এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এডিবি: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা-তুরাগ-বালুসহ গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর জন্য নিম্ন-ব্যয়ের দূষণমুক্তকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশকে সহায়তা করবে এডিবি।’
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: জিডিপি প্রবৃদ্ধির চেয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
বৈঠকে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রমে বেসরকারি খাত ও যুবসমাজকে যুক্ত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়।
তিনি দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় এডিবির সহায়তা চান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বাংলাদেশে পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্পে এডিবির চলমান সহায়তার জন্য প্রশংসা করে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সহিষ্ণুতার ক্ষমতা শক্তিশালী করা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্য অব্যাহত সহযোগিতার ওপর জোর দেন।’
এছাড়া উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা এই চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলার জন্য উদ্ভাবনী পন্থা এবং অর্থায়ন ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন।
এডিমন গিন্টিং বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে সহায়তার জন্য এডিবির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নদী পরিষ্কারের প্রচেষ্টায় সহায়তার ঘোষণা দেন। এছাড়া তিনি তাদের উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর পরিবেশ উপদেষ্টাকে আগামী ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর ম্যানিলা, ফিলিপাইনসর এডিবি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানিং ফোরামের উচ্চ পর্যায়ের সেশনে বক্তা হিসেবে অংশ নেওয়া আমন্ত্রণ জানান।
পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও মন্ত্রণালয় ও এডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি বাংলাদেশের পরিবেশগত স্থিতিশীলতা ও জলবায়ু সহনশীলতা প্রচারে অব্যাহত অংশীদারিত্বের জন্য একটি যৌথ প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে সারাহ কুকের সাক্ষাৎ, জলবায়ু পরিবর্তন-জ্বালানি রূপান্তর সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা, উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান
৪ মাস আগে
কার্যকরী-গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজে আগ্রহী এডিবি: ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্গব দাশগুপ্ত
জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে এবং কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন বাড়িয়ে দিতে আগ্রহী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
শুক্রবার (৩ মে) ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (মার্কেট সলিউশন) ভার্গব দাশগুপ্ত।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্যান্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে খুব প্রভাব বিস্তারকারী, খুব কার্যকরী এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চাই।’
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর দায়িত্ব নেওয়া দাশগুপ্ত বলেন, তাদের মতে জ্বালানির উৎসের বৈচিত্র্য আনতে বাংলাদেশের অনেক আগ্রহ রয়েছে।
তিনি বলেন, 'কীভাবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং একসঙ্গে কাজ করতে পারি তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যবসার ক্ষমতায়ন ও বিনিয়োগ উন্মুক্ত করা যায় এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকারের অগ্রগতিতে সহায়তা করা যায় এমনভাবেই এডিবির বেসরকারি খাতের কার্যক্রমগুলো সাজানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রবীণদের জন্য আরও বেশি বরাদ্দ দিতে জোর দিয়েছে এডিবি
গ্রাহকদের উদ্ভাবনমূলক সমাধান দেওয়ার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং লিঙ্গ সমতার মতো জটিল উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে এডিবি।
দাশগুপ্ত এডিবির প্রাইভেট সেক্টর অপারেশনস ডিপার্টমেন্ট ও অফিস অব মার্কেটস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। এডিবি এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকারগুলোর জন্য অন্যতম 'সম্মানিত ও বিশ্বস্ত' অংশীদার।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময়ের মতো ভালো কাজগুলো অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছি।’
এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা বেসরকারি খাতে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন, তবে তাদের এই ভূমিকা আনুপাতিক হারে বাড়াতে হবে বলে।
এডিবি ২০২১ সালে তাদের জলবায়ু অর্থায়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ ২০১৯ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিল। যার মধ্যে ক্রমবর্ধমান অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য ৩৪ বিলিয়ন ডলার এবং ক্রমবর্ধমান প্রশমনে ৬৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছিল।
এডিবি ২০৩০ সালের মধ্যে বেসরকারি খাতে জলবায়ু অর্থায়নে ১২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে টেকসই ও জলবায়ুবান্ধব ব্যবসা বিকাশে সহায়তা করতে অতিরিক্ত ১৮ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার জমা করতে চায়।
