পানিবাহিত রোগ
বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ থেকে সতর্ক থাকার উপায়
প্রতিবারের মতো এ বছরের বর্ষা মৌসুমেও বন্যাগ্রস্ত অবস্থায় দিন অতিবাহিত করছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি সামলাতে হচ্ছে দেশের উত্তর-পূর্বের বিভাগ সিলেটের অধিবাসীদের। বন্যার পানি ও শিল্পকারখানার বর্জ্যের সঙ্গে মিশ্রিত পানি সৃষ্টি করছে অস্বাস্থ্যকর বিপজ্জনক পরিবেশ। ফলে শঙ্কা বাড়ছে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড ও হেপাটাইটিস এ-এর মতো রোগের সংক্রমণের। ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পর্যাপ্ত সেবা নিশ্চিত করতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলোকে। এমন ক্রমবর্ধমান সঙ্কটে প্রতিটি মহল্লা বা পাড়া, পরিবার, এমনকি ব্যক্তি পর্যায় থেকেও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলুন, বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ থেকে দূরে থাকার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে করণীয়
পানি ফুটিয়ে নেওয়া
পানি থেকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও অন্যান্য পরজীবীর মতো ক্ষতিকারক রোগজীবাণু নির্মূল করার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে পানি ফুটানো। এর জন্য কমপক্ষে এক মিনিট থেকে সর্বোচ্চ তিন মিনিট পর্যন্ত পানি গরম করা উচিৎ। অতঃপর ঠান্ডা করে পান করা সহ প্রয়োজনীয় কাজে এই পানি ব্যবহার করা যাবে। ফুটানোর বিকল্প হিসেবে পানি পরিশোধন ট্যাবলেট বা পানির ফিল্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এগুলোর থেকে ফুটানোর মাধ্যমেই সবচেয়ে কার্যকরী ভাবে জীবাণু নির্মূল হয়। সর্বত ভাবে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বন্যার পর ডায়রিয়া বা কলেরার সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা যায়।
আরও পড়ুন: বন্যার সময় খাবার পানি পরিশোধিত করার উপায়
বন্যার পানি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা
পয়ঃনিষ্কাশন, রাসায়নিক পদার্থ এবং অন্যান্য আবর্জনার কারণে বন্যার পানি দূষিত হয়। প্লাবিত রাস্তাঘাটে যাতায়াতের সময় এবং ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়লে হরহামেশাই মানুষ এই দূষিত পানির সংস্পর্শে আসে। আর এ থেকেই তৈরি হয় নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি। বন্যার পানিতে থাকে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু, যা বিভিন্ন ভাবে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই সংস্পর্শ যতটা সম্ভব কমানোর জন্য পানিরোধী বুট এবং গ্লাভ্স পরা যেতে পারে। এছাড়া সংস্পর্শের সঙ্গে সঙ্গেই সাবান এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে সংস্পর্শে যাওয়া শরীরের স্থানটি ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই সাবধানতা ত্বকের সংক্রমণের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে।
ঘরবাড়ির মেঝে জীবাণুমুক্ত করা
অতিরিক্ত বন্যায় দূষিত পানি বাড়ির আঙ্গিনা সহ ঘরের ভেতরে ঢুকে যেয়ে সর্বত্রে রোগজীবাণু ছড়াতে পারে। গ্রামের ঘরবাড়ি এবং শহরের নিচ তলার বারান্দা ও ঘরগুলো এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তাই বাড়ির চারপাশ সহ ঘরের মেঝে, ফার্নিচার, দরজার হাতল এবং পানির কলগুলো জীবাণুমুক্ত করা আবশ্যক। এর জন্য এক গ্যালন পানিতে এক কাপ পরিমাণ ব্লিচ মিশিয়ে তৈরিকৃত দ্রবণ দিয়ে স্থানগুলো মুছতে হবে। পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে দ্রবণটিকে কমপক্ষে ১০ মিনিটের জন্য ভালভাবে মিশতে দিতে হবে। এ সময় হাতে ডিস্পোজেবল গ্লাভ্স পরতে হবে, আর ধোয়া-মোছার সময় জানালা খুলে দিয়ে ঘরে বায়ুচলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
শুকনো খাবার, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রী সংরক্ষণ
ভারী বর্ষণে এবং পরবর্তীতে বন্যার সময় দীর্ঘ সময় যাবৎ পানিবন্দি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমন অবস্থায় তাৎক্ষণিক ভাবে খাদ্যসামগ্রী, খাবার পানি এবং ঔষধপত্র সংগ্রহের উপায় থাকে না। তাই আগে থেকেই মুখবন্ধ পানিরোধী পাত্রে জরুরি খাবার এবং খাবার পানি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। টিনজাত এবং শুকনো খাবারের মতো অ-পচনশীল খাবার বা যেগুলোর জন্য খুব বেশি রান্নার প্রয়োজন হয় না এমন খাবার জমিয়ে রাখতে হবে। পানীয় এবং স্যানিটেশনের প্রয়োজনে পর্যাপ্ত পানি সঞ্চয় করতে হবে। সঞ্চয়ের তালিকায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দরকারি প্রতিটি ঔষধও রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বেই যেসব খাবার সংরক্ষণ করা জরুরি
