ভারী বর্ষণ
সিরাজগঞ্জে আবারও বাড়ছে যমুনার পানি, বন্যার আশঙ্কা
পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সিরাজগঞ্জে আবারও বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। এতে যমুনা তীরবর্তী জেলার ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে আরও নতুন নতুন অঞ্চল।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে সিরাজগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত বলেন, গত মাসের শেষ দিকে যমুনার পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে বিশেষ করে যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজীপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয় এবং ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার বাঁধ ভেঙে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
তিনি আরও বলেন, এসব উপজেলার অনেক স্থানে তীব্র ভাঙনও দেখা দেয়। এ ভাঙনে অনেক স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি আবারও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও ৪/৫ দিন যমুনার পানি বাড়তে পারে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও বিশেষ করে চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
এদিকে ভারী বর্ষণে জেলার খাল-বিল, নদী-নালা প্রায় ভরে উঠেছে। টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে দিনমজুর পরিবারের লোকজন এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা পাওয়া গেলে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যমুনায় বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা
টানা বর্ষণে গাজীপুরে ভেঙে পড়েছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে নগরবাসী
নাটোরে ভারী বর্ষণে ফসলের ক্ষতি, নামতে শুরু করেছে পানি
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে নাটোরে ধান, শবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক স্থান থেকে নামতে শুরু করেছে পানি। আর পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ফসলের মাঠের ক্ষত চিহ্ন বের হতে শুরু করেছে।
ভারী বর্ষণে জেলার সিংড়া ও নলডাঙ্গা উপজেলার অন্তত ১ হাজার ৬০০ হেক্টর রোপা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে ৪২২ হেক্টর জমির ধান।এদিকে
সদর উপজেলার প্রায় সকল ইউনিয়নের শবজি খেত ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কিছু কিছু জমি থেকে পানি নেমে গেলেও খুব একটা লাভ হবে না তাদের, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে আগামী ৭২ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা: বিএমডি
শহর ঘুরে এই প্রতিবেদক জানতে পারেন, নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় শহরের আবাসিক ও নিম্নাঞ্চল ছাড়া বাণিজ্যিক এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। আবাসিক এলাকাগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ চৌকিরপাড়, বলাড়িপাড়া, বঙ্গজ্জল, রাজবাড়ী, আলাইপুর, উপশহর, কালুর মোড় এলাকার মানুষ এখনো পানি বন্দি।
পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা ও ড্রেন সংস্কারে কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি।
অন্যদিকে জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় গড়ে ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে নাটোর সদরে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, নতুন করে বৃষ্টিপাত না হলে ফসলের ক্ষতি অনেক কমিয়ে আনা যাবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ভারী বর্ষণে মাটির দেয়াল ধসে দম্পতির মৃত্যু
নাটোর শহরে অব্যাহত ভারী বর্ষণে অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
নাটোর শহরে অব্যাহত ভারী বর্ষণে অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
অব্যাহত ভারী বর্ষণে নাটোর শহরের অধিকাংশ এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
পানিতে তলিয়ে গেছে শহরের ব্যস্ততম কানাইখালী, নিচাবাজার, চৌকিরপাড়, কালুর মোড়, আলাইপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। বিপণিবিতান,বাজার, আবাসিক এলাকাসহ সব স্থানে থৈ থৈ করছে পানি।
বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সব শ্রেণি পেশার মানুষ। এক পর্যায়ে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী শহরের কালুর মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। সন্ধ্যায় পুলিশ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মলয় কুমার পানি নিষ্কাশনের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: বর্ষা এলেই জলাবদ্ধতায় নাজেহাল রাজধানীবাসী
পরে এলাকাবাসী নিজেরাই ভরাট হয়ে যাওয়া খাল সংস্কার করে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করেন। পৌর এলাকার ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনা ও খালগুলো দখল করে স্থাপনা তৈরি করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আজকের (বৃহস্পতিবার) মতো ভারী বৃষ্টিপাত না হলে আগামীকাল স্কেভেটর দিয়ে দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া খাল ও ড্রেনগুলো সংস্কার করে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি হলেই শান্তিগঞ্জের বাজারে জলাবদ্ধতা
৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে আরও বৃষ্টি হতে পারে।
অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়পায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে
তাপমাত্রার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১৭৯ মিলিলিটার রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে।
একই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সীতাকুণ্ডে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান শনিবার সকালে 'মধ্যম' পর্যায়ে
সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়- মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাংশে সক্রিয় ও অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ সকল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অনুসারে, ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবার আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী কয়েকদিন রংপুর ও রাজশাহীসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।’
অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়- রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ঘটছে প্রাণহানিও
এতে আরও বলা হয়, সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১৬১ মিলিলিটার রেকর্ড করেছে নীলফামারীর ডিমলায়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ সকল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ভারী বর্ষণ: ঢাবি ছাত্রাবাসে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
একদিনের বর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুটি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশ বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণে হলে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তিতে পড়েন তারা।
হল দুটি হলো- নিউমার্কেট এলাকার আজিমপুর কবরস্থানের কাছে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল।
এদিকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ওই হলের শিক্ষার্থীরা মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ঘটছে প্রাণহানিও
এই দুই হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- শুক্রবার ভোর থেকে হলগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
কুয়েত মৈত্রী হলের নিচতলার কয়েকটি কক্ষে পানি জমে আছে। এদিকে এ ঘটনায় নিচতলার শিক্ষার্থীদের উপরের তলায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে কুয়েত মৈত্রী হলের একটি দোকানে ফ্রিজ বিস্ফোরিত হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খাওয়ার পানির সংকটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক ছাত্র লাবন্ন তাসফি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে পড়ব কখনো কল্পনাও করিনি। গত ১২ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই, খাওয়ার পানি নেই, শৌচাগারেও পানি নেই।
তিনি আরও বলেন, আজ আবার বৃষ্টি হলে কী অবস্থা হবে জানি না। তবে বৃষ্টি থামার পর থেকে পানির স্তর একই রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ওয়াসা থেকে পানির গাড়ি ভাড়া করে এবং ক্যান্টিনে খাবার রান্না করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে নীলক্ষেত, জহুরুল হক হল প্রাঙ্গণ, সলিমুল্লাহ হল প্রাঙ্গণ ও সীমান্ত সড়ক, শামসুন্নাহার হলের কিছু অংশসহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নাজমুন নাহার বলেন, আমরা ও আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট পাচ্ছি। যেহেতু আমাদের নিয়মিত বিদ্যুৎ থাকছে না তাই আমরা পানীয় জল পাম্প করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে আমাদের কাছে যে পানীয় জল রয়েছে তা শিগগিরই শেষ হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা ওয়াসার সঙ্গে কথা বলেছি- তারা আমাদের পানি সরবরাহ করবেন।
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। ওই এলাকা থেকে পানি সরাতে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের তিনটি দল।
তিনি আরও বলেন, সাময়িকভাবে আমরা ওয়াসা থেকে পানির ব্যবস্থাপনা করছি।
আরও পড়ুন: বরিশালে অস্ত্রোপচার করে সুঁই বের করার সময় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
অতি বৃষ্টির কারণে চবির ২২ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
নারায়ণগঞ্জের ডিএনডি এলাকায় ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলছে না এলাকাবাসীর
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ডিএনডি এলাকায় কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা এখন জটিল আকার ধারণ করেছে। এই অসহনীয় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি থেকে রক্ষা না পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ওপর এলাকাবাসীদের মনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।
ডিএনডির জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসনে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পে আদৌ কি সমাধান হবে বা হলেও কতদিনে? - এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বাসিন্দারা।
অনেকের মতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নজরদারির অভাবেই ভোগান্তিতে পড়েছেন ডিএনডিবাসীরা।
স্থানীয়রা বলেন, ‘আমরা এখন পানির মধ্যে কারাবাসে আছি! মানুষ অপরাধ করলে কারাগারে বন্দি থাকে, কিন্তু আমাদের কি অপরাধ? কী কারণে আমাদের প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এভাবে কারাগারে থাকতে হয়! জানি না সরকার আমাদের এই কারাবাস থেকে কবে মুক্তি দেবে! আমরা মুক্তি চাই আমাদের এমপি (সংসদ সদস্য) মহোদয়ের কাছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।’
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি: জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম
ডিএনডি এলাকার বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট ডুবে থাকায় পয়ঃনিষ্কাশনের পানি জলাবদ্ধতার পানির সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
যে কারণে ঠাণ্ডা, জ্বর, ডায়রিয়া, চর্মরোগ, আমাশয়সহ পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
