সংঘাত
সুদানে চলমান সংঘাতে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
সুদানে চলমান সংঘাতে শিশুসহ অসংখ্য লোক ধর্ষণ এবং বিভিন্নভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে, যা যুদ্ধাপরাধের সমান হতে পারে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের রাজধানী খার্তুমে জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহানের নেতৃত্বাধীন দেশটির সামরিক বাহিনী এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস নামে পরিচিত আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সময়টা ভালো নয়: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার দেশটিতে বিশেষত শহরাঞ্চল এবং গোলযোগপূর্ণ পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর অঞ্চলেও এই লড়াই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ নিহত এবং ৮০ লাখেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
লড়াইয়ের শুরু থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের ঘটনাগুলো ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি সাহায্যদাতা গোষ্ঠী ও অধিকার পর্যবেক্ষকরা অনেকাংশে ঢুকতে পারছেন না, এমন কিছু স্থানের নির্যাতনের নথিতুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে গাজা ও ইউক্রেনের মতো জায়গায় যুদ্ধের কারণে এ সংঘাতের প্রভাব অনেকটা ঢাকা পড়ে গেছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ১১৮ জন ধর্ষণসহ যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন – যার বেশিরভাগই বাড়িতে ও রাস্তায় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, এক নারীকে একটি ভবনে আটকে রাখা হয় এবং ৩৫ দিন ধরে তাকে বারবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
উভয় পক্ষের মধ্যেই শিশু সৈনিক নিয়োগ করা হয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবিদেনে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের দ্রুত, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভোলকার টার্ক বলেন, ‘এসব লঙ্ঘনের কিছু ঘটনা যুদ্ধাপরাধের শামিল।’
এই প্রতিবেদন ৩০০ জনেরও বেশি ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ইথিওপিয়া ও চাদে অনেক সুদানি পালিয়ে গেছে। সেখান থেকেও কিছুটা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোর ফটোগ্রাফ, ভিডিও ও উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গত সপ্তাহে দেশটির উত্তর কোরদোফান রাজ্য থেকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর বরাত দিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, সুদানের সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরা ব্যক্তিরা প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক গোষ্ঠীর সদস্যদের বিচ্ছিন্ন মাথা বহন করছে।
টার্ক বলেন, ‘প্রায় এক বছর ধরে সুদান থেকে মৃত্যু, দুর্ভোগ ও হতাশার বিবরণ বেরিয়ে আসছিল। অর্থহীন সংঘাত, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে যার কোনো শেষ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বন্দুক বন্ধ করতে হবে এবং বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।’
শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেনিয়ার নাইরোবি থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের আঞ্চলিক মুখপাত্র সাইফ মাগানগো বলেন, '(সুদানে) বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এখন ৮০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যা সবার জন্য উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত।’
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, সুদানের সংঘাতের কোনো সামরিক সমাধান নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, অব্যাহত লড়াই কোনো সমাধান বয়ে আনবে না, ‘তাই আমাদের অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি বন্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের বিষয়ে ইসরাইলের শুনানি শুরু জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে
৮ মাস আগে
মিয়ানমারে সংঘাত ও সীমান্ত সমস্যা নিয়ে যা বললেন কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের এ নিয়ে কোনো বিরোধ নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কিছু থাকলে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে জানানোর পাশাপাশি বিষয়টি জাতিসংঘের নজরে আনবে বাংলাদেশ।’
আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা আন্তর্জাতিকভাবে সমাধানের প্রয়াস চলছে। শুধু মিয়ানমার নয়, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাই না। যেকোনো সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আমাদের সিদ্ধান্ত আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যদি মিয়ানমারের দ্বন্দ্বের কোনো বিষয় আসে তাহলে জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। আন্তর্জাতিক ফোরাম আছে। জাতিসংঘ যেহেতু আছে তাদেরও একটা ভূমিকা থাকবে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘মিয়ানমার সীমান্ত যা ঘটছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের অভ্যন্তরীণ কনফ্লিক্ট সীমান্ত পর্যন্ত গড়াচ্ছে। তাদের গোলা, মর্টার শেল ছিটকে পড়ছে আমাদের এখানে। আমাদের দুজন নাগরিক মারা গেছে।’
