নিষিদ্ধ
আ.লীগকে নিষিদ্ধে জুলাই আহতদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সংগঠন ওয়ারিয়র্স অব জুলাই।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই আল্টিমেটাম দেন তারা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হলে ‘রাজধানী ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানায় সংগঠনটি।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে ঘোষণা অথবা সিদ্ধান্ত চান বলে জানান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আহতরা। এই সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিশ্রুতি না এলে ৪৮ ঘণ্টা পর সারা দেশ থেকে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে বাইপাস সড়ক নির্মাণ বন্ধে চার দিনের আল্টিমেটাম
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত শহিদ মিনারে তাদের সেই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগকে কেউ পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে তাদের পরিস্থিতিও একই হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
জুলাই আন্দোলনে আহত সুজন নামে এক যুবক বলেন, ‘হাসিনার এই গণহত্যাকারী দল গত ১৭ বছরে অনেক মা-বোনকে কাঁদিয়েছে। আওয়ামী লীগকে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আবার চব্বিশের জুলাইয়ের মতো আন্দোলন হবে।’
‘আমরা মৃত্যুকে ভয় পাইনা। যতদিন জীবিত আছি, আওয়ামী লীগকে এই বাংলাদেশে ফিরতে দেব না।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে নতুন করে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়াতেও নিষেধ করেন জুলাই বিপ্লবে আহতরা।
২৫ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই এ বক্তব্য প্রত্যাখানের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মল চত্বর, ভিসি চত্ত্বর হয়ে টিএসসিতে এসে শেষ হয়।
পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।
মিছিলে অংশ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদত দেবে, তারা যেই হোক না কেন ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে।
আরও পড়ুন: গুলশানে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক নিহত
আরেক শিক্ষার্থী তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চাননি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দিবে না ছাত্রসমাজ।
যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে। গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার আগ পযন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এসময়, শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
২৭ দিন আগে
ঈদে নৌ দুর্ঘটনা বন্ধে দুই সপ্তাহ বাল্কহেড নিষিদ্ধের দাবি এসসিআরএফ-জাতীয় কমিটির
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে ২৫ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ দিন (দুই সপ্তাহ) বালুবাহী নৌযান (বাল্কহেড) চলাচল নিষিদ্ধের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে শিপিং এ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) এবং নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
এছাড়া সব ধরনের অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর দাবি জানিয়েছে সংগঠন দুটি। এ জন্য সারা দেশে অবিলম্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন সংগঠন দুটির নেতারা।
বুধবার (৫ মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও এসসিআরএফ এর সাধারণ সম্পাদক লায়ন মুহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের প্রতি এই আহবান জানান।
বিবৃতিতে সনদবিহীন চালককে (মাস্টার ও ড্রাইভার) শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি অবৈধ চালক নিয়োগ দেওয়ার দায়ে নৌযান মালিককেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান সংগঠন দুটির নেতারা।
বাল্কহেডের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত নৌ দুর্ঘটনা ও যাত্রীবাহী নৌযান ডুবে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় রাতে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে জাতীয় কমিটি ও এসসিআরএফ জানায়, নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা ১৫ হাজার হলেও সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের অন্তত ৮৫ হাজার নৌযান রয়েছে। এই ৭০ হাজার অবৈধ নৌযানের মধ্যে অন্তত ছয় হাজার রয়েছে বাল্কহেড।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে স্পিডবোট-বাল্কহেডের সংঘর্ষে নিহত ২
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিবন্ধিত ১৫ হাজার নৌযানের মধ্যে নিয়মিত বার্ষিক সার্ভে (ফিটনেস পরীক্ষা) করা হয় মাত্র আট হাজারের। নিয়ন্ত্রক সংস্থা নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে অবশিষ্ট সাত হাজার ত্রুটিপূর্ণ নৌযান অবাধে চলাচল করছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলোর বিরুদ্ধে অদৃশ্য কারণে ব্যবস্থা না নেওয়ায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে।
জাতীয় কমিটি ও এসসিআরএফ অবৈধ ও আইন অমান্যকারী নৌযান চলাচলের সুযোগ দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নৌযান মালিককেও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে নৌপথে ঘরমুখী হাজার হাজার মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের স্বার্থে ১৪ দিন বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
৪৩ দিন আগে
ফিক্সিংকাণ্ডে ৫ বছর নিষিদ্ধ বাংলাদেশের সোহেলী