শিমরাইলে অবস্থিত পাম্প হাউজের পুরোনো চারটি পাম্পের মধ্যে তিনটি পাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। এর একটি পাম্প দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকলেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই।
ডিএনডি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, ডিএনডি প্রকল্পের আওতাধীন ডিএনডির নিজস্ব জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৩০-৪০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা উচ্ছেদ করার ক্ষেত্রে ব্যাপক আইনি জটিলতা রয়েছে। পাশাপাশি তিতাস, ডিপিডিসিসহ (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড) বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনগুলোও সরানো হয়নি। এতে আমরা অনেক স্থানেই অবকাঠামোর কাজ করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, পানি নিষ্কাশনের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো- নিষ্কাশনের শাখা খালগুলো সংস্কার করার পর আবার ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরে ফেলা হয়েছে। অনেক স্থানে আমরা খাল পুনরুদ্ধার করেছি, নতুন খাল খনন করেছি। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সেগুলো আবার ময়লা দিয়ে স্থানীয় লোকজন ভরে ফেলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা
অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, অর্থ সংকটের কারণে ধীরে এগোচ্ছে ডিএনডির এই মেগা প্রকল্পটি। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এ প্রকল্প বাবদ ৩৫০ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ের কার্যক্রম পরিকল্পনা করা হলেও ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা থাকলেও অর্থ সংকটে অধিকাংশ চলমান কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই এলাকার জলাবদ্ধতার সমাধান চেয়েছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের কাছে।
গত রবিবার দুপুরে ডিএনডি বাঁধের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ডিএনডি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা শুনে সেটি সমাধানের তড়িৎ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, আমি নিজেই বিষয়টি দেখতে ও প্রকল্পের দায়িত্বরতদের সঙ্গে রবিবার কথা বলে কীভাবে দ্রুত সমাধান করা যায় এবং মানুষের দুর্ভোগ কীভাবে লাঘব করা যায় সেটি করার ব্যবস্থা করব।
তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধিদের ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে সেটি যেভাবে দরকার সেভাবেই করব। মানুষ কষ্ট-দুর্দশা দূর করাটাই এখানে মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস নেদারল্যান্ডসের
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়- রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি: জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম
তাপমাত্রার পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর মূলত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস জানিয়ে থাকে।
এদিকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১৩৮ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ঢাকায় যান চলাচল ব্যাহত, ভোগান্তিতে নগরবাসী
বর্ষার বৃষ্টির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈদুল আজহা উদযাপন
ভারী বর্ষণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ৩ পার্বত্য জেলায় ভূমিধসের আশঙ্কা
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে, যা পাঁচটি জেলায় ভূমিধসের কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: পেরুতে প্রবল বর্ষণে ভূমিধসে ৩৬ জনের মৃত্যু
আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা একই এলাকার উপর দিয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ায় চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে বুলেটিনে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ অনেকে
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
রুয়ান্ডায় ভারী বর্ষণে বন্যায় নিহত ১২৯
মুষলধারে বৃষ্টির কারণে পশ্চিম ও উত্তর রুয়ান্ডায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে অন্তত ১২৯ জন নিহত হয়েছেন বলে একটি পাবলিক ব্রডকাস্টার জানিয়েছে।
রুয়ান্ডা ব্রডকাস্টিং এজেন্সি বুধবার জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
সরকার সমর্থিত নিউ টাইমস পত্রিকা উল্লেখ করেছে, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোর উপলব্ধ রেকর্ড অনুসারে, এটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দেশটিতে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ দুর্যোগজনিত মৃত্যুর সংখ্যা হতে পারে।’
রুয়ান্ডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের গভর্নর ফ্রাঁসোয়া হাবিতেগেকো সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার রাত ও বুধবার সকালে প্রবল বৃষ্টিপাতের পর আরও হতাহতের সন্ধান চলছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার বন্যায় নিহত ৫, বাস্তুচ্যুত ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে
গত সপ্তাহে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যার ফলে বন্যা ও ভূমিধসের ফলে সারা দেশে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেসে যায় এবং কিছু রাস্তা দুর্গম হয়ে পড়ে।
রুয়ান্ডা আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করেছে যে আরও বৃষ্টিপাত আসছে।
সরকার অতীতে জলাভূমি এবং অন্যান্য বিপজ্জনক অঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দাদের স্থানান্তরিত হতে বলেছে।
পশ্চিম ও উত্তর প্রদেশ এবং রাজধানী কিগালি বিশেষত পাহাড়ি এলাকা, যা বর্ষাকালে ভূমিধসের ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।ি
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২