ভারী বর্ষণ
ভারী বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে ঢাকাবাসী
শনিবার সকালে বজ্রপাত ও দমকা হাওয়াসহ ভারী বর্ষণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ঢাকার বাসিন্দাদের।
বৃষ্টির কারণে রাজধানীর নিচু এলাকা ও বেশ কিছু গলি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সকালে বের হওয়া মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্বাভাবিক হতে থাকে।
দুর্গাপূজার ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অধিকাংশ অফিস বন্ধ থাকলেও জলাবদ্ধতা ও কর্দমাক্ত রাস্তার কারণে মন্দিরমুখী হিন্দু ভক্তরা সমস্যায় পড়েন।
কিছু বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় পরিবহন সংকটের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অফিসগামীদের।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি' পর্যায়ে
বৃষ্টি সকাল ৬টার দিকে শুরু হয়ে তা সকাল ৭ টা পর্যন্ত চলে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সোমবার পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টিপাত কমেতে পারে। তারপর আবার বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
২ মাস আগে
ভারী বর্ষণে পানি বাড়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট
তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটের সবগুলো খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৫১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করেছে পাউবো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে দেখা দিয়েছে নদ-নদীর ভাঙন।
এছাড়াও গত দু’দিন ধরে প্রচুর বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে। কখনো হালকা, কখনো মাঝারি আবার কখনো ভারী বৃষ্টি। এতে জনসাধারণের মাঝে যেমন স্বস্তি ফিরে এসেছে। তেমনি খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ কাজে যেতে না পারায় পড়েছেন চরম বিপাকে।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে ভেসে গেছে বিল ডাকাতিয়ার ৮২৫০টি মাছের ঘের, ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি
গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু রংপুরে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভারী বর্ষণের কারণে নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমানতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চর গড্ডিমারী এলাকার হোসেন আলী বলেন, ‘পানি বৃদ্ধিতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।’
পাউবো ডালিয়া শাখার উপপ্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, ‘তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।’
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউল হক জিয়া বলেন, ‘দুদিন ধরে টানা বর্ষণের তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওইসব ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকার রাস্তাঘাটে পানি উঠে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।’
এদিকে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হাক্কানি বলেন, ‘অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতি বছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য নদী খনন, সংরক্ষণ ও তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প নেই।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ভারী বর্ষণে মৎস্য খাতে ক্ষতি ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
২ মাস আগে
ভারী বর্ষণে ভেসে গেছে বিল ডাকাতিয়ার ৮২৫০টি মাছের ঘের, ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি
টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা অংশের বিল ডাকাতিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে সোয়া তিন হাজার হেক্টর জমির ৮ হাজার ২৫০টি মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে খেতের ফসল, কয়েক হাজার বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিল ডাকাতিয়ার প্রান্তিক মাছচাষিরা।
ডুমুরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য অফিসার মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ডুমুরিয়া উপজেলায় বিল ডাকাতিয়ার ৩ হাজার ৩৬ হেক্টর জমির সাড়ে ৭ হাজার মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে ঘেরে চাষ করা চিংড়ি ও সাদা মাছ। বিল ডাকাতিয়ার ডুমুরিয়া অংশে মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ৪৫ কোটি টাকা।
একই উপজেলার কৃষি অফিসার মো. ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, ডুমুরিয়ার বিল ডাকাতিয়া এলাকার রংপুর, গুটুদিয়া, রঘুনাথপুর, ধামালিয়া ইউনিয়নে ধান ও সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সব মিলিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিল ডাকাতিয়া অংশে কৃষি খাতে ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৩৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভারী বর্ষণে মৎস্য খাতে ক্ষতি ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