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের মনোনয়ন দিবে আওয়ামী লীগ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের পর থেকেই পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে কাজ শুরু করে দেন। জেলা সফরে গিয়েও যোগ্য কাউকে দেখলে তার নাম লিখে রাখেন। সময়মতো সেটা কাজে লাগান।
এর আগে সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলব
সেনা সদস্যসহ আরও ১২৩ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে: বিজিবি
৮ মাস আগে
নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘাত-বিশৃঙ্খলায় ব্যবস্থা নেওয়া ইসির দায়িত্ব: কাদের
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচন বিমুখ করতে পারেনি। জনগন পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। এ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কোথাও থামবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিল তা এখনো অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এজন্য ভোট দিতে তারা উন্মুখ হয়ে আছে।’
চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র করে মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে এবং আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আ. লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান কাদেরের
১১ মাস আগে
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের নারী ও শিশু হত্যার নিন্দা ঢাকার
গাজায় নারী ও শিশুসহ ক্রমবর্ধমান বেসামরিক হতাহতের পাশাপাশি ইসরাইলের অযৌক্তিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় এড়ানোতে অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদান এবং এই অঞ্চলে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া এই অঞ্চলে স্থায়ী সমাধান ও শান্তির জন্য ইউএনএসসি রেজুলেশনের ভিত্তিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। এরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশিদের আন্তরিক সমর্থনের প্রশংসা করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রামাদান বৃহস্পতিবার বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা ইসরাইলকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমরা আপনার অর্থ চাই না তবে আপনার পূর্ণ সমর্থন ও ভালোবাসা চাই। ফিলিস্তিন চায় বিশ্ব ফিলিস্তিনের পাশে থাকুক। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে হবে। এটা (যা ঘটছে) অগ্রহণযোগ্য।’
বৃহস্পতিবার ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রের ১৫ জন রাষ্ট্রদূত ও চার্জি ডি'অ্যাফেয়ার্স ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি ও সমর্থন এবং ইহুদিবাদী দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে তাদের বৈধ সংগ্রামের প্রতি সংহতি ও সমর্থন ব্যক্ত করেন।
এদিকে এ সময় হাজার হাজার তরুণ বাংলাদেশিও এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে যোগ দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের প্রতি সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি ভাই-বোনদের ভালোবাসা, সমর্থন ও শ্রদ্ধা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: গাজায় ‘আকাশ, সমুদ্র ও স্থল’ হামলার প্রস্তুতি চলছে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী
গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
১ বছর আগে
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বাংলাদেশের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার(১৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের শিবের বাজারে জিসি-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক নেই এবং আমরা তাদের স্বীকৃতিও দেইনি। চলমান সংঘাতের কারণে পুরো বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা কিছু সমস্যার কারণ হতে পারে।’
তিনি বলেন, 'আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছি এবং শান্তি চাই। ফিলিস্তিন-ইসরায়েলকে দুটি অঞ্চলে বিভক্ত না করা পর্যন্ত সেখানে কোনো শান্তি আসবে না।
এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সারা দেশে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হাজার হাজার মুসল্লি।এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা ইসরায়েলকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমরা আপনার অর্থ চাই না তবে আপনার পূর্ণ সমর্থন এবং ভালবাসা চাই। ফিলিস্তিন চায় বিশ্ব ফিলিস্তিনের পাশে থাকুক। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
এদিকে গাজায় খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও জরুরি সরবরাহের সংকট দেখা দিয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলো।
আরও পড়ুন: জনশক্তি সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করতে আগ্রহী ওমান
অবরুদ্ধ গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য বাইরে থেকে কোনো সহায়তা আসতে পারে না এবং প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।
গত সপ্তাহে শুরু হওয়া চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশিদের ভালোবাসা ও সমর্থন দেখে অভিভূত: রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ‘ক্রমবর্ধমান সংঘাত, সামরিক অভ্যুন্থান’ নিয়ে উদ্বিগ্ন ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব মোমেন