২০২২ সালে এডিবি নিজস্ব সম্পদ থেকে ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নে দিয়েছে, যার মধ্যে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতা এবং ৪ বিলিয়ন ডলার প্রশমন বিষয়ে।
আরও পড়ুন: এডিবির বার্ষিক সভা: এডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক
এডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, তাদের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে নেট জিরো লক্ষ্য অর্জনে এশিয়ার ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
বেসরকারি খাতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পাবনায় ১০০ মেগাওয়াট গ্রিড-সংযুক্ত সোলার ফটোভোলটাইক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য এডিবি গত মাসে ডায়নামিক সান এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারের একটি অর্থায়ন প্রকল্প সই করেছে।
বৈশ্বিক অর্থায়নকারীদের সহায়তায় এটি দেশের প্রথম বেসরকারি খাতের ইউটিলিটি-স্কেল সোলার ফ্যাসিলিটি।
এডিবি একমাত্র সমন্বয়কারী ও ব্যবস্থাপক হিসেবে এই ঋণ প্রকল্প সাজানো, কাঠামো তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ করছে।
এই অর্থায়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- এডিবি থেকে ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ, এডিবির রেকর্ড ঋণদাতা হিসেবে এডিবির সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তাকারী আমস্টারডামভিত্তিক ইমার্জিং মার্কেট প্রাইভেট ক্রেডিট ফান্ড আইএলএক্স ফান্ড আই থেকে ২ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার ডলারের একটি সিন্ডিকেটেড বি-ঋণ এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলারের সিন্ডিকেটেড সমান্তরাল ঋণ।
এডিবির প্রাইভেট সেক্টর অপারেশনস ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক সুজান গ্যাবৌরি বলেন, ‘এশিয়ার জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে এডিবি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা করার সুযোগ সাদরে গ্রহণ করছে, যেখানে এ ধরনের প্রকল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন পাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্লিন এনার্জি সুবিধাগুলোর জন্য অর্থায়ন জোগাড় করতে এবং যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে বিনিয়োগ বাড়াতে উৎসাহিত করতে এই অংশীদারিত্ব আমাদের ভূমিকাকে তুলে ধরবে।’
সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বার্ষিক ঘণ্টায় ১৯৩.৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং বার্ষিক ৯৩ হাজার ৬৫৪ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন এড়াবে।
আরও পড়ুন: আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের
৭ মাস আগে
আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫৭তম বার্ষিক সভায় যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জর্জিয়ার রাজধানীতে পৌঁছেছেন প্রতিনিধিরা। আগত অতিথিদের উষ্ণভাবে স্বাগত জানিয়েছে তিবিলিসি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) শুরু হতে যাওয়া সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সবুজ বিশ্বায়নসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মূল উন্নয়নের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বুধবার (১ মে) রাতে তিবলিসিতে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তা।
২০২৪ সালের বার্ষিক সভার পর্দা উত্তোলনের সময়, একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে কী প্রয়োজন সে নিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া, ইউরোপিয়ান ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট ওডিলে রেনাড-বাসো এবং জর্জিয়ার অর্থমন্ত্রী লাশা খুটিশভিলি।
আরও পড়ুন: দেশের বেসরকারি সৌর প্রকল্পে ১২১.৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন এডিবির
আন্তর্জাতিক সাংবাদিক নিশা পিল্লাইয়ের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্বায়ন ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি সত্ত্বেও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও দেশগুলো কীভাবে আরও কার্যকরভাবে সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
আলোচনায় এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, তথাকথিত উন্নয়নশীল এশিয়ার অর্থনীতি ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ বেড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যা ২০২২ সালে ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
এই প্রবৃদ্ধির গতি চলতি বছর এবং আগামী বছর প্রায় ৪ দশমিক ৯ শতাংশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন আসাকাওয়া। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এডিবি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির হার ২০২২ সালের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩ সালে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি ক্ষেত্র থেকে এই শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি আসে- প্রথমত, তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা। দ্বিতীয়ত, রপ্তানি কর্মক্ষমতা পুনরুদ্ধার। তৃতীয়ত, খুব শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ। চতুর্থত, পর্যটন পুনরুদ্ধার কারণ আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক ফিরে আসছেন এবং পঞ্চমত, চীনা অর্থনীতির পুনরুদ্ধার।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু সহিষ্ণু পানি ব্যবস্থাপনায় ৭১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