বর্জ্য অপসারণ
নর্দমা এবং বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সামগ্রী বা ধ্বংসস্তূপের ময়লা-আবর্জনার যথাযথ নিষ্পত্তি দরকার। বর্জ্যের জন্য নির্দিষ্ট বিন ব্যবহার এবং তা সময়মতো অপসারণ করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। ধোঁয়া ছড়াতে পারে এমন পোড়া উপকরণগুলোর নিষ্পত্তির সময় যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। সিটি করপোরেশনের নিয়োজিত আবর্জনা সংগ্রহকারী কর্মীরা যথাসম্ভব দ্রুত বর্জ্য অপসারণে সক্রিয় থাকছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই বিষয়ে এলাকার সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কেননা অব্যবস্থাপনার শিকার হওয়া বর্জ্য হেপাটাইটিস ই এবং গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসের মতো রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটায়।
বৃষ্টির পানি কাজে লাগানো
বন্যার সময় যখন পানির প্রায় সব কৃত্রিম উৎসগুলো দূষিত হয়ে যায়, তখন বৃষ্টির পানি হতে পারে সব থেকে মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। খোলা জায়গায় মুক্ত ভাবে পড়ন্ত বৃষ্টির পানি সরাসরি একটি পরিষ্কার পাত্রে সংগ্রহ করা যায়। যেখানে এই সুযোগ নেই সেখানে পানি সংগ্রহের পর তা একটি পরিষ্কার কাপড়ের মাধ্যমে ফিল্টার করতে হবে। অতঃপর কমপক্ষে এক মিনিট সিদ্ধ করে যাবতীয় রোগজীবাণু মেরে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন: স্পঞ্জ সিটি: ঢাকা ও অন্যান্য শহরে বন্যা-জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান
৪ মাস আগে
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, বাড়ছে পানিবাহিত রোগ
সিলেটে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও জেলায় প্রায় ৪ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। এর মধ্যে জেলাজুড়ে ৬৫১ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৯ হাজার ৬৩৫ জন মানুষ। বাকিরা কেউ স্বজনের বাড়ি, কেউবা ঘরের মধ্যে মাচা বানিয়ে বসবাস করছেন।
এছাড়াও বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নানা রকমের পানিবাহিত রোগ। রোগ-বালাই বাড়ার কারণে বন্যার্তরা আরও দুর্ভোগে পড়েছেন।
কুশিয়ারা তীরবর্তী জনপদ জকিগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, দক্ষিণ সুরমা, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
এদিকে, সুরমা তীরবর্তী জনপদ গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। এসব উপজেলায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা বন্যার্তরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।
সিলেটে বন্যাকবলিত হয়েছে ১৩ উপজেলার ১০১টি ইউনিয়ন ও কয়েকটি পৌরসভা। প্লাবিত হয়েছে ১ হাজার ১১৬টি গ্রাম।
এদিকে বন্যা দুর্গত এলাকায় বাড়ছে পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। দূষিত পানি পান ও বানের পানিতে চলাফেরা করায় ডায়রিয়া, চর্মরোগ ও চোখের রোগ দেখা দিয়েছে দুর্গতদের।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার মধ্যেই মঙ্গলবার এইচএসসি পরীক্ষা শুরু
জানা গেছে, সিলেটে এখন পর্যন্ত ১৩৬টি মেডিকেল টিম স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। ৮১ জন ডায়রিয়ায় ও ৩২ জন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ জন। চোখের রোগে আক্রান্ত রয়েছেন ৫ জন। এ ছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্ত আরও ৬৫৩ জন। তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত বলেন, 'বন্যা পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মেডিকেল টিম কাজ করে যাচ্ছে। পানিবাহিত রোগ মোকাবিলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে রোগীদের।'
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. আনিসুর রহমান বলেন, 'বন্যা পরবর্তীতে নানা রোগবালাই দেখা দেয়, এটা স্বাভাবিক। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। বন্যাদুর্গতদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য বিভাগে আমাদের ৪০৩টি মেডিকেল টিম কাজ করে যাচ্ছে।'
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস বুলবুল বলেন, 'বিগত বন্যা থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫৫ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৬০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ১৪ হাজার ৫৫৬ বস্তা শুকনা খাবার, ২০ লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও ২০ লাখ টাকার গোখাদ্য উপবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।'