তিনি আরও বলেন, খেত থেকে পানি সরিয়ে দিতে প্রান্তিক কৃষকরা দাবি জানালেও উপজেলা পর্যায়ে সরকারিভাবে কৃষি অফিসে কোনো সেচ যন্ত্র না থাকায় পানি সরানো যাচ্ছে না। সেচের ব্যবস্থা করতে না পারলেও খেতের পানি সরে যাওয়ার পর করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ফুলতলা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য সম্প্রসারণ অফিসার মো. সেলিম সুলতান বলেন, টানা কয়দিনের ভারী বর্ষণে ফুলতলা উপজেলার বিল ডাকাতিয়া অংশে ৭১৫ হেক্টর জমির ৭৫০টি মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘেরে চাষ করা চিংড়ি ও সাদা মাছ ভেসে গিয়েছে। ফুলতলার ডুমুরিয়া অংশে সব মিলিয়ে মৎস্য খাতে ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ৫ কোটি টাকারও বেশি।
তিনি আরও বলেন, টানা বৃষ্টি শুরুর আগে মাছ চাষিদের ঘেরগুলো নেট জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে যাতে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা যায়।
একই উপজেলার কৃষি অফিসার রাজিয়া সুলতানা বলেন, ফুলতলা উপজেলার বিল ডাকাতিয়া অংশে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ধান ও বিভিন্ন ধরনের সবজি। ১৫০ হেক্টর জমির মধ্যে ৮০ হেক্টর জমির ধান ও সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিল ডাকাতিয়া তেলিগাতী মৌজার মাছ চাষি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিল ডাকাতিয়ায় তার ১৩০ একরের ৬টি ঘেরের মধ্যে ৪টি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে প্রায় ৮ কোটি টাকার মাছ। বাকি দুই ঘের নেট জাল দিয়ে কোনোমতে টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আমার নয়, এ বছর বিল ডাকাতিয়ার সব মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। শত কোটি টাকার বেশি মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এলাকার মাছচাষিরা কীভাবে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে? সরকারি কোনো সাহায্য সহযোগিতা তো দূরে থাক, আমাদের খোঁজখবরও কেউ নেয় না।’
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে খুলনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-বসতবাড়ি, ভেসে গেছে মাছের ঘের
২ মাস আগে
খুলনায় ভারী বর্ষণে মৎস্য খাতে ক্ষতি ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
খুলনার ডুমুরিয়াকে বলা হয় মাছের স্বর্গরাজ্য। মাছ ও চিংড়ি উৎপাদনে ডুমুরিয়া উপজেলার অবস্থান খুলনা জেলায় শীর্ষে। আর খুলনায় মাছের চাহিদার একটা বৃহৎ অংশ পূরণ হয় ডুমুরিয়ায় উৎপাদিত মাছ থেকে।
টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ডুমুরিয়ায় ১৪টি ইউনিয়নের ২২৬টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে মৎস্যঘেরসহ শাকসবজি ও বসতবাড়ি। এতে মৎস্য খাতে ক্ষতি আনুমানিক ৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি টাকার ক্ষতি: দুর্যোগ উপদেষ্টা
এদিকে ডুমুরিয়ায় মাছ চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত ২৮ হাজারের ৫৭৪ জন মানুষ। এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে চাষ হয় গলদা, বাগদা চিংড়ি ও কার্প জাতীয় মাছ। উৎপাদিত বাগদা ও গলদা চিংড়ি খুলনা অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়ায় ১৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে ছোট বড় মিলিয়ে ২৬ হাজার ৫৭০টি মাছের ঘের এবং ৫ হাজার ৬৩০ টি পুকুর রয়েছে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের এ সব মাছের ঘের ও পুকুর থেকে বছরে প্রায় ২৮ হাজার ৬৯০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে ১৮ হাজার ২০০ মেট্রিক টন সাদা মাছ। বাকি ১০ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত এসব মাছের বাজার মূল্য আনুমানিক ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের ৬ উপজেলায় ৪৪টি কালভার্টসহ ১৯২ গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ভারী বর্ষণে ডুমুরিয়ার ১৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ছোট বড় সব মিলিয়ে ১২ হাজার ৫৩০টি ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। এসব ঘের ও পুকুর থেকে ৩ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন সাদা মাছ ভেসে গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। ৪ হাজার ৬৭০ মেট্রিক টন চিংড়ি ভেসে গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সাড়ে ৭ মেট্রিক টন কাঁকড়া ভেসে গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭৫ লাখ টাকা। এছাড়াও বন্যায় মৎস্য খাতের অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ৫ কোটি টাকা। প্রথম ধাপে আমরা যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করেছি সব মিলিয়ে আমাদের উপজেলায় মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৬০ কোটি ৭ লাখ টাকা হবে। এছাড়া বন্যা পরবর্তী মৎস্য অধিদপ্তরের চাহিদা মোতাবেক প্রথম ধাপের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিকট হতে সংগ্রহ করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কার্যক্রম চলমান।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যায় বাড়ি ফিরতে পারেনি ৮৩৫০ পরিবার, ক্ষতি ৫৩৩ কোটি টাকার