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কোডের পাঁচটি ধারা ভঙ্গের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট ও ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তার।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোহেলীকে সাজা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ২০২২ সালে খেলেছেন এই ক্রিকেটার। তবে ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে বাংলাদেশের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন তিনি।
আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) কাছে দায় স্বীকার করে নিয়েছেন সোহেলী। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার নিষেধাজ্ঞা থেকে কার্যকর হয়েছে।
২০২৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার লতাকে মোবাইল ফোনে ফিক্সিংয়ের বার্তা পাঠান। সে সময় বড় অঙ্কের টাকার লোভ দেখান তিনি। ওই ক্রিকেটার অবশ্য অসাধু পথে পা না দিয়ে আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানান।
ওই সময় সোহেলী সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, তিনি সতীর্থ লতাকে মজা করে মিথ্যা মিথ্যা প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাত্র। তবে সেই কারণে এবার নিজে ফেঁসে যাচ্ছেন তিনি।
সোহেলীর আইসিসির দুর্নীতি বিষয়ক ২.১.১ ধারা ভেঙেছেন। সেখানে তিনি ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিং করতে প্ররোচিত করেছেন। ২.১.৩ ধারাও ভেঙেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, তিনি ম্যাচ পাতানোর জন্য অন্যকে উৎসাহিত করার দরুণ অর্থ বা পুরস্কার নিয়েছেন কিংবা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
আইসিসির প্রতিবেদনে ২.১.৪ ধারা ভঙ্গের কথা বলা হয়েছে, যেখানে তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাউকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ে সম্পৃক্ত হতে উৎসাহিত করেছেন বা প্ররোচিত করেছেন। ২.৪.৪ ধারায় বলা হয়েছে, আইসিসিকে তিনি তদন্তের স্বার্থে তথ্যাদি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২.৪.৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই নারী ক্রিকেটার তদন্তে বাধা দিয়েছেন, তথ্যা দিতে বিলম্ব করেছেন বা তথ্যাদি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
সোহেলী বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে দুটি ওয়ানডে খেলেছেন। ২০১৩ সালে তার অভিষেক হয় ও ২০১৪ সালে শেষ ওয়ানডে খেলেন। দেশের জার্সিতে তিনি ১৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। যার প্রথমটি ২০১৩ এবং শেষটি খেলেছেন ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর।
৬৪ দিন আগে
তুরাগ নদীর আশেপাশে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ
তুরাগ নদীর দক্ষিণ ও পশ্চিম তীরের কামারপুর, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ ও এর আশেপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও অনেকে আহত হওয়ার পর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের অভিযানে ১৭৯৯ মামলা দিল ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ
বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ২৯ ধারার অধীনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ (অধ্যাদেশ নম্বর III/৭৬) জারি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের পর যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ।
সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং অন্যান্য বাহিনীর একটি বড় দল নিয়মিত পুলিশসহ ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই এলাকায় চার প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্র-বাচ্চার স্কুলের কাছে বাসা নেওয়ার পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের
১২০ দিন আগে
চমেকের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৭৫ নেতাকর্মী বহিষ্কার
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৭৫ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে ৭৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সকলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেট নগরীর ওয়ার্ড বিএনপির দুই সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার
ছাত্রাবাসর অবৈধ অনুপ্রবেশ, অবৈধভাবে রুম দখল, অঙ্গীকার ভঙ্গ, মারধর ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা সর্বোপরি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
১৪ জন ইন্টার্নসহ ছাত্রলীগের ৭৫ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চমেক সূত্রে জানা গেছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ১৪ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন শিক্ষা বর্ষের ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ৫১ ব্যাচ, ৬০ ব্যাচ এমবিবিএসসহ বিভিন্ন ব্যাচের ১৪ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ কলেজের বিভিন্ন বর্ষের ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, বহিষ্কার ৪
১৭০ দিন আগে
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করল সরকার
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আরও পড়ুন: সংবিধান সংশোধন ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ ৫ দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
বুধবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগ হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে হয়রানি, টেন্ডারবাজিসহ জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এমন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে বলে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ১৮(১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
১৭৫ দিন আগে