চীনের অর্থনীতি প্রসঙ্গে এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০২২ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩ দশমিক শূন্য হলেও কঠোর শূন্য-কোভিড নীতি থেকে বেরিয়ে আসার পর ২০২৩ সালে তা ৫ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রচুর পরিমাণে অনিশ্চয়তা এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সত্ত্বেও এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনীতি খুব স্থিতিশীল অবস্থায় আছে বলে মনে হচ্ছে।
এ সময় এডিবি প্রেসিডেন্ট চারটি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন- প্রথমটি হলো মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য স্থানে চলমান ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত। দ্বিতীয়ত, উন্নত অর্থনীতিগুলোতে- বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক নীতির অভিযোজনের কারণে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারগুলো খুব অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা। তৃতীয়ত, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। সাধারণত খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও ২০২২ সালে সর্বোচ্চ হওয়ার পর থেকে চালের দাম বেড়েই চলেছে। চতুর্থত বিশ্ব যে নেতিবাচক ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে তা হলো জলবায়ু পরিবর্তন সংকট।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে এটা অস্বস্তিকর সত্য যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল কার্বনডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গমনের জন্য ৫০ শতাংশের বেশি দায়ী। তবে একই সঙ্গে এটিও সত্য যে এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি।’
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১%, আগামী বছর হবে ৬.৬ %: এডিবির পূর্বাভাস
এডিবির ব্যবস্থাপনা মহাপরিচালক উচং উম বলেন, 'বৈঠকে জর্জিয়া ও এডিবির মধ্যে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব তুলে ধরা হবে এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সহযোগিতার প্রতি জর্জিয়ার প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, পূর্ব ও পশ্চিমের সংযোগস্থলে অবস্থিত তিবিলিসিতে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সরাসরি, আর্থিক এবং অর্থনৈতিক সংযোগগুলো খোঁজার একটি চমৎকার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।’
এবার প্রথমবারের মতো জর্জিয়ায় এডিবির বোর্ড অব গভর্নর্সের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
'ব্রিজ টু দ্য ফিউচার' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২ থেকে ৫ মে পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। এতে এডিবির ৬৮ সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি খাত, একাডেমিয়া, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
জর্জিয়া ২০০৭ সালে এডিবিতে যোগ দেয়। জর্জিয়াকে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশটির অন্যতম বৃহৎ বহুপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার হয়েছে এডিবি।
এডিবি চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও উন্নয়নশীল এশিয়ায় বলিষ্ঠ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির
৭ মাস আগে
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১%, আগামী বছর হবে ৬.৬ %: এডিবির পূর্বাভাস
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হারে বাড়বে।
ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক বলেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হবে এবং আগামী অর্থবছরে এটি বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।
ব্যাপক অভ্যন্তরীণ চাহিদা, সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানির উন্নতি এবং পর্যটন পুনরুদ্ধারের মধ্যে এই অঞ্চলের স্থিতিস্থাপক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো এই বছর গড়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এডিবি প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) এপ্রিল ২০২৪ অনুযায়ী, আগামী বছরও একই হারে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
গত দুই বছর ধরে অনেক অর্থনীতিতে উচ্চতর খাদ্যের দাম বাড়ার পরে ২০২৪ ও ২০২৫ সালে মুদ্রাস্ফীতি মাঝারি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও রপ্তানির দ্বারা চালিত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি সম্পত্তির বাজারে দুর্বলতা এবং কম খরচের কারণে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনে (পিআরসি) মন্দার ভারসাম্য রক্ষা করছে।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত একটি প্রধান প্রবৃদ্ধির চালক হিসেবে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এই বছর ৭ শতাংশ এবং পরের বছর ৭ দশমিক ২ শথাংশ বৃদ্ধি পাবে।