এদিকে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত ৩০ জুন থেকে শুরু হলেও বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত ছিল। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) থেকে সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় পরীক্ষা শুরু হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ১০টায় এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে সিলেট বিভাগে। পরীক্ষার সময় ছিল ৩ ঘণ্টা। সিলেট শিক্ষাবোর্ডের ৪ জেলার ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের ৮২ হাজার ৭৯৫ জন শিক্ষার্থী এবার এইচএসসিতে অংশ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি
৪ মাস আগে
সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমছে, তবে আটকে পড়া বর্জ্যে দুর্ভোগ
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি শুক্রবার সকালে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পচা বর্জ্যের দুর্গন্ধে পৌর এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরবাসী।
সরজমিনে উত্তর আরপিন নগর, সাহেব বাড়ি ঘাট, মোদ্দো বাজার, সুরমা মার্কেট, আলফাত স্কয়ার পয়েন্ট, কালিবাড়ি, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, জামাই পাড়া, হাজির পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানিতে জমে থাকা বর্জ্য দেখা গেছে।
পানি কমতে শুরু করলেও এলাকার বাসিন্দারা নিত্যকাজে বাড়ির বাইরে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
উত্তর আরপিন নগর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, এলাকায় এত দুর্গন্ধ যে সকাল থেকেই বাড়ি থেকে বের হতে পারিনি।
নতুন পাড়া এলাকার অসীম রায় বলেন, বন্যার পানি কমেছে কিন্তু এই পচা বর্জ্যের কারণে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
তবে সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, পানি সরে যাওয়ার পরপরই কর্তৃপক্ষ শহর পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ হোসেন জানিয়েছেন, পানিবাহিত রোগে এখনো কেউ অসুস্থ হয়নি। তবে ১২৩ টি মেডিকেল টিম সেবা দিতে প্রস্তুত আছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ
২ বছর আগে
রাঙামাটিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ
রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলায় গত দুই দিনে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং আরও প্রায় ৭০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
রবিবার জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অনন্যা চাকমা জানান, শুক্রবার আমতলা গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাঙাবী চাকমার ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
তিনি জানান, জুরাছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দিতে পাঁচটি মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
শুক্রবার উপজেলার মৈদং ইউনিয়নের পাহাড়ি আমতলা গ্রামের ডায়রিয়া আক্রান্ত ১০ রোগীকে রাঙামাটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলা বাদলহাটছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মঙ্গল চাকমা জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টির পর পানিবাহিত রোগের খবর পাওয়া গেছে।
সরজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
দুই বছরের শিশু অমর শান্তি চাকমার মা সঞ্জারিকা চাকমা জানান, গত দুই দিন ধরে তার ছেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অমর সুস্থ হয়ে উঠছে তবে তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও আক্রান্ত হয়েছেন।
জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা জানান, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত মেডিকেল টিম ওই এলাকায় থাকবে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
২ বছর আগে
কয়রার প্লাবিত এলাকায় পানিবাহিত রোগ, খাবার ও চিকিৎসক ‘সংকট’
‘ঘরের চারপাশে পানি। সে পানিতে এখন তিক্ত গন্ধ। ঘরেও টিকতি পারিনে। আবার পানিতি নামলিও গায়ে পায়ে চুলকানি শুরু হয়। এরমধ্যি ছোট ছাওয়ালডার (ছেলের) ৩ দিন ধরি পাতলা পায়খানা। পানির মধ্যি ডাক্তারও আসে না। পাশের বাড়ির এক দাদাকে বইলে সেলাইন আনাই খাবাইছি।’
৪ বছর আগে