ক্রীড়াবিদ
চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে খুঁজে না পাওয়ায় ক্রীড়াবিদ ভাই গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কাজী সেলিম উদ্দিনকে না পেয়ে তার ছোট ভাই কাজী নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে তাকে একটি ‘মিথ্যা’ নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নাজিম উদ্দিন কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন এবং তিনি একজন ক্রীড়াবিদ বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের বাড়িতে কাজী সেলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ছাত্রদল সেলিম বাড়িতে ছিলেন না। তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই কাজী নাজিম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: আমানসহ ৪৫ জনের বিচার শুরু, রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কাজী নাজিম উদ্দিন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার তালিকাভুক্ত ক্রীড়াবিদ।
তবে পুলিশ বলছে, তিনি নাশকতা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি। তাকে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নাজিম উদ্দিন ক্রীড়াবিদ নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর ক্রীড়াবিদ ফজলে এলাহি বলেন, নাজিম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তিনি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম ক্রীড়া সংস্থার তালিকাভুক্ত আম্পায়ার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, কাজী নাজিম উদ্দিন সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নাশকতা মামলার সন্দেহজনক আসামি। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি ও যুবদলের ২ নেতা গ্রেপ্তার
২৮ অক্টোবর থেকে রাজনৈতিক সহিংসতা- নাশকতার অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৮২০
১ বছর আগে
এলডিসি পরবর্তী সময়ের জন্য বাংলাদেশের এখনই প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন: প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি
এলডিসিতে উত্তরণকে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ও একটি অসাধারণ কৃতিত্ব হিসেবে উল্লেখ করে সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশনের (এসডিসি) মহাপরিচালক প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি বলেছেন, বাংলাদেশের এখন এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন, কারণ পূর্বে বিদ্যমান নির্দিষ্ট কিছু বাজারে এখন তাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
১৯৯৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ক্রীড়াবিদ হিসাবে সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী ড্যানজি ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই অগ্রযাত্রাটা হতে হবে মসৃণ, স্থায়িত্ব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, যাতে করে কেউ পিছিয়ে না পড়ে।
এসময় তিনি বাজারের ব্যাপারে পূর্বানুমানের সক্ষমতা বাড়ানো এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দেন।
ড্যানজি বলেন, বর্তমানে করোনার কারণে সৃষ্ট নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে গোটা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে। এর ফলে দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং বৈষম্য আরও বেড়েছে।
তিনি বলেন, এই দুরবস্থায় আমরা আমাদের নতুন সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় দারিদ্র্য নিরসন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব।
ভবিষ্যতের কথা বলতে গিয়ে ড্যানজি বলেন, সুইজারল্যান্ড তার উন্নয়ন যাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদারিত্ব’ অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, আমার সফরে আমি এই দেশে অনেকগুলো ইতিবাচক বিষয় দেখেছি, যেগুলোর ফলে সুইজারল্যান্ড এই দেশের সঙ্গে কাজ করা এবং সে সংক্রান্ত ভবিষ্যত আলোচনা ও মতবিনিময়ে আগ্রহী করবে।
এসডিসি মহাপরিচালক বলেন, এই সমস্ত উপাদান কেন্দ্রীয় এবং তারা এটি তৈরি করতে চাইবে। তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন একসঙ্গে এই পরবর্তী পদক্ষেপ নেই এবং সবার জন্য একটি সমৃদ্ধ ও স্থায়িত্বমূলক ভবিষ্যত তৈরিতে কাজ করি।
জলবায়ু পরিবর্তনকে আরেকটি মৌলিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থার অর্থায়নের জন্য সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ড্যানজি বলেন, গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক কপ২৬ সম্মেলনে আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল টেকসই ও স্বচ্ছ জলবায়ু অর্থায়ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১১ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করবে সুইজারল্যান্ড
২ বছর আগে
আরও ১৫০ ক্রীড়াবিদকে আর্থিক সহায়তা প্রদান
সরকারের মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০ অসহায় ক্রীড়াবিদকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
৪ বছর আগে