চীনের প্রবৃদ্ধি গত বছরের ৫ দশমিক ২ শতাংশ থেকে এই বছর ৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং পরের বছর ৪ দশমিক ৫ শতাংশে এ নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক বলেন, 'আমরা চলতি বছর ও আগামী বছর উন্নয়নশীল এশিয়ার বেশিরভাগ অর্থনীতির শক্তিশালী ও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের আস্থা উন্নত হচ্ছে এবং বিনিয়োগ সামগ্রিকভাবে স্থিতিস্থাপক। বাহ্যিক চাহিদাও কমে আসছে বলে মনে হচ্ছে, বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে।’
নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ বেশ কয়েকটি ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্ন, মার্কিন আর্থিক নীতি সম্পর্কে অনিশ্চয়তা, চরম আবহাওয়ার প্রভাব এবং চীনে সম্পত্তি বাজারের আরও দুর্বলতা।
উন্নয়নশীল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতি এই বছর ৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং আগামী বছর ৩ শতাংশে এ নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ বিশ্বব্যাপী মূল্যের চাপ হ্রাস পাবে এবং অনেক অর্থনীতিতে মুদ্রানীতি কঠোর থাকবে। তবে চীন বাদে এই অঞ্চলে মূল্যস্ফীতি এখনও কোভিড-১৯ মহামারির আগের চেয়ে বেশি।
চালের দাম খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে আমদানিনির্ভর অর্থনীতির জন্য। এডিও এপ্রিল ২০২৪ অনুসারে, এ বছর চালের দাম বাড়তে পারে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফসলের ক্ষতি ও চাল রপ্তানিতে ভারতের বিধিনিষেধও এর অন্যতম কারণ। লোহিত সাগরে জাহাজের ওপর হামলা এবং পানামা খালে খরার কারণে বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচলের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে।
চালের ক্রমবর্ধমান দাম মোকাবিলা এবং খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষার জন্য, সরকার ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে ভর্তুকি দিতে পারে এবং মূল্য হেরফের ও মজুতদারি রোধে বাজারের স্বচ্ছতা ও পর্যবেক্ষণ বাড়াতে পারে।
মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদি নীতিতে মূল্য স্থিতিশীল করার জন্য কৌশলগত চালের মজুদ প্রতিষ্ঠা, টেকসই চাষ ও ফসল বৈচিত্র্যকরণকে উৎসাহিত করা এবং উত্পাদনশীলতা বাড়াতে কৃষি প্রযুক্তি ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।
আঞ্চলিক সহযোগিতা চালের দাম এবং এর প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
৮ মাস আগে
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে আরও বেশি সহায়তা প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার গণভবনে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর ও থিমস) ফাতিমা ইয়াসমিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে নজরুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। সরকার গ্রামীণ জনগণের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।'
আরও পড়ুন: ২ জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি ব্যবস্থাপনায় ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন এডিবির
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী এডিবি কর্মকর্তাকে জানান, তার সরকার দেশের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। কারণ এটি শিল্পায়নের সম্প্রসারণে এবং আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।
জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, কৃষি, নদী খনন ও পুনরুদ্ধারের মতো খাতগুলোর কথা উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব খাতে ম্যানিলাভিত্তিক এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সহায়তা বাড়াতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী এডিপিকে আরও বেশি জনকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান, যাতে অধিক সংখ্যক মানুষ উপকৃত হতে পারে।
বাংলাদেশকে এডিবির শীর্ষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দেশ উল্লেখ করে ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতিমা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাঁচবার দক্ষিণ এশীয় এই দেশের জন্য সহায়তা বাড়িয়েছে আঞ্চলিক ঋণদাতা এ সংস্থা।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, এডিবি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, মানবিক ও সামাজিক উন্নয়ন, কারিগরি শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি নদী পুনরুদ্ধার, নদীভিত্তিক পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র এবং সেচ কেন্দ্রিক প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে ১৬০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এডিবিতে যোগ দেওয়ার আগে ফাতিমা বাংলাদেশের অর্থ বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতে আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অগ্রাধিকার সহায়তা হিসেবে এডিবির কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
৮ মাস আগে
বাংলাদেশে জলবায়ু অগ্রাধিকার সমর্থনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জলবায়ুকেন্দ্রিক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অর্জনের জন্য শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) প্যারিসে তার জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা, ২০২৩-২০৫০ এবং জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) ২০২১ হালনাগাদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার নীতিভিত্তিক ঋণ (পিবিএল) অনুমোদন করেছে।
