নিষ্ক্রিয়
কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে পাওয়া বোমাটি ১০ ঘণ্টা পর নিষ্ক্রিয়
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড (চিনিকল) চত্বরে ঝোপের মধ্যে একটি সন্দেহজনক বোমাসদৃশ বস্তুটি আসলেই বোমা ছিল। কেরুজ ক্লাবের পাশে টানা ১০ ঘণ্টা পাহারা দেওয়ার পর বোমাটি উদ্ধার করে রাজশাহী র্যাব-৫ এর প্রশিক্ষিত দল। শেষপর্যন্ত বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে তারা।
র্যাব-৫ এর প্রশিক্ষিত দল গতরাত (বৃহস্পতিবার) ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে আধুনিক পদ্ধতিতে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। বিকট শব্দে বোমাটি ফাটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে দলটি।
জনবহুল এলাকায় শক্তিশালী বোমা পাওয়ার খবরে পুরো এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী কোম্পানির জেনারেল অফিস ও ক্লাবের পাশের ঝোপের মধ্যে লাল টেপ মোড়ানো বোমাসদৃশ একটি বস্তু দেখতে পান। সন্দেহজনক বস্তুটি দেখে তারা দর্শনা থানা পুলিশ ও সেনাক্যাম্পে খবর দেন। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে সেনাবাহিনী চলে গেলেও পুলিশ ও কেরুর নিরাপত্তাকর্মীরা সেটি পাহারা দেয়। এরপর রাজশাহী র্যাব-৫ এর প্রশিক্ষিত দলটি এসে বোমাটি উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, ‘রাজশাহী র্যাব-৫ এর বোম ডিসপোজাল টিম এসে বোমাটি উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করেছে। আমরা প্রকৃত ঘটনা কী এবং কে বা কারা বোমাটি রেখেছে—সে বিষয়ে তদন্ত করছি। শিগগিরই প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন ও অপরাধী শনাক্ত করা হবে।’
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আল ফারুক ওমর শরীফ গালিব ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হাসান বলেন, বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। আমরা প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনে পুলিশকে সাহায্য করছি।
এদিকে, এ ঘটনা নিয়ে নানা গুজব ও জল্পনা শুরু হয়েছে কেরু চিনিকল এলাকায়। কেউ কেউ বলছেন, এই ঘটনা সদ্য স্থগিত হয়ে যাওয়া শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে কোনো পক্ষ করেছে। এটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলেও নাম প্রকাশ না করে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
৫৬ দিন আগে
১৬টি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করল বোম ডিসপোজাল ইউনিট
গাজীপুরে জোড়পুকুরপাড় এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া ১৬টি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করেছে বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এএসপি মাহমুদুজ্জামানের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শিবগঞ্জে নদী থেকে গ্রেনেড উদ্ধার
তারা দুইটি রোবটসহ ঘটনাস্থলে বোম শনাক্ত করার যন্ত্রপাতি দিয়ে গ্রেনেডগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করে।
এ বিষয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এএসপি মাহমুদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে বোম ডিসপোজাল ইউনিট দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে আসেন।
এরপর রোবটের সাহায্যে মাটির মটকার ভেতরে পলিথিন মোড়ানো গ্রেনেডগুলোর পিন পরীক্ষা করা হয়। পরে দুইজন সদস্য নেমে ১৬টি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেনেডগুলো কত আগের বা কোন দেশের তৈরি তা জানতে এগুলোর নমুনা বিস্ফোরক অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মাটির নিচে গ্রেনেড সদৃশ বস্তু উদ্ধার
চট্টগ্রামে কবর খুঁড়তে গিয়ে মিলল যুদ্ধকালীন গ্রেনেড
২৭৬ দিন আগে
আখাউড়ায় পরিত্যক্ত মর্টার শেল নিষ্ক্রিয়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা থেকে উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে কুমিল্লা সেনানিবাসের মেজর ফাহমিদা সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১১ সদস্য বিশিষ্ট বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।
১৭৬৩ দিন আগে