাবিব মৃদুল।
আরও পড়ুন: সহকারী কমিশনার উর্মির বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আবেদন
১ মাস আগে
সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ ২২ দিন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মা ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ১৩ অক্টোবর-৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নিষিদ্ধ থাকবে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বিপণন ও বিনিময়।
তিনি বলেন, আর এই ২২ দিন জেলেদের শাস্তি দিয়ে নয় বরং সচেতনতার মাধ্যমে ইলিশ মাছ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
শনিবার (৫ অক্টোবর) শরীয়তপুরে ‘ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৪’ উপলক্ষে জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সচেতনতা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অপরিকল্পিত: শিক্ষা উপদেষ্টা
তিনি বলেন, কিছু অসাধু চক্র তাৎক্ষণিক মুনাফা অর্জন করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, জেলেদের সরকারি সহায়তার ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইলিশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মিঠা পানিতে ডিম ছাড়ে। এ সময় যদি ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকা যায় তাহলে ইলিশের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
এসময় ইলিশের উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনার আহ্বান জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সাদিয়া জেরিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাদি উজ্জামান, মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ীরাসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার।
আরও পড়ুন: যেতে না পারা প্রায় ১৮০০০ কর্মীকে মালয়েশিয়া পাঠানোর বিষয়ে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা
১ মাস আগে
আ. লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন আইন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল: আইন উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠেছে। এ বিষয়ে আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে প্রতিবাদ করা হয়েছে। এটার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি নেই। সত্যিকার অর্থে যদি কোনো রাজনৈতিক দল জঙ্গিবাদী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় জড়িত থাকে, তাহলে প্রচণ্ড সততার সঙ্গে তদন্ত করে এমন কিছু (নিষিদ্ধ) করা যেতে পারে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জেনারেল রুল হিসেবে আমাদের সংবিধানে সংগঠন করার স্বাধীনতা আছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদানকারী দল। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামে দলটির অবদান ছিল।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে তারা যা করেছে, সেটা তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে যায় না, সেটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্বরতম ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল।’
আরও পড়ুন: আদালতে যাওয়ার সময় কারো ওপর হামলা সমর্থনযোগ্য নয়: আইন উপদেষ্টা
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল: আইন উপদেষ্টা
২ মাস আগে
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল: আইন উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ সরকার নীতিগত অবস্থান থেকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেনি, বরং রাজনৈতিক কৌশলের জন্য এটি ব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজের কিছু মহল থেকে বহু বছর ধরে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠত। ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ কখনোই এটা করেনি। তারপর তারা এটা একটা বিশেষ মুহূর্তে করেছে। যখন ছাত্র-জনতার বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থান চলছিল। তারা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে জামায়াত-বিএনপির জঙ্গি-সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যায়িত করে এই আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন করার চেষ্টায় ছিল। এর বহু প্রমাণ আপনারা বহুবার পেয়েছেন।’
আরও পড়ুন: এনবিআর পরিদর্শনে গিয়ে কাজের গুরুত্ব তুলে ধরলেন অর্থ উপদেষ্টা
বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, তারা যে সন্ত্রাসী হিসেবে জামায়াত-বিএনপির কর্মকাণ্ডকে আখ্যায়িত করেছিল, ওই ন্যারেটিভের পার্ট হিসেবে তারা জামায়াতকে হঠাৎ করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলতে চেয়েছে, সেই ন্যারেটিভের পার্ট তো আমরা হতে পারি না। এছাড়া তারা কোনো নীতিগত অবস্থান থেকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেনি। তারা রাজনৈতিক অপকৌশলের জন্য ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নির্মমভাবে দমন করার জন্য এই ইস্যুটাকে এভাবে ব্যবহার করেছিল।’
আরও পড়ুন: স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ অবদান রাখবে: বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত ও প্রত্যাখ্যাত একটি দলের অন্যায় ন্যারেটিভের পার্ট হতে পারি না।’
আওয়ামী লীগের সময়ে নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন বাতিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বুধবার (২৮ আগস্ট) আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এটি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সরাসরি সহায়তা দেওয়ার সুযোগ
২ মাস আগে
জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর থেকে নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এই প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাস ও সহিংসতায় জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সরকার আরও বিশ্বাস করে দলটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ জামায়াত-বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত
এর আগে গত ১ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবিরসহ সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী।
গত বছরের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ওই আপিল খারিজ করে দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
২ মাস আগে
জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার হচ্ছে মঙ্গলবার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল তা মঙ্গলবার প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার যেহেতু সরকারি ছুটি, সেজন্য মঙ্গলবার এ নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বলে আশা রাখছি।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ জামায়াত-বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আইনজীবী মনির বলেন, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কারণ আমরা জানি না। মনে করছি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ ফ্যাসিবাদি এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। যেখানে জামায়াতে ইসলামীও সহযোগী শক্তি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দলটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের পরই দলটির নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। গত বছরের ১৯ নভেম্বর সে আপিল খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তারপর গত ১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, ছাত্রশিবির ও সংশ্লিষ্ট সব অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা: ধর্মমন্ত্রী
ছাত্র-জনতার বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
২ মাস আগে