২ মাস আগে
কাপ্তাই হ্রদে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু। এতে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে কাপ্তাই হ্রদে সেতুর পাটাতনে প্রায় ১ ফুট পরিমাণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে সেতুটি। এ সময় বেড়াতে আসা পর্যটকদের পারাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন্ধ করে দিয়েছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু, ১১ জেলায় ৪৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনের ওপর পানি উঠেছে প্রায় ১ ফুটের কাছাকাছি। পানির চাপে অনেক স্থানেই খুলে গেছে সেতুর পাটাতনের কাঠ। ফলে সেতুতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের। তবে অনেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচল করছেন সেতুতে। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ঝুলন্ত সেতু ডুবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ কারণে পর্যটকদের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে ঝুলন্ত সেতু পারাপারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হ্রদের পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঝুলন্ত সেতুটি চলাচলের উপযোগী হলে আবার চলাচলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল
‘৫০ বছরে ফটিকছড়িতে এমন বন্যা দেখিনি’
৩ মাস আগে
ভারী বর্ষণে রাজধানীতে সড়কে জলাবদ্ধতা
বুধবার সকালে ভারী বর্ষণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, ফার্মগেট, বাড্ডা, মগবাজার, মিরপুর ও খিলক্ষেত এলাকায় হাঁটুপানি পর্যন্ত পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে অনেককে।
সকালে পরিবহন না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হয় অফিসগামীদের।
বৃষ্টির পানিতে ব্যক্তিগত গাড়ি ও প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশায়ও পানি ঢুকে ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত ও বিকল হয়ে পড়তে দেখা গেছে।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ সব বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে।
তবে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বান্দরবানে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থানে রয়েছে।
৫ মাস আগে
ভারী বর্ষণে বাঘাইছড়িতে পাহাড়ি ঢল, ৩টি গ্রাম প্লাবিত
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তত ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি মারিশ্যা দীঘিনালা সড়কে ১০টি স্থানে পাহাড় ধসে সকাল থেকে সারাদেশের সঙ্গে বাঘাইছড়ির যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সাজেকের মাচালং ও বাঘাইহাট বাজার তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকে আটকে পড়েছেন ১২০ জন পর্যটক। পাহাড় ধসে হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও সড়কের আটকা পড়েছে বহু যানবাহন। দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ
এদিকে এক টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হয়ে বাঘাইছড়ির নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে তলিয়ে গেছে বহু রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, স্কুল, মাছের পুকুর ও কৃষি জমি।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার পাহাড় ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড় ধস ও নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সড়ক জনপদ বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন সমন্বয়ে সড়কের মাটি সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন।
এসময় ওসি ইশতিয়াক বলেন, সড়কের কয়েকটি স্থানে সব মাটি সরাতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। সড়ক থেকে পুরো মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আনুমানিক দুইদিন লেগে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনার ৩০ গ্রাম প্লাবিত
৬ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে আবারও বাড়ছে যমুনার পানি, বন্যার আশঙ্কা
পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সিরাজগঞ্জে আবারও বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। এতে যমুনা তীরবর্তী জেলার ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে আরও নতুন নতুন অঞ্চল।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে সিরাজগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত বলেন, গত মাসের শেষ দিকে যমুনার পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে বিশেষ করে যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজীপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয় এবং ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার বাঁধ ভেঙে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
তিনি আরও বলেন, এসব উপজেলার অনেক স্থানে তীব্র ভাঙনও দেখা দেয়। এ ভাঙনে অনেক স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি আবারও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও ৪/৫ দিন যমুনার পানি বাড়তে পারে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও বিশেষ করে চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
এদিকে ভারী বর্ষণে জেলার খাল-বিল, নদী-নালা প্রায় ভরে উঠেছে। টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে দিনমজুর পরিবারের লোকজন এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা পাওয়া গেলে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যমুনায় বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা
টানা বর্ষণে গাজীপুরে ভেঙে পড়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে নগরবাসী
১ বছর আগে
নাটোরে ভারী বর্ষণে ফসলের ক্ষতি, নামতে শুরু করেছে পানি
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে নাটোরে ধান, শবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক স্থান থেকে নামতে শুরু করেছে পানি। আর পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ফসলের মাঠের ক্ষত চিহ্ন বের হতে শুরু করেছে।
ভারী বর্ষণে জেলার সিংড়া ও নলডাঙ্গা উপজেলার অন্তত ১ হাজার ৬০০ হেক্টর রোপা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে ৪২২ হেক্টর জমির ধান।এদিকে
সদর উপজেলার প্রায় সকল ইউনিয়নের শবজি খেত ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কিছু কিছু জমি থেকে পানি নেমে গেলেও খুব একটা লাভ হবে না তাদের, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে আগামী ৭২ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা: বিএমডি
শহর ঘুরে এই প্রতিবেদক জানতে পারেন, নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় শহরের আবাসিক ও নিম্নাঞ্চল ছাড়া বাণিজ্যিক এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। আবাসিক এলাকাগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ চৌকিরপাড়, বলাড়িপাড়া, বঙ্গজ্জল, রাজবাড়ী, আলাইপুর, উপশহর, কালুর মোড় এলাকার মানুষ এখনো পানি বন্দি।
পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা ও ড্রেন সংস্কারে কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি।
অন্যদিকে জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় গড়ে ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে নাটোর সদরে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, নতুন করে বৃষ্টিপাত না হলে ফসলের ক্ষতি অনেক কমিয়ে আনা যাবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ভারী বর্ষণে মাটির দেয়াল ধসে দম্পতির মৃত্যু
নাটোর শহরে অব্যাহত ভারী বর্ষণে অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
১ বছর আগে
নাটোর শহরে অব্যাহত ভারী বর্ষণে অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
অব্যাহত ভারী বর্ষণে নাটোর শহরের অধিকাংশ এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
পানিতে তলিয়ে গেছে শহরের ব্যস্ততম কানাইখালী, নিচাবাজার, চৌকিরপাড়, কালুর মোড়, আলাইপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। বিপণিবিতান,বাজার, আবাসিক এলাকাসহ সব স্থানে থৈ থৈ করছে পানি।
বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সব শ্রেণি পেশার মানুষ। এক পর্যায়ে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী শহরের কালুর মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। সন্ধ্যায় পুলিশ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মলয় কুমার পানি নিষ্কাশনের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: বর্ষা এলেই জলাবদ্ধতায় নাজেহাল রাজধানীবাসী
পরে এলাকাবাসী নিজেরাই ভরাট হয়ে যাওয়া খাল সংস্কার করে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করেন। পৌর এলাকার ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনা ও খালগুলো দখল করে স্থাপনা তৈরি করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আজকের (বৃহস্পতিবার) মতো ভারী বৃষ্টিপাত না হলে আগামীকাল স্কেভেটর দিয়ে দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া খাল ও ড্রেনগুলো সংস্কার করে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি হলেই শান্তিগঞ্জের বাজারে জলাবদ্ধতা
১ বছর আগে