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ‘ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং সামরিক অভ্যুন্থান’ সহ এসডিজি, জলবায়ু পদক্ষেপ এবং মানবিক পদক্ষেপের সঙ্গে তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলো বৈশ্বিক এজেন্ডা থেকে পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ঢাকার ‘উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বৃহস্পতিবার বৈশ্বিক বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকার এই উদ্বেগের কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এক পৃথিবী এবং এক মানবতার সুবিধার জন্য তার বিশ্বব্যাপী অবস্থান এবং প্রসার লাভ করে সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এবং আন্তর্জাতিক সম্মিলিত পদক্ষেপের গতি বাড়াতে আমরা ভারতীয় জি-২০ নেতৃত্বের উপর নির্ভর করি।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জি-২০ সামিট: ঢাকা টু নয়া দিল্লি’ শীর্ষক একটি ইভেন্টের সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব তাদের অভিন্ন ভবিষ্যত গঠনে যুবকদের কণ্ঠস্বর অন্তর্ভুক্ত করার গুরুত্বের উপরও জোর দেন।
আরও পড়ুন: আগামী দিনে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা আরও গভীর হবে: উজবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষার্থীও বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মাসুদ মোমেন বলেছিলেন, তারা আত্মবিশ্বাসী যে আসন্ন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখোমুখি সমালোচনামূলক সমস্যাগুলো তুলে ধরতে সহায়তা করবে কারণ জাতিসংঘ মহাসচিব তাদের আগামী বছর ভবিষ্যতের শীর্ষ সম্মেলনে নিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান অনিশ্চিত সময়ে জাতীয় প্রেক্ষাপটে সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশে তারা আসন্ন বহুপক্ষীয় ফোরামে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার অপেক্ষায় রয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন,তারা বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত সংস্কারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সালের এজেন্ডার কাঠামোর মধ্যে সহনশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য তাদের আওয়াজ তুলতে থাকবে।
অনুষ্ঠানে তিনটি প্যানেল নিয়ে আলোচনা হয়েছে নারী ও উন্নয়ন; সবুজ উন্নয়ন এবং ডিজিটাল উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই এবং অন্যান্য ফ্রন্টে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করতে হবে। যাতে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের এসডিজিতে পৌঁছাতে পারি না, বরং একটি উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে উপলব্ধি করতে পারি।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারত জি-২০ প্রেসিডেন্সিতে একটি দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন এনেছে এবং বেশিরভাগ সীমান্তবর্তী গ্লোবাল সাউথকে তার এজেন্ডার সামনে ও কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জোহানেসবার্গে সদ্য সমাপ্ত ব্রিকস সম্মেলনে একই ধরনের প্রবণতা প্রত্যক্ষ করেছি যেখানে আফ্রিকার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল।’
মাসুদ মোমেন বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন ৭৮তম অধিবেশনের প্রাক্কালে এই দুটি শীর্ষ সম্মেলন সম্ভবত বহুপক্ষীকতাকে পুনরুজ্জীবিত করতে গ্লোবাল সাউথের একটি নতুন পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়, যা সত্যিকার অর্থে তাদের উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে।
তিনি বলেন, চলতি বছর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ নিয়ে অগ্রগতির পর্যালোচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ‘সোনালী অধ্যায়ে’ আরেকটি পালক যোগ করবে: মোমেন
১ বছর আগে
সংঘাতজনিত বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রদূত মুহিতের
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেছেন, সংঘাত-জনিত বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। এর জন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সংহতি।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) নিরাপত্তা পরিষদে ‘দুর্ভিক্ষ ও সংঘাতজনিত বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা’ শীর্ষক এক উচ্চ পর্যায়ের বিতর্কে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন তিনি।
আগস্টে (২০২৩) নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তায় চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাবের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত মুহিত এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপের কথা পরিষদে উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির 'নীরব সাক্ষী' জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ: রাষ্ট্রদূত মুহিত
তিনি উল্লেখ করেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থায় বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার প্রদানসহ বেশ কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে।
মুহিত আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অভ্যন্তরে দেশীয় খাদ্য উৎপাদনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং প্রতিটি বাড়িতে অব্যবহৃত জমি চাষ করার জন্য দেশের সকল জনগণের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন।