ম্যানিলাভিত্তিক আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংকটি বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, যেখানে বার্ষিক গড় ক্ষতি প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার।
এই ঋণ হলো ৭০০ মিলিয়ন ডলার জলবায়ু স্থিতিস্থাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রথম সাবপ্রোগ্রাম।
এডিবি জানায়, এই ঋণ বাংলাদেশকে তার জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা শক্তিশালী করতে, কম কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তর করতে, এর গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করতে এবং সরকারের জলবায়ু কর্মে মূলধারার লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করবে।
এডিবি’র প্রিন্সিপাল পাবলিক ম্যানেজমেন্ট ইকোনমিস্ট আমিনুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ুর প্রভাব বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। জলবায়ু কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে অর্থায়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এডিবি এই অঞ্চলের জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশকে তার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে এফএও ও ইআরডির ৪ প্রকল্প চুক্তি সই
তিনি আরও বলেন, ‘এই কর্মসূচি জলবায়ু অর্থায়নকে একীভূত করার জন্য একটি সক্ষম প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতিগত পরিবেশ তৈরি করবে, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এজেন্ডায় জলবায়ু কর্মকাণ্ডকে অগ্রাধিকার দেবে এবং কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবহন ও অবকাঠামো, নগর উন্নয়ন এবং জ্বালানিসহ জলবায়ু-সমালোচনামূলক খাতে সংস্কার বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করবে।’
এছাড়া সম্প্রতি কপ২৮-এ উদ্বোধন হওয়া ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব’ কার্যকর করতে এই কর্মসূচি সরকারকে নিবিড়ভাবে সহায়তা করবে।
এটি সরকারি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সম্পদ বরাদ্দকরণের ক্ষেত্রে জলবায়ু অগ্রাধিকারকে মূলধারায় আনা এবং সবুজ বন্ড ও টেকসই আর্থিক নীতির মাধ্যমে জলবায়ু অর্থায়নের গতিশীলতা সমর্থন করে।
সেক্টরাল পর্যায়ে প্রোগ্রামটি স্মার্ট জলবায়ু এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপক কৃষি চর্চাকে উৎসাহিত করে। বিশেষ করে যেগুলো নারী কৃষকদের পক্ষে সৌর সেচ পাম্পগুলোর অভিযোজন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো নকশা ও পরিকল্পনা প্রবর্তন এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের অভিযোজনের জন্য নিয়ন্ত্রক কাঠামো ও গণপরিবহন বহরে বৈদ্যুতিক বাসের প্রবর্তন করে।
এছাড়াও, বন্যা কমাতে নগর পৌরসভার জন্য জলবায়ু সহনশীল শহরের কর্ম পরিকল্পনা এবং উন্নত নিষ্কাশন ব্যবস্থার প্রচারে সহায়তা করে এডিবি।
২০২১ সালের অক্টোবরে এডিবি ঘোষণা করেছে, এটি ২০১৯ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত তার উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থায়ন ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দেওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়িয়েছে।
এটি নতুন জলবায়ুভিত্তিক প্রযুক্তির অভিগম্যতাকে প্রসারিত করবে এবং জলবায়ু অর্থায়নের দিকে ব্যক্তিগত পুঁজিকে সঞ্চয় করবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সমর্থন অব্যাহত রেখেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবিক সহায়তায় শরণার্থীদের স্বস্তির ব্যবস্থা করতে বিদেশি সরকারগুলোর সমর্থন বাড়াতে হবে: আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ
১ বছর আগে
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১.০৮ বিলিয়ন ডলার যোগ হতে পারে
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশ ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পেতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর এডিবি বোর্ড সভায় বাংলাদেশের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একই দিনে আইএমএফের বোর্ড সভায় বাংলাদেশকে দেওয়া ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮১ মিলিয়ন ডলার অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি।
উভয় ঋণ প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে অনুমোদিত হলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার যোগ হতে পারে।
এটি বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিতে স্বস্তি আনবে। যা আমদানি বিল পরিশোধ এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের বিদেশে শিক্ষা ও চিকিৎসার অর্থ প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের ঘাটতি মেটাবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি সই
আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
১ বছর আগে
বাংলাদেশের জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্মার্ট মিটারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জ্বালানির দক্ষতা বাড়াতে এবং ক্লিন এনার্জি সলিউশনে রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণচুক্তি সই করেছে।
বাংলাদেশ ও এডিবির পক্ষে যথাক্রমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং চুক্তিতে সই করেন।
ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদানকারী সংস্থাটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, স্মার্ট মিটারিং এনার্জি এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার স্মার্ট প্রিপেইড গ্যাস মিটার (এসপিজিএম) ইনস্টল করে লোকসান কমাতে সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে।
প্যারিস চুক্তির অধীনে বাংলাদেশের নিজস্ব জলবায়ু প্রশমন ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে একটি হল এসপিজিএম ইনস্টল করা।
এডিবি জানিয়েছে, প্রকল্পটি বছরে প্রায় ৪ লাখ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গিনটিং বলেছেন, ‘এই প্রকল্প গ্যাস বাঁচাতে সাহায্য করবে; গ্যাসের অপচয় রোধ করা; গ্যাসের নিরাপদ ও দক্ষ ব্যবহার সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতনতা তৈরি করা; রাজস্ব প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং বিল তৈরি, সংগ্রহ ও নিরীক্ষণের খরচ কমিয়ে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির আর্থিক কর্মক্ষমতা উন্নয়ন করে।’
আরও পড়ুন: দেশের গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি স্থিতিস্থাপকতা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য ১২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
এতে বলা হয়েছে, ‘প্রকল্পটি গ্যাস বিতরণ উপখাতের জন্য বাংলাদেশের জলবায়ু প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও অবদান রাখবে। যেমনটি ২০২১ সালের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানের আপডেট করা হয়েছে।’
প্রকল্পটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দেশের বৃহত্তম গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের রূপান্তরমূলক এবং আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে অপারেশনাল দক্ষতা বাড়ায়।
এর মধ্যে রয়েছে উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তি, যেমন ইউনিফাইড মিটারিং ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত স্মার্ট মিটার এবং একটি স্বয়ংক্রিয় ওয়েব-ভিত্তিক অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের ব্যবহারের প্রচার।
১ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলারের একটি সহগামী প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে এডিবি সরকারকে তার স্বল্প-কার্বন জ্বালানি রূপান্তর এবং গ্যাস বিতরণ উপখাতের জন্য মিথেন লিকেজ ক্ষতি হ্রাস পরিকল্পনায় সহায়তা করবে।
এর মধ্যে রয়েছে উদ্ভাবনী ক্লিন এনার্জি সলিউশনের উপর প্রাক-সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন তৈরি করা এবং কার্বন ক্রেডিট ব্যবহারসহ ভবিষ্যতের প্রকল্প অর্থায়নের জন্য ব্যক্তিগত পুঁজি অভিগম্যতার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা।
কারিগরি সহায়তা বিশেষ তহবিল থেকে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান এবং এডিবির পরিচালিত রিপাবলিক অব কোরিয়া ই-এশিয়া এবং নলেজ পার্টনারশিপ ফান্ড থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার অর্থায়ন সহায়তা করা হবে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
১ বছর আগে
ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে এডিবির সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন-১) শিজিন চেন সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাতে এলে তিনি বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যান বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
২০১৮ সালে দেশের পানি সম্পদের ভবিষ্যত ব্যবহার সুরক্ষিত করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব প্রশমিত করতে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ হাতে নেয় সরকার।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উদ্ভাবনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে সংযোগ বৃদ্ধি, বাণিজ্য সহজীকরণ এবং জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে এডিবির সহায়তা চেয়েছেন।
এসময় এডিবিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভারসাম্যের সুবিধার্থে এডিবির শীর্ষ ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনে বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন-১) শিজিন চেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চমৎকার নেতৃত্বে মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্যতম সেরা উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
শিজিন চেন বলেন, এডিবি সব সময় বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে এবং দেশের শহর ও গ্রামীণ উভয় ক্ষেত্রেই উন্নয়নে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের কাছে অভিযোগ না করতে শ্রমিক নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে এডিবির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন,
‘এ সময়টা সাধারণত ক্রিটিক্যাল, তবে বাংলাদেশ বেশ ভালো করছে।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন,এডিবি ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (সাউথ এশিয়ান ডিপার্টমেন্ট) মনমোহন প্রকাশ এবং বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পেছনের দরজায় নয়, আ’লীগ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশের গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে এডিবির ১০ কোটি ডলার ঋণ
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশে চলমান গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে।
৪ বছর আগে