সংবিধান সংশোধন ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ ৫ দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
একাত্তরের সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাসহ পাঁচটি জরুরি দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকালে 'ছাত্র ও জনগণের পাঁচ দফা দাবি' শিরোনামে এক ফেসবুক পোস্টে এ দাবি জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: সংবিধান সংস্কার কমিশনের নতুন প্রধান হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
পাঁচ দফা দাবি:
১. ১৯৭২ সালের সংবিধান বাতিল – দলটি জোর দিয়ে বলছে যে বর্তমান সংবিধান অবশ্যই বাতিল করতে হবে এবং জনগণের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি নতুন সংবিধান দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হবে।
২. এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ – ফ্যাসিবাদী সংবিধানের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে এই সপ্তাহের মধ্যে পদচ্যুত করতে হবে।
৪. প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা- জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে দলটি এই সপ্তাহে একটি 'প্রজাতন্ত্রের ঘোষণাপত্র' ঘোষণার দাবি জানিয়েছে, যাতে বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে।
৫. জাতীয় নির্বাচন বাতিল- ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নির্বাচনি প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষের ইঙ্গিত দেয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ এসব দাবির গুরুত্ব তুলে ধরে তার পোস্টে লিখেছেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ইতোমধ্যে আগামীকাল আমাদের সঙ্গে আলোচনার সময় নির্ধারণ করেছে। আমরা আশা করব, ছাত্র ও জনগণের পাঁচ দফা দাবি আদায়ের বিষয়ে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হবে।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনে সংবিধান সংশোধনে মত দিলেন বিশেষজ্ঞরা
সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া রাজনীতিকরণ থেকে বেরিয়ে আসা অসম্ভব: ড. আলী রীয়াজ
১৭৬ দিন আগে
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তারা এ দাবি জানান।
একই সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করারও দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক এড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের মধ্যে সারজিস আলমও এসব দাবি আদায়ে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে সারজিস বলেন, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় যে, ‘আবারও প্রয়োজন হলে আমরা আমাদের চোখ দিতে প্রস্তুত, পা দিতে প্রস্তুত, হাত দিতে প্রস্তুত, এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী ছাত্রলীগের উত্থান সহ্য করা হবে না, কারণ তারা আমাদের ভাইদের হত্যার জন্য দায়ী। প্রাণ দিয়ে হলেও আমরা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নামের ফ্যাসিবাদীদের প্রতিহত করার জন্য আজীবন লড়াই করে যাব।’
রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে আরেক সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমরা আমাদের বিপ্লব এই শহীদ মিনার থেকেই শুরু করেছিলাম। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বিপ্লবের ভয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। সেদিন আপনি সেটা নিশ্চিত করেছিলেন কিন্তু এখন মিথ্য়ে কথা বলছেন কেন? আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- খুনি হাসিনা যেভাবে পালিয়ে গেছে, তেমনি ছুপ্পুকেও পদত্যাগ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান মাসুদ।
বর্তমান সংবিধান বাতিলের দাবির কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ না করলে তার সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চান রাষ্ট্রপতি: বিএনপি
১৭৬ দিন আগে
শাবিপ্রবিতে অবাঞ্ছিত ও আজীবন নিষিদ্ধ সেই উর্মি!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে কটূক্তি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে আলোচনায় আসেন লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মি।
এ ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ও আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে শাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাইদকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া, জুলাই-আগস্ট গণহত্যা তদন্ত সাপেক্ষ ও অমীমাংসিত বলে গণহত্যার সমর্থন করাসহ ফেসবুকে নানা বিভ্রান্তিকর লেখার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিপ্লবী ছাত্রজনতার বিপ্লবকে অস্বীকার করার জন্য শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্চিত ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এতে শাবিপ্রবি প্রশাসনের কাছে তাপসী তাবাসসুম উর্মীর সনদ বাতিলের দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও বর্তমান সরকারের কাছে শাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করছে যে, তাপসী তাবাসসুম উর্মিকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করা হোক। জুলাই বিপ্লব অস্বীকার ও শহীদদের নিয়ে কটুক্তি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য তার কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
এর আগে বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুমের (উর্মি) বিরুদ্ধে লালমনিরহাটে মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের এজাহার দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি তাহিয়াতুল হাবিব মৃদুল।
আরও পড়ুন: সহকারী কমিশনার উর্মির বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আবেদন
১৮৮ দিন আগে