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপকে জোরদার করার জন্য স্থায়ী প্রতিনিধি সংঘাতকালীন সময়ে খাদ্যের মূল্য এবং প্রবেশাধিকারকে প্রভাবিত করে এমন অন্তর্নিহিত কারণগুলোকে মোকাবিলার ওপর জোর দেন।
এই বিষয়ে তিনি আন্তর্জাতিক বাজার উন্মুক্ত রাখতে, অপ্রয়োজনীয় রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা অপসারণ করতে এবং খাদ্য মজুদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান।
তিনি সারা বিশ্বে খাদ্য সরবরাহে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে 'ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ' চালু রাখার ওপরও জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত খাদ্য নিরাপত্তায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রশমনে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা, জলবায়ু অর্থায়ন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত
দুর্ভিক্ষ ও অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মুহিত সকল সদস্য রাষ্ট্রকে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে অনাহারকে কাজে লাগানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন এবং বিবাদমান পক্ষগুলোকে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতিসমূহ মেনে চলার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রোহিঙ্গা সংকট এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গাদের অনুকূলে বরাদ্দ আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের ঘাটতির প্রতি পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন সক্ষম করতে মিয়ানমারে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে তিনি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের অনুকূলে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ৩ সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত মুহিত
১ বছর আগে
পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, ২৭ জুলাই রাজধানীতে বিরোধী দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল তাদের পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের উসকানিমূলক পদক্ষেপের কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
সোমবার (২৪ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন এই অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা বেশ কয়েকদিন ধরে গুরুতর হুমকি দিচ্ছেন। এ ছাড়া সরকারের বিশেষ ব্যক্তিরা উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, উসকানিমূলক কাজও করছেন।
তিনি বলেন, নগরীতে ২৪ জুলাই যুবলীগের সমাবেশ ছিল। কিন্তু বিএনপির মহাসমাবেশের কারণে তারা সেটি পিছিয়ে ২৭ জুলাই নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে তারা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ফখরুল আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সন্ত্রাসীদের মতো ভাষা ব্যবহার করছেন। তবে দেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, তাদের দল শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। যদিও সম্প্রতি তাদের দুই নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং অনেককে হামলা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা আশা করি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ একটি ভয়াবহ সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াবে এবং সরকার তা নিশ্চিত করবে।
তাদের সমাবেশের স্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছেন। শিগগিরই সমাবেশস্থলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
ফখরুল আশা প্রকাশ করেন, ডিএমপি কর্তৃপক্ষ তাদের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ সফল করতে বিএনপিকে সহযোগিতা করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, চলমান এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করার বার্তা দেবে তারা।
তিনি বলেন, এটি জনগণের আন্দোলন এবং আমি অবশ্যই এই আন্দোলন সফল করব।
মহাসমাবেশ সফল করতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন এবং ঢাকাসংলগ্ন বিভিন্ন জেলা ইউনিটের যৌথসভা শেষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চায়।কারণ তারা ভালো করেই জানে যে তারা বৈধ নয়।
তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়াচ্ছে।
সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো- তারা আমাদের কথা বলার, মতামত প্রকাশ করার এবং সমাবেশ ও সভা করার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
১ বছর আগে
ইথিওপিয়ার আফারে খরা ও সংঘাতে ৩৫ শিশুর মৃত্যু
ইথিওপিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের আফারে খরা ও সংঘাতের কারণে সাম্প্রতিক সপ্তাহে অন্তত ৩৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির স্থানীয় একটি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের জনহিতকর সংস্থা ডক্টরস উইদআউট বর্ডার জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডক্টরস উইদআউট বর্ডার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘শুধু গত আট সপ্তাহে ৩৫ জন শিশু মারা গেছে এবং তাদের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছে।’
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় গ্রুপের জরুরি সমন্বয়কারী রাফেল ভিচট বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো আমরা শুধু মূল সমস্যার শুরুটা দেখতে শুরু করেছি এবং এটি ইতোমধ্যেই অপ্রতিরোধ্য।’
গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার সম্মুখীন হচ্ছে ইথিওপিয়া। এছাড়া ২০২০ সালের নভেম্বরে ইথিওপিয়ার প্রতিবেশী তাইগ্রে অঞ্চলে শুরু হওয়া যুদ্ধের কিছু মারাত্মক লড়াই দেখেছে আফার অঞ্চল।
আফারের দুবতি হাসপাতাল এই অঞ্চলের বৃহত্তম হাসপাতাল এবং ১০ লাখের বেশি মানুষকে সেবা দিয়ে থাকে। এ হাসপাতালের পরিচালক হুসেইন আদেম দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, তাইগ্রের সীমান্তবর্তী সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লোকেরা আসছে।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক রাজধানী মেকেলে 'সম্পূর্ণ দখলে' নেয়ার দাবি ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে অপুষ্টিতে আক্রান্ত ও অসুস্থ শিশুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তাই শিশুদের মধ্যে মৃত্যুর হারও বাড়ছে।’
তার দলের সদস্যরা কয়েকজনকে অন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পাঠানোর চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালের ওয়ার্ড পূর্ণ। তাই তাঁবু ব্যবহার করছি। এমনকি এটিও পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা করিডোরে তাদের কয়েকজনের চিকিৎসা করছি।’
জাতিসংঘ ও ইথিওপিয়ান সরকার উভয়ের পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করছে, দেশটির অন্যান্য অংশেও লাখো ইথিওপিয়ান খাদ্য সংকটের মুখোমুখি।
ইথিওপিয়ার পরিকল্পনা ও উন্নয়নমন্ত্রী ফিটসুম আসসেফা সোমবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বলেছেন, দক্ষিণ, ওরোমিয়া ও সোমালি অঞ্চলে সাত দশমিক চার মিলিয়ন মানুষের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। তাইগ্রেতে আরও পাঁচ দশমিক দুই মিলিয়ন, আফারে প্রায় ছয় লাখ ও আমহারা অঞ্চলে আট দশমিক সাত মিলিয়নের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। এসব মানুষ সরকার ও দাতাদের মাধ্যমে সহায়তা পাচ্ছে।
তবে এ প্রচেষ্টাকে ‘বড় সাফল্য’ উল্লেখ করে তিনি প্রাণহানিকে অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ইথিওপিয়ায় কলেরায় আক্রান্ত ৬৭৮৯: জাতিসংঘ
২৫ ফেব্রুয়ারি ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ এক টুইটবার্তায় সতর্ক করে বলেন, পূর্ব আফ্রিকার দেশটির সোমালি ও বোরানা অঞ্চলে খরাজনিত ক্ষুধা ‘শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে প্রাণহানি ঘটাচ্ছে’।
তিনি বলেন, ‘যদি বর্ষা শুরুর জন্য অপেক্ষা করি তাহলে আমরা আমাদের অনেক নাগরিক হারাবো।’
মঙ্গলবার জাতিসংঘ ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, ইরিত্রিয়া ও জিবুতিতে চার দশমিক দুই মিলিয়ন মানুষকে সাহায্য করার জন্য ৮৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আবেদন করেছে। এসব মানুষের অর্ধেক শিশু।
সংস্থাটি বলছে, ‘এ অঞ্চলের পুষ্টি পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক কেননা অপুষ্টির হার বাড়ছে, বিশেষ করে ইথিওপিয়ায় এবং কেনিয়া ও সোমালিয়ার শুষ্ক ও আধা-শুষ্ক ভূমিতে।’
২ বছর আগে
সংঘাতের পরিণতিতে সাড়া দেয়ার চেয়ে প্রতিরোধে বিনিয়োগ ভালো: ঢাকা
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেছেন, সংঘাতের পরিণতিতে প্রতিক্রিয়া দেখানোর চেয়ে প্রতিরোধে বিনিয়োগ করা সবসময়ই ‘ভালো এবং বুদ্ধিদীপ্ত’ কাজ।
বুধবার জাতিসংঘে শান্তি বিনির্মাণের জন্য অর্থায়ন বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
শান্তি বিনির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত, অনুমেয় ও টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিতকরণের জন্য এ বৈঠকে সদস্য দেশগুলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ এবং সচিবালয়, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (আইএফআইএস) এবং নাগরিক সমাজের সংস্থাগুলোকে একত্র করেছে।
শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের চেয়ার হিসেবে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা কমিশনের পক্ষে একটি বিবৃতি প্রদান করেন। যাতে সাধারণ পরিষদের উদ্দেশে শান্তিপ্রতিষ্ঠার অর্থায়ন সংক্রান্ত বিবেচনার জন্য কিছু বাস্তবসম্মত সুপারিশ ছিল।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন থেকে প্রাপ্ত বার্তা অনুসারে জানা যায়, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থায়ন একটি দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগ। ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং করোনা মহামারির কারণে আগের দুর্বলতাগুলো আরও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘এই উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকটি শান্তি বিনির্মাণ অর্থায়নের জন্য সমস্ত বিকল্প যেমন- স্বেচ্ছাসেবী এবং নির্ধারিত উৎসসমূহের পাশাপাশি উদ্ভাবনী উৎসগুলোকে বিবেচনা করার একটি সুযোগ দেয়। যাতে এই বিষয়ে সত্যিকার অগ্রগতি হয়।’
রাষ্ট্রদূত-অ্যাট-লার্জ সফল জাতি গঠনে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের জন্ম একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ থেকে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন
২ বছর আগে